আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 51

সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ডা. জোবাইদা রহমান!

আলোকিত ডেস্ক : সরকারি চাকরি ফিরে পেতে যাচ্ছেন জিয়া পরিবারের সদস্য ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। সব প্রক্রিয়া শেষে দু-একদিনের মধ্যে আদেশ জারি করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ২০১৩ সালে দেশে ফিরে নিজ কর্মস্থলে যোগদান না করায় বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তার চাকরির অবসান হয়।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান গতকালই (মঙ্গলবার) দেশে ফিরেছেন। তিনি সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন আছে। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দু-একদিনের মধ্যে আদেশ জারি করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ডা. জোবাইদা রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক (এমবিবিএস) সম্পন্ন করে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর (এমএসসি) ডিগ্রি নেন। চিকিৎসকদের সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৯৫ সালে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তবে ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডনে চলে যান তিনি।

এরপর ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী দেশে ফেরত আসতে না পারায় চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে চলে যান যুক্তরাজ্যে। তার পরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অপতৎপরতার কারণে আর দেশে ফেরা হয়নি তার। দীর্ঘ ১৭ বছর পর অবশেষে মঙ্গলবার সকালে তিনি শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে এসেছেন। দেশে ফিরে ডা. জোবাইদা রহমান তার বাবার ধানমন্ডির বাসায় থাকবেন। এজন্য ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডে তার বাবার বাড়ি মাহবুব ভবনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রথম দফায় ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন ডা. জোবাইদা রহমান। সরকারি চাকরিতে এ ধরনের ছুটির আবেদনকে ‘অসাধারণ ছুটি’ বলা হয়। আর এ ধরনের ছুটি মঞ্জুর করে থাকেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব। তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ন কবীর দুইবারই ডা. জোবাইদার ছুটির আবেদন নাকচ করেন। ছুটির আবেদন নাকচ হলেও রহস্যজনক কারণে দেরিতে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা।

জানা গেছে, প্রথম দফায় স্বাস্থ্য সচিব ছুটির আবেদন নাকচ করেন ২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অফিস আদেশ জারি করে এর একমাস পর ৯ মার্চে। দ্বিতীয় দফায় ছুটির আবেদন নাকচ হয় একই বছরের ১২ জুলাই অথচ অফিস আদেশ জারি হয় ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। আবার এসব অফিস আদেশ জারি করা হলেও অদৃশ্য কারণে তা যুক্তরাজ্যে ডা. জোবাইদা রহমানের কাছে বা বাংলাদেশে তার স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বা তিনি রিসিভ করেছেন এমন কোনো রেকর্ড সংশ্লিষ্ট শাখায় নেই বলে জানা গেছে।

এছাড়াও ছুটির আবেদনে নিয়ম অনুযায়ী, এ জাতীয় ছুটির কারণ ও ছুটির আবেদনকারী কর্মকর্তার বিদেশে অবস্থানের ঠিকানা থাকতে হয়। কিন্তু ডা. জোবাইদার আবেদনে এ দুটোর কোনোটিই উল্লেখ ছিল না বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী অসাধারণ ছুটির মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি হতে পারবে না। ছুটি বিধিমালা ৯ (৩) অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে যেকোনো ছুটি অনুমোদন করতে পারে। অন্য দিকে ছুটি বিধিমালার অধ্যয়ন ছুটি সংক্রান্ত এফ আর-৮৪ এর নিরীক্ষা নির্দেশনার (গ) তে বলা হয়েছে : ‘এই প্রকার ছুটির মেয়াদ সাধারণভাবে ১২ মাস। তবে বিশেষ কারণে সর্বোচ্চ ২৪ মাস পর্যন্ত এই প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। কোর্সের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হইলে আরো ৪ মাস অর্জিত ছুটি এবং ৩২ মাস অসাধারণ ছুটি প্রদান করা যাইবে। অর্থাৎ অধ্যয়নের প্রয়োজনে ৫ বছর ছুটি প্রদান করা যাইতে পারে। ইহার অতিরিক্ত অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে বিএসআর পার্ট-১ এর ৩৪ নং বিধির আওতায় চাকরির অবসান হইবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও জোবাইদা রহমানের মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় একটি মামলা করে দুদক। ভারতে পালিয়ে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় ওই মামলায় জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া ওই সাজা আদালত স্থগিত করে দেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে ৩টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের জরুরি অবস্থা ঘোষণা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

আলোকিত ডেস্ক : পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এলো এমন ঘোষণা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (৭ মে) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এছাড়া, হাসপাতালসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের হামলার নিন্দা জানান মরিয়ম নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, জনগণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত হয়তো এটা (হামলা) শুরু করেছে, কিন্তু আমরা এটা শেষ করব।

পাকিস্তান শান্তি চায় উল্লেখ করে মরিয়ম নওয়াজ শরিফ বলেন, আমরা শান্তি চাই, তবে সেটা সম্মানের সঙ্গে। যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়, তবে পুরো দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিতে পরিণত হবে।

পাঞ্জাবের এ মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফেরত আসতে বলা হচ্ছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত।

এদিকে, ভারত সরকার দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তানের নয়টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং কোনও ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না।

এসব হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের পাঁচটি আকাশযান, যার মধ্যে রয়েছে– তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা মামুনকে নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ 

মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ; চট্টগ্রাম: এবার কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ চলছে। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই ভীড় করছেন তার বাড়িতেও।  নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। এজন্য কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এই সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতাকে নিয়ে নেতা-কর্মীরা আনন্দ- উল্লাস প্রকাশ করছেন। রীতিমত ওই খবরে তার অনুগতদের মধ্যে আনন্দের বন্যা চলছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সদ্য ঘোষিত নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন। গতকাল থেকেই এই খবর ছড়িয়ে পড়লে  উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতা-কর্মীরা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে অনেকেই উচ্ছাস প্রকাশ করছেন। আবার অনেকেই বসুরহাট পৌরসভায় অবস্থিত তার  বাড়িতেও ফুলেল  শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে যাচ্ছেন। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ জেলার নেতৃবৃন্দের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে আগামীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের তিনি পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
এরই মধ্যে কেউ কেউ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক করার জন্য কেন্দ্রীয় এবং জেলার নেতৃবৃন্দের প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা মনে করেন, এই কারা নির্যাতিত নেতা  উপজেলা পর্যায়ে দলের দায়িত্ব পেলে দলের অবস্থান আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় শক্তিশালী হবে। নেতা কর্মীরাও মূল্যায়ন পাবেন। বুধবার সকালে মুঠোফোনে আব্দুল্লাহ আল মামুন এই প্রতিনিধিকে বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে আগে যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে ছিলাম; ভবিষ্যতেও থাকবো। শুধু সবার দোয়া এবং ভালোবাসা  চাই।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে বিক্ষোভ

উজ্জ্বল আহমেদ -বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোনের ছেলে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা নীলফামারী। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারান্তরীণ তুহিনের মুক্তির দাবিতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল মিটিং ও সমাবেশ করে আসছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার তার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলের সমর্থনে সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে শতশত নেতাকর্মী ব্যানার, ফেষ্টুন ও প্ল্যাকাট নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমবেত হন।
এখান থেকেই দুপুরে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর একটি বিশাল মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার, সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলম, সহ-সভাপতি মুক্তার হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুব উর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ময়নুল ইসলাম, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সোয়েম। বক্তারা বলেন, তুহিন ভাই শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য। সাবেক সংসদ সদস্য এবং নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। তার হাত ধরেই এগিয়েছে নীলফামারী। রাজনৈতিক আক্রোশে তিনি আজ নির্যাতিত। সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস বরাবর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন বিএনপি নেতারা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি হেনরী!

আলোকিত ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ কলেজ ছাত্র আসিফ হোসাইন (১৯) হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর চারদিনের দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এ সময় কলেজ ছাত্র আসিফ হত্যা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে বিচারক কে. এম শাহরিয়ার বাপ্পি সাবেক এ এমপির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি বলেন, পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে জান্নাত আরা হেনরীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই মামলায় জান্নাত আরা হেনরী এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে জান্নাত আরা হেনরীসহ আওয়ামী লীগের ৭৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি একটি মামলা করা হয়। শহিদ কলেজ ছাত্র আসিফ হোসাইনের মা আসমানী খাতুন বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়ও রয়েছেন।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র আসিফ হোসাইনের লাশ সিরাজগঞ্জের শহিদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়। লাশ শনাক্তের জন্য পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। আসিফের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় চলতি বছরের ৪ মার্চ তার পরিবারের কাছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি 

মায়ের কাছে হাসপাতালে যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা রহমান

আলোকিত ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান আজ সন্ধ্যায় গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখার উদ্দেশে রওনা হন।
৬ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ডা. জুবাইদা রহমান গুলশানে তার শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ছিলেন, তার গাড়ি নিয়ে বাসভবন ‘ফিরোজা’ ত্যাগ করেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করে তার বাবার ধানমন্ডির বাসায় যাবেন।
বিকালে বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, ডাক্তার জুবাইদা রহমান তার মাকে দেখতে হসপিটালে যাবেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর সকালে কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পৌছান তিনি। দুপুর একটা ১৫ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন তারা।

আলোকিত প্রতিদিন/৬মে ২০২৫/মওম

পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল ১৫ কেজির পাঙ্গাশ

মো: মহিদ:
মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৫ কেজি ওজনের এক বিশাল পাঙ্গাশ মাছ।  ৫ মে সোমবার গভীর রাতে শিবালয় উপজেলার পদ্মা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে জামাল প্রামানিক ও রতন হালদারের বেড় জালে।
সকালে মাছটি নিয়ে যাওয়া হয় হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক মাছের আড়তে। সেখানে স্থানীয়দের মাঝে তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উৎসাহ। এক নজর দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। হাকডাকে মাছটি ১৫ হাজার টাকায় কিনে নেন আড়তদার সুমন রাজবংশী।
জেলে জামাল প্রামানিক বলেন, আমরা সাতজন মিলে রাতে জাল ফেলেছিলাম পদ্মায়। রাত গভীর হলে জালে বড় কিছু আটকে থাকার শব্দ পাই। তুলে দেখি বিশাল এক পাঙ্গাশ! অনেক দিন পর এমন মাছ পেয়েছি। ভোরে আড়তে নিয়ে গিয়ে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
আড়তদার সুমন রাজবংশী জানান, “মাছটি ঢাকার এক ক্রেতার জন্য কিনেছি। পাশের একটি আড়ত থেকে হাকডাকে সেটি নিই। অল্প লাভে আবার বিক্রি করে দিয়েছি।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাছ ধরার ঐতিহ্যে এমন বড় মাছের দেখা এখন কমই মেলে। ফলে পদ্মায় ধরা এই বিশাল পাঙ্গাশ নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে স্থানীয় জেলেদের মুখে।
আলোকিত প্রতিদিন/৬মে ২০২৫/মওম

খাওয়ার পর পেট ফুলে যাওয়ার কারণ জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

পছন্দের খাবার খাওয়ার পর পেট ভারী এবং ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয় অনেক সময়। ঘরে তৈরি খাবারও মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট উপাদান, পরিমাণ এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই খাবারের পরের অস্বস্তি এড়াতে আপনার দৈনন্দিন খাবারে প্রতিষেধক যোগ করার কথা বিবেচনা করুন। সবচেয়ে ভালো দিক হল, এর সমাধান খুঁজে নেওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারের পর পেট ফুলে যাওয়ার কারণ-

১.অতিরিক্ত মসলা:আমাদের বেশিরভাগ খাবার হলো মসলার মিশ্রণ। এগুলো খাবারে স্বাদ, গঠন এবং সুগন্ধ যোগ করে। কিছু মসলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিবেচিত হলেও কিছু আবার গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হলো অতিরিক্ত মসলা।

২. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া: খাবারে অতিরিক্ত লবণ যোগ করলে কেবল স্বাদই নষ্ট হয় না বরং জল ধরে রাখা এবং ফোলাভাবও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অতিরিক্ত সোডিয়াম টিস্যুতে পানি টেনে নেয়, যার ফলে পেট ফাঁপা এবং অস্বস্তি হয়।

৩. ডালও গ্যাস তৈরি করে: মসুর ডাল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু আপনি কি জানেন, এটি কখনো কখনো শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করতে পারে?  যা পেট ফাঁপা করতে পারে।

৪. খাওয়ার গতি: ওয়েবএমডির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত খাওয়ার ফলে আপনি (খাবারের সঙ্গে) বাতাস গিলে ফেলতে পারেন, যা পরিপাকতন্ত্রে আটকে যায়, যার ফলে গ্যাস তৈরি হয়ে পেট ফুলে যায়।

আপনি দিনে কী খান তার চেয়ে আপনি কতটা খান তা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন যে, স্বাস্থ্যকর খাবারও বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে। তাই প্রতিবেলার খাবারের পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/৬মে ২০২৫/মওম

আমাদের দরকার অংশীদার, উপদেশদাতা নয় : জয়শঙ্কর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জম্মু এবং কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে ভারতের, সেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

রবিবার ভারতের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা আর্কটিক সার্কেল ইন্ডিয়া ফোরামের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানে নিজ বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যখন বিশ্বের দিকে তাকাই, তখন আসলে আমরা অংশীদার খুঁজি, উপদেশদাতা নয়। বিশেষ করে সেইসব উপদেশদাতাদের একেবারেই নয়-যারা অন্যদের যেসব উপদেশ দেয়-সেসব নিজেরা পালন করে না।”

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু এবং কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু এবং কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল এবং আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।

নিজ মন্তব্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর দুর্বলতা নিয়েও মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে হলে কৌশলগত স্বায়ত্বশাসন জরুরি; কিন্তু ইউরোপের জন্য এটি অর্জন করা কঠিন। কারণ, ইউরোপ নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জ্বালানির জন্য রাশিয়া ও বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। বৈশ্বিক রাজনীতিতে এ ধরনের নির্ভরশীলতা ঝুঁকিপূর্ণ।”

সূত্র : আরটি

আলোকিত প্রতিদিন/৬মে ২০২৫/মওম