আজ শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 166

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল আটক

আলোকিত প্রতিবেদক:

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

২৫ জুন বুধবার রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশের একটি দল আজ দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন (মামলা নম্বর-১১)। মামলার মোট ২৪ জন আসামির মধ্যে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নামও রয়েছে।

একই মামলার আসামি সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত তোলা হলে তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ জুন ২০২৫/মওম 

ইরানে হামলার পরও যেভাবে ব্যর্থ হলো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি: ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কি ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরায়েল? উত্তরটি সম্ভবত “না”। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরান সম্ভবত অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্দোতে থাকা গোপন ফিসনযোগ্য পদার্থ সরিয়ে নেয়, যা ছিল দেশটির পুরো পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান বা মূল বিষয়। ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘ডিক্যাপিটেশন’ বা মাথা কেটে ফেলা হয়নি বলেই ধরে নেওয়া যায়।

ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল, যাতে তারা ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি) ব্যবহার করে বাংকার ধ্বংসকারী হামলা চালায়। তবে এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সক্রিয় সহায়তা দেয়নি ইসরায়েলকে।

এখন পর্যন্ত এই হামলায় আসলেই কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার নিরপেক্ষ মূল্যায়ন অসম্ভব। কারণ ইরান আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না।

সরকার পতনের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে:

ইসরায়েল কি ইরানে “শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন” আনতে পেরেছে? এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, তারা অনেকটা বিপরীত ফল অর্জন করেছে। ইরানের বিভিন্ন নিরাপত্তা কাঠামোর সামরিক নেতাদের হত্যা করে ইসরায়েল ইরানি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করার চেষ্টা করেছিল।

ইসরায়েল বিশ্বাস করে, শীর্ষ নেতাদের হত্যা করলেই শত্রুপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই কৌশলেই তারা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছে। অথচ এই বাহিনী অনেক ইরানির অপছন্দের হলেও ইসরায়েলের এই হামলার সময় সাধারণ মানুষই সরকারের পাশে দাঁড়ায়।

দেশের ওপর আঘাত এসেছে—এই উপলব্ধি থেকেই বিরোধীরাও সরকারকে সমর্থন করে। এছাড়া এভিন কারাগারে হামলা করে ইসরায়েল দাবি করেছিল, তারা রাজনৈতিক বন্দিদের সাহায্য করছে। বাস্তবে এতে বন্দিদের অবস্থা আরও খারাপ হয়, কারণ অনেককে গোপন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এছাড়া এই ধরনের কৌশল কখনোই কাজ করেনি। একমাত্র সম্ভাব্য ব্যতিক্রম ছিল হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর ফলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর সৃষ্ট প্রভাব, কিন্তু এর সাথে লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গতিশীলতার অনেক সম্পর্ক ছিল। অন্য সব ক্ষেত্রে, ইসরায়েলের চালানো হত্যাকাণ্ড কোনও বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

অন্যদিকে ‘ইসরায়েল ডুমসডে ক্লক’ বা ঘড়ি ধ্বংস, কিংবা ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি ভবনে হামলার মতো প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে তেমন কোনো সমর্থন পায়নি। বরং এ কর্মকাণ্ড বা হামলা কিছুটা হাস্যকরই ঠেকেছে।

আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় হয়নি : যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালেও, তারা সরাসরি ইসরায়েলের যুদ্ধযাত্রায় শরিক হয়নি। মার্কিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার পরপরই যুদ্ধবিমান ফিরিয়ে নেন এবং আবারও আলোচনার কথা বলেন— এমনকি ইসরায়েল-ইরান উভয়ের সঙ্গে।

বিশ্বনেতারা ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেননি। কেউই বলেননি যে ইরান পুরোপুরি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বন্ধ করুক। বরং সবাই আগের অবস্থানে ফিরে যান— ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে। ইরানও বলে এসেছে, তারা এই বোমা বানাতে চায় না।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বৈধতা ও অবস্থান অটুট: বিশ্বের দৃষ্টিতে ইরান এখনো একটি বৈধ পক্ষ। ইউরোপ, চীন বা ভারত— সবাই তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই ভারসাম্যে ইসরায়েলের জন্য এটি একটি কৌশলগত পরাজয়।
ইসরায়েলে ক্ষয়ক্ষতি ও সংকট: যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল ইরানের ওপর দ্রুততার সাথে আকাশে প্রাধান্য বিস্তার করতে পারলেও, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বহুবার ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হানে, দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করে।
ইরান: বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হলেও স্থির । ইসরায়েলের হামলায় ইরানে শত শত মানুষ হতাহত ও দেশটি পরিকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলেও ইসলামি প্রজাতন্ত্র টিকে আছে। তেহরান ধসে পড়েনি। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে, বিশ্বে তারা ‘আক্রান্ত দেশ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলার আগে তারা যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটিও ছিল কৌশলগত সাফল্য। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ট্রাম্পকে পর্যন্ত নেতানিয়াহুকে থামাতে ফোন করতে হয়।

মোটকথা, ইসরায়েল চেয়েছিল ইরানকে দুর্বল করে দুনিয়াকে দেখাতে যে তারা সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের নায়ক। বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে, কিন্তু ইরান এখনো দাঁড়িয়ে আছে। যদিও সামনে আরও সংঘাতের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় এই মতামত নিবন্ধটি লিখেছেন ওরি গোল্ডবার্গ। তিনি ইরান-ভিত্তিক রাজনীতি ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ জুন ২০২৫/মওম 

মার্কিন হামলার বিষয়ে ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা তথ্য প্রত্যাখ্যান করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের ওপর মার্কিন হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস হওয়া সম্পর্কিত প্রতিবেদনের কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন গণমাধ্যম এবং তাদের প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

তিনি বলেন, ভুয়া খবর সিএনএন, ব্যর্থ নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক হয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল সামরিক হামলাগুলোর মধ্যে একটিকে খাঁটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। টাইমস এবং সিএনএন উভয়ের সমালোচনা করছে জনগণ।

ট্রাম্প প্রশাসন সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চাপ অব্যাহত রেখেছে যেখানে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর মার্কিন হামলা দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে পারেনি।

ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘নিখুঁতভাবে’ আঘাত হেনে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো তাদের প্রতি ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ যারা এই হামলা চালিয়েছে। এর আগে এই হামলাকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল সামরিক হামলাগুলোর মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘অস্পষ্ট শব্দ’ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য।

বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডেমোক্র্যাট ব্র্যাড শেরম্যান বলেছেন, ইরান এখনও তাদের মজুদ ধরে রেখেছে যা প্রায় ‘নয়টি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য যথেষ্ট’।

তিনি আরও বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য জরুরি সেন্ট্রিফিউজগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস করতে পেরেছে এমন কোনো ইঙ্গিত হোয়াইট হাউজ থেকে পাওয়া যায়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ জুন ২০২৫/মওম 

মানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

সৈয়দ এনামুল হুদা : মানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে উপজেলার ঘিওর ডি,এন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরষ্কার প্রদান করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খানম রিতা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোকসেদুর রহমান, আজাদ হোসেন খান, নূরতাজ আলম বাহার, খন্দকার ফারহানা ইয়াসমিন আতিকা, সানজিদা রহমান ছন্দা, শিক্ষক আফজাল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন -ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, সাধারণ সম্পাদক কাজী ওয়াজেদ আলী মিস্টার, সহসভাপতি আব্দুল আলীম খান মনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন ভূইয়া সহ আরও অনেকে। এসময় আফরোজা খানম রিতা বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের আগামী দিনের নেতৃত্ব, দেশ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষার্থীকে শুধু ভালো ফল করলেই হবে না, তার মধ্যে নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনীতে জাতীয়তাবাদ বিরোধী চক্রান্ত রুখে দেয়ার আহ্বান

বার্তা প্রেরক এবিএম সোহেল রশীদ: জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের ঈদ পুণর্মিলনী ও সংগঠনের সভাপতি কবি শাহীন রেজার জন্মদিন গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি শাহীন রেজা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সত্তর দশকের অন্যতম প্রধান কবি ড. মাহবুব হাসান। প্রধান বক্তা ছিলেন ফোরামের সমন্বয়ক কবি ড. শহিদ আজাদ। কবি এবিএম সোহেল রশীদ এবং শিক্ষাবিদ ও লেখিকা মিতা আলীর উপস্থাপনায় শতাধিক কবি লেখক ও সাংবাদিকের মধ্যে থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও কবিতা পাঠ করেন কবি কামার ফরিদ, ফেরদৌস সালাম, শামীমা চৌধুরী এলিস, জাকির আবু জাফর, শাহীন চৌধুরী, প্রফেসর জে আলী, ফরিদ ভূইয়া, ক্যামেলিয়া আহমেদ, আতিক হেলাল,জালাল খান ইউসুফী, হাসিনা মমতাজ, আবীর বাঙালি, আবিদ আজম, সৈয়দ রনো, মঈন মুরসালিন, আলম বাঙ্গালী, পলি রহমান, উমর ফারুক, মালেক মাহমুদ, রবিউল মাশরাফি, সাহেদ বিপ্লব, মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন, শহীদুল জাহিদ, মামুন সারোয়ার, সাজেদা চৌধুরী হেলেন, রোখসানা রহমান, খালেদা সর্দার, আফিয়া রুবী, এডভোকেট শেখ মনিরুজ্জামান , মুক্তা পারভীন, কে এম কাওসার, সঞ্চয় কবির, সরকার হুমায়ুন, জাহিদ মাহমুদ, আতিকুজ্জামান খান, মুরশিদুল আলম, আবুল খায়ের, রানা হামিদ, সামান্থা, জাহাঙ্গীর যুবরাজ, লুৎফর চৌধুরী, আবু তাহের, আরিফ রহমান, শাহীন রহমান, খালিদ সাঈফ, সরদার আব্বাস উদ্দিন, সুমন রায়হান, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ মামুন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জাবেদ পাটওয়ারী, সবুজ তালুকদার, এস এম শাহানুর হোসেন, ডাঃ আনসারউদ্দিন ভুইয়া, কে এম নুরুন্নাহার, ইফতেখার গালিব, ইসলাম উদ্দিন, মাহমুদুন নবী জ্যোতি প্রমুখ।

সংগঠনের অন্যতম সংগঠক মোসলেহউদ্দীন এর ব্যবস্থাপনায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহবান জানান। প্রধান অতিথি ডঃ মাহবুব হাসান বলেন, কবি শাহীন রেজা জাতীয়তাবাদী লেখকগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার যে দুরুহ কাজ ১৯৯৯ সালে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে তা আবার নতুন করে একটি সংগঠিত শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য একটি আশার বিষয় । আমি এই সংগঠন দেশের জাতীয়তাবাদী লেখক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করুক এই প্রত্যাশা করি।

সংগঠনের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডঃ শহীদ আজাদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। বেগম খালেদা জিয়ার হাত ঘুরে সেই ঝান্ডা এখন তারেক রহমানের হাতে। এ মূহুর্তে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এ চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তি কোনো বিদেশী প্রভুর তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করেনা। দেশপ্রেমই তাদের শক্তির একমাত্র উৎস।

সভাপতির বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, এ জাতির উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির একমাত্র চালিকাশক্তি আমাদের জাতীয়তাবাদ। শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠিত এই আদর্শকে বুকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম এক্ষেত্রে থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করবে। মানুষের চেতনার অগ্নিমশাল হয়ে সকল দেশবিরোধী চক্রান্তকে রুখে দেবে। তিনি, সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী হওয়ার আহবান জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

শিবালয় সদরউদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি: সভাপতি রবিন, সম্পাদক শিহাব

আঞ্চলিক প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ) শিবালয় উপজেলার সদরউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ ও মো: সিরাজুল রহমান খান সজিব স্বাক্ষরিত পত্রে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটিতে রবিন খান সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাঈমুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শিহাব আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গঠিত কমিটিকে আগামী ২১ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

চসিক মেয়রকে ১ ঘন্টা রিকশা ভ্রমণের অনুরোধ জানালেন আবিদ

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের তরুণ সমাজকর্মী ও সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ আজ তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে খোলা চিঠির মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে নগরীর হালিশহর এলাকায় ১ ঘন্টা রিক্সা ভ্রমনের অনুরোধ জানান। খোলা চিঠিতে মুহাম্মদ আবু আবিদ লিখেন, “আসসালামু আলাইকুম , আপনার উদ্দীপ্ত পথ চলা ও সক্রিয় কর্মকৌশল আমাকে এই চিঠি লেখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আপনার সাথে আমার ২০১৯ সাল থেকে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকলেও এখানে চিঠি লেখার কারণ হল- ভবিষ্যৎ এ চিহ্নিত সমস্যাগুলো নিয়ে সচেতন নাগরিকরা যেন ফেসবুক-কে জানানোর একটা মাধ্যম হিসেবে বেঁছে নেয়। তাই ব্যক্তিগতভাবে না বলে সবার সামনে এই খোলা চিঠির নিবেদন… হালিশহর আমার জন্মস্থান। ঢাকার যান্ত্রিকতা জীবন শেষে ছুটিতে যখন হালিশহর আসি, তখন রিকশায় করে এলাকা ঘুরি। এলাকায় ঘুরাফেরায় করতে যেয়ে আমাকে ঢাকার অধিকাংশ অর্থোপেডিক ডাক্তারাই এখন চেনে। ২৩ বছর বয়সে আমি এখন ভীষণ ব্যাকপেইন এর রোগী। এসব আপনাকে বলার কারণ হল- হালিশহরের বেহাল রাস্তা। আপনাকে বিনয়ের সাথে স্মরণ করিয়ে দেই, আমার লাইভ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে আপনি বলেছিলেন মেয়র হলে সবার আগে আপনি চট্টগ্রামে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে জলাবদ্ধতা নিরসন ও হঠাৎ রাস্তা কাটাকাটি বন্ধ করবেন।”
মুহাম্মদ আবু আবিদ আরও লিখেন, “চট্টগ্রামে হালিশহর নিরীহ মানুষের এলাকা বলেই হয়তো বিভিন্ন প্রকল্পে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করা হয়। সুয়ারেজ প্রকল্পের নামে হালিশহরের প্রতিটা রাস্তা ওপেন হার্ট সার্জারী করা হয়েছে। পুরোদিন রাস্তার মোড়ে মোড়ে যানযট লেগে থাকে। বিশেষ করে দিন আনা-দিন খাওয়া অটোরিকশা চালকদের ঘাড়ে দোষ চাপালেও প্রকৃত সমস্যার মূল হলো এই অদক্ষ ও অগোছালো প্রকল্প বাস্তবায়ন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিশাল করে চারদিক থেকে টিনের বেড়া দিয়ে মাসের পর মাস আটকিয়ে রাখাটাই রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য মূল দায়ী। আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয়, মেশিন রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ না করে রাস্তার বড় একটা অংশ এভাবে গ্যারেজ বানানোর অনুমতি কি প্রকল্পে ছিল? তাও এমন চালহীন বিশাল ঘর বানাতে রাস্তার সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোই নির্ধারণ করেন তারা। কি অদ্ভুত! হালিশহরবাসীর কপালটা একবার ভাবুন, পুরোদিন রোলার কোস্টারের অনুভূতি পেয়ে, যানযট উপেক্ষা করে তীব্র ব্যাকপেইন এর ব্যথা সহ্য করে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করতে যাবে, ওমনি রাতে শুরু হয় রাস্তা কাটা মেশিনের বিকট শব্দ। কি বিভৎস জীবন পার করছে, তারা একবার ভাবুন। সমাধান কী, আমি জানি না। কিন্তু আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ—আপনি একবার রিকশায় হালিশহরের অলিগলি ঘুরে দেখুন। বাস্তবতা অনুভব করুন। আমি বিশ্বাস করি, আপনি নিজেই কোনো না কোনো সমাধানের পথ খুঁজে বের করবেন। এই মুহূর্তে উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে সমাধানের সুযোগ হয়তো আর আসবে না। কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠান আর তাদের মধ্যকার আমলাদের সমন্বয়ের অভাব চিরন্তন।”

এলাকাবাসী ও বিশিষ্টজনেরা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর খোলা চিঠির পোস্টে সমর্থন জানিয়ে এলাকার দুরাবস্থার কথা কমেন্টে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও এই খোলা চিঠির মাধ্যমে মুহাম্মদ আবু আবিদ নেটিজেনদেরও প্রশংসা পাচ্ছেন।

আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে: আমিনুল হক

ইমরান হোসেন : বিশেষ প্রতিনিধি। 
প্রকাশ,২৪ জুন রোজ মঙ্গলবার ২০২৫ ইং
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে শেরে বাংলা নগর থানা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় আয়োজিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আমাদের রাজনীতি, কর্মকাণ্ড ও কর্মপরিকল্পনা হবে এদেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য।” তিনি আরও বলেন, “সহনশীলতা ও ধৈর্য ধারণ করে, জনগণের মতামত ও সকলকে সাথে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই।”
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত মব ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা মব তৈরি করছে, বিশৃঙ্খলা করছে, তাদের প্রতি বিএনপির কোনো সমর্থন নেই। এমনকি যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
দলের ভেতর অনুপ্রবেশকারী বিষয়ে সতর্ক করে আমিনুল হক বলেন, “অনেকেই আছেন যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে লিপ্ত, অথচ দলের সাথে তাদের প্রকৃত কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সম্পর্কে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর ধরে অন্যায়কারী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেই পথে হাঁটে না। বিএনপি সাধারণ মানুষের ভাষা বোঝে এবং সেই ভাষা অনুযায়ী উন্নয়নমুখী রাজনীতি করে।”
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, “যারা রাজপথে জীবন উৎসর্গ করেছেন, আন্দোলন করেছেন, তাদের সদস্যপদ আগে নবায়ন হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করেছে, রাতের আঁধারে চা খেয়েছে, ব্যবসা ঠিক রেখেছে কিংবা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলেছে, তাদের সদস্যপদ নবায়নের কোনো সুযোগ নেই।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর উত্তর এর যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মুহাম্মদ ইউসুফ, মোঃ শাহ আলম, মহানগর সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন, এম এস আহমাদ আলী, আশরাফুজ্জাহান জাহান, তাসলিমা রিতা, নূরুল হক ভূইয়া নূরু, মনিরুল ইসলাম রাহিমী, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব এ্যাড. রুনা লায়লা, তেজগাঁও থানা বিএনপি আহবায়ক ইন্জিঃ মোঃ মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান কবির, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নাঈম, যুগ্ম আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, থানা বিএনপির সিনিয়র সদস্য আমজাদ হোসেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ নূরুল হক, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনায়েতুল হাফিজ, মীর মোঃ কামাল হোসেন, মিজানুর রহমান ইসহাক, নাসির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন মাসুদ, চৌধুরী বকশী, মোঃপুর থানা ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, সাধারণ সম্পাদক ওসমান রেজা, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু, ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক রনি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ইরানে আর কোনো হামলা হবে না: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের বিরুদ্ধে আর কোনো সামরিক হামলা চালানো হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৪ জুন মঙ্গলবার নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, ইসরায়েল আর ইরানকে আক্রমণ করতে যাচ্ছে না। যুদ্ধবিমানগুলো ‘বন্ধুত্বসূচক প্রদর্শনের’ মাধ্যমে ইরানকে শান্তির বার্তা দিয়ে ফিরে যাবে।

ট্রাম্প আরও লেখেন, কেউ আর আঘাত পাবে না। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে যে ‘তীব্র হামলার’ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানায়। এরপর আবারও উত্তেজনা তৈরি হতে শুরু করে। তবে ট্রাম্প্রের এই বার্তা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এখন এই উত্তেজনাকে এখন শান্ত করার চূড়ান্ত উদ্যোগ নিচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বার্তা কেবল তেহরান নয়, নিজ দেশের ভেতরেও শান্তিপ্রিয় মহল ও কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা। যদিও ইসরায়েল সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সরাসরি হস্তক্ষেপ ঘটনাকে এক নতুন মোড় দিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ জুন ২০২৫/মওম 

টেকনাফের মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মর্টার সেল – গ্রেনেডসহ অস্ত্র উদ্ধার

হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ। কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড, গুলি, মার্টার শেল, রাইফেলসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- তিনটি ৬০ মিলিমিটার মর্টার শেল, চারটি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি বডিসেট ফিউজ, তিনটি অতিরিক্ত ফিউজ, একটি দেশীয় পিস্তল (ওয়ান শুটার গান) এবং রাইফেলের ১০ রাউন্ড গুলি।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং বিলাসীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান শুরু করে বিজিবির একটি দল। এ সময় সীমান্ত পিলার বিআরএম-১৮ থেকে আনুমানিক ২ কিমি দক্ষিণে একটি ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে রাখা (পরিত্যক্ত) অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের পর জড়িতদের গ্রেপ্তারে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বিজিবির তদন্ত চলমান। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে গত ২০ মে টেকনাফের স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকার একটি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি জি-৩ ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করে কোস্টগার্ড। মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে—এমন সংবাদের কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মে কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া নেচার পার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফের বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড, গ্রেনেডের ডেটোনেটর, রাইফেল ও পিস্তলের গুলি উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
ওই সময় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, একটি পুকুরে পরিত্যক্ত অবস্থা লুকিয়ে রাখা বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেডের ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে ওই পুকুর পাড়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ২৭ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ২ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি