::জোছনা মেহেদী::
‘ঈদের আনন্দ সবার। কারো মনেই কষ্ট থাকবে না। বর্তমান অঘোষিত লকডাউন শিথীলের পর কিছু অফিস সীমিত আকারে খোলা হলেও অনেকে বেতন পাচ্ছেন না বলে আমরা জেনেছি। ফলে মানবেতর অবস্থায় রয়েছেন অনেক মধ্যবিত্ত। তাদের কাছে ঈদ ফিঁকে হয়ে এসেছে করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে। এমনিতেই এবারের ঈদ মানে নিজেকে রক্ষা করা। তার ওপর কঠিন অবস্থায় রয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি বেশি দিন থাকবে না। আমাদের মেয়র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সর্বদা আপনাদের সাথে আছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে তিনি সব ভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রথম পদক্ষেপ কর্মদিবসের দ্বিতীয় দিনেই আপনারা দেখেছেন।’
আজ (১৮ মে) কোতয়ালী ও শ্যামপুর এবং সদরঘাট এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে উপহার সামগ্রী ও খাদ্য এবং ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন দক্ষিণ মহানগর যুব লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আহম্মদ উল্লাহ মধু।
মধু বলেন, ‘ইতোমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে পাপমুক্ত করতে পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছেন আমাদের মাননীয় মেয়র। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার দ্বিতীয় দিনেই দুর্নীতিগ্রস্থ দুই কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুতও করেছেন। দক্ষিণ সিটিকে আমরা অচিরেই আদর্শ হিসাবে দেখতে যাচ্ছি। মেয়র তাপসের হাতে দক্ষিণ সিটি হবে সব সিটির রোল মডেল।
জানা যায়, আজ মেয়র তাপসের পক্ষে কোতয়ালী ও শ্যামপুর থানায় এবং সদরঘাটের টার্মিনালে ৩৭ ও ৪৭ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় ঈদ উপহার ও খাদ্যও বিতরণ করা হয়।
বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সহ-সভাপতি আবু সাঈদ মোল্লা, যুবমহিলালীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর জবা, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন তপু, আওয়ামীলীগের ধর্মবিষায়ক উপকমিটি সদস্য এ কে আজাদ সরকার, দক্ষিণ যুবলীগ সহসম্পাদক মো. ইমরান খান প্রমুখ।
ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম খান ও মো. লিটন।
মেয়র তাপসের হাতে দক্ষিণ সিটি হবে সব সিটির রোল মডেল : ত্রাণ বিতরণকালে যুবলীগ নেতা মধু
রাজধানীর দক্ষিণ মেয়র তাপসের পক্ষে আরও দুই থানায় খাদ্য বিতরণ করলেন যুবলীগনেতা মধু
::জোছনা মেহেদী::
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশ মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে কদমতলী ও শ্যামপুর থানার ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে ১২০০ পরিবারকে খাদ্য বিতরন করা হয়েছে। পাশাপশি ঈদ উপহারও বিতরণ করা হয়। গতকাল (১৭ মে) মেয়র তাপসের পক্ষে দক্ষিণ যুবলীগ সহ-সভাপতি আহম্মদ উল্লাহ মধু এই খাদ্য বিতরণ করেন।
এ সময় তিনি কভিড=১৯ রোগে আক্রন্ত হয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি দেশবাসীকে আরও সর্তকতার সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবেলার অনুরোধ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান হাওলাদার মুনির, যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ মোল্লা, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন তপু, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষায়ক উপকমিটির সদস্য এ কে আজাদ সরকার, দক্ষিণ যুবলীগ সহসম্পাদক মো. ইমরান খান প্রমুখ।
খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের নেতা শেখ রবিউল ইসলাম ও মো. হাসান।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে হঠাৎ বন্ধ ফেরি, ভোগান্তিতে শত শত মানুষ
:: প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ::
ঈদে ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। আগাম ঘোষণা ছাড়াই ফেরি বন্ধের ফলে শত শত যাত্রী পড়েছেন বিপাকে। এলাকায় আটকা পড়েছে দুই শতাধিক প্রাইভেটকার ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এদিকে নদী পাড় হতে না পারায় ভোগান্তির শিকার মানুষ পাঁচ নম্বর ঘাট-কাউন্টার ভাংচুর করেছে। সোমবার (১৮ মে) সকালে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণার পর এমন ঘটনা ঘটে।
ফেরি বন্ধের বিষয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রামন ঠেকাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য সব যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে পুরোপুরিভাবে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেরি ঘাটের পাঁচ নম্বর কাউন্টার ভাংচুর করেছে প্রাইভেটকারের চালক ও যাত্রীরা। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় পুলিশের চেক পোস্ট বসিয়েছে। ঘাটমুখী যাত্রীবহনকারী সব ধরনের যান ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। তবে সাটুরিয়া এবং সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ঘাটে যাচ্ছেন অনেক চালক। এছাড়া একইভাবে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশায় করেও ঘাট এলাকায় যাচ্ছেন অনেকে।
এসব বিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহনের ঘাট এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। মহাসড়কে পুলিশের টহল চলমান। যাত্রী নিয়ে আসা সব যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৫টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য পাঁচ/সাতটি ফেরি চলাচল করছে। সকালে প্রাইভেটকার ও যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিলে চালক ও যাত্রীরা মিলে ঘাট এলাকার পাঁচ নম্বর কাউন্টার ভাংচুর করেন।
জমি জবর দখলের চেষ্টায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা, থানায় অভিযোগ
::প্রতিনিধি, দিনাজপুর::
দিনাজপুরে ভুয়া মালিক সেজে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয় গড়িছে থানা অবধি। জেলার বিরল উপজেলার দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামে ভূমিদস্যুরা ঘর নির্মাণের মাধ্যমে এমন সব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে চৌধুরী পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ডা. চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এদিকে সম্পত্তির মালিক মনোরোমা দেবী বা দেবোত্তর কিনা তা নিয়েও জল ঘোলা করা হচ্ছে বলে অনেকের দাবি। এমন ঘটনায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
জানা গেছে, দিনাজপুর বিরলে দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামে দুধ কুমার নিরঞ্জন, নিরঞ্জন ও প্রমথসহ ৬/৭ জনের একটি চক্র ভূয়া মালিক সেজে ঘুঘুডাঙ্গা চৌধুরী পরিবারের সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে ইটের পাকা ভবন নির্মাণের জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে ভিত্তি প্রস্তরের কাজ শুরু করে। এই খবর পেয়ে চৌধুরী পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ডা. চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী গত ১৩ মে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই নজরুল ইসলাম উভয়পক্ষকে নিয়ে রোববার (১৭ মে) সকালে শালিশী বৈঠক করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উভয়পক্ষকে নিয়ে এসআই নজরুল ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তিনি সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভবন নির্মাণ কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য ঠিকাদারকে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মনোরোমা দেবী উক্ত সম্পত্তির মালিক। সে-হিসাবে তার লোকজন ঘর নির্মাণ করতেই পারে এবং এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে তাদেরকে তিনি কথা দিয়েছেন।’ জমির মালিকানা কাগজ দেখেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি সদূত্তর দিতে পারেননি।
দুধ কুমার নিরঞ্জন, তিরেশ, রাজকুমার, প্রমোথ ও শ্রীমান্ত দ্বয়রা নামের কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, সম্পত্তির মালিক মনোরোমা দেবী বা দেবোত্তর সম্পত্তি নয়। উক্ত সম্পত্তির মালিক ঘুঘুডাঙ্গা চৌধুরী পরিবার।
তারা বলেন, আমরা চৌধুরী পরিবারের কাছে ১২ শতক জমি চকের দিঘী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের নামে অনুদান চেয়েছি, কিন্তু চৌধুরী পরিবার আমাদের অনুরোধে মৌখিকভাবে ৬ শতক জমি দান করেছেন। কিন্তু দলিল করে দেননি। বিগত আমলে সরকারিভাবে কিছু টাকা বরাদ্দ নিয়ে দান করা জমিতে দুইকক্ষ বিশিষ্ট বারান্দা সম্বলিত একটি মন্দির নির্মাণ করে আমরা পূজা অর্চনা করে আসছি। আমাদের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি গোপাল জিঁও ঠাকুর দেবোত্তর সম্পত্তি পূর্ব সেবাইত-মনোরোমা দেবী, বর্তমান সেবাইত-শ্রী প্রমোথ চন্দ্র দাস, দিনাজপুর জেলার বিরল থানার দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মৌজা জে, এল নং-২৩১, দাগ নং-৩২৮-পুকুরপাড়, দেবোত্তর সেবাইত মনোরোমা দেবী লিখা একটি সাইনবোর্ড মন্দিরের কেচি গেটের দরজার উপর টাঙ্গিয়ে রাখে। এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসাবে তারা অপপ্রচার চালাতে থাকে। এই অপপ্রচার ভিন্নরূপ ধারণ করে।
এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানায়, ঐ চক্রের লোকজন ৬/১২ শতক তো দূরের কথা দেবোত্তর সম্পত্তি হিসাবে পুকুরসহ পুরো সম্পত্তি গ্রাস করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই নিয়ে যে কোন সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
আলোকিত প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘প্রকৌশলী আসাদের হরিলুটনামা’র আসাদ চাকুরিচ্যুত : শুরুতেই কঠোর মেয়র তাপস
::মেহেদী হাসান::
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওপর নজর ঘোরায় আলোকিত প্রতিদিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে নিরীক্ষা- কোথায় কী ঘটছে? ঠিকাদারদের চলন-বলন ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সোজা নির্দেশ করে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজনের দুর্নীতির দিকে। এবার আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ চলতে থাকে। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ নাগাদ প্রমাণ মিলে যায়। ১৫ তারিখ প্রকাশ হয় প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। শিরোনাম ছিল, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন : অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর হরিলুটনামা’। সেই আসাদুজ্জামানসহ দুই জনকে চাকুরিচ্যুত করলেন মেয়র ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস।
আজ রোববার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ডিএসসিসির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আকরামুজ্জামান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারের চাকুরিচ্যুতির বিষয় নিশ্চিৎ করেন। তিনি বলেন, ‘ওনাদের দুজনকে টারমিনেশন করা হয়েছে। চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন আইন মোতাবেক, করপোরেশন যদি মনে করে যে কাউকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া দরকার, সেক্ষেত্রে তিন মাসের বেতন দিয়ে তাকে বিদায় করে দিতে পারে। এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চাকরিচ্যুত এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, প্রকল্প শেষের আগেই টাকা উত্তোলনসহ দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল। এবিষয়ে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর এই প্রতিবেদককে নানা হুমকি ধামকিও দিয়ে আসছিলেন ওই প্রকৌশলী আসাদ। এতে কাজ না হলে প্রতিবাদ ছাপানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে পত্রিকা কার্যলয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তারপরও কাজ না হওয়ায় দেখে নেবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
সংবাদ প্রকাশকালে প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমানকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জ্মানের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে ধরে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন, ‘টেলিফোনে তো আর সব বলা যায় না। তবে এমন কোন কিছু যদি ঘটে থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখতে হবে। খতিয়ে দেখা যাবে।’
ডিএসসির সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কাজ শেষের আগে টাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে উত্তম বলেন, ‘ফাইলপত্র না দেখে বলা মুশকিল।’
চাকুরিচ্যুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তবে কি অভিযোগে করা হয়েছে তা জানি না।’ আর চাকরিচ্যুত ইউসুফ আলী সরদার বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। তবে কর্পোরেশন যা ভালো মনে করে করতে পারে।’
চেয়ারম্যানের ডেরা থেকে মেম্বার উদ্ধার, সামাজিক মাধ্যমে প্রবীণ আ.লীগ নেতার স্ট্যাটাসে ঝড়
::আবু সায়েম, কক্সবাজার::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীতে ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে নেজাম উদ্দিন নেজুকে (৩৮) অপহরণ করার পর শারীরিক নির্যাতন করে আহত করা হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পেকুয়া পুলিশ চেয়ারম্যানের ডেরা থেকে আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চেয়ারম্যানের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এই অমানবিক কাজের বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক আপন কণ্ঠের সম্পাদক মোহা. হোসাইন। স্ট্যাটাসে ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সর্ব স্তর থেকে নিন্দা ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
এ প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, মেম্বার নেজুর উপর অমানবিকতা দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি,দুঃখ প্রকাশ করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। অনতি বিলম্বের তাকে আইনের আওতায় এসে শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।’ তিনি আরও যা লিখেছেন হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘সমাজে অন্যায় যখন মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠে, ন্যায় তখন নিরব দর্শক এর ভুমিকা পালন করে আর মানবতা নীরবে নিভৃত্তে কাঁদে। বিবেক তখন নিবার্সিত হয়ে যায়।’
তিনি সংশয় প্রকাশে করে লেখেন, ‘জানিনা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এ অন্যায়ের বিচার বোধ হয় কেউ করতে পারবে না!’
প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মোহা. হোসাইনের এই স্ট্যাটাস সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলে। এ ধরণের অমানবিক নিষ্ঠুর কাজের বিচার চেয়ে নিন্দা জানানো হয়।
দক্ষিণ মহানগরের কারও ঈদ মলিন হবে না : মেয়র তাপসের পক্ষে ঈদউপহার বিতরণকালে যুবলীগনেতা মধু
::জোছনা মেহেদী::
‘দক্ষিণ মহানগরের কারও ঈদ মলিন হবে না। ঢাকার নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষ থেকে আমরা গরিবের পাশে আছি।’ ঢাকার নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণকালে দক্ষিণ যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহম্মদ উল্লাহ মধু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঈদে মানুষের ঠোঁটে হাসি জেগে থাকলে আমরা সার্থক।’
হাজারীবাগ থানার অন্তরগত ২২ নং ওয়ার্ড ১৪টি ইউনিট ও ৬টি অংগ সংগঠনের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণকালে মধু আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে মানুষ যখন ঘরবন্দি হয়ে পড়ে, ঠিক তখন থেকেই আমরা মানুষের পাশে আছি। দেড় মাস প্রতিদিন সব শ্রেণিপেশার মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন নবনির্বাচিত মেয়র ফজলে নূর তাপস। হাজার হাজার পরিবারকে ত্রাণ ও খাদ্যসহযোগিতা দিয়েছি আমরা। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে যেন লজ্জায় পড়তে না হয়, সেজন্য কার সমস্যা আছে খোঁজ নিয়ে বন্ধ দরজার সামনে পৌঁছে দিয়েছি সহযোগিতা। এবার ঈদ-উপহার আমরা পৌঁছে দেবো মানুষের কাছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন তপু, আওয়ামীলীগের ধর্মবিষায়ক উপ-কমিটির সদস্য এ কে আজাদ সরকার, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সহসম্পাদক মো. ইমরান খান, আহসান উল্লাহ রাসেল প্রমুখ।
৫ হাজার রোহিঙ্গা লকডাউনে
::সংবাদদাতা, টেকনাফ::
করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে বৃহত্তম রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির কুতুপালং। গত দুই দিনে এই ক্যাম্পের বসবাসকারী তিন রোহিঙ্গার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে গাদাগাদি করে থাকা লাখো রোহিঙ্গার মধ্যে বৃহস্পতিবারই প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে।
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের ৬ জনকে মেডিসিন স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) হাসপাতাল আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত পরিবার ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের বাসিন্দা। এফ ব্লকের ১ হাজার ২৭৫টি ঘর রেড মার্ক করে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। এসব ঘরে প্রায় ৫ হাজার মানুষ রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টা মাঝি এবং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যার পজেটিভ পাওয়া গেছে, তিনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন সেগুলোও লকডাউন করা হবে।’ কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত দুই দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে আক্রান্তসহ তাদের পরিবারকে আইনসোলেশনে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে যাতে করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরআগে আড়াইশর বেশি রোহিঙ্গার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’ উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজার রহমান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় তিন রোহিঙ্গাসহ ১৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। করোনায় এখন পর্যন্ত কক্সবাজারে মারা গেছেন একজন। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কথা জানিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘ক্যাম্পে করোনা আক্রান্তের খবরে লোকজন ভয়ে আছে। ঘিঞ্জি বসতি হওয়ায় ঝুঁকিটাও বেশি। আর এই ভাইরাস থেকে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, সেটি অনেকে জানে না।’
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘করোনা রোধে ক্যাম্পে সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন নিশ্চিতে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হবে। ইতোমধ্যে করেনা আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের সংস্পর্শে আসা পরিবার ও অন্য ব্যক্তিদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিতসহ জায়গাগুলো লকডাউন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এরআগেও বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছিল ৪ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশি।
করোনায় সহযোগিতা: নিলামে মুশফিকের ব্যাট কিনলেন আফ্রিদি
:: ক্রীড়া প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। নিম্ন আয়ের মানুষেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সাকিব আল হাসান ক্রীড়া অঙ্গনের তারকাদের আহ্বান জানান ক্রীড়া সামগ্রী নিলামে তুলে সেই অর্থ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। সাকিবের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে তোলেন মুশফিক। ৬ লাখ টাকা ভিত্তি মূল্য ধরে তার ব্যাটের নিলাম শুরু হয় ১০ মে। ওই নিলাম শেষ হয় ১৪ মে রাতে। শুক্রবার জানা গেল, ১৭ লাখ টাকায় মুশফিকের ব্যাটটি কিনেছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
মুশফিকুর রহিম নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার ব্যাটটি মূলক কিনেছে শহীদ আফ্রিদির নামে চলা ‘শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন’। মুশফিকের ব্যাটের নিলাম তত্ত্বাবধান করেছে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘পিকাবু’।
ক্যারিয়ারে তিনটি টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। তার মধ্যে নিলামে তোলা প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটটি আফ্রিদির কেনার ব্যাখ্যায় মুশফিক বলেন, ‘আমার ব্যাটের নিলামের খবর দেখে আফ্রিদি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন। আমি নিলামে অংশ নেওয়ার লিঙ্ক দিই। ১৩ মে তারিখে প্রস্তাবপত্র পাঠান তিনি।
ব্যাটটি ২০ হাজার ইউএস ডলারে ( ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রায়) কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে এ দামেই তিনি ব্যাটটি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তামিমকেও ধন্যবাদ দিতে হবে। সে আমাকে অনেক সহায়তা করেছে।’
এর আগে নিলামে মুশফিকের ব্যাটের দাম ওঠে ৪০ লাখের ওপরে। কিন্তু নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আগ্রহীদের টোকেন মানি জমা দেওয়ার কথা বলিনি। তারা নিলামটি উন্মুক্ত করতে চেয়েছিল। এতে করে ভুয়া আইডি থেকে অনেকে দাম হাঁকে। পরে ব্যাটটির নিলাম স্থগিত করে পিকাবু।
অন্যকে নিরাপদ রাখতে নিজে নিরাপদ থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন : মেয়র তাপসের ত্রাণ বিতরণকালে যুবলীগনেতা মধু
::জোছনা মেহেদী::
ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে শুক্রবার (১৬ মে) গুলবাগ ১২ ওয়ার্ডে ৫০০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দক্ষিণ যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আহমদ উল্লাহ মধুর নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে মধু বলেন, ‘সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতনতার সঙ্গে করোনাকে মোকাবেলা করতে হবে। সবাই নিরাপদে সুস্থ থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অপরকে নিরাপদ রাখতে নিজে নিরাপদ থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’
এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনুর রশীদ শুভ্র , মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন তপু, আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এ কে আজাদ সরকার, দ্ক্ষিণ মহানগর যুবলীগ সহসম্পাদক মোঃ ইমরান খান, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজুর রহমান, আহসান উল্লাহ রাসেল, হাজী রফিকুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সালেহ মাহমুদ এঞ্জেল ।