আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 526

আমি পুলিশ কিন্তু আগেতো মানুষ, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই: ডিবি প্রধান

আলোকিত ডেস্ক:
যারা রাস্তায় নেমে বলছে পুলিশ মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করছে, আসলে তারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গত রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে হারুন এমন মন্তব্য করেন। বিএনপির অভিযোগ পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরাতো আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে পারি না। যারা তথাকথিত মানববন্ধন করছে তারা অনেক কিছুই বলতে পারে, এটা ঠিক না। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ কিন্তু আগেতো মানুষ। আমারওতো অধিকার আছে, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই? ’হারুন বলেন, ‘যে পুলিশ জনগণের পুলিশ, যে পুলিশ জনগণের জান-মাল রক্ষায় নিয়োজিত, তথাকথিত রাজনীতির নামে সে পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে, সেসব ছবি সকলের কাছেই আছে। এমনকি পুলিশ হাসপাতালটাতে ভাঙচুর করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না? আমরা কার কাছে বিচার চাইব? ডিবি প্রধান অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে ৩০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একটি দল বা গোষ্ঠী যারা এ কাজটি করেছেন তারাই জাতিসংঘের সকল আর্টিকেল লঙ্ঘন করছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের আগেও নানা কার্যক্রম চালিয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পরে যখন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছিল, এসব কার্যক্রমের জন্য তারা যুবদল, ছাত্রদলকে আট ভাগে ভাগ করেছে। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সেসব নেতা পুলিশকে পিটিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে। কোনো সভ্য জাতি এমন কাজ করতে পারে না, তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। শুধু হাসপাতালে হামলাই করেনি অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

সারারাত নিখোঁজ, সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হলো মাদ্রাসা ছাত্র

মো: মহিদ: 
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে সিফাত(৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর নদীর পার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই মাদ্রাসার ছাত্র সাকিবকে(১২) হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে উপজেলার নিহন্দ জামিয়াতুজ সুন্নাহ আল ইসলামীয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার এবং মাদ্রাসা পরিচালক ক্বারী মোঃ জামাল উদ্দিন। পুলিশ এবং মাদ্রাসা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার শিবালয় ইউনিয়নের দুবলিয়া ডাঙ্গা গ্রামের শেখ ফুঁলচান মিয়ার ছেলে সিফাত ওই মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের আবাসিক ছাত্র। প্রতিদিনের মতো বিকালে মাদ্রাসায় সে খেলতে বের হয়। কিন্তু ৫ টা থেকে নিখোঁজ থাকে। সারারাত তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। সকালে পাশের ইছামতি নদীর পাড়ে সিফাতকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাদ্রাসার পরিচালক ক্বারী মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, মাদ্রাসার সামনের এক সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সিফাত এবং সাকিব দুজনে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এরপর সাকিব ফিরলেও সিফাত নিখোঁজ থাকে। মাদ্রাসার এক শিক্ষক সাকিবের পাঞ্জাবীতে রক্তও দেখেছে। বিষয়টি সন্দেহুজনক হলে রাতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সাকিবকে থানায় নিয়ে যায়। সকাল ৬ টার দিকে সিফাতকে ইছামতি নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তিনি আরও জানান, সিফাতের মাথা, কপাল ও ঠোটে গুরুতর জখমের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো আঘাতের পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। মৃত ভেবেই তাকে নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, মাদ্রাসা ছাত্র সাকিব তাদের হেফাজতে রয়েছে। আহত সিফাতকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন পযর্ন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে তাকে জানানো হয়েছে ঘটনার সাথে সাকিব জড়িত। সিফাত সুস্থ হলেই পুরো বিষয়টি জানাযাবে। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২৩/মওম

বগুড়ায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

বগুড়া ব্যুরোঃ 
বগুড়ায় শিশুদের মুখে খাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলায় চকআলম কমিউনিটি ক্লিনিকে জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে কাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণার পর জেলা প্রশাসক বেশ কিছু শিশুকে নিজ হাতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান। শিশুদের সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন মিশু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ শফিউল আজম, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জোবায়দা রওশন জাহান, সাবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন সরকার। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আসমা হক, মেডিকেল অফিসার ডা এসএম মামুন হাসান, মিডওয়াইফ শারমিন আকতার, জেলা পরিসংখ্যানবিদ শাহারুল ইসলাম খান, প্রধান সহকারি মোছাঃ শামীমা আকতার, সেনেটারী ইন্সেপেক্টর ভবেশ চন্দ্র রায়, নিবারণ চন্দ্র (অবঃ), এমটি (ইপিআই) মোতাহার হোসেন, এফপিআই আসাদুজ্জামান, চকআলম কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুরাইয়া আকতার, এইচ.এ রিয়াজুল হাসান, এফডাব্লিউএ আফসানা আকতারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানানো হয়েছে, বগুড়া জেলায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ২১১ শিশুকে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের শিশু ৫৬ হাজার ৬৭০ জনকে এবং ১২ থেকে ৫৯ বছর বয়সী শিশু রয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৪১ জন। জেলার ১০৯টি ইউনিয়নে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে পালন করা হয়েছে। জেলায় এবার ১০৯টি ইউনিয়নের ৩২৭ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৬১৬টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ও স্থায়ী ১১টি কেন্দ্রের টিকা খাওয়ানো হয়। এছাড়া জেলার ৪টি পৌরসভার ৩০টি ওয়ার্ডের ২৪০টি কেন্দ্রে ৪৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান। জেলায় মোট স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার। আর সারা দেশে মোট ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২৩/মওম

উখিয়ায় ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার 

আবু সায়েম:
কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন সোনাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২২ হাজার  পিস ইয়াবাসহ  একজন মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে র‌্যাব -১৫।   ১১ ডিসেম্বর (সোমবার)কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাড়া এলাকায় মীর আহম্মদ এর বাড়ির ছালামত উল্লাহ প্রকাশ বাসু এর ঘরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় জন্য অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে   র‌্যাব-১৫’র  ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।  গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের আজিজুল হকের পুত্র সাইদুল হক রুবেল ( ৩৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী তার সাথে থাকা আরও তিন সহযোগীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তারা র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দ্রুত পলায়ন করেছে বলে জানায়। র‌্যাব আরো জানায়, বর্ণিত ব্যক্তির রান্নাঘরের মাঝখানে মাটির নিচে প্লাষ্টিকের পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা রয়েছে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মাদক কারবারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থা থেকে  ২২,০০০ (বাইশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ল’ এন্ড মিডিয়া)  আবু সালাম চৌধুরী বলেন,গ্রেফতারকৃত সাইদুল হক রুবেল এবং পলাতক মাদক কারবারীরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ পথে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে এবং অভিনব নিত্য নতুন পন্থায় নিজের বসত ঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে মজুদ করতো। পরবর্তী পরষ্পর পরস্পরের সহায়তায় খুবই চতুরতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়। তিনি আরো বলেন,র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় পিছিয়েছে

আলোকিত ডেস্ক:

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত হয়নি। এজন্য আদালত তা পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আজ মির্জা আব্বাসের দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ ধার্য ছিল। বিচারকের বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই মামলার রায় প্রস্তুত হয়নি। আগামী ২৮শে ডিসেম্বর রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

কাশিয়ানীতে রোকেয়া দিবস পালিত

প্রতিনিধি,কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ):

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে সোমবার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অটিটরিয়াম হল রুমে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে পাচঁ জৈয়িতাকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা অধিপ্তরের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে এবং মোঃ সাহিদুর রহমান মিটুর সঞ্চালনায় উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোক্তার হোসেন, সাধারন সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহাগী রহমান মুক্তা, কাশিয়ানী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজামুল আলম মোরাদ, ইন্সেপেক্টর তদন্ত মোঃ খোরশেদ আলম,সমাজ সেবা অফিসার মোঃ বজলুর রশিদ কনক প্রমূখ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২৩/মওম

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে কৃষকদের দুরবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত আলু-সরিষার উৎপাদন

 আলোকিত ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ভারতের স্থলভাগে আঘাত হানলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশে টানা দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে দেশের মুন্সিগঞ্জে রোপণ করা বেশিরভাগ আলুর জমি এবং বিভিন্ন জেলায় সরিষা উৎপাদন ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের প্রাথমিক ক্ষতির হিসাব অনুসারে, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জসহ ১৫টি জেলায় মোট ১৩ হাজার ৮৭৭ হেক্টর জমির আলুর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। এর মধ্যে অধিক আলু উৎপাদনের জন্য পরিচিত মুন্সিগঞ্জে জেলায় মিগজাউমের আগপর্যন্ত ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭৬২ হেক্টর জমিই ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতির প্রতিবেদন ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হেক্টরপ্রতি আলুর ফলন ছিল ২২.৯০ টন। এই ফলন ধরে হিসাব করলে দেখা যায়, প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার টন আলুর উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল ক্ষতির মুখে পড়া জমিগুলো থেকে।  ক্ষতিগ্রস্ত জমির পুরো আলু নষ্ট হয়ে গেলে বর্তমানের প্রতি কেজির বাজারদর ৫০ টাকা ধরে হিসাব করলেও এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অনেক কৃষকের হয়তো সবটুকু জমির আলুই নষ্ট হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে এটা জাতীয় উৎপাদনে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তবে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আলুর বীজ ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে গেছে। যে কারণে মুন্সিগঞ্জে বীজের একটা সংকট হতে পারে। এ কারণে হয়তো কিছু জমি আলু চাষাবাদের বাইরে থাকতে পারে। মুন্সিগঞ্জে খোজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকের জমিতে অপরিনত আলু ও রোপ করা বীজ পচে যাচ্ছে। এই অবস্থায় কিছু কিছু কৃষক অপরিণত কিছু আলু তুলে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। যেসব কৃষক বৃষ্টির সপ্তাহখানেক থেকে বৃষ্টির এক দুদিন আগেও আলু লাগিয়েছিল তাদের আলু বীজ অবস্থাতেই নষ্ট হয়ে গেছে। গত ৫ ডিসেম্বর ভারতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এই প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশের যে ১৫টি জেলায় এসব ফসলের উৎপাদন ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো হলো: ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা ও নড়াইল।  মুন্সিগঞ্জের কৃষকদের দুরবস্থা: মুন্সীগঞ্জে শতাধিক কৃষকের খেতে অপরিপক্ব আলু ও সদ্য রোপণ করা বীজ পচে যাচ্ছে। এই দুর্দশায় পড়ে কিছু কৃষক অপরিপক্ব আলু সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে তাদের সাধ্যমতো ক্ষতি কমাচ্ছেন। এদিকে অতিবৃষ্টি শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ থেকে এক-দুদিন আগে যারা সম্প্রতি আলু রোপণ করেছেন, তাদের সম্পূর্ণ আলুর বীজ সরবরাহই নষ্ট হয়েছে। বীজ ব্যবসায়ী ও আলু চাষি উভয়পক্ষই এখন মুন্সিগঞ্জে আসন্ন রোপণ মৌসুমে আলু বীজের সম্ভাব্য সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন। মুন্সিগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্যানুসারে, জেলায় যে পরিমাণ জমি চাষ করা হয়েছিল সেখানে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মণ আলু বীজ লেগেছে। এ আলু চাষের পেছনে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা।  সিরাজদীখান উপজেলার কৃষক রহমান শেখ বলেন, ‘আমি এবার ৭০০ শতাংশ জমিতে আলু রোপণ করেছি। আমার রোপণ করা বীজ আলু একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় আলু রোপণ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এতে আমার লাখ লাখ টাকা লোকসান হবে। গজারিয়া উপজেলার কৃষক মো. জসিম উদ্দিন প্রধান আলু চাষ করে ইতিমধ্যেই দু-দুবার ধাক্কা খেলেন। প্রথমকবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে তার সব আলু জমিতে পচেছে, পুনরায় লাগানোর পর আবার মিগজাউমের বৃষ্টিতে সব পচে যাচ্ছে।  জসিম বলেন, ‘দুই দফায় আমার দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়ে গেল।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

ঝিনাইগাতীতে ওসি’র উদ্যোগে গ্রাম পুলিশের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

সাদ্দাম হোসেন:
শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম এর নির্দেশে ঝিনাইগাতী থানার সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনিরুল আলম ভুইয়া’র উদ্যোগে এবং নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার ৭ইউনিয়নের ৭০জন গ্রাম পুলিশের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়েছে। ১২ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে থানা চত্তরে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় এসআই রাজিব ভৌমিক সহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্য সহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ঝিনাইগাতী থানার সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া নিজ হাতে গ্রাম পুলিশদের হাতে শীতবস্ত্র প্রদান সহ তাদেরকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালনে আহবান করেন। উল্লেখ্য যে,সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া ঝিনাইগাতী থানায় দুই বছরের অধিক সময় দ্বায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইসি’র নির্দেশে তিনি জেলার নালিতাবাড়ী থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২৩/মওম

বিশ্ব ব্যাংকের নাম-লোগো ব্যবহার করে অনলাইনে ঋণের ফাঁদ

আলোকিত ডেস্ক:

বিশ্বব্যাংকের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ফেসবুক পেজে দ্রুত ও সহজ শর্তের ঋণের প্রলোভন দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে কয়েকটি প্রতারক চক্র। এসব চটকদার অফারের ফাঁদে পড়ে অনেক মানুষ ইতিমধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ‘ডব্লিউবি বিডি সার্ভিস’ নামের একটি ফেসবুক পেজের কথা বলা যাক। পেজটি বিজ্ঞাপন দিচ্ছে: ‘ব্যবসা শুরু করার জন্য বা ব্যক্তিগত কারণে আপনার কি ঋণের প্রয়োজন?  বিশ্বব্যাংক নিয়ে এল দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ লোন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা। ‘জিনি এ’ নামের আরেকটি ফেসবুক পেজেও একই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এসব পেজের ‘সাইন আপ’ বা ‘অ্যাপ্লাই’ বাটনে ক্লিক করলেই একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনলাইনে একটা ফরম পূরণ করার পর আগ্রহী ঋণগ্রহীতাকে দেওয়া হয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক। ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই চলে যায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের চ্যাট বক্সে। এই চ্যাট বক্সে প্রবেশ করার পর ভুক্তভোগীদের নিবন্ধন ফি, প্রসেসিং চার্জ এবং সরকারি করের মতো নানা ছুতোয় ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিকাশের মাধ্যমে এই অর্থপ্রদান সম্পন্ন করলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঋণ অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ডব্লিউবি সার্ভিসেস নামের পেইজটির ফাঁদে পড়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিক আলমগির হোসেন খুইয়েছেন সাড়ে ৭ হাজার টাকা। গল্প ভিন্ন হলেও টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল ছিল প্রায় একই। তার ক্ষেত্রেও ব্যাবহার করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫ হাজার ও ট্রান্সফার ফি বাবদ আড়াই হাজার টাকা বিকাশে নেওয়ার পর তার কাছে আরও টাকা চাইলে সন্দেহ হয় আলমগিরের। পরে তিনি তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে ব্লক করা হয় তাকে। আলমগির বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের নাম ও লোগো দেখে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। তাই টাকা পাঠাতে দ্বিধা বোধ করিনি। যে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়েছিলাম, সেই নম্বরে কল দিয়ে দেখি নম্বর বন্ধ। বুঝতে পারি, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার মতো অনেকেই এসব পেজের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ধরনের প্রতারণামূলক সব পেজ অবশ্য বিশ্বব্যাংকের নাম ও লোগো ব্যবহার করে না। টিবিএসের অনুসন্ধানে অন্তত ১৫টি পেজের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা এভাবে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এরকম কয়েকটি পেজ হচ্ছে: ফিউচার লেন্ডিং, বোরো বক্স, বোরো বক্স ০০২, গ্রো ট্রাস্ট, বেস্ট কার্ডস ইন বাংলাদেশ, মানি লায়ন, সিআইবিএম লোন অভ বাংলাদেশ, বিগ ভুয়া এএ, জেফরি রস, জিনি এ, ম্লাদিলিকোভা২, ডব্লিউবি বিডি সার্ভিসেস এবং এএসডি। এর মধ্যে ‘সিআইবিএম লোন বাংলাদেশ অভ অনলাইন’ পেজটি শুধু নারী উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে দিয়েছে বিশেষ সুবিধা। প্রতারণার শিকার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেছেন যে পেজগুলোর নাম আলাদা হলেও, প্রতারণার কৌশল এবং চিহ্নগুলো মূলত একইরকম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণ দেওয়ার আড়ালে মুনাফা করার মধ্যেই এই প্রতারকরা তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখে না। অ্যাপের মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের মোবাইল ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় এবং তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য বের করে ব্ল্যাকমেইল করে। লাখ টাকা ঋণের আশায় ৭৫ হাজার টাকা খোয়ালেন: মানি লায়ন নামের একটি পেজে ক্লিক করে মৌলভীবাজারের শুঁটকি ব্যবসায়ী আল আমিন প্রতারণার শিকার হয়ে মাত্র ১ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার লোভে খুইয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ফেসবুক মানি লায়ন নামে একটা পেজে বিনা জামানতে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে ঋণের বিজ্ঞাপন দেখে আশাবাদী হয়েছিলাম। লিঙ্কে ঢুকতেই একটা অ্যাপ ডাউনলোড করার পর সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট করতে বলে। তারপর আমার মেসেঞ্জারে একটা হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক পাঠানো হয়। সেখানে ক্লিক করতেই মানি লায়ন থেকে মোস্তাকিম নামে একজন আমাকে স্বাগত জানিয়ে মাত্র ৬ শতাংশ সুদে ১ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমি ১ লাখ টাকা ঋণ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করি। এরপর আমার ভোটার আইডি কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে আমার জন্য মানি লায়নের অ্যাপে একটি অনলাইন ওয়ালেট করে দেয়া হয়। এরপর একটি বিকাশ এজেন্ট নম্বর দিয়ে আমাকে ৫ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি ক্যাশ পাঠাতে বলে। টাকা পাঠানোর পর আমার মানি লায়ন অ্যাপের ওয়ালেটে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা করে। টাকাগুলো আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে গেলে আমার অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল হয়েছে বলে মেসেজ দেয়। আল আমিন বলেন, ‘পরে ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করলে এই ভুল শোধরাতে হলে আমাকে ৩০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে বলে জানায়। তার কথামতো আবারও ৩০ হাজার টাকা পাঠানোর পর আমার ওয়ালেটে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেখিয়ে আমার বিশ্বাস অর্জন করে। কিন্তু এই টাকা তুলতে গেলে শুরু হয় নতুন বাহানা। প্রথমে ইনস্যুরেন্স বাবদ ১০ হাজার টাকা, সরকারি ট্যাক্স-ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার টাকা, পরে ট্রান্সফার ফি বাবদ আরও ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর যতক্ষণে আমি বুঝতে পারি তারা আমার সাথে প্রতারণা করছে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। এরপর আমি ঋণ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা আবার লোন ক্যান্সেল ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে হোয়াটসঅ্যাপে তারা আমাকে ব্লক করে দেয়। এক মাস সময় ধরে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করে এই টাকা জোগাড় করেছিলাম ঋণটা পাওয়ার আশায়। উল্টো আমি এখন আরও বেশি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বিকাশ নম্বরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে, কিন্তু নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে। বিকাশ নম্বরগুলোর বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে বিকাশের কর্পোরেট কমিউনিকেশন কর্মকর্তা রোকসানা মিলি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর ফাঁকি দিতে প্রতারকরা ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দেয়। তবে পরে তারা ভিন্ন নামে নতুন পেজ খুলে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালি যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। সাইবার অপরাধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পেজগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেশের বাইরে থেকে। তবে এদের দেশীয় কিছু এজেন্ট আছে যারা ভুয়া ঠিকানা দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে প্রতারণার বিভিন্ন ধাপে তাদের সহায়তা করে। অভিযোগগুলোর তদন্ত চলছে এবং প্রতারক চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি। অনুমোদিত কোনো অনলাইন ঋণদাতা নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেসবাউল হক বলেন, অনলাইনে ঋণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়নি। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া বা আর্থিক লেনদেন করার আগে ওই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদিত কি না, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করে নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘যেকোনো অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনই ঝুঁকিপূর্ণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কেউ কোনো ধরনের প্রতারণা বা অনিয়ম করলে তা তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি উইং কাজ করে। এসব বিষয় তাদের অবগত করলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়। এরকম প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকার উপায়: বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দিন শিশির বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের প্রথমে বুঝতে হবে অনলাইনে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল আইডি দিয়ে কোনো জামানত ছাড়া ঋণ দেয়ার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গড়ে ওঠেনি। আর কোনো গ্রাহকের আয়-ব্যায়ের হিসাব, ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা যাচাই-বাছাই না করে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ দেওয়াটাও বাস্তবসম্মত নয়। তিনি বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের বুঝতে হবে, অনলাইনে সহজ শর্তে, কম সুদে মাত্র কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঋণ অনুমোদন দেওয়ার বিজ্ঞাপনদাতারা সব প্রতারক। কারণ এদের বাস্তবে কোনো অফিস নেই বা তারা গ্রাহকদের সাথে সরাসরি দেখা করতে চায় না। এদের ওয়েবসাইটের ইউআরএল খেয়াল করলে দেখা যাবে ‘এইচটিটিপি’র পরে ‘এস’ অক্ষরটি থাকে না। তার মানে তাদের ওয়েবসাইট সুরক্ষিত নয়। শিশির আরও বলেন, কোনো পেজ থেকে যদি কোনো লিংকে ক্লিক করতে বা অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে, ধরে নিতে হবে তারা প্রতারক। এসব পেজের ‘সাইন আপ’ বা ‘অ্যাপ্লাই’ বাটনে ক্লিক করা থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরত থাকার পরামর্শ দেন এই ফ্যাক্টচেকার।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

নেত্রকোণার পূর্বধলায় স্কুল ছাত্র হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

শহীদুল ইসলাম রুবেল:
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ছাত্রলীগ নেতার ঘুষিতে রেজাউল ইসলাম ওরফে টিটু (১৭) নামের স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ দিকে হত্যাকান্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুমন তালুকদার জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক তাকে দলীয পদ থেকে বহিস্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিব স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য,সোমবার দুপুরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের বুধি নামক স্থানে রাস্তায় ভেকু দিয়ে মাটি কাটানোকে কেন্দ্র করে বুধি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী তালুকদারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুমন তালুকদারের ঘুষিতে নিহত হয় উপজেলার বুধি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং স্থানীয় মজিবর রহমান টেকনিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রেজাউল ইসলাম টিটু । এ ব্যাপারে, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে রুমন তালুকদারসহ ৯জনকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে আশরাফুল (১৭) ও মুঞ্জুরুল (৫০) নামের দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২৩/মওম