আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 18

ধূমপান করতে দেখে ফেলায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

অনলাইন ডেস্ক, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. আরাফাত হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন আসামি।

বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

বুধবার (০৪ জুন) ভোরে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপা খাতুনের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পরিত্যক্ত বাড়ির কক্ষ থেকে বিভিন্ন নেশার টেবলেট ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আসামি মো. আরাফাত হোসেন বিন্নাদাইর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে ও বাঘাবাড়ি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সে নিহত লামিয়ার সম্পর্কে চাচাতো মামা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩ জুন দুপুরে ছোট বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রীর পরিত্যক্ত বাড়িতে জামরুল কুড়াতে যায় শিশু লামিয়া। তখন ওই বাড়ির রান্নাঘরে বসে ধূমপান করছিল মো. আরাফাত হোসেন। বিষয়টি লামিয়া দেখে ফেললে তা তার নানাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাকে মুখ চেপে ধরে আরাফাত। এ সময় লামিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মুখের মধ্যে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাড়ি থেকে স্কচটেপ এনে হাত বেঁধে মুখে পেঁচিয়ে ধর্ষণ করে। পরে লামিয়া নড়াচড়া না করায় বুঝতে পারে মারা গেছে। তখন বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে লাশ ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে যায় আসামি।

তিনি আরও জানান, বুধবার ভোরে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন নিহত লামিয়ার বাবা মো. নাজিম সরকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন আরাফাতকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৩ জুন) বিকেলে নানা আব্দুর রশীদের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় লামিয়া। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পরও লামিয়াকে না পাওয়ায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রাতভর অভিযান চালিয়ে ভোর ৪টার দিকে বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপার পরিত্যক্ত বাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

 

সর্বস্তরের সবাইকে ঈদুল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মো: দিপু ( খান) 

জেলা প্রতিনিধি : মো: সুজন মাহমুদ, প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুঁশি। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে মদনপুর ইউনিয়নবাসী তথা সর্বস্তরের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন মদনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী দিপু (খান)। এক শুভেচ্ছা বিবৃতিতে তিনি গণমাধ্যমকে জানান ‘মদনপুর ইউনিয়নবাসী তথা সর্বস্তরের সকলকে ঈদ-উল-আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি। ঈদুল আযহা ত্যাগের মানসিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষা দেয়। ভোগে নয় ত্যাগেই সুখ। ত্যাগের মাধ্যমে আমাদের অন্তরকে শুদ্ধ করতে হবে এবং প্রতিটি বিষয়ে ত্যাগের মানসিকতা জাগ্রত করতে হবে।

আসুন সকলে একে অপরের সুখে দুঃখে পাশে থাকি এবং সুন্দর সমাজ গড়তে একতাবদ্ধ থাকি। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক’।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বাঘায় পার্টনার কংগ্রেস এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আব্দুল আলিম বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি  রাজশাহীর বাঘায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্প এর আওতায় দিন ব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(৪জুন’২৫) উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি  উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার। উপজেলা কৃষি অফিসারের স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।
সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি,প্রধান অতিথি উম্মে ছালমা। তিনি রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক। প্রকল্প সমূহ এর বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন কর্মশালার বিশেষ অতিথি  মনিটরিং অফিসার পার্টনার প্রকল্প ডিএসই আব্দুল লতিফ। বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কৃষি াফিসার নুসরাত জাহান। কৃষি সম্প্রসারন অফিসার সোহানুর রহমানের সঞ্চালনায়,কৃষকের পক্ষ থেকে আম রপ্তানি সহ অন্যান্য কৃষি পণ্যের বিষয়াদি নিয়ে বক্তব্য দেন সফল কৃষক শফিকুল ইসলাম ছানা।
উপস্থিত ছিলেন,প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ আমিনুল ইসলাম,কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কাউসার আহমেদ,  প্রকল্প অফিসার মাহমুদুল হকসসহ কৃষকরা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ডা. জুবাইদা ও ব্যারিস্টার জাইমার ফেসবুকে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই : রিজভী

আলোকিত ডেস্ক, তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমানের নামে ফেক আইডি খুলে চরিত্র হননের প্রতিবাদ রুহুল কবির রিজভী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে দেশবাসীকে ঈদুল আযহার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন – সাংবাদিক বন্ধুরা, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডাঃ জুবাইদা রহমান ও তাঁদের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে ফেইক ও মিথ্যা ফেসবুক একাউন্ট খুলে অসত্য, বানোয়াট মন্তব্য পোষ্ট করছে। এছাড়াও এ আই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করে অসাধু প্রতারকচক্র ডাঃ জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের ছবি ও ভিডিও তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। এ কাজ দুষ্টচক্রের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এসব অপপ্রচারের লক্ষ্য হচ্ছ জনমনে জিয়া পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

যারা এ ধরণের ডিজিটাল জালিয়াতির কাজে যুক্ত রয়েছে তারা সুদুরপ্রসারী কোন চক্রান্তের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে বলে আমরা মনে করি। বিএনপি’র ভাবমূর্তিকে নানাভাবে কালিমালিপ্ত করতে অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন লক্ষ্যপূরণে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করে নানামুখী অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। সৌজন্যবোধসম্পন্ন ও বিনয়ী ডাঃ জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে ফেসবুকসহ এ আই এর মাধ্যমে এডিট করে ছবি ও ভিডিও তৈরী ও প্রচার করা শুধুমাত্র গর্হিত কাজই নয়, এটি একটি গুরুতর অপরাধ। আমরা এহেন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।

এ সমস্ত অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোন স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়। আমি দৃঢ়কন্ঠে আপনাদের মাধ্যমে ঘোষনা করছি যে, ডাঃ জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে কখনোই কোন ফেসবুক একাউন্ট ছিল না এবং এখনও নেই। সুতরাং তাঁদের নামে ফেসবুকে পোষ্ট করা কোন মন্তব্যে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।  আজ ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, জাতীয়তা বাদীদল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, নয়াপল্টন হতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব বিষয়ে জাতিকে অবগত করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে যা জানা যাচ্ছে!

বিশেষ প্রতিনিধি, ৪ দিনের সফরে আগামী ৯ জুন লন্ডন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গুঞ্জন রয়েছে এ সময় তার সঙ্গে দেখা হতে পারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি এখনও প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এখনো।
বুধবার (৪ জুন) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানান, এ সফরে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মত ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
লন্ডন সফর ঘিরে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিকসহ নানা অঙ্গনেই আলোচনা রয়েছে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা হতে পারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি সূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি, সরি, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নাম করতে চাই না।
 আসলে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তদের দেশে ফেরানোর বিষয়টি শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার সুযোগ নেই বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সচিব।
রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

আলোকিত ডেস্ক, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মৃধা। ছয় বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো পরম মমতায় লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ভালোবেসে যার নাম দিয়েছেন ‘কালো মানিক’।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সকাল আটটার সময় সেই আদরের কালো মানিককে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সোহাগ মৃধা।

খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের, ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার বিশাল এই ষাঁড়টি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। কুচকুচে কালো রঙের জন্যই কালো মানিক নামে ডাকা হয় তাকে। ষাঁড়টির এক সময় ১০ লাখ টাকা দাম উঠলেও বিক্রি করেননি সোহাগ। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হাতে উপহার তুলে দিতে মির্জাগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে গেছেন তিনি।

এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে তিনটি মিনি ট্রাক। সঙ্গে ছিল ব্যানার, বাজনার দল ও টি-শার্ট পরা সঙ্গীরা।

সোহাগ বলেন, আজকে আমি গণতন্ত্রের মাকে গরুটি উপহার দিতে যাচ্ছি, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে আমার ইচ্ছা জেগেছিল যদি কখনো সুযোগ হয় আমিও আমার প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি গরু উপহার দেব আমি।

তিনি বলেন, ‘এখন সুযোগ এসেছে, আল্লাহ যদি কবুল করেন এবং নেত্রী গরুটি গ্রহণ করলে আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হবে। আশা করি, নেত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না।

সোহাগ ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে লালন-পালন করেন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গরুটি বেশ বড়সড় একটি বকনা বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভি গরুটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। বাছুরটিকে দেশীয় খাবার ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে অতি যত্নে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন সে।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ মৃধা বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। পরিবারের সবার সহায়তায় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন-পালন করছেন।

সোহাগ মৃধার মা হাজেরা বেগম বলেন, ‘ওর মন চাইছে, তাই ও এটা খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চায়। আমরাও খুশি। ওর বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসার চালায়। ছোটবেলা থেকেই সোহাগ বিএনপিকে ভালোবাসে।

সোহাগের স্ত্রী সুলতানা আক্তার পলি বলেন, ‘কালো মানিক আর আমার ছোট ছেলে একই বয়সের। ওদের একই রকম স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করেছি। ওর বাবার ইচ্ছা সে তার প্রিয় নেত্রীকে এটি উপহার দেবে। এমন ইচ্ছায় আমরাও খুশি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বানরের পিঠা ভাগের পর নির্বাচন!

রাজনীতিবিদরা কিছু কথা বলেন, কিছু কথা বলতেও চান না। সময়ের অপেক্ষায় থাকেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনীতিবিদ নন, তবে তিনি এখন রাজনীতিবিদদের ওস্তাদ। তিনিও কিছু কথা বলছেন, কিছু কথা বলছেন না।

আরও যত ইতিবাচক বিশেষণ আছে সবই তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু তিনি কি অকৃতজ্ঞ, তিনি কি নির্মোহ, তিনি কি নির্লোভ, তিনি কি নিঃস্বার্থপরায়ণ-এসব প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হলো ‘না’। তাহলে যারা তাকে জেলখানার বন্দিদশা থেকে রক্ষা করেছেন, হিমালয়সমান সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছেন তাদের ভাগ নিশ্চিত না করে তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন, এতটা অকৃতজ্ঞ তো তিনি নন। আর এটা বোঝার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাগে না এখন।
তা ছাড়া তিনি তো নিজের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন। প্রধান উপদেষ্টার পরে তিনি রাষ্ট্রের কোন দায়িত্বে থাকবেন সেটাও তো এখনই নির্ধারণ করার সুবর্ণ সুযোগ। অনেকেই বলছেন, যমুনা ছাড়ার পর বঙ্গভবনই তার একমাত্র পছন্দের ঠিকানা হতে পারে। এসব বিষয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুতেই কিছু হবে না। অর্থাৎ বানরের পিঠা ভাগের মতো আগে ক্ষমতার ভাগ, পড়ে নির্বাচন হবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে ১০ দিনের সরকারি ছুটি ইসলামি দেশগুলোর ইতিহাসে সম্ভবত বিরল। দেশের মানুষ যাতে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছতে পারে, সবার সঙ্গে ঈদ করতে পারে সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত সত্যি প্রশংসনীয়। এ দীর্ঘ ছুটিতে কারখানার উৎপাদন কিছুটা বিঘ্নিত হলেও ঢাকা শহরের অবরোধ কর্মসূচি আপাতত বন্ধ হলো। এ সময়ের মধ্যে যমুনার সামনে কেউ যাবে না অথবা কেউ শাহবাগ অবরোধ করবে না। আপাতত কিছুদিনের জন্য অবরোধমুক্ত হলো নগরবাসী। রাজনীতিবিদরা কিছু কথা বলেন, কিছু কথা বলতে চান না। সময়ের অপেক্ষায় থাকেনতবে পরবর্তী সময়ে  কোনো অজুহাতে আর যেন কেউ রাস্তা অবরোধ করতে না পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এত জনদুর্ভোগ নগরবাসী আর সহ্য করতে পারছে না। রাজধানীবাসী নানান সমস্যা থেকে আপাতত মুক্ত থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য অশান্তিতে আছে দেশবাসী। রাজনৈতিক দলগুলো নানান জটিল সময় পার করছে।

কারও মধ্যে কোনো স্থিরতা নেই। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সংস্কার কীভাবে হবে, জুলাই সনদে কী থাকবে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না, সরকার ডিসেম্বর-জুনের ডেডলাইন থেকে সরছে না কেন-এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সবাই। সংস্কার ও জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের শুরুর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত আবেগঘন কথা বলেছেন। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্বের প্রথম বৈঠকে ২৬টি দল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২৩টিই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। তাহলে জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা কেন বললেন, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়! তিনি কি তাহলে বিএনপিকে কোনো কারণে চাপে রাখতে চাচ্ছেন? তিনি কি নিজের অজান্তে অথবা জ্ঞাতসারে বিএনপিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন? বিএনপি যদি তার প্রতিপক্ষ হয়, তাহলে তিনি কোন পক্ষের? তার আচরণ যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে তিনি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন বলেই প্রতীয়মান হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তার শারীরিক উচ্চতার চেয়ে সম্মানের উচ্চতা অনেক অনেক বেশি। তিনি কেন, কোন স্বার্থে একটি অসত্য তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার করলেন তা প্রথম প্রথম অনেকের বোধগম্য না হলেও, যত সময় যাচ্ছে বিষয়টি তত স্পষ্ট হচ্ছে। আরেকটি বিষয়ও দেশবাসীর কাছে দিনদিন স্পষ্ট হচ্ছে, সেটা হলো নির্বাচনের রোডম্যাপ ‘ডিসেম্বর-জুন’ থেকে তিনি সরছেন না কেন। যত আলোচনাই হোক, সংস্কার নিয়ে যত সময়ক্ষেপণই হোক না কেন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলছে না। রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, তিনি যাদের আশীর্বাদপুষ্ট আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের হিস্সা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত হিসাব মিলবে না। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে গত সোমবারের আলোচনার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই সনদ হওয়ার পরেই আমরা চাই সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সে সময়ই আমরা আমাদের দলের অবস্থান স্পষ্ট করব, আমরা কখন নির্বাচন চাই।’ সুতরাং প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে তার বিশাল প্রাপ্তির ঋণ শোধ করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আমার শ্রদ্ধেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন দেশবাসীর হাঁফ ছেড়ে বাঁচার মতো অবস্থা হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল এতদিন পর একজন উপযুক্ত কান্ডারি দেশের স্টিয়ারিং ধরেছেন। এত খুন, এত রক্ত, এত অঙ্গহানি, এত সম্পদহানির বিভীষিকার মধ্যেও দেশবাসী নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। আমাদের এক ইউনূস আছেন, ইনশা আল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে-এমন প্রত্যাশা ছিল প্রতিটি নাগরিকের। কিন্তু গত ১০ মাসে প্রত্যাশার অমূল্য কাচে চিড় ধরতে শুরু করেছে এখন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অপছন্দের লোক ছিলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে ছিলেন চরম খারাপ মানুষ। সেজন্যই একজন নোবেল লরিয়েটকে তিনি দুই চোখে দেখতে পারতেন না। সুদখোর, লোভী ইত্যাদি অসম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করে অপমান করা হতো। কিন্তু ১০ মাসে সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ী, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তাকে অপছন্দ করার লোকের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এর জন্য প্রধান উপদেষ্টা একা দায়ী নন। রাষ্ট্রটাকে মেরামত ও চালানোর জন্য তিনি যাদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাদের অধিকাংশই বর্তমান সময়ের জন্য উপযোগী নন। বিশেষ করে আমরা যদি ১৯৯০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অন্তর্বর্তী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক মর্যাদা পর্যালোচনা করি, তাহলে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের অনেকের ইমেজই প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা নিজেও একবার উপদেষ্টা ছিলেন। সে সময় তার যারা সহকর্মী ছিলেন আর এখন যারা তার সহকর্মী হয়েছেন, তাদের মধ্যে আত্মমর্যাদার পার্থক্যও অনেক। বর্তমান উপদেষ্টাদের কার্যক্রম, কথাবার্তা, আচার-আচরণ দেখে অনেকে হতাশ। অনেকেই বলছেন, এনজিও চালানো আর রাষ্ট্র চালানো এক নয়। তবে এটাও খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন এসব উপদেষ্টার কর্মকাণ্ড দেশবাসী জানতে পারবে।

১০ মাসের সরকার একটি বাজেট প্রস্তাব করেছে। এ সময়ের মধ্যে একটি বাজেট তৈরি করতে পারাটাও একটা বড় কর্মযজ্ঞ। বাজেট নিয়ে বরাবরের মতোই আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে এবং হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ বাজেটের মধ্যে বৈষম্য দূর করার মতো কোনো উপাদান নেই। যে বৈষম্যের জন্য রক্ত ঝরল, সে বৈষম্য তো আগের মতোই রয়ে গেল। সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য প্রধান তিনটি খাত হলো বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং বেসরকারি খাত। বাজেটে এ তিন খাতই অবহেলিত রয়ে গেল। গত ১০ মাসে দেশে কোনো বিনিয়োগ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎসংকটসহ নানান কারণে দেশি শিল্প বিপাকে আছে। একের পর এক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেকারত্ব বেড়েছে। দেশি বিনিয়োগকারীদের নানাভাবে চাপে রেখে বিদেশি বিনিয়োগ আনার নানান চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে দুটি সম্মেলন হলো। কিন্তু এখনো সবকিছু কথামালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেশি বিনিয়োগকারীদের গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে বিদেশিদের জন্য দরজা খুলে দিলেও কোনো লাভ হবে না। কারণ সরকার যতই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন দিয়ে বিদেশিদের বোঝানোর চেষ্টা করুক না কেন, দেশি বিনিয়োগকারীরা কতটা নিরাপদে আছেন তা না দেখে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবেন না। আর বিনিয়োগের পরিবেশ সুস্থ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। অথচ জুলাই বিপ্লবের সূচনা ছিল বৈষম্যমুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবিতে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনপ্রিয় তত্ত্ব হলো বিশ্বব্যাপী ‘থ্রি জিরোস’ বা ‘তিন শূন্য’। তার এ তিন শূন্যের মূল কথা হচ্ছে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এ তিন শূন্যতত্ত্ব কার্যকরের জন্য তিনি তার সরকারের বাজেটে তেমন গুরুত্ব দেননি।

ঈদ সবার জন্য অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক সেটাই সবার কাম্য। পাশাপাশি এও সবার কাম্য হওয়া উচিত যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রাপ্তি, লোভলালসার জন্য যেন রাষ্ট্র বা দেশবাসী ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়। লোভ ও ক্ষমতার চেয়ে অবিতর্কিত ইমেজ ও সম্মান অনেক বড়।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ পৌঁছে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা!

বিশেষ প্রতিনিধি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ পৌঁছে দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। বুধবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার হাতে নামজারির কাগজ তুলে দেন তিনি।

 

১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়া যে বাড়িতে থাকেন, তার পাশেই বাড়িটি অবস্থিত। সেই বাড়িটি খালেদা জিয়ার দখলে থাকলেও এতদিন নামজারি করা হয়নি। এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাড়িটির নামজারি করে দিয়েছে সরকার।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আধা ঘণ্টার মতো তারা ছিলেন। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।’ বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা কিছু কাগজ নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো দিয়েছেন। তবে এটা কীসের কাগজ, তা তিনি জানেন না।

জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত ওই বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাড়িটি খালেদা জিয়া গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের যে বাড়িতে থাকেন, তার পাশেই। এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেনানিবাসের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে দেন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়ার নামে বাড়িটি নামজারি করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে নামজারির কাগজটি খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কারণে এই আনুষ্ঠানিকতা বিলম্বিত হয়েছিল।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নীলফামারীতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান!

 উজ্জ্বল আহমেদ,  নীলফামারীর সদর  উপজেলায়  নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করায় ৪টি গাড়ী মালিককের কাছে২০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে নীলফামারী পরিবেশ অধিদপ্তর।
 বুধবার  (৪জুন) নীলফামারী সদর উপজেলায়   অভিযান পরিচালনা করে নীলফামারী  জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ।
পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয় কর্তৃক ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার বাইপাস মোড় নামক স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রায়হান উদ্দীন । অভিযানে প্রসিকিউটর হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ।
এসময় উক্ত অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করায় ০৪ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর বিধি ৬(১) লঙ্ঘনের দায়ে ০১ (এক) টি যানবাহনকে ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকাসহ মোট ৩,৫০০/- (তিন হাজার পাঁচশত) টাকা  জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করাসহ ০৪ (চার) টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার না করার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের চালকগণকে সতর্ক করাসহ লিফলেট বিতরণ ও স্টিকার লাগানো হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি, বাজেট ১৭২ কোটি টাকা!

বিশেষ প্রতিনিধি, পুলিশের চলাচলে সুবিধার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৭২ কোটি টাকায় ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটি গাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ৮৬ লাখ টাকা।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম)-এর মাধ্যমে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ এর কাছ থেকে এই গাড়ি কিনতে খরচ হবে ১৭২ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বৈঠকে শস্য গুদামজাত করার জন্য সাইলো নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনেকগুলো গাড়ি ডেমেজ হয়েছে। এজন্য গাড়ি কেনার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। একইসঙ্গে পুলিশের জন্য ঢাকার কাছাকাছি আমরা একটা বিশেষ স্থান করেছি। তারা সেখানে হাউজিং কমপ্লেক্স করবে।

এ ছাড়া বৈঠকে এমওপি, টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের কিছু লাইট হাউজ আছে সেগুলো চর কুকড়িমুকড়ি মতো বিভিন্ন জায়গায় করার জন্য অনুমোদন দিয়েছি। জলযান ও সেলভেজ ভেইক্যাল এর মতো একটা জাহাজ রিপেয়ার করবে সেটার জন্য টাকা অনুমোদন করেছি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি