আজ শনিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 4

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে: এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দখলদার ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তিনি ১৮ জুন বুধবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বলেন, “নিজেদের আত্মরক্ষায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং গুণ্ডামির বিরুদ্ধে এটি ইরানের খুবই স্বাভাবিক, বৈধ এবং আইনি অধিকার।” এর আগে গতকাল দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে এরদোয়ান বলেন, নেতানিয়াহু এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

তার্কিস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহু যে গণহত্যা চালিয়েছেন, এরমাধ্যমে তিনি জার্মান নাৎসি নেতা এডলফ হিটলারকে ছাড়িয়ে গেছেন। এরদোয়ান এর আগেও কয়েকবার নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

রাজশাহীর বাঘায় আমের দামের থেকে কুরিয়ার চার্জ বেশি!

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি বাঘায় স্বজন-ক্রেতাদের আমে জমেছে বাঘার কুরিয়ার ব্যবসা। বিশেষ করে কোরবানির ঈদের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন হাজার মণ আম যাচ্ছে এ সার্ভিসের মাধ্যমে।
সরেজমিন কুরিয়ার সার্ভিসগুলোয় দেখা গেছে, মোটা পলিথিন ও পেপারে মোড়ানো মৌসুমি আমে ঠাসা ঝুড়ি-কার্টন। কুরিয়ারে পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। অনলাইনভিত্তিক বেচাকেনাও বেড়েছে। উপহার কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় আম পাঠানোর এ পদ্ধতিতে এখন জমজমাট রাজশাহীর বাঘা উপজেলা।
আম পরিবহনে যুক্ত হয়েছে উপজেলার অন্তত ১১টি কুরিয়ার সার্ভিস। মৌসুম শুরুর পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন হাজার মণ আম যাচ্ছে এ সার্ভিসের মাধ্যমে। বেশিরভাগই আম যাচ্ছে আত্নীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধবের বাসায়।  সাথে আছে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া আম। এ কারণে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় থাকছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোতে। সার্ভিস চার্জ হিসেবে সুন্দরবন,  এ এজেআর সহ কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিস ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের মধ্যে কেজি প্রতি ১৩ টাকা আর অন্য জেলায় প্রতি কেজি ১৬ টাকা করে নিচ্ছে। জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিস নিয়মিতদের কাছ থেকে নিচ্ছে ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের মধ্যে কেজি প্রতি  সাড়ে ১০ টাকা আর ঢাকার বাইরে প্রতি কেজি ১৪ টাকা করে।
বাড়িতে অলস বসে না থেকে ফেসবুকে ‘ফুটস এ্যাডড্রেস’ পেজ খুলে অনলাইনে আম ব্যবসা শুরু করেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা  সোহানুর রহমান (শাওন), ‘বাঘা সেভফুট’ এর আশরাফ আলী। তাঁরা জানান, গুণগত মান দেখে এলাকার বাগান মালিকদের কাছ থেকে আম কিনে প্যাকিং করেন। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অনেকেই হোম ডেলিভারি দায়িত্ব নিয়ে আম পৌঁছে দিচ্ছেন বাসায়। সোহানুর রহমান (শাওন) জানান,প্রতিদিন তার ১০  মণ আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এর মধ্যে  বেশি যাচ্ছে হিমসাগর আম।
কার্টনভর্তি আম নিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে আসেন প্রভাষক দীনেশ চন্দ্র। সেই আম তিনি রংপুর জামাইয়ের বাসায় ও দিনাজপুর বিয়াইর বাসায় পাঠাবেন। দুই কার্টনভর্তি আম ঢাকায় চাচার বাসায় পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিসে আসেন আবুল মাসুদ।  তারা বলেন, ‘আমের মৌসুমে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা রাজশাহীর আমের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। আম পেয়ে তাঁরা যেমন খুশি হন, আমাদেরও খুব ভালো লাগে। আমের মৌসুমে স্বজনদের জন্য উপহার পাঠানো রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাঘা শাখার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম ও এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপক আশরাফ আলী বলেন, ‘আমের মৌসুমে ব্যবসাটা অনেক ভালো চলে। অনলাইনে বেচাকেনা হওয়ায় ব্যবসা আরও জমে উঠেছে। আমরাও চেষ্টা করি ভালো সার্ভিস দেওয়ার।’ জননী এক্সপ্রেস পার্সেল সার্ভিস এর ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম বলেন,যারা নিয়মিত আম পাঠাচ্ছেন তাদের কাছে ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের মধ্যে কেজি প্রতি  সাড়ে ১০।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

এই ধরনের মূর্খ উপদেষ্টা দেশের ইতিহাসে কেউ কোনোদিন দেখেনি : ইশরাক

আলোকিত ডেস্ক, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে উদ্দেশ্য করে ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘এই ধরনের মূর্খ উপদেষ্টা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ কোনোদিন দেখেনি। বুধবার নগর ভবনে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি বর্তমান সরকারের কানে দেশের  সবার দাবি পৌঁছায় কিন্তু আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি বাসীর দাবি কেন জানি তাদের তাদের কানে পৌঁছায় না বলে আমি আমি মনে করি। এই ব্যাপারে তারা দেখেও দেখছে না, শুনেও শুনছে না।

আমরা বলতে চাই, এই ধরনের নব্য স্বৈরাচারী মনোভাব যে বর্তমান সরকার দেখিয়েছে এটা আসলে আমাদের সবাইকে হতবাক করেছে।’ 

কীভাবে আমাদের এই আন্দোলনকে দমানো যায়, বিতর্কিত করা যায় এবং জনগণের সামনে ভুলভাবে আমাদের কার্যক্রমকে উপস্থাপন করা যায় সেই চেষ্টায় তারা লিপ্ত হয়েছে।

 

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে নিয়ে তিনি বলেছেন,‘বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাও ক্রমাগত মিথ্যাচার করেছে আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে। তিনি বারেবারে বলেছে, এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে, সাব জুটিস ম্যাটার রয়েছে ও অন্যান্য কথা বলেছে। অথচ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে এই জিনিসটা বহু আগেই মীমাংসা হয়ে গেছে।

তারপরেও যদি বলে এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে তাহলে আমি বলব যে এই ধরনের মূর্খ উপদেষ্টা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ কোনোদিন দেখেনি।’ 

প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও তাতে যোগ দেয়। মাঝে ঈদ ঘিরে ছুটির কদিন নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনে পাওয়া যায়নি। ঈদের ছুটির শেষে অফিস খোলার প্রথম দিন রোববার ফের সেখানে আন্দোলন শুরু করেন ইশরাক সমর্থকরা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

এই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কে? যাকে হত্যা করতে চায় ট্রাম্প-নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার সংঘাত যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুজনেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তবে খামেনির ওপর যদি সরাসরি হামলা চালানো হয়, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এক বিপজ্জনক সংকটে ঠেলে দিতে পারে।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। গত প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং আন্দোলন দমন করেছেন।

সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং কুদস ফোর্স–এর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন। এই কুদস ফোর্সই হামাস, হেজবুল্লাহ এবং হুথি বিদ্রোহীদের মতো প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।

খামেনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৯ সালে ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে। তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি’র শিষ্য, যিনি ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটির প্রো-ওয়েস্ট রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করেন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে খামেনি একটি হামলার শিকার হন, যাতে তার ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যায়। খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পর থেকে খামেনি ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মনোযোগ দেন। অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একাধিক মিত্র গোষ্ঠী গড়ে তোলেন যা লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই দীর্ঘ সময় ইরান সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও, সব কিছু বদলে যায় যখন ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়।

এর পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ, হেজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরানের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে সহজ লক্ষ্যবস্তু বলে অভিহিত করেছেন। এই মন্তব্য কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং একটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সংকেতও বহন করে।

একজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত যে কতটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। এই মুহূর্তে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির কেন্দ্রে।

সূত্র: সিএনএন

আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

অবশেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যোগ দিলো জামায়াত

আলোকিত ডেস্ক:

অবশেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল। ১৮ জুন বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের এ সংলাপ শুরু হয়।

এর আগে ১৭ জুন মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর কোনও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেননি। এ নিয়ে দিনভর বিভিন্ন কানাঘুষা চলে। কোনও কোনও গণমাধ্যম এটিকে বয়কট বলে আখ্যায়িত করে। আবার সেখানে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা একে লন্ডনে তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার যৌথ বিবৃতির কারণ বলে ইঙ্গিত করেন।

যদিও শেষ বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বুধবার জামায়াতের প্রতিনিধি সংলাপে যোগ দেবেন।

আজকের বৈঠকে দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন– নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।

আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল-এনসিসি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

বৈঠকের শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির কাজ শেষ করতে চান বলে জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

ইরানে হামলার মাধ্যমে বিশ্বকে ‘পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলছে ইসরায়েল : রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানে হামলার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি বিশ্বকে ‘পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের’ দিকেও ঠেলে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদি রাষ্ট্র।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্পে ইসরায়েলের চলমান ব্যাপক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোন থেকে অবৈধ। এতে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অগ্রহণযোগ্য হুমকি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে বিশ্বকে পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের দিকেও ঠেলে দিচ্ছে এ হামলা।“

“আমরা ইসরায়েলের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে হুঁশে ফিরে আসুন এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বন্ধ করুন।”

ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘাতের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দোষারোপ করা হয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, “ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ নিয়ে সম্প্রতি আইএইএ যে রেজোল্যুশন দিয়েছে, সেটি ছিল পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট এবং ইরানের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ। ইসরায়েলের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আইএইএ-কে ব্যবহার করছে এবং আইএইএ-এর রেজোল্যুশনই ইসরায়েলকে ইরানে হামলা চালানো অজুহাত তুলে দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, তেহরান বার বারই বলে আসছে যে তার পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। তবে সপ্তাহে আইএইএ এক রেজোল্যুশনে বলেছিল যে ১৯৭০ সালে জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র বিরোধী (এনপিটি) যে চুক্তি করেছিল ইরান, তা লঙ্ঘন করেছে দেশটি। আইএইএ এই রেজোল্যুশন দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ইরানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

গত ১৩ জুন ভোর সাড়ে চার টা থেকে ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। জবাবে সেদিন থেকেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা শুরু করে ইরানের সামরিক বাহিনী।

দুই দেশের সংঘাত শুরুর পর মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, তবে ইসরায়েল তাতে আগ্রহ দেখায়নি।

সূত্র : আরটি

আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

এসএসএফের কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিশেষ করে, গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন এবং সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে।

১৮ জুন বুধবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসএসএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী, তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এই বাহিনী আমার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, এসএসএফ একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা আমার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে বিদেশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। আমি এসএসএফ-এর সার্বিক পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্ট। এজন্য আমি   ধন্যবাদ জানাচ্ছি সকল সদস্যকে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি কক্সবাজার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরগুলো সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের রাষ্ট্রীয় সফরের সামগ্রিক নিরাপত্তা এই বাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।

বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা হুমকির ধরন এবং প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসএসএফ সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এসএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। সম্প্রতি এসএসএফ যমুনার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করেছে। এসএসএফ একইভাবে এই কার্যালয়েরও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করবে। এসএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত মনোবলের সন্নিবেশে দিন দিন আরো উন্নতি সাধন করবে।

নিরাপত্তার খাতিরে এসএসএফকে বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে হয়, যা অনেক সময় জনভোগান্তি সৃষ্টি করে থাকে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি এসএসএফকে যতটুকু সম্ভব জনভোগান্তি পরিহার করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। অতীতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি ফ্লাইটের জন্য প্রায় ১ ঘণ্টা সব ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ থাকত। এতে অনেক ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হত। আমি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছি। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘব হবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মনে করি জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে এসএসএফ তার উপর অর্পিত সব দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করবে।

dhakapost

এসএসএফ-এর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সরঞ্জামের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাহিনীর অভিযানিক কার্যক্রম আরো বেগবান ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামের ব্যবহার এবং দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই এসএসএফ তাদের ১২ বছরের পুরোনো ভিএইচএফ রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম পরিবর্তন করে সর্বশেষ মডেলের ইউএইচএফ রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম সংযোজন করবে, যা তাদের অভিযানিক কার্যক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, এসএসএফ এর অত্যাধুনিক ইনডোর ফ্লাইট ফায়ারিং রেঞ্জ-এর কাজ প্রায় সমাপ্ত ও আগামী মাস থেকে এটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এসএসএফকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, পিজিআর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর নির্ভর করতে হয়। তাই আমি আশা করব এসএসএফ সব সহযোগী বাহিনী ও সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং নিবিড় যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

এসএসএফকে একটি অত্যাধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে চৌকস অফিসার নির্বাচন এবং পাঠানোয় আমি সব বাহিনী প্রধানদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে এসএসএফকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

‘এসএসএফ সদস্যরা রাষ্ট্রঘোষিত ভিআইপিদের নিরাপত্তা দিতে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা, উন্নত শৃঙ্খলা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং মানবিক গুণাবলীর বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং সব ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলে, সুযোগ্য নেতৃত্ব, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ-এর উত্তরোত্তর উন্নতি অব্যাহত থাকবে। আপনাদের ও পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণময় জীবন কামনা করছি।

আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

 

চট্টগ্রামে “ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনার

চট্টগ্রাম ব্যাুরো। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১),আলীম আখতার খান বলেছেন সরকার সীমিত সামর্থ ও লজিস্টিক দিয়ে দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও নানা আইনগত জঠিলতার কারণে দেশের মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যবসায়ীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, সাধারণ ভোক্তারা যদি আইন জেনে নিজেরা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ সালে প্রণীত হয়েছে। সেসময়ে অনেক বিষয়কে আমলে নিয়ে আইনটি প্রণীত হলেও কালের পরিবর্তনের সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য আইনকে যুগোযোগী করা হচ্ছে। আইনটি সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যিই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক জঠিলতায় অধিদপ্তরের লোকবল নিয়োগে বিলম্বের কারণে ২৪টি জেলায় কর্মকর্তার পদ শুণ্য আছে। যার কারনে ঐ জেলায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।
১৬ জুন ২০২৫ইং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এর সহযোগিতায় সার্কিট হাউজ, চট্টগ্রাম এর সম্মেলন কক্ষে “ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজউল্যার স্বাগত বক্তব্যে সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশনেন সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদা বেগম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহানুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মার্মা, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, কাজীর দেউরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান, চট্টগ্রাম রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ইলিয়াছ আহমদ, বারকোট রেস্টোরেস্ট এর স্বত্ত্বাধিকারী মনজুরুল হক, বনফুলের জেনারেল ম্যানেজার আনামুল হক, ফুলকপির জেনারেল ম্যানেজার আবদুর সবুর, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাব্বি তৌহিদ ও সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন আইনের দুর্বলতার পাশাপাশি সাধারন ভোক্তাদেরকে সচেতন করতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সরকারকে ব্যবসায়ী তোষণনীতির পরিবর্তে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। ব্যবসায়ীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ টিভি ও পত্রিকায় একতরফা বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি করলেও ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। যার কারণে দেশে ন্যায্য ব্যবসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতা প্রদানে রাজনৈতিক দল ও সরকারকে সতর্ক হবার আহবান জানিয়ে দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের বিষয়গুলোর প্রতি আরও যত্নবানে হবার অনুরোধ করেন।
মুল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ ভোক্তা সংরক্ষন আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন ও ওষুধ ও কসমেটিক আইনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সরাসরি আদালতে মামলা করতে বাধার বিষয়টি দূর করা দরকার। এছাড়াও আইন প্রয়োগে অধিকাংশ জায়গায় শিথিলতার কারণে মানুষ আইন না মানার সংস্কৃত বন্ধে জোর দেন। একই সাথে আইন ও অধিকার সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। এছাড়াও ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার বিরোধ নিস্পত্তিতে শালিসী কার্যক্রম জোরদার, পণ্যের মান পরীক্ষায় সুযোগ সুবিধা ও জনবল বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
সেমিনারে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, ক্যাব চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধিসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশনেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সৈয়দপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

জয়ন্ত রায়, স্টাফ রিপোর্টারনীলফামারীর সৈয়দপুরে নৈশকোচ শ্যামলী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে কামারপুর বাজারের কাছে পতিরাম ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়ার বুদারু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা (২৮) ও কুজিপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নূর ইসলাম (৩০)। তাঁরা দুজনেই ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনেরা জানান, বুধবার ভোর ৭টার দিকে মাসুদ রানা ও নূর ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচ শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কোচ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সড়ক পরিবহন আইনে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পঞ্চাশ পেরিয়েও বলিউড অঙ্গনে এখনো ‘তরুণী’ তারা

বিনোদন ডেস্ক, ‘হয়তো আমার যাচ্ছে বয়স বেড়ে,/ তাই বলে কি শখ দেব সব ছেড়ে?/ না হয় কিছু চুল পেকেছে, দূরেও নয় কেউ রেখেছে,/ তাই বলে কি অমনি যাব হেরে!’—স্বপ্ন কুমার মজুমদার তার পঙক্তিতে বয়স যে জীবনের স্বাদ আস্বাদনে কোনো বাধা নয়, সেটাই বুঝিয়েছেন তিনি। আমাদের দেশে ‘কুড়িতে বুড়ি’ কথাটি বেশ প্রচলিত থাকলেও হলিউড, বলিউড কিংবা বিনোদন ভুবনে বয়স শুধু একটি সংখ্যা মাত্র। জীবনের হাফ সেঞ্চুরি পার করে এখনো সমানভাবে পর্দায় ঝড় তুলে চলেছেন অনেকেই। এখনো তারা দেহ-সৌষ্ঠব আকর্ষণীয় করে রেখেছেন। এক নয়নাভিরাম নস্টালজিয়ার ছোঁয়া সৃষ্টি হয় পর্দায় তাদের সরব উপস্থিতি দেখে। সামাজিক নিন্দাকে পিছু হটিয়ে বা বয়স ফোবিয়াকে দূরে সরিয়ে বলিউড অঙ্গনে দৃপ্ত পদচারণা করছেন এমন কিছু নায়িকাকে নিয়েই এবারের আয়োজন, যাদের রূপ-লাবণ্য এখনো ঊনত্রিশ থেকে ঊনআশি সবার হৃদয়কেই ব্যাকুল করে তুলে তারা।

মাধুরী দীক্ষিত-

বয়স যেন তার কাছে নস্যি। নাচ-অভিনয় কিংবা ব্যক্তিত্ব—এখনো তার শোভা আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছেন সিনেপ্রেমীরা। তিনি নব্বইয়ের দশকের হৃদয় কাঁপানো নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। তার রূপ-লাবণ্য ও অভিনয়শৈলী দর্শকদের বিমোহিত করে রাখত। ৭০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করা মাধুরী এখন ৫৭ বছরের ‘টগবগে তরুণী’। এজন্যই তরুণী বলা যে, বয়সকে হার মানানো মাধুরী এখনো পর্দায় নিজের শোভা বাড়িয়ে চলছেন। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে নতুন আঙ্গিকে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘দ্য ফেম গেম’ ওয়েব সিরিজ এবং ‘মাজা মা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাধুরী।

ঐশ্বরিয়া রায়-

বিশ্বসুন্দরীর মুকুট মাথায় তোলেন ১৯৯৪ সালে। এর মানে, তিনি যে রূপ-সৌন্দর্যে সেরা, এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বিনা বাক্যে হিন্দি সিনেমার জগতে অন্যতম সুন্দরী নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই। মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতার পর চলচ্চিত্রে এসেই নিজেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যান। সৌন্দর্যে সেরা হওয়ার তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো তার আবেদন কমেনি বিন্দুমাত্র। ৫১ বছর বয়সী চিরতরুণী ‘অ্যাশ’ সম্প্রতি দক্ষিণী সিনেমা ‘পনিয়িন সেলভানে’ অভিনয় করে চমক লাগিয়ে দেন। পঞ্চাশ পেরোলেও এখনো অনেকের কাছেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞা মানেই ঐশ্বরিয়া!

কাজল-

হিন্দি সিনেমায় রোমান্সের সংজ্ঞা নতুনভাবে লেখা হয়েছিল শাহরুখ-কাজল জুটিতেই। বলিউডে অনস্ক্রিন জুটিগুলোর মধ্যে এ জুটিই যে সেরা, তাতে দ্বিমত নেই কারও। একের পর এক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ৫০ বছরের চিরসুন্দরী বাঙালিকন্যা কাজল মুখার্জি। পর্দার সামনে হোক বা বাইরে—এই অভিনেত্রী এসে দাঁড়ালেই যেন লাস্যের বান ডাকে। টানটান দেহ পল্লবী, উপচে পড়া যৌবন, খোলামেলা সাজে এখনো পারদ-চড়ানো উষ্ণতা! ১৯৯২ সালে ‘বেখুদি’ দিয়ে শুরু হলেও প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা ‘বাজিগর’-এর আকাশচুম্বী সাফল্যের পর তাকে নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে। এখনো তার রূপের কাছে হার মানবে ২৪ বছরের তরুণীরা।

শিল্পা শেঠি-

পঞ্চাশ বছর—অসম্ভব! শিল্পা শেঠিকে দেখলে হয়তো অনেকেই তাকে ত্রিশের যুবতী ভেবে ভুল করতে পারেন। বলিউডের এই ফিটনেস-ফ্রিক এখনো নিজের সৌন্দর্যের ঝান্ডা নিজের কাছেই তুলে রেখেছেন। বয়স তার শরীর, মন বা আত্মবিশ্বাস কোনো কিছুর ওপরই ছাপ ফেলতে পারেনি। ১৯৯৩ সালে আব্বাস-মাস্তানের ‘বাজিগর’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক। অভিনয় ছাড়াও শিল্পা শেঠি ভারতনাট্যমের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী। শুধু পর্দাতেই নয়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন এক পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে। ৪৯ বছর বয়সেও তার গ্লোয়িং স্কিন, টোনড ফিগার ও আত্মবিশ্বাসী ক্যারিশমা নতুন প্রজন্মের সেলিব্রেটিদেরও পেছনে ফেলে দেয়।

টাবু-

দশকের পর দশক পেরিয়ে গেলেও নিজের সৌন্দর্য আর আকর্ষণ ধরে রেখেছেন বলিউড অভিনেত্রী তাবাসসুম ফাতিমা হাশমি। বলি ইন্ডান্ট্রিতে তিনি পরিচিত টাবু নামে। মোহময়ী অভিনেত্রী টাবু বরাবরই সৌন্দর্যের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার মিশেলে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। পঞ্চাশ পেরিয়ে ৫৩-তে পড়লেও এখনো টাল খায়নি তার আকর্ষণে। বয়সকে হার মানানো টাবুর সিনেমার পর্দায় সরব উপস্থিতি দর্শকহৃদয়ে দাগ কেটে যায়। তুখোড় ব্যক্তিত্ব দিয়ে শোভা বাড়িয়ে চলছেন সিনেজগতে।

প্রীতি জিনতা

বলিউডের ডিম্পল গার্ল প্রীতি জিনতা কীভাবে নিজের বয়সকে লুকিয়ে রেখেছেন—সেটা নিয়ে ধন্ধে থাকে সবাই। অভিনয় থেকে সামান্য বিরতি দিলেও আইপিএলের কল্যাণে নিয়মিত টিভি পর্দায় দেখা যায় তাকে। কে বলবে তার বয়স হাফ সেঞ্চুরি পার হয়েছে। ফিটনেস আর আকর্ষণে এখনো অপ্রতিদ্বন্দ্বী। যেভাবে নিজের গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন, তা নতুন নায়িকাদের প্রেরণা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি