নোয়াখালীতে অগ্রণী ব্যাংকের উদ্যোগে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত
তোমরা হামাসকে ধ্বংস করতে পারবে না: ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান। তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, হামাসসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল যেমন হামাসকে ধ্বংস করতে পারবে না তেমনি এই উপত্যকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কেবলমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিরাই এই উপত্যকার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার অধিকার রাখেন। এমন সময় তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন হামাসকে ধ্বংস করে সংগঠনটির হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে তেল আবিব। এ কাজে ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে মার্কিন সরকার। অন্যদিকে ইরান হামাসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচতি। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে হামাস জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো উচ্চ সক্ষমতা হামাসের রয়েছে। তারা ইহুদিবাদীদের বর্বরতা মোকাবিলা করার জন্য মাসের পর মাস দিন-রাত প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে যেতে সক্ষম। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাস্যকরভাবে মনে করছে, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা উপত্যকার ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি কৌশলগত ভুল করার ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনকে ফিলিস্তিনিদের কাছে ছেড়ে দিন, না হলে যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি আঞ্চলিক পরাজয়ের সম্মুখীন হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রী
আলোকিত ডেস্ক:
সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা এবং আস্থা। আমরা সৌদি আরবকে সবসময় কাছাকাছি পেয়েছি। ৬ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে আয়োজিত বেসরকারি গ্লোবাল অপারেটর আরএসজিটিআই এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা,আমরা সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ও জি২জি ভিত্তিতে সৌদি সরকার মনোনীত বেসরকারি গ্লোবাল অপারেটর আরএসজিটিআই এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই কনসেশন চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের দুই দেশের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি ও অটল অঙ্গীকারের উদাহরণ। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও জোরদার করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি আস্থা-সহযোগিতার জন্য আমি সৌদি সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চাই, বিশেষ করে সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আরও ধন্যবাদ জানাই সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধিদলের প্রতি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আপনাদের সবার অঙ্গীকার আমরা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। পতেঙ্গা কনটেইনার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আশার বাতিঘর। স্বয়ংসম্পূর্ণ এই আধুনিক টার্মিনালটি আমাদের বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে এবং নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য সহজতর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথও সুগম করবে। এটি বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, আমাদের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল সৌদি সরকার মনোনীত একটি স্বনামধন্য গ্লোবাল টার্মিনাল অপারেটর। এই টার্মিনাল অপারেটরকে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় মনোনীত করার জন্য আমি সৌদি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদি এবং অভিনন্দন জানাই। সৌদি সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বীকৃতি। তিনি আরও বলেন, আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। আরএসজিটিআই যে সুনামের সঙ্গে জেদ্দা পোর্ট টার্মিনালসহ অন্যান্য টার্মিনাল পরিচালনা করছে, সেই দক্ষতা এবং প্রযুক্তিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করবে বলে আমি আশা করি। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হবে। ফলে দেশের আমদানি-রপ্তানি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সি গেটওয়ে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম
দৈনিক রুপালি বাংলাদেশ’র কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান হলেন: শাহীন
গাইবান্ধায় মাদ্রাসার খাবার খেয়ে ১৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ,হাসপাতালে ভর্তি
মাধবপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা
ত্রিপুরারী দেবনাথ:
বালুদস্যুদের উৎপাতে ভাঙছে নদী-বাড়িঘর
আলোকিত ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-জলাশয় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদী ভাঙন তীব্র হয়েছে। নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন সড়ক, ব্রিজ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া বৈধ মহাল থেকেও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো। স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে নামমাত্র অভিযান চালিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে। ফলে বন্ধ হচ্ছে না বালুদস্যুদের উৎপাত। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মহিশবাথান, কালনা, কুমিরদহ গিয়ে দেখা গেছে, আত্রাই নদীতে কোনো চর না থাকলেও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদার বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে মহিশবাথান ঘাটের পশ্চিম পাড়ের ৫০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশপাশের কৃষি জমি। কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর অববাহিকায় মানিকপুর,কাকারা, ঘুনিয়া, শিকলঘাট, আমানপাড়া, বেতুয়া বাজার, বাটাখালী, করাইয়াঘোনা, রামপুর, পালাকাটা, বাঘগুজারা, কোনাখালী এবং হারবাং ছড়া খাল, ডুলাহাজারা বগাছড়ি খাল, খুটাখালীর ছড়া খাল, ফাঁসিয়াখালী ছড়া খালসহ অন্তত ২৭টি স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙন তীব্র হয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ভোলায় ভেদুরিয়া থেকে বাঘমারা হয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর গঙ্গাপুর ও লালমোহনের নাজিরপুর, গজারিয়া, চরফ্যাশনের নীলকমল ও ঘোষেরহাট পর্যন্ত ১৫টি পয়েন্টে ড্রেজিং করে বালু তোলা হচ্ছে। এছাড়া মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন বেতুয়া পর্যন্ত ১০ পয়েন্টে বালু তোলা হয়। কুষ্টিয়ার ৫ বালুমহাল থেকে অর্ধশত কোটি টাকার বালু হরিলুট করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ইজারাবিহীন এসব বালুমহাল থেকে প্রতিদিন প্রকাশ্যে শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে চলতি অর্থবছরে কুষ্টিয়ার বালুমহাল ইজারা খাত থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। বাগেরহাটের আন্ধারিয়া ও ছবাকী নদীসহ খাল ও জলাশয় থেকে অবৈধভাবে ভ‚গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রভাবশালীরা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল ইঞ্জিনকে স্থানীয় প্রযুক্তিতে ড্রেজার মেশিন বানিয়ে তা দিয়ে রাত-দিন নিরবচ্ছিন্ন বালু উত্তোলন করছে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারি নদী, খাল পার্শ্ববর্তী সরকারি সড়ক ও জমিতে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রযুক্তির ওই ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে পরিবেশ-প্রতিবেশের মারাÍক ক্ষতি হচ্ছে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কাজিরখিল এলাকায় খোয়াই নদী থেকে ব্রিজের ৫শ মিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীরক্ষা বাঁধ। ময়মনসিংহের ত্রিশালে কাঁঠাল ইউনিয়নের কালির বাজার সংলগ্ন ধলাইমান এলাকার একটি নতুন ঘাট দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে ওই ঘাট থেকে। জামালপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন স্থান থেকে ড্রেজার মেশিনে বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বালুদস্যুরা। নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে নদের দুইপাড়ের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ জামালপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌলি নদীতে অবৈধভাবে তিনটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পৌলি সেতু, আশ্রয়ণ প্রকল্প, বসতবাড়ি ও কাঠ বাগান হুমকির মুখে পড়েছে। হবিগঞ্জের বাহুবলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ছড়া, পাহাড় ও কৃষিজমি কেটে বালু উত্তোলন করে আসছে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন, এক্সেভেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করলেও অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা দমছে না।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৫ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
আশুগঞ্জে আমন মৌসুমের ধানচাল সংগ্রহ অভিযান শুরু
মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলতি মৌসুমের আমন ধান -চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ খাদ্য গোডাউন চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক। এ সময় আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, খাদ্য নিয়ন্ত্রক চিন্তামণি তালুকদার, উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সুলাইমান মিয়া, আশুগঞ্জ চাতারকল ব্যবসায়ী ইকবাল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তথ্য মতে, এ বছর মিল মালিকদের কাছ থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে ৪৪ টাকা কেজি ধরে ১৫ হাজার ৫৭৮ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল । ৪৩ টাকা কেজি দরে ১১হাজার ২৪৫ মেট্রিকটন আতপ চাল ও ৩০ টকা কেজি দরে ১৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলমান থাকবে। উল্লেখ্য, দেশের পূর্বাঞ্চলীয় সবচেয়ে বড় ধান ও চালের হাট ব্রাহ্মণবাড়ীর আশুগঞ্জে। এ হাটে হাওড় অঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ,হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ময়মনসিংহ থেকে প্রতিদিনই আসা ধান আশুগঞ্জে ৩ শতাধিক রাইস মিলে প্রক্রিয়াজাত করে চাল উৎপন্ন করে। এসব চাল দেশের বিভিন্ন স্থানের চালের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এছাড়া সরকারও তার প্রয়োজনে আশুগঞ্জ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ চাল সংগ্রহ করে থাকে ।
আলোকিত প্রতিদিন/০৫ ডিসেম্বর ২৩/মওম
ঠকবাজি চলছে গরুর মাংসের দাম নিয়েও
আলোকিত ডেস্ক:
গরুর মাংসের দাম নিয়ে ভোক্তার সঙ্গে চলছে ঠকবাজি। গত ৭-৮ মাস ধরে গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হলেও সম্প্রতি হঠাৎই সেই দাম নেমে যায় ৫৫০-৬০০ টাকায়। রাজধানীর খুচরা বাজার ও বিভিন্ন স্থানে একটু কম দামে মাংস বিক্রির খবরে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আর্থিক কষ্টে অনেকেই মাসের পর মাস এক টুকরো মাংসের দেখা পাননি। তাদের ভিড় বেশি। কিন্তু ৮০০ টাকা কেজির মাংস কেমন করে ২০০-২৫০ টাকা কমে গেল। তাও পূর্ব ঘোষণা ছাড়া। এ নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা গেল পেছনের রহস্য। মাংস বিক্রেতারা মানবিক কারণে বা মানুষের কষ্ট উপলব্ধি করে দাম কমিয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। বরং, এই দাম কমানোর পেছনেও রয়েছে ভাঁওতাবাজি। গরুর মাথা, কলিজা, চর্বি, পা ও হাড় মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করায় ক্রেতারা ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে মাংস পাচ্ছেন। বাস্তবে এটা এক ধরনের প্রতারণা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে। আগে দোকানে দুই থেকে তিনটি গরু জবাই হলেও এখন মূল্য কমিয়ে বিক্রি করায় ২০ থেকে ৩০টি গরু জবাই হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকায় একটি শক্তিশালী চক্র অতি মুনাফা করতে মাংসের দাম বাড়িয়েছিল। এখন বিক্রি কমায় নিজেরাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ফলে দাম কমিয়ে বিক্রি করছে। যে দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় এতেও তারা বাড়তি মুনাফা করছে। কথা হয় কাওরান বাজারের মাংস বিক্রেতা সুমনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটা ঠিক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি সম্ভব। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও সরকার সংশ্লিষ্টদের বারবার এই দাম নির্ধারণের কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা মাইকিং করেও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছেন। এতে ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। অনেক ক্রেতা, যারা মাংস কিনতে পারতেন না, তারাও গরুর মাংস কিনতে পারছেন। তবে বিক্রেতারা ক্রেতাদের সঙ্গে কারসাজি করছেন। যখন গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল তখন অনেক দোকানে বিক্রি কমে যায়। ফলে তারা বিক্রি বাড়াতে ঠকবাজির ছক তৈরি করেছে। তারা আগে ক্রেতাকে ৮০০ টাকা কেজিতে সলিড (থান) মাংস দিলেও এখন ৫৫০-৬০০ টাকায় সলিড মাংস দিচ্ছে না। তারা গরুর মাথার অংশ, চর্বি, পা, কলিজাসহ সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছে। শুধু চামড়া বাদে সব বিক্রি করে। কিন্তু ক্রেতা তা বুঝতে পারছেন না। তিনি জানান, ৮০০ টাকায় যখন ক্রেতা কিনতেন, তখন মাংসের বড় পিস টাঙিয়ে রাখা হতো। ক্রেতা যে টুকরা চাইতেন সেটা কিনতেন। এখন সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা নির্ধারণ করছেন বিক্রেতারাই। এক্ষেত্রে ভোক্তা ঠকছেন। লাভ যাচ্ছে বিক্রেতাদের পকেটে। ক্রেতা যদি ৫ কেজি মাংস কেনেন, সেখানে ৪ কেজি পাওয়া যাবে। তিনি জানান, গরুর মাংস বিক্রিতে সিন্ডিকেট আছে। সে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে কেজি ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি সম্ভব। এদিকে গত রোববার মাংস ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক সভায় গরুর মাংসের দাম নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকায় বিক্রির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় গরুর মাংসের দাম বাড়ছে। তিনি ব্যবসায়ীদের একক দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেন। সভায় শাজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল আহমেদ বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় তিনি আগে দিনে দু-তিনটি গরু জবাই করতেন। দাম কমিয়ে বিক্রি করায় এখন দিনে ৩০-৩২টি গরু জবাই করছেন। প্রতি কেজি মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। খলিল আরও জানান, বিক্রি কমে যাওয়ায় তার লাভও কমে গিয়েছিল। এখন দাম কমিয়ে বিক্রি করায় তার লাভ আগের মতোই হচ্ছে। মালিবাগের খোরশেদ গোস্ত দোকানের মালিক খোরশেদ আলম বলেন, গ্রামে গরুর দাম কমেছে। তাই দাম কমিয়ে মাংস বিক্রি হচ্ছে। গরুর বাজার আরও কিছুদিন নিম্নমুখী থাকলে মাংসের দাম আরও কমবে। তিনি বলেন, কদিন আগেও গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। তখন দিনে ৫০ কেজি মাংস বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। ৬০০ টাকায় বিক্রি করায় বেচাবিক্রি আগের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেড়েছে। আগে যেখানে তিনটি গরু জবাই হতো এখন সেখানে ২০-২৫টি গরু জবাই দিতে হচ্ছে। এতে বিক্রি বাড়ায় লাভও ভালো হচ্ছে। সঙ্গে ক্রেতাও কম দামে কিনতে পারছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন মাংসের দাম নির্ধারণে সভা করবে। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের অফিসে বৈঠক হবে। সেখানে ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম নির্ধারণ করে তা ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাবেন। ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রির জন্য একটি সিন্ডিকেট এতদিন কারসাজি করেছে। কিছুদিন আগে আমরা ঢাকার বড় মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারাও ভোক্তা সহনীয় মূল্যে মাংস বিক্রি করতে চেয়েছিল। আমি মূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে গিয়েছি। কিন্তু কেউ গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে উদ্যোগ নেননি। তিনি জানান, মূল্য নির্ধারণ করে দিলে ক্রেতারা আরও কম দামে গরুর মাংস খেতে পারবেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৫ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি