প্রতিনিধি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
৫ আগস্টের পর প্রায় ৩ মাস সড়কের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন জাতীয় মহাসড়কের অবশিষ্ট জায়গার নির্মাণ কাজ আবারও শুরু হয়েছে। দেশের পরিবর্তিত সময়ে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকল্প চলমান এলাকা থেকে সড়কের সকল ধরনের কার্যক্রম গুছিয়ে নেওয়ায় রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা আবার ফিরে আসায় চলতি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মহাসড়কের বেহাল অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। একই সাথে মহাসড়কের ঘাটুরা এলাকার সেতুর নির্মাণ কাজও শুরু করেছে তারা । ফলে প্রকল্পটি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো বলা যায় এখন তা ধীরে ধীরে অনেকটা কাটতে শুরু করেছে। জানা যায়, ২০১৭ সালে একনেক প্রকল্পের আওতায় আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়। তবে তখন করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হয়। এখন বর্তমানে প্রকল্পটির ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ভারতে চলে যান। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে মহাসড়কের অন্তত ৪ কিলোমিটার অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরো বহুগুনে বাড়ে। তবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে কর্মীরা ফিরে আসতে শুরু করায় সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হয়। এ ব্যপারে,প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ জানান, এরই মধ্যে ৩০ জন ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফিরেছেন। আপাতত সংস্কার কাজ চলছে এবং পাথরসহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির পর পুরো নির্মাণ কাজ আবার পুরোদমে শুরু হবে। প্রয়োজনে প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হতে পারে বলে তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর-২৪/মওম