তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি বর্তমান সরকারের কানে দেশের সবার দাবি পৌঁছায় কিন্তু আমাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি বাসীর দাবি কেন জানি তাদের তাদের কানে পৌঁছায় না বলে আমি আমি মনে করি। এই ব্যাপারে তারা দেখেও দেখছে না, শুনেও শুনছে না।
বৃষ্টি যানজটে নাকাল চট্টগ্রামের জনজীবন
নবীনগর উপজেলার মানিকনগরে ৬-কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-৩
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে: এরদোয়ান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দখলদার ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তিনি ১৮ জুন বুধবার ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বলেন, “নিজেদের আত্মরক্ষায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং গুণ্ডামির বিরুদ্ধে এটি ইরানের খুবই স্বাভাবিক, বৈধ এবং আইনি অধিকার।” এর আগে গতকাল দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে এরদোয়ান বলেন, নেতানিয়াহু এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
তার্কিস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধী’ নেতানিয়াহু যে গণহত্যা চালিয়েছেন, এরমাধ্যমে তিনি জার্মান নাৎসি নেতা এডলফ হিটলারকে ছাড়িয়ে গেছেন। এরদোয়ান এর আগেও কয়েকবার নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম
রাজশাহীর বাঘায় আমের দামের থেকে কুরিয়ার চার্জ বেশি!
এই ধরনের মূর্খ উপদেষ্টা দেশের ইতিহাসে কেউ কোনোদিন দেখেনি : ইশরাক
কীভাবে আমাদের এই আন্দোলনকে দমানো যায়, বিতর্কিত করা যায় এবং জনগণের সামনে ভুলভাবে আমাদের কার্যক্রমকে উপস্থাপন করা যায় সেই চেষ্টায় তারা লিপ্ত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে নিয়ে তিনি বলেছেন,‘বর্তমান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাও ক্রমাগত মিথ্যাচার করেছে আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে। তিনি বারেবারে বলেছে, এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে, সাব জুটিস ম্যাটার রয়েছে ও অন্যান্য কথা বলেছে। অথচ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে এই জিনিসটা বহু আগেই মীমাংসা হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও তাতে যোগ দেয়। মাঝে ঈদ ঘিরে ছুটির কদিন নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনে পাওয়া যায়নি। ঈদের ছুটির শেষে অফিস খোলার প্রথম দিন রোববার ফের সেখানে আন্দোলন শুরু করেন ইশরাক সমর্থকরা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
এই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কে? যাকে হত্যা করতে চায় ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার সংঘাত যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুজনেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে খামেনির ওপর যদি সরাসরি হামলা চালানো হয়, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এক বিপজ্জনক সংকটে ঠেলে দিতে পারে।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। গত প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং আন্দোলন দমন করেছেন।
সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং কুদস ফোর্স–এর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন। এই কুদস ফোর্সই হামাস, হেজবুল্লাহ এবং হুথি বিদ্রোহীদের মতো প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।
খামেনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৯ সালে ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে। তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি’র শিষ্য, যিনি ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটির প্রো-ওয়েস্ট রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করেন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে খামেনি একটি হামলার শিকার হন, যাতে তার ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যায়। খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পর থেকে খামেনি ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মনোযোগ দেন। অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একাধিক মিত্র গোষ্ঠী গড়ে তোলেন যা লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই দীর্ঘ সময় ইরান সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও, সব কিছু বদলে যায় যখন ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়।
এর পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ, হেজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরানের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে সহজ লক্ষ্যবস্তু বলে অভিহিত করেছেন। এই মন্তব্য কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং একটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সংকেতও বহন করে।
একজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত যে কতটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। এই মুহূর্তে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির কেন্দ্রে।
সূত্র: সিএনএন
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম
অবশেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যোগ দিলো জামায়াত
আলোকিত ডেস্ক:
অবশেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল। ১৮ জুন বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের এ সংলাপ শুরু হয়।
এর আগে ১৭ জুন মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর কোনও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেননি। এ নিয়ে দিনভর বিভিন্ন কানাঘুষা চলে। কোনও কোনও গণমাধ্যম এটিকে বয়কট বলে আখ্যায়িত করে। আবার সেখানে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা একে লন্ডনে তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার যৌথ বিবৃতির কারণ বলে ইঙ্গিত করেন।
যদিও শেষ বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বুধবার জামায়াতের প্রতিনিধি সংলাপে যোগ দেবেন।
আজকের বৈঠকে দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন– নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
আজ জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল-এনসিসি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠকের শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির কাজ শেষ করতে চান বলে জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম
ইরানে হামলার মাধ্যমে বিশ্বকে ‘পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের’ দিকে ঠেলছে ইসরায়েল : রাশিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানে হামলার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি বিশ্বকে ‘পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের’ দিকেও ঠেলে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদি রাষ্ট্র।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্পে ইসরায়েলের চলমান ব্যাপক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোন থেকে অবৈধ। এতে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অগ্রহণযোগ্য হুমকি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে বিশ্বকে পারমাণবিক মহাবিপর্যয়ের দিকেও ঠেলে দিচ্ছে এ হামলা।“
“আমরা ইসরায়েলের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে হুঁশে ফিরে আসুন এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বন্ধ করুন।”
ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার এই সংঘাতের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দোষারোপ করা হয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, “ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ নিয়ে সম্প্রতি আইএইএ যে রেজোল্যুশন দিয়েছে, সেটি ছিল পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট এবং ইরানের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ। ইসরায়েলের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আইএইএ-কে ব্যবহার করছে এবং আইএইএ-এর রেজোল্যুশনই ইসরায়েলকে ইরানে হামলা চালানো অজুহাত তুলে দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, তেহরান বার বারই বলে আসছে যে তার পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। তবে সপ্তাহে আইএইএ এক রেজোল্যুশনে বলেছিল যে ১৯৭০ সালে জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র বিরোধী (এনপিটি) যে চুক্তি করেছিল ইরান, তা লঙ্ঘন করেছে দেশটি। আইএইএ এই রেজোল্যুশন দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ইরানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
গত ১৩ জুন ভোর সাড়ে চার টা থেকে ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। জবাবে সেদিন থেকেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা শুরু করে ইরানের সামরিক বাহিনী।
দুই দেশের সংঘাত শুরুর পর মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, তবে ইসরায়েল তাতে আগ্রহ দেখায়নি।
সূত্র : আরটি
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম
এসএসএফের কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি: প্রধান উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিশেষ করে, গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন এবং সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে।
১৮ জুন বুধবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসএসএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী, তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এই বাহিনী আমার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, এসএসএফ একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা আমার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে বিদেশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। আমি এসএসএফ-এর সার্বিক পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্ট। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি সকল সদস্যকে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি কক্সবাজার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরগুলো সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের রাষ্ট্রীয় সফরের সামগ্রিক নিরাপত্তা এই বাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা হুমকির ধরন এবং প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসএসএফ সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এসএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। সম্প্রতি এসএসএফ যমুনার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করেছে। এসএসএফ একইভাবে এই কার্যালয়েরও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করবে। এসএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত মনোবলের সন্নিবেশে দিন দিন আরো উন্নতি সাধন করবে।
নিরাপত্তার খাতিরে এসএসএফকে বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে হয়, যা অনেক সময় জনভোগান্তি সৃষ্টি করে থাকে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি এসএসএফকে যতটুকু সম্ভব জনভোগান্তি পরিহার করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। অতীতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি ফ্লাইটের জন্য প্রায় ১ ঘণ্টা সব ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ থাকত। এতে অনেক ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হত। আমি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছি। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘব হবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মনে করি জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে এসএসএফ তার উপর অর্পিত সব দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করবে।
এসএসএফ-এর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সরঞ্জামের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাহিনীর অভিযানিক কার্যক্রম আরো বেগবান ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামের ব্যবহার এবং দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই এসএসএফ তাদের ১২ বছরের পুরোনো ভিএইচএফ রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম পরিবর্তন করে সর্বশেষ মডেলের ইউএইচএফ রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম সংযোজন করবে, যা তাদের অভিযানিক কার্যক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, এসএসএফ এর অত্যাধুনিক ইনডোর ফ্লাইট ফায়ারিং রেঞ্জ-এর কাজ প্রায় সমাপ্ত ও আগামী মাস থেকে এটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এসএসএফকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, পিজিআর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর নির্ভর করতে হয়। তাই আমি আশা করব এসএসএফ সব সহযোগী বাহিনী ও সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং নিবিড় যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
এসএসএফকে একটি অত্যাধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে চৌকস অফিসার নির্বাচন এবং পাঠানোয় আমি সব বাহিনী প্রধানদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে এসএসএফকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
‘এসএসএফ সদস্যরা রাষ্ট্রঘোষিত ভিআইপিদের নিরাপত্তা দিতে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা, উন্নত শৃঙ্খলা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং মানবিক গুণাবলীর বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং সব ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলে, সুযোগ্য নেতৃত্ব, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ-এর উত্তরোত্তর উন্নতি অব্যাহত থাকবে। আপনাদের ও পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণময় জীবন কামনা করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম