আজ শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2173

পটুয়াখালীতে জাতির পিতার বিষেশ উপহার ৫২ টি মুজিব কিল্লার দুটোর কাজ সম্পন্ন!

জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে জাতির পিতার বিষেশ উপহার ৫২ টি মুজিব কিল্লার দুটির কাজ প্রায় সম্পন্ন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নির্দেশনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার হাত থেকে জানমাল রক্ষার্থে বিভিন্ন স্থানে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়।
কিন্তুু দেখামেলে, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই নির্মিত কিল্লাগুলো পরবর্তীতে যত্নের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বেদখল হয়ে যায়। সরকারি নিদের্শনায় এসব মুজিব কিল্লা সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানাযায়।
উক্ত প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী জেলায় ৫২ টি মুজিব কিল্লার বরাদ্দ পাওয়া গেছে; যার মধ্যে ২ টি কিল্লার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন কিল্লাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সাদর সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন বিবেচনায় আজ জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী মুজিব কিল্লাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত স্থান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকলকে গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কিল্লা সমূহের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য,আধুনিক, টেকসই এবং প্রযুক্তি-সহায়ক এসব ভবন দুর্যোগে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের পাশাপাশি তাদের গবাদি পশুপাখির নিরাপদ অবস্থান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। শুধু তাই নয়, দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে ভবনগুলোতে বিভিন্ন সভা-সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও সামাজিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মুজিব শতবর্ষে উপকূলীয় জেলার হতদরিদ্র মানুষের জন্য এসব ‘মুজিব কিল্লা ‘ হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের ফলশ্রুতি বলে জানান তিনি।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

রাজশাহীতে আঃ লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান

প্রতিনিধি রাজশাহীঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর মোড়ে রাজশাহী জেলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে নূর কুতুব আলম মান্নানকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকেও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নানকে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীবাসীকে গর্বিত করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান আমাদের গর্ব ও অহংকার।
মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরই যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে , এক কথায় সব সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে রেকর্ড গড়ছেন, নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে যাব।
রাজশাহীর উন্নয়নের বিষয়ে রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাপকভাবে হচ্ছে। তবে এখানে দীর্ঘদিনেও শিল্পায়ন হয়নি, কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দুইটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন। বিসিক শিল্পনগরী-২ এর ভূমি উন্নয়ন কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এখানে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার কাজও চলছে। এই শিল্পাঞ্চলে আগামী ৫/৭ বছরে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাজশাহীতে বিনিয়োগের জন্য বিনোয়োগকারীদের আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান বলেন, আমাকে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আমার ৫২ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সংগঠনকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করে পরিচালনা করতে চাই। সংগঠনে কোন অন্যায়-অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।
সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ আবদুল্লাহ খান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রাজশাহী জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাদ আলী। অনুষ্ঠানে রাজশাহীর রেলওয়ে লীগ লীগ ওপেন লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক এম আক্তার হোসেন, রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সুনামগঞ্জে হাওর ভাতার দাবীতে শিক্ষকদের স্মারকলিপি প্রদান

প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বে-সরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের ২০ভাগ হাওর ভাতা প্রদানের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষকরা।
আজ বুধবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় হাওর ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে জেলার দোয়ারাবাজারে অবস্থিত মুহিবুর রহমান মানিক উচ্চ বিদ্যালয়, মিতালী উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়খলা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করার পর সমাবেশ করেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অধ্যক্ষ এসএম সৈয়দ হুসেন, রফিকুল ইসলাম, মজিুবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক ময়না মিয়া, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম, মছদ্দির আলী, নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, অহিদুর রহমান, আব্দুল আজিজ, এনামুল হক, দীপঙ্কর চৌধুরী প্রমুখ।

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

অযত্নে-অবহেলায় জবির শহীদ মিনার

জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার। সারা বছর অরক্ষিত থাকা শহীদ মিনারটি ভাষার মাসেও অবহেলায় আর অযত্নে পড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারের চারপাশে দেয়া রেলিং ভেঙে আছে। সিড়িতে ধুলা বালি, টাইলস নষ্ট, মিনারের চারপাশে বিভিন্ন জায়গায় গাছও হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি আর সংস্কার করা সম্ভব নয়। নতুন ক্যাম্পাসে তারা নতুন শহীদ মিনার স্থাপন করবে।
শহীদ মিনারের পাশেই রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদ রফিক ভবন। রফিক ভবন থেকে মিনারের দিকে তাকালে প্রাণ ভরে যায়৷ কিন্তু যেই মিনারে সাদা রং দেয়া আছে তা নষ্ট হয়ে এখন কালো হয়ে গেছে৷ যা দেখতে এখন আর ভালো দেখায় না।

বিগত সালের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসের ২-১ দিন আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় শহীদ মিনারটি৷ শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনারটি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে এর প্রতি অনেকেরই শ্রদ্ধা কমে যাবে। শহীদের স্মরণে একদিন ফুল দেয়ার জন্যই যেনো এর অবস্থান না হয় সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। ভাষার মাসেও অযত্নে থাকা শহীদ মিনারটির নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।

শহীদ মিনারটির এ অবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলী নোমান বলেন, শহীদরা হলেন আমাদের গর্ব। তাদের স্মরণে নির্মিত এই স্তম্ভ অযত্নে রাখা খুবই লজ্জার বিষয়। আমরা চাই সবসময় যেন শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাস পরিবেশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়৷

এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘এই বিষয়টা আমার দায়িত্বে নয়৷ এটা হলো এস্টেট দপ্তরের দায়িত্ব। তারপর আমি এই ইস্যুটি নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দপ্তর এবং রেজিস্ট্রার মহোদয়ের সাথে কথা বলবো

অযত্নে অবহেলায় থাকা জবির শহীদ মিনারটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা খুব দ্রুতই পরিষ্কার করবো৷ এটা আসলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দপ্তরের দায়িত্ব। তারপরও আমি একজন প্রক্টর হিসেবে নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করবো।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

মাদারীপুরে অবৈধ ট্রলির চাপায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু, এমপির শোক প্রকাশ

প্রতিনিধি মাদারীপুরঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে অবৈধ ট্রলির চাপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি রেজাউল করিম(৭০)মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপির শোক প্রকাশ। ঘটনাটি আজ দুপুরে ঘটে। নিহত মুন্সি রেজাউল করিম( বারেক মুনিস)পূয়ালী মাদারীপুর গ্রামের মৃতঃ মুন্সি রফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এর ছেলে। অবৈধ ট্রলি চালক ঘটনার সাথে সাথে পালিয়ে যায়।পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মরোদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,মাদারীপুর থেকে মটর সাইকেল চালিয়ে আসার সময় ইটেরপুল-পাথরিয়ারপাড় সড়কের সানমুন্দি নামক স্থানে আপর দিক থেকে চালিয়ে আসা ট্রলি মটর সাইকেল টি চাপা দেয়।এতে ঘটনা স্থানেই মুন্সি রেজাউল করিম মাড়া যান।মটর সাইকেল টি দূমরেমুচরে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এবং ট্রলি চালক ট্রলি ফেলে পালিয়ে যায়।এখন পর্যন্ত ট্রলি চালক ও মালিকের সন্ধান ও নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহতের গ্রামের বাড়ি ও ভূরঘাটা বাজারের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম চলছে। তিনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।এবং কর্ম জীবনে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন,তিনি দেশে বিভিন্ন কম্পানি সহ একাধিক রাষ্ট্রে চাকুরী করেছেন।পরক্ষনে তিনি ভূরঘাটায় ৬৬শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন আর এন সুপার মার্কেট। তার মৃত্যুতে কালকিনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলাদেশ আ’লীগের প্রচার ও প্রচারনা সম্পাদক,মাদারীপুর তিন আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি,শোক প্রকাশ করে জানান, তার জানাযায় আমার আসার ইচ্ছা থাকা সত্বেও ব্যাস্ততার কারনে না আসতে পারায় দুঃখিত।জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তান আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে হারিয়ে মর্মাহত,শোকাহত,আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এদিকে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সংরক্ষিত নারী সংসদ তাহমিনা বেগম ও পৌর সভা নির্বাচনের আ’লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনায়ন প্রপ্ত এস এম হানিফ নিততের বাড়ি গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ ও নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। কালকিনি থানার ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা জানান,আমরা লাশ উদ্ধার করেছি এবং আইন আনুগ ব্যাবস্থা নিচ্ছি।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

দাফনের ১২ দিন পর নির্মানাধীন বাড়ি থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধি গাইবান্ধাঃ দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে এক নারীর মরদেহ গায়েব হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মরদেহটি পাওয়া গেছে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তলা একটি বাড়ির নিচ তলায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরের হাসানপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, সাদুল্ল্যাপুরের ধাপেরহাটের হাসান পাড়া গ্রামের মৃত তছুর মিয়ার স্ত্রী শতবর্ষী নছুমাই বেওয়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মুসলিম রীতিনীতি মেনে যথা নিয়মে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফনের ১২ দিন পর মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কে বা কারা ওই মরদেহ কবর থেকে তুলে ১শ গজ দুরে একটা নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ভিতরে রেখে গেছে। ঘটনাটা জানাজানি হলে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ওই কবর এবং মরদেহ দেখতে ভিড় করছেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খবরটি নিশ্চিত করে সাদুল্ল্যাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রজব আলী জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ মরদেহটি তুলে ওই বাড়িতে রেখে যেতে পারে
এ ব্যাপারে ওই পরিবারের কেউই কোন অভিযোগ করেনি। তারা পুনরায় মরদেহ দাফনের প্রস্ততি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সুনামগঞ্জে দুইবোনকে বিয়ে করে ফেঁসে গেছে দুইভাই: শিশুসহ ৭ জন গ্রেফতার

প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে তথ্য ও পরিচয় গোপন করে রোহিঙ্গা দুই বোনকে বিয়ে করে ফেঁসে গেছে দুই ভাই। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা নারী ও তাদের দুই শিশু সন্তানসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের উখিয়া ক্যাম্পের মৃত রোহিঙ্গা ইব্রাহিম আলীর মেয়ে সুপাইয়া বেগম (২০), তার ছোট বোন রুবিনা আক্তার (১৮), তাদের দুই শিশু সন্তান ফরহাদ হোসেন (২বছর), রিফাত হোসেন (১বছর), ভাতিজা সুপাই মিয়া (২২) ও দুই বোনের স্বামী জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়া (২৬), তার আপন ছোট ভাই মোবারক হোসেন (২১)।
আজ বুধবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানা কোন মামলা হয়নি। তবে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানাগেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের খবর জানাজানি হওয়ার পর জেলা ও উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- চট্টগ্রামের উখিয়ার ক্যাম্প থেকে ২০১৭সালে রোহিঙ্গা মেয়ে সুপাইয়া বেগম পালিয়ে এসে জেলার তাহিরপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে ফারুক মিয়াকে গোপনে বিয়ে করে। তারই সূত্র ধরে সুপাইয়া বেগমের ছোট বোন রুবিনা আক্তার এখানে আসা যাওয়া শুরু করে। এমতাবস্থায় ফারুক মিয়ার ছোট ভাই মোবারক হোসেনের সাথে রুবিনা বেগমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর তাদের দুজনেরও গোপনে বিয়ে হয়। তাদের বিয়ে কোন কাজীর মাধ্যমে রেজিস্টি হয়নি। গ্রামের মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা দুই বোনের সংসারে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন- টাংগুয়ার হাওর পাড়ে সন্দেহ জনক ভাবে ঘুরাফেরা করার সময় রোহিঙ্গা তরুন সুপাই মিয়াকে এলাকার লোকজন আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মূল তথ্য বেড়িয়ে আসে। পরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইন্দ্রপুর ও বাগলী শুল্কস্টেশন এলাকা থেকে ফারুক মিয়া,তার ছোট ভাই মোবারক হোসেন ও তাদের দুই রোহিঙ্গা স্ত্রী ও ভাতিজাকে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন- গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদের কাজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সুনামগঞ্জে এতিমখানা ও মাদ্রাসার চাঁদা উত্তোলন

প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে এতিমখানা ও মাদ্রাসার নামে চাঁদা উত্তোলনের অপরাধে ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃ যুবকরা হলো- কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের ছালেহ রহমানের ছেলে আল আমিন (২৫), একই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ আকিবুর রহমান (১৮) ও মোঃ ইসলাম উদ্দিনের ছেলে জুনাইদ উদ্দিন (২০)।
আজ বুধবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় গ্রেফতারকৃত ৩ যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে ৩ যুবককে পৃথক ভাবে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য কোরআন শরীফ, পাঞ্জাবী ও পাগড়ীসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার কথা বলে সুনামগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা উত্তোলন করছিল উপরের উল্লেখিত ৩যুবক। প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের ষোলঘর এলাকার দোকানপাট ও বাসা-বাড়ি থেকে একাএকা চাঁদা উত্তোলন করতে যায় জুনাইদ উদ্দিন। ওই সময় তার আচার-আচারণ সন্দেহ জনক দেখে স্থানীয় জনতা আটক করে। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জুনাইদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুয়ারী পৌরশহরের কালিবাড়ি সড়কে অবস্থিত শামীমাবাদ আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের আরো দুই সদস্য আকিব রহমান ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- কিশোরগঞ্জ থেকে প্রতারক চক্রের ৫-৭জনের একটি দল বেশ কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জে আসে। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টানের নাম ব্যবহার করে চাঁদা উত্তোলন করছিল। গ্রেফতারকৃত ৩ প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সাভার ইউনিয়নের দেওগাঁও এলাকায় ড্রেনসহ একটি রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দেওগাঁও এলাকায় ড্রেনসহ একটি রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং বাইতুল নাজাত জামে মসজিদে অনুদান প্রদান করেন সাভার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী সোহেল রানা।

১৮ই ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে অত্র ওয়ার্ডের মনির এর দোকান হতে আমেনা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৭৩৫ ফির্ট রাস্তা ড্রেনসহ নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়। পরে দেওগাঁও বাইতুল নাজাত জামে মসজিদ কমিটির হাতে অনুদানের ১লক্ষ টাকা মধ্যে নগত ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিল হাজী সেলিম মিয়া,সাভার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ,অত্র ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ইদ্রিস আলী,অত্র ওয়ার্ড মেম্বর ওয়াদুদ আকন।৪,৫ এবং ৬নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মনোয়ার আক্তার,অত্র ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর রহমান,বিশিষ্ট সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলম,দেওগাঁও বাইতুল নাজাত জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী ইব্রাহিম মিয়া,সেক্রেটারি আবুল হাসেম,মসজিদের ইমাম ও খতীব রফিকুল ইসলাম,হাজী জয়নাল আবেদীন,জিএম মজিবর রহমান,খোকন মিয়াসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সুন্দরগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ৪ বছরেও সংস্কার হয়নি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা চার বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের আফতাব আলীর বাড়ীর সামন থেকে শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২শত মিটার কাঁচা রাস্তা ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে যায়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার অংশ চার বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার দু’পাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছে। বর্ষাকালে এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারেন না। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী হরিপুরসহ কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এলাকাবাসী বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় রাস্তাটির এ অংশ ভেঙে গেলেও গত চার বছরেও তা সংস্কার হয়নি। বর্ষাকালে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। এলাকার যুব সমাজ স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার কয়েকদিন পরে ইউনিয়ন পরিষদ মহিলা সদস্যের স্বামী কাউকে না জানিয়ে সাঁকোটি বিক্রি করে দেয়। পরের বছর রাস্তা সংস্কার না করে ইউনিয়ন পরিষদ ৫০ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে। সাঁকোটির দু’পাশে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়। যা কয়েকদিন পর ভেঙে যায়। রাস্তাটি সংস্কার না করায় আশে-পাশের কৃষি জমিতে বালু পড়েছে। ফলে জমিগুলো পতিত পড়ে আছে। বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে