শ্রীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পরিচিতি সভা
শ্রীনগরে বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর ক্ষতিপুরন চেয়ে মামলা-আটক ২
সারিয়াকান্দি’র চন্দনবাইশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
উখিয়া রেঞ্জের অভিযানে মাটিভর্তি ডাম্পারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ
কালীগঞ্জে ফেন্সডিল ও গাজাসহ দুই মাদক ব্যাবসায়ী আটক
চন্দনাইশে মসজিদের পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবতির লাশ উদ্ধার
টাংগাইলে বাস ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত
শাজাহানপুরে মিশ্র প্রক্রিয়াই গলদা চিংড়ি চাষে উজ্জল সম্ভাবনা
প্রতিনিধি, সাজাহানপুর
গলদা চিংড়ি সাধারণত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল কিংবা সমুদ্র উপকূলে লোনাপানির মাছ মনে হতো প্রচলিত এ ধারণা দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায়ও মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে অপার উজ্জল সম্ভাবনা দেখছেন উপজেলার মৎস্য চাষীও কর্মকর্তাগণ। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে ইউনিয়ন পার্যয়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২টি প্রস্তুত সম্পর্ণ প্রদর্শনী পুকুরে গলদা চিংড়ির সঙ্গে মিশ্র প্রক্রিয়াই কার্প জাতীয় মাছ চাষে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এতে উপজেলার অনেক মৎস্য চাষী গলদা চিংড়ি চাষে উৎসায়িত এবং আগ্রহ বাড়ছে। মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। গলদা চিংড়ি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলামৎস্য অধি দপ্তর। সরেজমিনে খোট্রাপাড়া ইউনিয়নে গলদা চিংড়ি প্রদর্শনী পুকুরে দেখা যায়, খামারের পুকুরগুলো থেকে মাছ ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আবারও পুকুরে ছেড়ে দিচ্ছেন। এ সময় নমুনায়ন করে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন। অফিস সুত্রে জানাগেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় খোট্টাপাড়া ও আশেকপুর ইউনিয়নে ২টি ও রাজশাহী বিভাগে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাদলা ইউনিয়নে ১টি প্রদর্শনী পুকুরে গলদা চিংড়ি জুভেনাইল কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে মিশ্র প্রক্রিয়াই চাষ করা হচ্ছে। মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে গলদা কার্প প্রদর্শনী চাষীদের প্রশিক্ষণ,গলদা জুভেনাইল,কার্প মাছের পোনা,মাছের খাবার,মাছচাষের উপকরন দেওয়া হয়। উপজেলার মোস্তাইল গ্রামের গলদা চিংড়ি চাষী আবুল বাশার বলেন, এক বিঘা জমির পুকুরে অল্প সংখ্যক কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে প্রথম বারের মত গলদা চিংড়ি চাষ করেছি। মৎস্য দপ্তরের সঠিক নিয়মে পরিচর্যা ফলে জুভেনাইল সাইজের চিংড়ি মাছ গুলো সাড়ে তিন মাসেই প্রায় বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। আমার পুকুরের ১০-১২ টি চিংড়ি এক কেজি মত ওজন হয়েছে। অনুমান সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০/৬০ হাজার টাকা লাভ হবে। আমি আগামী বছরে আরও ২বিঘা জমির পুকুরে এ মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ করবো। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন বলেন, কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে। প্রদশর্নী পুকুর গুলোতে সঠিক পরিচর্যার ফলে সাড়ে তিন মাসেই ভালো ওজন হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি ও পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা মৎস্য চাষীদের আশার আলো দেখাচ্ছেন তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪সেপ্টেম্বর,২০২১/ এইচ

