আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 121

মুন্সীগঞ্জে বাসে আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় হেলপার নিহত

আবু সাঈদ দেওয়ান সৌরভ:
মুন্সীগঞ্জের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকান্ডে বাসের ভিতর ঘুমন্ত অবস্থায় সাহাবির মিয়া (১৪) নামে বাসের হেলপার নিহত হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাও ব্রীজের উপরে পাকিং করা গাংচিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবির মিয়া লৌহজং উপজেলার পালগাওঁ পাঠানবাড়ির সোহেল মিয়ার ছেলে।
নিহতের নানা মুজিবুর পাঠান বলেন, ৩ দিন আগে বাড়ি হতে বের হয় সাহাবির। সারদিন গাড়িতে হেলপারের কাজ করে রাতে গাড়িতেই ঘুমাতো। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি ।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য সুত্রে জানা যায়,  মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনে। এ সময় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মহিদুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরর্বতী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১২ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম  

বিশ্বনেতাদের সামনে মোদিকে পাত্তা দিলেন না প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবজ্ঞা করতে দেখা গেছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে। রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে,মঙ্গলবার প্যারিসে এআই শীর্ষ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হ্যান্ডশেক প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সম্মেলনের ফুটেজে এই দৃশ্য উঠে এসেছে।

আনাদোলু বলছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সাথে আনন্দ এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।

মোদির হাত বাড়ানোর পরও তার সঙ্গে করমর্দন না করার এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, কেউ কেউ এটিকে কূটনৈতিক অসম্মান হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন। আবার অন্যরা মনে করছেন, এটি অনিচ্ছাকৃতও হতে পারে। ফরাসি বা ভারত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দুই দিনের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর।এছাড়া চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝাং গুওকিংও ছিলেন অতিথিদের মধ্যে। চীনের ডিপসিক গত মাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।ফলে আগামী দিনগুলোতে এই প্রতিযোগিতার ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগ অনেকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নিয়ন্ত্রণবিহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে বিপদ বয়ে আনতে পারে, সে বিষয়েও রয়েছে শঙ্কা।

আলোকিত প্রতিদিন/১২ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম  

হেফাজতের ফটিকছড়ি উপজেলা কমিটি ঘোষণা করলেন, আমির মুহিবুল্লাহ্ বাবুনগর

মোঃ অলিউল্লাহ রহমানী: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী দীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটি ফটিকছড়িতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।১২ফেব্রুয়ারি ( বুধবার)  সকাল ১১টায় ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদরাসার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (হাফিঃ)। কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জোন জিম্মাদার মাওলানা মীর ইদরিস নদভি।
ঘোষিত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন— আমীর: মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমীর: মাওলানা ছলিম উল্লাহ ও মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল, মহাসচিব: মাওলানা ইয়াহিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ বাবুনগরী।১২৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, প্রধান উপদেষ্টা: মুফতি মাহমুদ হাসান ভূজপুরী এবং সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ির সকল কওমি মাদরাসার মুহতামিমদের এই কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাহমুদ হাসান ভূজপুরী, মুফতি মাহমুদ শাহ, মুফতি রহিমুল্লাহ, মুফতি শওকত বিন হানিফ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা আবু তালেব, মাওলানা মাহমুদ শাহ, মাওলানা সালাহউদ্দীন দৌলতপুরী, মুফতি মুহাম্মদ, মাওলানা লোকমান, মাওলানা তারেকুল ইসলামসহ অনেকে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

আয়নাঘর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

আলোকিত ডেস্ক:

বহুল আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আয়নাঘর নামে খ্যাত ঢাকার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা; যেগুলো পূর্বে নির্যাতন কক্ষ ও গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ জানুয়ারি আয়নাঘর পরিদর্শন করতে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেদিন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন কমিশনের সদস্যরা।

আজ দুপুর ১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ফেসবুকে লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি। দেওয়ালের ওপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।  পোস্টের সঙ্গে আসিফ মাহমুদ সজীবের একটি ও আয়নাঘরের দুটি ছবিও জুড়ে দেন তিনি।

সুচিস্মিতা তিথি আরেক পোস্টে লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ। এই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেওয়াল রঙ করা হয়।

এই পোস্টের সঙ্গেও নাহিদ ইসলামের একটি ছবি এবং আয়নাঘরের কিছু ছবি দেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/১২ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম  

চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন: ডা.জাহিদ

আলোকিত প্রতিবেদক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসকরা বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা জানেন বেগম খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি থেকে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া তার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি, জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার বাসা থেকে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয় সেগুলো করানো হচ্ছে। ডাক্তাররা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। উনার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। আপনারা উনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, বাসায় উনার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং তিন নাতনী ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যত্ন নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি অনেকটা আগের চেয়ে ভালো আছেন। সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা যেদিন উনাকে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেবেন বা তারা যদি মনে করেন উনি বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার মতো অবস্থার মধ্যে আছেন তখনই দেশে ফিরবেন তিনি ।

আলোকিত প্রতিদিন/১২ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম  

নীলফামারী সৈয়দপুরে অপারেশন ডেভিল হান্ট, আওয়ামীলীগ এর নেতা মনিরুজ্জামান গ্রেফতার

মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ,নীলফামারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা,হত্যা,গুলি, এবং নাশকতার অভিযোগে নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার বোতলা গাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগ এর দুর্দান্ত নেতা সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জুন কে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় গ্রেফতার করছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।

 মঙ্গলবার ১১ই ফ্রেব্রুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে আলোকিত প্রতিদিন কে, পুলিশ জানায়, মনিরুজ্জামান জুন এবং তার বাহিনী জুলাই বিপ্লবে ২০২৪ সালে ৪আগষ্ট সৈয়দপুর শহরের পাঁচ মাথা মোড়ে সোনাখুলি গ্রামের নুর ইসলাম কে গুলিবিদ্ধ করেন। এতেই নুর ইসলাম নিজেই বাঁদী হয়ে ৬ই সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর থানায় ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়,
মামলায় মনিরুজ্জামান জুন ২ নম্বর আসামি উল্লেখ থাকায় তাকে অপারেশন ডেভিল হান্ট এর আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এবং তাকে নীলফামারী জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত : মানিকগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব- ২০২৫ উপলক্ষে “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” স্লোগানে বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে তিনজন বিজয়ীকে মিস্টার মানিকগঞ্জ হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেউথা এলাকায় জেলা সমন্বিত ভবনের অডিটোরিয়ামে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা।
উদ্বোধনী বক্তব্য জেলা প্রশাসক বলেন, দক্ষ জাতি গঠনে তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম। তরুণ সমাজকে দক্ষ মানব সম্পদের রূপান্তরিত করতে তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীব্যাপী ব্যাপী বডি বিল্ডিং সমাদৃত। আমরাও চেষ্টা করছি সারা জেলায় তরুণদের ভেতর এই বার্তা পৌঁছে দিতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আতিকুল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আলী, জেলা ক্রীড়া অফিসার ফেরদৌসী আক্তার বন্যা‌ প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

অপারেশন ডেভিল হান্টে তাড়াইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী আট*ক

মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল দেশব্যাপী অপারেশন ডেভিল্ট হান্ট ঘোষণার পর কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সরোয়ার আহমেদ জয়  তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের সহিলাটি গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কলেজ এলাকায় তাড়াইল থানা পুলিশের এসআই লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে এএসআই ইব্রাহিম ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

তাড়াইল থানা সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী সরোয়ার আহমেদ জয় তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কলেজ শাখার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। জুলাই বিপ্লবের পর তাড়াইল কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের অংকিত দেওয়াল চিত্র বিকৃতি করে ‘‘জয় বাংলা’’ লিখনের মূল হোতা ছিল সরোয়ার আহমেদ জয়।

তাড়াইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির রহমান জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের অভিযানের অংশ হিসেবে তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধ কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে বলেও জানান ওসি সাব্বির রহমান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাসে খালেদা জিয়া

সৈয়দ রনো:

ঢাকার রমনা বটমূলের খোলা চত্ত্বরে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল (বিএনপি)’ নামে এই নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিতে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে যে শূন্যতার সৃষ্টি করা হয় তা পূরণে ইতিহাসের দাবী, দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষায় বিএনপির অভ্যুদয় ঘটে। বিএনপির ঘোষণাপত্রে বলা হয় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ইস্পাতকঠিন গণঐক্য, ব্যাপক জনভিত্তিক গণতন্ত্র ও রাজনীতি প্রতিষ্ঠা, ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত জনগণের অক্লান্ত প্রয়াসের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক মুক্তি, আত্মনির্ভরশীলতা ও প্রগতি অর্জন এবং সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণ, নয়া উপনিবেশবাদ অধিপত্যবাদের বিভীষিকা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বিএনপি গঠিত হয়। অপরিসীম দেশপ্রেম, জনগণের কল্যাণ ও দৃঢ়চেতা মনোবল প্রজ্ঞা দিয়ে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশকে একটি আদর্শ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে এসেছিলেন মহান নেতা জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা, স্বনির্ভরতা অর্জন এবং উৎপাদন দ্বিগুণ করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জিয়ার অক্লান্ত প্রচেষ্টা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিপুল প্রশংসা লাভ করে। কিন্তু যুগে যুগে দেশ—দেশান্তরে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র সুশাসকদের সামন্তরালেই চলে। তারা সুযোগের সন্ধানেই থাকে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রমটি ছিলো না। ১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু এই মৃত্যুও যেনো তাঁকে আরো বেশি মহীয়ান করে তোলে। ব্যক্তিগত সততা, উন্নয়ন, ঐক্য এবং সুসম্পর্কের রাজনৈতিক দর্শনের কারণে রাজনীতির ইতিহাসে তাঁর নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। আপামর জনতার হৃদয়ের মণিকোঠায় তিনি আজও চির ভাস্বর।

খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আগমন: প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহাদাতের পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তার প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং পরে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হন এবং দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৮২—এর ২৪ মার্চ এরশাদ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাত্র ৩ মাস আগে নির্বাচিত সাত্তার সরকারকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখল করে। বিএনপির কিছু নেতা এরশাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিলে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাত্তারের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিতেও কিছুটা নিষ্ক্রিয়তা আসে। কর্মীদের দাবি এবং কিছু শীর্ষ নেতার অনুরোধে ১৯৮২—এর ৩ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া দলের প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে পা রাখেন। বিএনপিকে ষড়যন্ত্র ও নিষ্ক্রিয়তা থেকে রক্ষার উদ্যোগের ফলে পার্টির সিদ্ধান্তে বেগম জিয়া ৮৩—র মার্চে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন: এরশাদের পুরো শাসনামলে বিএনপির রাজনীতি ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। ৮২—র ৩০ মে শহীদ জিয়ার প্রথম শাহাদাত বার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে গিয়ে তিনি বক্তব্য দেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে মাজার প্রাঙ্গনে ছাত্রদলকে শপথ বাক্য পড়ান। ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খান নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করলে বিএনপি তার বিরোধিতা করে এবং ছাত্রদলের নেতৃত্বে আন্দালনের সূচনা করে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাত হিসাবে ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবসে স্বৈরাচারবিরোধী প্রথম মিছিলটি করে ছাত্ররা। ছাত্রদলের ব্যানারে ছিল: এরশাদের পতন চাই। ৭ নভেম্বর খালেদা জিয়া ছাত্রদলকে শপথ পড়ান, পরদিন ক্যাম্পাসে মিছিল হয়। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ছাত্রদলের বর্ধিত সভা ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘট করে। ছাত্রদলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য ছাত্রদলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাবি ক্যাম্পাসের বটতলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, আইউব, দিপালী সাহা, ফারুকসহ ৭ জন শহীদ হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মিছিল হলে পুলিশের গুলিতে ১৫জন নিহত হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা গায়েবানা জানাজা, ১৯ ফেব্রুয়ারি মৌন মিছিল এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে হরতাল করে। ইতোমধ্যেই বেগম জিয়া তাঁর বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। সমসাময়িক ও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ১৫ দলীয় ঐক্যজোট গঠন করেন। এরইমধ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি এক বৈঠক থেকে ১৫ দলীয় জোট নেতাদের এবং কর্নেল অলিসহ বিএনপি নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্ররা পলাতক, নেতারা কারাবন্দী তবু খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মৌন মিছিল শহীদ মিনারে যায়, তাঁকে প্রধান অতিথি করে বটমূলে হয় জাসাসের আলোচনাসভা। ঘরোয়া রাজনীতির সুযোগে খালেদা জিয়া দেশ সফরে বের হয়ে প্রথম সভা করেন খুলনায় ইউনাইটেড ক্লাবে। ’৮৩—র ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর ৭ দলীয় ও ১৫ দলীয় ঐক্যজোটের মধ্যে বৈঠকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ৫ দফা প্রণীত ও ৬ সেপ্টেম্বর তা ঘোষিত হয়। ২৮ নভেম্বর উভয় জোটের সচিবলায় ঘেরাও কর্মসূচিতে আহত খালেদা জিয়া এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। ২৮ নভেম্বর রাতেই খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে ১ মাসের আটকাদেশ দিয়ে স্ব—স্ব বাসভবনে অন্তরীন রাখা হয়। এরশাদ তখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করে লোভ ও ভয় দেখান। ’৮৪—র ৭ জানুয়ারি এরশাদ ৫৫টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে ডাকলে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত জোট তা বর্জন করে। ’৮৪—র ১২ জুনায়ারি খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন মনোনীত হন এবং ১লা মার্চ খালেদা—হাসিনা গ্রেপ্তার হন। ’৮৪—র ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরশাদ ১২ জুলাই জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা দিলে দুই জোট তা প্রত্যাখ্যান করে। ৭ দলীয় জোট ২৫ জুলাই প্রতিরোধ দিবস পালন করে। ৫ আগষ্ট জোটের জনসভা ও ২৭ আগষ্ট অর্ধদিবস হরতাল হয়। ২৭ আগষ্ট জামায়াতের জনসভা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়। ৩ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করে। ’৮৪—র ১৫ অক্টোবর যৌথ গণতান্ত্রিক জোট ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ স্লোগানে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। প্রেসিডেন্ট রেডিও ও টিভির ভাষণে ১৯৮৫ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে ও সংবিধানের আংশিক পুনর্জীবনের ঘোষণা দেন।

আপোষহীন উত্তাল আন্দোলন: ’৮৫—র ৬ এপ্রিল বিচারপতি নুরুল ইসলাম তফসিল ঘোষণা করে ও সরকার সামরিক আদালত বিলুপ্ত করে। ১১ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে দলের বর্ধিত সভায় খালেদা জিয়া নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ তুলেন। ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে খালেদা জিয়া অবাধ রাজনীতির সুযোগ দাবী করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি হরতাল, ১৪ ফেব্রুয়ারি জনসভা থেকে নির্বাচনের তারিখ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান করেন খালেদা জিয়া। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের সভায় ৫ দফার কোনো ‘আপোষ’ অস্বীকার করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি উভয় জোটের জনসভায় একই দাবী পুনর্ঘোষিত ও ৮ মার্চ হরতাল হয়। ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের লালদিঘি মাঠে শেখ হাসিনা নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বলেন, যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। কিন্তু শেখ হসিনা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ২১ মার্চ রাত ১টা ৪০ মিনিটে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ৩১ মার্চ ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে বিএনপির বর্ধিত সভা হয়। ২ মে খালেদা জিয়াকে অসম্মানজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। ৮৭—এর ৭ মার্চ যুবদলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি বলেন ‘ক্ষমতা চাইলে এখানে, ঠিক এখানে এসে হাজির হবে। কিন্তু ক্ষমতা নয় সংগ্রাম।’ এ সময় ছাত্রদল সম্পাদক মাহবুবুল হক বাবলুকে হত্যা ও ছাত্রদলের উপর অপরিসীম নির্যাতন নেমে আসে। খালেদা জিয়া আখ্যায়িত হন ‘আপোষহীন নেত্রী’ অভিধায়। ১১ নভেম্বর দুপুরে পূর্বানী হোটেলের বৈঠক থেকে গ্রেপ্তার করে গৃহবন্দী করা হয় তাঁকে। ‘৮৮—র ১ জানুয়ারি সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এদিন টিএসসিতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খালেদা জিয়া ‘এক দফার’ ঘোষণা দেন। সে সঙ্গে ২২টি ছাত্রসংগঠন নির্বাচনকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিহতের ঘোষণা দেয়। ১২ জানুয়ারি থেকে এক দফায় অনঢ় থেকে খালেদা জিয়া দেশব্যাপী জনসংযোগ শুরু করে। এক তরফা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি তিন—চতুর্থাংশ আসন পায়। ২৪ মার্চ, ২৫ এপ্রিল, ২৮ নভেম্বর হরতাল এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় সমাবেশে খালেদা জিয়া জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার কায়েমের আহ্বান জানান।

৮৯—র ৮ ও ৯ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের বিভক্তি নিয়ে যুগান্তকারী এক রায় আসে। ’৮৯—র ২৫ মে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল করেন। ১ নভেম্বর ৭ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গুলিস্তানে ১০ ঘন্টা প্রতীক অনশন করে। এ সময় জেহাদের লাশকে সামনে রেখে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠিত ও ক্যাম্পাসে ডাঃ মিলন ও নূর হোসেন নিহত হলে সেনাসদর দপ্তরে সশস্ত্রবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠক করে তিন বাহিনীর প্রধান এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরশাদ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানাতে চান। তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন এবং ১৫ দিন আগে নিরপেক্ষ উপ—রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। বিবিসিকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়া অবিলম্বে এরশাদের পদত্যাগ দাবি করেন। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করলে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরশাদের আমলে অনুষ্ঠিত ২টি জাতীয়, ১টি প্রেসিডেন্ট, ১টি গণভোট ও ২টি উপজেলা নির্বাচনের সবই প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার কারণে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপির প্রকৃত বিকাশ ঘটে। তিনি বিএনপিকে শুধু রক্ষাই করেননি, প্রতিকূল পথ বেয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি প্রধান শক্তি হিসাবে।

রাজনীতিতে নতুন যুগ ও রাষ্ট্রপরিচালনায় বেগম খালেদা জিয়া: ‘৯১—এর ২৭ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ ৯ বছর পর মুক্ত পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন হয়। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে খালেদা জিয়া হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজার থেকে প্রচার শুরু করে রাতদিন টানা চষে বেড়ান সারাদেশ। ১৮০০ জনসভা ও পথসভা শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সমাবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন। এ সময় দিনে ৩৮টি জনসভায় বক্তৃতা, নির্ঘুম ৪৮ ঘন্টা কাটিয়ে রেকর্ড করেন তিনি। নোয়াখালীতে রব ওঠে— ‘আঙ্গো মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা।’ ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ, বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিএনপি ১৪৪টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। খালেদা জিয়া ৫টি আসনে নির্বাচন করে সবকটিতে জয়ী হন। বিএনপি জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করে। ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১১ জন কেবিনেট মন্ত্রী ও ২১ জন প্রতিমন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ গঠন হলে ২০ মার্চ তিনি শপথ নেন। সেদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর নয়, নিজের গাড়িতেই স্মৃতিসৌধে যান। প্রধানমন্ত্রীত্বের ১২তম দিন ১ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীত্বের ৩৯ দিনের মাথায় ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণীঝড় হলে খালেদা জিয়া ৬ মে থেকে ৯ মে তাঁর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। সংসদীয় সরকার পদ্ধতির পক্ষে ঐতিহাসিক বিল ৬ আগষ্ট সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। অবসান ঘটে দীর্ঘ ১৬ বছরের প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির। বিএনপি সরকারের উদার নীতির নানা অর্থনৈতিক সংস্কারে ‘তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ’ থেকে বাংলাদেশ ‘ইমার্জিং টাইগার’—এ পরিণত হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে বিএনপি সরকারই প্রথম মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু, প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক, কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠাসহ নানা উদ্যোগ নেয়। এ সময় আওয়ামীলীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল পালন করে। প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে নির্দলীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে খালেদার প্রস্তাব কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেনের মধ্যস্থতায় ফর্মুলা (নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সরকার ও বিরোধী দলের ৫ জন করে এমপি নিয়ে অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন) প্রস্তাব ও পাঁচজন নাগরিক নেয়ার উদ্যোগ আওয়ামী লীগ গ্রহণ না করায় ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে সেনাপ্রধান নাসিমের নেতৃত্বে একটি ব্যর্থ সেনা অভূ্্যত্থানেরও ঘটনা ঘটে। ‘৯৬—র ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন করে খালেদা জিয়া দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২৫ মার্চ রাতব্যাপী সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পাশ করে বিএনপি। ৩০ মার্চ সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাস বিচারপতি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে আসে—তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ‘৯৬—র ১২ জুন সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ১১৬ আসন পেয়ে বৃহত্তম বিরোধী দল হিসাবে সংসদে যায়। পরবর্তী ৫ বছরে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক মামলা, গ্রেপ্তার, হত্যার শিকার হন। আওয়ামী সরকারেরর দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সারাদেশে সভা সমাবেশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চ, দেশব্যাপী রোডমার্চ, গণমিছিল, মহাসমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট করে। ‘৯৯—র ৩০ নভেম্বর ২৯ মিন্টো রোডে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠনের জোট হিসেবে গঠিত হয় চারদলীয় জোট। তবে এরশাদ জোট ছাড়েন। ২০০১—র ২৯ মার্চ নাজিউর রহমান মঞ্জু আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করে জোটে থাকেন। অবশেষে ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ২০০১—র ১ অক্টোবর বিএনপি জোট ২১৫টি আসন পেয়ে নির্বাচিত হয় এবং ১০ অক্টোবর সরকার গঠন করে। নানা প্রতিবন্ধকতার ভেতরেও চারদলীয় জোট সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে নকলমুক্ত পরীক্ষা, মেয়েদের বিনামূল্যে পড়ালেখাসহ শতাধিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও উন্নীত করে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় নেয়া হয় ব্যাপক পদক্ষেপ। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় স্থাপন ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটে এ সময়েই।
ওয়ান—ইলেভেন ও বিএনপি: ২০০৬—র ২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিএনপি। আওয়ামীলীগ ও ১৪ দল ২০০৭—র ২২ জানুয়ারি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েও বয়কট করে। ২৮ অক্টোবর পল্টন মোড়ে বিরোধী দলের লগি—বৈঠায় নিহত হয় ৭জন। বিচারপতি কেএম হাসানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিচারপতি এম এ আজিজের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ। ১১ জানুয়ারি তিন বাহিনী প্রধানসহ ৯ ডিভিশনের জিওসি প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মদের সঙ্গে সাক্ষাত করে জরুরি অবস্থা ও কেয়ারটেকার চিফ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন। আসে ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ‘অস্বাভাবিক’ সরকার। সে সরকার দুর্নীতি অনুসন্ধান ও বিচারের নামে ‘মাইনাস টু ফর্মুলায়’ দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরাতে চায়। জিয়া পরিবার ও বিএনপি হয় মূল টার্গেট। ২০০৭—র ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম—মহাসচিব তারেক রহমানকে। এপ্রিল মাসে খালেদা জিয়াকে জোর করে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হলে ছোট ছেলে কোকোকে ২৪ ঘন্টা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রাখা হয় এবং খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। তিনি সেদিন বলেন, ‘দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই।’ এরপর কার্যত তাকে গৃহবন্দী করা হয়। এদিকে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভূইয়াকে দিয়ে দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। তবে সারাদেশের কর্মী—সমর্থকরা এর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন। খালেদা জিয়া বিভিন্ন জেলা ও বহির্বিশ্বে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে নির্দেশনা দেন। ২ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদা জিয়া ও কোকোকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগ মুহূর্তে বেগম জিয়া সংগঠনবিরোধী কার্যকালাপের অভিযোগে মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া এবং যুগ্ম—মহাসচিব আশরাফ হোসেনকে বহিষ্কার এবং বর্ষীয়ান নেতা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে দলের নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেন। ষড়যন্ত্রকারিরা সাইফুর রহমানকে চেয়ারম্যান ও মেজর (অবঃ) হাফিজকে অস্থায়ী মহাসচিব করে কমিটি গঠন করে এবং গঠিত কমিটিকে স্বীকৃতি দেন সিইসি ড. এটিএম শামছুল হুদা। ৫ নভেম্বর খালেদা জিয়া কারাগার থেকে নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে মহাসচিব হিসেবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ’র সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানান। কারাগারে থেকেই আইনজীবীদের মাধ্যমে নেতা—কর্মীদের নির্দেশনা দেন। ২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মায়ের মৃত্যুতে খালেদা জিয়াসহ তারেক—কোকোকে দু’ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়। ৫ মার্চ নাইকো মামলায়, ২৩ জুন ও ৯ জুলাই গ্যাটকো মামলায় সংসদ ভবনে নির্মিত বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। তিনি কারাগারের ঠিকানায় ভোটার হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিবন্ধনের শেষ দিন ৮ মার্চ পর্যন্ত তিনি ভোটার হননি। ১৩ আগষ্ট আইনজীবীদের বলেন, মুক্তির জন্য অবৈধ সরকারের কাছে কোন আবেদন করবেন না। ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও তারেক রহমানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হয়। এ সময় তার অনঢ় মনোভাবের কারণে সরকার জরুরি আইন প্রত্যাহার ও বন্দী নেতাদের মুক্তি দেন। এসময় অস্বাভাবিক সরকার গোপন সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন করার প্রস্তাব দিলে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেন। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী বন্দী এবং পলাতক থাকা স্বত্ত্বেও এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি না থাকা স্বত্ত্বেও শুধু গণতন্ত্রের স্বার্থে বেগম জিয়া শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে সারাদেশে ক্লান্তিহীন নির্বাচনী সফর করেন। তবে ২০০৮—র ২৯ ডিসেম্বরের পাতানো জাতীয় নির্বাচনে ৩৩ শতাংশের বেশি ভোট পেলেও মাত্র ২৯টি আসন পায় বিএনপি।

আলোকিত প্রতিদিন/১১ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম  

হরিরামপুরে ফসলের মাঠ থেকে এক যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার 

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ফসলের মাঠ থেকে এক যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগর ফসলের মাঠ থেকে আমজাদ হোসেন (৩৮) নামের যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান।
আমজাদ হোসেন সরফদিনগর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি বাল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, আজ সকালে স্থানীয়রা খবর দিলে বাল্লা ইউনিয়নের একটি ফসলি জমির সীমানার পাশে ডাঙার পার থেকে আমজাদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলতে পারবো। এ ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি। আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের বরাতে বাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রেজা বলেন, গতকাল তার বাবাসহ পরিবারের লোকজন একটি মেলায় যায়। আমজাদকে কে বা কারা ফোনে ডেকে নেয় বলে শুনেছি। স্থানীয় একজনের সাথে শত্রুতা নিয়ে ভাদিয়া খোলায় একবার সামাজিকভাবে বসাও হয়েছে। এছাড়া কয়েক বছর আগে এলাকায় এক পরিবারের সঙ্গে মামলাও ছিলো যা ইতঃপূর্বে শেষ হয়েছে। গতকাল স্থানীয় মাচাইন বাজারে এসে আমজাদ তাকে কলও দিয়েছিল তবে তিনি মানিকগঞ্জ ছিলেন বলেও জানান। একই এলাকার বাড়ি এবং বাংলাদেশ সুষম উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমজাদ হত্যার বিচার চাই। গত রাতে দুর্বৃত্তরা মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, নিরীহ কৃষক আমজাদকে হত্যা করে মাঠে (চক/ফসলের মাঠ) পুকুরের পাশে ফেলে রাখে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুর্বৃত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মহোদয় ও হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরফদিনগর গ্রামটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, এই গ্রামে অতীতেও বহু হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে, তাই বিশেষভাবে মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমজাদ আমার গ্রামের ছেলে, আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।  আমজাদের চাচাতো ভাই জাকির বলেন, গতকাল রাত ১০ টার পর একসাথে ভাদিয়াখোলা বাজারে ছিলাম। স্থানীয় আলতাফের দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে প্রতিবেশী আলতাফের সাথে বাড়ির দিকে গেছে। আলতাফ তার বাড়ি যায় এবং আমজাদ তার নিজের বাড়ি যায়।
আলোকিত প্রতিদিন/১১ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম