আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 529

কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন ইমারত নির্মাণ শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা

জি এম রাশেদুল ইসলাম :

কুড়িগ্রাম জেলা ইমরাত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে গত শুক্রবার রাতে পাটেশ্বরী বাজারে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন ইমরাত নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের ভোগডাঙ্গা শাখা অফিস উদ্বোধন ও ভোগডাঙ্গা উপ-কমিটি ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার রাতে পাটেশ্বরী বাজারের ভোগডাঙ্গা উপ-কমিটির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কুড়িগ্রাম জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এরশাদুল হক, দলিল লেখক মোঃ হাফিজুর রহমান বাবলু এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোগডাঙ্গা উপকমিটি ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মেহের জামাল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভোগডাঙ্গা ইউপি সদস্য মোঃ আকরামুল হক মাজেদুল, ঘোগাদহ ইউপি সদস্য মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন খোকা, কুড়িগ্রাম জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি বাবর আলী, সহ-সভাপতি নুর আলম, সহ-সভাপতি হযরত আলী, কোষাধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সাইট পরিদর্শন সম্পাদক আব্দুল জলিল (মজনু), প্রচার সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, কার্যকরী সদস্য হবিবর রহমান হবি, রুবেল রহমান, রফিকুল ইসলাম (রং), রফিকুল ইসলাম (রাজ), আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।

০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি

আলোকিত ডেস্ক:

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দিবসে দলটির নেতারা মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে রওনা হবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৮টায় গুলশান থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিএনপি নেতারা। এরপর দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

আশা জাগিয়েও হারলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক:

ব্যাটাররা ভালো পুঁজি এনে দিতে পারেননি। ঢাকা টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সামনে তাই মাত্র ১৩৭ ছুঁড়ে দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। বোলাররা চেষ্টা করেছেন। ৬৯ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কিউইদের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গ্লেন ফিলিপস আর মিচেল স্যান্টনারের জুটিতে ম্যাচ বের করেই মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। তারা জিতেছে ৪ উইকেটে। এই ম্যাচটি জিতলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। ব্যাটারদের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে আশার গুড়েবালি হলো স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করলো নিউজিল্যান্ড। ফিলিপস আর স্যান্টনারের ৭০ রানের জুটি আর ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ ৬৯ রানেই ৫ উইকেট ছিল না নিউজিল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত ৪০ রানে ফিলিপস আর ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছে তারা।দ্বিতীয় ইনিংসে ঘরের মাঠে নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মেরেছেন। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। ফলে মাত্র ১৪৪ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময়ী ইনিংস। অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ে ছিল বাংলাদেশ। ৩৩ রানেই ৩ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন আর হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দলীয় স্কোর ৫১ রানে নিতে আরও দুটি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বোলিং সহায়ক পিচ হওয়ার কারণে দ্রুতই নিজেদের দায়িত্বের পালনে উঠেপড়ে লেগেছেন টাইগার বোলাররা। শুরুটা করেছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। লাঞ্চ বিরতি থেকে আসার পরই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে এলবিডব্লিউ করেছেন টাইগার পেসার। ১৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই কিউই ব্যাটার। কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল টাইগাররা। তবে তাইজুলের ঘূর্ণি স্বস্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। বাঁহাতি এই স্পিনারকে সামনে এসে পুল করতে গিয়ে বলটি মিস করেন উইলিয়ামসন। মুহূর্তেই বলটি হাতে তালুবন্দি করে স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক নুুরুল হাসান সোহান। দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ২৪ বলে ১১ রান করে ফেরত যান উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে আসা নিকোলসকেও পিচে থাকতে দেননি মিরাজ। এলবিডব্লিউ করে ৩ রান করা কিউই ব্যাটারকে ফেরান এই ডানহাতি স্পিনার। ল্যাথামকে (৬০ বলে ২৬) নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান মিরাজ। তাইজুলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন ব্লান্ডেল। কিউইদের জয়ে অবদান রাখা ব্যাটার ড্যারিল মিচেলও মিরাজের শিকার হন। এই ইনিংসে ৩৬ বলে ১৯ রান করে শান্তর হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি কিউই ব্যাটার। জাকির হাসানের ফিফটির সুবাদে কোনো মতে ১৪৪ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। অ্যাজাজ প্যাটেল আর মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কিন্তু অপরপ্রান্ত ধরে রেখেছেন ওপেনিংয়ে নামা জাকির হাসান। অবশেষে চাপের মুখে থেকেও টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই টাইগার ব্যাটার।নাজমুল হোসেন শান্ত, মুুুুুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও নাঈম হাসান, তাইজুলের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে ৮৬ বলে ৫৯ রান করেন জাকির। দিনের শুরুটা ভালো করলেও অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। এরপর তো খেই হারিয়ে বসেন ব্যাটাররা। অ্যাজাজের এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে মুমিনুল (১৯ বলে ১০) ফেরার পর একে একে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দিপু ও মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, নাঈম হাসান ও শরিফুল ইসলাম। ব্যাট করতে নেমে পিচে সেটই হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। খেলেন মাত্র ১২ বল। ৯ রান তুলে স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন এই ডানহাতি। ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ মিরাজও। মাত্র ৩ রান করে অ্যাজাজের বলে ক্যাচ তুলে দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নুরুল হাসান সোহান  এদিন তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ডাক মেরে অ্যাজাজের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন অ্যাজাজ প্যাটেল। ৩টি উইকেট শিকার করেন মিচেল স্যান্টনার। ১টি উইকেট তুলে নেন টিম সাউদি।

আলোকিত প্রতিদিন/০৯ ডিসেম্বর ২৩/মওম

গোপালগঞ্জ হাসপাতালের আর এম ও’র বিরুদ্ধে আ.লীগ সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

মোঃ শিহাব উদ্দিন :

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকে মামলায় ফাঁসাতে টাকার বিনিময়ে তার প্রতিপক্ষকে ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাউচ আলী শেখ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ১৩ অক্টোবর মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানির করার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের তারেক ফকির একটি মারামারির কল্পকাহিনী সাজান। ওই ঘটনার পর ওই দিনই তারেক ফকির ও কবির ফকির, সাইফুল ফকি, হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে নিজের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক আহমেদকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে গোপালগঞ্জের আমলি আদালতে তাকেসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

গাউচ আলী শেখ বলেন, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ভিকটিমের এক্সরে, সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এতে তিনি এবং তার এলাকার নিরীহ লোকজন একটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলায় আসামি হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মামলার বাদী তারেক ফকির বলেন, গাউচ আলী শেখের নেতৃত্বে তার লোকজন আমাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমি মামলা দায়ের করার পর আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে এসেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি যেভাবে ইনজুরি পেয়েছি সেভাবেই সার্টিফিকেট দিয়েছি।

০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

এক বছরে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৫ কোটি ডলার

আলোকিত ডেস্ক:

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দেশের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের (এফডিআই) ওপর। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এ খাতে বিনিয়োগ কমেছে ২৫ কোটি ডলার। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে এফডিআই এসেছে ৩১৯ কোটি ডলার। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগ এসেছিল ৩৪৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে নিট এফডিআই এসেছে ৩১৯ কোটি বা ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট এফডিআই আসে ৩৪৪ কোটি বা ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। হিসাব মতে, গত অর্থবছর এফডিআই প্রবাহ কমেছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। যদিও ২০২১-২২ আগের অর্থবছর নিট এফডিআই বেড়েছিল রেকর্ড ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। যদিও ২০২০-২১ অর্থবছরে এফডিআই আসে ২৫০ কোটি ৭০ লাখ বা ২৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশে এফডিআই আসে ২৩৭ কোটি বা ২.৩৭ বিলিয়ন ডলার। সূত্র মতে, সাধারণত তিন পদ্ধতিতে বিদেশি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করে থাকে। পদ্ধতিগুলো হলো, নতুন পুঁজি তথা মূলধন হিসাবে, বিদ্যমান ব্যবসা থেকে অর্জিত মুনাফা পুনর্বিনিয়োগ করে এবং এক কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে, যা ইন্ট্রা-কোম্পানি লোন নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২২-২৩ যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছেন। এ সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় ৫৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ এসেছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৬ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ এসেছে নেদারল্যান্ডস থেকে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি থেকে বিনিয়োগ এসেছিল ৩০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। কোরিয়া থেকে এসেছে ২৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩১ কোটি ২৯ লাখ ডলার। ২৮ কোটি ৯১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চতুর্থ। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি থেকে বিনিয়োগ এসেছে ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে ১৯ কোটি ২০ লাখ ডলার, নরওয়ে থেকে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, হংকং থেকে ১৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, মাল্টা থেকে ১৭ কোটি ডলার, ভারত থেকে ১১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও মালয়েশিয়া থেকে ৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এদিকে গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে টেক্সটাইল তথা বস্ত্র খাতে, এর পরিমাণ ৬৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। এরপরেই আছে টেলিকমিউনিকেশন খাত। এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৫১ কোটি ১৬ লাখ ডলার। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এসেছে ব্যাংকিং খাতে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৩১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম খাতে এসেছে ৩২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৩৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে ৩০ কোটি ডলার, খাদ্য খাতে ২৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে ১২ কোটি ১১ লাখ ডলার, কেমিক্যাল ও ওষুধ খাতে ৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, নির্মাণ খাতে ৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার ও সার খাতে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। তথ্য মতে, বিদায়ী অর্থবছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে এফডিআই এসেছে মাত্র ৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন বা ৪১ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও ইপিজেডে ৪০৬ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে অন্যান্য খাতে নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ২ দশমিক ৭৮৫ বিলিয়ন বা ২৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। একদিকে রিজার্ভ থেকে অস্বাভাবিক ডলার বিক্রি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বাড়াচ্ছে। অপরদিকে বিদেশি বিনিয়োগ, রপ্তানি টার্গেট পূরণ না হওয়া, রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী প্রবাহ দেশের অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। অধ্যাপক রেহমান সোবহান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, রেমিট্যান্স দেশে আসছে। তবে তা অবৈধ চ্যানেলে। ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে না। যার অন্যতম কারণ ব্যাংকে ডলার রেট কম থাকা। ব্যাংকগুলো ডলার প্রতি কম টাকা দিয়ে থাকে হুন্ডির তুলনায়। যার ফলে হুন্ডিতেই প্রবাসীরা টাকা পাঠাচ্ছেন যার কারণে দেশের মানুষের এখনো ক্রয় ক্ষমতা স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতি হুমকিতে পড়েছে। গেল সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ১৩৪ কোটি ডলারের কিছু বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২১ কোটি ডলার কম। এ অবস্থায় দেশের বিদেশি বিনিয়োগ কমছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিদেশি দাতা দেশগুলোর নানান প্রশ্ন, সুশাসনের ঘাটতি বিদেশি বিনিয়োগে বড় বাধা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য কর্মকর্তা ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলতে এখনো গ্যাস, বিদ্যুতের সমস্যার সুরাহা করতে না পারা হতাশাজনক। একারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসছে না। এছাড়া সুশাসন, ব্যবসায়িক সুবিধা কোনোটিরই যথাযথ কার্যক্রম নেই। যার ফলে এদেশে বিনিয়োগ করতে একটি শঙ্কা কাজ করে। এসব বিষয়ে আমরা যতদ্রুত তাদের আশ্বস্ত করতে পারবো ততদ্রুত আমাদের বিনিয়োগ বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কিন্তু থেমে নেই। ভিয়েতনাম প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ পাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানেও বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কালক্ষেপণ না করেই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডাকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।’

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

নাগরপুরে আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি’র উপস্থিতিতে হানা*দার মুক্ত দিবস পালিত

প্রতিনিধি,নাগরপুর :
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি’র উপস্থিতিতে হানা*দার মুক্ত দিবস পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান এর সভাপতিত্বে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক (বীর প্রতীক), যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, নাগরপুর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন, দেলদুয়ার উপজেলা আ. লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস আলী, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান সহ অন্যান্যরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দরা। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলার সূর্য সন্তানেরা পাকিস্তানি হানা*দার বাহিনীর কবল থেকে নাগরপুর উপজেলাকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত  হয়ে উঠে পুরো নাগরপুর উপজেলা। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিবাহিনীর বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক বাহিনী গড়ে উঠে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনী ও বাতেন বাহিনী অন্যতম। এই দুই বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের কাহিনী সে সময় দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।  সারাদেশের মতো হানাদারদের দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত টাঙ্গাইলের সর্ব দক্ষিণে ধলেশ্বরী নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন নাগরপুরকে শত্রু মুক্ত করতে কাদেরিয়া বাহিনী ও বাতেন বাহিনী বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও চূড়ান্ত সফলতা পেতে সময় লেগে যায় ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আলোকিত প্রতিদিন/০৯ ডিসেম্বর ২৩/মওম

নৈশ প্রহরীকে হ*ত্যা ২ স্বর্ণ দোকানে ডা*কাতি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ লু*ট

-Ñনোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কবিরহাটের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে ২টি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দল শহীদ উল্যাহ (৫০) নামে এক নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত শহীদ উল্যাহ ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মা-মনি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ জানান, শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ৪০-৫০ জনের একদল ডাকাত ভোর ৩ থেকে ৪টার মধ্যে পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট বাজারে ডাকাতি করতে আসে। ওই সময় তারা নূর জুয়েলার্স, মা-মনি জুয়েলার্স গ্রীল কেটে ডাকাতি করে। ডাকাত দল মা-মনি জুয়েলার্সর স্বর্ণের লকার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ,১৫০ ভরি রুপা ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নুর আলম জানান, একই সময়ে নূর জুয়েলার্স থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ, আড়াইশ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে যায়। জানা যায়, শরীফ ক্লথ স্টোরের মালিক চালানে যাওয়ার সময় ডাকাত দল তার থেকে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আশ্রাফ হোসেন রবেন্স জানায়, ডাকাতির সময় বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করতে চেষ্টা নৈশ প্রহরী শহীদ উল্যাহ। ডাকাত দল তাকে মাথায় আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ডাকাত দল নৈশ প্রহরীকে মাথায় আঘাত করে। পরে অতিরক্তি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি রফিকুল ইসরাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ডাকাত দল ডাকাতি করার সময় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তাদের ডাকাত দলে এক ইউপি সদস্যও ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা

আলোকিত ডেস্ক:

বিশ্বের ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর ভিসা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এই তালিকায় বাংলাদেশ নেই। আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ের নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে গত ৮ ডিসেম্বর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির দুই মন্ত্রণালয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিটেন ও কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আফগানিস্তান, চীন, হাইতি ও ইরানসহ ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর ইতোমধ্যে ব্রিটেন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতিগুলোর একটি হলো মানবাধিকারের স্বীকৃতি ও রক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৩৭ ব্যক্তির মধ্যে মাজিদ দাস্তজানি ও মোহাম্মদ মাহদি খানপুর আরদেস্তানি নামের দুই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলায়মানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে নজরদারি ও হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন তারা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। এই নেতাদের মধ্যে দেশটির ‘পুণ্যের বিকাশ ও পাপের দমন’ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারাও রয়েছেন। মূলত নারী, তরুণী ও কিশোরীদের দমনপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গাও কি এবং হু লিয়ান হে নামে চীনের দুই সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন এই তালিকায়। তারা চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা। প্রদেশটিতে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন নিপীড়নের অভিযোগে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উইঘুর নারী-পুরুষদের জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগে কফকো সুগার হোল্ডিংসহ তিন চীনা কোম্পানিকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার নির্বাচন/ সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে উত্তাপ

মুহাম্মদ জুবাইর:
আগামী ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা (চসাস) ২০২৩ সালের তিন বছর মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন দৈনিক, টেলিভিশন, অনলাইন ও রেডিওতে কর্মরত প্রায় দুই শতাধিক সদস্য তথা পেশাদার সাংবাদিকদের এ সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ৪ ডিসেম্বর তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশনের সদস্যরা হলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার সজল চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনার প্রণবরাজ বড়ুয়া ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলী মাইজভান্ডারী। গত ০৫ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ করে প্রতিটি প্রার্থীর সকল কাগজপত্র সঠিক ও বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।  তাদের তথ্যমতে নির্বাচনে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ৬ টি পদের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের সিমান্তে পৌছে গেছেন। তারা হলেন সভাপতি সৈয়দ দিদার আশরাফী (আপেল), যোগাযোগ সম্পাদক আনিছুর রহমান (মোবাইল), সমাজসেবা সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন (ঘোড়া), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আরফাত আহমেদ আরমান (বাস), প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ রায়হান উদ্দিন ও জেলা সমন্বয়কারী সম্পাদক মাসুম বাবুল (জাহাজ)। আর বাঁকী ১৪ পদে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বি থাকলেও সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটি হবে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে। সংগঠনটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওসমান এহতেসাম এর হাতি প্রতীককে আটকাতে তার বিরোধিতা করছেন আট জন। তারা হলেন, সংবাদ প্রতিদিনের ফিরোজ উদ্দিন (মই), সময়ের কাগজের জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী (আম), দৈনিক স্বপ্নের বাংলা’র সম্পাদক সাফি ইরফাত জেবিন ইভা (পেঁপে), দৈনিক দেশ বাংলার সাইফুর রহমান নিশাদ (ফুটবল), দৈনিক স্বপ্নের বাংলা’র ইসরাত জাহান (পেন্সিল), দৈনিক অগ্রসর পত্রিকার ফারজানা কবির রুমী (চায়ের কাপ) ও রাফিকা আক্তার (টেলিভিশন)। প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজনের অনুভুতি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কিন্তু প্রতিহিংসা থাকবে না। আমাদের মধ্যে কোন প্যানেল নেই। জয় পরাজয় থাকবে এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি হবে না। ভোট যুদ্ধে যেই বিজয়ী হোক আমরা সকলে তাকে সাদরে অভিনন্দন জানিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক হয়ে কাজ করবো।  এদিকে প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রার্থীই সংস্থাকে সুসংগঠিত করে সকলের ভাগ্য উন্নয়নের এক বুক আশা দিচ্ছেন। সদস্যদের কল্যান তহবিল গঠন, বার্ষিক মিলন মেলা বা ভ্রমন, নিজস্ব ক্লাবঘরসহ বিভিন্ন সুবিধা বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। তবে নির্বাচনী এই গরম হাওয়া শুধু চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়েই নয়, এই হাওয়া ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে চট্টগ্রামের মিডিয়া পাড়ায়। চট্টগ্রামের প্রবীন ও সিনিয়র সাংবাদিকের আলোচনার খোরাক এখন ৯ ডিসেম্বর তারিখের নির্বাচন। তারাও হিসেব করছেন কে কেমন ভোটের ব্যবধানে নিজেকে যোগ্য প্রমান করবেন। আগামী নির্বাচনে কে কেমন ভোট পেতে পারে সকল খোঁজ খবর নিচ্ছেন তারা। গণতান্ত্রিক উপায়ে এমন নির্বাচন দেখে ইতমধ্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাজনীতিক মহল, সুশীল সমাজ ও প্রবীন সাংবাদিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীন সাংবাদিক বলেছেন, এই সংস্থার সাংবাদিকরা এত অল্প সময়ে এভাবে এগিয়ে যাবে এটা কেউ ভাবেনি। কারন চট্টগ্রামে এর আগেও অনেক সাংবাদিক সংগঠন হয়েছে, কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাদের কার্যক্রম আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেই এমন ধারনা করেছিল চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, শুনেছি এই সংস্থার হিসাব নিকাশও নাকি সচ্ছতার সাথে বুঝিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। খুব ভাল লেগেছে তাদের এমন সচ্ছতা দেখে। শুভকামনা রইলো চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার সকল সদস্যদের জন্য। নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন দুইজন। তারা হলেন মোহনা টেলিভিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান আলী আহমেদ শাহিন (ডাব) ও দৈনিক একুশে সংবাদ স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল কাদের গরু। সহ-সভাপতি পদে জার নিউজ এর সম্পাদক মোঃ জিন্নাত আলী (মোরগ) ও দৈনিক পূর্বকোণ ও যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি আজগর আলী খান (গোলাপ)। যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন তিনজন। তারা হলেন দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ ওমরফারুক (বই),  সাপ্তাহিক অভিযোগ সহ-সম্পাদক পলাশ কান্তি নাথ (বাঘ) ও দৈনিক অর্থনীতি ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ মনসুর আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়ছেন চট্টলা টিভি স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ রিদওয়ান হৃদয় (কলম) ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (সিংহ)। সহ সাংগঠনিক পদে সাপ্তাহিক অভিযোগ এর পলাশ কান্তি নাথ ও মোহাম্মদ সেলিম রাজা (ঘড়ি)। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দৈনিক সরকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি গাজী গোফরান (মাইক), আমাদের চট্টলার ঈসা মোহাম্মদ তকী তাজওয়ার (চেয়ার), দৈনিক গড়ব বাংলাদেশ এর নীলকমল সুশীল (টেবিল) ও এস এম শ্রাবণ মাহমুদ (জগ)। দপ্তর সম্পাদক পদে লড়ছেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসনাত মিনহাজ (আনারস) ও মিন্টু দাশ (গাজর)। ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সাইফুর রহমান নিশাদ (পান পাতা) ও দৈনিক জনকালের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আবীর (মোমবাতি)। তথ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে দৈনিক স্বপ্নের বাংলার সম্পাদক সাফি ইরফাত জেবিন ইভা (প্রজাপতি) ও দৈনিক ঢাকা টাইমসের বিপ্লব ইসলাম (সংবাদপত্র)। অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে দৈনিক সময়ের কাগজ স্টাফ রিপোর্টার জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী (আম) ও আমাদের চট্টলার ঈসা মোহাম্মদ তকী তাজওয়ার (তাল)। অর্থ সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছেন চারজন। তারা হলেন দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (ফ্যান), নিজাম উদ্দিন (তালা), আশ্রয় প্রতিদিনের মোঃ ওয়াজেদ (টিয়া পাখি) ও সুমন দাস (ব্যাট)। নির্বাহী সদস্য পদে দৈনিক আমাদের নতুন সময় এর সাংবাদিক সজল চৌধুরী, একুশে সংবাদের আব্দুল কাদের, জিয়াউল ইসলাম জিয়া, প্রতিদিনের কাগজের মোঃ এবাদুল হক, মোঃ আতিকুর গোলডার।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

পোলট্রি ফিডের দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে খামারিদের

আলোকিত ডেস্ক:

ডিম ও মুরগির বাজারে অস্থিরতা দূর হয়ে যখন বাজারে স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তখন নতুন করে চাপ তৈরি হয়েছে খামারিদের উপর। একদিকে বেড়েছে ফিডের দাম, অন্যদিকে প্রান্তিক খামারিদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদন খরচেরও নিচে। এ অবস্থায় নতুন করে খামারিদের উৎপাদন থেকে সরে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের তথ্যমতে, কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পুঁজি হারিয়ে অনেক খামারিই উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ফিডের দাম বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বেড়েছে। কভিডের পর থেকে এ পর্যন্ত খামারিদের ঝরে পড়ার এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজারে। যা দেশে মোট পোল্ট্রি খামারিদের প্রায় অর্ধেক। এই অবস্থায় আরো একবার নতুন করে ধাক্কা খাচ্ছে খামারিরা। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ব্রয়লার ও লেয়ার ফিডের দাম কোম্পানিভেদে কেজিতে আড়াই থেকে সাড়ে তিন টাকা বাড়ানোর কথা জানায় কোম্পানিগুলো। যেখানে তিন দফায় সাড়ে তিন টাকা পর্যন্ত দাম কমিয়েছিল ফিড উৎপাদনকারীরা, সেখানে এক লাফেই সাড়ে তিন টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি তারা বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচই ১৬০ টাকার বেশি। একইভাবে ব্রয়লার মুরগির প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে খামার পর্যায়ে আট থেকে সাড়ে আট টাকা, যেখানে উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকার বেশি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬.৬৭ শতাংশ এবং ডিমের দাম ২১.৫৭ শতাংশ কমেছে। খামারিরা বলছেন, সরকার যদি এখন খামার পর্যায়ে ডিম ও মুরগির দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ করে না দেয়, তাহলে সংকট আরো বাড়বে। খামারিরা আবার লোকসান করতে থাকলে সেটা দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ চেইনে বড় সংকট তৈরি করবে। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘খামারিদের বাঁচানোর জন্য সরকারকে এখানে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে। কারণ সাপ্লাই চেইনের তিন-চারটি হাতবদলে সবাই লাভবান হলেও বঞ্চিত হচ্ছে উৎপাদনকারীরা। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি খামারিদের উৎপাদন খরচের মূল্য ঘোষণা করে তা পর্যবেক্ষণ করে, তাহলে এ অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তা না হলে খামারিরা উৎপাদন থেকে সরে আসবে এবং দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন ঘাটতি তৈরি হবে। ফলে এটা বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। খামারিরা উৎপাদন খরচের নিচে ডিম-মুরগি বিক্রি করলেও নতুন করে ফিডের দামের ঘোষণা বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। গত ২৪ নভেম্বর মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এফআইএবি) ফিডের দাম বাড়ার বিষয়ে একটি চিঠি দেয়। এ বছর সরকারের নানা ধরনের চাপের কারণে ব্রয়লার মুরগির ফিডের দাম তিন থেকে সাড়ে তিন টাকা কমানো হয় তিন দফায়। ফিড উৎপাদনকারীরা বলছেন, চলতি বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফিডে ব্যবহৃত প্রধান সাতটি কাঁচামালের দামে প্রতি কেজিতে প্রায় সাড়ে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে আগস্টে কাঁচামাল আমদানির এলসি খুলতে যেখানে ডলারপ্রতি ১১০ থেকে ১১১ টাকা দিতে হতো, সেটা নভেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকায়। ফিড উৎপাদনকারীদের দাবি, শুধু কাঁচামাল ও ডলারের দাম বাড়ার প্রভাবেই প্রতি কেজি ফিডে ব্যয় বেড়েছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ টাকা থেকে ছয় টাকা। শুধু আমদানি করা কাঁচামালই নয়, স্থানীয়ভাবে ভুট্টার দাম ২৯ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় উঠেছে। সিড ক্র্যাশিং ইন্ডাস্ট্রি কোনো ঘোষণা ছাড়াই সয়াবিন মিলের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছে। যে কারণে এই কাঁচামালটি ৬৫-৬৭ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮২ থেকে ৮৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এফআইএবির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি কেজি ফিডে যে পরিমাণ ব্যয় বেড়েছে, তা সমন্বয় করা না হলে অনেক ফিড মিল ঋণ খেলাপি হয়ে যাবে। কিছু মিল বন্ধও হয়ে যাবে। একইসঙ্গে ভুট্টা, সয়াবিন মিলসহ ফিডের প্রধান কাঁচামালগুলো সময় মতো আমদানি করা সম্ভব না হলে মৎস ও পশুখাদ্যের উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এফআইএবি থেকে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সংগঠনটি ১৫ দিন পরপর কাঁচামালের দাম ও ফিডের উৎপাদন ব্যয় এবং যৌক্তিক মূল্য পর্যালোচনা করার দাবি করেছে। ব্যাংকগুলো আমাদনিকারকদের ইউ পাস এলসি খুলছে। যেখানে পণ্য জাহাজে আপলোড হচ্ছে কিন্তু ডলারের কনফার্মড রেট জানা যাচ্ছে ১৮০ দিন পর। ব্যাংকগুলো ডলারের কোনো আগাম ফোরকাস্ট দিচ্ছে না। এই জায়গায় সরকারের নীতি সহায়তা জরুরী হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি সহজ করা এবং বন্দরে পণ্য আসার পর যেন তা নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত আটকে না রাখা হয় সে বিষয়ে সহযোগিতা চান আমাদনিকারকরা, যাতে করে আমদানিকারকদের বিলম্ব মাশুল গুনতে না হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ‍ডিসেম্বর ২৩/ এসবি