আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2159

করোনা রুখতে আরো ৮৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি, চুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশকে আরো দশ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৫০ কোটি টাকা। আজ বুধবার সরকার ও এডিবির মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। আর এডিবির পক্ষে সই করেন সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের আবাসিক পরিচালক মনমোহন প্রকাশ। এর আগে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলার ঋণচুক্তি করেছিল এডিবি। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে মনমোহন প্রকাশ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার স্বাস্থ্য খাতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য খাতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এডিবির ঋণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি ঘটবে।
ঢাকার এডিবি কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ঋণের ৮৫০ কোটি টাকা দিয়ে কভিড-১৯ মোকাবেলায় যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো হবে। ‘কভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসটেন্স’ প্রকল্পের আওতায় ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার এবং আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হবে। বিদ্যমান ১৯টি ল্যাবরেটরি আধুনিকায়ন করা হবে। তিন হাজার পাঁচশ স্বাস্থ্যকর্মীকে দক্ষ করে তোলা হবে। যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ থাকবে নারী। সম্প্রতি যেসব নার্সদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে দক্ষ করে তোলা হবে।
এডিবি থেকে জানানো হয়েছে, এই দশ কোটি ডলার ঋণের সুদের হার হবে দুই শতাংশ। দশ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে সরকার।
উল্লেখ্য, কভিড-১৯ মোকাবেলায় এডিবি গত ১৩ এপ্রিল যে ২০ বিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার অংশ হিসেবে আজ দশ কোটি ডলার ঋণচুক্তি সই হলো।

করোনার মধ্যেই ১০৫৪ জন শিক্ষককে কল্যাণ ট্রাস্টের ৪০ কোটি টাকা

:: নিজস্ব প্রতিবেদক::
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত এক হাজার ৫৪ জন বেসরকারি শিক্ষকের কল্যাণ সুবিধার প্রায় ৪০ কোটি টাকা ছাড় করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট।
ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু কালের কণ্ঠকে বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টে ১০৫৪ জন শিক্ষক কর্মচারীর কল্যাণ সুবিধা বাবদ ৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। জাতির এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির উৎসাহে এই টাকা ছাড় করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এই কাজের পেছনে কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুঃসাহসিক পরিশ্রম রয়েছে। ঈদের আগেই শিক্ষকদের যার যার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।
জানা যায়, আজ বুধবার কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এই চেকে স্বাক্ষর করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর শেষে কাল বৃহস্পতিবার চেক ব্যাংকে জমা হবে। ঈদের আগেই অনলাইনে বিএফটিএন এর মাধ্যমে শিক্ষকদের যার যার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। ২০১৮ সালের মে মাসে যারা কল্যাণ সুবিধার জন্য আবেদন জমা দিয়েছিল তারা এই দুঃসময়ে টাকা পাচ্ছেন।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জানান, কল্যাণ ট্রাস্টের টাকার জন্য তাদের খুব বেশিদিন দেরি করতে না হলেও অবসর সুবিধা বোর্ডের টাকার জন্য বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এমনকি শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারও করা হয় না। করোনার মধ্যে কল্যান ট্রাস্ট যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো অবসর বোর্ড থেকে সেই ধরনের কোনো উদ্যোগও নেই।

বেনাপোলে মেছো বাঘের দুই বাচ্চা উদ্ধার

সংবাদদাতা, বেনাপোল (যশোর)
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে দুটি মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করেছে কৃষকরা। বুধবার (১৩ মে) বিকেলে বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী সাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে বাচ্চা দুটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সাদিপুর গ্রামের একদল কৃষক ধান কাটতে মাঠে যায়। এই সময় ওই কৃষক দল বাচ্চা দুটিকে একটি গর্তে লুকিয়ে থাকতে দেখে। পরে তারা বাচ্চা দুটি উদ্ধার করে একটি খাঁচায় আটকে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, বাচ্চা দুটি হয়তো কেউ চোরাই পথে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এনেছিল কিন্তু প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার কারণে পাচার করার সুযোগ পায়নি। তাই মাঠেই ফেলে গেছে। আবার অনেকে বলছে খাদ্যের সন্ধানে ভারত থেকে এসে এখানে অবস্থান নিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় এসব মেছো বাঘ মুরগি, হাঁস ধরে নিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চা দুটি দেখে বন বিভাগকে খবর দিলে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ এসে বাচ্চা দুটি নিয়ে গেছে।

ফরিদপুরে বজ্রপাতে দোকানির মৃত্যু

সংবাদদাতা, ফরিদপুর
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বজ্রপাতে সালাম শেখ (৫৮) নামে এক মুদি দোকানি মারা গেছে। আজ বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। সালাম শেখ উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের দারিক সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত চান্দুল্লা শেখের ছেলে। চরহাজীগঞ্জ বাজারে তার মুদি দোকান রয়েছে।
এলাকবাসী সূত্রে জানা যায়, মুদি ব্যবসার পাশাপাশি তালগাছ থেকে রস সংগ্রহ করতেন সালাম শেখ। বিকাল পাঁচটার দিকে এলাকার একটি তাল গাছে উঠে তিনি যখন গাছের পাতা ঝুড়ছিলেন। তখন এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ বজ্রপাতে ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাজীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী বলেন, গুরুতর আহত সালম শেখকে পরিবারের সদস্যরা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লাশ সৎকারে অংশ নিয়ে কোয়ারেন্টিনে ইউএনও

সংবাদদাতা, নড়াইল
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর নমুনায় ‘পজিটিভ’ফলাফল এসেছে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.কাজল মল্লিক। এ অবস্থায় লাশ সৎকারে অংশ নেয়া ইউএনও, সাংবাদিকসহ আটজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, নড়াইলের কালিয়ার চোরখালি গ্রামের নির্মল রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। তিনি জ্বর-সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসেন। গত ১০ মে সকালে তিনি মারা যান।
এদিকে মৃত ব্যক্তির লাশ সৎকারে স্বজনদের অসহযোগিতা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,সাংবাদিকসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে তা সম্পন্ন করেন। মৃত ব্যক্তির নমুনায় করোনা শনাক্ত হলে এখন নতুন সংকট তেরী হয়েছে। তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল হুদা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কাজল মল্লিক,সাংবাদিক ফসিয়ার রহমানসহ আটজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চোরখালি গ্রামকে লকডাউন করা হয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কাজল মল্লিক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতেই আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। লাশ সৎকারে সহায়তা করায় ইউএনওসহ আমরা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবো।’

টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১১ স্টাফ করোনা পজেটিভ

::সংবাদদাতা, মুন্সীগঞ্জ::
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাসলিমা ইসলামসহ ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ৪ ডাক্তার এবং আরো ৫ স্টাফের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার ওই করোনা শনাক্তের রিপোর্ট টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে। এ নিয়ে ওই হাসপাতালের ডাক্তার স্টাফ মিলে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় মোট আক্রান্ত হলো ২৭ জন।
নতুন করে করোনা আক্রান্তরা হলো টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা. তাসলিমা ইসলাম, ওই হাসপাতালের ডা. নুর ই আলম সিদ্দিকী, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. নুর ই আলম শুভ, স্টাফ মো. রকিবুল হাসান, সাইদুর রহমান সাজু, মাহবুব আলম, মো. হাসান, মো. শাকিল,আবুল কাসেম ও মো. মজিবর রহমান।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাছলিমা ইসলাম বলেন, আমিসহ ১১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের সবাইকে হোম আইশোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তারপরেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আগের মতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, হাসপাতালের নতুন করে ১১ জনসহ মোট ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তারপরেও স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আগামী ২ দিন চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম আদিবাসী শহীদ চিত্তরঞ্জন কার্বারীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী ও কিছু কথা

:: আবু সায়েম::
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী খাগড়াছড়ির প্রথম শহীদ চিত্তরঞ্জন কার্বারীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ । ১৯৭১ সালের ১৩ মে’র এই দিনে পাকিস্তানের পাক হানাদার বাহিনী দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থানা আওয়ামীলীগের সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সংগঠক শিক্ষক, সমাজসেবক, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জ্ঞানী ও জনপ্রতিনিধি চিত্ত রঞ্জন কার্বারীকে মহালছড়ির নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার বাহিনীরা তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তার পরিবারের উপর চালিয়েছিল নির্মম নির্যাতন।
সেদিনের এ নির্মম হত্যাকান্ড, অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনাগুলো স্মৃতিচারণ করছিলেন শহীদ চিত্ত রঞ্জন কার্বারীর নাতি কক্সবাজার জেলা কারাগারের সাবেক জেলার ও মাগুরা কারাগারের বর্তমান জেলার রীতেশ চাকমা। তিনি জানান, আমার নানা শহীদ চিত্ত রঞ্জন কার্বারী স্বাধীনতার স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। দেশ স্বাধীন করার জন্য তিনি নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে পরিবারের মায়া ত্যাগ করতে পিছপা হননি।
১৯৭১ সালের ১৩ মে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধী দালালদের সহযোগিতায় মহালছড়ি থানা আওয়ামীলীগের সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সংগঠক জনপ্রতিনিধি চিত্ত রঞ্জন কার্বারীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে যখন তার বাড়ি ঘেরাও করেছিল, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার জন্য জন্য যখন অনুরোধ করেছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও আমি পালিয়ে যাবো না, যদি আমি পালিয়ে যায় তবে একজন সাহসী এবং দেশপ্রেমিকের পরাজয় হবে এবং তোমাদের উপর নেমে আসবে অত্যাচার ও হত্যার মতো জঘন্য কর্মকান্ড।’ সেদিন কিন্তু তিনি পালিয়ে যাননি। নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করার সূচনা, অনুপ্রেরণা, উৎসাহ এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
হানাদার বাহিনীরা শহীদ চিত্তরঞ্জন কার্বারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মহালছড়ি নামক স্থানে নির্মমভাবে হত্যা করার পর তার পরিবারের উপর চালিয়েছিল নির্যাতনের স্টিমরোলার। শারীরিকও মানসিকভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তার পরিবার।
দেশীয় স্বাধীনতাবিরোধী দালাল এবং পাকিস্তানি ঘাতকরা তার পরিবারকে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়েছিলো। কিন্তু সেদিন শহীদ চিত্তরঞ্জন কার্বারীর সহধর্মিনী বিরঙ্গনা চাকমার বুদ্ধিমত্তা সাহসিকতার কারণে পালিয়ে গিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোন রকম জীবন রক্ষা পেয়েছিলো।
সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়ে তটস্থ হয়ে শহীদ পরিবারকে কোন রকম সাহায্য ও আশ্রয় দেয়নি। দিনের পর দিন অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়ে অন্য কোন এক গ্রামে শহীদ চিত্ত রঞ্জন কার্বারীর ছেলে মেয়ে এবং তার বড় মেয়ের ছোট ছোট বাচ্চা নাতিদের নিয়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আত্নীয়ের বাড়িতে জীবন বাঁচানোর তাগিদে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
১৯৭১ সালের ১৩ মে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে সারা বাংলাদেশে যে কজন আদিবাসী শহীদ হয়েছিলো তাদের মধ্যে খাগড়াছড়ির মহালছড়ির চিত্ত রঞ্জন কার্বারী অন্যতম। জেলার রীতেশ চাকমা তার শহীদ নানা সম্পর্কে আরো জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ পরিবারকে ১০০০ টাকা অনুদান দিয়েছিল। তিনি আরও জানান, আমার নানা চিত্ত রঞ্জন কার্বারী সাহসী দেশপ্রেমিক এবং আপাদমস্তক একজন বীর ছিলেন। সেদিন কিন্তু তিনি পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারতেন! কিন্তু তিনি তা করেননি,নিজের জীবন দিয়ে স্বাধীনতার সূচনা করেছেন।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে ১৯৭১ সালের আদিবাসী শহীদদের যে কজন শহীদ হয়েছিলো তাদের সম্মান জানিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আসার পর শহীদদের সম্মানার্থে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছেন।
শহীদ চিত্ত রঞ্জন কার্বারী একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। ৩০ লক্ষ শহীদএবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের মধ্যে আদিবাসীদের শহীদের আত্নত্যাগের কথা জাতি কোন দিন ভুলবে না। আপনাদের আত্নত্যাগ যতো দিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে যতো পদ্মা নদী প্রবহমান থাকবে আপনাদের জীবন বিসর্জন জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি প্রশাসনের ভবনের সামনে স্মৃতিস্তম্ভের নামফলকে এখনো লিপিবদ্ধ আছে-
“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার ছন্দে বলতে গেলে সত্যি আপনারা মহান, জাতি দেশ এবং মানবজাতি আপনাদের অবদান আত্নত্যাগ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন। আমরা তোমাদের ভূলবো না।
সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা নিরন্তর। সৃষ্টিকর্তা আপনাদের শান্তিতে রাখুন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনাকে প্রতিরোধ করতে হবে : মেয়র তাপসের ত্রাণ বিতরণকালে যুবলীগ নেতা মধু

::জোছনা মেহেদী::
‘গুজব-অপপ্রচারে ভয় পাবেন না। সর্বদা সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনাকে প্রতিরোধ করতে হবে।’ বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ ও ২০ নং ওয়ার্ডের গুলিস্তান ও সচিবালয়ের রোড এবং মুক্তাঙ্গনে নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে খাদ্য বিতরনকালে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহাম্মদ উল্লাহ্ মধু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়র আপনাদের পাশে আছেন। বিভিন্ন এলাকায় তার নির্দেশে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে, ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণের কেউ অভুক্ত থাকবে না।’

জানা যায়, বুধবার ১০০০ পরিবারকে মেয়র তাপসের পক্ষে খাদ্য সহযোগিতা বণ্টন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ মোল্লা, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ,ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন তপু, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষায়ক উপ-কমিটির সদস্য এ কে আজাদ সরকার, মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সম্পাদক মো. ইমরান খান প্রমুখ।
খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. আবুল হোসেন, মো. রিপন হোসেন, মো. সুজন হাওলাদার, শেখ শরিফসহ আরও অনেকে।

পাঁচ বছরের শিশুকবি তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য’র কবিতা

[তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য। পাঁচ বছরের শিশু। এ বয়সেই মনে তার ছন্দ ভর করে, দোলা দিয়ে উঠে নাড়িয়ে তোলে। দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে ‘ছড়া বলবো।’ বলেই শুরু করে দেয় মনের কথা। প্রথম দিকে মা আমলে না নিলেও পরে আবিষ্কার করলেন- চমৎকার ছড়া কাটে তার কন্যা। এরপর থেকে মেয়েকে দৌড়ে আসতে দেখলেই মুঠোফোন-রেকর্ডার চালু রেখে দেন। রেকর্ড করে পরে ডায়েরিতে তুলে রাখেন। আবার কখনো কাগজেই লিখে নেন।

লেখাগুলোকে ছড়া বলাই যেতে পারে, কিন্তু আমি এর নাম দিলাম ‘ছন্দকথা’। শব্দটি আমাকে দোলায়িত করে বলে তা আজ থেকে ঐশ্বর্য্যকে দিলাম।

তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্যর জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন। তার মধ্যে এই বয়সেই দোলায়িত ছন্দরা আমাকে অভিভূত করেছে। বরেণ্য কবি উঁকি দিচ্ছে তার মাঝে- এটা স্পষ্ট। এই প্রতিভা বাধাগ্রস্থ না হলে আগামীর ঐশ্বর্য্যময় কবি পেতে চলেছে বাংলাসাহিত্য। হতে পারে- বিশ্বকে নাড়িয়ে তুলবে মেয়েটি।

ধন্যবাদ সেই মা, সরকারি কেএমএইচ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান, সহকারী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিনকে, যিনি শিশুর এই প্রতিভাকে আবিষ্কার করেছেন এবং ধরে রাখতে সহযোগিতা করে চলেছেন নিরালসভাবে। ধন্যবাদ সেই বাবা, সরকারি এমএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীনকে, যিনি এই প্রতিভাকে মূল্যায়ন করেছেন আন্তরিক ভাবে। বর্তমান সময়ে কবিতার প্রতি সন্তানকে উৎসাহিত করা বাবা-মা খুবই বিরল। এমন একটি প্রতিভা বিনষ্টের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

তাসফিয়া হক ঐশ্বর্য্য-এর কলমের জবান উন্মুক্ত ও শক্তিশালী হোক। শব্দরা কথা বলুক। বলতে থাকুক। এগিয়ে যাক।

– সৈয়দ আহসান কবীর, সাহিত্য সম্পাদক, আলোকিত প্রতিদিন]

করোনা রে করোনা
জ্বলে পুড়ে মরো না!
তোমার জালায় কষ্ট
জীবন হলো নষ্ট।
এবার একটু থাম না
ক্লান্ত তোমার লাগে না?
এবার একটু বিশ্রাম নাও
আমাদের মুক্তি দাও।

গুড বাই হ্যালো হাই
নাম তার নানা ভাই
সারাদিন খায় দায়
শুয়ে শুয়ে মোটা হয়
এই আমার নানা ভাই।

টুনটুনি পাখি ভাই
সারাদিন উড়ে বেড়ায়
শুধু রাতেই বিশ্রাম নেয়
যে কোন গাছে বাসা বানায়
গাছে গাছে ডিম দেয়
বিদায় টুনটুনি ভাই।

হিল হিল হিল
ঝিল ঝিল ঝিল
পাজামাটা ঢিল
ঐশ্বর্য্য তাই দেখে
হাসে খিল খিল।

হিজড়া সম্প্রদায়কে দেওয়া হলো খাদ্য সহায়তা

::প্রতিনিধি, সাভার::
সাভারে হিজরা সম্প্রদায়কে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় উওরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) এর উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোসের নিজ অর্থায়নে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে সাভার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০০ জনকে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.এফ.এম সায়েদসহ আরও অনেকে।