প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘কক্সবাজার ৭১’ এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও অবহেলায় চলছে চিকিৎসা সেবা’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
সংবাদে যে সকল কল্পকাহিনি সাজানো হয়েছে তা ধরাকে সরাজ্ঞান করার অভিপ্রায় মাত্র। সংবাদে বলা হয়েছে, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম ও অবহেলা চলছে। কিন্তু বাস্তবিক তা কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মান আগের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, পর্যাপ্ত জনবল থাকায় দ্বীপের মানুষকে প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কোনো রকম অবহেলা ও অনিয়মের প্রশ্নেই উঠে না।
সংবাদে আরো বলা হয়েছে, রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। কিন্তু দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সরকারি বরাদ্দকৃত মেডিসিন রোগীদের প্রদান করা হয়। এমনকি সরকারি বরাদ্দকৃত মেডিসিন সরবরাহ করা হলে প্রায়শই রোগীদের ফার্মেসী থেকে ওষুধ ক্রয় করতে হয় না। দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা এবং আন্তরিকতায় সাধারণ মানুষ ডাক্তার ও নার্সদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ডাক্তারদের মিটিং এবং মাসিক তদারকি এ যথাযথ ডিউটি পালনে বলা হয়েছে। ডিউটির সময় চেম্বারে রোগী দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সকল ব্যাপারে হাসপাতালের প্রধান হিসেবে আমি সতর্ক রয়েছি। কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সেবার মানসহ রোগীদের যথাযথ সেবা প্রদানে কোনো রকম অবহেলা ও অনিয়ম করা হচ্ছে না। দ্বীপের মানুষ যাতে তাদের সেবাটুকু পায়, এ ব্যাপারে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রাপ্য সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাধাবিপত্তি, ষড়যন্ত্র, এবং সকল অনিয়মকে দূরে ঠেলে দিয়ে দ্বীপের মানুষেকে প্রাপ্য সেবা দিয়ে যাবো।
জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ রূপান্তরে যাতে সামান্য অংশীদার হতে পারি, সেজন্য নিজ জায়গা থেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যেখানে থাকি না কেন সৎ এবং আদর্শ কর্মকান্ডের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করবো।
দ্বীপের মানুষের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু করা হয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় ২ লক্ষ মানুষের মধ্যে শুধুমাত্র ৯৩ জন রোগী করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সতর্কতাসহ তাদের এ ব্যাপারে সচেতন করায় তা সম্ভব হয়েছে। কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাংলাদেশের ৪৮৫ উপজেলায় ৪০৭ এ অবস্থানে ছিলো। কিন্তু এ বিগত ২ বছরে হাসপাতালে ডাক্তার এবং নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা প্রদান করায় ১১৫তম অবস্থানে অবতীর্ণ হয়। কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সিট ব্যবহারের হার ছিলো শুধুমাত্র মাসিক ৩৫%। কিন্তু দ্বীপের মানুষ হাসপাতালে ডাক্তারদের বিশ্বাস এবং আস্থার ঠিকানায় জায়গায় দেওয়ায় বর্তমানে মাসিক রোগীর সিট ব্যবহারের হার ১৩৪%। যা হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের পরিশ্রমের ফসল।
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ হতদরিদ্র, অসহায়, নিপীড়িত এবং সাধারণ মানুষকে সেবা পৌঁছে দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দ্বীপের মানুষ তাদের প্রাপ্য সেবা পেয়ে প্রকৃতির মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে এবং প্রকৃতিতে বিচরণ করবে এ আমার মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের যাচাই-বাছাই পূর্বক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ করছি। এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান করছি।
– প্রতিবাদকারী
ডা: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
কুতুবদিয়া, কক্সবাজার।
আলোকিত প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর ২০২০/জেডএন