আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 478

উপজেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এমপি কে সংবর্ধনা

নাজমুল হাসান:

দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসন এর কর্মরত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নবাগত স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হল রুমে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সংসদীয়- ২৫২ নং, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের মাননীয় নবাগত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি এবং জনগণ আমার মূল শক্তি। আমি জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমি দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য আমার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমি সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো, দূর্নীতি, সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, মাদক, বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরুদ্ধে তা দমনে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। যদি কেউ যেকোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়, আমাকে জানানো হলে আমি অবশ্যই তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার সার্কেল এসপি- শাহ মুস্তফা তাইয়েফুজ্জামান, দেবিদ্বার থানা ইনচার্জ মো.নয়ন মিয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আলী এহসান, উপজেলা স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাননীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মী এবং জনগণের কাছ থেকে একটি সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ, চাঁদাবাজ, মাদক মুক্ত মডেল দেবিদ্বার গড়ার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ জানুয়ারি ২৪/মওম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার উসমানসহ গ্রেফতার ৩

আবু সায়েম :
উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড়। ক্যাম্প থেকে অনুমানিক ৫ কিলোমিটার গহীনে নিরাপদ আস্তানা তৈরি করেছে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আরসার সন্ত্রাসীরা। চারপাশ সবুজ হলেও এ পাহাড়ের নাম লাল পাহাড়। যেখানে ভয়ে সহজে কেউ যায় না। আর সেই পাহাড়ে দিনে অবস্থান করে রাতে ক্যাম্পে এসে নাশকতা, হত্যার মিশন বাস্তবান করে থাকে ‘আরসা’। সেই লাল পাহাড়ের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দেশীয়  ২২টি  অস্ত্র, ৪টি হাত বোমা , ককটেল  তৈরির সরঞ্জাম, একে ৪৭ সহ বিভিন্ন অস্ত্রের ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব ১৫। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার ৩ সন্ত্রাসীকে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো: উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মগবাগি উসমান(৩০),  এফসিএন আব্দুল সালামের পুত্র মোঃ নেছার (৩৩), এবং উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের  কামাল হোসেনের পুত্র ইমাম হোসেন (২২)।গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিরা  বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা ও আরসার নানা দায়িত্ব প্রাপ্ত। লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, লাল পাহাড়ে আরসা সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে বিশেষ  অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু র‌্যাবের উপস্থিতি  টের পেয়ে পালিয়ে যায় অনেকেই। আভিযানিক দল  ধাওয়া দিয়ে  উসমান, নেছার ও ইমানকে আটক করেন । আর আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি বিদেশি ২২ টি অস্ত্র, ১০০ রাউন্ড গুলি, ৪টি হাত বোমা , হাত বোমা  তৈরির সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ। তিনি জানান, আরসার শীর্ষ গান কমান্ডার উসমান, মাইন তৈরিতে পারদর্শী নেছার ও গুলি চালাতে পারদর্শী ইমান। তিনজনই দিনে অবস্থান করে লাল পাহাড়ের আস্তানায়। যেখান রয়েছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাইন। যা নিয়ে রাতে ক্যাম্পে হামলা করে বলে স্বীকার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ল’ এন্ড মিডিয়া মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান,আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নির্দেশে ক্যাম্পে গড়ে তোলা হয় ১২টি গান গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে নাশকতা করছে। এব্যাপারে মামলা করে গ্রেপ্তারদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। র‌্যাব জানায়,গেলো বছর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলো থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি বিদেশি রিভলবার,৬ টি ওয়ানশুটারগান, ১৬ টি এলজি, ১ টি শর্টগান,৬ টি এসবিবিএল,৬৯ রাউন্ড গুলি,৩ রাউন্ড খালি খোসা,৫১.৭১ কেজি বিস্ফোরক এবং ২৮ টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সৃষ্ট এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের  সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১৫।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

কাশিমপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত 

মোত্তাসিম সিকদার রাজীব:
গাজীপুরের কাশিমপুরে দক্ষিণ পানিশাইল পলাশ হাউজিং এলাকায় সরকারি খাস খতিয়ানের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ০৪ টি নির্মাণধীন বাড়ি ও সীমানা প্রাচীর বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টঙ্গী সার্কেল এর সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ মাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি এর নেতৃত্বে এ সব দখলকৃত জমি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মহানগরীর কাশিমপুরের দক্ষিণ পানিশাইল মৌজার ০১ নং খতিয়ানের এস.এ ১১৬ ও আর.এস ২৯১ নং দাগে ৭২ শতাংশ জমি কিছু প্রভাবশালী মহল দখল করে প্লট আকারে কিছু জমি  বিক্রিও করে দিয়েছেন। বাকী অংশে নিজেরাও ঘর বাড়ী নির্মাণ করছিলেন।সেখানে সীমানা প্রাচীরও দিয়েছেন তাঁরা।আজ(২৫ জানুয়ারি টঙ্গী সার্কেল(ভূমি)এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উচ্ছেদ অভিযান কালে উপস্থিত ছিলেন কাশিমপুর ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেনসহ স্হানীয় এলাকাবাসী এবং ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যবৃন্দরা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে খেজুর গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ

মো: মহিদ:
মানিকগঞ্জে খেজুর গাছ থেকে তৈরি ঐতিহ্যবাহী হাজরী গুড় আধুনিকায়নের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে। হাজারী গুড়ের ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য জেলা প্রশাসক এর উদ্যোগে পাঁচ লাখ খেজুরের চারা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি জায়গায় দেশীয় উন্নত জাতের চারা রোপণ করে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জ কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬শত খেজুরের চারা রোপণ ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শুক্লা সরকার,কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আসমা-উল হুসনা সহ অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। এসময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, নানা কারণে মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাজারি খেজুরের গুড় সংকট তৈরি হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, আমরা আজ কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারা রোপণ ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেছি। আমরা জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও চারা রোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। উন্নত জাতের চারা রোপণের মাধ্যমে হরিরামপুরের খেজুর গাছের রসের তেরি হাজারী গুড়ের যে ঐতিহ্য সেটা আবারও ফিরে আসবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

মাজেদুলের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যে অসহায় সাধারণ মানুষ 

মাজেদুল ইসলাম সবুজ:
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের হিসাব সহকারি মাজেদুল ইসলাম ( ভুমি)। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার দায়িত্বে থেকে ঘুষ, দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানাযায়। তার রয়েছে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী দালালচক্র। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে কেউ সাহস পাচ্ছে না এরই মধ্যে সৎ সাহসী সাংবাদিক সাইমন রাজু দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ বিগত ২০-১১-২৩ ইংরেজি তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে হিসাব সহকারী মাজেদুলের ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য দৈনিক গণ তদন্ত পত্রিকা অফিসে দিলে সম্পাদক সাহেব সাংবাদিক মোঃ হাসমত মিয়া কে অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্যতা উদঘাটনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করে এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক সহ হাসমত মিয়া সন্ধানের স্বার্থে মাজেদুল ইসলামের কাছে তাহার অফিস কক্ষে দেখা করে বিস্তারিত জানতে চাইলে মাজেদুল ইসলাম হাসমত মিয়াকে জানায়, আপনারা ভুয়া পত্রিকার ভুয়া সাংবাদিক, আমার কাছে আসছেন কেনো। আমি অনুসন্ধানে কোনো প্রকার সহাতা করতে বাধ্য নয়। এসব বিষয় নিয়ে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় সাংবাদিক হাসমত মিয়া বিগত ১৪ – ০১- ২০২৪ ইংরেজি তারিখে মাজেদুল ইসলাম বরাবর একটি লিগাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পেয়ে মাজেদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে তার লালিত পালিত অজ্ঞাত নামা ৪/ ৫ জন গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হাসমত মিয়া সহ সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এদের পথ রোধ করে মাজেদুলের লিগ্যাল নোটিশ সহ অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য সাংবাদিক হাসমত মিয়াকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ সহ প্রাণ নাসের হুমকি দিলে ঐ দিনই ২১/০১/২০২৪ ইংরেজি তারিখ সাংবাদিক হাসমত মিয়া মিরপুর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করে যার নং ১৭৬৬। হিসাব সহকারী মাজেদুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরির সংবাদ পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক হাসমত মিয়া ২৪/০১/২০২৪ ইংরেজি তারিখ জাতীয় গৃহায়ন কতৃপক্ষ প্রধান কার্যালয় গেলে হিসাব সহকারী মাজেদুল ইসলাম ক্যান্টিনের পাশে হাসমত মিয়াকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি এবং মার ধর সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। বিষয় টি সাংবাদিক হাসমত মিয়া তাৎক্ষণিক সম্পাদক সাহেবকে অবহিত করে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের হিসাব সহকারী মাজেদুল ইসলামের ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের রামরাজত্ব কায়েম করে আসছে। তার বিষয়ে কেউ মুখ খুললে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী কর্মকর্তা জানায়। বতমানে সাংবাদিক হাসমত মিয়া তার জান মাল এবং পরিবারবর্গ নিয়ে হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানায় সাংবাদিক হাসমত মিয়া । বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে হাসমত মিয়া
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

নাগরপুরে নিজ জমিতে ৮০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করেছেন আবুল কাশেম

প্রতিনিধি, নাগরপুর :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধুবড়িয়া ইউনিয়নে নিজ জমি এবং অর্থায়নে প্রায় ৮০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করেছেন মসজিদ ইমাম হাফেজ মো.আবুল কাশেম। দুটি গ্রামের (চকগদাধর-ধুনাইল) সংযোগ সড়ক না থাকায় তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। গুরুত্ব বিবেচনায় ধুনাইল স্কুল-মাদ্রাসা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নে সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে এই সড়ক। প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষের যাতায়াতের এই সড়ক দীর্ঘ সময় যাবৎ অবহেলায় পড়েছিলো। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিজস্ব জমি থেকে মাটি কেটে গর্ত ভরাট করে সড়ক উঁচু করা ও নিজ জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছেন আবুল কাশেম। চকগদাধর দক্ষিণপাড়া মসজিদ ইমাম হাফেজ মো.আবুল কাশেম বলেন,দীর্ঘ সময় ধরে এখানে সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দুর্ভোগ বিবেচনায় এখানে আমি উদ্যোগ নিয়ে নিজ জমি এবং অর্থায়নে সড়ক নির্মাণ করেছি। এর আগে আমি সরকারি বরাদ্দ (টি আর) পেয়েছি যেটার সম্পূর্ণ কাজ করেছি কিন্তু সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অপরদিকে, ধুনাইলে একটি সরকারি বরাদ্দ আসলেও কাজ না হওয়ায় সড়কটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। আমরা আশাবাদী দ্রুত এখানে দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মিত হবে। উল্লেখ্য, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের চকগদাধর দক্ষিণপাড়া এলাকাটি দপ্তিয়র-ভাদ্রা ইউনিয়নের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে।  শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে এই সড়ক ব্যবহার করে এবং এলাকাবাসী হাট-বাজারে যাতায়াত করে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউএনডিপি

আলোকিত ডেস্ক:

পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পক্ষ থেকে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন যাত্রা এবং জাতিকে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করছি।’ স্টেইনার বলেন, ইউএনডিপির নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের নতুন ভূমিকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি শুধু আপনার দেশের উন্নয়ন অর্জনের স্বীকৃতিই নয় বরং বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা গঠনের জন্য একটি অমূল্য সুযোগও উপস্থাপন করে।’ বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্পের অর্জনসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের আকাঙক্ষা অর্জনে আপনার সরকারকে সমর্থন করার জন্য ইউএনডিপি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’

খবর বাসস:

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

মালিতে সোনার খনি ধসে ৭৩ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফ্রিকার দেশ মালিতে সোনার খনির ধসে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। খনির টানেল ধসে পড়ে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ২০০ জনেরও বেশি শ্রমিক ছিলেন। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বিবিসি ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে। সোনার খনির স্থানীয় কর্মকর্তা ওমার সিদিবে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, প্রচণ্ড শব্দের পর টানেলে এ ধস শুরু হয়। পৃথিবী তখন কাঁপতে শুরু করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো শুক্রবার মালির দক্ষিণ-পশ্চিম কাউলিকোরো অঞ্চলের একটি স্থানে ওই সুড়ঙ্গটি ধসে পড়লেও, এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে মৃতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে স্বর্ণ খনির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, টানেল ধসে ৭০ জনেরও বেশি শ্রমিক মারা গেছে। সোনার খনিতে ২০০ জনেরও বেশি শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। তাদের অনুসন্ধানকাজও এখন শেষ হয়েছে। আমরা ৭৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। দেশটির খনিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বে কুলিবালি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অস্থায়ী পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি। মালির সরকার নিহতদের শোক সন্তপ্ত পরিবার এবং মালিয়ান জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। এ ছাড়া খনির এলাকার কাছাকাছি বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলোকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা মেনে চলতে এবং শুধু সোনার প্যানিং এলাকায় কাজ করতে বলেছে দেশটির সরকার। মালিতে খনির দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। কারণ সোনা খননের জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করে শ্রমিকরা।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি ২৪/মওম

গাইবান্ধায় উন্নত জাতের ঘাস চাষে সম্ভাবনার মুখ দেখছেন কৃষক ও খামারীরা

জোবায়দুর রহমান জুয়েল:
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ছোট-বড় সব মিলিয়ে গাইবান্ধা জেলায় গরুর খামার রয়েছে ১০৬০২ টি, ছাগল ৪৮৬৮টি ভেড়ার ৫৮৩টি । এসব গবাদি পশুর খামারগুলোতে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে কৃষক ও খামারিরা ঝুকে পড়েছেন উন্নত জাতের ঘাস চাষে। খড়ের বিকল্প ও পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় গরু-ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশুকে খাদ্য হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ঘাস। খড়ের দামের তুলনায় এই ঘাস সাশ্রয়ী এবং উৎপাদন সহজ হওয়ায় ঘাস চাষে সম্ভাবনার মুখ দেখছেন খামারিরা। আবার অনেকেই এই ঘাস চাষ করে হচ্ছেন আত্মনির্ভরশীল। গাইবান্ধা সদর,সুন্দরগঞ্জ ,সাদুল্ল্যাপুর,পলাশবাড়ী,ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার  বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,পতিত জমি এবং বাড়ির আশপাশে ও রাস্তা ঢালু জায়গাতেও ঘাস চাষ হচ্ছে ব্যাপক হারে। অপরদিকে অনেক খামারিদের দাবি গোখাদ্য হিসেবে আগে ধানের খড় ব্যাবহার করা হত, বর্তমানে ধানের খড়ের দাম অনেক বেশি। এতে করে দুধ বা মাংস উৎপাদনে খরচ বেশি হয়। এখন তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরামর্শ ও সহযোগীতায় উন্নত জাতের সুপার নেপিয়ার, পাকচং ও হোয়াইট জার্মান ঘাসের চাষাবাদ করছে। এতে করে গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদা মিটিয়েও ঘাস বাজারজাত করে হচ্ছে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। সদর উপজেলার পশ্চিম রাধা কৃষ্ণ পুর এলাকার খামারি শ্রী কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন তার খামারে ৯টি গরুর জন্য ১০ শতাংশ জমিতে ঘাস চাষাবাদ করছেন ও তরফকাল গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ৫০শতাংশ জমিতে ঘাস চাষ করে তার নিজের গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য। তিনি বলেন নিজের খামারে নিজের ঘাস না থাকলে কি চলে ,আমি নিজের খামারের ঘাসের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত ঘাস বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছি। সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের  মোছাঃ নাজমা বেগম ৫২ শতাংশ জমি নিয়ে নেপিয়ার পাকচং-১ ঘাস লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে করে তার ৭টি গরুর প্রতিদিনের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। তাকে গরুর জন্য অন্য কোনো ঘাসের চিন্তা করতে হচ্ছে না। আবার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্ৰামের খামারি মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন আমার খামারে ৩১টি গরু আছে আমি ৪৬ শতাংশ  জমিতে নেপিয়ার ঘাস লাগিয়েছেন। তিনি আরো ১বিঘা জমি ঘাস লাগাবেন বলে জানিয়েছেন। ফুলছড়ি উপজেলা উদাখালি ইউনিয়নে উদাখালি গ্ৰামের খামারি মোছাঃ আজিরন বেগম বলেন আমার ঘরের ৪টি গরু আছে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে ১০ শতাংশ জমিতে নিপিয়ার পাকচং-১ ঘাস লাগাই এই ঘাস লাগাইতে খরচ খুবই কম। এই ঘাস মিষ্টি বেশি হওয়ায় গাভির দুধও বেশি হয়। এই ঘাস  চাষের জন্য বীজ বোনা এবং চারা লাগানো যায়। বীজ বুনলে দেড় মাস এবং চারা লাগালে এক মাসের মধ্যে ঘাস বড় হয়ে যায়। প্রতিমাসে অল্প ফসফেট, পটাশ এবং ইউরিয়া সার দিতে হয়। মাঝে মধ্যে একটু সেচও দিতে হয়। তিনি আরো বলেন, এই ঘাস চাষ করে গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর পাশাপাশি জমি থেকে ঘাস বিক্রিও করছি। ঘাসের টাকায় সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ, জমির সার-কীটনাশক কেনার জন্য আগের মতো কষ্ট করতে হয় না।গ্রামের অনেকেই ঘাস চাষ করে লাভবান হয়েছেন। গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নেপিয়ার পাকচং-১ ঘাসের চাহিদা অনেক বেশি।  ঘাস একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। একবার লাগালে কয়েক বছর ধরে ঘাস পাওয়া যায়। অন্য ফসলের মতো নেপিয়ার ঘাসের পরিচর্যা তেমন একটা করতে হয় না। সময়মতো সেচ আর সামান্য সার দিলেই ভালো ফলন হয়। অনেক কৃষক এবং খামারি এখন নেপিয়ার পাকচং-১ ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মাহফুজুর রহমান বলেন,গাইবান্ধা জেলায় মোট ঘাস চাষীর সংখ্যা ২৮৭০, ঘাস চাষে জমির পরিমাণ ৭২৪.৯০ একর, বাৎসরিক ঘাস উৎপাদন ৪৪১২৭.৭৬ মে.টন। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত চাষী ৮৫৩ জন। তিনি আরো বলেন কৃষক ও খামারিদের ঘাস চাষে প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ জানুয়ারি ২৪/মওম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কম্বল বিতরণ

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান আনছারীর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ২৪জানুয়ারি বুধবার সকালে শহরের পূর্ব পাইকপাড়া হুমায়ুন কবির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক বাবু স্বপন কুমার রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেলসহ  প্রমুখ।  ৮ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।