আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1809

চলে গেলেন রাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবদুল হামিদ

প্রতিনিধি, রাজশাহী:
বৃহস্পতিবার বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় গোরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী এম. জাকারিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন উঁচু মানের গবেষক, লেখক, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদকে হারালো। উল্লেখ্য, অধ্যাপক আবদুল হামিদ ১৯৪৩ সালে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার লেবুবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে যথাক্রমে বিএ (প্রথম শ্রেণি) ও এমএ ডিগ্রি (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান) লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে ভারতের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে যোগ করেন। দীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনে তিনি বিভাগীয় সভাপতি (১৯৮৫-১৯৮৮), শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাপাখানার প্রশাসক ও রাকসুর ট্রেজারার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়া দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পিয়ার-রিভিউড জার্নালে তাঁর চল্লিশের অধিক গবেষণা প্রবন্ধ ও দর্শনশাস্ত্রের উপর ছয়টি পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

শেরপুরে পাহাড়ি পানির ঢলে জনদূর্ভোগ

প্রতিনিধি, শেরপুর:
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শেরপুরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। গত তিনদিন যাবত মুষলধারে বৃষ্টি চলমান থাকায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জলাশয় আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ডেফলাই গ্রামটি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামটির জন-সাধারণ। এছাড়া ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কাঠের সাঁকোটি প্রবল বৃষ্টি ও পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। শেরপুর সদরে ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়াই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে থাকায় সব ধরনের যানবাহন ও যাত্রী  সাধারনের চলাচলে সমস্যায় পরতে হচ্ছে। শেরপুরের শ্রীবরদী থানার রাণীশিমুল, তাতীরহাটি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অন্য দিকে নকলার তারাকান্দা পিছলাকুড়িতে ব্যাপক ভাবে রাস্তা ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আবার চলছে কঠোর লকডাউন সব মিলিয়ে জনজীবন অতিষ্ট বলেছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারালো ১৪৩ জন

আলোকিত ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার(০১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, প্রাণগাতী  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৪৩ জন মারা গেছেন।  ফলে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা  দাঁড়াল ১৪ হাজার ৬৪৬ জনে। এদের মধ্যে পুরুষ ৯০ ও নারী ৫৩ জন। মোট মৃত ১১৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ ও বাসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।নতুন করে ৮হাজার ৩০১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন । ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/০১ জুলাই ২০২১/আর এম

কক্সবাজারে চলছে কঠোর লকডাউন: হার্ডলাইনে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ 

আবু সায়েম, কক্সবাজার:
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারে শুরু হয়েছে ১ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যমান  থাকবে। কক্সবাজারে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে রয়েছে  ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা। জেলার আট উপজেলায় সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের প্রথম দিনে  জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী,বিজিবি,র‌্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েন রয়েছে । এছাড়া জেলা প্রশাসনের ৩৭জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জেলা পুলিশের শতাধিক চেকপোস্ট স্থাপিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদ। তিনি জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজারে ৩৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব।উপকূলীয় ২ উপজেলায় কোস্টগার্ড থাকবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। তখন জরুরি সেবা ছাড়া মানুষ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টি টিম কাজ করছে। সেই সঙ্গে এ কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী,বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে । জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে জেলা পুলিশের শতাধিক চেকপোস্ট। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু কর্তৃত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে।

 

শহরের কলাতলী মোড় থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা করোনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাহবুবুর রহমান সহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি‘র উর্ধতন কর্মকর্তারা। এদিকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে কক্সবাজার শহর ও  বিভিন্ন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী,বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে।এ ছাড়া কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে না কোনো গণপরিবহন। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশকে। সেই সাথে রাস্তায় যানবাহন আটক করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি চালক ও যাত্রীদের গন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী,বিজিবি ও পুলিশ। সদুত্তর পেলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে অন্যথায় তাদেরকে চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। জেলা পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান বলেন, বিনা কারণে কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হলে এবং বিধিনিষেধ  অমান্য করলে তাকে কঠোর আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। এবার রিকশা ব্যবহার করা গেলেও কোনো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ব্যবহার করা যাবেনা। তা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মাঠে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সরকার জরুরি সেবা বলতে যা বুঝিয়েছে এর বাইরে কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হবেনা। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সেগুলো নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।জেলার প্রত্যেক থানা ও পুলিশ ফাঁড়িকে ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

আত্মগোপনে আবু সুফিয়ান হবু বউ পছন্দ না হওয়ায়

আলোকিত ডেস্ক:
পলাশবাড়ির ব্যাংক কর্মকর্তা  আবু সুফিয়ান দীর্ঘ এক সপ্তাহ (২৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ) রহস‌্যজনকভাবে আত্মগোপন করে থাকার পর  অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার তৌহিদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে আত্মগোপনে থাকা আবু সুফিয়ান কে ঢাকা থেকে  উদ্ধার করেছে পুলিশ। আবু সুফিয়ান পুলিশের কাছে বলেন,তিনি পলাশবাড়ি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হবু বউ পছন্দ হয়নি বলে স্বেচ্ছায় আত্বগোপন করেছিলেন। পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিকভাবে আবু সুফিয়ানের সঙ্গে এক মেয়ের বিবাহের দিন তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু হবু স্ত্রী পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের মার্কেটিং করার কথা বলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় এসে আদাবরের ৩১ নম্বর বাড়ি ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। আবু সুফিয়ান নিখোঁজের ঘটনায় স্বজনরা পলাশবাড়ি থানায় একটি জিডি করেন। আত্বগোপনে থাকা অবস্থায় পুলিশ গোপনে মোবাইল ট্রাকিং করে তার সন্ধান বের করে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধায় নিয়ে আসে।

আলোকিত প্রতিদিন/০১জুলাই২০২১/আর এম

পদায়নের দাবিতে রাবিতে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
যোগদানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত পদায়নের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সদ্য এডহক নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৮ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সোমবার (২৮ জুন) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন করা না হলে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদত্যাগসহ আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে নিয়োগপ্রাপ্তরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, শিবিরের হামলায় পা হারানো ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ডিলস, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মো. রাসেল, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আরকান উদ্দিন বাপ্পি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমান মুর্তজা প্রমুখ। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ১/১১ এর সময় গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা আজিম বিন কামাল উজ্জ্বল, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সহ-সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ মাহবুব, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ মোর্শদ, মহানগর যুবলীগের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, রাবি শাখা বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম রেজা, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সদস্য বোরহান উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান তারিফুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এস.এম. জলি প্রমুখ। মানববন্ধনোত্তর সমাবেশে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বর্তমান রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা অনৈতিকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৮ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদায়ন স্থগিত করে রেখেছেন। নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগ, এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের প্রদান করা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে রেখেছেন। আমরা অনতিবিলম্বে নিয়োগের স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে পদায়নের দ্রুত দাবি জানাচ্ছি। নিয়োগপ্রাপ্তরা আরো বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব এর মৌখিক আদেশ এই বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। কিন্তু রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা মন্ত্রণালয়ের মৌখিক আদেশে নাকি আমাদের পদায়ন স্থগিত করে রেখেছেন। কিন্তু বিষয়টি তা নয়, শিক্ষকদের দুই গ্রুপের দলাদলির কারণে আমাদের এই নিয়োগ স্থগিত করে রাখা হয়েছে। শিক্ষকদের দলাদলিতে বলির পাঠা হতে চাই না। বৈধভাবে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের আলোকে উপাচার্যের ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম. আবদুস সোবহান আমাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পদায়ন করা না হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেবো না। তারা বলেন, শিবিরের বর্বর হামলায় মতিহারের সবুজ ক্যাম্পাস বারবার ছাত্রলীগের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। আমাদের রক্তের উপর পা দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসে আছেন। আমাদের রক্তের ওপর বসে থেকে আপনি আমাদের পদায়ন স্থগিত করেছেন। আপনাকে ৭২ ঘন্টা সময় দিলাম। ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমাদের পদায়নের ব্যবস্থা করা না হলে আপনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনি বলছেন শিক্ষামন্ত্রণালয় আমাদের পদায়নের ব্যাপারে নাকি আপনার হাত-পা বেঁধে রেখেছেন। কিন্তু তা নয়, বরং আপনি আমাদের পদায়ন না করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের হাত-পা বেঁধে রেখেছেন। এই মিথ্যাচার ছেড়ে দিন, দ্রুত আমাদের প্রদানের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ে আপনাকে বাধ্য করা হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ ও ৬ মে সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান ১৩৮ জন শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়োগ ও যোগদানের ব্যবস্থা করেন। ওইদিনই শিক্ষামন্ত্রণালয় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহাকে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২ (৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে একজন উপাচার্যের প্রদান করা নিয়োগের ওপর গত ৮ মে রুটিন দায়িত্ব পাওয়ার পর অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা স্থগিতাদেশ দেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

মৃত মৌজ আলীকে জীবিত করতে সময় লাগবে ১ মাস

প্রতিনিধি, নেত্রকোণা :
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া গাভুরকাছ গ্রামের বাসিন্দা  মৌজ আলী গত ২৭/৬/২১ তারিখে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আটপাড়া সমাজসেবা আফিসে নিজ ভোটার আইডি কার্ডের কপি জমা দিলে সমাজসেবা অফিসার আইডি কার্ড নাম্বার ভুল অথবা বয়স বাড়িয়ে আইডি করেছেন এমন কথা বলেন। তখন মূল আইডি কার্ডটি নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যান। তিনি নির্বাচন অফিসে আইডি চেক করার কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার পরে নির্বাচন অফিসার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা লিখিত আবেদন রাখেন। দেখা যাচ্ছে মৌজ আলী মৃত। তিন মাস সময় লাখবে জীবিত করতে তাকে বলেন কামরুজামান নামে এক স্টাফ ।  মৌজ আলী নিজেকে মৃত দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন  এবং গণমাধ্যমের কাছে জানান। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার নাজমুল হুদার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তথ্য সংগ্রহকারী ভুলের কারণে এমন হয় সিরিয়ালে একটি নাম্বার ভুল হলেই সে মৃত তালিকায় চলে যায়। তিনি জানান  ১ মাস সময় লাগবে তাকে জীবিত করতে। এখন মৌজ আলীর দাবি সে কিভাবে মৃত হল তার বিচার চান , তিনি আরো বলেন, করোনার টিকা নিতে গেলে আমাকে টিকা দেয়নি বলে আমার আইডি কার্ডের সমস্যা কিন্তু কি সমস্যা  আমি বুঝিনি। যার জন্য আমি টিকা নিতে পারিনি। এখন এই বৃদ্ধ বয়সে আমি সব কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছি কেন কি তার অপরাধ জানতে চান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ

পাহাড়ে কিলিং মিশনে নেমেছে উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৯৯৭ সালে জেএসএসের অস্ত্র সমর্পণের সময় চুক্তির বিরোধিতা করে অস্ত্র সমর্পণ না করে তাদেরই একটি বড় অংশ জেএসএস থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইউপিডিএফ নামে নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। যা পুনরায় ভেঙ্গে হয় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক বর্মা। এরপর স্বার্থগত দ্বন্দ্বে জেএসএসও ভেঙে জেএসএস (এমএন লারমা) নামে নতুন আরো একটি সংগঠন তৈরি হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল গুলো পাহাড়ে বসবাসকারী সাধরণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করে বিপুল অংকের চাঁদা। তা দিয়ে সশস্ত্র গ্রুপকে শক্তিশালী করছে দিনের পর দিন। সীমান্ত দিয়ে গোপনে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে ভারি, দামি দামি অত্যাধুনিক অস্ত্র। সামরিক আদলে কাঠামো তৈরি করে নিজেদের সংগঠিত দল’কে গুছিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করছে পাহাড়ে। হঠাৎ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জেএসএস, ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কারপন্থি গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন  গত কয়েক মাস থেকে পাহাড়ে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার মত কারোও সাহস নেই। যদি জানতে পারে কেউ অভিযোগ করেছে- তাহলে পরের দিন অপহরণের পর গুম বা খুন করে তার লাশ ফেলে দেয়া হচ্ছে পাহাড়ের কোন না কোন ঝিরিতে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এসব খবরের শতকরা ১% ও পত্র পত্রিকা অথবা  বেশিরভাগ সময়ই মিডিয়ায় আসে না। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহ করছে। আর অস্ত্র কেনা ও নিজেদের সংগঠন চালানোর জন্য তারা চাঁদা আদায় করছে সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ফলে  জিম্মি হয়ে পড়েছে তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ মানুষ। প্রাণের ভয়ে তারা কেউ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যান না। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের রয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার’ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তাদের অধীনে রয়েছে সামরিক কায়দায় ৬টি কোম্পানি। জেএসএস (সংস্কার) এর রয়েছে ২টি কোম্পানি। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩হাজার ’। আর  ইউপিডিএফ এর ৪টি কোম্পানির অধীনে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার’ সশস্ত্র সদস্য। এদের রয়েছে নিজস্ব সেনা প্রধান, আলাদা আলাদা কোম্পানি, বিভিন্ন উইং, শরীরে থাকে সেনাবাহিনীর পোশাক, হাতে অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি, কাঁধে চকচকে ভারি ও দামি অস্ত্র। তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে তাদের বসবাস সবচেয়ে বেশি। বেশ কিছুদিন যাবত পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাঙ্গালি সহ সাধারণ জনগনের উপর অত্যাচার ও চাদাঁ আদায়ের জন্য বেপরোয়া হয়ে গুম খুন অপহরন করে চলছে প্রতিনিয়ত।
” উপজাতি সন্ত্রাসী দলগুলো থেকে সহযোগিতা নিয়ে অনেকে এমপি মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে”। বিশেষ কিছু সুত্রে জানা যায় তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় সন্ত্রাসী দলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যা শৈহ্লা মার্মার নেত্রীত্বে মায়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু বিপদগামী পাহাড়ি ছেলে মেয়ে’কে দিয়ে মগ লিবারেশন ( মগ পার্টি) ও এলপি নামে দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী বান্দরবানে ত্রাসের রাজত্ব করছে।
আলোকিত প্রতিদিন /১লা জুলাই /২০২১ / এম এইচ সি

টাঙ্গাইল মেডিকেলে করোনাভাইরাসে ৭, উপসর্গ নিয়ে ৯ মৃত্যু

আলোকিত ডেস্ক:
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সজীব  জানান, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে এক দিনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ১৬ জনের মধ্যে ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। ৭ জনের মধ্যে ৪ জন কোভিড ইউনিটের আইসিইউতে এবং সাধারণ শয্যায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। বাকী ৯ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি থাকা অবস্থায় মারা যান। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে এবং ৬০ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৭ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার শনাক্তের হার ৪০.৯২ শতাংশ । তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯৬৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের।

আলোকিত প্রতিদিন/০১জুলাই২০২১/আর এম

গাজীপুরে জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবনে নেমেছে চরম দুর্ভোগ

প্রতিনিধি, গাজীপুর:
স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ, যার জন্য জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গাজীপুর সিটির ৩৫ নং ওয়ার্ড কামারজুড়ি রোড বাদেকলমেশ্বর মধ্য পাড়ার পতিত জমিটি এলাকার স্হানীয় লোক সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হাজী মাইনুদ্দিন সাহেবের। বর্তমানে তার ছেলে মেয়েরা এই জমি দেখভাল করেন। বছরের ৯ মাস এখানে পানি জমে থাকার কারণে রাস্তা প্লাবিত হয়ে থাকে, এমনিতেই এখানের কবরস্হান গলিটি খানাখন্দে ভরা, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার করুণ দশা হয়ে যায়। এলাকার বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল সাহেসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন সরকারি বরাদ্দ নেই, কি ভাবে রাস্তার উন্নয়ন করবো। কিন্তু জনগণের প্রশ্ন এখানে নয়, সাধারণ জনগণ  মনে করেন ক্ষেতের মালিক এর কারণে সমস্যার সম্মুখীন, তা হলো তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জল আটকিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। কোন পাইপ বা ড্রেনের লাইন অথবা, ক্ষেতে আইল না দেওয়ার কারণে পানি জমে ৩-৪ ফুট হয়ে থাকে। দেখে মনে হয় এখানে নৌকা বা টলার দিয়ে মানুষ পারাপার হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ও বয়স্ক রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিত্যদিন। আশাকরি এই অবস্থার অপসারণ হবে খুব অচিরেই।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০২১/ দ ম দ