আজ শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2167

প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য, আরও দুই হলের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলেন জাবির শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে হলে অবস্থান করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ১০টায় হল ছাড়ার নির্দেশের সময় শেষ হওয়ার পরও শিক্ষার্থীরা হল ছাড়েননি। বরং আজ দুপুরে নতুন করে আরও দুটি হলের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা ভেতরে ঢুকে পড়েছেন।
পরে দুপুর ১২টার দিকে ছেলেদের আটটি হলে যান হলের প্রাধ্যক্ষসহ হল প্রশাসন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, যে শিক্ষার্থীরা হলে আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই গেরুয়া এলাকায় থাকতেন। এই শিক্ষার্থীরা হল ছাড়লে তাঁদের আবার গেরুয়ায় যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর গ্রামবাসীর হামলার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় গেরুয়ায় আবার যাওয়া নিরাপদ নয়। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী এখনো গেরুয়ায় আটকে আছেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা যেসব বাসা ও মেসে থাকতেন, সেগুলোর বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাবারের হোটেলসহ নিত্যপণ্যের দোকানগুলো বন্ধ হওয়ায় নানা অসুবিধায় আছেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ রকম অরাজক পরিস্থিতিতে গেরুয়া এলাকায় ফিরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত না করা পর্যন্ত হল ত্যাগ করা সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, হল প্রভোস্টরা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করার ঘোষণা দিলে প্রভোস্টরা ফিরে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের জন্য অনুরোধ করেছি। তারা হল ছাড়তে রাজি হয়নি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’

বেলা ১২ টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বরে জড়ো হন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই হলের তালা ভেঙে ফেলেন। পরে বঙ্গমাতা হলের আবাসিক ছাত্রীরা হলে উঠে যান। বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফজিলাতুন্নেছা হলে গিয়ে ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন। এরপর ছাত্রীরা হলে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬টি আবাসিক হলের মধ্যে ১০টিতে শিক্ষার্থীরা ঢুকে পড়ল।

এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটায় শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সকাল ১০টায় জরুরি প্রশাসনিক বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার জন্য নিজ নিজ হল প্রভোস্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

নোয়াখালীতে ১৪৪ ধারা জারি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডাকায় সোমবার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার রাত ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীর আদেশ জারি করেন। সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। রাতেই বসুরহাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুজাক্কির হত্যাকা-ের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের পক্ষ থেকে একই দিন একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কাদের মির্জার অনুসারীরা সাংবাদিক মুজাক্কিরের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাকে তাদের কর্মী দাবি করে শনিবার রাতে এ হত্যাকা-ের জন্য তাদের প্রতিপক্ষদের দায়ী করে গ্রেপ্তার দাবিতে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে সোমবার দুপুর আড়াইটায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে শোক ও প্রতিবাদ সভার কর্মসূচির ঘোষণা করেছে।

এর পূর্বে শনিবার সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সোমবার বিকাল ৩টায় একই স্থান বসুরহাট রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তি, অশালীন ভাষায় বক্তব্য এবং তারাসহ দলীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর জানান, দুই পক্ষ বসুরহাটে পাল্টাপাল্টি একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় সমগ্র বসুরহাট পৌর এলাকায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময় সব ধরনের সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।।

আলোকিত প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

ফরিদপুর চন্দনা নদীটি একজন কিনে নিয়েছে বলে দাবী করছে। কৃষকদের হাহাকার কে শুনবে

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার বাগাট ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের মধ্যে একেবেকে যাওয়া একটি নদী যার নাম চন্দনা। এই নদীটিকে বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পানি প্রবেশের পথ আটকে দিয়ে সেখানে ছোট ছোট পুকুর তৈরী করা হয়েছে। কোথায়ও আবার মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে মার্কেট নির্মান করা হয়েছে। আর বেশ কয়েক একর জায়গায় ফসলী জমির মাঠে রূপান্তর করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই নদীটিকে মেরে ফেলা হচ্ছে।  বর্তমান নদীর রূপ এমন হয়েছে যে এখানে কোনো নদীই ছিলো না। এই চন্দনা নদীর পাশে ৭টি গ্রামের কৃষকসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ তাদের কৃষি কাজে মারাত্বকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। থমকে যাচ্ছে কৃষি কাজ। এলাকার ব্যাপক উৎপাদিত পাট ঝাক না দেওয়ার কারনে দিশেহারা কৃষক। একাধীকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চন্দনা নদী দখলের বিষয়ে অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের এ বিষয়ে নিরব ভুমিকা বাগাটবাসীর কাছে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নস্থ চন্দনা নদীর শাখার অনেকাংশ দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এই নদী দখলের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের পানি নিষ্কাশন, কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থায় বাধাগ্রস্তসহ নানা সমস্যা তৈরী করেছে। নদীর মধ্যে এলাকার মশিউর হোসেন বাকা ও লাল খান সহ কয়েক ব্যক্তি ৫ তলা ফাউন্ডেশন করে ভবন করছে। দেখা যায়, মধুখালী উপজেলাধীন কামারখালী নামক স্থানে প্রবাহিত গড়াই নদী থেকে সৃষ্ট শাখা নদী চন্দনা বয়ে গেছে আড় পাড়া, উজানদিয়া, বাগ বাড়ি, কাটাখালী, চর বাঁশপুর ও বাগাট বাজারের পাশ দিয়ে। রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থেকে মূল পদ্মা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে গড়াই হয়ে তৈরী হয় চন্দনা নদী। এই নদীর  ধারা কামারখালী ও আড়কান্দি অংশে নাব্যতা হারিয়ে কয়েকটি স্থানে জলাশয় সৃষ্টি করেছে। এলাকার সার্থন্বেশী প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি উজানদিয়া, বাগবাড়ি, কাটাখালী, চর বাঁশপুর ও বাগাট এলাকার বিভিন্ন অংশে দখলদাররা ক্ষমতার বলয়ে দখল করে নিয়েছে। নামে বেনামে ইজারা নিয়েও বিভিন্ন স্থানে পুকুর খনন, বাধ নির্মাণ, পাকা ঘরবাড়ি, বাণিজ্য কেন্দ্র নির্মাণসহ নানা ভাবে নদীর অংশ দখল করেছে। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদ্বয় ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অভিযোগ করে অবগত করেছে। কিন্তু একাধিকবার প্রশাসনকে বলেও এই বিষয়ে কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে জানান ভূক্তভোগি এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান চন্দনা নদীর আপন প্রাকৃতিক ধারা অব্যাহক থাকলে দৈনন্দিন পানির প্রয়োজন ও কৃষি সেচ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই নদী দখল মুক্ত করে খননের মাধ্যমে স্বাভাবিক ধারা ফিরিয়ে আনতে পারলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মানুষ উপকার পেত। মধুখালী উপজেলার বাগাট মৌজার ০১নং সীট এর এস.এ (জলা)-১৮৪৩ নং দাগের প্রায় ২৫ একর জমি বিভিন্ন জনের দখলে রয়েছে। এলাকার কথিত ভুমিদশ্যু খ্যাত মতিয়ার রহমান খান, বাকা খান, মোঃ লাল খান, মোঃ কুদ্দুস খান, সাম খানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা কৌশলে এই জমি দখল করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে নব গঠিত কোরকদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত জানান আমার ইউনিয়নের ৬-৭টি গ্রাম এই নদীর তীরে অবস্থিত । তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির সম্মক্ষিণ, পাট পচানোসহ কৃষি সেচ ও দৈনন্দিন পানি সমস্যার ভোগান্তিতে রয়েছে। যারা নদী দখল করে আছে তারা কেউই মানছেনা নদী আইন।নদীর বর্তমান অবস্থা দেখলে কেউই বলবে না এঁটা একটা নদী।অথচ জনসাধারনের জন্য দৈনন্দিন পানি ব্যবহারের একমাত্র সম্বল এই চন্দনা নদী। প্রশাসননের বিভিন্ন মহলে এলাকাবাসী আবেদন করেছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মনোয়ারের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, চন্দনা নদীর একটি অংশ কেউ দখল করে সেখানে বাধ দিয়েছে বলে আমি জানি, তবে সে ক্ষেত্রে জনসাধারনের দেয়া একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলার নির্দেশ পেলে আমি ব্যবস্থা নিবো।
চন্দনা নদী দখল করে বাধ ও মার্কেট নির্মানের বিষয়ে বাগাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খানের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা সরকারের কাছ থেকে নদীটি কিনে নিয়েছি। এখন এই জায়গা আমাদের নামে রেকর্ড করা। এখানে আমরা যেমন খুশি ব্যবহার করবো।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাসিকের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা

প্রতিনিধি রাজশাহীঃ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারীদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম।  তিনি ভাষা আন্দোলন সৃষ্টির ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস চমৎকারভাবে তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন।
রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাসিকের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর কবির। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরুজ্জামান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। রাসিকের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমির আহম্মেদ মামুন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় রাজশাহী সিটি প্রাক-প্রাথমিক হতে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। ক গ্রুপে (সিটি প্রাক প্রাথমিক) ১ম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে অর্ণব কৃষ্ণ রায়, সামিউল ইসলাম রাফি ও আফিয়া তাছনিম। খ গ্রুপে (১ম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত) প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে আলিশা শাহরিয়ার, কাওরিন হোসেন ও আহনাফ আকিফ রায়ান। গ গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে মীর রাফসান শাহরিয়ার, রুমাইয়া ইসলাম ও স্নেহা রহমান। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছেলে-মেয়েসহ মহানগরীর বিভিন্ন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

স্যুটকেসে ভর্তি একটি অজ্ঞাত মেয়ের লাশ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ 

প্রতিনিধি সাভারঃ ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আশুলিয়া বারইপড়া পুকুর পাড়ে স্যুটকেসে ভর্তি একটি অজ্ঞাত মেয়ের লাশ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানার এস আই নাসির উদ্দিন, পুলিশ জানায় ২১শে ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আশুলিয়া থানার এস,আই নাসির উদ্দীন এই স্যুটকেসে ভর্তি একটি অজ্ঞাত মেয়ের লাশ উদ্ধার করেন, পুলিশ জানায় এই অজ্ঞাত ২৫ বছর বয়সী লাশ এখনো সনাক্ত করা যায়নি, কেউ চিনলে আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সাংবাদিক মুজাক্কিরের হত্যার বিচারের দাবীতে জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রতিনিধি,নোয়াখালীঃ নোয়াখালীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের খুনীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা ও বিভিন্ন উপজলোয় কর্মরত সাংবাদিকরা। রবিবার দুপুর ১২ টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাব, কোম্পানীগঞ্জ উপজলো ও চাটখিল উপজলোয় মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করনে।মানববন্ধনে বক্তারা খুনের সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তাঁরা হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। লাশ নিয়ে যেনো কেউ রাজনীতি করতে না পারে তার হুশিয়ারি দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তারা।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আগেও অনেক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় এ ধরণের সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি ফুয়াদ হোসেন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান ও দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধিসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের নিহতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জ। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচএম মান্নান মুন্না, প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সভাপতি হাসান ইমাম রাসেল, প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সেক্রেটারি গিয়াস উদ্দিন রনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে চাটখিল উপজেলার সাংবাদিকরা। চাটখিল পৌর শহরের প্রধান সড়কে সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল কাননের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বাবর, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি আবু তৈয়ব, সাংবাদিক ইয়াছিন চৌধুরী, আনিস আহমেদ হানিফ, জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, নজরুল দেওয়ান, মহি উদ্দিন বাবু প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা সাংবাদিক মুজাক্কিরের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান।উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট পূর্ববাজার এলাকায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে সংঘর্ষের চিত্রধারনের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কির। গুরতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢামেকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মুজাক্কিরের মৃত্যু হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

ফুলবাড়ীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ফুলবাড়ী,(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিভিন্ন আয়োজনে মহান ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটির প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা ১ মিনিটে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান, মুক্তযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষে সাবেক কমান্ডার মজিবর রহমান, উপজেলা আ’লীগের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ এবং প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সরকার মনোয়ার পাশা, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক হবিবর রহমান হবি, যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম মন্ডল বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক মিলন, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, উপজেলা প্রেসক্লাব, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব, জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার। এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ, ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষ্ণ মোহন হালদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক মিলন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জাকারিয়া মিঞা প্রমূখ। সভার শেষে কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এদিকে দিবসটি পালনের জন্য পুষ্পার্ঘ্যের জোগান দিতে ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যস্ত সময় পার করেছে উপজেলার ফুল ব্যবসায়ীরা।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সুন্দরগঞ্জে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রতিনিধি,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি রোববার সুন্দরগঞ্জ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলা বর্ণমালা ও ভাষা দিবসের পোস্টারে সজ্জিত করা হয় এবং অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সকলেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
সকালে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলার সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরুজা বারী। এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি গাইতে থাকেন। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পরে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা ভাষা আন্দোলনে ছাত্র, তরুণ, যুবসহ সকলের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
আফরুজা বারী তার বক্তব্যে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির আবেদন মনেপ্রাণে ধারণ করে পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা চর্চায় উৎসাহিত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরগঞ্জের মাটি ও  মানুষের নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকেও তারা হত্যা করেছে এবং ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করা আজ সময়ের দাবি।
সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদের সভাপতিত্বে
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল আলম রেজা, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মাস্টার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান রাসেল সহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রমের খড়স্রোতা ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বাম ও ডানতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলাধীন শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকায় বামতীর বরাবর ২ হাজার ৫ শ’ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ৩ টায় সোনাইকাজীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম,  অতিরিক্ত  পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান,  শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এজাহার আলী, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মইনুল হক। এ কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৯৫ কোটি  টাকা। ধরলার তীর সংরক্ষণের কাজে জিও ব্যাগ এবং সিসি ব্লক ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের পওর বিভাগ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৪৯ টি প্যাকেজে ৯ টি স্থানে ধরলার উভয় তীরে প্রায় ১৭ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ, বিকল্প বাধ নির্মাণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুই তীরের  ২২ হাজার ৪ শ’ টি পরিবার, ৩৫ টি হাটবাজার, ৩ টি নৌঘাট, প্রায় ১২ হাজার ১ শ’ হেক্টর ফসলি জমিসহ প্রায় ৩ হাজার ৪শ’ ৯৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নদী ভাঙ্গন ও বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

উপহার নিয়ে ২ ভাষা সৈনিকের বাড়িতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক 

প্রতিনিধি রাজশাহীঃ একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকে রাজশাহীতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে। শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে সব শ্রেণির মানুষ শহীদদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছেন।
এরই মধ্যে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল। একুশের সকালে তিনি ফুল, ফল ও মিষ্টি নিয়ে সম্মান জানাতে যান দুই ভাষা সৈনিকের বাড়িতে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল প্রথমে মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় থাকা ভাষাসৈনিক মোশারফ হোসেন আখুঞ্জির বাড়িতে যান। এ সময় জেলা প্রশাসক তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ বিভিন্ন রকমের ফল ও মিষ্টি উপহার দেন। পরে তিনি এ ভাষা সৈনিকের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আকস্মিক এ সাক্ষাতে ভাষা সৈনিক মোশারফ হোসেন আখুঞ্জি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পর এখনও সর্বক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন হয়নি। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। ’এরপর দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক মহানগরের শান্তিবাগে থাকা অপর ভাষা সৈনিক আবুল হোসেনের বাড়িতে যান। তিনি তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তার শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। যে কোনো প্রয়োজনে পাশের থাকার কথা জানান এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, ফল ও মিষ্টি উপহার দেন। ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন মহান একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনে তাকে এভাবে সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান এবং জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ দেন।
এ সময় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভিপি শাখা) তারিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-১) নাজমুল হুসাইনসহ জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে