বান্দরবানে সেনাবাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
সুন্দরবন রক্ষায় নতুন উদ্যোগ: বন্যপ্রাণি হত্যাকারী ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা
মহেশখালীতে পিতার হাতে পুত্র খুন
প্রতিনিধি, মহেশখালী (কক্সবাজার):
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পিতার গুপ্ত হামলায় পুত্র খুন হয়েছে। আহত হয়েছে আরো চার জন। তাদের আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে মূল ঘাতক আলতাফ ও টিপুকে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ এবং বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হাই। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ জুবাইর (৩৫)। আহতরা হলেন নিহতের ভাই মোঃ ফয়সাল (২৮), বোন জুনু বেগম (৪০), মা জান্নাত বেগম (৫৫) ও ভাগনী শামিমা আকতার (১৬)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামির ছড়ি গ্রামে। মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিতা-পুত্রের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা জানান, ঘাতক পিতা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চালিয়ে জুবাইর ও অন্যান্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুবাইরকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাকিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ
ঈদে রশিতে আটকানো পিকআপ বোঝাই মানুষ যাচ্ছে গ্রামে
করোনার ভয়াল গ্রাস থেকে সুরক্ষায় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। কিন্তু ঈদের মাত্র বাকি দুদিন। দূরপাল্লার যান বন্ধ থাকলেও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ। যথেষ্ট ভোগান্তি ও পরিবহন সংকট উপেক্ষা করে বিকল্প পথ ও বাহন বেছে নিয়েছেন তারা। প্রাইভেটকার, ট্রাক ও পিকআপে বোঝাই হয়ে করোনাভীতি তুচ্ছ করে পরিবারের টানে বাড়ি ছুটছেন তারা। এমনকি রশিতে আটকানো পিকআপ বোঝাই মানুষকেও ঘরে ফিরতে দেখা গেছে। রাজধানীর শিল্পাঞ্চল সাভারের শিল্পকারখানা ছুটি না হলেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে ঘরমুখো মানুষকে আটকানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু বাড়ি যাওয়া চাই। তাই তো পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ট্রাকে ট্রাকে বাড়ি ছুটছে মানুষ। সোমবার (১০ মে) রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক ঘুরে দেখা যায়, মানুষ বোঝাই পিকআপ ট্রাকের সারি। একটার পর একটা মানুষ বোঝাই ট্রাক ও পিকআপ ছুটছে গন্তব্যে। শত ভোগান্তি উপেক্ষা করেই বাড়ি ফিরছে মানুষ। উদ্দেশ্য পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি। চরম ভোগান্তি ভোগ করে গ্রামের বাড়ি জামালপুর যাচ্ছেন একদল যুবক। দলের সদস্য বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে মালামালের মতো পিকআপের পিছনে বাঁধা হয়েছে রশি। এভাবেই জামালপুরের মাদারগঞ্জ যাচ্ছেন সাকিল। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ির অপেক্ষায় থেকে এই পিকআপটি ভাড়া করেছি। প্রতিজন ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে রাজি করিয়েছি। তার পরেও যেতে চায় না। অনেক অনুরোধ করে কষ্ট হলেও যেতে হচ্ছে। প্রায় ১ বছর পর একটা ঈদ পাই আমরা। বাবা-মা ও ভাই-বোনের সাথে ঈদ না করতে পারলে এতো শ্রম দিয়ে লাভ কী? তাহলে ঢাকায় এসে এত কষ্ট করি কেন? যেভাবেই হোক বাড়ি যেতেই হবে। পিকআপের অপর যাত্রী আল-আমিন বলেন, প্রতিবারই তো কষ্ট করেই বাড়ি যেতে হয়। ঈদের আগে ভাড়াও হয়ে যায় বেশি। এবার বাসে বসে যানজটে আটকে কষ্ট করতে হবে না। ওই কষ্ট পিকআপে হলে তো দোষ নাই। বাসে টাকা বেশি দিলেও কষ্টে যেতে হয়, পিকআপেও কষ্ট হয় একই। কষ্টে তো যেতেই হয় এবার না হয় পিকআপেই কষ্ট করলাম। পিকআপের চালক হানজালা বলেন, রাস্তায় রাস্তায় চেক পোস্ট। এজন্য রাতে বের হলাম। তবে রাতেও অনেক জায়গায় চেক রয়েছে। এত যাত্রী, বাস তো নেই; আমরা না থাকলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়তো। প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি ৫০০ টাকা করে। তবে ফিরে আসতে আসতে তেলসহ বিভিন্ন খরচ হয়। টাকা মহাজনকে দিয়ে দেড় দুই হাজার থাকে। দুই দিন কষ্ট করে দেড় থেকে দুই হাজা টাকায়ও পোষায় না। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে ট্রাকে ট্রাকে দেখা গেছে ঘরমুখী যাত্রী। ট্রাকে করে যাচ্ছেন এনামুল। তিনি বলেন, গাড়ি না থাকলে যা পাবে তাতেই তো যাবে মানুষ। সবাই তো যাচ্ছে। অনেকেই গ্রামে পৌঁছে ফোন দিচ্ছেন তারা ভালোভাবেই পৌঁছে গেছে। আমাদের যেতে দোষ কী? তিনি বলেন, করোনা যদি হয় কেউ ঠেকাতে পারবেন না। আমি এর আগেও বাড়ি গিয়েছি ট্রাকে করেই। করোনা তো হলো না। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ইমাম বলেন, করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। এক ঈদের জন্য পরিবার পড়ছে হুমকির মুখে। এভাবে গাদাগাদি করে পিকআপ-ট্রাকে করে মানুষ গ্রামে গেলে গ্রামেও করোনা দ্রুত ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। আমাদের নিজের থেকে সচেতন হতে হবে। একজনের জন্য পুরো পরিবারকে হুমকির মুখে পড়ছে। আমরা চাই ঈদের ছুটি যাই হোক, এবার ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি হবে সহযোদ্ধাদের সাথে। তাহলেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। নবীনগর চেক পোস্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই হারুন ওর রশিদ সোমবার রাত ১১টার দিকে বলেন, আমরা নবীনগরে চেক পোস্ট বসালে গাড়ির মালিক ও যাত্রীরা নতুন করে স্ট্যান্ড বানিয়েছে পার্শ্ববর্তী নিরিবিলি এলাকায়। চেক পোস্ট এলাকায় গাড়িতে কোনো যাত্রী থাকে না। চেক পোস্ট পার হয়ে আবার গাড়িতে উঠে রওনা করছেন যাত্রীরা।
Blessings এর উদ্যোগে পথশিশুর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
এক অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি যাচ্ছে ১৪ যাত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবহনের অভিযোগে মো: সিরাজুল (৩২) নামের এক চালককে আটক করেছে সাভার ট্রাফিক পুলিশ। এসময় অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে। ১০ মে সোমবার রাত ৯ টার দিকে সাভারের থানা স্ট্যান্ড থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ ওই চালককে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে থাকা ১৪ যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয় । সিরাজুল ইসলাম রংপুরের বাসিন্দা। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি । ট্রাফিক পুলিশ জানায় রাত ৯ টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে দেখে ভিতরে গাদাগাদি করে ১৪ জন যাত্রী উঠানো । এ পরিস্থিতি দেখে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকার কিছু পরিচিত লোকজন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমাকে চিনতে পেরে তারা যাওয়ার জন্য আমাকে অনেক অনুরোধ করে । তাদের অসহায়ত্ব দেখে তাদের উঠিয়ে রংপুরে নিয়ে যাচ্ছিলাম। সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী বহনের দায়ে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করা হয়। তিনি লাইসেন্স ছাড়া ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যাত্রী বহন করছিলেন। অ্যাম্বুলেন্স চালক মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
আলোকিত প্রতিদিন / ১১ মে, ২০২১ / দ ম দ
মসজিদে ঢুকে নোবিপ্রবি’র সহকারী রেজিস্ট্রারকে ছুরিকাঘাত, আটক-১
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গভীর রাতে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ
প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালী কলাপাড়ায় ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে গভীর রাতে রাস্তার পাশের গাছ কেঁটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার গভীর রাতে স্থানীয় লোন্দা গ্রামের মৃত্যু রাজ্জাক মৃধার ছেলে তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে এ গাছ কেটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা খেয়াঘাট হতে কলেজ বাজার যাওয়ার রাস্তার দু-পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন থাকলেও স্থানীয় যার যার সীমানার গাছ তারাই দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। ঘটনার রাতে স্থানীয় হানিফ পঞ্চায়েত বাড়ির সামনের তিনটি বড় বড় সাইজের মেহগনি গাছ তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে রাতের আধারে কেটে নেয়। গাছগুলো হানিফ পঞ্চায়েতের মা মোসা: চানবরু গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে লাগিয়েছিল। গভীর রাতে সবার অগোচরে ঐ গাছগুলো কেটে নেয়ায়স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। হানিফ পঞ্চায়েতের মা ষাটোর্ধ চানবরু বলেন, আজ হতে ২০-২৫ বছর আগে এগাছগুলো আমি নিজের হাতে লাগিয়েছিলাম। কিন্তু এগুলো এভাবে রাতের আধারে কেঁটে নেয়ায় ভীষন কষ্ট পেয়েছি। এগুলোতে আমাদের হক রয়েছে। কিন্তু তুহিন মৃধা গায়ের জোরে সেগুলো কেটে নিয়েছে। আমরা তার ভয়েও কিছু বলতে পারছি না। তুহিন মৃধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সম্মতিতে গাছগুলো কেটেছি। এবিষয়ে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: রিয়াজ তালুকদার বলেন, বাড়ির সামনের গাছ তাদের অনুমতি ছাড়া তুহিন মৃধাকে কাঁটতে বলিনি। এখন যাদের বাড়ির সামনের গাছ তাদের প্রচলিত আইনঅনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন । এ বিষয়ে বনবিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আ: সালাম তার ব্যবহৃত মুঠোফোনবন্ধ করে রাখায় তার কোন বক্তব্য জানা যায়নি।
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ
যেকোনো রোগের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হসপিটাল
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
দেশের সর্ববৃহৎ ও অন্যতম সেরা হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম, আজ স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের সাথে একটি ওয়ার্কশপ সেশন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কয়েকজন চিকিৎসক, হাসপাতালের বর্তমান সার্বিক কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা ও সাম্প্রতিক সাফল্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন। চট্টগ্রাম ও আশেপাশে বসবাসরত রোগীদের জন্য হাসপাতালটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এবং এর কার্যক্রম এখন পুরোপুরি চালু রয়েছে। হাসপাতালটি স্বল্প সময়ে রোগীর সেবা দিয়েছে। জটিল সব অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের কারণে এই হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন স্থগিত করা হয়েছিল যা এই মাসের শেষের দিকে পরিকল্পনা করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ (সিনিয়র কনসালটেন্ট, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলোজি), বদিউল আলম নামক একজন রোগীর চিকিৎসা অভিজ্ঞতা ও সফলতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। ডায়াবেটিক আক্রান্ত বদিউল আলম, তীব্র বুক ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন এভারকেয়ার হসপিটালে। রোগীর এনজিওগ্রাম করে ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ দেখেন তার মূল রক্তনালীর ৩ টিতেই জটিল ব্লক রয়েছে, যার একটি ছিল ৯০-৯৫%, একটি ৯০% এবং অন্যটি ৯৯%। রোগীর হার্ট পাম্পিং (কার্যক্ষমতা) ছিলো মাত্র ৩০%। এমন জটিল রোগীর করনারী স্টেস্টিং আমাদের অত্যাধুনিক ক্যাথ ল্যাবে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে দক্ষ কার্ডিয়াক টিমের সহযোগিতায় ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াছ এর তত্ত্বাবধানে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। এভারকেয়ার হসপিটালে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বদিউল আলম বলেন, “অনেক দিন যাবৎ আমি ডায়াবেটিকে ভুগছি এবং সম্প্রতি তীব্র বুকে ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটালে ভর্তি হই। হাসপাতালটির ব্যাপারে আগে শুনে থাকলেও, নিজে এসে তাদের উন্নত ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা এবং ডাক্তার-নার্স সহ সকল কর্মীদের আন্তরিক ব্যবহারে আমি সত্যিই মুগ্ধ। ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ স্যার-এর সাথে যোগাযোগের পর তার পরামর্শে আমি হার্টে রিং পড়তে সম্মতি জানাই এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে, স্বল্প খরচে আমার সুচিকিৎসা সম্পন্ন হয়। বর্তমানে আমি ভালো আছি এবং আগের চেয়ে অনেক সুস্থ অনুভব করছি। ডা. জহিরউদ্দিন স্যার এবং এভারকেয়ার হসপিটালে কাছে এইজন্য আমি কৃতজ্ঞ।” এভারকেয়ার চট্টগ্রাম হসপিটালে রয়েছে অত্যাধুনিক এবং বিশ্বমানের ক্যাথ ল্যাব এবং কার্ডিয়াক অপারেশন থিয়েটার । এখানে ২৪/৭ দক্ষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, হৃদরোগ সার্জন এবং ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে হৃদরোগের যাবতীয় জটিল রোগের চিকিৎসা সুলভমূল্যে সম্পন্ন করা হয়। আজকের অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপ সেশন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নীলেশ গুপ্ত , চীফ অপারেটিং অফিসার ,এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম; ডা. প্রকাশ কুণ্ডুর নারাসিমহাইয়া, পরিচালক -মেডিকেল সার্ভিসেস, এভার কেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম; ডা: মোহাম্মদ ফজল- ই- আকবর চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক, মেডিকেল সার্ভিসেস, এভারকেয়ার হাসপাতাল হসপিটাল সহ আরও অনেকে।
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ মে, ২০২১ / দ ম দ