প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের উদ্যোগে আজ ২৭ জুলাই রোববার সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কবিতা শীর্ষক সংকলণ প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলা একাডেমী ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে অবিলম্বে বিতর্কিত সংকলন টি প্রত্যাহার করাসহ ৫ দফা দাবিতে বক্তব্য রাখেন দেশের কবি সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে শাহীন রেজা বলেন, বাংলা একাডেমী আমাদের মননের প্রতীক। কোনভাবেই এর ঐতিহ্য ও গাম্ভীর্য নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এই একাডেমী এখনো ফ্যাসিস্টদের অভয়ারণ্য। এ থেকে উত্তরণ এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, দেশের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ কবিদের বাদ দিয়ে এমন দুজন কবিকে সংকলন টির সম্পাদনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে যারা কবি, কবিতা এবং সম্পাদনা সম্পর্কে সম্পূর্ন অনভিজ্ঞ। এটি শুধু জুলাই বিপ্লব চেতনার পরিপন্থী নয় বাংলা একাডেমীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা বলেও আমরা মনে করি। তিনি অবিলম্বে দেশের প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কবিদের দিয়ে একটি বাছাই ও সম্পাদনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংকলনটি পুনরায় প্রকাশের দাবি জানান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি সৈয়দ রনো। সুচনা বক্তব্য রাখেন কবি মোসলেহ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কবি ও সাংবাদিক শাহীন চৌধুরী, সহ-সভাপতি কবি এবিএম সোহেল রশীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি ফরিদ ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আবীর বাঙ্গালী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কবি শান্তা মারিয়া, দপ্তর সম্পাদক কবি সৈয়দ জাহিদ মাহমুদ, কবি হাসান কামরুল, কবি শাহিন রিজভি, জালাল খান ইউসুফী, এম এম শাহনুর হোসেন, শাওন আশরাফ, নুরুল হোসেন কাইয়ুম, দীপাস আনোয়ার, রাজু আহমেদ, সঞ্চয় কবির, শাহী সবুর, তাসলিমা বেগম, সাইফ সাদী, খন্দকার জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ইসলাম উদ্দিন, মনজু খন্দকার, মজিবুর রহমান বকুল, ইব্রাহিম ভূঁইয়া, আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে কবি শাহীন রেজার নেতৃত্বে ৪২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলা একাডেমীর ডিজি মোহাম্মদ আজমের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ডিজি তাদেরকে বোর্ড রুমে স্বাগত জানান। এসময় ডিজিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়। ডিজি অভিযোগ সমূহ শোনেন এবং এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অচিরেই এই সংকলনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, উত্থাপিত অভিযোগ সমূহ নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। জাতীয় জীবনের একটি গভীর ও শোকাবহ বিষয় নিয়ে ছেলে খেলা কাম্য নয়। তিনি একাডেমীর ডিজি হিসাবে সকল অভিযোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, খুব সহসাই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবো। শাহীন রেজা বলেন, জাতীয় মননের প্রতীক বাংলা একাডেমী কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর একক সম্পত্তি নয়। এখানে কোন অনাচার হলে দেশের কবি-লেখকেরা চুপ করে থাকবে না। তিনি একাডেমী ডিজির বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে অবিলম্বে সম্পাদনা মন্ডলী গঠনের মাধ্যমে সংকলনটি নতুন করে প্রকাশের ব্যবস্থা করা দাবি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/২৭ জুলাই ২০২৫/মওম