আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 545

ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, সেটিকে সমর্থন দেওয়া: রিজভী

আলোকিত ডেস্ক:
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার ও তাদের দেশের রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত, বাংলাদেশের জনগণ কেন তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন দিয়ে তারা (ভারত) বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রোববার ঢাকার বনানী এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তাদের (ভারত) উচিত বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, সেটিকে সমর্থন দেওয়া। ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা মূলত সমালোচনা করেন বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থানের। রুহুল কবির বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। প্রায় প্রতিদিন বিএসএফ সেখানে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। বাণিজ্যে ভারসাম্য না থাকার বিষয় উল্লেখ করে রুহুল কবির বলেন, তারা (ভারত) বাংলাদেশে একতরফা বাণিজ্য করলেও বাংলাদেশকে কোনো ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে তানারা না উপায়ে হাজারো কোটি টাকা রেমিট্যান্স নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তাদের সবকিছু উজাড় করে দিলেও প্রাপ্তির খাতা শুধুই শূন্য।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর ২৩/ এসবি

এইচএসসির ফল/ কমেছে পাসের হার, জিপিএ- ৫ নেমেছে প্রায় অর্ধেকে

আলোকিত ডেস্ক: 

কোভিড মহামারির পর প্রথমবারের মত পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পর্যায়ে পা রাখতে যাওয়া এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ৮.৬৭ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা কোভিড মহামারি আর বন্যার কারণে বিলম্বিত হয়েছিল। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া সেই পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। এই হিসাবে ২০২৩ সালের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ পয়েন্ট। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৬৭৮ জন।  ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষাও মহামারীর কারণে বিলম্বিত হয়েছিল। কম বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ; এক লাখ ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন পায় জিপিএ-৫। আর ২০২০ সালে মহামারীর কারণে পরীক্ষা হয়নি। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নে সবাই পাস করে, জিপিএ-৫ পায় এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় সার্বিকভাবে পাস করে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী পাঁচে পাঁচ জিপিএ পায়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ রোববার সকালে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান সরকারপ্রধানের হাতে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ হাতে তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাউস চেপে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। বেলা ২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বরাবরের মত এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। ২০২০ সালে দেশে মহামারির প্রকোপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করে, জিপিএ-৫ পান এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। ২০২১ সালের পরীক্ষা শুরুই হয় ডিসেম্বরে, যেখানে মহামানির আগে স্বাভাবিক সময়ে এপ্রিলে এ পরীক্ষা হত নিয়মিতভাবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সেবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়। ২০২২ সালের পরীক্ষা এগিয়ে আনার পরিকল্পনা থাকলেও বন্যার কারণে তা আবার পিছিয়ে শুরু হয় ৬ নভেম্বর থেকে। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় বিষয়, নম্বর ও সময় কমিয়ে। ফল প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। তিন বছর পর ২০২৩ সালে এসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা হয় ৭৫ নম্বরে। তবে এবারও বাগড়া দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এমনিতে প্রতিবছর সব বোর্ডের পরীক্ষা একসঙ্গে হলেও এবার প্রবল বৃষ্টি আর ঢলের কারণে তিন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় দেরিতে। তবে ফল প্রকাশ করা হল একসঙ্গেই। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ অগাস্ট, শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। আর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে ২৭ অগাস্ট শুরু হয়। জিপিএ-৫ কমল:  চলতি বছরের (২০২৩) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী। গতবারের পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। এবার গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে পাসের হারের এ তথ্য জানা গেছে। এবার সারা দেশে মোট পরীক্ষার্থী ছিল পৌনে ১৪ লাখ। পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা ফলাফল পাওয়া শুরু করেছেন। প্রত্যাশিত ফল পেয়ে অনেক অভিভাবক ফেসবুকে খুশির খবর শেয়ার করছেন।  কোন্ বোর্ডে পাসের হার কত:  এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি পাসের হার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে। ফলাফলে দেখা গেছে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী।  শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এবার সবচেয়ে বেশি পাসের হার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ৮০.৬৫ শতাংশ। এরপর ঢাকা বোর্ডে ৭৯.৪৪, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮.৪৫, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫.৩, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪.৪৫, সিলেট বোর্ডে ৭১.৬২, ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭০.৪৪ এবং যশোর বোর্ডে ৬৯.৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১.২৫ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ৮৩ হাজার ৬৮৭ জন। গত ১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর ২৩/ এসবি

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, এবার পাসের হার ৭৮.৬৪

আলোকিত ডেস্ক:

২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ শমিক ৬৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেন। এরপর পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসে জানা যাচ্ছে। ফলাফলে দেখা গেছে, সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থ। শুধুমাত্র ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। নয়টি সাধারণ বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এছাড়া বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর আগে সরকারপ্রধানের হাতে পরীক্ষার ফলের ‍অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের পরই বেলা ১১টা থেকে ফল জানতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টায় ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট। শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর।প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে ২৭ আগস্ট শুরু হয়। সবগুলো বোর্ডে একই দিনে পরীক্ষা শুরু না হলেও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। যাদের মধ্যে বিজ্ঞানের ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২ জন, মানবিকের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২ লাখ ১২ হাজার ২০৬ জন। মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ৩১ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর ২৩/ এসবি

সমুদ্রপথে ৫৮ রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়া পাচারের  চেষ্টাকালে গ্রেফতার ৪

হেলাল উদ্দিন টেকনাফ
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগাহছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁদের পাচারের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩টি শিশু রয়েছে। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজন হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৩), মো. জোবাইর (৩৫), নাজির হোসেন (৬১) ও রামিমুল ইসলাম (৩১)। তাঁরা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।  টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা বলে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বের করে এনে টেকনাফ সদরের দরগাহছড়াপাড়ার একটি ঘরে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ফাতেমা বেগম বলেন, পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। রোহিঙ্গা শিবিরে অপহরণ, মাদক ব্যবসা, খুনোখুনি পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের খাদ্যসামগ্রী কমিয়ে দেওয়ায় নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই তাঁরা পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।নুরুন্নেছা ও সমিরা বেগম নামের অপর দুই তরুণী বলেন, মালয়েশিয়ায় তাঁদের স্বামী রয়েছেন। এ জন্য তাঁরা সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন।ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি আরও বলেন, পুলিশের কয়েকটি দল এখনো পাচারকারীদের ধরতে মাঠে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের আদালতের মাধ্যমে নিজ নিজ আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ভোটে অংশ নিতে চাওয়া দলের সংখ্যা বাড়ছে

আলোকিত ডেস্ক:

আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠিত হচ্ছে বিরোধীদলগুলো। তবে, মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এখনও নির্বাচন প্রশ্নে দলকে ঐক্যমতে নিয়ে আসতে পারেনি। তাই তৃণমূলের নেতারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশনা না আসায়, তারা ঘোষণা দিতে পারছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরের ভাগ্য নির্ধারণে যদি বিএনপি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তবে তার কর্মী সমর্থকদের কী জবাব দেবে? গেলো পাঁচ বছরে আন্দোলনের প্রাপ্তি নিয়ে এরিমধ্যে হিসাব-নিকেশ শুরু করে দিয়েছে দলটির তৃণমূলের কর্মীরা। ২৮ অক্টোবরের সহিংস ঘটনা নিয়েও তাদের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আর মাত্র দেড় মাস বাকি। দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ভোটের পথে শামিল হয়েছে। পাইপলাইনে আরও আছে। আওয়ামী লীগ পুরোদমে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে। আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায় না হলেও, বিভিন্ন মহলের চাপে বিএনপিও নির্বাচনে আসতে চায়। এজন্য নানা দিকে দৌড়ঝাঁপ চলছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে শুধু নির্বাচন প্রশ্নে এক টেবিলে আনা যায় কীনা- সেই চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন মহল চাইছে, সমঝোতায় আসুক বিএনপি। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন ১৫ থেকে ২০ দিন পিছিয়ে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে পারে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাঠে এখন সক্রিয়। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাতের পর নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। এদিকে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।  ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের আশরাফাবাদ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শনিবার শূরা সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। দলটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কত আসন কীভাবে বণ্টন করা হবে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা সত্ত্বেও, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এদিকে এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের মতো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসা, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দল- জাতীয় পার্টি গত বুধবার ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। ৩০০ আসনেই দলটির প্রার্থীরা লড়বেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। দলীয় প্রতীক হিসেবে পেয়েছে নোঙর। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। যদিও তাদের তৎপরতা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত থেকে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও দলের নেতারা বলছেন, কারও ইন্ধনে নয়, সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হতেই নির্বাচনে যাবে, বিএনএম। এরই মধ্যে দলটিতে যোগ দিয়েছেন বিএনপি বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে ও পরীক্ষিত নেতা। এদিকে, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে নতুন জোট যুক্তফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে  গত বুধবার। আত্মপ্রকাশের দিনে দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। নতুন জোটে থাকা দলগুলো হলো– বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাত ঘড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল (হাতপাঞ্জা), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল প্রতীক)। সংবাদ সম্মেলনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নতুন জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত হয়েছি।  তিনি বলেন, এর জন্য আমরা একটি বড় ঝুঁকি নিচ্ছি। অতীতেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বড়-ছোট দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মাঠে দাবি আদায়ে সফল না হয়ে, বিকল্প পন্থায় ভোটে অংশ নিয়ে অবদান নিতে চাই। আশা করছি, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ‘পেরে উঠছেন না’ জানিয়ে কল্যাণ পার্টির প্রধান বলেন, ১৬ বছরে অনেকেরই যোগ্যতা ও সাহস থাকার পরও সংসদে যেতে পারেনি। আমাদের সিদ্ধান্ত কারও পছন্দ হবে বা হবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য সংকটময়। ইবরাহিমের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠনের দু’দিন আগে খোদ বিএনপিতেই ভাঙন ধরেছে। দলটি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নেতৃত্বে এসেছেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনএম। এর আগে বিএনপির সাবেক দুই নেতাকে সামনে রেখে ২০২১ সালে ৭ জুলাই গঠিত হয় বিএনএম। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুর রহমান। বর্তমানে তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন। দলটি বলছে, শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগেরও অনেকে তাদের দলে আসবেন। বিএনএম’র মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান বলছেন, শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক জনপ্রিয় নেতাসহ দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ও সমাজে পরিচিতি রয়েছে এমন অনেকেই বিএনএমের আসতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, যাদের আমাদের দলের নীতির সঙ্গে মিল রয়েছে, সৎ, সাহসী, নির্ভীক, দুর্নীতিমুক্ত, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রয়েছে তাদেরই আমরা দলে রাখছি। দলছুট বা বাগাতে পারি বিষয়টা এরকম না। তবে এটা সত্য বিএনপি থেকে আপাতত বেশি আসছে এবং সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আসছে। তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি! তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি! বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেনে উঠুন, আর না হয় কলার ভেলায় চড়ে সাগরে ভেসে যাবেন। বাংলাদেশে আর ‘৭৫ বা ‘৮২ বা ১/১১-এর মতো ভূতের সরকার, সামরিক সরকার হবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি, আসবে না এমন পরিস্থিতিতে তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলের অনেক নেতা বিভিন্ন দলে যোগ দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকা নেতাদের মধ্যে বেশ ক’জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ভোটে মাঠে সক্রিয় হয়েছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ নভেম্বর ২৩/ এসবি

গাজায় যুদ্ধ বিরতির পর কী হবে গাজায়!

                       মুক্তি পেল ১৩ ইসরায়েলি,৩৯ ফিলিস্তিনি

 

  • যুদ্ধবিরতি শেষ হলে গাজা নিয়ন্ত্রণে লড়াই আবার শুরু হবে; আর সেটি আরও এক সপ্তাহ বা দশ দিন ধরে চলতে পারে বলে জানাচ্ছেন ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা
  • কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল হামাসের মধ্যে হওয়া এক চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময় হয়

৭ সপ্তাহের যুদ্ধে ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানির পর শুরু হয়েছে মাত্র চার দিনের যুদ্ধবিরতি, যার প্রথম দিনে গাজায় হামলা-আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। এই যুদ্ধবিরতি নির্ভর করছে ইসরায়েল-হামাসের বন্দি বিনিময়ের ওপর। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে বন্দি শিশু ও বয়স্ক নারীসহ ১৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে, এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনি। রেড ক্রস মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলিদের গাজা থেকে প্রথমে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিশরে নিয়ে যায়, সেখানে মিশরীয় এক হাসপাতালে তাদের মেডিকেল চেকআপ করা হয়। এখানে থেকে হেলিকপ্টারে করে তাদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া এসব ইসরায়েলির মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ৯ বছর বয়সী চারটি শিশু এবং ৮৫ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের তৈরি করা ৩০০ জন নারী ও শিশুর একটি তালিকা থেকে এদের বেছে নেওয়া হয়। এই দলে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন কিশোর রয়েছেন। তাদের ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লাহর কাছে বেইতুনিয়া চেকপয়েন্টে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ। মুক্তি পাওয়ার পর একটি বাস এই ফিলিস্তিনিদের বহন করে গন্তব্যে নিয়ে যায়। বাসটি যখন এগিয়ে যাচ্ছিল রাস্তার দুইপাশে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। এ সময় বাসটির জানালা দিয়ে দেখা যায়, মুক্তি পাওয়া কিছু ফিলিস্তিনি নাচছেন, একজন গায়ে ফিলিস্তিনি পতাকা জড়িয়ে রেখেছেন। বাইরে জনতা মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে আওয়াজ তুলছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন হামাসের পতাকাও দোলায়। ভয়াবহ একটি যুদ্ধের মধ্যে বিজয় উদযাপনের একটি মুহূর্ত তৈরি হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া এক চুক্তির আওতায় এদের মুক্তি দেওয়া হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধরত পক্ষ দুটির মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে। শুক্রবার গাজার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, যা সোমবার পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলিরা ফেরার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, এখন আমাদের জিম্মিদের মধ্যে প্রথম কয়েকজনকে ফিরিয়ে আনা সম্পন্ন করেছি আমরা। শিশু, তাদের মা ও অন্য নারীরা ফিরে এসেছে। তাদের প্রত্যেকে এক একটি পুরো বিশ্ব। কিন্তু আমি জোর দিয়ে বলছি, এই পরিবারগুলোকে ও আপনাদের- ইসরায়েলের নাগরিকদের: আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির পাশাপাশি মিশরের মধ্যস্থতায় তাদের হাতে বন্দি থাকা থাইল্যান্ডের ১০ নাগরিক ও ফিলিপিন্সের এক নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তবে হামাসের হাতে থাইল্যান্ডের আরও ২০ জন নাগরিক বন্দি আছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বন্দি এসব থাই নাগরিকদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করা হবে এবং তাদের শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা। পাশাপাশি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া থাই নাগরিকরা ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পর দেশে ফিরে যাবে।  কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালে মোট ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে বন্দি থাকা ১৫০ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা সবাইকে হতবাক করে দেয় এবং সাধারণ ইসরায়েলিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। সেই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস। এরপর মাত্র ৫ জন মুক্তি পেয়েছিল। হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় ১৪ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু। এরপর কী হবে:   ৪ দিন বিরতির মেয়াদ যদি না বাড়ে, তাহলে চারদিন পর কী ঘটবে, সেটিই এখন প্রশ্ন। বিবিসি লিখেছে, গাজা শহরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সম্ভবত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষ হলে গাজা নিয়ন্ত্রণে লড়াই আবার শুরু হবে। আর সেটি আরও এক সপ্তাহ বা দশ দিন ধরে চলতে পারে বলে জানাচ্ছেন ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলার মধ্যে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছে লাখো মানুষ। সেখানে থাকতে পারে হামাস যোদ্ধারাও। হামাসের আস্তানা যেখানেই পাবে, সেখানেই আক্রমণ চালাবে ইসরায়েলি বাহিনী। আবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণে অভিযানের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী যদি দক্ষিণে মনোযোগ দেয়, তবে মানবিক সংকট যে আরও বাড়বে,  তাতে সন্দেহ নেই। ইসরায়েল মনে করছে, হামাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইয়াহা সিনওয়ার ও মোহাম্মদ দেইফ দক্ষিণে কোথাও আছেন। সেইসঙ্গে হামাসের অনেক যোদ্ধা ও জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিকরাও সেখান আছে। দেশটি উত্তর গাজায় এতদিন ধরে যা করেছে, যদি সেটি দক্ষিণেও করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পশ্চিমা বিশ্ব- বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে, সেটিও একটি প্রশ্ন। এদিকে গাজার শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণের আল-মাওয়াসি এলাকার বালুকাময় মাঠে তাবু পেতেছে। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা বলছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলে গাদাগাদি করে। সেখানে পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে। ১০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে স্কুল, হাসপাতালে ও তাবুতে। শীতকালীন বৃষ্টি ইতোমধ্যে ওই এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগ আরও চরমে উঠেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে আল-মাওয়াসি এলাকাকে তথাকথিত ‘নিরাপদ এলাকা’ বলছিলেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। মাওয়াসি মূলত ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের সরু কৃষিভূমি। কাছেই মিশর সীমান্ত। গত সপ্তাহে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালানোর খবর প্রচার করা হয় লিফটলেটের মাধ্যমে। সেখানকার বাসিন্দাদের পশ্চিমে সাগরের দিকে সরে যেতে বলা হয়। গত বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই বলেন, আল-মাওয়াসি গাজাবাসীর জন্য উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু যখন এর কাছেই যুদ্ধ চলছে, তখন এই এলাকায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষের আশ্রয় নেওয়াটা কতটা বাস্তবসম্মত? সেই সঙ্গে আল- মাওয়াসির পরিবেশই বা কতটা উপযুক্ত? বিবিসি জানিয়েছে, মানচিত্রে ওই এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাঠ, গ্রিনহাউজ আর বিক্ষিপ্তিভাবে ছড়িয়ে থাকে কিছু বাড়িঘর দেখা গেছে। ইসরায়েলের হিসাবে ওই এলাকাটি আড়াই কিলোমিটার চওড়া, আর লম্বায় প্রায় ৪ কিলোমিটার। ফিলিস্তিন বিষয়ক ইসরায়েলের প্রাক্তন এক উপদেষ্টা মাইকেল মিলশটাইন বলেন, সেটি সুন্দর আর কার্যকরী জায়গা। কিন্তু বেশ ছোট। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলিয়েট টুমা বলেন, আল-মাওয়াসি খুব ছোট জায়গা। কিছুই নেই সেখানে। কেবল বালিয়াড়ি আর পামগাছ রয়েছে। হাজারো বাসিন্দাদের এমন একটি জায়গায় সরিয়ে নিলে, যেখানে অবকাঠামো নেই, হাসপাতাল নেই, জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র নেই…তাহলে বিশাল মানবিক সংকট তৈরি হবে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, রাফাহ ক্রসিং থেকে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে আল-মাওয়াসিতে সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়টি নির্ভর করবে সহায়তা সংস্থাগুলোর ওপর। তবে বাস্তবে সেটি কীভাবে সম্ভব হবে, সে ব্যাপারে কিছু বলেনি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। গাজাবাসীদের জন্য আরও নিরাপদ এলাকা খুঁজতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। গাজা থেকে আরও দক্ষিণের দাহানিয়া এলাকার কথাও সম্ভববত বিবেচনা করা হচ্ছে। জিম্মিদের মুক্তি চুক্তির শর্তের অধীনে প্রতিদিন গাজায় ২০০ ট্রাক সাহায্য পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ইসরায়েলের। আর এখন ইসরায়েল গাজাবাসীর নিরাপদ আশ্রয়স্থলের যে কথা বলছে, তা গত ১৬ নভেম্বর ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তা প্রদানের সঙ্গে জড়িত ১৮টি জাতিসংঘ সংস্থা ও এনজিওগুলোর প্রধানদের দেওয়া বিবৃতির পুরো বিপরীত। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গাজায় কোনো ‘নিরাপদ এলাকা’ তৈরিতে অংশ নেব না, যেগুলো সব পক্ষের চুক্তি ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর বিবৃতিতে আল-মাওয়াসির নামোল্লেখ না করে বলা হয়, ইসরায়েলের একক প্রস্তাব অনেকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে ‘দুর্যোগের রেসিপি’ বলে অভিহিত করেছেন। এমন ছোট এলাকায় (আল-মাওয়াসি) এতগুলো মানুষকে একত্র করলে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হবে। সেখানে তেমন অবকাঠামো কিংবা সেবার ব্যবস্থা নেই।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ নভেম্বর ২৩/ এসবি

শিবচরে রেলগাড়ীর ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের

মোঃ রাশেদুল ইসলাম (রাসেল) :

ঢাকা-ভাঙা রেলপথে বেনাপোল এক্সপ্রেস নামক একটি ট্রেনের ধাক্কায় কেড়ে নিলো ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরের প্রাণ! গত শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, রাত ৮.০৫ মিনিটের দিকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর গোল চত্বর রেল ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত কিশোর মাদবরেরচর (লপ্তিকান্দি) গ্রামের মোঃ হিরো খাঁন এর ছেলে মোঃ ইব্রাহিম খাঁন (১৫)। তিন ভাই-বোনের মধ্যে নিহত কিশোর তাদের বড় ছেলে। নিহত ইব্রাহিম মাদবরেরচর আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাঁর অকাল মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের তার সহপাঠী এবং শিক্ষকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত ৬/৭ মাস আগে ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে তাকে একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দিয়ে ছিলাম। পাঁচ্চর এলাকার পাশেই বাড়ি হওয়ায় সুযোগ পেলেই ওইখানে ঘুরতে যেতো। বরাবরের মতো গতকাল সন্ধ্যায় বেইলি ব্রিজ নামক এলাকায় খিচুড়ি খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলো (সেখানে সন্ধার পর থেকে বেচা-কেনা শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলমান থাকে), কিন্তু সে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলো! স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ঘটনাস্থলে তাঁর  সাথে নাসিরের মোড় নামক গ্রামের মোঃ বতু খাঁনের ছেলে, মোঃ জোনায়েদ খাঁন(১৫), এবং মোঃ তোতা মাদবরের ছেলে মোঃ রাজু মাদবর (১৫) নামের দুইজন বন্ধু ছিলো, তবে তারা অক্ষত আছে। তাঁরা সবাই একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।

ইব্রাহিমের দুই বন্ধু বলেন, আমরা তিন বন্ধু খিচুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে রেললাইনের উপর দিয়ে হেঁটে গল্প করতে করতে বেইলি ব্রিজের দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ ট্রেনের শব্দ পেয়ে দুইজন একদিকে সরে যাই আর সে অন্যদিকে চলে যায়। গাড়ি যাওয়ার পর তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশেই ইসলামিয়া হসপিটালে নিয়ে গেলে, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে হস্তান্তর করেন। পরে জানতে পারলাম, পথিমধ্যে সে মারা গেছে।

গত ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইনটি চলাচলের জন্য শুভ উদ্বোধন করেন। সংবাদ পেয়ে (২৫ নভেম্বর সকালে) শিবচর থানার এস আই শুভ তার একটা টিম নিয়ে ঘটনাস্থল এবং নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেন। ভাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস আই মোঃ নজরুল ইসলাম আমাদেরকে জানায়, গতকাল (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬.০০ টার সময় বেনাপোল এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে, আনুমানিক ৮.০৫ মিনিটের দিকে পথিমধ্যে ওই দূর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আমার একটি টিম নিয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

২৫ নভেম্বর ২০২৩

বগুড়ার ৭ আসনে কারা হবেন নৌকার কাণ্ডারী

মাজেদুর রহমান :

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ এবং ১৭ ডিসেম্বর ২৩ এর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। যদিও বিএনপি ও সমমনা দল গুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে, কিন্তু সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সহ নির্বাচনমুখী দলগুলো ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছে। ব্যতিক্রম ঘটেনি বিএনপির আঁতুড়ঘর বগুড়াতেও।

বগুড়ার সাতটি আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারী হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৫৩ জন প্রার্থী। তবে শেষ পর্যন্ত কোন আসনে হবেন নৌকার কান্ডারি সে অপেক্ষায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর ২০২৩) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তালিকা করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা আগামীকাল (২৬নভেম্বর ২৩) প্রকাশ করবে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বগুড়া ১ ও ২ আসনে সবচেয়ে বেশি নৌকার মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন নির্বাচন প্রত্যাশীরা।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) এ আসনে নয়জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাহাদারা মান্নান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান শ্যামল, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান লিজন ও সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মেধা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাজাদী আলম লিপি।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) এ আসন থেকেও নয়জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল রহমান রাজু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবাশ্বার হোসেন স্বরাজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফাহিমা আকতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ফকির।

বগুড়া-৩ (আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া) এ আসনের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আট জন। তারা হলেন আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তবিবর রহমান তবি, আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অজয় কুমার সরকার, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রূপা, আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদা সুলতানা তৃপ্তি, দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম ও প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেরদৌস হাবিব।

বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) এ আসন থেকে পাঁচজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এএনএম আহছানুল হক ও তৌহিদুল করিম কল্লোল।

বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট) এ আসন থেকে আটজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআই নুরুন্নবী তারিক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ সামস-উল-আলম জয়, সাবেক সহকারি এ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা, তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান নূরে খোদা মুঞ্জু, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য আল-আমিন মন্ডল ও এমএ হান্নান।

বগুড়া-৬ (সদর) এ আসন থেকে ছয়জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সাবরিন পিংকী।

বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর) আসন থেকে আটজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বিএমএ ও স্বাচিপ বগুড়ার সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাবতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন, শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, বগুড়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা এবং বগুড়া জেলা জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা কমিটির সদস্য সচিব শামীমা আকতার জলি।

২৫ নভেম্বর ২০২৩

 প্রতিবন্ধী নারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা নিশ্চিতে গনমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

“বাইরে থেকে দেখে প্রতিবন্ধীতার বিচার করা চূড়ান্ত এক বোকামি। কারণ আমাদের এই চামড়ার চোখের দেখার বাইরেও অনেক কিছু লুপ্ত থাকে।

– রবার্ট এম হ্যানসেল।”

মাজেদুর রহমানঃ ফাউন্ডেশন ফর এ জাস্ট সোসাইটি এর তথ্য মতে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ।সেই হিসাবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯ থেকে ১৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ।যারা আমাদের পরিবার কিংবা সমাজে বরাবরই অবহেলিত, নিগৃহীত,সহিংসতার শিকার।এর পেছনে বেশ কতগুলো উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে।অন্যায়কারীরা ভাবে প্রতিবন্ধী নারীরা দূর্বল,অসহায়, অন্যান্যরা বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা নেই, এডভোকেসি করার মতো কেউ নেই,আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল।প্রতিবন্ধীদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বা সহায়তা করে যাচ্ছে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তার মধ্যে উইমেন উইথ ডিজএ্যাবিলিটি ডেভেলপমেন্ট  (ডাব্লিউডিডিএফ) একটি। ২৫ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার, উইমেন উইথ ডিজএ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (WDDF) এর উদ্যোগে,উইমেনস ফান্ড এশিয়া’র আর্থিক সহায়তায়, বগুড়ার রেড চিলিস রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউসের কনফারেন্স হলে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবন্ধীতা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার জন্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ ও ক্যামেরা পার্সন হয় প্রায় ৩০জন উপস্থিত ছিলেন।আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা প্রাপ্তি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন সভার সভাপতি,ডব্লিউডিডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি।একই সাথে ডাব্লিউবিডিএফ এর কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধকতার ধরণ, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সমাজের ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি,টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিভিন্ন গোল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন সমাজ নিয়ে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।একই সাথে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ২১টি অধিকার,প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় বা সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তি ও মামলা বা অভিযোগ করার ক্ষেত্র এবং এধরনের অন্যায় সংগঠিত হলে ডব্লিউডিডিএফ কি ধরনের ভূমিকা এবং সহায়তা প্রদান করে থাকে সে বিষয়গুলো  তুলে ধরেন। সেই সাথে প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহনীয় ও উপযোগী পরিবেশ প্রস্তুত,তাদের প্রতি সংঘটিত যে কোন বৈষম্যরোধ,জনসচেতনতা তৈরীতে সহযোগিতা সহ প্রতিবন্ধীদের সমাজে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে মিডিয়া প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশ করতে আহ্বান জানান। তাছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু ভাষার ব্যবহার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি’ উল্লেখ না করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হিসেবেই গণমাধ্যমে প্রচার করতে আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে ইতিবাচক পন্থায় কাজ করে যাচ্ছে। তারপরেও বগুড়াসহ সারাদেশে এখনো প্রতিবন্ধী জনগগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ তাদের অধিকার ও আইন সম্পর্কে অজ্ঞ যারা সচেতনতা ও সহযোগিতার অভাবে নানা স্থানে অবহেলিত হচ্ছে। এদের মাঝে অনেকে এখনো কর্মমুখী হতে পারেনি।যাদের মাঝে স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করা গেলে তারাও দেশের সম্পদে পরিণত হবে। সংস্থাটির কর্মসূচি সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় ও সংস্থার বগুড়া শাখার কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল পরিচালনায় সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন আলী রাজু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুর রহমান টুলু, আরটিভি বগুড়ার প্রতিবেদক জিএম সজল, আমাদের কণ্ঠের ফজলে রাব্বী ডলার, সময় টিভির প্রতিবেদক জুম্মান সাদিক জ্যাভলিন, দৈনিক চাঁদনী বাজারের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুস সালাম, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার জজিফ হোসেন প্রতীক, মোহনা টিভির প্রতিনিধি আতিক রহমান, দেশ টিভির বগুড়া প্রতিনিধি সঞ্জু রায়, ঢাকা পোস্টের বগুড়া প্রতিনিধি আসাফউদ্দৌলা নিয়ন,দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন’র বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদুর রহমান,রাইজিং বিডির এনাম আহম্মেদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের অরুপ রতন, দৈনিক সমকালের আব্দুল আওয়াল, এনসিএন এর রিপোর্টার ববিন রহমান, উত্তরাঞ্চলের খবরের এমআই মিরাজ প্রমুখ। বক্তারা বগুড়া অঞ্চলে ডাব্লিউডিডিএফ এর সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ইতিবাচক কাজের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। এছাড়াও তারা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির শিক্ষা, আইনি সহায়তা ও কর্মমুখীকরণে আরো দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টদের যে কাজে প্রত্যেকে তাদের নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। সেমিনারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সংস্থার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপজেলা সমন্বয়কারী গোলাম কিবরিয়া। সেমিনারে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নির্বাচনে এলে বিএনপির অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মো: মহিদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জালাও-পোড়াও করলে কখনো ভোট আসে না। মানুষের ক্ষতি করে, হত্যা করে কখনো ভোট পাওয়া যায় না। আপনারা জানেন নির্বাচনে আসলে আপনাদের বহু লোকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে এই বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের পাশের মাধ্যমে। আপনাদের ক্ষমতায় আসার কোন সুযোগ নাই। আপনারা এটা জানেন বিধায় নির্বাচনে আসেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের জনগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ক্ষমতায় আসতে চান। এত সহজ নয়, এই সরকার এবং এই আওয়ামীলীগ এই দেশ স্বাধীন করেছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথে আছে,দেশের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আছে। এবং এই সরকার মজবুত অবস্থায় আছে। কারণ তারা মানুষের আস্থা, ভালোবাসা নিয়ে আছে। তাই তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলার শক্তি আপনাদের নাই। আপনারা নির্বাচনে আসুন এবং সন্ত্রাসের পথ পরিহার করুন,জালাও-পোড়াও বন্ধ করুন। নির্বাচনে আসুন, শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হোক আমরা এটাই আশা করি।সভায় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আরশেদ আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্য আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. গোলাম মহিউদ্দীন, পৌরসভার মেয়র মোঃ রমজান আলী,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক খান তুষার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান জনি, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মৃদলা রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিবুল ইসলাম ত্রয়ো,সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ  ছাত্রলীগের  সভাপতি নাদিম হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক অভিজিৎ সরকার, যুগ্ন আহবায়ক কম্পন সহ আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি