আবু সায়েম:
“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি ” ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান এবং বৃক্ষমেলা-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
২১ জুলাই সোমবার সকাল ১১ টায় শহরের পাবলিক শহীদ দৌলত ময়দানে বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বনবিভাগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠানস্থলে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন,বৃক্ষরোপনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।ছাত্রছাত্রীসহ সকলকে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে হবে।বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে আরো বেশি সচেতন হতে হবে ও গাছ লাগাতে হবে এবং পরিচর্যা করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে একমাত্র গাছ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। তাই মানুষের জীবন বাঁচাতে গাছের দরকার।
পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রাফিক) জসীম উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন এবং কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মনিরুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন ,সুন্দর বাসযোগ্য শহর গড়তে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপনের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসম্য বিদ্যমানে অবদান রাখতে হবে।আমাদের সকলকে বৃক্ষরোপন করতে হবে এবং কোন কারণ ছাড়া গাছ কর্তন বন্ধ করতে হবে।বেশী বেশী চারা রোপন করে বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ,গাছপালা পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি বনজ ও ফলদ গাছ পুষ্টি জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।বৃক্ষমেলার ব্যাপারে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে একটি করে ফলজ, একটি করে বনজ, একটি করে ঔষধি এবং অন্যান্য জাতের গাছের চারা আপনারা প্রত্যেকে নিজ আঙ্গিনায়, বাসার ছাদে লাগাবেন। তাহলে আমাদের এই বৃক্ষমেলার আয়োজন সফল ও স্বার্থক হবে।
তিনি অনুষ্ঠানে সকলে উপস্থিত হয়ে সফল করায় অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে,এবারের বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলায় ৩৫ টি স্টল অংশ গ্রহণ করে। বৃক্ষ মেলায় ফলদ, বনজ, ঔষধি এবং শোভাবর্ধনকারী জাতের লক্ষাধিক চারার সমাহার ঘটবে।
মেলায় নানা ধরনের চারা স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে,প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বনজ, ফলদ,ঔষধি এবং আরো নানা জাতের চারা পাওয়া যাবে। আগামী ২৭ জুলাই বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২১জুলাই ২০২৫/মওম
- Advertisement -