আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1890

বান্দরবানে সেনাবাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

প্রতিনিধি, বান্দরবান:
বান্দরবানে রুমা সেনা জোন কর্তৃক নিয়মিত সেনাবাহিনী অভিযানের বিদেশি রাশিয়ান তৈরি এসএমজি,৩টি ম্যাগাজিন,  মরণব্যাধী বিদেশিদের আফিম,  দেশীয় মদ, গাঁজা, ছুড়ি, তাজ, এ্যামোনেশন, ব্যবহৃত ব্যাগ, সহ বিপুল পরিমাণে সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১১মে গভীর রাতে ৩টা দিকে রুমা সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গভীর অরণ্যে জঙ্গলে মিনঝিড়ি মার্মা পাড়ার সংলগ্নের একটি জুম ঘরের নিজস্ব গুয়েন্ডায় তথ্য ভিত্তিতে উপরোল্লেখিত সরঞ্জাম সমুহ উদ্বার করা হয়েছে বলে  রুমা জোন ২৭বেঙ্গল সেনাবাহিনী চৌকস অফিসার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ যোবায়ের শফিক পিএসসি  জানিয়েছেন। এর আগেও উক্ত এলাকায় থেকে রুমা জীপ গাড়ির ড্রাইভার বাসুতূ দাশ সহ মোট ৩জনকে অপহরণ করা হয়েছে । জোনে নিজস্ব গোয়েন্ডায় ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েকদিন ধরে ভারত মিজোরাম রাজ্যের থেকে বড়থলি ইউনিয়ন  সিমান্ত পেরিয়ে দলচ্যুত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র  সংগঠন  (এএলপি) ৬/৭জন রুমা উপজেলা দিকে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন। গোপন সূত্রে জানা গেছে এই সশস্ত্র গ্রুপ নিয়মিত আফিম সহ ইয়াবা সরবরাহ করছে বলে সংশ্লিষ্ট গোপন সূত্রে জানা যায়। এএলপি সশস্ত্র গ্রুপ প্রায় সময় রুমা ২নং সদর ইউনিয়নের সামাখাল, নাইতং মার্মা পাড়ার গভীর জঙ্গলে অবস্থান করে আসছে। চাঁদা আদায় সহ আগামী আচ্ছন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পক্ষপাতিত করা গভীর মাস্টার প্ল্যান করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কয়েকমাস আগেও কৈক্ষ্যংঝিড়ি এলাকায় তংমক মার্মা পাড়ায় মেমং মার্মা (৫৫) কে   অপহরণ করে সামাখাল, রিঝুক মার্মা পাড়ার সংলগ্নের গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে এখনো পর্যন্ত হদিস মেলেনি ।
আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ

সুন্দরবন রক্ষায় নতুন উদ্যোগ: বন্যপ্রাণি হত্যাকারী ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:
সুন্দরবনের প্রাণিসম্পদ রক্ষায় এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বনবিভাগ। বাঘ, হরিণ, কুমিরসহ অন্যান্য পশুপাখি শিকারীদের ধরিয়ে দিতে পারলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের ভিতরে বাঘ হত্যাকারী অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। বনের বাইরে এ ধরণের অপরাধী ধরিয়ে দিলে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।  সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন, কদমতলা স্টেশন ও কৈখালী স্টেশন থেকে একযোগে বনবিভাগ ও সিপিজির সদস্যরা মাইকিং ও হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে এ প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রচারণায় বনের মধ্যে কুমির হত্যাকারীর জন্য ৩০ হাজার টাকা, বনের বাইরে ১৫ হাজার টাকা। হরিণের ক্ষেত্রে বনের ভিতরে ২০ হাজার  টাকা এবং বনের বাইরে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বনের ভিতরে ১০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরে ৮ হাজার টাকা করে আথিক পুরস্কার প্রদান করা হবে। এবিষয় সুন্দরবনের কদমতলা স্টেশন কমকতা আবু সাঈদ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা মানুষকে জানানোর জন্য আমরা প্রচার শুরু করেছি এবং যারা তথ্য দিবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তিনি আরো জানান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৫ অক্টোবার ২০২০ এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র রক্ষার্থে বনাঞ্চলে/বাইরে যদি বন অপরাধীদের সাথে জড়িতদের (বিষ দিয়ে মাছ ধরা, বন্যপ্রাণি হত্যা, ফাঁদ দিয়ে হরিণ ও বাঘ শিকার, ধরা, মারা, পাচার করা) বিষয় তথ্যসহ সরাজমিনে ধরিয়ে দিতে পারলে। তাদের জন্য সরকারিভাবে আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এসকল অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট ফরেস্ট স্টেশনে যোগাযোগ করতে হবে।
আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ

মহেশখালীতে পিতার হাতে পুত্র খুন

প্রতিনিধি, মহেশখালী (কক্সবাজার):

কক্সবাজারের মহেশখালীতে পিতার গুপ্ত হামলায় পুত্র খুন হয়েছে। আহত হয়েছে আরো চার জন। তাদের আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে মূল ঘাতক আলতাফ ও টিপুকে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ এবং বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হাই। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ জুবাইর (৩৫)। আহতরা হলেন নিহতের ভাই মোঃ ফয়সাল (২৮), বোন জুনু বেগম (৪০), মা জান্নাত বেগম (৫৫) ও ভাগনী শামিমা আকতার (১৬)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামির ছড়ি গ্রামে। মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিতা-পুত্রের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা জানান, ঘাতক পিতা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চালিয়ে জুবাইর ও অন্যান্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুবাইরকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাকিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ

ঈদে রশিতে আটকানো পিকআপ বোঝাই মানুষ যাচ্ছে গ্রামে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনার ভয়াল গ্রাস থেকে সুরক্ষায় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। কিন্তু ঈদের মাত্র বাকি দুদিন। দূরপাল্লার যান বন্ধ থাকলেও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ। যথেষ্ট ভোগান্তি ও পরিবহন সংকট উপেক্ষা করে বিকল্প পথ ও বাহন বেছে নিয়েছেন তারা। প্রাইভেটকার, ট্রাক ও পিকআপে বোঝাই হয়ে করোনাভীতি তুচ্ছ করে পরিবারের টানে বাড়ি ছুটছেন তারা। এমনকি রশিতে আটকানো পিকআপ বোঝাই মানুষকেও ঘরে ফিরতে দেখা গেছে। রাজধানীর শিল্পাঞ্চল সাভারের শিল্পকারখানা ছুটি না হলেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে ঘরমুখো মানুষকে আটকানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু বাড়ি যাওয়া চাই। তাই তো পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ট্রাকে ট্রাকে বাড়ি ছুটছে মানুষ। সোমবার (১০ মে) রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক ঘুরে দেখা যায়, মানুষ বোঝাই পিকআপ ট্রাকের সারি। একটার পর একটা মানুষ বোঝাই ট্রাক ও পিকআপ ছুটছে গন্তব্যে। শত ভোগান্তি উপেক্ষা করেই বাড়ি ফিরছে মানুষ। উদ্দেশ্য পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি।  চরম ভোগান্তি ভোগ করে গ্রামের বাড়ি জামালপুর যাচ্ছেন একদল যুবক। দলের সদস্য বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে মালামালের মতো পিকআপের পিছনে বাঁধা হয়েছে রশি। এভাবেই জামালপুরের মাদারগঞ্জ যাচ্ছেন সাকিল। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ির অপেক্ষায় থেকে এই পিকআপটি ভাড়া করেছি। প্রতিজন ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে রাজি করিয়েছি। তার পরেও যেতে চায় না। অনেক অনুরোধ করে কষ্ট হলেও যেতে হচ্ছে। প্রায় ১ বছর পর একটা ঈদ পাই আমরা। বাবা-মা ও ভাই-বোনের সাথে ঈদ না করতে পারলে এতো শ্রম দিয়ে লাভ কী? তাহলে ঢাকায় এসে এত কষ্ট করি কেন? যেভাবেই হোক বাড়ি যেতেই হবে। পিকআপের অপর যাত্রী আল-আমিন বলেন, প্রতিবারই তো কষ্ট করেই বাড়ি যেতে হয়। ঈদের আগে ভাড়াও হয়ে যায় বেশি। এবার বাসে বসে যানজটে আটকে কষ্ট করতে হবে না। ওই কষ্ট পিকআপে হলে তো দোষ নাই। বাসে টাকা বেশি দিলেও কষ্টে যেতে হয়, পিকআপেও কষ্ট হয় একই। কষ্টে তো যেতেই হয় এবার না হয় পিকআপেই কষ্ট করলাম। পিকআপের চালক হানজালা বলেন, রাস্তায় রাস্তায় চেক পোস্ট। এজন্য রাতে বের হলাম। তবে রাতেও অনেক জায়গায় চেক রয়েছে। এত যাত্রী, বাস তো নেই; আমরা না থাকলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়তো। প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি ৫০০ টাকা করে। তবে ফিরে আসতে আসতে তেলসহ বিভিন্ন খরচ হয়। টাকা মহাজনকে দিয়ে দেড় দুই হাজার থাকে। দুই দিন কষ্ট করে দেড় থেকে দুই হাজা টাকায়ও পোষায় না। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে ট্রাকে ট্রাকে দেখা গেছে ঘরমুখী যাত্রী। ট্রাকে করে যাচ্ছেন এনামুল। তিনি বলেন, গাড়ি না থাকলে যা পাবে তাতেই তো যাবে মানুষ। সবাই তো যাচ্ছে। অনেকেই গ্রামে পৌঁছে ফোন দিচ্ছেন তারা ভালোভাবেই পৌঁছে গেছে। আমাদের যেতে দোষ কী? তিনি বলেন, করোনা যদি হয় কেউ ঠেকাতে পারবেন না। আমি এর আগেও বাড়ি গিয়েছি ট্রাকে করেই। করোনা তো হলো না। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ইমাম বলেন, করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। এক ঈদের জন্য পরিবার পড়ছে হুমকির মুখে। এভাবে গাদাগাদি করে পিকআপ-ট্রাকে করে মানুষ গ্রামে গেলে গ্রামেও করোনা দ্রুত ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। আমাদের নিজের থেকে সচেতন হতে হবে। একজনের জন্য পুরো পরিবারকে হুমকির মুখে পড়ছে। আমরা চাই ঈদের ছুটি যাই হোক, এবার ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি হবে সহযোদ্ধাদের সাথে। তাহলেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। নবীনগর চেক পোস্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই হারুন ওর রশিদ সোমবার রাত ১১টার দিকে বলেন, আমরা নবীনগরে চেক পোস্ট বসালে গাড়ির মালিক ও যাত্রীরা নতুন করে স্ট্যান্ড বানিয়েছে পার্শ্ববর্তী নিরিবিলি এলাকায়। চেক পোস্ট এলাকায় গাড়িতে কোনো যাত্রী থাকে না। চেক পোস্ট পার হয়ে আবার গাড়িতে উঠে রওনা করছেন যাত্রীরা।
আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ

Blessings এর উদ্যোগে পথশিশুর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

প্রতিনিধি, মিরপুর:
প্রতিটি হাসিই যে অমূল্য- তা আবারও প্রমাণ করে দেখালো নিষ্পাপ পথশিশুর দল। Blessings এর উদ্যোগে ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীর সহায়তায় চাঁদের হাটই যেন নেমেছিল মিরপুর দুয়ারিপাড়ার ৫ই মের সন্ধ্যায়। ৩০ জন দরিদ্র পথশিশুর হাতে সেদিন তুলে দেয়া হয় ঈদ আনন্দের উপহার।  শুধু এটুকুই নয়। ঢাকার অনতিদূরে সাভারের বইলারপুর, বন্দে, কোটাপাড়া গ্রামের ৭০ জন অবহেলিত শিশুকেও প্রদান করা হয়েছে ঈদের উপহার সামগ্রী। Blessings আয়োজিত সম্পূর্ণ কার্যক্রমটি যথাযোগ্য স্বাস্থ্যবিধি ও কোভিড প্রটোকল মেনেই সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনাতেও আছে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নিয়মিত হবার প্রতিশ্রুতি। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মহামারির কবলে পর্যুদস্ত জনজীবন, দিশেহারা সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এর সাথে যোগ হয়েছে খাদ্য, চিকিৎসা প্রভৃতি সরঞ্জামের অপর্যাপ্ততা। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি যখন ক্রান্তিকালের ক্ষতির সাথে কিছুটা মানিয়ে নিয়েছে তখন নিম্ন মধ্যম আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনধারণই পড়েছে সংকটে।  অনেকে হারিয়েছেন কাজ, দুবেলা দুমুঠোর সংস্থান। পরিবারে এক বেলা আহারের ব্যবস্থাই হয়ে গেছে অসম্ভব। ভেবে দেখুন, প্রতিবেলা আপনার টেবিলে শোভা পাচ্ছে তিন চার পদের তরকারি, অন্যদিকে জনা ছয়েকের অজস্র পরিবার দিন কাটছে অনাহার-অর্ধাহারে! শহর ও মফঃস্বলের পথশিশুদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ফুল, পত্রিকা বা টুকিটাকি বিক্রি করে যে স্বল্প আয় হতো, তাও কেড়ে নিয়েছে ভয়াল মহামারি। ভাগ্যবিড়ম্বিত এই শিশুর দলের অন্নসংস্থানও হয়ে পড়েছে দুরূহ। গত বছর ‘হাজারো হাসি’র উদ্যোগে ১০০ টি দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ক্লান্ত, নিরন্ন সংগ্রামী পরিবারগুলোর জীবনে স্বস্তি আনবার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাহায্য করা হয় বছরব্যাপি। তবে এবার কার্যক্রমে আসে ভিন্ন আঙ্গিক। শিশুদের মানসিক ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক খেলনার পসরা নিয়ে বাজারে আসে Blessings। এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবছরের মার্চ থেকে। শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক স্মার্ট টয়েসের জন্য ইতোমধ্যেই ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এই সুনামের পেছনে রয়েছে ভোক্তা চাহিদা ও সেবার উপর বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বার্থেই যেহেতু Blessings এর পথচলা, তাই  এর কর্ণধার তৌকির আহমেদ ও আবু সায়েম ভুলে যাননি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কথাও। আগের ধারাবাহিকতায় ‘হাজারো হাসি’র সাথে যোগ দেয় Blessings. যাত্রার আরম্ভেই দানা বেঁধেছিল পরিকল্পনা। Blessings এর আয়কৃত অর্থের একটি অংশ দুঃস্থ পরিবারের স্বার্থে ব্যয়ের প্রত্যয় ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। ঈদের মৌসুমে সেই পরিকল্পনা ডালপালা মেলে দাঁড়ায়, সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অন্তত ১০০ জন পথশিশুকে ঈদের জামা এবং সেমাই-চিনি-দুধের প্যাকেট দেয়া হবে। পথশিশুদের বর্ণিল আগামীর এই স্বপ্নে সারথি হয় দুজনের ফ্রেন্ড সার্কেলের বাকিরাও। অদম্য একদল তরুণের প্রচেষ্টায় দাঁড় হয় সুচিন্তিত কর্মযজ্ঞের খসড়া। যেই স্বপ্নের শুরু হয়েছিল দুই উদ্যোক্তার ভাবনায়, মানবতার কল্যাণে একরাশ সেবক মিলে যায় নিমিষেই। সেই মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আহবান করা হয় সাহায্যের। অল্প সময়েই অনন্য এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়ান Blessings এর শুভানুধ্যায়ি ও ক্রেতা সাধারণেরা। তাদের দান করা অর্থের বদৌলতেই মাসের শুরুতেই ১০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে অনাবিল প্রশান্তির হাসি ফোটাতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিশুদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক এই ভবিষ্যতেও এই কর্মধারা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে Blessings। এর স্বত্বাধিকারী তৌকির আহমেদ জানান, ‘আমাদের ইচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের অধিকার আদায়ে নিরন্তর কাজ করে যাওয়া। এনজিও বা প্রাতিষ্ঠানিক বলয়েই তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সচেষ্ট আমরা। সমাজের আর দশটি শিশুর মত এই নিষ্পাপ শিশুদেরও শিক্ষা, প্রতিভা বিকাশের অধিকার রয়েছে। সেই দিকগুলোকে মুখ্য রেখেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।‘ তরুণ দুই উদ্যোক্তার স্বপ্ন শুধু ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেই আটকে নেই। সমাজের সর্বস্তরের শিশুদের যথাযোগ্য যত্ন ও অধিকার নিশ্চিতে কর্মপন্থা অনুসারে এগিয়ে চলেছেন তারা। শিশুদের মানসিক বিকাশকে সামাজিক পর্যায়ে উন্নীত করে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে Blessings প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সমাজকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে আবু সায়েম বলেন, ‘দুঃস্থ পরিবারের পাশে থাকবার আনন্দই ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমাদের বন্ধু মহল, স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা রোদ ঘাম পায়ে ঠেলে অর্থ সংগ্রহ করছে। সেই অর্থের হিসাব রেখে শিশুদের জন্য কেনাকাটা, তাদের সাথে যোগাযোগ করছে। মহৎ হৃদয়ের এই মানুষগুলো না থাকলে কিছুই সম্ভব হতো না। দিনশেষে তাদের পরিশ্রমেই আমাদের এই উদ্যোগটি সফল। করোনাকালীন এবং এর পরেও মানবতার স্বার্থে আরও বেশি মানুষ এর সাথে যুক্ত হবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।‘
আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ

এক অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি যাচ্ছে ১৪ যাত্রী    

নিজস্ব প্রতিনিধি:                           

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবহনের অভিযোগে মো: সিরাজুল (৩২) নামের এক চালককে আটক করেছে সাভার ট্রাফিক পুলিশ। এসময় অ্যাম্বুলেন্সটি  জব্দ  করা হয়েছে। ১০ মে সোমবার রাত ৯ টার দিকে সাভারের থানা স্ট্যান্ড থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ ওই চালককে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে থাকা ১৪ যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয় । সিরাজুল ইসলাম রংপুরের বাসিন্দা। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি । ট্রাফিক পুলিশ জানায় রাত ৯ টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে দেখে  ভিতরে গাদাগাদি করে ১৪ জন যাত্রী উঠানো । এ পরিস্থিতি দেখে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার কিছু পরিচিত লোকজন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।  আমাকে চিনতে পেরে তারা যাওয়ার জন্য আমাকে অনেক অনুরোধ করে । তাদের অসহায়ত্ব দেখে তাদের উঠিয়ে রংপুরে নিয়ে যাচ্ছিলাম। সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য  করে যাত্রী বহনের দায়ে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করা হয়। তিনি লাইসেন্স ছাড়া ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যাত্রী বহন করছিলেন।  অ্যাম্বুলেন্স চালক মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ

মসজিদে ঢুকে নোবিপ্রবি’র সহকারী রেজিস্ট্রারকে ছুরিকাঘাত, আটক-১

প্রতিনিধি, নোবিপ্রবি: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে মসজিদে ঢুকে এক ব্যক্তিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগে এলাকাবাসী একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আহত ব্যক্তির নাম মো. আবদুল কাদের রহমান (৪২)। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সহকারী রেজিস্ট্রার এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রশীদ কলোনীর রতন মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১০ মে) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ কলোনীর মুন্সি দিঘীর পাড় জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে এখন পর্যন্ত এ হামলার কোনো কারণ জানা যায়নি।
এ ঘটনায় ইউছুফ আলী ওরফে ভান্ডারী (৬০) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তিনি একই এলাকার হাজী বাড়ির মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।
হামলার শিকার আবদুল কাদেরের ছোটভাই আনোয়ার হোসেন জানান, তার বড়ভাই রশিদ কলোনীর মুন্সি দিঘীর পাড় জামে মসজিদে ইতেকাফে অংশগ্রহণ করেন। গত সাতদিন ধরে তিনি মসজিদে অবস্থান করছেন। সোমবার জোহরের নামাজের সময় তিনি নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইউছুফ আলী তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউছুফ আলী ভান্ডারীর রশিদ কলোনী এলাকায় একটি বড় গরুর খামার ছিল। ওই খামারের কারণে পরিবেশ দূষণ হওয়ায় এলাকাবাসী বিভিন্ন অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগপত্রে আমার ভাই আবদুল কাদের রহমানও একাত্মতা প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেন। এ ঘটনার জের ধরে তিনি আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১০ মে -২১/এসএএইচ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গভীর রাতে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:

পটুয়াখালী কলাপাড়ায় ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে গভীর রাতে রাস্তার পাশের গাছ কেঁটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার গভীর রাতে স্থানীয় লোন্দা গ্রামের মৃত্যু রাজ্জাক মৃধার ছেলে তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে এ গাছ কেটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা খেয়াঘাট হতে কলেজ বাজার যাওয়ার রাস্তার দু-পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন থাকলেও স্থানীয় যার যার সীমানার গাছ তারাই দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। ঘটনার রাতে স্থানীয় হানিফ পঞ্চায়েত বাড়ির সামনের তিনটি বড় বড় সাইজের মেহগনি গাছ তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে রাতের আধারে কেটে নেয়। গাছগুলো হানিফ পঞ্চায়েতের মা মোসা: চানবরু গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে লাগিয়েছিল। গভীর রাতে সবার অগোচরে ঐ গাছগুলো কেটে নেয়ায়স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। হানিফ পঞ্চায়েতের মা ষাটোর্ধ চানবরু বলেন, আজ হতে ২০-২৫ বছর আগে এগাছগুলো আমি নিজের হাতে লাগিয়েছিলাম। কিন্তু এগুলো এভাবে রাতের আধারে কেঁটে নেয়ায় ভীষন কষ্ট পেয়েছি। এগুলোতে আমাদের হক রয়েছে। কিন্তু তুহিন মৃধা গায়ের জোরে সেগুলো কেটে নিয়েছে। আমরা তার ভয়েও কিছু বলতে পারছি না। তুহিন মৃধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সম্মতিতে গাছগুলো কেটেছি। এবিষয়ে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: রিয়াজ তালুকদার বলেন, বাড়ির সামনের গাছ তাদের অনুমতি ছাড়া তুহিন মৃধাকে কাঁটতে বলিনি। এখন যাদের বাড়ির সামনের গাছ তাদের প্রচলিত আইনঅনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন । এ বিষয়ে বনবিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আ: সালাম তার ব্যবহৃত মুঠোফোনবন্ধ করে রাখায় তার কোন বক্তব্য জানা যায়নি।

আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ

যেকোনো রোগের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হসপিটাল

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
দেশের সর্ববৃহৎ ও অন্যতম সেরা হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম, আজ স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের সাথে একটি ওয়ার্কশপ সেশন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কয়েকজন চিকিৎসক, হাসপাতালের বর্তমান সার্বিক কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা ও সাম্প্রতিক সাফল্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন। চট্টগ্রাম ও আশেপাশে বসবাসরত রোগীদের জন্য হাসপাতালটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এবং এর কার্যক্রম এখন পুরোপুরি চালু রয়েছে। হাসপাতালটি স্বল্প সময়ে রোগীর সেবা দিয়েছে। জটিল সব অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের কারণে এই হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন স্থগিত করা হয়েছিল যা এই মাসের শেষের দিকে পরিকল্পনা করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ (সিনিয়র কনসালটেন্ট, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলোজি), বদিউল আলম নামক একজন রোগীর চিকিৎসা অভিজ্ঞতা ও সফলতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। ডায়াবেটিক আক্রান্ত বদিউল আলম, তীব্র বুক ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন এভারকেয়ার হসপিটালে। রোগীর এনজিওগ্রাম করে ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ দেখেন তার মূল রক্তনালীর ৩ টিতেই জটিল ব্লক রয়েছে, যার একটি ছিল ৯০-৯৫%, একটি ৯০% এবং অন্যটি ৯৯%। রোগীর হার্ট পাম্পিং (কার্যক্ষমতা) ছিলো মাত্র ৩০%। এমন জটিল রোগীর করনারী স্টেস্টিং আমাদের অত্যাধুনিক ক্যাথ ল্যাবে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে দক্ষ কার্ডিয়াক টিমের সহযোগিতায় ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ এর তত্ত্বাবধানে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। এভারকেয়ার হসপিটালে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বদিউল আলম বলেন, “অনেক দিন যাবৎ আমি ডায়াবেটিকে ভুগছি এবং সম্প্রতি তীব্র বুকে ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটালে ভর্তি হই। হাসপাতালটির ব্যাপারে আগে শুনে থাকলেও, নিজে এসে তাদের উন্নত ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা এবং ডাক্তার-নার্স সহ সকল কর্মীদের আন্তরিক ব্যবহারে আমি সত্যিই মুগ্ধ। ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ স্যার-এর সাথে যোগাযোগের পর তার পরামর্শে আমি হার্টে রিং পড়তে সম্মতি জানাই এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে, স্বল্প খরচে আমার সুচিকিৎসা সম্পন্ন হয়। বর্তমানে আমি ভালো আছি এবং আগের চেয়ে অনেক সুস্থ অনুভব করছি। ডা. জহিরউদ্দিন স্যার এবং এভারকেয়ার হসপিটালে কাছে এইজন্য আমি কৃতজ্ঞ।” এভারকেয়ার চট্টগ্রাম হসপিটালে রয়েছে অত্যাধুনিক এবং বিশ্বমানের ক্যাথ ল্যাব এবং কার্ডিয়াক অপারেশন থিয়েটার । এখানে ২৪/৭ দক্ষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, হৃদরোগ সার্জন এবং ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে হৃদরোগের যাবতীয় জটিল রোগের চিকিৎসা সুলভমূল্যে সম্পন্ন করা হয়। আজকের অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপ সেশন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নীলেশ গুপ্ত , চীফ অপারেটিং অফিসার ,এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম; ডা. প্রকাশ কুণ্ডুর নারাসিমহাইয়া, পরিচালক -মেডিকেল সার্ভিসেস, এভার কেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম; ডা: মোহাম্মদ ফজল- ই- আকবর চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক, মেডিকেল সার্ভিসেস, এভারকেয়ার হাসপাতাল হসপিটাল সহ আরও অনেকে।

আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ

ট্রাকের বেপরোয়া গতির কারণে নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিনিধি: 
চট্টগ্রাম- বাঁশখালী- চকরিয়া সড়কে দুপুর আনুমানিক ১২.৫০ ঘটিকায় বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাঁও নামক স্থানে পিবিএ সড়কে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে এতে ঘটনাস্থলে ০৩ জন নিহত হন এবং আহত হন ০৩ জন। নিহতরা হলেন ১) আবদুর রহিম(২৫) পিতা- মোঃ হাশেম, উপজেলা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান ২) সানজিদা করিম প্রিয়া(২৩) স্বামী-আরমান(আহত),উপজেলা-চকরিয়া,জেলা- কক্সবাজার ৩)প্রিয়া মনি(০৩) পিতা-আরমান(আহত),উপজেলা-চকরিয়া,জেলা- কক্সবাজার ।  আহত তিনজন হলেন ১) আরমান(২৮) পিতা-নুরুল ইসলাম, উপজেলা-চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার ২) মাহি(১৮) পিতা- আবদুস সোবহান, উপজেলা-চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার ৩) আইয়ুব, পিতা- নুর মোহাম্মদ, উপজেলা-পেকুয়া,জেলা-কক্সবাজার। আহত তিনজন  চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন । নিহতদের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো  হচ্ছে। মামলা রুজুর প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বাঁশখালী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ