আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 436

২৬ মার্চ নিয়ে আমার কিছু কথা

মোস্তাকিম বিল্লাহ

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ সকাল বেলায় ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ছাত্রদের নৃশংসভাবে গুলি করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ, কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল উলা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ, সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার মাঝে বাসার জানালা দিয়ে রেকর্ড করে ছিলেন একাত্তরের জান্তব বিভীষিকরে ক্ষুদ্রতম অংশটি। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলে ছাত্রদের কে গুলি করে হত্যা করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। আর সেই মরদেহ সরানো হয়েছে ছাত্রদের দিয়ে। মরাগুলো সরানো শেষে,তাদের কে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী।সবাই মারা গেলেও একজন বেচে যায় পরে তাকে ব্লাক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আলোকিত ডেস্ক:

মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকও বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের রাজা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।  এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন ভুটানের রাজা এবং তার স্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ মার্চ-২৪ /মওম

মানিকগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বরআহত দশম শ্রেণীর ছাত্র তন্ময়

মো: মহিদ: মানিকগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে তন্ময়। সে খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। গত রবিবার দুপুর পোনে একটার দিকে এস.কে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে তালতলা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। তন্ময় মানিকগঞ্জ উত্তর সেওতা এলাকার জুলফিকার রহমানের ছেলে। বাবা জুলফিকার রহমান মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আহত তন্ময়ের বাবা জুলফিকার রহমান জানান, সকালে বাড়ী থেকে তালতলা একটি কোচিংয়ে পড়ার জন্য যান। কোচিং ক্লাস শেষে করে বাড়ী ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কিশোর গ্যাংয়ের ১০ থেকে ১২ জন চাইনিচ কুরাল সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ছেলে তন্ময়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। পরে এক পর্যায়ে আমার ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি আমার ছেলের হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।

আলোকিত/২৫/০৩/২০২৪/আকাশ

আটপাড়া এক ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল ইলম আদর্শ পাঠশালান

 

নেত্রকোনা প্রতিনি: আটপাড়া দারুল ইলম পাঠশালা ইসলামী শিক্ষা-আরবী  এবং  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সমন্বয়ে একটি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

 

গত ১৯ মার্চ  আটপাড়ার গণ্যমান্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আলেম উলামা ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এক সেমিনার ও ইফতাররের আয়োজন করা হয়।

উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ও বক্তা টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ – গবেষক ও কলামিস্ট  শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ইঞ্জি: মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, বিশেষ অতিথি আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলামসহ আটপাড়া উপজেলা নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।

 

প্রতিষ্ঠানটি নেত্রকোনা  আটপাড়া উপজেলা  পুরাতন সোনালি ব্যাংক রোডে অবস্থিত।

উক্ত প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ও জেনারেল শাখায় প্লে গ্রুপ থেকে  ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত আরবী বাংলা, ইংরেজি, গণিত সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর দ্বারা ইসলামী ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয়ে উন্নত সিলেবাসে পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

পর্যায়ক্রমে দাওরাতে হাদিসসহ বাংলা ইংরেজি ও বিজ্ঞান ভিত্তিক , সাধারণ জ্ঞান, শিশুদের নৈতিক শিক্ষা , বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াতের   সু – ব্যবস্থা  রয়েছে।

উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জানুয়ারি হতে ভর্তি চলমান থাকবে।  ১২ মার্চ ১লা রমজানে   ক্লাস শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ছোট বড়  মোট প্রায়  ১০ জন ছাত্রছাত্রী  রয়েছে। বর্তমানে  তিনজন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয় মাদ্রাসাটি।

 

দারুল ইলম আদর্শ পাঠশালা প্রতিষ্ঠান ৮ জন প্রতিষ্ঠাতা রয়েছেন তারা হলেন, আটপাড়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সাজেদুর রহমান সেলিম, প্রভাষক  আব্দুল ওয়াহেদ বেগ,  গাজী জসিম এগ্রো ফার্ম এমডি   ডাঃ মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম আজাদ, আটপাড়া উপজেলার আঞ্চলিক মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হামিদুর রহমান, উদ্যোক্তা আনিসুর রহমান রুবেল ,লুনেশ্বর ইউনিয়নের কাজী আলহাজ্ব হাফেজ মাওঃ আব্দুল আউয়াল, স্বরমুশিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক আজিজুল ইসলাম।

 

এছাড়াও উপদেষ্টা মন্ডলীর বানিয়াজান সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অবঃ ইংরেজি শিক্ষক হাবিবুর রহমান (মুসলিম মাস্টার), টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ – গবেষক ও কলামিস্ট  শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ইঞ্জি: মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম, আটপাড়া , ইসলামিক ফাউন্ডেশন -মডেল কেয়ার টেকার  হাফেজ মোহাম্মদ মাহবুবুল হক ,

 

প্রতিষ্ঠাতা সাজেদুর রহমান সেলিম জানান, তারা আটপাড়া উপজেলায় একটি ব্যতিক্রমী ইসলামীও জেনারেল শাখার সম্বনয়ে উন্নত সিলেবাসের মাধ্যমে  ছাত্র ছাত্রীদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারায় শিক্ষা প্রদান করা হবে। আরবীর পাশাপাশি জেনারেলে ভর্তি হতে সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাংলা ইংরেজি গণিত বিজ্ঞানসহ  কুরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা রয়েছে এবং পরবর্তীতে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা ও করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া বর্তমানে আবাসিকের ব্যবস্থা না থাকায় অনাবাসিক ভাবেই কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখানে শুধু ছোটদের নয় বড়দের জন্যেও আছে শিক্ষার ব্যবস্থা। সারা রমজান কুরআন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

আলোকিত/২৫/০৩/২০২৪/আকাশ

নাগরপুরে ১ হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার-১

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বেজি গ্রুপের প্রধান রাহাত হোসেন ওরফে বুলেটকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ি বুলেট গয়হাটা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্টুর ছেলে।

গতকাল রবিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮.৩০  মিনিটে নাগরপুর সদর বাজারের বটতলা মোড় থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাগপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দিনের নির্দেশনায় এসআই আলিমের নেতৃত্বে এসআই মামুন,এএসআই জাহাঙ্গীর, এএসআই তসলিম,এএসআই তাহের সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক ব্যবসায়ী বুলেটকে আটক করে।

এ সময় বুলেটের কাছ থেকে ১০০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বেজি গ্রুপের প্রধান বুলেটকে ১০০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

আলোকিত/২৫/০৩/২০২৪/আকাশ

মেলান্দহে ট্রাক চাপায় ১জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্য

মোঃরাশেদুল ইসলাম: জামালপুরের মেলান্দহে হাজরাবাড়ী এলাকায় বালি ভর্তি ট্রাকের চাপায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে হালিম মিলিটারি  (৬০) নামে  অবসরপ্রাপ্ত ১ জন সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা  ১২টার দিকে জামালপুর – মাদারগঞ্জ  মহাসড়কে হাজরাবাড়ি বাজারের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা টি ঘটে। দুর্ঘটনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়।

নিহত অবসরপ্রাপ্ত  সেনা সদস্য মেলান্দহ উপজেলার চর আদিয়ারপাড়া মৃত শরীফ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। ঘটনার পর চালকও হেলপার পলাতক থাকায় বালি ভর্তি ট্রাকটি জব্দ করে স্থানীয়রা।

এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেলান্দহ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম  জানান, নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হাজরাবাড়ী বাজারে নতুন নির্মাণাধীন বাড়ীর কাজ তদারকি করার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে আসার পথে উক্ত স্থানে একটা ব্যাটারি চালিত  অটো গাড়ী অভার ট্রেকিং করার  সময় পড়ে যায় এদিকে  মাদারগঞ্জ  থেকে ছেড়ে আসা একটি বালি বোঝায় ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট- ২২-৫৮৬৯) হাজরাবাড়ী বাজার নামক স্থানে পৌঁছে পেছন থেকে এসে মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই আরোহীর মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আপাতত কোন প্রকার অভিযোগ না থাকায় আটককৃত  ট্রাকটি থানায় আনা হয়েছে এবং নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলোকিত/২৫/০৩/২০২৪/আকাশ

গাইবান্ধা র্যাব-১৩র অভিযানে সাড়ে ১৮ কেজি শুকনা গাঁজা ও ১টি ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ গ্রেফতার-১

রানা ইস্কান্দার রহমান (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি): গাইবান্ধা র‌্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে রিমি যাত্রীবাহী পরিবহনে বিশেষ কৌশলে গাঁজা পাচারকালে, সাড়ে ১৮ কেজি গাঁজা ১বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার করেছে গাইবান্ধা র‍্যাব ১৩। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের কমান্ডার মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে – একজন লোক রিমি নামক যাত্রীবাহী পরিবহনে কুড়িগ্রাম হইতে ঢাকার দিকে গাঁজা ও ফেন্সিডিল নিয়ে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে যাইতেছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন বাঁশকাটা নামক এলাকায় উপস্থিত হয়ে চেকপোষ্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে,সেখানে অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় এরশাদুল হককে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটকের সময় তার কাছ থেকে সাড়ে ১৮ কেজি শুকনা গাজা একটি ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার সকালে এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পলাশবাড়ী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরশাদুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার উত্তর ধরঞ্জয়, গ্রামের মৃত কছির উদ্দিন এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীগন দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের সাথে জড়িত অন্যান্য মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে র‍্যাবের গোপন অনুসন্ধান চলছে। ধৃত আসামীদের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলোকিত/২৫/০৩/২০২৪/আকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান

মোঃ নিশাদুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি): দেশকে ভালোবাসবো, নীতির পথে চলবো’ এই শ্লোগানকে সাথে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসের কার্যালয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আব্দুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মাসুম আলী ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান খান।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু,কসবা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে জেলার ৯টি উপজেলার ১৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে এক লক্ষ ৮ হাজার টাকা মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

আলোকিত/২৫/০৩/২০২৪/আকাশ

আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ,গণহত্যা দিবস

আলোকিত ডেস্ক:

আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী নিরপরাধ, নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। দিনটি পালনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে। ২৫ মার্চ গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া। এভাবে রাতের আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত কোনও বাহিনীর আক্রমণের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। একটা সময় গণহত্যা দিবস উপেক্ষিত হলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। জাতীয় সংসদে গৃহীত এক প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো দুরভিসন্ধি করে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করতে থাকে। বাঙালি তখন বুঝতে পেরেছিল স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। পাকিস্তানিদের নিষ্পেষণ থেকে মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ স্বাধীনতার নির্দেশনা দেন। ফলে বাঙালিদের ওপর সামরিক হামলার নীলনকশা চূড়ান্ত করে পাকিস্তানি বাহিনী। ২৫ মার্চ ছিল অসহযোগ আন্দোলনের ২৪তম দিন। সেদিন সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাংক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। এর আগেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান—‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’ যা প্রথমে ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের মিয়াওয়ালি কারাগারে বন্দি করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।  দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে একসময় গণহত্যার এই বিষয়টি চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। ১৯৭৫ সালের পর এই অপরাজনীতিতে জড়িত ছিল সামরিক-বেসামরিক আমলা, তাদের প্রতিনিধি স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও তার পাকিস্তানি দোসররা। গণহত্যার বিষয়টিকে তারা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অবলোপন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ করা হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা হবে, সর্বোপরি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে নারকীয় এবং বর্বরোচিত এই হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে অবহিত করে গণহত্যাকারী ও তার দোসরদের প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বাঙালি জাতি ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে নিহত সব শহীদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোনকে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে। গণহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৪ মার্চ রবিবার রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।

গণহত্যা দিবস ২৫ মার্চ সোমবার দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ২৪ মার্চ রবিবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিকে, মহান

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৫ মার্চ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ মার্চ-২৪ /মওম

ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করুন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রমজান মাসে দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, তার জন্য আমরা মানুষের মাঝে বিনা পয়সায় খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মী, প্রতিষ্ঠান সবাইকে আহ্বান করেছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বণ্টন করতে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তিনি বলেন, ইফতার খাওয়াটা বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। আমরা খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছি। মানুষের যাতে কোনরকম কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি। ২৫ মার্চ সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪’ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্ব মহামারির অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে, অপরদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ-স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন, আরো কঠিন অবস্থা করে দিয়েছে যে সমস্ত পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে, মূল্য বেড়ে গেছ, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্যা শুধু আমাদের না, এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা হত্যা করার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এদেশে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হবে না, সে আইন করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যারা মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, তাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল। আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমরা বিজয় অর্জন করেও, বিজয়ের কথা বলতে পারিনি।

dhakapost

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু রাষ্ট্র দেননি, বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, সেই পথরেখাও তিনি দেখিয়েছেন। আবার বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি ভারত। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ও হারানো গৌবর ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। ৭৫ পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, বিজয়ী জাতি তাদের পূর্বের কথা বলতে পারত না। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে আমার এগিয়ে যাবো। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, এটাই আমাদের নীতি।
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যে মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসেছিল, তারাও এ দেশে একাত্তরের মতোই গণহত্যা চালিয়েছিল। আমাদের সেনা অফিসারদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং এরপরে নির্বাচনী প্রহসন, দল গঠন, দল ভাঙন। নানান ধরনের খেলা ২১টি বছর আমাদের ওপর চলেছে। সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এই বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। প্রতি ঘরে ঘরে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। শিক্ষার হার বৃদ্ধি করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি, উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা স্ব-উদ্যোগে মানুষের কল্যাণ করে যাচ্ছেন, তাদের পুরস্কৃত করাই সব থেকে বড় কথা। এই পুরস্কার শুধু পুরস্কার নয়, আরো অনেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হবে, সেটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণে কাজ করা এমন আরো লোকদের বের করে পুরস্কৃত করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা আগাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীনতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। স্বাধীনতার মাসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি ঘৃণা জানাই। আর যেন এরকম না হয়। এখনও ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে, আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এই গণহত্যা বন্ধ হোক। আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।  তিনি আরো বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করায় অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। একটাই লক্ষ্য ছিল, বাবার কাছ থেকে তার স্বপ্ন জনতাম বলে সে আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। আমরা বাংলাদেশের সে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাংলাদেশে ভাগ্য পরিবর্তনে। তিনি বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন, একটি স্বাধীন জাতি। যে জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ ভূখণ্ড পাবে। স্বাধীনতার পর তিনি অল্প সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। এটা এত সহজ ছিল না। কিন্তু জাতির পিতা শেখ মুজিবের মতো নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। তিনি মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘুনে ধরা সমাজ তিনি ঢেলে সাজাবেন। তাই করেছেন। কিন্তু সেই সময়ই আসল আঘাত। স্বপরিবারে তাকে জীবন দিতে হলো। দুর্ভাগ্য আমাদের। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ মার্চ-২৪ /মওম