আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 99

গাজীপুরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের সদর উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকচাপায় এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শ্রী সুমন কুমার সূত্রধর (৩৫)। তিনি পাবনা জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হাটুরিয়া বেড়ামাড়া এলাকার শ্রী জীবন চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে। তিনি বাঘের বাজারে অবস্থিত পল্লী মঙ্গল এনজিওর একটি শাখায় তিনি কর্মরত ছিলেন।
সালনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক জানান, সুমন কুমার মোটরসাইকেলে করে মাওনা চৌরাস্তা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সালেহ্ আহমদ জানান, মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নোয়াখালী ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

একেএম ফারুক হোসেন : নোয়াখালী ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্যেগে খেলোয়াড়, অভিভাবক, স্টেডিয়াম স্টাফদের নিয়ে ব্যতিক্রম এক অনন্য ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার( ১৬ মার্চ) জেলা শহিদ ভুলু স্টেডিয়ামে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও ক্রীড়া অফিসার মাঈনুদ্দীন মি্ল্কি।এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হেডকোচ ও জেলা কোচ স্বদেশ মজুমদার,সহকারী কোচ হৃদয়।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ক্রিকেট অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়, অভিভাবক, কোচিং স্টাফ প্রমুখ।ইফতার মাহফিলে আলোচনা সভার পাশাপাশি প্রাকটিস সেশনে ভালো করায় খেলোয়াড়দের  তিন ক্যাটাগরিতে মেডেল তুলে দেন প্রধান অতিথি ও অভিভাবকবৃন্দ।
নোয়াখালী ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হেডকোচ স্বদেশ মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন,প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অ্যাকাডেমির একাধিক খেলোয়াড়রা প্রতিনিয়ত জাতীয় বয়স ভিত্তিক অনূর্ধ্ব  ১৪,১৬,১৮ ক্যাটগরিতে সফলতার সহিত খেলছেন।তিনি বলেন,এ অ্যাকাডেমি শুধু “ভালো ক্রিকেট প্লেয়ার তৈরি করে না একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকে”।
প্রধান অতিথি মাঈনুদ্দিন মিল্কি বক্তব্যে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ইফতার অনুষ্ঠান উপহার দেয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।তিনি উপস্হিত ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি জোর দিয়ে বলেন,”যে খেলাধুলায় ভালো সে পড়ালেখাও ভালো কারণ মেধাবীরাই ভালো খেলে”।ভবিষ্যৎ নির্ধারনে এখন থেকে নিজেকে গড়ার বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।খেলোয়াড় তৈরিতে অভিভাবকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনাদের ত্যাগের কারণে একজন খেলোয়াড় তৈরি হয়।এরপর দেশের কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন স্টেডিয়াম মসজিদের ইমাম।
প্রসঙ্গত ১৯৯৭ সালে নোয়াখালী ক্রিকেট অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একাধিক খেলোয়াড় ঘরোয়া লীগ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সন্দ্বীপে শতাধিক পরিবারকে ইফতার সামগ্রী উপহার দিল দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন

চলতি পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে শতাধিক পরিবারকে ইফতার সামগ্রী উপহারস্বরুপ পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন। আজ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় উক্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবকরা গোপনে প্যাকেটে নানা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে আসে মানুষের বাসার সামনে।

উক্ত প্যাকেটে ছিল- খেজুর ১ কেজি, চিড়া ২ কেজি, চিনি ২ কেজি, মুড়ি ২ কেজি, ছোলা ২ কেজি, লবন ২ কেজি, পিয়াজ ২ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, আলু ৪ কেজি ও চাল ৫ কেজি। প্রজেক্টটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী মোঃ ইমরুল হায়দার সৈকত।

প্রজেক্ট সম্পর্কে মোঃ ইমরুল হায়দার সৈকত বলেন, দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন সবসময়ই ইউনিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করে। আজ তাদের কাজের অংশ হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন। যে পরিবারে অধিক সহযোগিতার প্রয়োজন ,তা বিবেচনা করেই সর্বোমোট ১০৪ টা পরিবারকে আমরা গোপনে উপহারসমূহ পৌঁছে দিয়েছি।

সকল স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, প্রতিটা রমজানেই আমাদের বেশ কিছু ভিন্নধর্মী প্রজেক্ট থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হয় নি। সামনে আমাদের আরও কিছু প্রজেক্ট আছে। আপনারা সকলে দোয়া করবেন , এটার মতো সেগুলোই যেন সফলভাবে আমরা সকলে মিলে সম্পন্ন করতে পারি।

সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন “দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন”। যার মাধ্যমে তিনি তরুণদের একত্রিত করে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই সংগঠনের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গাটা হল- আবিদ এর ইউনিক আইডিয়া ও তার বাস্তবায়ন করা। যেমন- অসহায় ও এতিম শিশুদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ, বন্যা পরবর্তী চিকিৎসা সেবা, প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধ্বংস বাড়ি পুনরায় মেরামত করে দেয়া, বৃদ্ধাশ্রমে ঈদ পালন, বৃক্ষের পরিচর্যায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা, ভাসমান জেলেদের সাথে কুরবানির রান্না মাংস খাওয়া, হিজড়া নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন, বিনামূল্যে দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটি এর নামে মানুষকে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়া, এতিমখানায় ভ্যালেন্টাইন ডে পালন, ফ্রী ঈদ শপিং, শীতের রাতে গরম খাবার, ঈদের দিনে স্টেশনে বাচ্চাদের সেমাই খাওয়ানো ও বকশিস দেয়াসহ আরও অনেক ব্যতিক্রমী প্রজেক্ট করেছে ফাউন্ডেশনটি।

পলাশের রঙে রঙিন টাঙ্গাইল এলজিইডি

সাইফুল ইসলাম সবুজ:
বসন্ত আসলেই প্রকৃতিতে যেন সাজের জোয়ার উঠে। কে কত বেশি সাজিয়ে তুলতে পারে প্রকৃতিকে কে কত বেশি সৌন্দর্য বিলাতে পারে প্রকৃতিতে ফুলের মধ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতাসেই প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে থাকে লালহলুদের মিশ্রিত মোহনীয় রঙের পলাশ যার সৌন্দর্য থেকে পশুপাখি থেকে মানবকুল কেউ দৃষ্টি সরাতে পারে নাকবি কিংবা গীতিকাররা নানানভাবে দিয়েছেন পলাশের সেই সৌন্দর্যের বর্ণনা, রূপসি বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন ‘যেদিন সন্ধ্যায় পলাশের বনে হিঙ্গুল মেঘের আলোয় কোকিলের ডাক শুনেছি, সেদিনই বুঝেছি আমার মৃত্যু অনেক দূরে।,
বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির ঋতুরাজ বসন্তের শেষার্ধে রক্তরঙা পলাশ-শিমুল আপন মহিমা তুলে ধরেছে। এরই অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল এলজিইডি ভবনে পলাশ ফুল। চারদিকে বসন্তের আমেজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এলজিইডি চত্বরে রোপিত গাছে ফুটে থাকা পলাশ ফুল পরিবেশে এক অনন্য সৌন্দর্য যোগ করেছে।
জানাগেছে, টাঙ্গাইল এলজিইডি চত্বরে বেশ কিছু বছর আগে পলাশ গাছ রোপণ করা হয়। সঠিক পরিচর্যার ফলে এখন ওই গাছটি পরিপূর্ণ বিকশিত হয়েছে এবং প্রতি বছর বসন্তকালে দৃষ্টিনন্দন দ্যূতি মেলে ধরছে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে গাছের ডালপালায় পাতা কমে গিয়ে শুধু লাল-কমলা ফুলে ছেয়ে যায়। দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছে যেন আগুনের শিখা দোল খাচ্ছে।
পলাশ ফুল ঋতুরাজ বসন্তের অন্যতম প্রতীক। এ ফুল শুধু প্রকৃতির নয়, বাঙালির সংস্কৃতি ও কাব্যেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। কবি-সাহিত্যিকদের রচনায় পলাশের সৌন্দর্য উঠে এসেছে বারবার। বসন্ত এলেই পলাশ ফুলের সৌন্দর্য দেখে মন ভরে যায়, আর প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজে ওঠে।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমী, ফটোগ্রাফার এবং সাধারণ পথচারীরা এলজিইডি চত্বরে আসেন পলাশ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কেউ ছবি তোলেন, কেউবা ভিডিও ধারণ করেন। সকাল-বিকাল বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখানে এসে পলাশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন।
টাঙ্গাইল এলজিইডি চত্বরে পলাশসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষ রোপণের ফলে এটি এখন একটি পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক স্থান হয়ে উঠেছে। শুধু সৌন্দর্যই নয়, এই সবুজায়ন প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে। নানা প্রজাতির গাছগুলো এলাকার উষ্ণতা কমাতে সাহায্য করছে এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পলাশ (Butea monosperma) গাছের অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হলো এর উজ্জ্বল লাল-কমলা রঙের ফুল। এই গাছ বসন্তের শেষদিকে পত্রশূন্য হয়ে ফুলে ফুলে ভরে যায়। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গাছের শাখাগুলো যেন আগুনের শিখা ধারণ করেছে। তাই একে ‘আগুন ফুল’ নামেও ডাকা হয়। পলাশ গাছের উচ্চতা সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়, আর এর ফুল তিনটি পাঁপড়ি নিয়ে গঠিত হয়। বসন্তের শেষে এই ফুল ফোটে- যা গ্রীষ্মের শুরুর দিক পর্যন্ত টিকে থাকে।
ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের সন্ধিক্ষণে- যখন শীত বিদায় নেয় এবং গ্রীষ্মের আগমন ঘটে, তখন প্রকৃতিতে এক নতুন প্রাণসঞ্চার হয়। অন্যান্য গাছে যখন সবুজ পত্রপল্লবের আধিক্য দেখা যায়, তখনই পলাশ তার লাল-কমলা ফুলের আবরণে প্রকৃতিকে আরও মোহনীয় করে তোলে। বিশেষ করে গ্রামবাংলার মাঠ, পাহাড়ি অঞ্চল ও শুকনো বনভূমিগুলোতে পলাশের উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রকৃতির রঙিন উৎসবের আবহ তৈরি করে। ইট-সিমেন্টের খটখটে এলজিইডি চত্বরেও রোপিত পলাশ প্রকৃতির অমিয়লীলায় অংশ নিচ্ছে ফুলের সৌন্দর্য বিলিয়ে।
পলাশ গাছ শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একটি ঔষধিগুণসম্পন্ন গাছ, যার বাকল, ফুল ও বীজ আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি পলাশ গাছ মাটির ক্ষয়রোধ করে এবং শুষ্ক বনাঞ্চলের প্রতিবেশ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এলজিইডি চত্বরে নিয়মিত আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘প্রতিবার বসন্তে এখানে এসে পলাশ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি। প্রকৃতির এত সুন্দর রঙের খেলা দেখে মন ভালো হয়ে যায়।’
স্থানীয় পরিবেশবিদদের মতে, ‘এ ধরনের উদ্যোগ যদি শহরের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও নেওয়া হয়, তবে পরিবেশের জন্য তা হবে অত্যন্ত ইতিবাচক।’
পরিবেশবিদরা মনে করেন, যদিও পলাশ ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে, তবে দুঃখজনকভাবে দিন দিন পলাশ গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। নগরায়ন ও বন উজাড়ের ফলে এই গাছ সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে আরও সচেতন হয়ে এই গাছ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতেও বসন্তে পলাশ ফুলের রঙিন শোভা উপভোগ করা যায়
টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ভবন চত্বরে পলাশ ফুলের সৌন্দর্য এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছে- যা প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে বসন্তের আনন্দ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের সবুজায়ন কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হলে পরিবেশের জন্য যেমন উপকারী হবে, তেমনি ভবিষ্যতেও আমরা বসন্তের রঙিন ছোঁয়া উপভোগ করতে পারব।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬মার্চ-২৫/মওম

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে নিহত বেড়ে অন্তত ৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৪ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১২ জনই দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ১৬ মার্চ রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ওপর দিয়ে ভয়াবহ টর্নেডো বয়ে যায়।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওইসব রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং গাড়ি উল্টে গেছে। মিসৌরির পাশাপাশি কানসাস অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে আট জন নিহত হয়েছেন। ধূলিঝড়ের কারণে সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে অর্ধশতাধিক গাড়ি। পাওয়ার আউটেজ ট্র্যাকার অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে মিশিগান, মিসৌরি এবং ইলিনয়সহ সাতটি অঙ্গরাজ্যের আড়াই লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।অন্যদিকে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ঝড়ের কবলে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর টেট রিভস। ঝড়ের কবলে আরকানসাসে তিনজনের মৃত্যু এবং ২৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ওকলাহোমা ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একজন করে নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জুড়ে তীব্র আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় মধ্য মিসিসিপি, পূর্ব লুইসিয়ানা এবং পশ্চিম টেনেসির পাশাপাশি আলাবামা এবং আরকানসাসের কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা এবং বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অবশ্য আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ এখনই কাটছে না যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মিসিসিপি, টেনিসি-সহ মধ্য উপসাগর উপকূলবর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোতে আরও বেশ কয়েকটি টর্নেডো হতে পারে।

মূলত আর্দ্র  এবং উষ্ণ বাতাস ওপরে উঠলে টর্নেডো তৈরি হয়, যা ঠান্ডা বাতাসের সাথে মিশে বজ্রপাতের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত বাতাস ঘূর্ণি তৈরি করে যা ওপরের দিকে চলে যায়।

প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, কানসাসে মাঝে-মধ্যেই আছড়ে পড়ে টর্নেডো। মূলত বছরের মে মাস থেকে জুন মাসের মধ্যেই হয় এই ঝড়। এর আগে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর কারণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫৪ জন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৬মার্চ-২৫/মওম

সাত কলেজ নিয়ে গঠিত হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ 

আলোকিত প্রতিবেদক:
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

১৬ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৬ মার্চ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে সাত কলেজের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে এর অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

সাতটি সরকারি কলেজ হচ্ছে—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

মূলত, প্রচলিত শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ণসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে এসব কলেজ পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম  এবং  অদূরদর্শিতার অভিযোগে গতবছরের অক্টোবর মাসে মাঠে নামেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি জানান, সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের। দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন,সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠকসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন।

সবশেষ, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই info@ugc.gov.bd ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আর আজ ইউজিসির ডাকা মতবিনিময় সভা থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৬মার্চ-২৫/মওম

দেবিদ্বারে অবৈধ ৫ ইট ভাটাকে জরিমানা

নাজমুল হাসান:

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ৮নং জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় মেসার্স সুনিয়া ব্রিকস, মেসার্স রাসেল ব্রিকস, মেসার্স দেবিদ্বার ব্রিকস্, মেসার্স ফাইভ স্টার ব্রিকস্, মেসার্স  কে.এম.বি ব্রিকস্ কে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

১৫ মার্চ শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন কতৃক ৫টি ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম।
দেবিদ্বার উপজেলায় ইটভাটা স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি না মানায় মোঃ মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপণ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৯ এর ১৫(১)  এক লক্ষ টাকা, মো: মিজানুর রহমান কে ২০১৯ এর ১৫(১)  এক লক্ষ টাকা, মোঃ আল আমিন, ২০১৯ এর ১৫(১) এক লক্ষ টাকা, মো: আবুল কালাম ২০১৯ এর ১৫(১) এক লক্ষ টাকা, মোঃ সুমন ২০১৯ এর ১৫(১)  এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন। ইটভাটা স্থাপন এবং ইট প্রস্তুতকরণ পরিবেশ ছাড়পত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং ইট প্রস্তুত, কৃষি জমি হতে মাটি সংগ্রহ করার কারনে ইটভাটার স্বত্বাধিকারীরা মালিক পক্ষকে মোট ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।  জানা যায়,  অনুমোদন ব্যাতীত ইট প্রস্তুত, কৃষি জমি হতে মাটি সংগ্রহ ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের নিয়মনীতি না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করার কারণে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯ এর ১৫(১), ৫(১), ১৮(১), ধারায় পাঁচ টি ব্রিকসকে মোট ৫ লক্ষ টাকা  জরিমানা করা হয়, এবং ইটভাটার সীল-গালা করে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের এর মাধ্যমে চিমনি তে পানি দিয়ে ইট পড়ানো বন্ধ করা হয়
এসময় উপস্থিত ছিলেন-  পুলিশের এ এস আই হান্নান সহ সঙ্গীয় ফোর্স, ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন এর সঙ্গীয় ফোর্স ও সংবাদকর্মী সহ প্রমুখ।

এক্সিকিউটিভ ম্যজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম বলেন,  অবৈধভাবে কৃষি জমির থেকে মাটি কাটা এবং নদীর চড় থেকে মাটি কাটার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটার বিরুদ্ধে এরকম নিয়মিত এ অভিযান চলমান থাকবে৷

আলোকিত প্রতিদিন/১৬মার্চ-২৫/মওম

সন্তানের আশায় কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ!

আলোকিত প্রতিবেদক:   বিয়ের তিন বছরেও সন্তান না হওয়ায় চিন্তায় পড়েন স্বামী-স্ত্রী দুজনে। একপর্যায়ে ওই নারী সন্তান পাওয়ার আশায় এক কবিরাজের শরণাপন্ন হন তিনি। কিন্তু কবিরাজ সন্তান দেওয়ার নাম করে ঝাড়ফুঁকের একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ মার্চ) কবিরাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই কবিরাজের নাম আব্দুল খালেক (৬৫)। তিনি একই উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বড় বাজাইল গ্রামের নবিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নসু খার ছেলে।

ভুক্তভোগী নারী (৩৬) একই উপজেলায় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন। ঘটনার পর তিনি থানায় অভিযোগ করলে কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, এলাকায় কবিরাজ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে আব্দুল খালেকের। তার ঝাড়ফুঁক ও বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে সব ধরনের রোগ ভালো হয় বলে প্রচারণা রয়েছে। কারও সন্তান না হলে কবিরাজের শরণাপন্ন হলে সন্তান হয়, এমন বিশ্বাসে সন্তান ভুক্তভোগী নারী আব্দুল খালেকের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। নিশ্চিত সন্তান হবে এমন আশ্বাসে কবিরাজকে ১৫ হাজার টাকাও দেন তিনি। ৮ মার্চ ওই নারী আবারও কবিরাজের বাড়িতে যান। গিয়ে জানতে চান, সন্তান হতে আরও কতদিন সময় লাগতে পারে। এসময় ওই নারীকে বুঝিয়ে একটি কক্ষে নেন কবিরাজ। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেন।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ওই নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার আব্দুল খালেককে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

তারাগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন পদে নির্বাচন  অনুষ্ঠিত

শফিউল মন্ডল, তারাগঞ্জ-:রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে তিন পদে নির্বাচন  অনুষ্ঠিত হয়েছে।এরমধ্যে সভাপতি পদে তিনজন,সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন ও সিনিয়র সভাপতি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেন।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ),দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত হাড়িয়ারকুঠি ডাংগির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।ইউনিয়ন বিএনপির মোট ৪৫৯ ভোটার বিভিন্ন প্রার্থীদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করেন।উক্ত নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করেন রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য লিটন পারভেজ।আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য ফজলুল রহমান বাদল,মঈন উদ্দিন ও রাজীব চৌধুরী।এ নির্বাচনে সভাপতি পদে মকছেদুল হক,সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে পাকনিক হোসেন শেখ ও সাধারণ সম্পাদক পদে বাবুল হোসেন এবং বিনাপ্রতিদ্বন্বিতায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সাজু মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইদ্রিস আলী নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত সভাপতি মকছেদুল হক বলেন,তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে আমি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি গণমানুষের দল।আমি এ জয়ে ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগীদের মূল্যায়নে ভুমিকা পালন করবো।সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত বাবুল হোসেন বলেন,ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ইউনিয়ন বিএনপির সকল ভোটারদের।জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল তা আপনারা ইতিমধ্যে দেখেছেন।আমি ইউনিয়ন বিএনপি কে কিভাবে ঢেলে সাজানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবো।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান লিটন পারভেজ বলেন,জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশে কিভাবে ভোটাধিকারের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা যায় এ লক্ষ্যে আমরা রংপুর জেলা বিএনপি কাজ করে যাচ্ছি।এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে এটি প্রথম নির্বাচন করলাম।সকল ভোটার উৎসবমুখোর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রদান করেছেন।আমরা জেলা বিএনপি তৃনমুল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করতে বধ্য পরিকর।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নূরুল হক টাওয়ার চশমা ব্যবসায়ী মার্কেট কমিটির ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

মাইনুল হাসান রুবেল:  গত ১৪ মার্চ শুক্রবার ১৩ রমজান ১৪৪৬ হিজরী, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ঢাকায় নূরুল হক টাওয়ার চশমা ব্যবসায়ী মার্কেট কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিল সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে উইডিং ক্লাব এন্ড কনভেনশন সেন্টার, ৪৫/১ সুভাষ বোস এভিনিউ লক্ষী বাজারে অনুষ্ঠিত হয়।

 

মো: কামরুজ্জামান সবুজ এর উপস্থিতিতে ও হাওলাদার অপটিক্সের সত্ত্বাধিকারী মো: দেলোয়ার হোসেনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ফতেহ গাজী অপটিকসের ওনার হাফেজ কারী মো: রাইসুল ইসলামের সুমধুর কন্ঠে কুরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে ছেলে নাজমুল হক স্বপন, শামসুল হক লিটন ও নাতি ইঞ্জামামুল হক ( মন্ত্রী ) মরহুম নুরুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা ও জান্নাতের উচ্চ স্থান কামনা করে দোয়া করা হয়।

 

সুন্দর সাজানো গোছানো পারিবারিক পরিপাটি পরিবেশে আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্য সম্প্রীতির সাথে বৃহত্তর নূরুল হক টাওয়ার চশমা ব্যবসায়ী মার্কেটের ইফতার পার্টি সুসম্পন্ন হয়েছে। আগামী দিনের সুষ্ঠ পরিচালনার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন – মো: শামসুল হক লিটন। উক্ত ইফতার পার্টিতে আরো উপস্থিতিত ছিলেন পূর্বের ও বর্তমান সহ কেন্দ্রীয় কমিটির উল্লেখযোগ্য নেত্রীবৃন্দ এবং অত্র প্রতিবেদক সাংবাদিক মাইনুল হাসান রুবেল।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি