আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 147

যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজারসহ আটক ২

জাহিদুল ইসলাম:
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলাধীন আলোকদিয়া চরের তার খাম্বা এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় ড্রেজার মেশিন বোট সহ ২জনকে আটক করা হয়েছে নৌ পুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলের এসপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং দিকনির্দেশনায়।

এসময় দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন,মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন এসআই (নিঃ)মোঃ মাসুদ রানা,এসআই (নিঃ) মেহেদী হাসান অপূর্ব সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে অংশ নেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে নিউজ প্রকাশের পর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন নৌ পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন আলোকদিয়া চরের তারখাম্বার পাশে যমুনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে মর্মে খবর পাইলে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ১ টি ড্রেজার সহ ২ জন আসামী আটক করা হয়।  আটককৃত আসামীরা হলেন, ১। মোঃ সাহাবুদ্দিন খাঁন (৫০),পিতা- আব্দুল মান্নান খাঁন,সাং-মাচগাজীর,থানা-মেহেন্দীগঞ্জ,জেলা-বরিশাল ২। মোঃ আরিফুল ইসলাম হেলাল(৩৫),পিতা-মৃতঃ আফতাব মোল্লা সাং- রাজধরপুর,থানা-বালিয়াকান্দি,জেলা-রাজবাড়ী। তাদের বিরুদ্বে শিবালয় থানায় বালুমহাল এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান। যার  মামলা নং ০৫ তারিখ ০৮/০১/২০২৫।  উদ্ধারকৃত মালামালঃ ০১ টি লোহার তৈরি পুরাতন ড্রেজার, অনুমান মূল্য ৬৫ লাখ টাকা।  উদ্ধারকৃত আলামত ফাঁড়ি হেফাজতে রয়েছে বলেও জানানো হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/১০জানুয়ারি-২৫/মওম

একুশে বইমেলা : প্যাভিলিয়ন পাচ্ছেন না আ. লীগের ‘সুবিধাভোগী’ প্রকাশকরা!

আলোকিত প্রতিবেদক: অমর একুশে বইমেলায় অন্যান্য বছর প্যাভিলিয়ন পেলেও এবার প্যাভিলিয়ন দেওয়া হচ্ছে না বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থাকেও। জানা গেছে, প্রকাশকদের একটি অংশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যাদের প্যাভিলিয়ন দেওয়া হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

নির্দিষ্ট প্রকাশকদের প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

 তিনি বলেন, আগে প্যাভিলিয়ন দেওয়া হতো এমন কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে এবার প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেলার নিয়ম-নীতি মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

বইমেলার স্টল বরাদ্দের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃক একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। এতে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রকাশকদের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন।

যেসব প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন পাচ্ছে না বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে— তাম্রলিপি, কাকলী প্রকাশনী, পাঠক সমাবেশ, পুঁথিনিলয়, সময়, মিজান পাবলিশার্স, চারুলিপি, জিনিয়াস পাবলিকেশন, নালন্দা, পার্ল পাবলিকেশন, বিশ্বসাহিত্য ভবন, শব্দশৈলী।

অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী ও অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন ছোট করার সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে।

গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত কয়েকটি প্রকাশক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রকাশনীগুলোকে ‘স্বৈরাচারের দোসর প্রকাশক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বইমেলায় নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়।

একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ও বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এই প্রকাশনীগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করারও দাবি জানায় এবং বইমেলায় প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতীকী অনশন করে। 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গতকালের সভায় বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিন, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান, প্রকাশক প্রতিনিধি সাঈদ বারী, মো. গফুর হোসেন, আবুল বাশার ফিরোজ, আরিফুর রহমান নাইম, মাহবুব রাহমান, মো. জহির দীপ্তি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান বলেন, ‘এটা আমাদের একার না, সাধারণ প্রকাশকদের বিজয়। এ জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

তবে আগামী, অন্যপ্রকাশ ও অনুপমকে ছাড় দেওয়া যাবে না। এরা বড় দালাল।’

তিনি বলেন, ‘প্রকাশকদের প্রাণের দাবি, স্টল ভাড়া অর্ধেক কমানোর ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সুতরাং আমাদের সবাইকে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্যাভিলিয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো বাংলা একাডেমি জানায়নি জানিয়ে সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘প্যাভিলিয়ন না দিলে বাংলা একাডেমির ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত, কোন কারণে তারা প্যাভিলিয়ন পাচ্ছেন না। কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর বললে প্রমাণ দিতে হবে, সরকারের কোনো লাভজনক কাজে সেই প্রকাশক ছিল।’

ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমার ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারি, আমার সময় প্রকাশন, আমি কখনো কোনো দিন সরকারের কোনো লাভজনক পদে ছিলাম না। এবারের বইমেলা আমার ছত্তিশতম বইমেলা হবে, এর আগে আমি পঁয়ত্রিশটি বইমেলা করেছি। এর মধ্যে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়বার সরকার বদল হয়েছে, কোনো সরকার কখনো এই রকম কথা বলেনি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

লংগদুতে জামায়তের শীতবস্ত্র বিতরণ”

তাজ মাহমুদ, লংগদু (রাঙ্গামটি) রাঙামাটির লংগদুতে দুইশতাধিক শীতার্তদের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লংগদু উপজেলার উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
০৯ জানুয়ারী, ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ঃ৩০ টায় স্থানীয় একটি মিলনায়তনে  এসব শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জামায়াত মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের  আমলে মন্ত্রীসভায় জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ছিল। এই পর্যন্ত কেউ এই দুই জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ করতে পারেনি। তারা ছিলেন সৎ ও যোগ্য। জামায়াত আল্লাহর আইন চায়, সৎ লোকের শাসন চায়। জনগণ যদি জামায়াতকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দেয়, তাহলে ঘরে ঘরে সেবা পৌছে যাবে। সেবা নেওয়ার জন্য জনগণকে সরকারী দপ্তরে আসতে হবে না। জামায়াত যে কোন দূর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। জনগণের সেবা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তিনি সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে সমবেত হয়ে আগামীদিনে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কুরআনের সমাজ কায়েমের আন্দোলনকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহবান জানান।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোঃ নুরুল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ শীতবস্ত্র বিতরণ পুর্ব সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা এএলএম সিরাজুল ইসলাম, জেলা শুরা সদস্য খ ম মতিউর রহমান, এসিঃ সেক্রেটারি তাজ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জব্বার, শ্রমিক কল্যান বিভাগের উপজেলা সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক ওছমান গনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির রাঙ্গামাটি জেলা সেক্রেটারি মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা সভাপতি শাহেদ আলম ইমনসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

 ১০টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের ১০টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ  চলমান জেলাগুলো হচ্ছে-রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার। একইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

১০ জানুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এছাড়া এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী ৩দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। একইসঙ্গে রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং অন্য জায়গায় তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ১১ জানুয়ারি শনিবার এবং পরদিন রবিবার ১২ জানুয়ারি সারা দেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১০জানুয়ারি-২৫/মওম

লন্ডনে যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে নিপুণকে আটকে দিলো ইমিগ্রেশন পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক:

গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাওয়ার সময় তার পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে লন্ডন গমনকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার নিপুণকে ইমিগ্রেশন কর্তৃক অফলোড করে ফেরত পাঠানো হয়। তাকে এখন পর্যন্ত আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/১০জানুয়ারি-২৫/মওম

শিবালয়ে নলকূপের পানিতে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে মালপত্র লুটে নেয়ার সময় আটক ১

আঞ্চলিক প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ) শিবালয় উপজেলার কয়েড়া গ্রামে অভিনব কায়দায় মালপত্র লুটে নেয়া চক্রের এক সদস্য জনতার হাতে আটক। ঘটনাস্থল থেকে জনতা চোরকে আটক করে পুলিশে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আটক চোর মতিউর রহমান (২৭)কে পুলিশ কোর্টে চালান দিয়েছে। মতিউর দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে আক্কাস উদ্দিনের ছেলে। সে ঢাকা সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকায় বাসা ভাড়া থাকে।

জানা গেছে, অত্র উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের বাড়ির নলকূপের পানিতে মঙ্গলবার বিকেলে কে বা কারা চেতনানাশক ঔষুধ দিয়ে রাখে। আলমগীর খাবার খাওয়ার পর বাড়ির পাশে জমিতে কাজের সময় চোখে ঘুম-ঘুম ভাব আসে। বিষয়টি তার সন্দেহ হলে পরিবারকে জানালে তাকে দ্রুত টক জাতীয় খাবার খাওয়ায়। ঘটনাটি প্রতিবেশীদেরকে জানালে তারা রাতের বেলায় সজাগ থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার রাত আনুমানিক ১টায় তার ঘরের কেচি গেটের তালা ভেঙ্গে চোর ঘরে প্রবেশ করে। আলমারিতে রাখা নগদ টাকা চুরি করার এক পর্যায়ে আলমগীর চোর-চোর বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মতিউরকে আটক করলে চোর চক্রের বাকি দুই জন পালিয়ে যায়।

এসময় বাড়ির পাশের ফেলা রাখা ব্যাগে চুরির কাজে ব্যবহৃত স্ক্রু-ড্রাইভার, টিন কাটার, লোহা তোলার জামটিয়া, শেলাইরেঞ্জ ও তিন জোড়া জুতা পাওয়া যায়। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআরএম আল-মামুন জানান, কয়েরা গ্রামের আলমগীরের বাড়ির নলকূপের পানিতে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে তার ঘরে ঢুকে মুল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়ার সময় চোর চক্রের এক সদস্যকে জনতা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। বিভিন্ন এলাকায় নলকুপের পানিতে বা খাদ্যের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে মালপত্র লুটে নেয়ার সাথে জড়িত মতিউরকে জনতা আটক করে। তার দেয়া তথ্য মতে আরও দুজনের জড়িত থাকার কথা জানা গেছে। এদের আটকের চেষ্টা চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ সভাপতি, ডা. অপূর্ব ধর সাধারণ সম্পাদক

বিজয়’৭১ এর ২০২৫—২০২৬ কমিটি গঠিত
মুহাম্মদ জুবাইর, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বিজয়’৭১। গতকাল সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদকে সভাপতি ও ডা. অপূর্ব ধরকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়।
উক্ত কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লায়ন ডা. আর কে রুবেল ও স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সজল কান্তি চৌধুরী। উক্ত কমিটিতে সিনিয়র সহ—সভাপতি মনোনীত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে নীলরতন দাশগুপ্ত, মাদল চন্দ্র বড়–য়া, রাখাল চন্দ্র ঘোষ, প্রকৌ. মুজিবুর রহমান, এস এম লিয়াকত হোসেন, ডা. মুজিবুল হক চৌধুরী। মোঃ আব্দুল নুর, শিক্ষিকা নীলা বোস, পরিমল দত্ত, মমতাজ উদ্দীন, লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য্য বলাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলাল হোসেন উদয়ন, ডা. এস কে পাল সুজন, লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দী, ডা. মনির আজাদ, ডা. এস এম কামরুজ্জামান, সহ—সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, রোপি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন, শ্যামল বৈদ্য, ইন্দ্রজিৎ হিরো, রোজী চৌধুরী, মোঃ হাসান সাজ্জিদ, মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু, প্রচার সম্পাদক মোঃ জুবায়ের, অর্থ সম্পাদক লায়ন পূরবী বড়–য়া, দপ্তর সম্পাদক উত্তম দে, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মৌসুমী চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খালেদা আক্তার চৌধুরী, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক চম্পা চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শান্তা দাশ, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শ্যামল সেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সমীরন পাল, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দিলীপ সেনগুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল মিত্র, সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বাদশা মিয়া, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক কেশব অগ্নি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষিকা রিংকু ভট্টাচার্য্য, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জনি পাল, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক লিপি তালুকদার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রমজান মালাকার, যুব বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. অজয় বোস, পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক অনন্ত শর্মা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এম. সোলাইমান কাসেমী, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেলী বড়–য়া, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. প্রণব দাশ, গণ সংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তিতাস, নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ভানুরঞ্জন চক্রবত্তীর্, দেবুপ্রসাদ দাশ, আক্তার হোসেন, ডা. কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

লংগদু জামায়াতের বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

তাজ মাহমুদ, লংগদু (রাঙ্গামাটি) রাঙ্গামাটির লংগদুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে উপজেলা শুরা-কর্ম পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন দায়িত্বশীলদের নিয়ে বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ জানুয়ারী, ২০২৫ ইং বৃহস্পতিবার বেলা ৩ঃ০০ টায় উপজেলার স্থানীয় এক মিলনায়তনে এ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
লংগদু উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ নুরুল করিমের সঞ্চালনায়  উক্ত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙ্গামটি জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ আব্দুল আলীম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা এএলএম সিরাজুল ইসলাম, জেলা শুরা সদস্য খ ম মতিউর রহমান, এসিঃ সেক্রেটারি তাজ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জব্বার, শ্রমিক কল্যান বিভাগের উপজেলা সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক ওছমান গনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, সঠিক পরিকল্পনাই কাজের অর্ধেক। একটি ভালো ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা সংগঠনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করে আগামী দিনে ১৮ কোটি মানুষের আকাঙ্খার কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীলদের তৃণমুল পর্যায়ে নিবিড় তত্বাবধান ও পরিচর্যার মাধ্যমে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা আমীর মাওলানা নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা নিজেদের সকল মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে লংগদু উপজেলার প্রত্যকটি পরিবারে ইসলামের সুমহান আদর্শ, ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে একযোগে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মির্জাপুরে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হলো ছাড়পত্রবিহীন ৭টি ইটভাটা

মো: সাইদুর রহমান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাড়পত্র বিহীন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
৯ জানুয়ারি, রোজ বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল আটটা হতে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল এর যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রকিবুল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার জনাব মাসুদুর রহমান এর নেতৃত্বে মির্জাপুর উপজেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্র বিহীন ০৭টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
পরিচালনাকালে ভাটার চিমনী ভেঙে দেওয়া হয় এবং ভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন অত্র কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, সহকারী পরিচালক জনাব সজিব কুমার ঘোষ, পরিদর্শক জনাব বিপ্লব কুমার সূত্রধর ও পরিদর্শক জনাব মোঃ মোতালেব হোসেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব ১৪, আনসার বাহিনী ও গ্রাম পুলিশ এর টিম উপস্থিত থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।
ভেঙে ফেলা ইটভাটা গুলো হল:
মেসার্স হক ব্রিকস, বহুরিয়া, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল। নিউ সরকার ব্রিকস, বহুরিয়া, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
মেসার্স বাটা ব্রিকস বহুরিয়া, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
মেসার্স নিউ রমিজ ব্রিকস এন্ড কোং, বহুরিয়া, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
মেসার্স সনি ব্রিকস, মীর দেওহাটা, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
মেসার্স বি এন্ড বি ব্রিকস, বাইমাইল, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
মেসার্স রান ব্রিকস, মীর দেওহাটা, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, পরিবেশ সুরক্ষায় টাঙ্গাইল জেলার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় সাধারণ ডায়েরি 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার  (৯ জানুয়ারি) দুপুরে  সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু বাদী হয়ে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় এই জিডি করেন।সাধারণ ডায়েরি নম্বর ৬০৫।
 সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য, তিনি দ্য ডেইলি পোস্ট পত্রিকায় নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এবং সাংবাদিক এ কে এম ফারুক হোসেন তিনিও নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য ও দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকায় নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় Bakhtiar Shikdar নামে একটি ফেক আইডি থেকে এই ভিডিয়ো পোস্ট করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক বখতিয়ার শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম( ফেসবুক) ব্যবহার করি না। আমার নাম ও ছবি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ফেক আইডি খুলে আমার এবং আমার সহকর্মীদের নামে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। এই ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে আমি গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে থানায় একটি জিডি করেছি।
ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেক আইডির মিথ্যা অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই ফেক আইডি থেকে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সম্মানহানি করার জন্য এই আইডি থেকে আমার ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। আমি দীর্ঘদিন থেকে পরিচ্ছন্নভাবে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমি এমন মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আপত্তিকর মন্তব্য করে, ভুল ব্যাখ্যায় আমার ছবি সম্বলিত ভিডিয়ো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখানে আসল বিষয় হচ্ছে গত কিছুদিন আগে আমার আপন বড় ভাইয়ের বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। তারপর আমরা চোরকে সনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারা চোরাইকৃত স্বর্ণ কোন দোকানে বিক্রি করেছে সেটা জানতে চাইলে তারা জানায় বিশ্বনাথের ‘শিল্পী স্বর্ণ শিল্পালয়’ নামে একটি স্বর্ণের দোকানে তারা স্বর্ণ বিক্রি করেছে। চোরের দেওয়া তথ্য মতে চোরকে নিয়ে আমি সেই দোকানে যাই। এ সময় আমাদের সাথে আরো ৭ থেকে ৮ জন সাংবাদিক সহকর্মী এসে হাজির হয়। পরবর্তীতে চোরের সম্মুখে সেই স্বর্ণের দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে দোকানদার স্বর্ণ কিনেছেন বলে স্বীকার করেন। এবং স্বর্ণ কিনে তিনি তা বিক্রিও করে ফেলেন বলে জানান। তার জবানবন্দীর পুরো ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। দোকানদার অন্যায় ভাবে স্বর্ণ ক্রয় করার কারণে সে দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তার পার্শ্ববর্তী পরিচিত কিছু সাঙ্গপাঙ্গ দোকানদারকে বাঁচাতে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের সাথে আমাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার দু’একজন সহকর্মীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারণে আমার সহকর্মীরা পুলিশে খবর দিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দিলে সেই স্বর্ণ দোকানদারসহ যারা দুর্ব্যবহার করেছে তারা সকলে থানায় গিয়ে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায় এবং মুচলেখা দিয়ে ক্রয়কৃত স্বর্ণ ফেরত দেয় এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি করে। যার পূর্ণ বিবরণ আমার অভিযোগে আমি লিখেছি।
এ বিষয়ে সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেন জানান, আমরা আমাদের সহকর্মীর ভাইয়ের চুরি হওয়া স্বর্ণের বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সেখানে যাই। স্বর্ণ দোকানদারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির পর্যায়ে চলে আসলে একদল অসাধু চক্র আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। যে কারণে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে তারা থানায় মুচলেখা দিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চায় এবং চোরাইকৃত স্বর্ণ ফেরত দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের ভিডিও ধারণ করে তা ভুল ব্যাখ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে একটি পরাজিত শক্তির দোসরেরা আমাদের সম্মানহানি করার চেষ্টায় লিপ্ত। উক্ত কাণ্ডে জড়িত কুশীলবদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।সম্প্রতি এই প্রতিবেদক পরাজিত শক্তির দোসরদের নিয়ে একাধিক রিপোর্ট দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্হা গ্রহন করে।এর ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যাক্তির সাথে মিডিয়া পাড়ার কিছু দুষ্কৃতকারী এক হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরিত্র হননের পথ বেছে নেয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি(ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি