আজ বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 68

সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত প্রবাহিত হবে :বিলাওয়াল ভুট্টো

সিন্ধু নদের পানি নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেছেন,সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে,না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।

২৫ এপ্রিল শুক্রবার ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল জানান, পাকিস্তানে ভারত থেকে নদীর এক ফোঁটা পানিও যেন না যায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। তার এমন ঘোষণার পর আজ শনিবার এক জনসভায় এমন হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তান সরকারে থাকা বিলওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেন, “সিন্ধু আমাদের আছে, সিন্ধু আমাদের থাকবে— হয় এটি দিয়ে আমাদের পানির স্রোত বইবে নয়তো তাদের (ভারতীয়) রক্ত বইবে।” গত মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। যদিও এ মুহূর্তে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ আটকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী।

তিনি এক্সে লেখেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে একটি রোপম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন এবং দীর্ঘকালীন ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।”

এর আগের দিন পাকিস্তান হুমকি দিয়ে বলে, সিন্ধুর পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা চালানো হলে, এটিকে যুদ্ধের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: আলজাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০২৫/মওম

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ’ম্যাস গেদারিং ফর ফিলিস্তিনে’হাজার জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপন করে ‘ম্যাস গেদারিং ফর ফিলিস্তিন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেয়ে ২৬ এপ্রিল শনিবারসকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন জনতা। এ সময় সবার হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, গায়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নানা রকমের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। প্রেসক্লাব ছাড়াও পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় অবস্থান নিয়েছে জনতা।

আগে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘ম্যাস গেদারিং ফর ফিলিস্তিন’ কর্মসূচির ডাক দেয়।

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০২৫/মওম

বাউফলে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

মোঃ আমির হোসেন , বাউফল প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে ২৪ /২৫ অর্থ বছরে খরিফ এক মৌসুমে উপশি আউশ এর বীজের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ২১শত কৃষকের মাঝে জনপ্রতি  ৫ কেজি উপসি আউশ ধানের বিজ, ১০কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কৃষি প্রণোদনা বিতরন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মিলন মিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম, উপেজলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ, প্রভাষক আবদুল ওয়াদুদ ও মাহফুজ মোল্লা সদস্য উপজেলা বিএনপি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা 

পোপ ফ্রান্সিস জর্জ মারিও বারগোগ্লিওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস।

২৬ এপ্রিল শনিবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রবেশ করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। জানা গেছে, শনিবারই পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

গত ২৫ এপ্রিল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা কাতারের দোহা থেকে রোমে যান।

গত ২১ এপ্রিল মারা যান বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস। তিনি ২০১৩ সালে রোমান ক্যাথলিক চার্চের ২৬৬তম পোপ হয়েছিলেন। তিনি পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের উত্তরসূরি নির্বাচিত হন। গত ১০০০ বছরে পোপ ফ্রান্সিসই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউরোপীয় না-হওয়া সত্ত্বেও ক্যাথলিক ধর্মের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছেছিলেন।ভ্যাটিকান সিটির আয়তন মাত্র ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এটি ইতালির রোম শহরের মধ্যস্থলে প্রাচীরবেষ্টিত একটি এলাকা এটি। ভ্যাটিকান সিটির অভ্যন্তরে কোনও প্রাকৃতিক জলাশয়ই নেই। শহরটি মূলত একটি ছোট পাহাড়ের ওপর অবস্থিত, যার নাম ভ্যাটিকান পাহাড়।

ভ্যাটিকান সিটি ১৯২৯ সালে অস্তিত্ব লাভ করে। পোপ বাংলায় ধর্মযাজক বা পাদ্রি এখানকার রাষ্ট্রনেতা এবং তারা রাষ্ট্র শাসন করেন। ভ্যাটিকান সিটি সারাবিশ্বের রোমান ক্যাথলিকদের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি রোমান ক্যাথলিক গির্জার বিশ্ব সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত।

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০২৫/মওম

ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত 

মোস্তাফিজার রহমান(জাহাঙ্গীর) ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত পক্ষকাল ব্যাপী গণসংযোগ উপলক্ষে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ৪ টায় ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠে উক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন ও শহর শাখার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফুলবাড়ী ইউনিয়ন সদর শাখার সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফুলবাড়ী ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি আমীর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হামিদ।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি ও কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফুলবাড়ী শাখার সূরা সদস্য ওয়াহেদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফুলবাড়ী উপজেলার আমীর মাওলানা আব্দুল মালেক, সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুছ আলী এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী শহর শাখার সভাপতি মাওলানা হারুন অর রশিদ, উপজেলা বাইতুল মাল সেক্রেটারি (অর্থ বিষয়ক সম্পাদক) বেলাল হোসেন প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মুরাদনগরে মাদকাসক্ত ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন বাবা

নাজমুল হাসান:

বাবা! খুব সহজেই বলা যায় কিন্তু এর মর্ম বুঝতে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় এই মানুষটির প্রকৃত বাস্তবতা। বাবা কেবল একজন মানুষ কিংবা শুধু একটি সম্পর্কের নাম নয়, বাবার মাঝে জড়িয়ে আছে বিশালত্বের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ। সন্তানের মাথার ওপর ছায়ার মতো বাবারা প্রতিটা সময় অবস্থান করে। সেই বাবাই ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ায় বাদ্য হয়ে মানবিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষার্থে এক হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুরাদনগর ১৪নং নবীপুর (পূর্ব) ইউনিয়ন নগরপাড় গ্রামের মোঃ মফিজুল ইসলাম। নিজের সর্বকনিষ্ঠ সন্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি।

জানা যায়, মোঃ মফিজুল ইসলাম, পিতা- আব্দুল জব্বার, মাতা- রাজিয়া বেগম, গ্রাম- নগরপাড়, ডাকঘর- কোম্পানীগঞ্জ, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা— সম্প্রতি নোটারী পাবলিক, কুমিল্লা কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে (নং-৫৫৬/২৪/৪/২০২৫) তাঁর পুত্র মোঃ নাঈম সরকার (১৯) এর সঙ্গে সকল পারিবারিক, সামাজিক এবং আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, নাঈম সরকার একাদশ শ্রেণীতে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে মাদকসেবন করে আসছে। মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ নানা নেশাদ্রব্যে জড়িয়ে সে প্রতিনিয়ত পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, খারাপ বন্ধুদের সাথে চলাফেরা,মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং গালিগালাজ করাসহ অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি ভিন্ন ধর্মের নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এমন কিছু কার্যকলাপেও সে লিপ্ত রয়েছে যা পরিবার এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে সন্তানের জন্য অপমানিত হতে হচ্ছে বাবাকে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে পিতা মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, “আমার সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। পরিবার এবং সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি। এখন থেকে নাঈম সরকারের কোনো পারিবারিক সম্পত্তি, আর্থিক সুবিধা কিংবা আইনগত অধিকার থাকবে না। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি পুত্রের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।

বাবা’ ছোট্ট একটি সুমধুর শব্দ। বাবা শব্দটি মস্তিষ্কে স্মরণ মাত্রই হৃদয় শীতল হয়ে যায়। বাবা যে এক নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিটা সন্তানের জন্য । সন্তানের কাছে বাবা মানে একজন আদর্শ সৈনিক। সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে একজন ন্যায়পরায়ণ প্রতিনিধি। বাবার কাছে সন্তান হলো সমতল ভূমির মতো। যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে শুধু উৎসর্গ করেন সন্তানের জন্য। আজ সেই সন্তানকেই মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে করে দিলেন ত্যাজ্য।

আলোকিত প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০২৫/মওম

টাঙ্গাইলের যৌনপল্লী যেন, মাদকের নিরাপদ আশ্রয়স্থল

সাইফুল ইসলাম সবুজ, টাঙ্গাইল: প্রায় ২শ বছরের পুরনো টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া যৌনপল্লী। এখানে প্রায় ৮শ ঘরে পাঁচ শতাধিক কর্মীর বসবাস। দেহ ব্যবসার জন্য গড়ে ওঠা এ পল্লীতে এখন চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। যেখানে খুব সহজেই নিরাপদে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন করে যাচ্ছে অনেকে। পাওয়া যায় ইয়াবা, হিরোইন, গাঁজা ও দেশি-বিদেশি মদসহ নানা ধরনের নেশার উপাদান। শুধু তাই নয় মাদক ব্যবসা বদলে দিয়েছে পুরো পল্লীকে। যেখানে মাদক সেবনের জন্য বিভিন্ন বয়সের লোকের আনাগোনা চলে।
এ বিষয়ে একাধিক যৌনকর্মী অভিযোগ করে জানান, এখানে যৌনপল্লীর কর্মীরা সারিবদ্ধভাবে বসে থাকে খদ্দেরের জন্য। বেশিরভাগ সময় খদ্দের মেলে না। কিন্তু যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদের কর্মচাঞ্চল্যতা রয়েছে। তাদের কদর এখানে বেশি, তারা মাদকসেবিদের আশ্রয় দেয় ও নিজে মাদক গ্রহণ করে। অথচ যারা মাদকের সাথে জড়িত নয় তাদের অনেকেই তিনবেলা ঠিকমত খেতে পায় না। তবে ব্যাতিক্রমও আছে। যারা সুশ্রী তাদের কদর রয়েছে। তাদের রোজগারও ভালো। আবহাওয়া ভালো থাকলে খদ্দের বাড়ে।
যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্য সেবা ঝুঁকিতে। এইডস্ এর মত মরণব্যাধিতে আক্তান্ত কতজন তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যৌনকর্ম করতে আসা পুরুষেরা অনেকেই নিরাপদ যৌনমিলনে অনাগ্রহী। পেটের তাগিদে খদ্দেরের খাম-খেয়ালীপনায় বেশির ভাগ সময়ই অনিরাপদ যৌনতায় রূপ নেয়।
দেশের সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরের কিছু মানুষ টাঙ্গাইল শহরে পরিবার পরিজন ছেড়ে রিকসা চালাতে এসেছেন। আর এতেই যৌনপল্লীতে কিছুটা খদ্দের বেড়েছে বলে জানান যৌনকর্মীরা।
যৌনকর্মী মৌসুমি (ছদ্মনাম) জানান,  ‘১০ বছর আগে বিয়ে হয় পাশের গ্রামের এক ছেলের সাথে। বিয়ের তিন/চার বছর পর উন্নত জীবনের আশায় গার্মেন্টস এ দুজনে চাকরি করবো এমন সিদ্ধান্তে ঢাকায় চলে আসি। গার্মেন্টসে দুইজনের চাকরি যোগাতে আমার স্বামী এক বন্ধুকে বাসায় নিয়ে আসে। চাকরির প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হই। আমার স্বামী জানতে পেরে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে গ্রামে চলে যায়। আমি ঢাকায় থেকে যাই। স্বামীর বন্ধুর সাথে স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস শুরু করি। কিছুদিন পরে টাঙ্গাইলে শাড়ি কাপরের ব্যবসা করবো এমন সিদ্ধান্তে তার সাথে একরাতে চলে আসি। আমাকে বসতে বলে মাঝরাতে এই পল্লীতে আমাকে রেখে চলে যায়। আর সে ফিরে আসেনি। এরপর আমাকে তালাবদ্ধ ঘরে রাখা হয়। মাঝে মাঝে খাবার আর খদ্দেরের জন্য তালা খোলা হয়। প্রথম কদিন মেনে নিতে পারিনি, এখন সয়ে গেছে। আমার একটা সন্তান আছে। বাড়ির সবাই জানে আমি চাকরি করছি।’
ময়মনসিংহ যৌনপল্লী থেকে আসা যৌনকর্মী পরী (ছদ্মনাম) জানান, ‘যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছি ৮ বছর। এখন এ পেশায় টাকা নেই। তবে আমার খদ্দের আছে। তারা টাকা দিয়ে সুখ কেনে। কেউ কেউ নিরাপদে নেশা করে চলে যায়।’
এ বিষয়ে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘যৌনকর্মীদের প্রতিবন্ধী হিসেবে ট্রিট করি আমরা। সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের জন্য আমাদের টাঙ্গাইলের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত কোনো কার্যক্রম নেই।’
যৌনকর্মীদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক। তাদেরও ভোটাধিকার রয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও তাদের ভোটেও গঠিত হয় স্থানীয় সরকার, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর। অথচ তাদের অস্বস্তিকর পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদেও তাদের জন্য কোনো সরকারি বরাদ্দ ছিলো না। যৌনকর্মীরা মনে করে, রাষ্ট্র তাদের মৌলিক অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হবেন। আরো দায়িত্ববান হবেন সংশ্লিষ্টরা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন

শায়রুল কবির খান : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে দেশে চলছে সংস্কার কর্মযজ্ঞ। চলছে বৈঠক, আলোচনা আর নাগরিক সমাজে কথোপকথনও। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রে উত্তরণের যে যজ্ঞ চলমান, তা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্কার-সংলাপ কতখানি সফলতার দিকে যাবে। এ প্রশ্ন আমাদের ইতিহাসের দিকে টেনে নেয়। রাজনীতির ইতিহাসে ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের আগে ১/১১-এর সময়ও সংস্কার-সংলাপের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ।

এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘ঐকমত্য কমিশন’। ইতোমধ্যে কমিশনটি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বৈঠক। এতে অংশ নেয় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের বিরোধিতাকারী বিভিন্ন দল ও জোট।

 

 

পরবর্তী পর্যায়ে ১৮ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠক হয় এলডিপির সঙ্গে। এলডিপি চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ২০০১-০৬ বিএনপি সরকারের সময় সংসদ-সদস্য এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে দল গঠন করেন। ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি আওয়ামী লীগের মহাজোটে অংশ নেন।

২০১৭ সালের ১০ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ‘২০-৩০ ভিশন’ রূপকল্প তুলে ধরেন দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রাষ্ট্র সংস্কার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। বর্তমানে ‘৩১ দফা’র ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি যুগপৎ ধারায় আন্দোলনরত রাজনৈতিক শক্তিগুলোও স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ৩১ দফাভিত্তিক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

বিএনপি বর্তমানে রাজনৈতিক সংস্কারের অন্যতম নৈতিক ধারক ও বাহক হিসাব সক্রিয়। যদি ঐকমত্য কমিশন বিএনপির ঐতিহাসিক ‘৩১-দফাকে’ ভিত্তি করে এগোয়, তাহলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতভাবে সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কমিশনের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলে সময়ই বলে দেবে তারা সংস্কার কোন পদ্ধতিতে শেষ করবেন।

কিন্তু সংস্কার শেষ হচ্ছে কীভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইতিহাসের দিকে মুখ ফেরালে আরও কিছু তাৎপর্যপূর্ণ বাঁক আমাদের সামনে উন্মোচিত হতে পারে।

২০০৮ সালের ২২ মে ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিকল্প ধারার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছিল ১/১১ সরকার। ওই সংলাপ সফল হবে না ব্যর্থ হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই ছিল জল্পনা-কল্পনা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ব্যর্থতার দিকটি আলোচ্য ছিল। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য ও সংলাপের পরিকল্পনা ও বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাই করা হয়েছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা কম এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভিন্নমতের পেছনে যুক্তিসংগত কারণ ছিল। ১/১১ সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি যে বৈরিতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অনেকেই মনে করেছিলেন।

সরকারবিরোধী রাজনীতিকরা সরকারের কথা বিশ্বাস করতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, সরকার এক অংশের রাজনীতি দমন করেছে, অন্যদিকে জনবিচ্ছিন্ন ও দুর্নীতিপরায়ণ অংশকে রক্ষা করেছে।

এ নিবন্ধের লেখকের ২০০৮ সালের ৫ জুলাই দৈনিক দিনকালে ‘সংলাপ নিয়ে সংক্ষিপ্ত লেখা’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, যা ছিল তখনকার ১/১১ সরকারের সময়ে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন প্রশাসনের প্রেক্ষাপটে লেখা। সে লেখার একটি অংশে উল্লেখ ছিল, ‘সংলাপের সফলতা নির্ভর করছে নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। সরকার ও রাজনৈতিক দল কেউই একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জনগণের চাহিদাভিত্তিক সংলাপ সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সরকার সহজ ও গ্রহণযোগ্য পথ অবলম্বনের চেষ্টা করতে পারে।’

ওই লেখায় বলা হয়েছিল, ‘সংলাপ প্রসঙ্গে সংক্ষেপে দুটি বিষয় বলা যায় : ১. সরকার যদি রাজনৈতিক দলের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারে, তাহলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার দিকেই যাবে। ২. সরকারের স্বার্থ বিবেচনায় একটি রোডম্যাপ অনুসরণ করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিদায় নিতে পারে।’

সেই ১/১১-এর সময়কার রাষ্ট্রনৈতিক বাস্তবতা থেকে কতখানি সামনে এগিয়েছে বাংলাদেশ? বিশেষত রক্তস্নাত ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সামগ্রিক উদ্যোগে?

পরিশেষে বলাই যায়, নাগরিকদের নিজের উপলব্ধি ছাড়া শুধু কাগজে লেখার মধ্য দিয়ে সংস্কার রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কতটুকু কার্যকর করা সম্ভব?

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

প্রেম ভেঙে যাওয়ায় কাঁদলেন মাহি

বিনোদন ডেস্ক:

প্রেমিকের সঙ্গে অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এ নিয়ে নেটপাড়ায় চলছে আলোচনা। গত ৪ বছর ধরেই সম্পর্কে ছিলেন মাহির। প্রেমিকের নাম সাদাত শাফি নাবিল। সেই সম্পর্কের ইতি টানার বিষয় জানিয়ে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে ভয় পাই না যে আমি ভেঙে পড়েছি।’

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া থেকে নানা বিষয় নিয়েই ক্লান্ত বিধ্বস্ত এই অভিনেত্রী রীতিমতো কাঁদছেন। সেই কান্নার ছবিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে সামিরা খান মাহি বেশকিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘গত কয়েকটা দিন ভীষণ কষ্টের কেটেছে।’

মাহি লিখেছেন, ‘ট্রলড হওয়ার কষ্ট, বোনের বিয়ের দায়িত্বের চাপ, আর নিজের সম্পর্কের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে ভেতরটা একেবারে খালি খালি লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ক্লান্ত লাগছে নিজেকে।’

মাহি লিখেছেন, ‘আমি ভুল করেছি, যা অনেককেই কষ্ট দিয়েছে, এটাও আমি বহন করে গেছি। আমি জানি আমি হৃদয় ভেঙেছি, এর জন্য আমি দুঃখিত।‘

প্রেম ভেঙে যাওয়ায় কাঁদছেন মাহি, বললেন, ‘আমি ভয় পাই না’

ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে চোখের জলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার এই দুর্বলতম সময়েও আমি জানি, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি এখন শুধুই ক্লান্ত, তবে পরাজিত নই। যদি সবার সঙ্গে হাসি শেয়ার করা যায়, তাহলে আমি বলবো চোখের জলও শেয়ার করা যায়।’

সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাবিলের সঙ্গে মাহির পরিচয়। এক বছরের বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্কে গিয়েছিলেন মাহি। দুই পরিবারের সবার সম্মতিতে তাদের সম্পর্কের কথা ২০২৩ সালে সামনে এনেছিলেন তিনি। তখন জানান, নাবিল ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। এখন পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করছেন।

চার বছর সেই প্রেম ভেঙে গেল। জানা গেছে, সম্প্রতি মাহির একটি বিতর্কিত নাচের পারফর্ম নিয়েই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপরি এলো চূড়ান্ত বিচ্ছেদ।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম

ভ্যাটিকান সফরের উদ্যেশ্যে কাতার ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভ্যাটিকান সফরের উদ্যেশ্যে কাতার ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে তিনি কাতার ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইতালি সময় দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে রোমে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানাবেন।

প্রধান উপদেষ্টা পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর শুক্রবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার স্কয়ারে যাবেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।ভ্যাটিকান সিটির ভিকার জেনারেল কার্ডিনাল মাউরো গ্যামবেত্তি, সেন্ট পিটার স্কয়ারে প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানাবেন।আবার শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে সেন্ট পিটার স্কয়ারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা।

কাতার রাষ্ট্রের প্রটোকল প্রধান ইব্রাহিম বিন ইউসুফ আবদুল্লাহ ফখরু দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদায় জানান।

২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) লিওনার্দো দা ভিঞ্চি রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং সোমবার ২৮ এপ্রিল ভোরে দেশে পৌঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ এপ্রিল ২০২৫/মওম