আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2151

হরিরামপুরের ধূলশুড়ায় পদ্মার ভাঙ্গন, হুমকির মুখে ৭ শত পরিবার

মানিকগঞ্জ, প্রতিনিধি:  মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নে পদ্মায় ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় প্রায় ৭ শত পরিবারসহ হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। পদ্মায় নতুন জোয়ারের তীব্র ঢেউয়ের কারণে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এই ভাঙ্গন শুরু হতেই ধূলশুড়া বাজার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইব্রাহিমপুর ইশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, চর মুকুন্দিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলাপুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ, মন্দির এবং মেডিক্যাল সেন্টারসহ প্রায় ৭০০টি পরিবার ভিটেমাটি হারানোর হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: জায়েদ খান জানান যে, আম্পানের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে শুরু হওয়া নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের কারনে ২০ টি পরিবার ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি আরো জানান , হারুকান্দি ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট থেকে ধূলশুড়া পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ না থাকায় এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এভাবে ভাঙ্গন হতে থাকলে চলতি বছরেই বিলীন হয়ে যেতে পারে ধূলশুড়া ইউনিয়ন।
মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাথা গোঁজার জায়গাটুকু রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হরিরামপুরের মানচিত্র থেকে এই ধূলশুড়া ইউনিয়ন হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যপারে হরিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: বিল্লাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে তিনি অবহিত আছেন। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলেও তিনি মনে করেন। অন্যথায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাঈন উদ্দিন জানান যে, ধূলশুড়া ইউনিয়নে চলতি বছর অনুন্নয়ন রাজস্ব বাজেটের আওতায় ৬০০০ বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জরুরী প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই ধুলশুড়া ইউনিয়নে বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন /৩১ মে ‘২০/এসএএইচ

সাভার দেওগাঁওয়ের চুরির মালামাল রাজাশনে উদ্ধার

সাভার, প্রতিনিধি :  সাভার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দেওগাঁও এলাকায় একটি স্কুল এবং গরুর ফার্মে চুরি হওয়া ১৭টি ফ্যান ও ১টি মটর রাজাশন এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত এক সাপ্তাহ আগে দেওগাঁও এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমানের গরুর ফার্ম থেকে একটি মটর এবং চারটি ফ্যান চুরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আবার গত ২৯ মে ভোর রাতে দেওগাঁও জয়তুননেছা স্কুল থেকে ১৩টি ফ্যান চুরি হয়।স্থানীয়রা জানান, ঘটনারদিন রাতে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে স্কুলের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিলো।সেই সূত্র ধরে আজ (৩০ মে) সকালে অপরিচিত ঐ ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।
এক পর্যায়ে চুরির ব্যাপারে সবকিছু শিকার করে বলেন,তার নাম নাজমুল তিনি রাজাশন এলাকায় হারুন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। ঘটনারদিন রাতে গরুর ফার্ম থেকে একটি মটর এবং চারটি ফ্যান চুরি করি এরপর আবার গত কয়েক দিন আগে ভোর রাতে স্কুল থেকে ১৩টি ফ্যান চুরি করে সবগুলো রাজাশন এলাকার দুটি সার্ভিসিংয়ের দোকানে এবং একটি ভাঙ্গারীর দোকানে মোট ৬ হাজার টাকা বিক্রি করি। পরে স্থানীয়রা তার কথার সূত্র ধরে তিনটি
দোকান থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীরা জানান,এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

 

আলোকিত প্রতিদিন /৩০ মে ‘২০/এসএএইচ

নওগাঁয় আরও ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত

::প্রতিনিধি , নওগাঁ::

নওগাঁ জেলায় নতুন করে ৩ পুলিশসহ মোট ১৩ জন ব্যক্তি করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৯ জনে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে গতকাল শুক্রবার রাতের প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, আক্রান্ত ওই ১৩ ব্যক্তির মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৯ জন, পোরশা উপজেলায় ১ জন, মান্দা উপজেলায় ১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ জন এবং ধামইরহাট উপজেলায় ১ জন।  এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে আটজনকে। এদের মধ্যে  বদলগাছী উপজেলায় পাঁচজন এবং আত্রাই উপজেলায় তিনজন।

কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত সর্বমোট হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ৭ হাজার ৪৯৩ জনকে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৫৪৮ জনকে। বর্তমানে জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৯৪৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ৬ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন।

সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তে গোটা জাতি হুমকির মুখে : ফখরুল 

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাধারণ ছুটি না বাড়ানো এবং গণপরিবহন খুলে দিয়ে সরকার দেশকে চরম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রথম থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সমন্বয় নেই কোথাও এবং তাদের সিদ্ধান্তগুলো সম্পূর্ণভাবে অপরিপক্কই নয়, অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবিহীন। কোনো রকম চিন্তা ছাড়া একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি সাধারণ ছুটি না বাড়ানো ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। যে পরিমাণ পরীক্ষা হচ্ছে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিদিনই সেটা বাড়ছে। আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে, মৃত্যুর পরিমাণ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের নির্বাচিত স্বাস্থসম্মত টেকনিক্যাল কমিটি তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে, এখন এই মুহূর্তে একবারে একসাথে খোলা উচিত হবে না সব কিছু। সেক্ষেত্রে তারা তাদের কথা না শুনে সব কিছু খূলে দিয়েছে। আরো হুমকির মুখে গোটা জাতি পড়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে বলেন, করোনার সংকটময় মুহূর্তে এই নেতার কথা বার বার মনে হয়। এই ক্ষণজন্মা নেতা আজকে যদি নেতৃত্ব দিতে পারতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশের মানুষকে এত কষ্ট পেতে হতো না। তিনি বলেন, আজকে দেশে যখন গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, মানবিক অধিকার প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে লঙ্ঘিত হচ্ছে তখন এই এক দলীয় কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, জনগণের কোনো কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা জাতিকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে আমরা আজকে মাজারে এসে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেছি, জিয়ারত করেছি, ফাতেহা পাঠ করেছি এবং তার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বাস ভাড়া বৃদ্ধি নতুন ভোগান্তি ও যন্ত্রণা যোগ করবে : ক্যাব

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনাভাইরাসের প্রকোপে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা এমনিতেই থমকে আছে। এ অবস্থায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে তা জনগণের জীবনযাত্রায় নতুন ভোগান্তি ও যন্ত্রণা যোগ করবে বলে জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-চট্টগ্রাম।

আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকায় কর্মহীন মানুষ এমনিতেই আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সেখানে বর্ধিত হারে বাস ভাড়া আদায়ের অনুমতি দেওয়া হলে এটা হবে সড়কে ডাকাতির শামিল। কারণ বাস মালিক-শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় না করে যাত্রীদের জিম্মি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করে থাকেন। সংকটকালে বাস ভাড়া বৃদ্ধির মতো সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-চট্টগ্রাম।

করোনা মহামহারীকালে প্রয়োজনে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা যেতে পারে। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ ছুটিতে থাকায় কর্মহীন মানুষ ভয়াবহ আর্থিক সংকটে আছে। তাই অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু করতে পারে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান।

করোনাজয়ী হলেন আরও ৩৬০

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৬০ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৯,৩৭৫ জন। এছাড়া একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মারা গেলেন ৬১০ জন।

আজ শনিবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

নলাইন বুলেটিনে বলা হয়, ৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯,৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে আরও ১,৭৬৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল  ৪৪,৬০৮ জন।  গতকাল শুক্রবার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়েছেন ৫০০ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন আর বুধবার সুস্থ হয়েছেন ২৪৬ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এছাড়া গত মঙ্গলবার সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন ও মারা গেছেন ২১ জন; গত সোমবার সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন ও মারা গেছেন ২১ জন; গত রবিবার সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন ও মারা গেছেন ২৮ জন; গত শনিবার ২৯৬ জন ও মারা গেছেন ২০ জন।

আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

শুধু অনলাইনেই মিলবে ট্রেনের টিকিট, বাড়ছে না ভাড়া

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে রেল ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এখন থেকে পুরো টিকিটই অনলাইনে বিক্রি করা হবে। কেউ টিকিট ছাড়া স্টেশন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবে না।’ বিমানবন্দর স্টেশন, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনে এখন থেকে কোনো ট্রেন থামবে না। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অর্ধেক আসনের টিকিট বিক্রি করা হবে। রেল যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই আপাতত কোনো ভাড়া বাড়ছে না বলে জানান মন্ত্রী।

দ্বিতীয় ধাপে ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহন ও ট্রেন চলাচলের প্রভাব সরকার পর্যবেক্ষণ করবে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।

২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ২৮, নতুন শনাক্ত ১৭৬৪

সৈয়দ এনামুল হুদা :  দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জন মারা গেছেন। এতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭ শত ৬৪ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ হাজার ৬০৮।আজ
শনিবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৯৮৭টি । এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও ১ হাজার ৭৬৪ জনের দেহে, ফলে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৪ হাজার ৬০৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৮ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে আরও ৩৬০ জন। ফলে এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় হাজার ৩৭৫ জনে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ মে ‘২০/এসএএইচ

পাটুরিয়ায় ঠাসাঠাসি করে মানুষের পারাপার, স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা কেউই

মানিকগঞ্জ, প্রতিনিধি : ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। চাপ বাড়ছে আরিচা-পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি এবং ভাঙনে পাটুরিয়া ঘাটের পন্টুনের প্রবেশদ্বার পানিতে তলিয়ে গেলেও সচল রয়েছে একটি ফেরি ঘাট। পারাপারে নিরাপদ দূরত্বের বালাই নেই যাত্রীদের। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বারবার সতর্ক করা হলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। প্রশাসন কিংবা বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
করোনার ঝুঁকি নিয়েই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিতে এবং সড়ক পথে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোবাইকসহ ছোট গাড়িতে গাদাগাদি করে বসে কর্মস্থলে ছুটছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা করোনার ঝুঁকি নিয়ে দুরুত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে বসে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।এদিকে
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় অনেকেই হেঁটে যাচ্ছেন গন্তব্যে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে আবার অনেকেই রিকশা, ভ্যান, অটোবাইক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকেই পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দুটি ফেরি ঘাট বন্ধ হওয়ায় ব্যক্তিগত এবং মালবাহী গাড়ী ফেরিতে উঠতে দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষার সময় তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা দীর্ঘ হচ্ছে। এছাড়া পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরী ঘাঠে পৌছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ।
শুক্রবার ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান। গাদাগাদি করে করোনা ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেন অনেকে। প্রশাসন থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
ঘাটে আটকে থাকা ট্রাক ড্রাইভার মোহন মিয়া বলেন, ভোর ৭টায় ঘাটে এসেছি। সবগুলো ঘাট ভাল থাকলে ঘন্টাখানেকের মধ্যেই সিরিয়াল ধরতে পারতেন।
শনিবার সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিতে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভীড়। গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ মাইক্রো, প্রাইভেটকার, ব্যাটারিচালিত আটোবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেল যোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট থেকে ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকাতে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য পাটুরিয়া ঘাটে আসা যাত্রী আব্দুল মালেক বলেন, সংসার চালানোর তাগিদে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়েই পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছি।
ফরিদপুর থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা পোশাক শ্রমিক মোতালেব মিয়া বলেন, ফরিদপুর থেকে সিএনজিতে দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে ৫শ’টাকা খরচ হয়। আবার এখন পাটুরিয়া থেকে নবীনগর যেতে মাইক্রোবাসে ৫শ’ টাকা করে ভাড়া চাচ্ছে। এমনিতেই বাড়ি গিয়ে টাকা পয়সা শেষ। এরপর এখন কর্মস্থলে ফিরতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এ যেন মড়ার ওপর খড়ার ঘা।
পোশাক শ্রমিক হাফেজা বেগম বলেন, পাবনা থেকে কাজিরহাট পর্যন্ত সিএনজিতে আসতে ৫শ’ টাকা ভাড়া নেয়। আবার কাজিরহাট থেকে ইঞ্জিন চালিত স্যালো নৌকায় নদী পার হতে ২শ’ টাকা নৌকা ভাড়া দিতে হয়। পাবনা থেকে আরিচা আসতে তার ৭শ’ টাকা খরচ হয়েছে। এখন কর্মস্থল সাভারে যেতে প্রাইভেটকারে ভাড়া চাচ্ছে ৫শ’ টাকা। সবমিলে কর্মস্থলে ফিরতে ১২শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসির) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়াতে ৪ ও ৫ নং ঘাট দুটি লো-ওয়াটার লেবেল থেকে হাই ওয়াটার লেবেলে পন্টুনের র‌্যাম তোলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৪টি ফেরি ঘাট প্রস্তুত হয়েছে, ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি চলছে। তবে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ঘাটে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, ফেরিতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে পারছি না। মানুষ গাদাগাদি করে উঠে পড়ছে। বিগত সময় পুলিশ কঠোর অবস্থানে ছিলো এখন তাদের কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ মে ‘২০/ এসএএইচ

ভাড়া বিমানে করে লন্ডনে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পাশে সস্ত্রীক বেক্সিমকো চেয়ারম্যান

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় উড়োজাহাজ ভাড়া করে যুক্তরাজ্যে গেছেন দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান। লণ্ডনপ্রবাসী সোহেল এফ রহমানের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বিধায় সঙ্কটকালীন সময়ে একমাত্র মেয়ের পাশে থাকতেই এই যাত্রা বলে জানিয়েছেন পারিবারিক একটি সূত্র।
শুক্রবার একটি বিশেষ ফ্লাইটে সোহেল এফ রহমান এবং তার স্ত্রী লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান জানিয়েছেন। সোহেল এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সালমান রহমানের বড় ভাই।
সালমান এফ রহমানের বেয়াই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানও বৃহস্পতিবার ভাড়া করা একটি বিমানে স্ত্রীসহ যুক্তরাজ্যে গেছেন।

মফিদুর রহমান বলেন, ‌‘একটা স্পেশাল ফ্লাইটে যেটা সালমান এফ রহমানের বড় ভাইয়ের যাওয়ার কথা। উনাদের (এম মোরশেদ খান) সাথে এটা কানেকটেড ছিল। উনারা দুইটা ফ্লাইট চার্টার করেছিলেন । একটাতে উনারা গেছেন, আরেকটায় সালমান এফ রহমানের বড় ভাই গেছেন।’
সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানের (সায়ান এফ রহমান) সঙ্গে মোরশেদ খানের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। করোনাভাইরাস সঙ্কটে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পাশে থাকতেই তাদের এই যাত্রা বলে পারিবারিক একটি সূত্র জানালেও মোরশেদ খান দম্পতির লন্ডন যাত্রার সঙ্গে রহমান দম্পতির যাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই বলা হয়।