আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 474

নেত্রকোণায় জানাযা পড়ে ফেরার পথে হামলার শিকার

তানজিলা আক্তার রুবি:
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার শুনুই ইউনিয়নের স্বল্পশুনুই গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেবের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন শুনুই ইউনিয়নের মনসুরপুর গ্রামের   ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমন। পরে জানাযা শেষে জানাযা প্রাঙ্গনের  স্বল্পশুনুই গ্রামের স্বল্পশুনুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রাহাত বিশ্বাস পিতাঃ আক্কাস বিশ্বাস ও সোহেল পিতাঃ মৃত লালচান মিয়া স্বল্পশুনুই গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমনকে অর্তকিত হামলা করে। এসময় তার কাছ থেকে মানিব্যাগ, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অতর্কিত হামলাকারীদের উপর চরাও হলে পরে রাহাত বিশ্বাস ও তার ১০/১২জন সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায় জানাযায় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কোন মুসলমান করতে পারে না। আমাদের মানসম্মান সব নষ্ট করে দিয়েছে। এ ঘটনায় মরহুমের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এমন ন্যক্কারজনক  কাজে শুধু আমাদের পরিবারের মানসম্মান খুন্ন হয়নি গ্রামের সকল মানুষের মানসম্মান হানি হয়েছে। আজ যদি আমার বাবা মারা না যেতেন তাহলে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমন আমার বাড়িতে আসতেন না। ইমন খন্দকার আমার ভাগিনা হয়। তাই সে আমার বাবার মৃত্যুর কথা শুনে এসেছে। রাহাত এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা করবে আমি কখনো আশা করিনি। তাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক আমি চাই। এলাকাবাসী আরো জানায় আমরা গ্রামের সকল মানুষ নিয়ে বিষয়টি বসে সমাধানের জন্য একটি গ্রাম্যশালিস ডেকেছি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে এবং করব। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা রাহাত বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে  তিনি বলেন, মানিব্যাগ, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, এটিএম কার্ড, মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভূল । হাতাহাতি হয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন ছয় মাস আগে খন্দকার  ইমন তার নিজ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে বাজে পোস্ট ও কমেন্ট করে তার প্রতিবাদে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে হাতাহাতি হয় ।পরে তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। এ বিষয়ে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান জনি 

মো: মহিদ :
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জননেতা মাহাবুবুর রহমান জনি। তিনি বর্তমানে দ্বিতীয় বারের মত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও।  চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়টি তিনি তার একান্ত এক সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাধারণ জনগণের উৎসাহ অনুরোধে ও অভিভাবকসম সিনিয়র নেতাকর্মীদের পরামর্শে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।  সাধারণ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে। এই উপজেলার সকল ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা ঘাট, বাড়িঘর ও মানুষের সাথে শৈশব থেকেই আমার নিবিড় সম্পর্ক । রাজনৈতিকভাবে অনেক আগে থেকেই ইউনিয়ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও জনগনের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। অসংখ্য নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর  বিজয়ে আমরা দৃশ্যমান অবদান রেখেছি। ঘিওর উপজেলা নির্বাচনেও বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি।  মাহাবুবুর রহমান জনি ২০০৩ সনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ও সেই কমিটি ২০১০ সন পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয়। ১৯৯৫ সনে স্কুল ছাত্রবস্থায় ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন তিনি। একাধারে তিনি সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত এজিএস. জেলা ছাত্রলীগের সদস্য,  সভাপতি, জেলা আওয়ালীগের সদস্য ও  সর্বশেষ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামীলীগের চরম দুঃসময়ে ছাত্ররাজনীতিতে ত্যাগী নেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তিনি। প্রবীন এই ছাত্রনেতা ছাত্রলীগের নেতৃত্বকালীন সময়ে মামলা হামলা ও প্রশাসনিক হয়রানীর স্বিকার হয়ে ২ বার কারা বরণ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

গোপালগঞ্জে পুলিশ সুপারের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান

মোঃ শিহাব উদ্দিন:
গোপালগঞ্জে  বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে  সংবর্ধনা  দিয়েছেন  গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের আয়োজনে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডিইজি কামরুজ্জামান ও সাবেক ডিআইডি নুরুজ্জামান। রবিবার সকালে  জেলা পুলিশের আয়োজনে  গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন  হল রুমে গোপালগঞ্জের  পুলিশ সুপার  আলবেলী আফিফার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন, গোপালগঞ্জ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম বদরুদ্দোজা বদর, মুজিব বাহীনীর প্রধান   বীর মুক্তিযোদ্ধা  ইসমত কাদির গামা, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান  বীর মুক্তিযোদ্ধা  শেখ লুৎফর রহমান   বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা  আতিয়ার রহমান মুন্সী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ জাহাঙ্গির হোসেন,টুংগীপাড়া পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ তুজাম্মেল হক টুটুল। মুকসুদপুর উপজেলা কমান্ডার ফিরোজ খান, কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমিনুর রহমান তালুকদার, কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্থানীয়  বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট জন এবং জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন  উপস্থিত ছিলেন। এ সময়  বক্তারা ১৯৭১ সালের বিভিন্ন স্থানের সম্মুখ যুদ্ধের  বিস্তারিত  ঘটনা গুলো তুলে ধরেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

রমজানে মজুদদারি করলে জরিমানা নয় সরাসরি কারাগার 

মোঃ নিশাদুল ইসলাম: 

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রমজান মাসে কোনো রকমের মজুদদারি সহ্য করব না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলাধুলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। যদি কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলা করেন তাহলে কোনো জরিমানা নয়, প্রয়োজনে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে। রমজান মাসকে আমরা সবকিছু থেকে মুক্ত রাখতে চাই। ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আপনারা (বিএনপি) বহু চেষ্টা করেছিলেন নির্বাচন বানচাল করার জন্য। কিন্তু আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে যতক্ষণ আন্দোলনের কথা বলবেন, শান্তিপূর্ণভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশ করবেন, আমরা কোনো অসুবিধা করব না। কিন্তু আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস করলে, লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলে, সেটা আপনাদের জন্য মঙ্গল ডেকে আনবে না। জনগণের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজ আমরা কখনও হতে দেব না। মন্ত্রী আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বলতে চাই- আপনাদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। আমি তাদেরকে ধ্বংসের পথে যেতে দিতে পারি না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স। এসময়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী,মন্ত্রীর সহধর্মিণী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনসহ  প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

কুড়িগ্রামে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত

জি এম  রাশেদুল ইসলাম:
নানা আয়োজনে কুড়িগ্রামে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কুষ্ঠ রোগীদের সচেতন করতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডিপিুটি সিভিল সার্জন ডা: লুৎফর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা: আ ন ম গোলাম মোহাইমেন, ডা: আবু মো. জোবায়ের, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. হান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জেলা হেলথ পাবলিক নার্স ও ১৮০জন কুষ্ঠ রোগী উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা দিবসটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে সকলের সাথে সমন্বয় করে কুষ্ঠ মুক্ত কুড়িগ্রাম গড়ার আহবান জানান। আয়োজকরা জানান, ১৯৮১ সাল থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় ৫হাজার ২৬৪জন কুষ্ঠ রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সনাক্ত করা হয়েছে ২৬জন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৩০ সালে দেশের সকল পর্যায়ে জিরো লেপ্রসীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলকে মিলে কাজ করতে হবে। এসময় কুষ্ঠরোগের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে সকলকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সন্দেহজনক কুষ্ঠ রোগীকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সমূহে রেফার্ড করার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

সাগরে ভাসল বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

 

যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী ‘আইকন অব দ্য সিজ’। প্রথম যাত্রায় এতে যে–সংখ্যক যাত্রী উঠেছেন, তা ছোটখাটো একটি শহরের জনসংখ্যার সমান। ২৭ জানুয়ারি শনিবার সূর্যাস্তের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মায়ামি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। টাইটানিকের চেয়েও বড় এই প্রমোদতরী যেন সাগরের অন্তহীন নীলের মাঝে আস্ত এক মায়া নগরী। এতে আছে বিনোদনের এক অনন্য জগত। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের ‘আইকন অব দ্য সিজ’-এর দৈর্ঘ্য ৩৬৫ মিটার (১,১৯৭ ফুট)। মোট ওজন ২৫০,৮০০ টন। এই ক্রুজ জাহাজে ২০টি ডেক রয়েছে, রয়েছে ৭টি সুইমিং পুল,৬টি ওয়াটার স্লাইড। এ ছাড়াও জাহাজটির সবচেয়ে ওপরের ডেকে আছে ৪০টির বেশি বার, রেস্তোঁরা, লাউঞ্জ এবং বিনোদোনস্থল। বিশাল এই তরীতে থাকতে পারবেন ৭ হাজার ৬০০ জন যাত্রী। ২,৩৫০ জন ক্রুর আলাদাভাবে থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন এই প্রমোদতরীর সামনের দিকে আছে ‘অ্যাকোয়াডোম’। সেখানে দেখা যাবে জলপ্রপাত। আরও আছে পাঁচ ডেক উঁচু এবং খোলা সেন্ট্রাল পার্ক। তাতে আছে এক সাঁতারুর ভাস্কর্য এবং প্রচুর গাছপালা।

সাগরে ভাসল সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি‘থ্রিল আইল্যান্ড’-নামে বিশালাকার ওয়াটার পার্কও আছে এ প্রমোদতরীতে। ‘সার্ফসাইড’ নামে একটি পারিবারিক এলাকা আছে। সরাসরি সমুদ্রের দৃশ্য দেখার জন্য আছে ‘রয়্যাল প্রমেনেড’। ‘দ্য হাইডওয়ে’তে ইনফিনিটি পুলও রয়েছে। যদি যাত্রীর একঘেয়ে লাগে, তাহলে তারা হারিয়ে যেতে পারেন সুরের জগতে। প্রমোদতরিটিতে আছেন ৫০ জন সংগীতশিল্পী ও কমেডিয়ান। আছে অর্কেস্ট্রার আয়োজনও। ‘আইকন অব দ্য সিজ’ ২০০০ ফুট (৩৬৫ মিটার) দীর্ঘ। এটি তৈরিতে খরচ পড়েছে ২০০ কোটি ডলার। এটিতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রমোদতরিটি পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) চলবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, এলএনজি ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস লিক হয়ে পরিবেশ মিশে যেতে পারে। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল প্রমোদতরিটিতে বেতারতরঙ্গ ব্যবস্থায় পরিচালিত পাইরোলাইসিস প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বর্জ্যকে জ্বালানি গ্যাসে পরিণত করা হয়। জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে রিভার্স অসমোসিস ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি প্রমোদতরিটির উদ্বোধন করেন।

সাগরে ভাসল সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি

গতকাল প্রথম যাত্রার টিকিটগুলো সব আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। কোম্পানি বলেছে, টিকিটের জন্য নজিরবিহীন চাহিদা দেখা গেছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্যারিবীয় সাগরে ঘুরে বেড়ানোর পর মায়ামিতে ফিরে আসবে প্রমোদতরিটি। ‘আইকন অব দ্য সিজ’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরির খেতাব পাওয়ার আগে এ খেতাব যে জাহাজের ছিল সেটিও রয়েল ক্যারিবিয়ানেরই তৈরি। সেটির নাম ‘ওয়ান্ডার অব দ্য সিজ’।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

আপিলে স্থায়ী জামিন পেলেন ড.ইউনূস 

আলোকিত ডেস্ক:

আপিলে জামিন পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। ২৮ জানুয়ারি রবিবার সকালে শুনানি শেষে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩ মার্চ আপিল বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন। ২৮ জানুয়ারি রবিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন চেয়েছিলেন ড. ইউনূস। ড.ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ আপিল অ্যাডমিটেড হয়েছে। এ ছাড়া সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

কুখ্যাত ডাকাত সর্দার সুমন গ্রেফতার

মুহাম্মদ আরিফ:
হত্যা ও নাশকতাকতার মামলাসহ ০৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ডাকাত সর্দার মোঃ সুমন’কে হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। গ্রেফতারকৃত আসামি সুমন লক্ষীপুর জেলার একজন কুখ্যাত ডাকাত সর্দার। গত ২০১০ সাল থেকে সে ডাকাতি কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে দুইটি হত্যাকান্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়। পরবর্তীতে ডাকাতি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পরে। এ সকল অপরাধের প্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ০৭টি মামলা রুজু হয়।  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার মামলা নং-৯৩, তাং ২৩ এপ্রিল ২০১৪; জিআর নং- ৪০৫/১৪ (চন্দ্রগঞ্জ), ধারা- ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০৭/৩৩২/৩৫৩ পেনাল কোড- ১৮৬০ সহ ০৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ সুমন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে নিজ জেলা নোয়াখালী ছেড়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৭ জানুয়ারি ২৪ইং তারিখ আনুমানিক ২১১০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সুমন (৪২), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, সাং- ভীমপুর, থানা- চাটখিল, জেলা- নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, উল্লেখিত মামলাসহ সর্বমোট ০৭ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে অবস্থান করে আসছিল। উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ সুমনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানা ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি, নাশকতা এবং হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ০৭টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি ২৪/মওম

হিজড়া সম্প্রদায়ের সাথে পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কম্বল বিতরণ 

মোঃ শিহাব উদ্দিন:
গোপালগঞ্জ শহরে বসবাসকারী হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে শীতের কম্বল বিতরন করেন জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব আল-বেলী আফিফা। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনসে  অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে পুলিশ সুপার মহোদয় ফুলের তোড়ার মাধ্যমে হিজড়া সম্প্রদায়ের সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন । উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)(ক্রাইম এন্ড অপস্), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল), সহকারী পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্), অফিসার ইনচার্জ (সদর থানা) গোপালগঞ্জসহ পুলিশের অন্যান্য অফিসার -ফোর্সগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জানুয়ারি ২৪/মওম

পাথরঘাটায় বসতঘর পুড়ে ছাই 

মোঃ জিয়াউল ইসলাম: 

রাত তখন সাড়ে দশটা হঠাৎ করেই জেলে মিজানুরের বসতঘরে আগুন লেগে হারিয়ে গেল তার শেষ আশ্রয়স্থল। বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামে ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পরে ফায়ারসার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সাড়ে দশটায় লাগা আগুন প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে জ্বলতে থাকে এবং ততক্ষণে মিজানুরের ঘরের শেষ আস্ত কাঠটিও খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। আগুনের সূত্রপাতের কিভাবে হয়েছে জানতে চাইলে ঘরের মালিক জেলে মিজানুর বলেন আমি একা ঘরের মাচায় ঘুমিয়ে ছিলাম তখন হঠাৎ রান্নাঘরের ওখানে আগুন জ্বলতেছে এমনটা অনুভব করি পরে নিচে এসে দেখি আগুন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, সম্ভবত চুলার পাশে কাঠ রাখা ছিল সেই কাঠে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পরে। জেলে মিজানুর একই গ্রামের ফরিদ হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন দলু জানান আগুনের চিত্র এবং লোকজনের কোলাহল শুনে আমরা এসে দেখি আগুন পুরো ঘরে জ্বলছে সেইসাথে আমরা যে যার মতো চেষ্টা চালাচ্ছিলাম আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিন্তু পরে ফায়ারসার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কমান্ডার রুহুল কুদ্দুস জানান আমাদেরকে সাড়ে দশটার সময় ফোনে খবর দেওয়া হয় পরে প্রায় পৌনে এগারোটায় এসে একটি ইউনিটের মাধ্যমে ছয়জন ফায়ার কর্মকর্তার চেষ্টায় কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তিনি আরও জানান কাঠের ঘর হওয়ায় দ্রুত পুড়তে থাকে এবং গ্রামের রাস্তা হওয়ায় আর-ও দ্রুত আসা সম্ভব হয়নি। এদিকে আগুনে পুড়ে মিজানুর রহমানের পুরো ঘরটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে এছাড়া ঘরে থাকা সকল মালামালই পুড়ে গিয়েছে যাতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সাগরে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করা জেলে মিজানুর, এমনটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে শেষ আশ্রয়স্থলটুকু হারিয়ে অসহায় হয়ে পরা মিজানুরের পাশে দাড়িয়েছেন বরগুনা ২ সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার পরিবার। মধ্যরাতে সুলতানা নাদিরার জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারজানা সবুর রুমকি ছুটে আসেন মিজানুরের কাছে সাথে ছিলেন চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েল। তারা মিজানুরের ঘরটি দেখে মিজানুরের হাতে কিছু নগদ অর্থ সহায়তা করে এবং তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ জানুয়ারি ২৪/মওম