আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1813

বরগুনায় ২৪ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ৩৮ মৃত্যু হয়েছে ৩৫

বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৮ জন করোনায়োল আক্রান্ত (পজিটিভ)  হয়েছে। জেলায় মৃত্যু হয়েছে, ৩৫ জনের। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আজ সকাল ৮ টা পর্যন্ত ১১ জন করোনা পজিটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সন্দেহজনক করোনা রুগী রয়েছেন, ২২ জন। বরগুনার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক, খান সালামত উল্লাহ  জানান, জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ১৪৩৩ জনের। এদের মধ্য ১২৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্য পুরুষ, ১ হাজার ৬০, মহিলা,৩৭৩ জন। সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই তত্তাবধায়ক আলমগীর হোসেন জানান, প্রথম পর্যায়ের নিবন্ধিতদের মধ্য ভ্যাকসিন দু’ডোজই নিয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৪ জন এবং ১ডোজ নিয়েছেন,২৩ হাজার ৬৪ জন। চায়না থেকে প্রাপ্ত সাইনোফাম্রা ভ্যাকসিন ২৮ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ১১জন পেয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি

ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ ভৈরবের আয়োজনে মেয়রকে সম্মাননা প্রদান

ভৈরব প্রতিনিধি : গত সোমবার ২৮ জুন ভৈরব পৌরসভার মেয়র কার্যালয়ে এক বিশেষ ক্ষনে আমাদের গৌরবের অতীতকে স্মরণীয় ও সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভৈরব ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত গত ১৯ জুন  নরসিংদী উয়ারী বটেশ্বরে ঐতিহাসিক গঙ্গা ঋদ্ধি জাদুঘর ভ্রমণে ভাষাসৈনিক, বাংলা একাডেমি ফ্যালো মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান এর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আহমেদ আলী, আহ্বায়ক মাহিন সিদ্দীকি সাবেক কাউন্সিলর। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির মানপত্র পাঠ শেষে ভৈরব পৌরসভার অবিসংবাদিত নেতা আলহাজ্ব মোঃ ইফতেখার হোসেন বেনু মেয়র কে শুভেচ্ছা সম্মানন প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অধ্যাপক মোঃ বরকত উল্লাহ পাঠান, অধ্যাপক দীপক সাহা, সহকারী প্রকৌশলী জি এম আরিফ সারোয়ার বাতেন,ভৈরব পৌরসভা,কবি ও গীতিকার আবু বক্কর সিদ্দিক, ডাঃ দেলোয়ার হোসেন,সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান, আক্তার হোসেন, ডাক্তার আব্দুল লতিফ চেয়ারম্যান সমাধান টিভি ডট কম এবং দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর স্টাফ রিপোর্টার ইতিহাস ঐতিহ্য গবেষক এনায়েত আহম্মেদ প্রমূখ। ভৈরব ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ এর সকল সদস্য গণের কুশলাদি বিনিময় শেষে মেয়র মহোদয় শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি

চাঁদাবাজির টাকাসহ দুই মহিলা চাঁদাবাজ গ্রেফতার

সুমনসেন,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের ০২ জন সক্রিয় সদস্যকে চাঁদাবাজির অর্থসহ হাতেনাতে আটক করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার কাগতিয়া আলিয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্স সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে রোডের ফুটপাতের উপর বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহনের নিকট হতে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবীসহ চাঁদার টাকা আদায় করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ জুন রাত ৮ ঘটিকায় ২০২১ র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চাঁদা আদায় করা কালে আসামী মোসাঃ জান্নাত (৫০), স্বামী- মৃত আব্দুল মতিন, পিতা- মৃত খোইল্লা মিয়া, সাং- আসাদনগর (আদম ভূইয়া বাড়ী), থানা-ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমানে সাং-শেরশাহ্ বাংলা বাজার ০২নং ওয়ার্ড, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং ফাতেমা বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ হায়দার আলী, পিতা- মৃত ফরিদ মিয়া, সাং- শেরশাহ্ বাংলা বাজার, ব্যাংক পাহাড় সরকারী খাস জায়গা, থানা- বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগরীদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা চাঁদাবাজীর কথা স্বীকার করে এবং আটককৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে চাঁদা আদায়ের নগদ ১,২০০ টাকা জব্দ করে। চাঁদাবাজদের হাতেনাতে আটকের পর উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী হস্তান্তর করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি

শেরপুরে দেশীয় মাছ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বিলের কচুরিপানা পরিস্কার

শেরপুর প্রতিনিধি:
বিভিন্ন কারণে দিন দিন দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। বিলুপ্ত হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ গুলোর মধ্যে নদী, বিল, খাল ভরাট হয়ে যাওয়া একটি। আর কচুরি পানা পচে নিচে জমে ভরাট হওয়াও কারণ। কচুরি পানা পচে বিল ভরাট হওয়া থেকে ও দেশীয় মাছ রক্ষায় শেরপুরের নকলা উপজেলার কুর্শাবিলে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিস্কারের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও সমাজ উন্নয়ন সংঘের সদস্যবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা মিলে দেশীয় মাছ রক্ষায় কুর্শাবিল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিস্কারের কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে কুর্শাবিলের প্রায় ২০ একর এলাকার কচুরি পানা পরিস্কার করা শেষ হয়েছে। এই কার্যক্রম পানা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। তারা ধারনা করে বলেন মাস ব্যাপী এই কার্যক্রম চলতে পারে। স্বেচ্ছাশ্রমে যারা কচুরিপানা পরিস্কার করছেন তাদের মধ্যে নয়াবাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবু বক্কর, সাবেক সভাপতি হারেজ আলীসহ আনারুল ইসলাম, শিপন মিয়া, ছাত্তার খান, আবুল হোসেন কান, আলাল উদ্দিন, লাল চাঁন, সুজন মিয়াসহ অন্যান্য অনেকে, সমাজ উন্নয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মাহফিজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সদস্য, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্যদের নাম উল্লেখ করার মতো। নয়াবাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবু বক্কর জানান, তাদের সমিতির পক্ষ থেকে কয়েক বছর ধরে কুর্শাবিলটি সরকারের কাছে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। এবার প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে তারা ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরেই কচুরি পানার কারণে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। মাছ চাষের আয়েই তাদের সংসার চলে। কয়েক বছরের লোকসানে তারা হতাশ। তাই স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, কুর্শা বিলের ওপর নির্ভর করেই বিলের চারপাশের দেড় শতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের জীবন জীবীকার তাগিদে স্বেচ্ছাবেকদের নিয়ে বিল থেকে কচুরিপানা পরিস্কার শুরু করেছেন। বিল পরিস্কার হলে ভাগ্যের পরিবর্তন হবে অগণিত মৎস্যজীবী পরিবারের, এমনটাই জানান তিনি। উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, মৎস্যজীবীরা সাধারনত নিম্ন আয়োর মানুষ। তাদের পক্ষে টাকা দিয়ে বিলের কচুরিপানা পরিস্কার করা সম্ভব নয়। তাই স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিজেরা স্বেচ্ছাশ্রমে বিলের পানা পরিস্কার করছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ

রাকাবের পরিচালনা পর্ষদ এর ৩৩তম ভার্চুয়াল সভা

প্রতিনিধি, রাজশাহী:
২৯ জুন ২০২১ তারিখ ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাকাব-এসএমই ফাইন্যান্সিং কোম্পানি লিমিটেড এবং রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডল রাকাব এসএমই ফাইন্যান্সিং কোম্পানি লিমিটেড (রাকাব-এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি)-এর পরিচালনা পর্ষদের ৩৩তম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় রাকাব-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ; অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মোঃ গোলাম মোস্তফা; মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং মহাব্যবস্থাপক (পরিচালন) মোঃ জয়নুল ইসলাম তাঁদের স্ব স্ব কার্যালয় থেকে এবং সদস্য সচিব ও কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ্ সালাহ্ উদ্দিন গাজী রাকাব প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুম থেকে উক্ত ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। সভায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অগ্রগতিসহ ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ

পিআইওর ঘুষের টাকা নিয়ে ৪ জন কে পুলিশি হেনস্তা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে গেলেন জনৈক ঠিকাদার। সে টাকা রাখা ছিল অফিসের আলমারিতে। অফিস চলাকালীন সময়ে কিভাবে সে টাকা খোয়া গেলো জানেনা পিআইও নিজেই। এই নিয়ে চলে তুলকালাম কান্ড। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে। ক্রমান্বয়ে ঘটনাটি ‘টক অব দা ডিস্ট্রিক্টে’ পরিণত হয়। ওই ঘুষের অঙ্ক ঠিক কত টাকা ছিল সে হিসাব তার নেই। কখনও বলেন, ৭ লাখ টাকা, কখনও ১০ লাখ টাকা। রিয়াদ ও চার কর্মচারীকে আলাদাভাবে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কেউই পরিষ্কার কোনো তথ্য দেয়নি। কারও সঙ্গে কারও কথাও মেলেনি। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে টাকা খোয়ার অভিযোগ উঠেছে। চুরির অভিযোগে পিআইও রিয়াদ হোসেন তার কার্যালয়ের চার কর্মচারীকে সোমবার রাতে থানায় নিয়ে গেছেন। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও মঙ্গলবার সকালে আবারও চারজনকে থানায় ডাকা হয়েছে। তবে কত টাকা খোয়া গেছে নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পিআইও। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।রিয়াদ হোসেন কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তিনি মূলত রামগতির উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। রিয়াদ তার অফিস সহকারি আবদুল বাকেরসহ চারজনকে নিয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে থানায় হাজির হন। তিনি অভিযোগ করেন, কার্যালয়ে তার কক্ষের আলমারি থেকে কয়েক লাখ টাকা গায়েব হয়েছে। এই চার কর্মচারী টাকা চুরি করেছেন। ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পিআইও রিয়াদ ঠিক কত টাকা ছিল সে হিসাব দিতে পারেননি। কখনও বলেন, ৭ লাখ টাকা, কখনও ১০ লাখ টাকা। রিয়াদ ও চার কর্মচারীকে আলাদাভাবে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কেউই পরিষ্কার কোনো তথ্য দেননি। কারও সঙ্গে কারও কথাও মেলেনি। এ কারণে চার জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে আবার তাদের থানায় আনা হয়েছে।’ ওসি জানান, টাকা চুরির অভিযোগ করলেও রিয়াদ হোসেন কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ দেননি। এতো নগদ টাকা কোত্থেকে এলো জানতে চাইলে রিয়াদ দাবি করেন, এগুলো বিভিন্ন লাইসেন্স ও কালেকশনের টাকা। তবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য তিনি দেননি। এসব বিষয়ে জানতে পিআইও রিয়াদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
পিআইওর অফিস সহকারী আবদুল বাকেরের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন-‘সোমবার বিকেলে রিয়াদ হোসেন নিজেই তাদের বাড়ি গিয়ে টাকা খোঁজার নামে তল্লাশি চালান। এ সময় ঘরের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। এরপর জানতে পারেন তার স্বামীকে থানায় নেয়া হয়েছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার সাংবাদিকদের জানান, ‘টেন্ডারের পে-অর্ডার হয় চেকের মাধ্যমে। ঠিকাদারের সঙ্গে সব লেনদেন হয় চেকে। পিআইওর কাছে এসব নগদ টাকা বৈধ নয়।’ এক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, পিআইও রিয়াদ ঘুষ ছাড়া কোন ফাইল বা বিলের চেকে সই করেনা। কয়েক দিন আগে কয়েকটি কাজের বিলের চেকে সই করার জন্য কয়েকজনের কাছ থেকে তিনি ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তার মূল কর্মস্থল রামগতি উপজেলায়। এখন কমলনগরে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। দুই উপজেলার ঠিকাদার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তার কাছে জিম্মি।
বিভিন্ন প্রকল্পের জুন ক্লোজিং-এ প্রকল্প সভাপতি, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যেদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন পিআইও। এসব টাকা তার হয়ে কালেকশন করতেন তার অফিস সহকারী আবদুল বাকের। পরে বাকেরের সঙ্গে পিআইওর মনোমালিন্য হয়। এর জেরে টাকা উধাওয়ের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিআইওর অফিসের আলমারি থেকে টাকা উধাওয়ের বিষয়টি শুনেছি। চারজনকে থানায় ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি কি, সেটা জানার চেষ্টা করছি। আসলে কিসের টাকা বা কত টাকা সেটাও জানি না।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/ এম এইচ সি

চকরিয়ায় একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী ইয়াসিন গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইয়াসিন আরাফাত মার্শাল (৩০) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১১টায় চকরিয়া পৌরশহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াসিন আরাফাত উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া এলাকার রুহুল কাদেরের ছেলে। পুলিশ জানায়, ইয়াসিন একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাবমেরিন ক্যাবল লিঃ এর একজন অফিসারকে অপহরণ, মারামারি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলা ঘটনাসহ আরো বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সরওয়ার জাহান মেহেদী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ইয়াসিন পলাতক ছিল। সোমবার রাতে ইয়াসিন চকরিয়া পৌরশহরের একটি আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে অবস্থান নেয়ার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাৎক্ষনাত পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ইয়াসিন একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাবমেরিন ক্যাবল লিঃ এর একজন অফিসারকে অপহরণ, মারামারি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলা ঘটনাসহ আরো বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ

নড়াইলে লকডাউনে থেমে নেই গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তি আদায়

প্রতিনিধি, নড়াইল:
নড়াইল সদর উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংকের নড়াইল শাখার বিরুদ্ধে কঠোর লকডাউনের মধ্যে কিস্তি আদায় ও সামাজিক দুরত্ব না মানার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ( ২৮ জুন) নড়াইল সদর মুলিয়া ইউনিয়নের বনগ্রামে কিস্তি জমা ও স্কিম করে লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহকেরা একত্রিত হয়েছে। সেখানে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। নেই মাক্সের ব্যবহার। গ্রামীণ ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার এলাকায় এসে নিদিষ্ট দিনে উপস্থিত হন। এই কিস্তি আদায় করেন। প্রত্যকটি কেন্দ্র ১০০ থেকে ১৫০ জন গ্রাহক রয়েছে । সাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মেনে চলে কিস্তি আদায়। এতে করে করোনা মহামারি আরো বেড়ে যাবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। বৈশ্বিক মহামারিতে জনসমগমের মাধ্যমে কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। গ্রামীণ ব্যাংকের বনগ্রাম ফিল্ড অফিসার মশিয়ার। তিনি নিজেই কিছু দিন পূর্বে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনা আক্রন্ত এই ফিল্ড অফিসার সাময়িক সুস্থ হয়ে বেরিয়ে পড়েছে কিস্তি আদায়ে। এক পাটিতে বসে গ্রামের শতাধিক মহিলাদের নিয়ে কিস্তি আদায় ও খোস গল্প করে। এতে করে বনগ্রাম এলাকার মানুষ করোনা আতংকে ভুগছেন। গ্রামবাসী কিস্তি আদায় নিষেধ করলে ও কোন কর্ণপাত করেনি ফিল্ড অফিসার। উল্টে প্রতিবাদকারীদের বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা কিস্তি আদায় করছি। পুলিশ আমাদের কিছু বলবে। কিস্তি না দিলে বাড়ি গিয়ে হামলা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ফিল্ড অফিসার মশিয়ার জানান, কিস্তি আদায় বন্ধের কোন চিঠি ডিসি স্যার আমাদের দেয়নি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ

রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্রগ্রাম নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া শান্তুি নগর বগারবিল এলাকায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় কাউন্সিলার শহীদ এর দিকনির্দেশনায় পরিকল্পিত ভাবে রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্র ও রড দিয়ে আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ কে এম তারিকুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসীরা সংঙ্গবদ্ধভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন গত ২৭ শে জুন। অভিযোগ আছে এলাকায় অনেক দিন ধরেই স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে স্থানীয় কাউন্সিলার শহীদ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন এলাকায়। অপকর্ম করতে রেখেছেন ৩টি সন্ত্রাসী বাহিনী। যার ফলে এলাকায় কেউ কখনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ খোলার সাহসটুকুও পান না। স্থানীয় কাউন্সিলর শহীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন, দৈনিক আলোর দিগন্ত, দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র, দৈনিক এশিয়া বানীসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায়। আর তাতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগীতায় একাধিকবার হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করছেন বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোটালের প্রতিনিধিদের। ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানোর পরেও কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা নেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাকলিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে । বরং থানার পাশে পতিতালয়, ইয়াবা, ও কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিনের কাছে তথ্য জানতে অফিসে গেলে সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের গাল মন্দ করে অপমান করে বের করে দেন ওসি। ঘটনার কয়েকদিন পরেই আবারো হত্যার উদ্দেশ্যে কাউন্সিলার শহীদের দিকনির্দেশনায় একদল সন্ত্রাসী সংঙ্গবদ্ধ ভাবে হামলা করার জন্য তাকে পেছন থেকে তাড়া করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিতেই সন্ত্রাসীরা একজন আরেকজনকে বলতে থাকে শহিদ ভাইয়ের নিদের্শ গুলি চালা। কিন্তু দূভাগ্যবশত দৌড়াতে গিয়ে পেছন থেকে এক সন্ত্রাসীর দোনালা বন্দুকের উল্টা আঘাতে মাটিতে পড়ে যান তারিকুল ইসলাম। এর পর এলোপাথাড়ি ভাবে পেটাতে থাকেন সন্ত্রাসীরা। তারিকুলের চিৎকারের ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিলে সেখানে করোনার কারণে প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করার পরামর্শ দিলে পরবর্তী চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসক বলছেন পা কোন ভাবেই নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে প্রচন্ড আঘাত করায় ফ্যাকচার হয়েছে। এমন অবস্থায় বিশ্রামে থাকতে হবে কমপক্ষে তিন মাস। এ দিকে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূহুল আমিন ও ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার শহীদের মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ

কাস্টমস হাউসের ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড

শেখ দিদারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড অর্জন করেছে। যা অতীতে আদায় হওয়া রাজস্ব থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের তিন দিন বাকি থাকতে ২৭ জুন (রোববার) পযর্ন্ত আদায় হলো ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ। গত এক বছর আগে সবোর্চ্চ ছিল ২১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে তুলনামূলক ১ শতাংশ। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের হিসাব মতে, জুন মাসের তিন দিন বাকি থাকতেই আদায় হলে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। রোববার একদিনেই আদায় হয়েছে ৯৯৯ কোটি টাকা। অথচ জুনের টার্গেট ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা। গত বছর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের বার্ষিক অর্জন ছিল ৪১ হাজার ৮৫ লাখ ৩৮৬ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে আদায় হলো ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। বাকি তিন দিনে আরো এক হাজার কোটি টাকা আদায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জুন মাসের মাসিক টার্গেটকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘আমরা রাজস্ব আদায়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছি। এটি একটি বড় রেকর্ড। গত যে কোন রেকর্ড থেকে আমরা এগিয়ে। করোনা মহামারির এ সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন এটি সামান্য কথা নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজস্ব বৃদ্ধিতে তিনটি জায়গায় জোর দিয়েছি। তা হলো এইচএস কোড, পণ্যের মূল্য, মিস ঘোষণা বন্ধ। এর সুফল হিসেবে এত টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হলো।’ টার্গেট স্পর্শ করতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য এমনিতেই মন্দা। দেশের আমদানি রপ্তানি বাড়লে রাজস্ব আদায় আরও বাড়তো। তবে, আমরা হাফ সেঞ্চুরি অর্জন করেছি। এটি একটি স্বীকৃতি পাওয়ার মতো অর্জন। জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের চট্টগ্রামের এ শুল্ক স্টেশনের বাষিক টার্গেট ছিল ৬৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। আদায় হওয়া রাজস্ব যদিও টার্গেট থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে থাকবে। এরপরও এ আদায় হওয়া রাজস্বকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বলেন, ‘করোনার মহামারিতে কাস্টমস হাউস খোলা ছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিএন্ডএফ সদস্যরা কাস্টমস হাউসে কাজ করেছে। এ অর্জন কাস্টমসে জড়িত সকলের।’ চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালে শুল্ক স্টেশন চালু রাখাও চ্যালেঞ্জ ছিল। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বন্দর কাস্টমস চালু রাখা হয়েছিল। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো দেশ এগিয়ে যাওয়া। আগামিতে আরো বেশি ব্যবসা বান্ধব হতে হবে এ শুল্ক স্টেশনকে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যেন না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৯ জুন, ২০২১/দ ম দ