আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 150

নবীনগরে ইউটিউব দেখে কুল চাষে স্বাবলম্বী আব্দুর রাহিম, বছরে আয় হয় ১০ লাখ টাকা 

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
স্বাদ ও পুষ্টিতে মৌসুমি ফল বরই একটি উৎকৃষ্ট মানের ফল,মানব দেহের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য ও ভিটামিনের উৎস হচ্ছে কুল। কুল শুধু ফল হিসেবেই নয় এ থেকে আচার, চাটনি তৈরি করা হয়। সফল কুল চাষিদের মধ্যে একজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) গ্রামের যুবক আব্দুর রাহিম । বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে কৃষি ক্ষেত্রে কিছু করা যায় কিনা ভাবতে থাকেন তিনি। ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমে পড়েন কৃষি কাজে। নিজেদের পর্যাপ্ত জমি না থাকায় পাশের গ্রামের নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর সড়কপাড়া পূর্ব পাশে পাঁচবিঘা জমি ইজারা নিয়ে ২০২১ সালের শুরুতে ইন্ডিয়া থেকে সংগ্রহ করেন ৪ প্রজাতির কুল গাছ। সেই গাছ গুলোতে দুলছে থোকায় থোকায় কুল। আকার ও স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদাও তার বেশ। প্রথম বছর ৩২০ টাকা কেজি করে বাজারে বিক্রি শুরু করেন তিনি। এখন খুচরা বিক্রি  করছেন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। বছরে অন্তত ১০ টন কুল উৎপাদন হয় তার বাগানে, সেই হিসেবে বছরে তিনি আয় করছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫০ শতক জায়গায় গড়ে তোলা কুল বাগান পুরোটা নেট দিয়ে ঘেরা। ভেতরে প্রবেশ করে গাছে ঝুলতে দেখা যায় সবুজ-হলুদ ও লালচে বলসুন্দরী কুল। বিক্রির জন্য আব্দুর রহিম সহ কয়েকজন গাছ থেকে বরই তুলে ব্যাগে বা ঝুড়িতে রাখছেন। সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে গাছে ফুল আসে। আর তা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে পাকতে শুরু করে। আকারে বড় ও স্বাদে সুমিষ্ট হওয়ায় বাগানেই বিক্রি হয়ে যায় সব বরই। আব্দুর  রাহিম বলেন, ২০২১ সালে ইউটিউব দেখে কুল চাষে আগ্রহী হই আমি।  নিজেদের জমি না থাকায় নাটঘর গ্রামে ৫ বিঘা জমি প্রতি বছর ১৫ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে কুল চাষ শুরু করি। কুল চাষে প্রথম বছর খরচ হয়েছে বেশি, তারপরও আলহামদুলিল্লাহ লাভ হয়েছে৷ এখন আর বেশি খরচ হয়না, ৪ বছর পূর্বে যে গাছ লাগানো হয়েছে সেই গাছ গুলো থেকে প্রতি বছর ই কুল আসে। বর্তমানে আমার বাগানে ৪ ধরনের কুল রয়েছে—আপেল কুল, কাশ্মীরি কুল, বনসুন্দরী কুল ও বাউকুল । ফলন দেখে আমি খুব খুশি। প্রত্যেক দিন পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই কুল কিনে নিয়ে যান ৮০ টাকা ধরে। আর খুচরা বিক্রি করছি ১২০ টাকা ধরে। এ বছর সিজনের শুরুতেই আমি প্রায় ৫০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছি। আব্দুর  রাহিম আরও বলেন, প্রথমে ৩ বিঘা জমিতে কুলবাগান শুরু করলেও এ বছর তিনি আরও সাড়ে ২ বিঘা জায়গায় বাগান সম্প্রসারণ করেছেন। এ বাগানে আগামী বছর থেকে তিনি কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা করছেন, আব্দুর রাহিম তার বাগানে ৪ জন শ্রমিক নিয়ে পরিচর্যাসহ কূল চাষ করেন।  এলাকায় আব্দুর রাহিম নিজে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ শুরু করার পর তার সাফল্য দেখে কয়েকজনকে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।কুল চাষি আব্দুর রাহিমের দাবি এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন আর্থিক সহযোগিতা সে পায়নি৷ উপজেলা কৃষি অফিসে ও ইউনিয়ন কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেও কোন সহযোগিতা মেলেনি। উপজেলা কৃষি অফিসারদের সহযোগিতা পেলে কুল চাষে তিনি আরও এগিয়ে যেতেন বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, নাটঘরের বাগান সম্পর্কে সাংবাদিকদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার ফাস্ট প্রায়োরিটি হচ্ছে সকল কৃষককে পরামর্শ দেওয়া। আর উপযোগী সহযোগিতা হলো প্রকল্প ভিত্তিক, প্রকল্প যদি আর্থীক জোগান থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই পৌছে দিব। যেহেতু আমাদের পূর্বে প্রকল্প ছিলনা, এখন প্রকল্প আছে, তাহলে আমরা তাকে আন্তপরিচর্যার আওতায় আনার সুযোগ আছে এবং আমার সংশ্লিষ্ট যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছে তাকে আমি অবগত করে দিব সে যেন অবশ্যই কৃষকের যে চাহিদা সেই চাহিদা মত তাকে পরামর্শ প্রদান করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি-২৫/মওম

জাতীয় দলে ফিরতে বিসিবির কাছে কিছু দিন সময় চান তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন তামিম ইকবাল। মূলত তিনি নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। গুঞ্জন আছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আবারো জাতীয় দলে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নিশ্চিত করে কিছু বলেননি তামিম। বরং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড থেকে আরো কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

আজ সিলেটে নির্বাচক কমিটির সঙ্গে দুই দফা আলোচনার পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তামিম ইকবালের মতো একজন খেলোয়াড়কে সম্মান জানাই। তার সিদ্ধান্তেরও সম্মান জানাই আমরা। সেজন্য তিনি যদি একটু সময় নিতে চান আমাদের কাছ থেকে, আমার মনে হয় এটা ফেয়ার এনাফ। আমি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদেরও কোনো অসুবিধা নেই। এখানে তাড়া নেই। বেশি তাড়াহুড়ো করলে কিন্তু রান আউট হতে হয়!’

‘আগেই হয়তো তামিমের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের আরেকটু আলোচনা হতে পারতো। যাই হোক, সামনে আমাদের একটা বড় ইভেন্ট আছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো আলোচনাতেই সঙ্গে সঙ্গে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। কারণ এটা অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত।’-যোগ করেন তিনি।

আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই আসরের জন্য ১২ জানুয়ারীর মধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া দলগুলোকে। তার আগেই অবশ্য খসড়া স্কোয়াড বোর্ডে জমা দিতে চান লিপু। তাই তামিমের ব্যাপারে এর আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। তবে তার আগে ভাবার জন্য কিছু দিন সময় পাচ্ছেন তামিম।

লিপু আরও বলেন, ‘তার ঘনিষ্ঠজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা তার প্রিয় কোচ অথবা শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটা ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে একটু সময় নেওয়ার তো ব্যাপার এসেই যায়।’

‘আমাদের যেহেতু ১২ জানুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে, তার আগেই আমাদেরকে দলটা দিতে হবে বোর্ডের কাছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সময় আছে, সে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই।’

আলোকিত প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি-২৫/মওম

আনোয়ারা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে রাজাকার কমান্ডার জউল্লার সন্তান জাহেদ

এম জসিম উদ্দিন : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির তালিকায় রাজাকার কমান্ডার জালাল উদ্দীন আহমদ চৌধুরী প্রকাশ জউল্লার ছেলে মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ চৌধুরীর নাম মনোনীত হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারী ২০২৫ (সোমবার) আনোয়ারা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এই কমিটিতে ‘সংগঠক ও ছাত্র প্রতিনিধি’ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ১৯৭১-এ যুদ্ধকালীন আনোয়ারা থানা রাজাকার কমান্ডার জালাল উদ্দীন আহমদ চৌধুরী প্রকাশ জউল্লা রাজাকারের সন্তান মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ চৌধুরী। এ নিয়ে সমগ্র আনোয়ারায় বিএনপি নেতা- কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এশিয়াটিক সোসাইটির গবেষক লেখক ও প্রকাশক সাংবাদিক জামাল উদ্দিনের লিখিত ‘আনোয়ারা একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, আনোয়ারার উপকূলীয় এলাকা গহীরা গ্রামের জালাল উদ্দীন আহমদ চৌধুরী প্রকাশ জউল্লা রাজাকার ছিলেন যুদ্ধকালীন সময়ে আনোয়ারা থানা রাজাকার কমান্ডার।

জউল্লা ছিলেন একজন দুর্ধর্ষ রাজাকার। গবেষক জামাল উদ্দিনের বই থেকে আরো জানা যায়, ৭১-এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ নয়মাস আনোয়ারার জনপদে স্বাধীনতাকমী যত বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, যত গণধর্ষণ হয়েছে, জ্বালাপোড়াও হয়েছে সবই জউল্লা রাজাকারের হুকুমে হয়েছে। রাজাকার কমান্ডার জালাল চৌধুরী প্রকাশ জউল্লা রাজাকারের বিষয়ে জানতে চাইলে বৈরাগ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনছুর চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস এবং সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে আনোয়ারায়।

এই অঞ্চলে যত গণহত্যা, গণধর্ষণ, জ্বালাপোড়া হয়েছে সবই জউল্লা রাজাকারের নেতৃত্বে হয়েছে। তার ছেলে মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ আনোয়ারা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছে- এটি অত্যন্ত দু:খজনক এবং নিন্দনীয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনছুর চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ব্যথিত হয়েছি। মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার আপন ভগ্নিপতি আবুল কালামের সাথে দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। আবুল কালাম বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। চট্টগ্রামের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে তদ্বির করে বিগত ২০২৩ ইংরেজি সালে মুক্তিযুদ্ধ খাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছেন আবুল কালাম।

তিনি বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সরকারি সকল সুযোগসুবিধা ভোগ করে আসছেন। আনোয়ারার একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলোকিত প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আবুল কালাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কোনো ভূমিকা রাখেননি। তাঁকে মাঠে কেউ দেখেনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালাম বীরের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, এসব নোংরামির কারণেই বারবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কলঙ্কিত হচ্ছে। মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ চৌধুরী আনোয়ারা ক্রীড়া সংস্থা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, জাহেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন কি-না এবং তিনি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান এসব প্রমাণিত হলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে পরামর্শ করে জাহেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, আনোয়ারা ক্রীড়া সংস্থার সদ্য মনোনীত সদস্য স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান প্রমাণ পেলে তার সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

এ দেশ থেকে ইসলাম মুছে ফেলার সব ব্যবস্থা করেছিল হাসিনা: নূরুল ইসলাম মণি

মো.জিয়াউল ইসলাম: 
বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুছে ফেলার সব ব্যবস্থা করেছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। দেশের ইসলামী বক্তাদের নানা সময় গ্রেফতারও করেছিল।
এমন মন্তব্য করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মণি।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার ৮ জানুয়ারি বেলা ১১টার সময় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে টিন ও প্রত্যেক কে পাঁচ হাজার টাকার চেক বিতরণ কর্মসূচীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বরগুনা ২ আসনে যত উন্নয়ন হয়েছে সবই তার চিন্তা ও হাত হয়ে এসেছে। পাথরঘাটা-বামনার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের উন্নয়নে যা যা হয়েছে তার সবকিছুতেই তিনি অবদান রেখেছিলেন বলেও দাবী করেন।
মনি  আরো বলেন , শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুছে ফেলার সকল চক্রান্ত করেছিল। দেশের সব ধর্মীয় নেতাদের গ্রেফতার করেছিল। বিনা অপরাধে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করছে। দেশপ্রেমিক মিডিয়া বন্ধ করেছে। দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সর্বশেষ জুলাইয়ে   অভ্যুত্থানে শত শত ছাত্র-জনতা কে হত্যা করেছে।
পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৪২০ জন মানুষের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কার্যক্রমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাথরঘাটা শাখার আমীর হাফেজ মাওলানা মাসুদুল আলম, ইসলামী আন্দোলন পাথরঘাটা শাখার সভাপতি মোঃ সোহাগ বাদশাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিতরণ কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান খান।
এদিকে বিকেলে পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব অর্থায়নে কম্বল ও রিক্সা বিতরণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি-২৫/মওম

সাড়ে ৭ বছর পর মায়ের বুকে তারেক রহমান!

আলোকিত প্রতিবেদক: লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পৌঁছানোর পর পরই খালেদা জিয়াকে রিসিভ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ সাত বছর পর মাকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন ছেলে তারেক রহমান অনেক অনুভূতি। এ সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয় তখন। মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মা-ছেলের ছবি গুলো।

তারেক রহমানের পর খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ধরেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানও।

উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। পৌঁছানোর পর বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান।

বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হতে পারে লন্ডন ক্লিনিকে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হয় তিনি। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নেত্রকোনায় তিন শতাধিক অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ৩১ বিজিবি’র কম্বল বিতরণ

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) সদর দপ্তর  এবং সীমান্ত একাকায় তিন শতাধিক দুস্হ অসহায়, হত-দরিদ্র এবং শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল ) বিতরন করেছে।
নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চলতি মওসুমে ভারতীয় সীমান্তবর্তী নেত্রকোনা জেলায় হাড় কনকনে শীত ও তীব্র শৈত্য প্রবাহ পরিলক্ষিত হওয়ায় অসহায়, হত-দরিদ্র, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এরই প্রেক্ষিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) অসহায়, হত-দরিদ্র এবং শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই আলেকে বুধবার সকাল ১১টায় পারলাস্থ বিজিবি ক্যাম্পে ১০০ দুস্থ, অসহায়, হত-দরিদ্র ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন(৩১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মোঃ আওয়াল হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও জোয়ানরা। এছাড়াও নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) উদ্যোগে ভারতীয় সীমান্তবর্তী চারুয়াপাড়া, বিজয়পুর, লেঙ্গুরা ও পাঁচগাওসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরে ২ শতাধিক হত দরিদ্র শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরন করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি-২৫/মওম

“আর্ন এ্যান্ড লিভ” এর পক্ষ হতে অসহায় ও দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

মোঃ সাইদুর রহমান, মির্জাপুর : যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন “আর্ন এ্যান্ড লিভ” প্রতিবন্ধি মানুষের সেবার পাশাপাশি সমাজে বসবাসরত অসংখ্য দারিদ্র্য জনগোষ্ঠির মাঝেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। “আর্ন এ্যান্ড লিভ” এর অর্থায়নে প্রতিবছর দেশের প্রতিটি জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই বছরও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে “আর্ন এ্যান্ড লিভ” এর পক্ষ হতে পৌঁছে যাচ্ছে শীতবস্ত্র।
সেই ধারাবাহিকতায় ৮ই জানুয়ারি, রোজ বুধবার, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা গ্রামে প্রায় দুইশতাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল উপহার প্রদান করা হয়। যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও “আর্ন এ্যান্ড লিভ” এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা ইয়াসমিন জেসির সার্বিক সহযোগিতায় এই কম্বল বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জামান (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদ), আব্দুল জলিল (শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মির্জাপুর উপজেলা বিএনপি), গোলাম মুস্তাফা, শাহ্ আল মাসুদ, “আর্ন এ্যান্ড লিভ” সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “আর্ন এ্যান্ড লিভ” বিদেশ থেকে যেভাবে এই দেশের মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
“আর্ন এ্যান্ড লিভ” সংগঠনের সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে কেমন অনুভতি হচ্ছে এমন কথা জানতে চাইলে, সাহায্য প্রাপ্ত মোছাঃ রিনা বেগম বলেন; শীতে ঘুমাতে পারিনা এহন কম্বল পেয়ে তাও একটু আরামে ঘুমাতে পারুম।
সখিনা বেগম তাঁর অনুভতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহ যেন ফরিদা আপার ভালা করে তিনি যেনো আমাগো আরো বেশি বেশি সাহায্য করতে পারে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী “আর্ন এ্যান্ড লিভ” এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা ইয়াসমিন জেসির সাথে মোবাইলের মাধ্যমে কথা হলে তিনি বলেন, এই শীতে বাংলাদেশের হাজার মানুষ কষ্ট করছে। এ পর্যন্ত ৪০ টি জেলায় শীতবস্ত্র পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

কালিয়াকৈরে ট্রাক ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহ*ত-৩

শাহআলম সিকদার: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় ট্রাক ও অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রিপন মিয়া নামে আরেক যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল  মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার নয়ানগর এলাকার গোপাল চন্দ্র রায়ের ছেলে অয়ন রায়, সুত্রাপুর এলাকার মৃত বাসুদেব দাসের ছেলে সুদেব সুদেব দাস, বড়গোবিন্দপুর এলাকার অটোচালক করিম মিয়া।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২ নং চাপাইর ইউনিয়নের জৈনা বাজার থেকে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা অট রিক্সাটি মেদি কাঞ্চনপুর এলাকায় পৌঁছালে ইট বোঝা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে অটো রিক্সা যাত্রী অয়ন রায় ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং গুরুতর অবস্থায় বাকি তিনজনকে টাঙ্গাইল মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার  পর কর্তব্যরত চিকিৎসক  অটোচালক করিম মিয়া ও সুদেব রায়কে মৃত ঘোষণা করেন ও রিপন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে  রেফারার্ড  করা হয়।
কালিয়াকৈর থানার এস আই মোঃ জাহিদ হাসান বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে একটি লাশ উদ্ধার করি এবং জানতে পারি হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুইজন মারা গেছে ও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে  ভর্তি আছে। তবে ঘাতক ট্রাক আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

একনেকে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হবে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

৮ জানুয়ারি বুধবার একনেক সভায় অনুমোদন করার জন্য প্রকল্পগুলো উত্থাপন করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন সভায় চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়, যার মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারিত। প্রকল্পটির খরচ হবে ৪৩৭.০৭ কোটি টাকা এবং এটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

মোংলা বন্দরে পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্পও পরিকল্পনায় রয়েছে, যা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৫৩৮.১৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৩৮৪.৩৭ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১৫৩.৮২ কোটি টাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে হবে।

মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি ৭৬৭.২৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৩৬.৫৬ কোটি টাকা হবে। এটি বাস্তবায়ন করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মেয়াদকাল জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।

এছাড়া, “Establishment of Global Maritime Distress and Safety System & Integrated Maritime Navigation System (EGIMNS)” প্রকল্পটি ১১৩.৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৩২.৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা নৌপরিবহণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদি।

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি ২২৩.৭৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬১৫.৭৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ  (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।

ডাল এবং তেলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) বাস্তবায়িত হবে ২৬৫.৭৮ কোটি টাকায়, যা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিচালনা করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল নভেম্বর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত।

সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি” প্রকল্পটি ৪৯৯.৯৯ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি। এর মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৯ পর্যন্ত।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৭৩.৪০ কোটি টাকা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত।

ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন” প্রকল্পটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) বাস্তবায়ন করবে, এবং এর ব্যয় হবে ৬৪৬.৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল অক্টোবর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।

শেষে, Construction of Bangladesh Buddhist Monastery Complex at Lumbini Conservation Area, Nepal প্রকল্পের ব্যয় হবে ৬৮.০৮ কোটি টাকা, যা বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।

আলোকিত প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি-২৫/মওম

ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

২০১৬ সালে গুম হয়েছিলেন মীর আহমেদ বিন কাসেম। জামায়াত নেতা মীর কাসিমের ছেলে আহমেদ বিন কাসেম ব্যারিস্টার আরমান হিসেবেও পরিচিত। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলে দীর্ঘ আট বছর পর বাড়ি ফেরেন তিনি। ওই সময় দেখা যায়, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী আরমান রুগ্ন হয়ে গেছেন। তাকে চেনাও যাচ্ছিল না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ৮ জানুয়ারি বুধবার জানিয়েছে, নিখোঁজ আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। টিউলিপ যেহেতু ব্রিটেনের নাগরিক এবং এমপি ছিলেন। তাই ওই সাংবাদিক মনে করেছিলেন, হাসিনার কাছে একটি ফোন করলে আরমান হয়ত মুক্তি পেতে পারেন। তবে চ্যানেল-৪ এর ওই সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন টিউলিপ। তিনি পরবর্তীতে তার ক্ষমতা এবং প্রশাসনকে দিয়ে আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করান বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, “চ্যানেল-৪ প্রতিবেদনটি প্রচার করার কয়েক ঘণ্টা আগে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আমার বাড়িতে যায়। আমার স্ত্রীকে চুপ থাকতে বলে। বাইরের দেশের কার কার সঙ্গে আমার স্ত্রীর যোগাযোগ আছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে। তাকে এমনভাবে হেনস্তা করে যেন কোনো সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার ব্যাপারে টিউলিপকে জিজ্ঞেস করার বিষয়টি কোনোভাবে যেন শেখ পরিবারকে আঘাত করেছিল। এ জন্য প্রশাসন থেকে এমন আচরণ করা হয়েছিল।”

চ্যানেল-৪ এর সাংবাদিক ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে যান। তাকে ব্যারিস্টার আরমান সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, ‘আপনার একটি ফোন কল অনেক পার্থক্য গড়ে দিতে পারে’। তখন ওই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন টিউলিপ। তিনি তাকে উল্টো জিজ্ঞেস করেন, ‘আরমান কী তার সংসদীয় আসনের কেউ? তিনি কী ব্রিটিশ’? জবাবে সাংবাদিক বলেন, ’আরমান বাংলাদেশি। তার পরিবার আপনার কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছে কিছু করার জন্য।’

তখন টিউলিপ বলেন, ’আপনি কী জানেন আমি ব্রিটিশ এমপি এবং আমার জন্ম হয়েছে লন্ডনে।’ চ্যানেল-৪ এর সাংবাদিক বলেন, ’কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আপনার গভীর সম্পর্ক আছে। আপনি নিজেই বলেছেন আপনি আওয়ামী সরকারের মুখপাত্র। আপনার খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ ওই মুহূর্তে টিউলিপ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ’আপনি কী বলতে চান আমি বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ? আমি ব্রিটিশ এমপি। আমাকে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ বলার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এটি বলে তিনি চলে যেতে থাকেন। তখন ওই সাংবাদিক বলতে থাকেন, ’আপনি আরমানের ব্যাপারে একটি ফোন দিতে পারবেন না? কেন পারবেন না।’

ব্যারিস্টার আরমান লন্ডনে পড়ালেখা করেছেন। ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বাবার বিচার চলাকালে তিনি তার আইনজীবীর ভূমিকা পালন করছিলেন। ঠিক তখনই তাকে গুম করা হয়।

আরমানের ব্রিটিশ আইনজীবী মাইকেল পলক বলেছেন, “চ্যানেল- ৪ কে যেন ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করতে, সেজন্য তার বাড়িতে ওইদিন র‌্যাবের সদস্যরা গিয়েছিল। দেখুন, আপনি একজন ব্রিটিশ এমপিকে একটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, এরপরই র‌্যাবের মতো বাহিনীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। যেটি হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত।”

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার দল লেবার পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কেউই কোনো কথা বলেননি। তবে টিউলিপের এক সহযোগী বলেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়টি নিয়ে ফরেন অফিসে পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/৮ জানুয়ারি-২৫/মওম