তিনদিন ব্যাপী ‘দেবিদ্বার স্টুডেন্ট ফেস্ট’ বই মেলা অনুষ্ঠিত
২১শের রক্তাক্ত পথ ধরেই দেশের গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রামে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা: তারেক রহমান
আলোকিত ডেস্ক:
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের অবিস্মরণীয় একটি অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমি এই দিনে সব শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। রক্ত রাঙা ২১শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এ দিনেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। বায়ান্ন সালের ২১শের রক্তাক্ত পথ ধরেই এ দেশের গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রামে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা।
দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে নানাভাবে আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে বলে উল্লেখ তরে তারেক রহমান বলেন, মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য আমরা বিশ্ব সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি না। কিন্তু এ দেশের মানুষ সবসময় স্বৈরাচার এবং দেশি-বিদেশি কুচক্রীদের অদম্য সাহসে প্রতিহত করে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষকে আটকিয়ে রাখতে না পারে এজন্য ন্যায়বিচার, মানবিক সাম্য তথা প্রকৃত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী এবং চিরস্থায়ী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দী করতে না পারে সেজন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে একুশের অম্লান চেতনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি ৫২’র ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা। তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যে কোনো প্রজন্মের স্বপ্নের চেয়ে দুঃসাহসী
আলোকিত প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যে কোনো প্রজন্মের স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়।
২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ অনুষ্ঠানের তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। সে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের উপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোরকমে বিঘ্নিত না হয় এবং পৃথিবীর উপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব যারা আজ একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তাদের দেশবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের অবদানের জন্য জাতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আপনারা জাতির পথ প্রদর্শক। আপনাদের অবদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি দৃঢ় বিশ্বাসে জাতিপুঞ্জের মজলিসে ক্রমাগতভাবে উন্নততর অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন এক বাংলাদেশ নির্মাণের। আজ এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দেশমাতৃকার জন্য বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রাম,বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যে সকল সাহসী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের সকলকে।
এবারের অমর একুশে নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। আমরা জানি, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের আত্মপরিচয়ের অবিনাশী স্মারক। আমাদের স্বাধিকার চেতনার প্রাণপ্রবাহ একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রসমাজ। ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজ এই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপনের স্মরণীয় দিনে আমরা তরুণদের এই স্বপ্নের আশু বাস্তবায়ন নিশ্চিত হোক এই কামনা করছি। দেশের ভবিষ্যৎ রচনায় পথ দেখিয়ে যারা আজ জাতির পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পেলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
৫ একর বনভূমি জবরদখল মুক্ত
ঝিনাইগাতীতে মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা : থানায় মামলা
ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে: নোয়াখালীতে আমির খসরু
নোয়াখালী বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ভাইসচেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু,বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন,মাহবুবের রহমান শামীম,হারুনুর রশীদ (ভিপি হারুন),ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ,গোলাম হায়দার (বিএসসি)অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, মাহাবুব আলমগীর আলো, কাজী মফিজুর রহমান,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আলোচিত নারী শামীমা আক্তার বুলুসহ নোয়াখালী জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রদল,যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীসহ সমর্থকগণ।প্রধান অতিথি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদ লড়াইয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন অনেক পরিপক্ব। এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন হয় আমাদের সমর্থনে।এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া।বাংলাদেশের মালিকানা বাংলাদেশের জনগণকে ফিরিয়ে দিতে আহ্বান জানান।সংস্কারের কথা বলে সময় ক্ষেপন বিএনপি মেনে নেবে না।তাদের সেই দায়িত্ব কেউ দেয়নি।তিনি আরো বলেন,জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে,জনগণকে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আপনারা গ্রহনযোগ্যতা হারাবেন।আর গ্রহনযোগ্যতা হারালে আপনাদের অবস্হা হাসিনার মতোই হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
নবীনগর সরকারী কলেজে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মোঃ আনোয়ার হোসেন:
উৎসব উদযাপন উপলক্ষে নবীনগর সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সকাল থেকে নবীনগর সরকারী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নবীনগর সরকারী কলেজ আয়োজিত পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম রেজাউল করিম।আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যাপক আহসান পারভেজ, সহযোগী অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিন আকসার, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন হাবিব, নবীনগর থানার এস আই মো. আতিক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, তারুণ্য হচ্ছে আমাদের বিশাল একটা শক্তি। আগামীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণরাই সহযোগীতা করবে। পিঠা উৎসবে ১৬ টি স্টলে প্রায় শতাধিক দেশীয় পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
এর মধ্যে পাপড়ি, ঝিনুক, তালেক কোন, নারিকেল পিঠা, পাক্কন, রেশমী, ঝিল মিল, ডিম সুন্দরী অন্যতম। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
আলোকিত ডেস্ক:
নাইকো দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের নাইকো মামলায় জড়ানো হয়েছিল।’
১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে একথা বলেন।খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
আজ রায় ঘোষণা করতে সকাল ১১টা ২৪ মিনিটের দিকে এজলাসে ওঠেন বিচারক। এসময় তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন হতে পারে— সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কীভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআর-এর ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এই বিষয়ে বলা আছে। কোনও আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়। আবার রায়ও দেওয়া যায়। সেই অনুযায়ী রায় দেওয়া হচ্ছে।’
পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল। সেই মামলা চলেনি, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এরআগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।’
মামলাটি তেজগাঁও থানার হলেও আসামি সেলিম ভূঁইয়াকে গুলশান থানায় রাখা হয়েছিল উল্লেখ করে বিচারক আরও বলেন, সেখানে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষকে ডিনাই করছে। তাদের এটা জানাও নাই। রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, বর্হিবিভাগের টিকিটও আছে। তাকে বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেওয়া হয়, এর রশিদও আছে।
তিনি বলেন, সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই ১৬৪-কে (জবানবন্দি) ট্রু বলার সুযোগ নেই। এর উদ্দেশ্য হলো— গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের মামলাটিতে জড়ানোর জন্যই কিন্তু জোর করে এই ১৬৪ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করা হয়েছে।’ পরে আদালত তাদের খালাসের রায় দেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে হাজির হন। সব আসামি খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, সময়সূচি প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।
১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশাবলি:
# পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
# ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
# পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
# সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
# সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ এবং সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।
# প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।
# প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।
# পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি এবং ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
# প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
# পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
বিএনপিকে সৌদি বাদশাহর খেজুর উপহার!
আলোকিত ডেস্ক : পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ১৪৫ কার্টন খেজুর উপহার দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খেজুর পৌঁছানো হয়। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার খেজুর গ্রহণ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবের বাদশাহর পক্ষ থেকে নিয়মিত বিএনপিকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও খেজুর উপহার দিয়েছেন। এবার ১৪৫ কার্টন খেজুর দিয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি