আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 213

ঘিওর গরুহাটা সড়কের নিচের মাটি ধ্বসে যাচ্ছে নদীতে, কুস্তা নদীর উপর ডাইভারশন রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগ 

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত, মানিকগঞ্জ:
ভাঙনের থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর হাট ও যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিও। ঘিওর গরুহাটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া সহ হাটের যাতায়াতের একমাত্র পাকা সড়কের নিচের অংশের মাটি ধ্বসে যাচ্ছে নদীতে। যেকোনো মুহূর্তে চলাচলের সড়কটি নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট যানবাহন-মানুষজন। গরু হাটা ও সড়কটি দ্রুত ভাঙ্গন রোধে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বাকি অবশিষ্ট স্থাপনা ও বিস্তীর্ণ জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
অপরদিকে ঘিওর-কুস্তা ইছামতি নদীর উপর পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর সেখানে এ পর্যন্ত চলাচলের জন্য কোন ডাইভারশন রাস্তা নির্মাণ না করায় দুর্ভোগে পড়েছে ৩০ গ্রামের মানুষজন। গরুহাট সড়ক রক্ষা ও কুস্তা নদীর উপর ডাইভারশন (রাস্তা) নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গরুর হাট ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে  বিলীন হওয়ার পর এবছর হাটের সড়কটিও বিলীন হওয়ার পথে। অন্যদিকে ঘিওর কুস্তা ইছামতি নদীর উপর পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলার পর সেখানে যাতায়াতের ডাইভারশন রাস্তা না করায় চরম দুর্ভোগ পড়েছে এলাকার দিশেহারা মানুষজন।
গরুহাট সংলগ্ন কুস্তা দক্ষিণপাড়া নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা ষাটউর্ধ রাবিয়া বেওয়া বলেন, তিন বছর আগে নদীতে সব চলে গেছে তার। এখন অবশিষ্ট থাকা একটু মাটির উপর সরকারি টিনের ঘরে বসবাস করছি। বিয়ে হয়ে যাওয়া দুই মেয়ে আমাকে ভাত-কাপড় দিয়ে চালাচ্ছে।
ঘিওর হাটে আসা রসুলপুর গ্রামের ইকবাল মোল্লা বলেন, বাপ-দাদা আমলের গরুহাটি নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন চলাচলের সড়কটির তলার মাটি ধ্বসে বিলিনের পথে। এ রাস্তাটি দিয়ে বেপারি পাড়া, বড়টিয়া, মোহালি, ফুলহারা, হিজুলিয়া, নেকের কান্দী, রসুলপুর, ঠাকুরকান্দী, গোলাপ নগর ও কুস্তা সহ প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষজন চলাফেরা করে থাকেন।
স্থানীয় গাড়ি চালক হৃদয় মিয়া জানান, দফায় দফায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে এই গরুহাটটি। এখন বাকী চলাচলে রাস্তাটির নিচের মাটি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। রাস্তাটি ভেঙে নদীতে চলে গেলে গ্রামের মানুষজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা কেরামত আলী জানান, গত কয়েক বছরের নদীর ভাঙ্গনে গরুর হাট বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে চলাচলের একমাত্র সড়ক টিও নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘিওর হাটে ধান বিক্রি করতে আসা তেরশ্রী গ্রামের মনোয়ার হোসেন জানান,  কুস্তা নদীর উপর ব্রিজ হওয়ার আগ পর্যন্ত একটি ডাইভারশন রাস্তা জরুরী হয়ে পড়েছে। আপাতত  ডাইভারশন রাস্তাটি নির্মাণ হলে যাতায়াতকারী মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে।
নদী ভাঙ্গনের শিকার কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা নাহিদা বেগম বলেন, নদীর ভাঙ্গনে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। ভাঙ্গন রোধে আরো বেশি জিও ব্যাক ফেলা সহ কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

উ. কোরিয়ার সাথে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো পুতিন, আইনে পরিণত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

উত্তর কোরিয়ার সাথে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হলো। এটিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষায় সহযোগিতার বিধান রয়েছে। এর পূর্বে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ চুক্তিটি অনুমোদন করে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে শীর্ষ বৈঠকের পর গত জুন মাসে পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে সশস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, চলতি সপ্তাহে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ চুক্তিটি অনুমোদন করে। আর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গত মাসেই তা অনুমোদন করেছিল। এই অনুমোদনের বিষয়টিকে পুতিন আইন হিসেবে স্বাক্ষর করেন যা আইনি প্রক্রিয়ার রূপরেখাসহ শনিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

টানা আড়াই বছর ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় রশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা করছে কিয়েভ। বিপরীতে মস্কোও তার মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য রা  শিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রনে পুরোদমে তার আক্রমণ শুরুর পর এই চুক্তির ফলে মস্কো এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলো।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে। ইউক্রেনের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা রাশিয়ার আক্রমণের ক্ষেত্রগুলোতে অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন। জেলেনস্কি গত বৃহস্পতিবার বলেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১১ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে এবং তাদের কেউ কেউ রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে হতাহত হয়েছে।

রাশিয়া অবশ্য রুশ ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেনি।

আলোকিত প্রতিদিন/১০ নভেম্বর-২৪/মওম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনা প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আলোকিত প্রতিবেদক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।  ১০ নভেম্বর রবিবার সকালে তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/১০ নভেম্বর-২৪/মওম

জিরো পয়েন্টে আসছে বিভিন্ন ছোট-বড় মিছিল, আ.লীগের দেখা নেই

আলোকিত ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজধানী। সম্প্রতি ফেসবুক পেজে জিরো পয়েন্ট এলাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্থান এলাকায় তাদের নেতাকর্মীদের কোনো অবস্থান দেখা যায়নি। উল্টো সমাবেশ প্রতিহত করার জন্য কিছু সময় পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এখানে আসছেন। তারা মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানে জানান দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থান।

১০ নভেম্বর রবিবার বেলা ১২টার দিকে পল্টন মোড় থেকে শুরু করে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিগত দিনগুলোর মতোই রয়েছে যানজটও। মানুষের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। তবে পুরো এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি জলকামান এবং এপিসি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এখানে দেখা যায়নি। জুলাইয়ের কাফেলা নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে মিছিল নিয়ে আসা একজন বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বিগত দিনের গণহত্যার ব্যাপারে অনুতপ্ত হওয়ার বদলে উল্টো দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি ঘৃণ্য দল। এদের লজ্জা শরম নেই। তাদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রতিহত করা হবে।

অপরদিকে এখনও আজকের সমাবেশকে সফল করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সমাবেশ সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিতেও দেখা গেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামতে পারেনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়তে হয় দলটির নেতাকর্মীদের। আবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এরই মধ্যে।  এ অবস্থার মধ্যেই নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওই পোস্টে বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

মিছিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়। তবে ওই একইস্থানে পাল্টা গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আলোকিত প্রতিদিন/১০ নভেম্বর-২৪/মওম

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ডসহ গ্রে*প্তার-১০

আলোকিত প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া কথিত অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ব্যবহার করে মিছিলে ভাঙচুর ও অবমাননার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছিলেন তারা।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

 

তিনি জানান, সম্প্রতি ভাইরাল অডিও বার্তায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর ছবি ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ব্যবহার করে মিছিল সমাবেশের নির্দেশ প্রদান করেন। সেই ছবি ও প্ল্যাকার্ড ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া সেগুলো ভাঙচুর ও অবমাননার ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশনাও দেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বিনষ্টের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এই অপতৎপরতার পরিকল্পনা করেছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত এই কুচক্রী মহলের দশ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল উসকানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয় তখন ।

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মহলের যে কোনো চক্রান্ত রুখে দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসব অপকর্মের উসকানিদাতা, অর্থ যোগানদাতা ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে রাজধানীর গুলিস্তানে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তাদের একজন বলেন, আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে আটকের পর তিনি দুই-তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হন এবং তাকে ছেড়ে দিতে বলেন।

তিনি বলেন, আটক ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের ‘এ টিম’-এর সদস্য। তার মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্টার পাওয়া গেছে। তার ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে সরকারবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতার প্রমাণ পাওয়া গেছে তার মোবাইল থেকে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

 পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ফলে থমথমে জিরো পয়েন্ট, চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে এবং অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ  ১০ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর গুলিস্থান জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচি ঘোষণার পর গতকাল রাত থেকে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ফলে ১০ নভেম্বর রবিবার সকালে থেকে গুলিস্থান এলাকা থমথমে এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে চারপাশে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া এ বিষয়ে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন। সকাল ১০টায় গুলিস্থান জিরো পয়েন্ট গিয়ে, শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটু পর পর মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে জমায়েত হতে দেখা গেছে।

এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য এলাকার চারপাশে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন রমনা জোনের ডিসি, এডিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসব কর্মসূচির জন্য সড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাক এবং পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহনীর শত শত সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে এবং  মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের এপিসি, জলকামানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।

সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রাত থেকেই গুলিস্থান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলের কোনও অসুবিধা যাতে না হয় সে বিষয়গুলো রারা খেয়াল রাখছেন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপির গণমাধ্যম এবং জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার বলেন, ‘যেকোনও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। গুলিস্তানের কর্মসূচি ঘিরেও পুলিশের কঠোর অবস্থান রয়েছে। বিশেষ কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

এদিগে ৯ নভেম্বর শনিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিপরীতে একই স্থানে ক্ষমতাচ্যুত দলটির বিচারের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আলোকিত প্রতিদিন/১০ নভেম্বর-২৪/মওম

শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে: এবিএম মোশাররফ

মোঃ কাওছার আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী
‘শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি মামলাও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করিনি। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনার নির্দেশে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার নেতাদের বিরুদ্ধে দুই’শ মামলা করেছে নিহতদের পরিবার। নিশ্চয়ই এই সকল মামলায় বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক আদালতেও হাজির হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গাবালীতে মোশাররফ হোসেনের প্রথম এই সভাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
সভায় আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। হাসিনা এমন অবস্থা করেছে যে, এমপি হতে ভোট লাগেনি। বিনা ভোটে এমপি হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতেই  করে ফেলা হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচন নিজেরা নিজেরাই করেছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ইউনুসের নেতৃত্বের সরকারকে আমরা সহযোগীতা করতে চাই। কারণ আগামী দিনে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’ আওয়ামী লীগের আমলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং সংসদ নির্বাচনে ভোট মানুষ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। যার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমরা তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা করবো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল নির্বাচন হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা এককভাবে সরকার গঠন করবো না। আন্দোলনরত সকল দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং রেহেনার ছেলে ববি ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে। খুন-গুম এবং টাকা চুরিসহ এমন কোন অপরাধ নেই যে শেখ হাসিনা করেনি। তাই বোনকে নিয়ে ভারতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।’
এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বক্তব্য রাখেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির র‌্যালী‍

মোস্তাকিম বিল্লাহ, নীলফামারী 

নীলফামারীতে ৭নভেম্বরের ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বর্নাঢ্য র‌্যালী করেছে নীলফামারী জেলা বিএনপি। আজ শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে যুবদল,স্বে”চ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, ছাত্রদল সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আবারো জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে র‌্যালীটি শেষ হয়। এবং প্রদক্ষিণ শেষে বড় মাঠে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম,মাহবুবুর রহমান মাহবুব,  সহ-সভাপতি,মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু, রাহেদুল ইসলাম দোলন, মোক্তার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু মোঃ সোয়েম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদোয়ানুল হক বাবু, জেলা যুবদলের সভাপতি এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল,সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত চৌধুরী,নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মোজাম সহ  প্রমুখ।

 

এসময় বক্তারা বলেন,বিএনপি সুসংগঠিত একটি জনমানুষের দল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও বিএনপি সফল ছিল আবারও সফল হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় আমাদের উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের স্বার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। আজকে বর্ণাঢ্য র্যালিতে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণ এটাই প্রমাণ করে যে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। র্যালিতে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আল মাসুদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের  সভাপতি আবু সুফিয়ান রুমেল, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা,সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আযম,সদস্য সচিব আবুল হাসনাত রাসেল, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহবায়ক প্রবীর গুহ রিন্টু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাড. আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আসাদুজ্জামান খান রিনোসহ,হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে জা*রি হচ্ছে ‘রেড অ্যালার্ট’

আলোকিত প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। এমনটা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আজ রবিবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কারণ নেই বলে তিনি জানান।

এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত জানালেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

হৃদয়ের বাসনা : পাপিয়া সুলতানা

হৃদয়ের বাসনা

প্রেমকে বলি কেন সঙ্গে থাকো,
কী চাইবো বলো তোমার কাছে?
সাগরের মত বিশালতা নিয়ে
ভালোবাসার একটা মন আছে।
যেখানে ছোট ছোট অনুভূতিগুলো
খুঁজে পায় আপন ঠিকানা,
টুকরো টুকরো সব কথা সাজিয়ে
সাম্পানে ঘর বাঁধার বাসনা।
নদীর কিনারে কাশ ফুলের মাঝে
দুটি হাত ধরে হাঁটার স্বপ্ন,
নীল আকাশের নীলিমা দিয়ে
সেজেছি শুধু তোমার জন্য।

বাসনাগুলোকে উজ্জীবিত করে
রংধনুর রঙে রাঙাবো আজ,
মনের মাঝে থাকা জ্বলন্ত সে শিখা
আগুনের মতো নেবে তার সাজ।
অশ্রুধারাকে সংবরণ করে
কোমল হৃদয়ের অংশীদার,
পাষাণ হৃদয়কে বরফ গলা করে
দেবো তোমায় আজ উপহার।

আলোকিত/১০/১১/২০২৪/আকাশ