দেবিদ্বারে দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন আয়োজনে বসন্ত ও পিঠা উৎসব পালন
কৃষি সচিবসহ ফ্যাসিষ্টদের অপসারণে বিক্ষোভ সমাবেশে আল্টিমেটাম
খুনী হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বাংলার মাটিতেই তার বিচার করা হবে: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স
সাভারের বিরুলিয়ায় এক হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-২
রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিধ্বস্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার ড্রোন হামলায় দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভে একটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ওই এলাকার প্রায় এক লাখ মানুষকে তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎহীন রাত কাটাতে হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, তীব্র শীতে বাসিন্দারা বিদ্যুৎ ও গরম পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, এ হামলার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। হামলার জেরে শহরটির এক লাখ বাসিন্দা তীব্র শীতের মধ্যে কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,যারা সত্যিকার অর্থে শান্তি পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছে বা আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা এভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায় না।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দেনিস শমিহাল বলেন, এই হামলা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, যাতে তীব্র শীতের মধ্যে মানুষ গরম পানির সুবিধা না পায় এবং মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।
রুশ বাহিনী রাতভর ১৪৩টি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ৯৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ৪৬টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি। ড্রোন হামলা ঠেকাতে বৈদ্যুতিক চুম্বক প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে সম্ভবত এটা সম্ভব হয়েছে। এসব ড্রোন হামলায় কিয়েভ অঞ্চলে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। মাইকোলাইভে রাতে তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো সোমবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ বৈঠকের পরিকল্পনা করছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
দেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : ফারুক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপিকে টপকিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন বাংলার বুকে হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন,বিএনপিকে অবমূল্যায়ন করবেন না। বিএনপির ধৈর্যের বাঁধ এখনও ভাঙেনি।
১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ফারুক বলেন, অনেকেই বলেন দিল্লি তুরস্কের মতো দল করবেন। যে আদলে এই দল করেন, আমাদের কোনো বাধা নেই। কারণ এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, দল করেন আর দলে আসেন, দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, সরকারকে সহযোগিতা করে।
তিনি বলেন, বিএনপি অতীতে জনগণের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না, তার প্রমাণ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করার জন্য কোনো মানুষ ছিল না তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। আর বর্তমানে তারেক রহমানের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা। তিনি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাতেই প্রমাণ করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি দল আছে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই কীসের টালবাহানা শুরু করেছেন আপনারা? এই সরকারকে দোষারোপ করার জন্য কী টালবাহানা শুরু করেছেন? গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তি হচ্ছে বিএনপি; তারা এখনও রাস্তায়। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবে, যে পর্যন্ত না জনগণের অধিকার ফিরে আসে।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত আপনার সরকার। ছাত্র-জনতা বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। দয়া করে এই বিশ্বাস অবহেলা করবেন না। যারা আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কোনো টালবাহানা চলবে না। টালবাহানা করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো দুই বছর ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। এসব চলবে না, নির্বাচন দিতে হবে। দেশের জনগণের অধিকারের জন্য আমরা বলছি দ্রুত নির্বাচনের দরকার। তাই বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। নির্বাচন বিলম্বিত করে দিল্লিতে বসে থাকা শেখ হাসিনা আবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে আগুন জ্বালাবে এটা হতে দেওয়া যাবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম
বসুরহাটে যে কারণে আলোচনার শীর্ষে পৌর বিএনপি নেতা লিটন
মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম: কেন্দ্রীয় থেকে একেবারে তৃণমুল। জেলা-উপজেলায়ও রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ওদিকে ছাত্র জীবন থেকেই তুখোড় ছাত্রনেতাও। কর্মগুণে সবকিছুই খুব অল্প সময়ে যার খ্যাতি লাভ। পুরস্কার স্বরুপ পরবর্তীতে বিএনপি’র সভাপতির পদবীও অর্জন। বিগত সময়ে বেশকিছু মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। তবুও বিএনপি’র হাল ছেড়ে দেননি। বরাবরেই দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন। এমনই একজন বিএনপি নেতা আবদুল মতিন লিটন। যাকে ঘিরে নেতা-কর্মীরাও আছেন ঐক্যবদ্ধ। এই নেতাকেই দলের অনেকেই এখন মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। এজন্য এখন থেকেই তাদের কাজও চলছে। বেশকিছু দলীয় নেতা-কর্মীর মুখে তাঁকে ঘিরেই আলোচনা চলছে। রোববার বসুরহাটে সরজমিনে জানাগেছে এসব তথ্য।
প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের একান্ত বিশ্বস্থ ছিলেন আবদুল মতিন লিটন। এজন্য এলাকায় দলকে সু-সংগঠিত করার জন্য তখন অনেকগুলো সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ওই দায়িত্ব পালনে তিনি সফলও হয়েছিলেন। এজন্য কেন্দ্রীয় ছাড়াও নোয়াখালী জেলার নেতৃবৃন্দরা তাঁকে ম্যাজিকের মতই হৃদয়ে স্থান করে নেন। সিনিয়র নেতাদের সেই মর্যাদা ধরে রাখার জন্য বিগত সময়ে বসুরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতে কাজ করেছেন আবদুল মতিন লিটন। ফলে পৌর এলাকায় নেতা-কর্মীদের কাছে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দ্রুত স্বীকৃতি পান তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, বিগত ১৭ বছরে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর উপর আ’লীগ কর্তৃক হামলা-মামলা হয়েছে ডজনের বেশি। এরআগে ১/১১ এর সময় বসুরহাটে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছিল। কারাগারেও ছিলেন কিছুদিন। জামিনের পর অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা নিতে হয়েছিল অনেক দিন। এসব দমন পীড়নের পরেও নেতা-কর্মীদের ছেড়ে যাননি তিনি। বরং শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রেখেছেন। এজন্য দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও এলাকার অনেকেই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চায় তাঁকে। সেই বিষয়ে আলোচনার শীর্ষে আছেন তিনি। যে ক’জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আছেন তাদের তুলনায় অনেক ভোটাররা যোগ্য মনে করছেন তাঁকে। তাছাড়া সবার অনুরোধে তিনিও মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জন্য বেশ আগ্রহী।
অপরদিকে, শুধু বসুরহাট পৌরসভা নয়; গোটা উপজেলায় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনকে আরো চাঙ্গা করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেকগুলো জনকল্যাণমুলক আয়োজনে তাঁর সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অবহেলিত মানুষ গুলোকে শান্তনা দিয়ে সহযোগিতারও হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে এই ত্যাগী নেতা বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি, বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এবং সিরাজপুর পিএল একাডেমী হাইস্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে বসুরহাট পৌর এলাকায় তাঁকে মেয়র নির্বাচিত করার জন্য দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। সেই অনুযারি কাজও চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে অনেকেই মেয়র দেখতে চায় মর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে লেখালেখি করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন-আবদুল মতিন লিটন সিনিয়র নেতাদের সবুজ সংকেত পেয়েই মাঠে কাজ করছেন।
সকালে ঢাকার জাতীয় ‘দৈনিক ‘আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে আবদুল মতিন লিটন বলেন, দীর্ঘদিন দল করে আসছি। এজন্য আমাকে অনেক কিছু ত্যাগও করতে হয়েছে। সবাই অনুরোধ করার কারণে আমি মেয়র প্রার্থী হওয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে দলের সীদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে বসুরহাট পৌরসভাকে অপরাধমুক্ত করে পরিছন্ন একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো। শাসক নয়; জনগণের সেবক হতে চাই। আমি শহীদ জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক, মানুষের সুখে-দুঃখে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
সাংবাদিক আকরাম হোসেনের পিতা আর নেই
দীর্ঘ ৮ বছর পর নড়াইল জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জ্যামের ভুগান্তিতে অতিষ্ঠ পথযাত্রী
প্রতিদিন তাড়াইল উপজেলা সদর বাজার এলএসডি রোড, থানার মোড়, তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ, এশিয়া ব্যাংক, জাওয়ার রোড, উপজেলা পরিষদ, মাদরাসা মার্কেট, মেইন রোডে ব্যাটারীচালিত অটোগাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠা্চ্ছে। যার কারণে দূরপাল্লার যানবাহনসহ বিপাকে পথচারীরা। নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক না থাকায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
তাছাড়া উপজেলা সদর বাজারে সাপ্তাহিক হাট শনিবার ও মঙ্গলবার হওয়ায় সেদিনের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। আবু বকর, সিদ্দিক ভূঞা, আলামিন ও শিপনসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমাদের তাড়াইল সদর বাজারে নির্দিষ্ট কোনো ট্রাফিক না থাকায় প্রতিদিন অটো রিকশা ভিড় জমায়। যার ফলে দেখা যায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট জ্যাম লেগে থাকে।