আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 97

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে স্থায়ী শান্তি চুক্তির প্রয়োজন,একমত ট্রাম্প-পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে স্থায়ী শান্তি চুক্তি প্রয়োজন।  ১৮ মার্চ মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টেলিফোন আলোচনা হয়। এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়েই এই যুদ্ধে বিপুল রক্ত ও সম্পদ হারিয়েছে। এই সম্পদ তাদের জনগণের প্রয়োজনে ব্যয় করা উচিত ছিল। এই সংঘাত কখনোই শুরু করা উচিত হয়নি এবং আন্তরিক ও সদিচ্ছাপূর্ণ শান্তি প্রচেষ্টার মাধ্যমে দীর্ঘদিন আগেই এর অবসান হওয়া উচিত ছিল।

রাশিয়ার ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরস্পরের শক্তি অবকাঠামোতে আঘাত হানবে না এবং এই বিষয়ে ৩০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। পুতিন এ সংক্রান্ত আদেশ রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে দিয়েছেন বলেও ক্রেমলিনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ক্রেমলিন আরও জানায়, টেলিফোন আলোচনায় দুই নেতা ইউক্রেন সংকট নিয়ে বিস্তারিত ও খোলামেলা মতবিনিময় করেছেন। পুতিন এ সময় বলেছেন, সংঘাতের সমাধান সমন্বিত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার নিরাপত্তা স্বার্থ ও যুদ্ধের মূল কারণগুলো বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। 

যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেছেন। গত সপ্তাহে ইউক্রেন এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল। তবে ক্রেমলিন বলেছে, পুতিন এই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ সময় সেনা সংগ্রহ এবং পুনরায় সশস্ত্র হওয়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উত্থাপন করেছেন।

ক্রেমলিনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংঘাতের উত্তেজনা কমাতে এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে এর সমাধান খুঁজতে বিদেশি সামরিক সহায়তা এবং কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান সম্পূর্ণ বন্ধ করা জরুরি।

এই আলোচনাকে ইউক্রেন সংকটের সমাধানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৯মার্চ-২৫/মওম

কমলাপুর স্টেশনে কন্টেইনারবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত

আলোকিত প্রতিবেদক:

দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুরে প্রবেশের সময় একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ফলে আপ এবং ডাউন দুই লাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বর্তমানে আপ লাইনে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন স্টেশনে ঢোকার সময় ডাউন লাইনে পেছন থেকে ২টি ক্যারেজ পড়ে যায়। এ ঘটনার পর স্টেশনের সব ট্রেনের মুভমেন্ট বন্ধ রাখা হয়। এখন কিছুক্ষণের মধ্যে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আজ অন্য ট্রেনগুলো চলাচলে বিলম্ব হতে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাইন ক্লিয়ারের কাজ চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৯মার্চ-২৫/মওম

দীর্ঘ ৯ বছরেও অগ্রগতি নেই, সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার

বিশেষ প্রতিনিধি : সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পূর্ণ হবে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ)। এ ৯ বছরেও তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে গত চার বছর ধরে মামলার বাদীপক্ষ তনুর পরিবারের সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার কোনো যোগাযোগ নেই বলে পরিবারের অভিযোগ। তনু হত্যার বিচারের আশা ছেড়ে দিলেও পরিবর্তিত সরকার ব্যবস্থার কারণে আবারও বিচার পাওয়ার আশা করছেন তনুর মা-বাবা।

বিচার না পাওয়া নিয়ে মামলার বাদী তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগ সরকার ছিল, তারা চায়নি এ মামলার বিচার হোক। এখন আমরা ড. ইউনূস সরকারের কাছে বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য বের হতো, তাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। পরিবারের প্রতিটি সদস্য ও আত্মীয়স্বজন এমনকি শিক্ষকরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন, আর কি বাকি রইল? বিচার চেয়ে কী লাভ? গরিবের ওপর জুলুমের বিচার হয় না।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তনুকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছি। কী বেদনা নিয়ে বেঁচে আছি, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। ৯ বছর যারা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক। তারা মামলা নষ্ট করে দিয়েছে। ওদেরও বিচার করতে হবে। পিবিআই আমার মেয়ে হত্যায় জড়িত কাউকে ধরতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় বসে আমাদের ডেকে পাঠিয়ে উল্টো হয়রানি করেছে। আমরা গরিব বলে মেয়ে হত্যার বিচার পাব না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি দুনিয়ায় না হয়, আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম। আল্লাহর বিচার বড় বিচার।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঈদের আগে কুমিল্লায় যাব। এ মামলার তদন্ত তড়িঘড়ি করে করা যাবে না। কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঘটনাস্থলে যেতে হয়। আমরা কাজ করছি। সময় হলে মামলার বাদীপক্ষসহ সবার সঙ্গেই দেখা করব। আমরা আসামিদের শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনি করতে গিয়ে বাসায় ফেরেননি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরেরদিন তার বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামাকাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবারের মতো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করা হয়। এবার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইয়ের ঢাকার আরেক পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয় জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার তনুর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মসজিদে দোয়া ও এতিম শিশুদের ইফতার করানো হবে জানায় তনুর পরিবার।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

চকরিয়া প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

সাদ্দাম হোসাইন, চকরিয়া প্রতিনিধি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ঐতিহ্যেবাহী প্রেসক্লাবের
আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুগন্ধা হল রুমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

ইফতার পরবর্তী প্রেসক্লাবে বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ এম ওমর আলীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর রানার সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফান উদ্দিন, প্রধান বক্তা উপজেলা কক্সবাজার জেলা বিএনপি সহসভাপতি চকরিয়া উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক, বিশেষ আলোচক, উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফখরুদ্দিন ফরায়েজী, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক আব্দুল কাদের প্রাইম,

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দীন, চকরিয়া উপজেলা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন, উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল আল- আমিন বিশ্বাস, চকরিয়া থানার অপারেশন কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টো, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর মুহাম্মদ মানিক, চিরিংগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহমদ মেম্বার, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকরিয়া, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন লাল্টুসহ প্রমূখ।
গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের নানা অসংগতি, অনিয়ম-দুর্নীতি, দুর্ভোগের চিত্র যেমন ফুটে ওঠে তেমনি তাদের লেখনিতে মানুষের সাফল্য, সম্ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা উঠে আসে।
তিনি আরও বলেন, প্রেসক্লাবের এই ইফতার মাহফিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, আলোচনা শেষে দোয়া মোনাজাত ও ইফতারের মাধ্যমে শেষ হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বরেণ্য রাজনীতিবিদ খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারি

বিশেষ প্রতিনিধি: বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল সকালে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া-মোনাজাত করেন তারা। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামিলুর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ যাদু, মরহুমের পুত্র ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন, গোলাম আবেদীন কায়সার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক মোহাম্মদ ইসহাক সরকারসহ জেলা-উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বিকালে স্থানীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল এবং দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন দলের পরীক্ষিত, সাহসী নেতা। দলের কঠিন সময়ে তিনি দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিএনপির আদর্শ রক্ষায় আপসহীন ছিলেন। তার অবদান বিএনপি কখনো ভুলবে না। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার দেখানো পথে চলার অঙ্গীকার করছি।

প্রসঙ্গত, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেনের ১৯ দিনের রিমান্ড

বিশেষ প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনকে সোমবার(১৭ মার্চ) চার মামলায় মোট ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালত একটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় ১৩ দিন এবং মির্জাপুর আমলী আদালত একটি হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা থানার পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর থেকে কেরানিগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।
সোমবার দুপুরে তাকে প্রথমে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলা এবং আরও দুইটি ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খাঁন মারুফ হত্যা মামলায় ও দ্রুতবিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় ৫ দিন করে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে তাকে মির্জাপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রুমি খাতুন ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, সোমবার থেকেই ছানোয়ার হোসেনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছানোয়ার হোসেন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। বিগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

খাগড়াছড়িতে চার সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে “বিএমইউজে” চট্টগ্রাম শাখার প্রতিবাদ সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মেহেদী হাসান রিয়াদ সহ ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা পাতানো মামলা এবং চারজনকে মিথ্যা  এই মামলায় আটকের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১৭ মার্চ সোমবার বেলা ১২ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি শহীদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন ও কালের প্রতিচ্ছবি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাসান আল মামুন সহ  বাংলাদেশ মফস্বল  সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক নেতা ও কালের প্রতিচ্ছবির সম্পাদক ও প্রকাশক হাসান আল মামুন বলেন মুক্ত গণমাধ্যম আজকে নামধারী কিছু দালাল সাংবাদিক চক্রের কাছে বন্দী, খাগড়াছড়ি অবৈধ ইটভাটা গুলো পরিচালনা করছে সাংবাদিক নামের  এই অপসংবাদিক দালাল গুলো অর্থের বিনিময়ে স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে  ইনারা এখন অনেক বড় সাংবাদিক নেতা বনে গেছেন।
তাদের মন মত না হলে প্রশাসনের সঙ্গে  আতাত করে বানিয়ে দিচ্ছেন চাঁদাবাজ সাংবাদিক খাগড়াছড়িতে চার সাংবাদিকের পরিণতি তাই তিনি উল্লেখ করেন এবং অনতিবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
উক্ত সভায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নেতা সোহাগ আরেফিন বলেন, ইটভাটার দুর্নীতি তুলে ধরতে যাওয়ায় এই চার সাংবাদিক সহ ঘটনাস্থলে না থাকা তিন সাংবাদিক খাগড়াছড়ি কিছু রাক্ষুসের সাংবাদিকদের করাল গ্রাসের শিকার হয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রেসক্লাবের গুটি কয়েক সাংবাদিক দীঘিনালার মোহনা টেলিভিশন এর প্রতিনিধি ও ইট ভাটার মালিক আলমগীরের যোকসাজসে এ ঘটনা বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই চিত্রটি ফুটে উঠে এছাড়াও খাগড়াছড়িতে দুই ডজনেরও বেশি  সাংবাদিক আজ খাগড়াছড়ি ছাড়া।

সোহাগ আরেফিন আরও বলেন, “মেহেদী সহ অন্য যে সাংবাদিকদের আজ মিথ্যা  চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া অবশ্যই নিন্দনীয় আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি চার সাংবাদিকের কারামুক্তি সহ এই ষড়যন্ত্র মূলক হয়রানি মামলার অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে সারাদেশে সকল সাংবাদিক একযোগে কঠোর আন্দোলনে নেমে আসবে।”

সভায় চট্টগ্রাম বিএমইউজে’র নেতা কর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে  দেন যে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দীদের মুক্তি ও সাজানো এই পাতানো মামলা প্রত্যাহার না হলে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রাব্বি,সহ-সংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন সোহেল,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক,মোঃ মাসুদ,কার্যনির্বাহী সদস্য জহিরুল
ইসলাম বাবলু,কার্যনির্বাহী সদস্য নাছির উদ্দিন লিটন, কলের প্রতিচ্ছবি পত্রিকার রিপোর্টার মাসুদুল ইসলাম,পিবিআই ৭১ সাংবাদিক আসিফ সহ প্রমুখ।

নোয়াখালীতে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার, ইফতার সামগ্রী বিতরণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি , নোয়াখালীর কবিরহাটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের পদুয়া মিয়া বাড়ির প্রাঙ্গণে তিন শতাধিক মানুষের হাতে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মহসিন রিয়াজ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকাশ, ভুলুয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন রাব্বি, পদুয়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মর্তুজা ফরমান প্রমূখ।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল বলেন, তারেক রহমানের উপহার হিসেবে পাঁচ শতাধিক মানুষের মাঝে এই ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে আরো মানুষের মাঝে এই উপহার বিতরণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

তারাগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

শফিউল মন্ডল, তারাগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কেএম ইফতেখারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম, বেআইনি ভাবে সরকারি গাছ কাটা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন এলডিডিপি কর্তৃক তারাগঞ্জ উপজেলায় গঠিত ১৫ টি প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি) এর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের নিয়মিত সভার কাজের ব্যয়নির্বাহের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৬ হাজার টাকা। গত জানুয়ারি মাসের দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয় জানুয়ারি ২৩ ও ফেব্রুয়ারি ০৪ তারিখে। সেই সাথে রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের বরাদ্দ দুটি নিয়মিত সভা হয় ফেব্রুয়ারি ১৫ ও ২৪ তারিখে। চারটি সভা অনুষ্ঠিত হলেও পিজি সদস্যরা নাস্তা পেয়েছে দুটিতে। ফেব্রুয়ারি মাসের স্বাক্ষর পিজি রেজিস্ট্রার খাতায় নেয়া থাকলেও পিজির দ্বায়িত্বে থাকা এলএসপিরা পিজি গ্রুপের সভাপতি-সম্পাদকসহ সদস্যদের একটি ইউএলও স্বাক্ষরিত চিঠিতে স্বাক্ষর করার জন্য যোগাযোগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পিজি গ্রুপের সদস্যদের মাঝে।
এছাড়াও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রধান ফটকের সামনে থাকা মেহগনি গাছ ও ভবনের পেছনে থাকা কাঁঠাল, জাম্বুরা ও আমগাছগুলো  সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কাটা হয়েছে। অফিস চত্বরে আগের কর্তনকৃত সংরক্ষিত কাঠের গোলাই, অবৈধভাবে কাটা গাছ ও ডালপালাগুলো কোনো ধরনের নিলাম ছাড়াই বিক্রি করেছেন এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে কুর্শা ইউনিয়নের ভেকসিনেটর সবুজ ইসলাম বলেন, এ বছরে একবার পিপিআর রোগের ভেকসিন প্রোগ্রাম হয়েছে। আমাদের ভেকসিন করার জন্য যে বরাদ্দ এসেছিলো তাও আবার সেখানে ইউএলও অর্ধেক ভাগ চায়। আর ভাগ না দেওয়ার ক্ষোভে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠায় আমাকে। চাকরি খাওয়ার নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন আমাদের। কিন্তু আলমপুর ইউনিয়নের ভেকসিনেটর মারা যাওয়ায় ভেকসিন প্রোগ্রামে সেখানে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ অন্যায় ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। একজন রাজস্ব কর্মকর্তা হয়েও যে ভেকসিনেটরের টাকা আত্মসাৎ করলো তার বিচার করবে কে? আমরা কি তাহলে বৈষম্যের শিকার হয়েই থাকবো?
দক্ষিণ সয়ার ডেইরী পিজি গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, গত মাসের মিটিং শেষে আমাদের সদস্যদের মাঝে ২০ টাকা মূল্যের নাস্তার প্যাকেট দেন। আর এখন শুনছি আমাদের বরাদ্দ আরো বেশি। আমাদের এখানে যে আরো কত অনিয়ম হয়েছে তারাই ভালো জানে। বৃহস্পতিবার এলএসপি মহসিন আমার বাড়িতে এসে একটি কাগজে ফেব্রুয়ারি মাসের নিয়মিত সভা না করে আগাম স্বাক্ষর চাচ্ছেন। কিন্তু আমি এখনো স্বাক্ষর করিনি।
সয়ার ইউনিয়নের পিজি গ্রুপের দায়িত্বে থাকা এলএসপি মহসিন আলী বলেন, আমাদের অফিস থেকে চিঠি দিয়েছে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য। তাই আমি পিজি গ্রুপের সভাপতির বাড়িতে যাই ও স্বাক্ষর চাই। আমি তাকে অফিস আদেশ দেখাই। তারপরেও তিনি স্বাক্ষর করেনি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কেএম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, পিজি গ্রুপের সদস্যদের নাস্তার বরাদ্দের ১৫ শতাংশ টাকা কেটে বাকি টাকার নাস্তা দেওয়া হয়। এলএসপি ও ভেকসিনেটরদের সার্কুলার অনুযায়ী তারা সরকারি নিয়মে এক লোক দুই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবে না। সে কারনেই তাদের কারন দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে তাদের চাকরিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে নয়। আর ভেকসিনের অর্ধেক টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। ডালপালা কেটেছি, কোনো কাঠজাতীয় গাছ কাটা হয়নি। ডালপালা কাটতে গিয়ে ভুলবশত ছোট কিছু গাছ কেটেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বরেণ্য রাজনীতিবিদ এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্মরণে শ্রদ্ধায়।

আলোকিত প্রতিবেদক, বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব,। ২০১১ সালে ১৬ই মার্চ তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছিল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, একজন আত্মপ্রত্যয়ী, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন। কথার সাথে কাজের মিল ছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। মৃত্তিকা ঘনিষ্ঠ এই রাজনীতিবিদ আজীবন জনকল্যাণে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি