বিশেষ প্রতিনিধি, ‘আমরা হিজড়া। কিন্তু এই ছোট শিশুদের কষ্ট দেখে নিজেদের সামলে রাখতে পারিনি। তাই তাদের জন্য রক্ত দিতে চলে এসেছি আমরা। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন আঁচল নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তি।
আঁচলের মতোই এমন ২০০ জন তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছেন বিমান দুর্ঘটনার শিকার শিশু ও আহতদের রক্ত দেওয়ার জন্য। আঁচল বলেন, নিষ্পাপ শিশু ও আহতদের রক্ত দেওয়ার জন্য আমরা ২০০ জনের মতো এখানে এসেছি। এখানের আহতরা আমাদের ভাইবোনের মতো। মূলত দুটো দল এখানে এসেছে, একটি মগবাজারের। অপরটি বনানীর।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।