গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজ বাড়িতে সাইফ আলি খানের উপর হামলা
বিনোদন ডেস্ক:
নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড তারকা সাইফ আলি খান। ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরবেলা অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে সাইফকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ বিবিসি মারাঠিকে জানিয়েছে, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মাঝরাতের পর কোনও একসময় তার বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে অভিনেতা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি সাইফকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
মুম্বাইয়ের একটি অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িতে স্বপরিবারে থাকেন সাইফ। হামলার বিষয়ে অভিনেতার পরিবার জনসম্মুখে কোনও বিবৃতি দেয় নি। তবে তার প্রচারণা দল দাবি করেছে, চুরির প্রচেষ্টা থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর চেয়ে বিস্তারিত তারা কিছু জানায়নি।
সাইফকে শহরের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা নিরাজ উত্তামানি বিবিসি মারাঠিকে জানিয়েছেন, সাইফকে ছবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এরমধ্যে দুটি বেশ গভীর। একটি আঘাত মেরুদণ্ডের খুব কাছে চলে গেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল তার অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব নিয়েছেন।
সাইফকে হাসপাতালে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে তার প্রচারণা দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সাইফ আলি খানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে সম্মান করতে ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছেন, ভক্ত এবং সংবাদমাধ্যমকে আমরা ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই। আপনাদেরকে সময়মতো সব জানানো হবে।
মুম্বাই পুলিশ এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি-২৫/মওম
ভারতের সেনাপ্রধানের কঠোর সমালোচনা করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ‘এপিসেন্টার’ বলায় ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কঠোর সমালোচনা করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীকে ‘রাজনীতি চর্চা’ থেকে মুক্ত থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ‘এপিসেন্টার’ উল্লেখ করে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, জম্মু ও কাশ্মিরে অস্থিরতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা উসকে দিচ্ছে পাকিস্তান। তিনি আরও বলেন, গত বছর ওই অঞ্চলে পুলিশ সেনাবাহিনীর হাতে যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক।
বুধবার তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,“পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার উল্লেখ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী,তা শুধু বাস্তবতা বিবর্জিতই নয়, বরং ভারতের অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। যেখানে রাষ্ট্র জনগণের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, সেখানে জনগণের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের জন্য প্রতিবেশী দেশের ওপর দোষ চাপানো দ্বিচারিতা এবং কাপট্যের সেরা উদাহারণ।” আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান যখন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে জম্মু ও কাশ্মিরে কর্মরত ছিলেন, সে সময় কাশ্মিরিদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে। সম্প্রতি তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং ভারতের সেনাবাহিনীতে যে রাজনীতি ব্যাপকভাবে প্রবেশ করেছে-সেনাপ্রধানের বক্তব্য তারই প্রতিফলন।”
ভারতীয় সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাস দমনের নামে নিরস্ত্র কাশ্মিরিদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে— উল্লেখ করে আইএসপিআরের বিবিৃতিতে বলা হয়, “কাশ্মিরিরা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও রেজোল্যুশনের মাধ্যমে এ অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কাশ্মিরিদের ন্যায্য আন্দোলনকে ধূলিস্যাৎ করতেই জম্মু-কাশ্মিরে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।”
বিবৃতির শেষ পর্যায়ে বলা হয়, “একজন জ্যেষ্ঠ ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা পাকিস্তানের হেফাজতে আছেন, যিনি পাকিস্তানের ভেতরে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। এই গুরুতর সত্যটি ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল সহজেই উপেক্ষা করেছেন বলে মনে হচ্ছে।”
সূত্র : জিও টিভি
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি-২৫/মওম
বাংলাদেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত প্রথম কোন রোগীর মৃত্যু
আলোকিত ডেস্ক:
দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সানজিদা আক্তার, বয়স ৩০। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারী গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মারা গেছেন। দেশে এইচএমপিভি শনাক্ত হওয়া কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য এটিই প্রথম। তবে তিনি যে এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্যই মারা গেছেন, এমনটি বলা যাবে না। ওনার অন্য আরও শারীরিক জটিলতা ছিল, যার জন্য হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
তার আর কী কী জটিলতা ছিল জানতে চাইলে হাসপাতাল তত্বাবধায়ক বলেন, তিনি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া তার কিডনি সমস্যা ছিল, সেইসাথে তিনি অনেক মোটা ছিলেন, যে কারণে তাকে ভেন্টিলেটরে ওঠানো যাচ্ছিল না। ভাইরাল নিউমোনিয়ার জন্যও সম্ভবত মারা যাননি, অনেকটা সুস্থও হয়ে গেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী জটিলতার জন্য হয়তো সমস্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বজনরা ইতোমধ্যে লাশ নিয়ে গেছেন। তারপরও এটা নিয়ে অধিদপ্তর অথবা মন্ত্রণালয় ব্রিফ করবে। সেই আলোকে আমরা পরবর্তী পরিকল্পনা করবো।
গত ১২ জানুয়ারি এই নারীর এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। তখন জানা যায় ওই নারীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়।
১২ জানুয়ারি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই নারী এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন তখন জানিয়েছিলেন এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় দেশে। এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।
এ ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলা হলেও পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সতর্কতাও জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবর্তী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।
চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।
সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোনো বয়সী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি-২৫/মওম
নেত্রকোণায় লক্ষীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন গ্রেফতার
ঘিওরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মো: মিজানুর রহমান খান কুদরত এবং মো: মহিদ আহমেদ :
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার রাথুরা গ্রামে লায়লা আরজু (৬০) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে নিজ বাড়ির দোতলার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
লায়লা আরজু দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি মোহাম্মদ সেকেন্দার আলীর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির গৃহকর্মী সাইদা বেগম (৩৮) ও তাঁর স্বামী হালিমকে (৪৮) থানায় নিয়ে গেছে।
লায়লার স্বামী সেকেন্দার আলী জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে কাঁচাবাজার করতে তিনি স্থানীয় বানিয়াজুরী বাজারে যান। ঘণ্টাখানেক পর ফিরে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘিওর থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সকাল ৮টার দিকে এক বা একাধিক ব্যক্তি তাঁকে হত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবরিনা সাদিয়া চৌধুরী। তিনি জানান, “তদন্ত চলছে, ফরেনসিক দল এসে আলামত সংগ্রহ করছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গৃহকর্মী সাইদা বেগম এবং তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। হত্যার উদ্দেশ্য এবং ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি-২৫/মওম
২০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি আনোয়ারার দুদক, কমিশন পরিবর্তন চান নাগরিক সমাজ
এম জসিম উদ্দিন:
আলোচিত দুর্নীতির তদন্ত নেই, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ছাড়াই বিশ বছর পার করেছে আনোয়ারার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতি বছরই ছিলো অভিযান শুন্যে। হয়নি মামলা, কেউ হয়নি গ্রেফতার। গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর দুর্নীতিগুলোতে এক পা এগোলে, পিছিয়েছে দুই পা। যার ফলে ২০ বছরের ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে ঘুরছে আনোয়ারার দুদক। মাত্র দুই-একটা দায়সারা অভিযানে অভিযুক্তদের সাথে খোশগল্প ও চা-চক্রের জিজ্ঞাসাবাদ করে থেমে যেতো দুদক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডি), জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দেয়া প্রকল্প, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প, ভূমি অফিস, সাবরেজিস্টার অফিসসহ সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলোর দিকে নজর দেয়নি দুদকের কেউ। আনোয়ারার নাগরিক সমাজের নেতারা বলেছেন, দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছরে আনোয়ারার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে সাবেক ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমদের আমলে। তার বিরুদ্ধে পাহাড়ের মাটি বিক্রিসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠে এসেছে। সেদিকে কখনো নজর দেয়নি দুদক। চা-চক্র, হাসিঠাট্টা ও খোশগল্পতেই আঠারো বছর পার করেছে সংস্থাটি। আঠারো বছরের শেষে এসে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ২০২৪ সালের কার্যক্রম ও দুর্নীতি দমনে সংস্থাটির ভূমিকা বিশ্লেষণে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ফলে দুর্নীতি দমনে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটির সক্ষমতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে জনমনে। তবে দুদক সংশ্লিষ্টরা সংস্থাটির দুর্বলতা ও ব্যর্থতা এড়িয়ে কর্তারা জোর গলায় বলছে শুধু দুদক দিয়ে দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যার যার অবস্থান থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধের শিক্ষা নিয়ে এই সামাজিক ব্যাধি থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে মুক্ত করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সৃষ্টির পর থেকেই আনোয়ারা উপজেলা দুদকের কমিশন গঠন করা হয়েছে। বারখাইন জামেয়া জমহুরিয়া কামিল সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল খালেক শওকীকে সভাপতি ও গুয়াপঞ্চক গ্রামের ওসমান গনি মাষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট দুদক কমিশন গঠন করা হয়েছে। যতবার কমিটি গঠন করা হয় ততবারই ঘুরেফিরে এই মানুষগুলোই কমিটিতে চর দখলের মতো পদ দখল করে নেয়।
দুদক সুত্রে জানা যায়, গতবছর ২০২৪ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুদকে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই হিসেবে প্রতিমাসে গড়ে জমা পড়েছে এক হাজার ২২৫ টি অভিযোগ। প্রতিটি উপজেলা থেকে দুদকের টিম বিভিন্ন অভিযোগ সুপারিশ করে উচ্চপর্যায়ে পাঠালেও আনোয়ারার কোনো অভিযোগ জেলা, বিভাগ কিংবা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছেনা। অভিযোগ পেলেও সমঝোতার মাধ্যমে তা চাপা পড়ে যাচ্ছে। ২০ বছরের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে আনোয়ারা উপজেলা দুদকের সভাপতি আবদুল খালেক শওকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর ৩/৪টি বিষয়ে অনুসন্ধান করেছিলাম। আমাদের সফলতার পাল্লা তেমন ভারি না হলেও ব্যর্থতাও তেমন নাই। শওকী বলেন, অভিযান পরিচালনায় আমাদের কাছে উপরের কড়া নির্দেশ কখনো ছিলোনা। যেকারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান তেমন চালাতে পারিনি। এ প্রসঙ্গে, আনোয়ারার অকার্যকর দুদকের বিষয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং জাতীয় দৈনিক আমাদের বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আনোয়ারা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সবাই দীর্ঘ ২০ বছর চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত থাকায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি, অনুসন্ধান-অভিযানও পরিচালনা করতে পারেনি। ফলে আনোয়ারার কমিশনটি অকার্যকরে পরিণত হয়েছে। মিজান চৌধুরী বলেন, ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিয়াসহ আনোয়ারা নাগরিক সমাজের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আনোয়ারায় নিস্ক্রিয় হওয়া দুদক কমিটি অবিলম্বে বাতিল করা হোক। কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। এসব বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। সব বিষয়ে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটি আনোয়ারায় দীর্ঘ সময় ধরে অকার্যকরে পরিণত হয়েছে কি-না দুদকের সকলের কাছ থেকে জেনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০ বছরের অকার্যকর আনোয়ারা দুদক কমিটি অকার্যকর বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন-(দুদক) চট্টগ্রামের পরিচালক মো: মাহমুদ হাসান আলোকিত প্রতিদিনের প্রতিবেদককে জানান, আনোয়ারার দুর্নীতি দমন কমিশনটি দীর্ঘ সময় ধরে কেন অকার্যকরে পরিণত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পরিচালক আরও বলেন, গাফিলতি বা অনিয়মের অভিযোগ পেলে কমিটি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি-২৫/মওম
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট করতে চায় পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট গঠন করতে চায় পাকিস্তান। দুই দেশের সেনাবাহিনীর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি শহরে সেনা সদরদপ্তরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসানের। পাকিস্তান আইএসপিআরের বিবৃতি অনুসারে, সে বৈঠকে উভয় কর্মকর্তা এই মর্মে একমত হয়েছেন যে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ভাতৃপ্রতিম দেশ এবং বহিঃস্থ শক্তির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক অবশ্যই দৃঢ় থাকবে।
এছাড়া ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক আদান-প্রদান, সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আলোচনা করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের পিএসও।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতাপূর্ণ বিভিন্ন উদ্যোগ এবং পদক্ষেপের মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপমহাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামর-উল-হাসান পাকিস্তানের সেনাবাহনীর পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াইয়ে ব্যাপক আত্মদানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেকে সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের বাতিঘরে পরিণত করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনমালে গত ১৫ বছর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও পড়েছিল তার প্রভাব।
২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দেশত্যাগের মাধ্যমেই পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। বর্তমানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব একটি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের মধ্যে একাধিক বার বৈঠক হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি এবং বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলও ফের শুরু হয়েছে।
সূত্র : জিও নিউজ
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি-২৫/মওম
বাবা নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিলেন :ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি
নাজমুল হাসান:
আমার বাবা এই দেবিদ্বারের রাজনৈতিক মাঠে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত নেতা। তিনি দীর্ঘ স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২২ মাস কারাবরণ করেন এবং ২৮ টি মামলা রয়েছে আমার বাবা সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীরর বিরুদ্ধে। এমনকি আমার বাবাকে চোখ ও হাত বেঁধে অপমান করার জন্য জিপের ত্রিপল খুলে প্রকাশ্যে জনসম্মূখে ঘুরিয়ে ছিলেন।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বক্তব্যদানকালে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি এমন বক্তব্য তুলে ধরেন।
পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং যুবদল নেতা আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার আসনের) ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় কমিটির সদস্য ও বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জু মূন্সী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে-বাংলাদেশ আর কোন দিন স্বাধীন হতনা, আর ওই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করল ১৫ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দোসররা দেবিদ্বারের মাটিতে মানুষকে বিনা কারণে নির্যাতন করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আজ দেবিদ্বারের মানুষ যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তা আমি কখনো ভুলবো না এবং আমি ঋণী হয়ে গেলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুলু পাঠান, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম সরকার, সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুলতান কবীর আহমেদ খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাজ উদ্দিন সাজু চেয়ারম্যান প্রমূখ।
দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা নেতাকর্মীরা বেলা ২ টা থেকে ফ্যাষ্টুন, ব্যানার, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে উপস্থিত হতে শুরু করে। স্লোগান দিতে থাকে “দেবিদ্বারের মাটি, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর ঘাটি, ধানের শীষের ঘাটি” মিছিলে মিছিলে হাজার হাজার নেতা- কর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় সম্মেলন স্থল।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি-২৫/মওম
টিউলিপের পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন এমা রেনল্ডস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার তার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস। লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। এছাড়া নিজের সকল আর্থিক বিষয়াবলীর ব্যাপারে তদন্তকারীকে তথ্য দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি।
ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে থাকা যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগের পর তার স্থলে নতুন অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার হিসেবে লেবার পার্টির এমপি এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হন ৪৭ বছর বয়সী এমা রেনল্ডস। এমা রেনল্ডস বর্তমানে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ওয়াইকম্ব নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। এর আগে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মধ্য ইংল্যান্ডের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন করে আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।১৪ বছর বিরোধী দলে থাকার পর লেবার পার্টি ক্ষমতায় ফিরে আসে।
লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।
তিনি মন্ত্রী থাকলে সরকার তার কাজে মনযোগ দিতে পারবে না এমন কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেছেন, “এ কারণে আমি আমার মন্ত্রির পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, পেনসনমন্ত্রী এমা রেনল্ডস টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি-২৫/মওম