আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 119

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’

মোঃ শওকত আলী: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’ ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী।
ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদল নেতাকে অপহরণের পর মারধর করা হয়েছে—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মোরছালিন চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার দেওড়ার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার নতুন বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভিযুক্ত আমির হোসেন সরাইলস্থ অরুয়াইলের স্থানীয় ব্যবসায়ী।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমির হোসেনের সঙ্গে মোরছালিন চৌধুরীর ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত কাজে পরিচয়। মোরছালিন নিজে মধ্যস্থতা করে পরিচিতের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট কিনে দেন। এ সময় তিনি ক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি স্বাক্ষরযুক্ত চেক রাখেন। তবে সময় পার হলে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় মোরছালিন ক্রেতাকে বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দেন। তখন স্থানীয় একটি ঠিকানায় দেখা করে টাকা নিতে জানায় অভিযুক্ত আমির হোসেন।
মোরছালিন চৌধুরী অভিযুক্তের দেওয়া ঠিকানায় গেলে তিনি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। উপজেলাধীন অরুয়াইল বাজারস্থ আসামির মালিকানাধীন ‘আমির হোসেন মার্কেটের’ গোপন রুমে নিয়ে বাদীকে মারধর করেন। এরপর তার কাছে রক্ষিত চেক জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ‘টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন’ বলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই রাখেন। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে রুমে বন্দি করে রাখলে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সহায়তায় সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাকে বকেয়া টাকা দেবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক অপহরণ করে আমির হোসেন তার গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। আমি অন্য একজনের সহায়তায় গভীর রাতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ‘‘মামলার কাগজ গতকাল (সোমবার) পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য / সৈয়দ রনো

সৈয়দ রনো

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। সময়ের বাস্তবতার নিরিখে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের তাগিদে ১৯ দফার রূপান্তর ঘটেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে প্রস্তাব করেন ভিশন-২০৩০। আবারো সময়ের পরিক্রমায় বাস্তবতার নিরিখে রূপান্তরিত ১৯ দফা ও ভিশন-২০৩০ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমন্বয় ও নির্দেশনার ভেতর দিয়ে রূপপরিগ্রহ করেছে দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল-মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক ৩১ দফায়। তারেক রহমান ৩১ দফায় এক সূতোয় বেঁধে দিয়েছেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল সমূহকে এবং সেই সাথে তিনি রচনা করেন বৈচিত্র্যের ভেতর ঐক্যের দর্শন। অতি সম্প্রতি উদ্যাপিত হয়ে যাওয়া ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনসার্টের নামকরণের ভেতর দিয়ে তারেক রহমান যে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন- সেই বাংলাদেশ মনে করিয়ে দেয়, তাঁর প্রয়াত পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সেই বিশেষ বাক্যটি- ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে দেশ বড়’। বিগত দেড় দশকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামল যে ঘুণে ধরা, পঙ্কিল ও ভঙ্গুর রাষ্ট্র রেখে গেছে। সেই রাষ্ট্র মেরামত ও যথাযথ নির্মাণে ৩১ দফার বাস্তবায়ন শুধু মহৌষধই নয় বরং বাস্তবতার নিরিখে এ এক অনিবার‌্যতা। তারেক রহমানের উদ্যোগে ৩১ দফা সঞ্চালিত হচ্ছে বিভাগ থেকে জেলায়, জেলা থেকে উপজেলায়,উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড, এবং ওয়ার্ড থেকে প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষের হৃদয়, মনন ও চেতনায়।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন আমাদের জানিয়ে দেয়- রাষ্ট্র ভূমিকে বাসযোগ্য করে তুলতে মানুষের মনোভূমি নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। ঘরে ঘরে ৩১ দফা পৌঁছে দেবার ভেতর দিয়ে প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের রাজনৈতিক দর্শনকে সমৃদ্ধ করবার ভেতর দিয়ে নির্মিত হবে আগামীর সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ।রাষ্ট্র কোনো বায়বীয় ধারণা নয় বরং রাষ্ট্র হলো একটি প্রায়োগিক দর্শন। রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফসল নয় বরং রাষ্ট্র হলো আপামর জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেকে মনে করতেন ‘তিনিই বাংলাদেশ’! কিন্তু শেষ পর‌্যন্ত গণভবনের পেছনের দরজা দিয়ে তাকেও পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনে করেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা হবে- দেশের সকল জনগণের এবং যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হবে ন্যায্যতা ও সাম্যের ভিত্তিতে এবং সকল মানুষের অংশগ্রহণের ভেতর দিয়ে। তারেক রহমান মনে করেন তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীর ওপর যে অত্যাচার ও নির‌্যাতন হয়েছে সেটির জবাব দিতে ৩১ দফার সফল বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন- ৩১ দফার সফল বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে ভোটের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই একটি বসবাসযোগ্য ও আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণ করা সম্ভব। অতি সম্প্রতি তিনি নিজের একটি বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন- তাঁর পিতাকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁর মাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সীমাহীন কষ্ট ও ত্যাগ শিকার করেছেন। তাঁর কনিষ্ঠ ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাকে ঠেলে দেয়া হয়েছে এক নির্বাসিত জীবনে। এসব ভুলে গিয়ে তিনি ৩১ দফার নিরিখে নির্মাণ করতে চান ভারতীয় নাগপাশ থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে বাংলাদেশের জনগণ পিষ্ঠ। গত ১৭ বছরে আওয়ামী শাসনামলে সেটি এমন রূপ পরিগ্রহ করেছিল যাতে দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল দেশের আপামর জনসাধারণের। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশের স্বাধীন ও সার্বভৌম পররাষ্ট্রনীতি মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করেছে তাই নয় বরং সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশকে বিপন্ন করে সার্বভৌমত্বকে হুমকি সম্মুখীন করেছে। ৫ আগস্ট গণবিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেশের জনগণ এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বপ্ন দেখছে, সেই বাংলাদেশ হবে- স্বাধীন, সার্বভৌম ও স্বনির্ভর। তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা হচ্ছে- ভারতীয় আগ্রাসন মুক্ত সেই সার্বভৌম ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার বীজ, যে বাংলাদেশ ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। ১৯৮১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিক। তারেক রহমানের তখন ক্লাস নাইনের ছাত্র। বাবা-মা রাষ্ট্রীয় সফরে নেপাল যাবেন। এর আগে নেপালের রাজা সপরিবারে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এক সন্ধ্যায় বাবাকে কাছে পেয়ে মায়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বাবাকে বললেন, ‘রাজার ছেলে যদি রাজার সাথে বেড়াতে যেতে পারে, আমরা কেনো তোমার সাথে যেতে পারবো না?’ সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বাবা বলে উঠলেন, ‘তোমরা কোনো রাজার ছেলে নও’। অতি সাধারণ জীবনে অভ্যস্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁর অসাধারণ গুণাবলী দিয়ে নিজের সন্তানদের দেশের সাধারণ মানুষের মতোই বড় করেছিলেন। বাবার রাষ্ট্রনায়োকচিত সেই সকল গুণাবলীর ধারক ও বাহক তারেক রহমান আজ আরো পরিপক্ক ও দেশ ও জনগণের দায়িত্ব নেবার মহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে। ৩১ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি সুসংহত ও সময়োপযোগী নীতিমালা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রের বর্তমান সংকট নিরসন এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো নিয়ে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৩১ দফা এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে উঠে এসেছে। গণতন্ত্র, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে প্রণীত এই দফাগুলো দেশকে নতুন এক যুগের পথে নিয়ে যেতে পারে। গণতন্ত্রের সংকট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিনের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির ৩১ দফায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শক্তিশালীকরণের জন্য স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য। এই নিবন্ধে আমরা ৩১ দফার গুরুত্ব ও তাৎপর‌্য বিশ্লেষণ করে দেখব কীভাবে এটি গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে এবং দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

আলোকিত প্রতিদিন / ১৩/ ০২/২০২৫

আওয়ামীলীগের বিচার এবং নিষিদ্ধের দাবীতে আগামীকাল ডিমলায় বৈবিছা আন্দোলনের মিছিল ও সমাবেশের ডাক

মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ, গাজীপুরে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ মীর কাশেমের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি,  শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ডিমলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডিমলা উপজেলার অফিসিয়াল পেইজ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নেতৃবৃন্দরা।
নেতৃবৃন্দরা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় মীর কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ মীর কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করার ঘোষণা করে প্রোগ্রাম সফল করছে। ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডিমলা উপজেলায় কর্মসূচির সফল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্রের বিপরীতে কাজ করেছিল। গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছিল। দমন-পীড়নমূলক নীতির কারণে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। ফলে তাদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং চক্রান্ত এখনও দৃশ্যমান আছে। তাই আওয়ামী লীগের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসবে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ২০ মামলার পলাতক  আসামী লুদু গ্রেফতা*র 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী মিছিলে যোগ দেয়া কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী আবুল মনছুর লুদুইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।  বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি  রাতে কক্সবাজার শহরের হাশেমিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের এই ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কক্সবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী মিছিলে সরাসরি অংশ নেন তিনি। ওই মিছিলে ছাত্রদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের যোগান দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আবুল মনছুর লুদু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কক্সবাজারের একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার। অনেকেই আওয়ামীলীগের ভাড়াটিয়া ত্রাস হিসেবে চিনেন তাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর খাতায় কক্সবাজারের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত লুদু। জমি দখল, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, ডাকাতি ও হত্যাসহ প্রায় ২০টির অধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৭ বছর কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা রুমালিয়ারছড়া ও জেল গেইট এলাকায় ত্রাস চালিয়েছে আওয়ামীলীগের এই সন্ত্রাসী।
জানা যায়- ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের ব্যানারে নাম লেখান কক্সবাজার উত্তর রুমালিয়ারছড়াস্থ হাশেমিয়া মাদ্রাসা গেইট এলাকার আব্দুস ছবুর সওদাগরের ছেলে সন্ত্রাসী আবুল মনছুর লুদু। এরপর সন্ত্রাসী ইকবাল হোসেন ছোটন, মুবিনুল হক মুবিন, ফারুক, জিয়াবুল ও জসিমসহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলে। শুরু হয় তাদের ত্রাসের রাজত্ব।
২০০১ সালের মে মাসে সিটি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কলেজ ছাত্র আলমগীর ও তার চাচা বিডিআর সদস্য আমীরুল আলমকে গুলি করে নতুন করে আলোচনায় আসেন ছাত্রলীগ নেতা লুদু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমীরুল আলম। এই হত্যাকান্ডে তৎকালিন বেশ উত্তাল সৃষ্টি হয় কক্সবাজারে।
এর আগে ২০০১ সালের মার্চ মাসে চাঁদাদাবী ও লুটপাটের ঘটনায় সন্ত্রাসী লুদুইয়া ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিল উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার রোবহান উদ্দিন আহমেদ। এরপর ২০০২ সালে পাবলিক হল ময়দানে এক অনুষ্ঠানরত জনসভায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে জনসভা পন্ড করে। তখন এক মহিলাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিল তৎকালিন ছাত্রলীগের ক্যাডার এই লুদুইয়া।
৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী মিছিলে যোগদেন কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী লুদুইয়া। প্রকাশ্যে মিছিলে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরাছোয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সংবাদ শুনে নির্যাতিত পরিবার এবং এলাকার  মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি, পটকা ফোটানোয় নিষেধাজ্ঞা

আলোকিত ডেস্ক: পবিত্র শবে বরাত আগামীকাল শুক্রবার রাতে উদযাপিত হবে। এ রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (এনডিসি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলো।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

টাঙ্গাইল এলজিইডিতে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ব্যাডমিণ্টন টুর্নামেণ্টের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

সাইফুল ইসলাম সবুজ, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল এলজিইডি ক্যাম্পাসে দপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী প্রয়াত কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক প্রধান অতিথি হিসেবে ওই পুরষ্কার বিতরণ করেন।
টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, টাঙ্গাইল এলজিইডি ও ১২টি উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা এবং এলজিইডির কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্য ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে টাঙ্গাইল এলজিইডি ক্যাম্পাসে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উত্তীর্ণদের মাঝে এদিন রাতে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিফাইনালে নির্বাচিত সিনিয়র দল ও জুনিয়র দলের মাঝে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় অংশ নেন- সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস শাকের ও সহকারী প্রকৌশলী সাকিব উল হাফিজ বনাম উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল শাকের ও কার্যসহকারী সাকিবুল হাসান।
টুর্নামেণ্টের ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল খেলায় ২১-১৯ পয়েণ্টে সিনিয়র দলকে জুনিয়র দল পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরে অতিথিরা বিজয়ী ও বিজিত দলের খেলোয়ারদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল এলজিইডির আয়োজনে জেলার ১২টি উপজেলা এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের ৪৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পৃথক চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেণ্টের ২৪টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। গত ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া টুর্নামেণ্টে গ্রুপ বিজয়ী খেলোয়ারদের মধ্যে সেমিফাইনাল শেষে বুধবার রাতে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

এবার গোলাপগঞ্জের সাইনবোর্ডে ভেসে উঠল ‘চাচা হাসু আপা কোথায়?’

আলোকিত ডেস্ক: সিলেটের গোলাপগঞ্জের একটি শপিং কমপ্লেক্সের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে হঠাৎ ভেসে উঠল ‘চাচা হাসু আপা কোথায়। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ভেসে ওঠা এ লেখার একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সিলেট জুড়ে।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, গোলাপগঞ্জের চৌমুহনী এলাকার কুশিয়ারা শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে নিরাময় ডেন্টাল কেয়ার। সেখানে স্থাপন করা একটি ডিজিটাল সাইনবোর্ডে হঠাৎ ভেসে উঠেছে, ‘চাচা হাসু আপা কোথায়?

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, মার্কেটের সাইনবোর্ডে এমন লেখা ভেসে ওঠার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন মার্কেটটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

র‌্যাব বিলুপ্ত করে কর্মীদের স্ব স্ব ইউনিটে ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ জাতিসংঘের

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, “র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করুন এবং গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মীদের স্ব স্ব ইউনিটে ফিরিয়ে দিন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে র‌্যাবকে বিলুপ্তিসহ বিজিবি কেবল সীমান্তরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে (ডিজিএফআই) কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও আনসার-ভিডিপির উপর “সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রোধ” করে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহায়ক হিসেবে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

ওএইচসিএইচআর বলছে, প্রতিবেদনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে তারা প্রস্তুত।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আহ্বানে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনের তদন্ত।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীদের কিছু অংশ সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, যাদের বেশিরভাগ সরকারি ভবন, পরিবহন অবকাঠামো এবং পুলিশকে লক্ষ করে আক্রমণ করে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আন্দোলনের দমানোর কীভাবে সম্পৃক্ত ছিল, তার একটি বর্ণনা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়।

সেখানে বলা হয়, “ডিরেক্টরেট জেনারেল অব আর্মড ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) – এবং পুলিশের বিশেষ শাখা – গোয়েন্দা শাখা এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিটিসি) প্রতিবাদকারীদের দমনের নামে সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নীলফামারী গাজীপুরে কাশেম হত্যার বিচারের দাবীতে বৈবিছা আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ, নীলফামারী গাজীপুরে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শহীদ কাশেমের জানাযার পরে আওয়ামীলীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে ১২ই ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৯ টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক এর নেতৃত্বে নীলফামারী শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর এবং যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহান আহম্মেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব রেজাউল করীম, সাঈদ ইসলাম সহ নীলফামারী জেলা সদরের অনেকেই।
বিক্ষোভে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক বলেন, অতিদ্রুত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগকে বিচারের আওতায় এনে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে, এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহান আহম্মেদ বলেন, অতিদ্রুত আমাদের ভাই মীর কাশেম কে হত্যার বিচার করতে হবে এবং আওয়ামীলীগ নামে কোন দল বাংলাদেশের জমিনে যেন উৎপত্তি না হয় সেই বিষয়ে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এবং উপস্থিত অনেকেই বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দাফনের ১০ মাস পর লাশ উত্তোলন

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত : দাফনের ১০ মাস ছয় দিন পর আদালতের নির্দেশে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় নুরুল ইসলাম (৪৪) নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লাশটি উত্তোলন করা হয়। নুরুল তিল্লীর চর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নুরুল স্ট্রোক করে মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মৃতের ভগ্নিপতি এরশাদ একটি হত্যা মামলা করলে আদালত তদন্তের জন্য সাটুরিয়া থানা পুলিশকে দেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই লাশ উত্তোলনের আবেদন করে পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত।
লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ, ডা. হাবিবুর রহমান, তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোজাম্মেল উপস্থিতি ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ বলেন, লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত থেকে আদেশের পর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি