আজ শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২০ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1439

বর্ষা শুরু না হতেই ভাঙ্গন শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্মায়

সোহেল রানা চৌধুরী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম এবং ছোটভাকলা ইউনিয়নের পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় থেমে থেমে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙনে এক মাসে প্রায় ১৪০ একরের মতো কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ায় ভাঙন বেশি দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পরে প্রায় ১০০টির মতো পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে তিনটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার।  ৯ ফেব্রুয়ারী  বুধবার  সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে ছোটভাকলার অন্তারমোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার জুড়ে কৃষি জমি ভাঙছে। মাঝেমধ্যে ভাঙনের মাত্রা বেশি দেখা যায়। নদীর পাড়ের অনেক জায়গা দেবে গেছে। শরিষা, ভূট্রা, উচ্ছে, টমেটোসহ নানা সবজি ও ফসল তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা।দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাহাজদ্দিন বেপারী পাড়ার অনিক শেখ বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় বেশি ভাঙে। এখন শুকনা মৌসুমে এসেও প্রায় ২০-২৫ দিন ধরে বেশি ভাঙছে। এক মাসে প্রায় ১০০ বিঘার বেশি জমি বিলীন হয়েছে। এভাবে ভাঙলে কিছুদিন পর কিছুই থাকবেনা। এক বছরে অন্তত ২০০ পরিবার অন্যত্র গেছে। এখনো অনেক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। সাহাজদ্দিন বেপারী পাড়ার সুফিয়া বেগম বলেন, “আমার তো বাবা অহন কিছুই নাই। প্রায় আড়াই বিঘা জমি ছিল, ঘর ছিল। গত বছর ভাঙনে সব শেষ হইয়া গেছে। অহন এলাকার একজনের বাড়িতে দুই ছাওয়াল নিইয়া আছি। যহন তাফাল (বাতাস) হয়, তহন বেশি ভাঙে। কয়েক দিন ধইরা খুব তাফাল ছুটছে”। দৌলতদিয়া ইউপির নতুন পাড়া, সাহাজদ্দিন বেপারী পাড়া, বাহির চর দৌলতদিয়া, নাসির সরদার পাড়া, ঢল্লা পাড়া, দেবগ্রাম ইউপির কাওয়ালজানি ও দেবগ্রাম এবং ছোটভাকলা ইউপির চর বরাট, ছোটো জলো ও কাওয়ালজানি (আংশিক) ভাঙছে।দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, শুষ্ক মৌসুমেও নতুন পাড়া, সাহাজদ্দিন বেপারী পাড়া, ঢল্লা পাড়া, বাহির চর দৌলতদিয়া ও নাসির সরদার পাড়ার মাথায় বেশি ভাঙছে। এক মাসে প্রায় ৫০ একরের বেশি কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। প্রায় ৫০টির মতো পরিবার ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ৫০০ পরিবার। নদী শাসনের কথা বার বার আলোচনায় আসলেও অগ্রগতি হয়নি। অবিলম্বে নদী শাসনের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে আরো অনেক ক্ষতি হতে পারে। দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, কাওয়ালজানি এলাকায় বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র চলে গেছে প্রায় ৩০ পরিবার। এখনো ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবার। ছোটভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, চর বরাট, ছোট জলো ও কাওয়ালজানির আংশিক এলাকায় ভাঙছে। বর্ষা মৌসুমে বেশি ভাঙলেও বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে। ভাঙনে প্রায় ৪০ একরের মতো ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। আতঙ্কে সরে গেছে প্রায় ২০টির মতো পরিবার। ভাঙন ঝুঁকিতে আছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, দৌলতদিয়া থেকে ছোটভাকলার অন্তারমোড় পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাড় জড়ে অনেক কৃষি জমি ভাঙছে বলে শুনেছি। কি পরিমান জমি বিলীন হয়েছে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে গত ৭ বছর আগে আবাদি কৃষি জমি ছিল প্রায় ৩৮০০ হেক্টর। এরমধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় ১৪০০ হেক্টর। এ সংক্রান্ত একটি তথ্য জেলার উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল হক খান বলেন, আমিও শুনেছি নদী ভাঙনের খবর। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়ে অবগত করা হবে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু করনীয় থাকলে তাও করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

রূপপুরে ৫ রুশ নাগরিকের মৃত্যু

নিজেস্ব প্রতিবেদক

আট দিনের ব্যবধানে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত পাঁচ রুশ নাগরিক মারা গেছেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে এসব মৃত্যুর ঘটনায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি  রবিবার   ভোরোটনিকভ আলেকজান্দ্রা (৫৫) নামে এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। তিনি প্রকল্পের ‘নিকিমথ’ নামের একটি রুশ সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কমর্রত ছিলেন।পুলিশ জানায়, ভোরোটনিকভ আলেকজান্দ্রা প্রকল্পের ‘গ্রিনসিটি’ আবাসিক এলাকায় একটি কক্ষে থাকতেন। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তাকে তার ফ্ল্যাটে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক সহকর্মী। পরে গ্রিনসিটি  এবং রূপপুর প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরবর্তীতে এ সম্পর্কে গ্রিনসিটি এবং রূপপুর প্রকল্পের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। আগে গত শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি  রাতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেস্ট রোসেম নামে রুশ সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রুশ নাগরিক চুকিন পাভেল (৪৮) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে  তাকে দ্রুত গ্রিনসিটি আবাসিক থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।অন্যদিকে একই দিন রাত ২টার দিকে তলমাসেফ ভাইয়াসেলভের (৫৯) নামের আরেক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। । তিনি ১৪ তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে অজ্ঞান হন। পরে কোম্পানির নিজস্ব ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাড়াও গত ২ ফেব্রুয়ারি শাকিরভ আলেক্সেই ঘুমের মধ্যে এবং ২৮ জানুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বারচেনকো আলেক্সেইয়ের। তারা দুজনই এই প্রকল্পের কর্মী ছিলেন।অনুসন্ধানে দেখা গেছে এদের অধিকাংশই মারা যাওয়ার দিনে মদ পান করেছেন। রূপপুর প্রকল্পের বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট করে পাকশি, জয়নগর ও ঈশ্বরদী এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশকিছু মদের দোকান। এদের মধ্যে অধিকাংশই অনুমোদনহীন। এছাড়া প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একটি চক্র বিদেশিদের কাছে গোপনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ভেজাল মদও সরবরাহ করে। এসব মদ পানেই বিষক্রিয়া ও হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।  এ বিষয়ে জানতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পরিচালক শওকত আকবরের ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।  ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, অল্প সময়ে কয়েকজনের মৃত্যুর কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে। এই প্রকল্পে বিদেশি নাগরিক যারাই মারা যান তাদের প্রত্যেকের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এই পাঁচ জনেরও হয়েছে। তাদের শরীর থেকে নেওয়া নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষাও হবে। ইতোমধ্যে দুই জনের নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি। রূপপুর প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিদেশি নাগরিকদের ভালো রাখার জন্য আমরা সবই করেছি। কিন্তু যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। সেখানে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার কোনও তদন্ত কমিটি করবে না।রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, প্রকল্প এলাকায় চার হাজার ৮০০ বিদেশি নাগরিক বসবাস করেন। সেখানে অনেকে পরিবার নিয়েও থাকেন। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে সেনাবাহিনী। বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার কোনও সমস্যা নেই।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

তৃতীয়বার নির্বাচিত মেয়র আইভী শপথ নিলেন

নিজেস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী শপথ নিয়েছেন । বুধবার সকালে তাকে ভার্চুয়ালি শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে শপথ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।অন্যদিকে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মেয়র এবং ৩৬ জন কাউন্সিলরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।মেয়রের শপথের পর নবনির্বাচিত কাউন্সিলদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

Ivy-2.jpg

নৌকা প্রতীকে ১৯২টি কেন্দ্রে তিনি একলাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। আইভী ৬৬ হাজার ৫৩৫ ভোটের ব্যবধানে তৈমূর আলম খন্দকারকে পরাজিত করেছেন।এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। ২৭ জানুয়ারি এ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।পূর্বে দুইবার নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করেন। পরের বার ২০১৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

নান্দাইলে সরিষার হলুদ ফুলের চাঁদরে ঢাকা বিস্তির্ণ মাঠ

প্রতিনিধি,নান্দাইল (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিস্তির্ণ মাঠজুড়ে সরিষা ক্ষেতে হলুদ ফুলের সমারোহ। মৌ মৌ সুগন্ধ বাতাসে ফুলে ফুলে মৌমাছি এবং বাহারি রঙের প্রজাপতিরা উড়ছে চারপাশে। সরিষা মাঠের পাশে দিয়ে যাওয়া পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মন কাড়ে চোখ ধাঁধানো হলুদ ফুলের রূপ সৌন্দর্যের উপর। সবুজের মাঝে হলুদ ফুলে চাদরে বিস্তির্ণ এলাকা। এ বছর নান্দাইলে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এ বছর উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়ন মিলিয়ে ৪২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। জমি উর্বর হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশায় কৃষক সরিষা চাষে ঝুকেঁ পড়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের সরিষা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার গাংগাইল, রাজগাতী, নান্দাইল, শেরপুর, খারুয়া, আচারগাঁও, চন্ডীপাশা ও চরবেতাগৈর ইউনিয়নে সরিষা চাষ বেশী লক্ষ্য করা যায়। আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার ভালো ফলন লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে সরিষা চাষীদের মুখে বর্ণিল হাসিঁ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া সরিষা ক্ষেতের পাশে কৃত্রিম মৌচাক বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছে মৌচাষীরা। এটাও একধরনের অর্থনৈতিক সাফল্য। বাজারে সরিষার বেশ চাহিঁদা রয়েছে। মণ প্রতি সরিষার দাম রয়েছে ১৬শত টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২ শত টাকা পর্যন্ত। সরিষা তৈল প্রধান ভোজ্য তৈল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সরিষা ফুলের ভালোই কদর রয়েছে সর্বমহলে। সরিষা ফুল দিয়ে বিভিন্ন রকমের ভড়া তৈরী করা সহ সুস্বাদু খাবার তৈরী করা হয়। এক মুঠো সরিষার ফুলের আঠি বাজারে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রী করায় হয়। অপরদিকে সরিষা ভাঙ্গানোর ফলে উচ্ছিষ্ট খৈল গবাদী পুশু বা মাছের খাবার হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। সরিষা চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, অল্প খরচে মোটামোটি ভালো লাভ পাওয়া যায় বলে প্রতি বছরই এসময় সরিষা চাষ করে থাকেন। জানাযায়, কাঠা প্রতি (১০ শতাংশ ভূমি)তে ২ থেকে আড়াই মণ সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। ভালোযত্ন নিলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০মণ থেকে ৫৫ মণ পর্যন্ত সরিষা উৎপাদন হয়। উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরিষা চাষের ৩০টি প্রদর্শনী ব্লক রয়েছে। এছাড়া ভালো ফলন লাভের জন্য বিভিন্ন ফসলাদির উপর কৃষকদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ সহ প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। চলতি মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

অসহায়, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের পাশে শিবালয় ব্লাড ব্যাংক

ইমরান নাজির

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা এবং পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় গতকাল ৭ জানুয়ারি সোমবার গভীর রাত্রে অসহায়, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেছেন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন শিবালয় ব্লাড ব্যাংক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য শ্যামল সাহা, শরিফুল ইসলাম রাজু, মনিরুল ইসলাম, মাহমুদ হোসেন হিরা, রাসেল, আকাশ, সুমন, রিদয়, সূর্য, জয় প্রমুখ।শিবালয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ব্লাড ব্যাংকের আজীবণ উপদেষ্ঠা আলাল উদ্দিন আলাল জানান, কয়েকদিন ধরে হঠাৎ শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নিত্য-নিম্ন আয়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। দূর্মূল্যের বাজারে এ সকল নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে দিন মজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক, ভিক্ষুকসহ অল্প রোজগারের মানুষ শীতে আয় করতে না পেরে সমস্যায় আছে। শিবালয় ব্লাড ব্যাংক এর পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে আসলে শীতার্তদের শীতের কষ্ট দূর হবে মন্তব্য করে তিনি প্রচন্ড শীতে অসহায় মানুষের কষ্ট দুর করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।এছাড়াও ব্লাড ব্যাংকের অন্যতম সদস্য মাহমুদ হোসেন হিরা আলোকিত প্রতিদিনকে জানান, শিবালয় ব্লাড ব্যাংক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মূলত এ সংগঠনটি স্বেচ্ছায় রক্তদাত কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আমরা সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর পাশাপাশি আসুন সকলেই যে যার সামর্থ অনুযায়ী অসহায মানুষের পাশে দাড়াই।উল্লেখ্য, শিবালয় উপজেলার নির্বাহী অফিসার জেসমিন সূলতানার সার্বিক সহযোগিতায় এ কর্মসুচি পালন করেছেন শিবালয় ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

নগরবাসী এখন ঘরে বসেই পাবে অনলাইনে গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স সেবা : মেয়র

 আব্দুল সাত্তার
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সেবাপ্রত্যাশী নগরবাসীর দুর্ভোগ  এবং ভোগান্তি কমাতে ম্যানুয়েল পদ্ধতি থেকে অনলাইনের আওতায় গৃহকর এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়ন করতে এখন থেকে ঘরে বসেই নগরবাসী চসিকের উন্নত সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর হবে এবং কাজের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আরবান পাবলিক এণ্ড এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ই-রেভিনিউ সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, অর্থ এবং সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইসমাইল, কাউন্সিলর  গাজী মো. শফিউল আজিম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সচিব খালেদ মাহমুদ আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।মেয়র আরো বলেন, অটোমেশন কার্যক্রমের আওতায় আসায় যে কেউ বাড়িতে বসে পৌরকর পরিশোধ করতে পারবেন এবং করদাতা তার কর সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য ঘরে বসেই জানতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে কর আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আছে সেগুলোও দূরীভূত হবে।  মেয়র গৃহকর বৃদ্ধিকরণ প্রসঙ্গে বলেন, কোন ধরণের গৃহকর বাড়ানো হবে না শুধুমাত্র এর আওতা বাড়ানো হবে অর্থাৎ যদি আগে ভবন ২তলা থাকে এখন তা ৩ বা তার অধিক হয় তাহলে সেই বর্ধিত অংশটুকুরই কর নেয়া হবে। তিনি নগরবাসীকে কর নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

ডিমলায় বাড়ছে কিশোর অপরাধ

পারভেজ রুবেল
ডিমলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর অপরাধ। এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছে খুন, চুরি, ছিনতাই,অপহরন, ধর্ষণসহ বেশ কিছু ঘটনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই কিশোর বয়সের। কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকায় উপজেলার  বিভিন্ন বাজার, গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানগুলোতে কিশোরদের ধূমপানের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।সচেতন মহলের ধারণা, স্কুলগামী কিশোরদের হাতে দামি মোবাইল ও প্রযুক্তির অপব্যবহারে তারা জড়িয়ে পড়ছে খুন ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধে। তাছাড়া অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে বিপথগামী কিশোররা নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরিসহ জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে।মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এ উপজেলায় খুন,ধর্ষণ,চুরিসহ অপহরণের মতো বেশ কয়েকটি মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিশোরদের দ্বারা।জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে পন্ঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে গনধর্ষন করে একই এলাকার ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র বুলু বাদশা(১৩) ও বাবু(১৬)। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি গ্রামে  সোহেল রানা(১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে তারই এলাকার বন্ধু লাম (১৬) ও বাবু(১৫)। এ মাসেই নাউতারা ইউনিয়নে এক সুপারী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে ওই এলাকার একটি কিশোর গ্যাং।এ ঘটনায় লাম(১৬) নামের কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।এছাড়া ছিনতাই ও চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রাত হলেই এক শ্রেণির উঠতি বয়সী কিশোররা বিভিন্ন রাস্তা, বাসাবাড়িতে  মোবাইল,পানির পাম্পসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি,ছিনতাই করে  অবাধে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এ ধরনের একের পর এক চুরির ঘটনায় যেকোনো সময় প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের আশঙ্কা। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৩-১৬ বছরের মধ্যে।সেই সঙ্গে মিডিয়ায় প্রচারিত বড় শহরগুলোর কিশোর গ্যাং এর সংবাদও উৎসাহিত করছে কিশোরদের। এখনি পদক্ষেপ না নিলে সাংস্কৃতিকভাবে ডিমলার ভবিষ্যতে সামাজিক নৈরাজ্যসহ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান ,সামাজিক অবক্ষয়,করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা ,  শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার অভাব,  মোবাইলে প্রযুক্তির অপব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজলভ্যতা কিশোরদের বিভিন্ন অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গ্রামঞ্চলে অভিভাবকদের অসচেতনতায় কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে, আসক্ত হচ্ছে নেশায়। তারা নেশার টাকা জোগাড় করতে পা বাড়াচ্ছে অপরাধ জগতে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

কোভিড১৯ এর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা

মোঃ জুবাইর 
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামের উদ্যোগে আফ্রিকান ওমিক্রন প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা,ভীড় এড়িয়ে চলা,ঘরের বাইরে মাক্স ব্যবহার করা এবং কোভিড ১৯ এর টিকা গ্রহণসহ চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নগর ব্যাপি প্রচার কার্যক্রম চলছে।কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েট ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক  নির্দেশনাবলী:
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে নির্দেশনা প্রচার  এবং প্রচারণা করছে চট্টগ্রাম জেলা তথ্য মন্ত্রণালয় ।
নির্দেশনাসমূহ হলো-
১। প্রত্যেক নাগরিককে ঘর থেকে বর হওয়ার পূর্বে অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার পরিধান করতে হবে।
২। ডিউটি পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৩। কোডিড-১৯ (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। প্রত্যেক নাগরিককে কোডিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।
৫। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘No Mask No Service’ এবং ’No Mask No Entry’ নির্দেশনা প্রতিপালন করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬। ডিউটিরত সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দুরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
৭। প্রতিটি দফতরে সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া/স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা।
৮। অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ,হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।
৯। ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের পূর্বে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।
১০। ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, ডিউটিতে যাবার পূর্বে ও ডিউটি হতে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
১১। কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন সকল নাগরিককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
১২। কোডিড-১৯ সংক্রাতে ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করবেন।
১৩। প্রত্যেক নাগরিককে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক কোভিড-১৯ (বুস্টার ডোজ) ভ্যাকসিন গ্রহণে নিশ্চিত করতে হবে।
১৪। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বিধায় প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

কুড়িগ্রামে আদালতের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ যাদুঘরে উদ্ধারকৃত গো-মুর্তি হস্তান্তর

 প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের বামনটারী গ্রামে পুরাতন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃতি কথিত কষ্টিপাথরের গো-মুর্তিটি আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রামে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ যাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম নতুন শহরস্থ উত্তরবঙ্গ যাদুঘরে গোমুর্তি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান  এবং সদ্য একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণিজন এডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন, এডিশনাল পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) উৎপল কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাগেশ্বরী সার্কেল সুমন রেজা, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম হারুন অর রশীদ লাল, অধ্যাপক নাজমুন নাহার সুইটি প্রমুখ।উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ জুলাই নাগেশ্বরী থানা পুলিশ ২০ কেজি ওজনের গো-মুর্তিটি উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার অফিসে স্থানান্তর করে। পরে কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকগণ  এবং উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গো-মুর্তিটি উত্তরবঙ্গ যাদুঘরে রাখার নির্দেশনা প্রদান করে।তারই আলোকে মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা কথিত কষ্টি পাথরের গো-মুর্তিটি উত্তরবঙ্গ যাদৃুঘরের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সদ্য একুশে পদকে মনোনিত এডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকনের হাতে তুলে দেন। এসময় পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাগণ, উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের ট্রাস্টিগণ  এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

বনবিভাগের অভিযানে নির্মাণকৃত  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ 

আবু সায়েম
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন  ঈদগাঁও    রে‌ঞ্জের  ভোমারিয়াঘোনা   বি‌টের  সংরক্ষিত বনাঞ্চলে  জবরদখল কৃত জায়গায়  মাটি ও টিন দিয়ে নির্মাণকৃত ঘর , কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশেসহকারী বনসংরক্ষক মেহেরঘোনার সার্বিক তত্বাবধানে  রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁনের নেতৃত্বে   অভিযান চালিয়ে ১.১০ একর  বনভূমি জবরদখল মুক্ত করে  উচ্ছেদ করা হয়েছে।এতে করে সরকারী সম্পদ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১ একর জমি। তবে ভূমিদস্যুদের কাউকে আটক করতে পারেনি।৮ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার ) ঈদগাঁও  রেঞ্জের আওতাধীন ভোমরিয়াঘোনা  বিটের ঈদগড় মৌজার ঢালারমুখ নামক এলাকায়   রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খানেঁর নেতৃত্বে  বিট কর্মকর্তা মংয়ু মারমা  ও স্টাফদের  সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে  অবৈধ ভাবে জবরদখলকৃত জায়গায় মাটি  এবং টিন দিয়ে   নির্মাণকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ করে  জবরদখল মুক্ত  করা হয়।বিষয়টি অবগত  করেছেন  ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খানঁ। তিনি বলেন ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না,। যারা বন বিভাগের জমি দখল করে  জবরদখল  করছে তাদের আমরা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করবো। বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণকৃত স্থাপনা  সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখলের দায়ে অভিযান চালিয়ে ১ একর  জমি উদ্ধার করা হয়েছে । অভিযানে  ভোমরিয়াঘোনা  বিট কর্মকর্তা মংয়ু মারমা ,ভিলেজারগণসহ  স্টাফগণ  অংশ গ্রহণ ক‌রে।সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খানঁ ।কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।  সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ  করলে উচ্ছেদ করা হবে  এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম