মোঃ আনোয়ার হোসেন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিকে ঘিরে যেন উৎসবের আমেজ বইছে ছাতা কারিগরদের মাঝে। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ফুটপাতের ছাতা কারিগরদের এখন ব্যস্ততা বেড়েছে। বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল। প্রতিদিনই চলছে রোদ আর বৃষ্টির খেলা। এই সময়ে ছাতা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। কথা হয় শিবপুর বাজারের ছাতার কারিগর সূর্য কুমারের (৪৫) সাথে, তার বাড়ি পৌরসভার ভোলাচং গ্রামে। তিনি বিগত ২০ বছর যাবৎ বর্ষার মৌসুমে ছাতা মেরামত করেন। সূর্য কুমার জানান- “বর্ষা মৌসুম ছাড়া ছাতা মেরামতের কাজ পায় না। তখন তালা- চাবি মেরামতসহ অন্যান্য কাজ করি”। কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা নবীনগর বড় বাজারের মো. নান্নু মিয়া তিনি জানান- “প্রায় ২৫ বছর ধরে ছাতা মেরামত করছি। বর্ষার মৌসুমে কাজ বেশি থাকে। গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় কাজ কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে আয়ও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নবীনগর বড় বাজারে বসি। দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২২টি ছাতা মেরামত করতে পারি। এতে প্রতিদিন ৩৫০- ৪৫০ টাকার কাজ করতে পারি”। বর্ষার মৌসুম ছাড়া অন্য সময় তেমন কাজ থাকে না, তখন অন্য কাজ করি। উল্লেখ্য ছাতা কারিগররা অন্যের দোকানের সামনে নামমাত্র ভাড়ায় কিংবা বিনা ভাড়ায় বসে কাজ করে থাকেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ ছাতা কারিগরেরা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামত করেন। তবে বছরের শুধু বর্ষাকাল ছাড়া তেমন আয় করা সম্ভব হয় না বলে এ পেশা থেকে জীবনের তাগিদে ছাতা কারিগররা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২০জুলাই ২০২৫/মওম
- Advertisement -