আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 549

দেশে বাড়ছে বিদেশি প্রতারক

আলোকিত ডেস্ক:

বাংলাদেশে বিদেশি প্রতারকদের একাধিক চক্র ধরা পড়েছে সম্প্রতি। এই এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রধানত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তারা অনলাইন প্রতারণাসহ নানা ধরনের আর্থিক অনিয়ম জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য এইসব চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকরাও যুক্ত। তারা দেশে বা বিদেশে থেকে বাংলাদেশি অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণায় সহায়তা করেন। কেউ কেউ চক্রের নেতৃত্বও দেন। গত বছরের অক্টোবর  মাসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ এমন একটি প্রতারক চক্রের সদস্যদের আটক করেছে যে চক্রে দেশি এবং বিদেশি দুই ধরনের নাগরিকই আছে। আটক ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং ছয় জন বাংলাদেশি। এই চক্রের মূল হোতা বিপ্লব নামের একজন বাংলাদেশি নাগরিক। এই চক্রটি বাংলাদেশি নাগরিকদের সাথে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে দামি  উপহার ও ডলার পাঠানোর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তারা তাদের ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বিশেষ করে ইউরোপ-অ্যামেরিকার  নাগরিকদের ছবি ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে পার্সেলের মাধ্যমে দামি উপহার, ডলার পাঠানোর কথা তার ছবি তোলা হয়। প্রতারক চক্রের সদস্যরা আবার বাংলাদেশে নিজেদের কাষ্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই দামি পার্সেল ছাড় করানোর জন্য মাশুল হিসবে টাকা আদায় করত। তাদের কাছ থেকে পুলিশ কাস্টমস কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়পত্রও উদ্ধার করেছে। আবার কথিত ডলার পাঠিয়ে তা গ্রহণ করতে মোটা অংকের টাকা আদায় করত। পার্সেলের ডলার গ্রহণ না করলে মামলার ভয়ভীতিও দেখাতো। তারা ১০ বছর ধরে এই প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন বলে দাবি করেন গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার কথা বলেও প্রতারণা করে আসছিলো। প্রতারণা অপরাধের যত ধরণ: গত বছর ৩০ আগস্ট ঢাকায় ক্যামেরুনের এক নাগরিককে আটক করা হয়। সেও একই কৌশলে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে দামি উপহার ও ডলার পঠানোর নামে প্রতারণা করে আসছিলো। সে পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করলেও তার বৈধ ডকুমেন্ট ছিল না। গত বছরের ১২ জানুয়ারি  সাত জন নাইজেরিয়ান ও দুইজন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। কিছু নাইজেরীয় নাগরিক টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে দামি উপহার ও ডলার পাঠানোর নামে প্রতারণায় যুক্ত। গত এপ্রিলে ১১ জন বিদেশি নাগরিক ও তাদের বাংলাদেশি সহযোগিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার  করে সিআইডি। ১১ বিদেশি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তারা ‘ডলার ট্রিক’ বক্স নামে একটি বাক্স থেকে ডলার তৈরি দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে বিপূল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের প্রতারণার কৌশলটি হলো বাক্সে যত পরিমাণ টাকা ঢোকানো হবে তত ডলার বেরিয়ে আসবে। বিদেশিরা এই প্রতারণা ছাড়াও নকল পণ্য তৈরির সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছেন। গত ডিসেম্বরে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে নামী ব্র্যান্ডের বিপূল পরিমাণ নকল সেলাই মেশিনসহ দুই চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি  ঢাকার  শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তিন কেজি হোরোইনসহ  গ্রেপ্তার করা হয় আফ্রিকার বাতসেয়ানার এক নারীকে। প্রতারণার শিকার পুলিশও: গোয়েন্দা  বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান  জানান, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তাদের স্ত্রীরাও এই বিদেশি প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছে। এক নারী তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যাও করেছেন। একজন ৭৮ লাখ টাকা খুইয়েছেন। সংসার ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও আছে। তকে মূলত লোভী লোকজনই এদের শিকার হন। তিনি বলেন, তারা প্রধানতঃ বিনিয়োগ, ডলার তৈরি করে দেয়া এবং দামী উপহার পাঠানোর নামে প্রতারণা  করে। এছাড়া তারা মাদক ব্যবসা, এটিএম কার্ড জালিয়াতি এবং অনলাইনে আর্থিক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তারা মাদক ব্যবসাও করে। তবে এই  বিদেশি নাগরিকদের  প্রতারক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকেরা যুক্ত থাকেন। তারা প্রতারণা করার জন্য ফেসবুকে ইউএস আর্মি, বিদেশি কোনো পদস্থ ব্যক্তি, ব্যবসায়ীর ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি খোলে। আর বিদেশি নারীদের ছবিও তারা ব্যবহার করে। ফেসবুক ফ্রেন্ড হওয়ার পর প্রাথমিক তথ্য তারা ফেসবুক থেকেই পায় বলে জানান তিনি। তিনি বিনিয়োগ প্রতারণার উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার কথা বলে তার বড় অংকের ডলার পাওয়ার গল্প বানায়। এরপর ওই প্রকল্পে বাংলাদেশি প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। তারপর একপর্যায়ে ডলার পাঠানোর খরচ বা অন্য কিছু বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। এই বিদেশিরা বাংলাদেশে টুরিস্ট, স্টুডেন্ট বা বিনিয়োগ ভিসায় এসে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে প্রতারণা ব্যবসা শুরু করে। গত পাঁচ বছরে সিআইডি এইসব প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ৫৭টি মামলা করেছে। গ্রেপ্তার করেছে প্রায় দুইশ বিদেশি নাগরিককে। যাদের প্রায় সবাই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তবে পুলিশের সব সংস্থা মিলে মামলার সংখ্যা ১৫০টির বেশি হবে। গ্রেপ্তারে সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচশ’ বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, আফ্রিকান নাগরিকদের আরো বেশ কিছু প্রতারক চক্র বাংলাদেশে সক্রিয় আছে। তাদের আমরা আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এই প্রতারকদের সহযোগী বাংলাদেশি বেশ কিছু নাগরিককেও আমরা চিহ্নিত করেছি। এরা অল্প সময়ের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করে। তারা বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণায়ও যুক্ত হয়েছে। তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন চিকিৎসক, প্রকৌশলী শিক্ষকরাও। তারা হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান তৈরি এবং অনুদানের নামেও প্রতারণা করে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২৩/ এসবি

স্বস্তি মিলছে না টিসিবির পণ্যে

আলোকিত ডেস্ক:

একদিকে রাজনৈতিক অবরোধের উৎকণ্ঠা, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজার দর। সব মিলিয়ে দৈনন্দিন ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটে জিম্মি থাকা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা এখন ছুটছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলে। তবে রাজধানীতে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে পারছে না টিসিবিও। আর এতে টিসিবির পণ্য প্রত্যাশী অনেককেই হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। ট্রাকসেল থেকে পণ্য কিনতে ফ্যামিলি কার্ড বা স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজন হচ্ছে না। লাইনে দাঁড়িয়ে যে কেউ টিসিবির ট্রাকসেল থেকে পণ্য কিনতে পারছেন। এতে করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বল্প দরে ন্যয্যমূল্যে পণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পরছেন। রাজধানীর ৩০টি স্থানে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি জায়গায় টোকেনের মাধ্যমে ৩০০ জনকে পণ্য দেওয়া হয়। ট্রাকেও ঠিক সেই পরিমাণ পণ্যই থাকে। ট্রাক এলাকায় যাওয়ার আগেই ভিড় জমে যায়। আবার ট্রাক আসার খবর আশপাশে জানাজানি হলে আরও অনেকে ছুটে আসেন। ততক্ষণে টিকিট প্রায় শেষ। ফলে টোকেন না পেয়ে অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাকের পণ্য দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে না পেরে অভিযোগ তোলেন নানা অনিয়মের। তাদের প্রধান অভিযোগ, ট্রাক সেল থেকে পণ্য কিনতে আসা লোকজন সবাই ঠিকমতো পণ্য কিনতে পারছেন না। এছাড়াও একই ব্যক্তি একাধিক ব্যক্তির নামে পণ্য নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো কারখানার পেছনে, নাখালপাড়া এলাকা ও এফডিসি–সংলগ্ন এলাকায় টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রির স্থানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকালে ট্রাক আসার পরে টোকেন পেতে ক্রেতাদের হুড়াহুড়ি লেগে যায়। এরপর টোকেন নিয়ে সারিতে দাঁড়ান সবাই। টোকেন দেওয়া শেষ হলে শুরু হয় পণ্য বিক্রি। কিন্তু প্রথম দফায় পণ্য নিয়ে একদল ফিরে যাওয়ার সময় বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন দলে দলে আরও অনেকে ছুটে আসেন। মহাখালী সাততলা বস্তি থেকে নাবিস্কো কারখানার পেছনে পণ্য কিনতে আসা সত্তোরর্ধ চেনু মিয়া বলেন, ‘আমি প্রথম দফায় আসতে পারিনি। পরে দুপুরের দিকে এসে দেখি অনেক লোক। লাইনে (সারিতে) দাঁড়ালাম। আমাদের বলেছে পণ্য থাকলে দেবে। না পেলে চলে যাব। এই বৃদ্ধার মতো আরও অনেকেই টিকিটের জন্য অপেক্ষা করলেও তা পাননি। নাবিস্কো কারখানার পেছনে সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে দেখা গেছে, ১৮০ থেকে ২০০ জন পণ্য না পেয়ে ফিরে গেছেন। টিসিবি এবার টোকেনের ব্যবস্থা করায় ট্রাকে পণ্য বিক্রিতে আগের চেয়ে শৃঙ্খলা ফিরেছে। টোকেন না পেলে তাই কেউ কেউ অপেক্ষা না করে নিজেদের কাজে চলে যেতে পারছেন। আগে এই পদ্ধতি না থাকায় অনেকেই দিনভর অপেক্ষা করেও পণ্য না পেয়ে ফিরতেন। এবার অপেক্ষার বিড়ম্বনা কম। যদিও কমদামে পণ্য পেতে কিছু লোক অপেক্ষা করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ট্রাক সেলে ৩০০ জনের পণ্য আছে। আর লাইনে দাঁড়িয়েছেন দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ। অনেকেই আবার তাড়াহুড়া করে লাইন ছাড়াও পণ্য নিচ্ছেন। ক্রেতাদের ভিড় সামলানো কঠিক হয়ে পড়ে ট্রাকসেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। দুপুরে ছালমা বেগম নামের এক নারী বলেন, সকাল থেকে এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন তারা বলছে ট্রাকের সব পণ্য শেষ হয়ে গেছে। এতক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থেকেই কিছুই কিনতে পারলাম না। তারা যদি আগে বলতো তাহলে এতক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হতো না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুরাইন রেলগেট, মতিঝিল বক চত্বর, শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ড, খিলগাঁও রেলগেট, প্রেসক্লাবের সামনে, মালিবাগ রেলগেট, ফকিরাপুল বাজার,কাওরান বাজার টিসিবি ভবনের সামনে, সূত্রাপুর থানার পাশের এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় নিয়মিত ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য সেবা দিচ্ছে টিসিবি। প্রতিদিনই এসব ট্রাকসেলে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ক্রেতাদের দাবি, ট্রাকসেলের পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো হলে অনেকেই এই সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না। জুরাইনের ডিলার জাকির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, মানুষ পণ্য নিতে উপচে পড়া ভিড় করছেন। বিক্রির শুরুতে সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে। ৩০০-এর বেশি টোকেন দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সময়ে সময়ে এসে অন্তত ২০০ মানুষ টোকেন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সংখ্যাটা কখনো কখনো আরও বেশি হয়। কম দামে ভালো মানের পণ্য পাওয়ায় চাহিদা অনেকে বেড়েছে। নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণে টিসিবি দেড় বছর আগে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এরপর কার্ডের মাধ্যমে দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি চালু করে। বাজারের দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় নতুন করে এক সপ্তাহ ধরে খোলাবাজারে আবার পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। বাজারদরের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে পণ্য পাওয়ায় এবারের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। টিসিবি বর্তমান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এমন তথ্য দেন সংস্থাটির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘টোকেনের মাধ্যমে পণ্য দেওয়ার ফলে আগের চেয়ে শৃঙ্খলা এসেছে। আমরা আরও ভালোভাবে বর্তমান কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। পাশাপাশি সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানোর চিন্তাও আছে। টিসিবির পণ্য নেওয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তবে পণ্য পেতে আগের চেয়ে সময় বেশি লাগছে। কারণ, পণ্যগুলো দেওয়া হচ্ছে প্যাকেটে ভরে। ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে আসার পরে ডিলারের সহযোগীরা আলু ও পেঁয়াজের মতো মালামাল দুই কেজি করে মেপে প্যাকেটে ভরেন। ডাল ও সয়াবিন তেল অবশ্য মোড়কজাত করা থাকে। ডাল-পেঁয়াজ আগে থেকে প্যাকেট করে রাখলে ভোগান্তি একটু কমতো বলে মনে করেন ক্রেতারা। এফডিসি এলাকার ক্রেতা নাসিমা খাতুন বলেন, ‘টোকেন আগেভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু ঠেলাঠেলিতে পণ্য নেওয়ার সারিতে পেছনে পড়ে যাই। মালামাল প্যাকেটে করে দেওয়ার ফলে সময় বেশি লাগছে। একটু কম দামে পণ্য নেওয়ার জন্য এক বেলা রোদের মধ্যে অপেক্ষা করছি। মালামাল আগে থেকে প্যাকেট করে নিয়ে আসলে সুবিধা হতো। টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিলারেরা পণ্য বিক্রির আগের দিন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে থাকেন। পরদিন সকালে টিসিবির গুদাম থেকে ট্রাকে পণ্য ভরে সরাসরি বিক্রির জন্য নির্ধারিত স্থানে চলে যায়। এ জন্য আলু-পেঁয়াজ প্যাকেট করার মতো সময় থাকে না। যদিও ডিলাররা পর্যাপ্তসংখ্যক সহযোগী রেখে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। উল্লেখ্য, টোকেন পেলে একেকজন ক্রেতা টিসিবির ট্রাক থেকে দুই কেজি করে মসুর ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকায় এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। টোকেন পাওয়া প্রতিজন একটি প্যাকেজে ৪৮০ টাকার বিনিময়ে এসব পণ্য পেয়ে থাকেন, যা বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২৩/ এসবি

দিনাজপুরে আমন মৌসুমের ধান-চালের উদ্বোধন

পিসি দাস:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের) দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি কতৃক অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর শহরে পুলহাট এলএসডি খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ -২০২৩ -২৪ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানের পর দিনাজপুরে পুলহাট খাদ্য গুদামে কৃষক ইলিয়াছ আলী ও রবিউল ইসলাম দু’জনে ৬৮০ কেজি ধান এবং মনোয়ারা হাসকিং মিল, প্রোঃ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেনের নিকট থেকে ৬.৬৩০ চাল ও মেসাস অয়োন অটোরাইস মিল প্রোঃ মোঃ রফিকুল ইসলামের নিকট থেকে ৩৪. ৫০০ মে.টন চাল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ কামাল হোসেন, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হুমায়ুন রেজা ফারুক চৌধুরী, মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মোসাদ্দেক হুসেন, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস হোসেন চৌধুরী পাপপু, ডিডি এগ্রিকালচার, এসিএফ মোহন আহম্মেদ, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিল্পব কুমার সিংহ রায় , খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ। জেলা খাদ্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, সরকার দিনাজপুর জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমন মৌসুমে সিদ্ধ চাল ৩৭,৯৮১ মে,টন ও ধান ৯,৬৫০ মে, টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান চলবে। বস্তার জামানত বাবদ ৩০ কেজি ধারণ ক্ষমতার প্রতিটি বস্তার ক্ষেত্রে ৫৫ টাকা ও ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতার প্রতিটি বস্তার ক্ষেত্রে ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার এবার প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৪৪ টাকা মূল্য হিসেবে ক্রয় করবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২০২৩/ দ ম দ

নৌকার মাঝি হয়ে বগুড়া সদরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান শফিক

বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়া সদরের তরুণদের নিয়ে আগামী দিনের স্মার্ট বগুড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সাখাওয়াত হোসেন শফিক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমাত বিএনপি কর্তৃক নির্যাতিত, ত্যাগী ও সংগ্রামী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শফিক আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া ৬ সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্য তিনি দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার ধারাবাহিকতায় সারাদেশ এখন উন্নয়নের জোয়ার। দেশের সকল প্রান্তে পৌঁছে গেছে শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা। তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে সারা বিশ্বে পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরিত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবার স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরিত হবে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণদের সাথে নিয়েই বগুড়া সদর আসনকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দিনে বগুড়া সদরের তরুণদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরো বলেন, বগুড়া সদর আসনটি এখন আর কোন দলের ঘাঁটি হিসেবে নয় বরং শেখ হাসিনার উন্নয়নের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
সাখাওয়াত হোসেন শফিক দলীয় মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় বগুড়া সদর আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক দুঃসময়ের নির্যাতিত ও ত্যাগী একজন মানুষ। তিনি সবসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তার মতো একজন ত্যাগিনী তাকে বগুড়া সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে দল আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং সুষম উন্নয়ন সম্ভব হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২০২৩/ দ ম দ

প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে ১০টি অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ এবং বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ

আবু সায়েম :

প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে পরিচালিত ১০ টি অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জ এবং পেকুয়া থানার সহযোগিতায় পেকুয়া বাজার এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে স্থাপিত ১০ টি করাত কল উচ্ছেদ করা হয়। এসময় ২০৫ ঘনফুট বিবিধ প্রজাতির কাঠ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কাঠ এবং সমিলের বিভিন্ন সরঞ্জামদি বারবাকিয়া রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পেকুয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ টি অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করা হয়। এ পর্যন্ত বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন ২১ টি করাতকলের মধ্যে ১৪ টিতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন। অবৈধভাবে সমিল স্থাপন করে বন উজাড় করলে যতো বড় শক্তিশালী হোক না কেন অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে । বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

২৩ নভেম্বর ২০২৩

ওভারটেকিং করাকে কেন্দ্র করে ভিক্টোরিয়া কলেজ বাসে হামলা

দেবিদ্বার প্রতিনিধি:
গত ২১ নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীবাহী একটি কলেজ বাস শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজ থেকে বের হয়। এই বাসটি চলে কলেজ থেকে কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক হয়ে শেষ গন্তব্য কোম্পানিগঞ্জ বাস স্টেশন পর্যন্ত এবং কোম্পানিগঞ্জ থেকে বিভিন্ন মহাসড়কের পাশে স্টেশন থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজে আসে। কলেজ বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে চলন্ত অবস্থায় বুড়িচং থানাধীন পারুয়ারা এলাকায় পিছনে থাকা একটি প্রাইভেট কার ওভারটেকিং করতে চেষ্টা করলে কিন্তু কলেজ বাসটির তার সামনে গাড়ি থাকায় প্রাইভেটকার টি কে সাইট দিতে পারছিল না। কংশনগর বাজার এলাকায় ভিক্টোরিয়া কলেজ বাসটি পৌছালে কলেজ বাসের ড্রাইভারের সাথে প্রাইভেটকারে থাকা ড্রাইভার তর্কে জড়ান। প্রাইভেটকারের ড্রাইভার ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে কলেজ বাসের ড্রাইভারকে মারতে আসে। যার প্রাইভেটকার গাড়ির নাম্বার ঢাকা-মেট্টো গ ৪৯-০৮১৩।
যখন কলেজ বাসের ড্রাইভার কে মারতে আসে তখন বাসে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়। বাসে থাকা একজন বলেন: বাসাটি যখন আবার কংশনগর বাজার এলাকায় থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছিলো, গাড়িটি বেলা ৩:২০ মিনিটে দেবিদ্বার থানাধীন ভিরাল্ল এলাকায় পৌছালে তখন প্রাইভেট কারের মালিক মেইন রোডে ১০/১৫ জন বহিরাগত ব্যক্তি নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কলেজ বাসটি আটকে দেয় এবং বাসে ডুকে ড্রাইভার সহ শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করে ও গাড়িটিকে ভাংচুর করে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়, দু’জন শিক্ষার্থীর মোবাইল, মানিব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এসময় স্থানীয় লোকজনও ঘটনাস্থলে ছোটাছুটি করে আসেলে হামলাকারীরা আরো উত্তেজিত হয়ে যায়। হামলার খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানার দায়িত্বরত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। পরে ভিক্টোরিয়া কলেজ পরিবহণ কমিটির প্রধান, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজু আহাম্মদ কে জানানো হয়। গতকাল বুধবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকৃত মোবাইল, নগদ টাকা উদ্ধারসহ মারধরের উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে মোঃ মেহেদী হাসান (১৯) নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আসামি হলেন (সাঈদ- ২৩, শিপন-২২, রাসেল-২৩ এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৮/৯ জন।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন মিয়া জানান, বিষয়টি জানান সাথে সাথে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে প্রাইভোট কারের লোকজন পালিয়ে যায়। বুধবার শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করেছে। গাড়ি নম্বরের সূত্র ধরে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর খান জানায়, ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা মেনে নেয়ার মতো না।আমি বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক কুমিল্লার পুলিশ সুপার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি দেবিদ্বার থানার ওসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন এবং দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলেন।

কুষ্টিয়ায় হাইওয়ে থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিকাণ্ড

শোভন শুভ:
কুষ্টিয়ায় চৌড়হাস হাইওয়ে থানার সামনে রাখা একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া–ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলার আলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী মহাসড়কে হানিফ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। বাসটি উদ্ধার করে চৌড়হাস হাইওয়ে থানা–পুলিশ জব্দ করে তাদের থানার সামনে মহাসড়কের ওপর রাখে। ওই বাসে বুধবার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থল থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা আলোকিত প্রতিদিনকে জানান, বাসে আগুন ধরেছে, এটা ঠিক। নাশকতা না অন্য কোনো কিছু, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ঘটনাটি থানার সামনে ঘটেছে, তাই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগুন নিভে গেছ

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২০২৩/  দ ম দ

গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ শেরপুরের চরঅষ্টধর ইউনিয়নবাসী

বিশেষ প্রতিনিধি, শেরপুর 
আগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার পক্ষে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ। মঙ্গলবার শেষ বিকেলে  নারায়নখোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ক কর্মী সমাবেশে বক্তারা তাদের বক্তব্যে চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী-এঁর নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। এখানে অন্য কারো নেতৃত্ব চলবে না বলে তারা সাফ জানিয়ে দেন। আলোচনা সভাটি শেষ হয় রাত পৌণে ৮টার সময়। তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ্যদিনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী-এঁর নেতৃত্ব ছাড়া এই ইউনিয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জনবান্ধব আওয়ামী লীগের কোন ত্যাগী নেতা আছে বলে মনে করেন না। বক্তারা বলেন- বিএনপি অধ্যুষিত চরঅষ্টধর ইউনিয়নকে আওয়ামী লীগের দখলে রেখে জনগণের নিরাপত্তা ও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এই ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে শুরু করে আগেও গোলাম রব্বানীর বিকল্প ছিলো না, এখনো নেই; ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দেশপ্রেমিক এমন সাহসী ত্যাগী নেতা চরঅষ্টধর ইউনিয়নে তৈরী হবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলে দিবে। তারা আরো বলেন, যার হাত ধরে এই ইউনিয়ন আজ বিএনপির দখলমুক্ত হয়েছে, সাধারণ জনগণ হয়েছে সম্পূর্ণ স্বাধীন। ওই নেতার জীবদ্দশায় এই ইউনিয়নে হাইব্রিড জনশূণ্য কোন নেতার স্থান দেওয়া হবেনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-এঁর কথা অনুযায়ী উড়ে এসে জুড়ে বসার দিন এই ইউনিয়নে অনেক আগেই শেষ হয়েছে। চরঅষ্টধর ইউনিয়নবাসী উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো কোন স্বঘোষিত জনশূণ্য নেতাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আগেও মেনে নেয়নি, বর্তমানেও মানছেন না, ভবিষ্যতেও মেনে নিতে পারবেন না বলে বক্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় আগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মাঠে কাজ করতে ইউনিয়নের বর্ষীয়াণ নেতা চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী-এঁর নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তারা। গোলাম রব্বানী ছাড়া অন্যকারো নেতৃত্ব এই ইউনিয়নের জনগন মানবেন না বলেও বক্তারা কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে তাদের বক্তব্যে জানান। বক্তারা আরো বলেন, অগ্রহযোগ্য বা স্বঘোষিত কোন নেতার নেতৃত্ব এই ইউনিয়নের জনগন মানতে পারেনা বলেই, ফেইসবুকে প্রকাশিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে ৪০ জন নেতা নিজ নিজ পদ-পদবী থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। যার অনুলিপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি, জাতীয় সংসদের উপনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর বা জায়গায় প্রেরণ করা হয়েছে। অগ্রহনযোগ্য ঘোষিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির পদত্যাগী সহ-সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মাস্টার-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভা ও কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ্যদিনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী। ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সজল সরকারের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জনগন কর্তৃক প্রত্যাখান করা ঘোষিত কমিটির পদত্যাগী সহ-সভাপতি উমর ফারুক, পদত্যাগী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান খান, পদত্যাগী সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফজল হক, পদত্যাগী সদস্য শরীফুজ্জামান রিপন সরকার, আব্দুল মান্নান, এহসান জিল্লুর রহমান, শাজাহান আলী ও গোলাম সারোয়ার তারেকসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর মজিদ, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব খান, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সজল সরকার, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক ও সহ-সভাপতি আজিজুল হক, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফা, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ অনেকে। আগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভা ও কর্মী সমাবেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আমন্ত্রীত নেতৃবৃন্দসহ নৌকা প্রেমী স্থানীয় দুইশতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত জনগণ কিছুক্ষণ পর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাতকে শক্তিসালী করতে নৌকার পক্ষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে বার বার এলাকা মাতিয়ে তুলেন। তাছাড়া- ‘আওয়ামী লীগ সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা’র সরকার, বাববার দরকার’, ‘নৌকা মার্কার সরকার, বারবার দরকার‘, ‘মতিয়া চৌধুরীর সরকার, আবারো দরকার‘, ‘গোলাম রব্বানীর সরকার, আমাদের দারকার’। ‘গোলাম রব্বানীর নেতৃত্ব মানছি, সারাজীবন মানব। ‘জনশূণ্য নেতার নেতৃত্ব চলবে না, স্বঘোষিত নেতার নেতৃত্ব চলতে দেওয়া হবে না’। ‘জনগনের প্রত্যাখান করা কমিটির নেতৃত্ব, আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দেওয়া হবে না, হতে পারে না’। ‘আমাদের নেতৃত্বে নৌকার জয়, হবেই হবে নিশ্চয়’। প্রতিবার উপস্থিত জনগণের শ্লোগানে এই ধরনের বিপ্লবী উক্তি ছিলো উল্লেখযোগ্য।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

৪৮ ঘন্টা অবরোধের প্রথম দিন বেলকুচিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল 

রুহুল আমিন:
ঘোষিত ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচী’র ১ম দিবসে-বর্তমান সরকারের পদত্যাগ,কেয়ারটেকার সরকার পূন-প্রতিষ্ঠা,আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ ও আলেম-উলামাদের মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিরোধের দাবীতে- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র পক্ষ থেকে ঘোষিত সড়ক,নৌ এবং রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ দ’ফায় অবরোধ কর্মসূচী’র ১ম দিবসে সিরাজগঞ্জের-বেলকুচিতে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময়  অবরোধ কর্মসূচী’র সমর্থনে রাস্তায়  পিকেটিং ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিক্ষুব্ধ অবরোধ সমর্থকরা। বুধবার,সকালে,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,বেলকুচি উপজেলা সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম সোহেল এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অবরোধ কর্মসূচীতে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,জামায়াত নেতা ছানাউল্লাহ,হাসমত আলী,মঞ্জুরুল আলম,ইন্জি,শাহাদাজ্জামান সবুজ মিয়াজী,শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন,ছাত্রনেতা আরশেদ আলী, আরিয়ান ও রাসেল তালুকদার প্রমূখ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর ২৩/মওম

গোপালগঞ্জের নবীনবাগ ৩৬ বছর পর জমি ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিক

মোঃ শিহাব উদ্দিন:
গোপালগঞ্জ এর পৌরসভা ১২ নম্বর ওয়ার্ড  নবীনবাগ এর  দীর্ঘ ৩৬ বছর পর জমি ফিরে পেলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার দুদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন।  সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়  আফতাব উদ্দিন বলেন ১২ ওয়ার্ডের  কাউন্সিলর  আল আমিন  ইসলাম এবং  সরকারি সার্ভেয়ারের   মাধ্যমে আমাকে জমি  ফিরিয়ে দেয়। আলহাজ্ব মোহাম্মদ  আফতাব উদ্দিন বলেন অনেক দিনের সম্পত্তি ফিরে পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত। ঐ জমি দখলের পাঁয়তারা  চালিয়েছিল পাশ আলীর জমির মালিক । দীর্ঘদিন এ নিয়ে পারিবারিক সমস্যা চলতেছিল । কিন্তু কাউন্সিলর আল আমিন ইসলামের উপস্থিতিতে এলাকার গণ্যমান্য  মুরুব্বিদের সামনে ঐ  জমির মূল  মালিক মোঃ আফতাব উদ্দিন কে জমি বুঝিয়ে দেন। স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীন বাগ এলাকার  মুরুব্বিরা প্রকৃত মালিক আফতাব উদ্দিন কে জমি ফিরিয়ে দেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২২ নভেম্বর ২৩/মওম