আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 118

শবে বরাত উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় তারেক রহমান

আলোকিত ডেস্ক:

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সব মুসলমানের অব্যাহত সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বরাত অর্থ নাজাত বা মুক্তি, তাই শবে বরাতের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এ রাতের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। এ মহান রাতে আল্লাহ পাক তার সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আর এ কারণেই এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ বান্দারা সারারাত আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের প্রত্যাশায় নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। নিঃসন্দেহে এই রাত ফজিলতপূর্ণ। আল্লাহপাক এই রাতে তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন। সব অনাচার, অপকর্ম ও অপবিত্রতা থেকে পরিত্রাণ পেতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং মহান রাব্বুল আলামীন অনুগ্রহ প্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন।

তিনি বলেন, আমরা সবাই সহিংসতা, রক্তপাত, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করে মানব জাতির বৃহত্তর কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত রাখবো, মহিমান্বিত রাতে আমাদের এই নিবেদন নিশ্চয়ই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কবুল করবেন। আমি পবিত্র শবে বরাতের এই রজনীতে দেশ, জাতি তথা মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর উন্নতি, কল্যাণ ও শান্তি কামনা করছি।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র ও কল্যাণময় রজনী হচ্ছে শবে বরাত। শবে বরাতে মানুষ আল্লাহর কাছে নিজের দোষের জন্য ক্ষমা চায়। এই রাতে আল্লাহ তা’আলার নিকট যারা ক্ষমাপ্রার্থী তাদের পাপ তিনি ক্ষমা করেন, আর যারা অনুগ্রহপ্রার্থী তাদের তিনি অনুগ্রহ করেন। ইসলাম মানুষকে সরল-সোজা ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বিধান প্রদান করে। নিজেদের সকল অমঙ্গল থেকে রেহাই পেতে নিষ্কলুষ, নিষ্পাপ পথে চলার জন্য মুসলমানরা এই রাতে আল্লাহ’র কাছে সাহায্য চেয়ে মোনাজাত করবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই পবিত্র রাত ক্ষমার রাত হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সৌভাগ্যের রজনী আলোকোজ্জ্বল মহিমাময়। এই রাতে সবার জীবনে নেমে আসুক সুখ, সুন্দর এবং কল্যাণের বারিধারা। আমি আল্লাহ’র দরবারে কায়মনোবাক্যে সেই মোনাজাত করি। এই রহমত ও বরকতের রজনীতে আল্লাহ’র নির্দেশিত পন্থায় আমরা সবাই মানব জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবো। এজন্য আল্লাহ’র নিকট ধৈর্য ও উদ্যম কামনা করছি। পবিত্র শবে বরাতের এই রজনীতে দেশ, জাতি ও মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনা করি।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম

তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা : দেবিদ্বার উদ্যোক্তা মেলা

নাজমুল হাসান:

তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা ও ব্যবসায়িক দক্ষতা বিকাশে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেবিদ্বার উপজেলায় আয়োজিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা। দেবিদ্বার উপজেলা উদ্যোক্তা কমিটির উদ্যোগে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির তত্বাবধানে এই উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হয়।

 ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় বিভিন্ন স্টলে তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছেন। প্রতিটি স্টলে ছিল ভিন্ন ভিন্ন ধারণা ও উদ্ভাবনী চিন্তার ছোঁয়া। মেলায় অংশ নেওয়া তরুণ উদ্যোক্তারা প্রদর্শন করেছেন তাদের উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা। মেলার ৩৯টি স্টলে দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তারা অংশ নেয়। মেলায় অংশ নেওয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা দেখে দর্শকরা অভিভূত হয়েছেন অনেকে। উদ্যোক্তার মেলার স্লোগান ছিলো “একটি উদ্যোগ হাজারও সম্ভাবনা, নতুন দিগন্তের উন্মোচনা”

মেলাটি উদ্বোধন করেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন, দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম, উপজেলা উদ্যোক্তা কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম সরকার, দেবিদ্বার প্রেসক্লাবে সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম সাগর, উপজেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাজমুল হাসান নাহিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক মুহ্তাদির যারিফ সিক্ত সহ প্রমূখ।

মেলায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা নারগিস আক্তার, রুমি, সাবিনা আক্তার, মুহ্তাদির যারিফ সিক্ত, সাকিবুল হাসান মিনহাজ, মাহমুদা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, এমদাদুল হক, ফাতেমাতুজ জোহরার মতো আরো তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিল হস্তশিল্প, ফ্যাশন ডিজাইন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, অর্গানিক ফুড, সুগন্ধি স্টল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও মেলায় স্টল স্থাপন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী এই উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় অংশ নেওয়া তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা জানান, এই মেলার মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারের সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন শিল্প বিশেষজ্ঞ ও সফল উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেয়েছেন।

মেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার জানান, মেলায় এসে আমি অনেক নতুন ধারণা ও পণ্য দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি মনে করি, এই ধরনের আয়োজন তরুণদের মধ্যে ব্যবসায়িক চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মেলার আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, এই মেলার মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে জাগ্রত করা সম্ভব হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামীতেও এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম

আমিরাত সফর শেষ করে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগদান শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড.আহমেদ বেলহুল আল ফালাসি তাকে দুবাই বিমানবন্দরে বিদায় জানান। প্রধান উপদেষ্টা এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দেশ ফিরছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব জানানো হয়েছে। সফরে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগদানের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা সম্পর্ক গভীর করার মতো পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা আমিরাতের কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জায়ৌদির প্রস্তাবের পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনে নীতিগতভাবে সম্মত হন।

প্রধান উপদেষ্টা বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জাইয়ুদীকে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বল্পমূল্যের শ্রম ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রুপগুলো বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ সাথে ছিলেন।

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুবাই পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম

শবে বরাত উপলক্ষ্যে গরু-মুরগি ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে

আলোকিত প্রতিবেদক:

সারাদেশে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। দিনটিকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের বাজারে উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বিশেষ করে চাহিদা বেশি থাকার সুযোগে বেড়েছে, গরু, মুরগি ও খাসি মাংসের দাম।

খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত তিনদিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। এখন এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। গত ছয় মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা খাসির মাংসের কেজি প্রতি দাম হাঁকাচ্ছেন ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা।

১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর কাঁচাবাজার, বাড্ডা কাঁচাবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি মাংসের দোকানে ক্রেতাদের লম্বা ভিড়। ক্রেতারা এসে প্রথমে ব্যবসায়ীদের কাছে মাংসের দাম জিজ্ঞাসা করছেন। বাড়তি দাম শুনে অনেক ক্রেতাই বিক্রেতার কাছে ফিরতি প্রশ্ন করছেন হঠাৎ করে কেন মাংসের দাম বেড়ে গেল। ক্রেতাদের প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবে বরাতের বাজারে দাম একটু বেশি থাকে।

রাজধানীর  যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই তো গরুর মাংস ৭৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ৮০০ টাকা করে দাম চাচ্ছে। তারা কীসের ভিত্তিতে ৫০ টাকা দাম বাড়িয়েছে এটার কোনো সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। শবে বরাতের সময় মানুষ একটু বাসায় মাংস নিতে পছন্দ করে তাই বাড়তি দাম হলেও কিনে নিচ্ছে। এছাড়া খাসির মাংসের দামও তারা ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি করেছে।

মাংসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজারের মাংস বিক্রেতা বলেন, গরু ও ছাগলের দাম বাজারে প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে মাংসের দাম একটু বেশি। এছাড়া শবে বরাতের সময় দাম একটু বেশি থাকে, এটা নতুন কিছু না।

অন্যদিকে যারা খাসি ও গরুর মাংস কিনতে পারছেন না, তারা ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়ে বাড়তি দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

রাজধানীর কারওয়ান কাঁচাবাজারের ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়ে এক ক্রেতা বলেন, গরু ও খাসির মাংস তো আগে থেকেই অনেক দাম। ব্রয়লার মুরগির দামও বেশি ছিল। কিন্তু ১৯০ টাকা কেজি মুরগির দাম আজ হয়ে গেছে ২১০ টাকা। এভাবে হুট করে দাম বেড়ে গেলে তো আমাদের মত মানুষ জনের অনেক কষ্ট হয়।

মুরগির দামের বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতা বলেন, গত তিনদিন আগেও ১৯০ টাকা করে বিক্রি করতাম। কিন্তু হঠাৎ সাপ্লাই কমে গেছে। আমার মনে হয় পাইকারি বিক্রেতারা শবে বরাতকে কেন্দ্র করে সাপ্লাই কমাই দিয়ে দাম বাড়িয়েছে। এখন বাড়তি দামে কিনে তো আমাদেরকে বাড়তি দামি বিক্রি করতে হবে।

এদিকে মাংসের বাজারে দামের আগুন থাকলেও সবজির বাজারে টানা স্বস্তি চলছে ক্রেতাদের জন্য।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা করে, আলু ২৫ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা, দেশী শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্বস্তিতে রয়েছে পেঁয়াজের বাজার দামও। তবে দাম বাড়তি রয়েছে রসুনের। খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে আদারও কেজির  দর বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ফেব্রুয়ারি-২৫/মওম

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ // সৈয়দ রনো

সৈয়দ রনো:

ক্লান্ত বিছানায় এপাশ ওপাশ ফিরি, স্ত্রী-সন্তান গভীর ঘূমে অচেতন
রাতের কোনো এক প্রহরে বেজে উঠে টুংটাং শব্দ
কেটে যায় তন্দ্রার ঘোর, বেলকনিতে দাঁড়াই
চারপাশে ভৌতিক নীরবতা, যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল নেই
মানুষের উর্ধশ্বাস, ছুটে চলার করুণ চিত্র দেখি

গভীর ঘুমে অচেতন মহল্লার প্রতিটি তল্লাট
কেবল কতোগুলো অর্ধ উলঙ্গ সোডিয়াম বাতি দেখি
জোনাকীর মতো মিট মিট করে জ্বলছে
জ্বলছে দেয়ালে সাটানো মহামানবের ঘুমন্ত ছবি
কারুকাজ নয়, বিখ্যাত কোনো চিত্রকল্পও নয়
সাধারণ রঙতুলিতে আঁকা ছবি
হঠাৎ ছবিটি জীবন্ত হয়ে উঠে ঘরজুড়ে বিলাতে থাকে সুমিষ্ট ঘ্রাণ
তন্ময় হয়ে দেখি নগরায়নে গড়ে ওঠা দালান কোঠা
যেখানে বিলীন হয়েছে সারি সারি পাইনের বন
বিনষ্ট হয়েছে বিশাল ধান কাউনের মাঠ
প্রকৃতির বুক চিরে তর তর করে বইছে রক্ত নহর

অমবস্যার গভীর অন্ধকারে ঐ খানে দেখেছিলাম বাতাবী লেবুর বাগান
রক্তকরবীর চারা, জুঁই চামেলী টগর হাসনা হেনা ফুলের
গন্ধে মৌ মৌ বাতাস, এখন আর নেই
হারিয়ে গেছে সব, হারিয়ে গেছে কালের বিবর্তে কাল
আমিও হারিয়ে যাব একদিন
ভাবছিলাম স্মৃতির এ্যালবাম খুলে
হঠাৎ প্রচণ্ড গুলির শব্দে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সার্কিট হাউজ
ক্ষণিকেই বাংলার ভাগ্যাকাশে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার
থমকে পড়ে গোটা দেশ,সমরে সাহসী সেই বলিষ্ঠ কন্ঠের মহান পুরুষ
বাংলার মানচিত্র বুকে আগলে মেঝেতে পড়ে থাকেন মহান নেতা কালের সাক্ষী হয়ে পাশে পড়ে থাকে রৌদ্রচশমা
মানুষের এক মুঠো ভাত আর ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায়
ছুটেছেন বাংলার আনাচে কানাচে শ্যামলীয়া গাঁয়
শহীদ হন সেই মহান স্বাধীনতার ঘোষক।জানতে ইচ্ছে করে তোমার রক্তের বদলে কতটুকু স্বার্থক হয়েছে বাংলাদেশ ?

চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজের মেঝেতে
লেগে থাকে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ
দূর থেকে ভেসে আসে অর্ধাহারী অনাহারী মানুষ আর
পশুপাখির করুণ আর্তনাদ
যতোদূর চোখ যায় দেখি চার দেয়ালে বন্দী
কারফিউঘেরা পূর্ণিমা রাত
আকাশ দেখি গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা
অপুষ্টিতে ভোগা অর্ধাকৃতির এক ফালি চাঁদ
ঘুমিয়ে পড়ে আকাশের বুকে
দেখি দেয়ালে সাটানো সেই চিরচেনা ছবি
শাহাদৎ আঙুল উঁচিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছেন
ছবি খানিকটা নড়েচড়ে ওঠে
কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে- যারা একাত্তর দেখেনি
যারা কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রের স্বাধীনতার ঘোষণা শোনেনি
যারা রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি- তাদের বলছি
দেশটা স্বাধীন হয়েছে স্বনির্ভরতার জন্য
দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য
বন্ধ হবে বৈষম্যের দ্বার উন্মুক্ত হবে মত প্রকাশের অধিকার

যারা চুয়াত্তরের ভয়াল দুর্ভিক্ষ দেখেনি
দেখেনি মানুষের হাহাকার, অর্ধাহারে অনাহারে
বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরা মানুষের কংঙ্কাল
তাদের বলবো। বাংলাদেশের কলঙ্ক মুছে,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন নেতা। মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন, দু’বেলা দু’মুঠো ভাত
সময় গড়িয়েছে বহুদূর
চোখের সামনে ইতিহাসের বাস্তব চিত্র
স্মৃতি মন্থনে নির্মম হয়ে ওঠে, মনের গভীরে চলে ভাঙ্গনের খেলা
অসহ্য মানষিক যন্ত্রণায়,রেলিং ধরে খোলা আকাশের দিকে তাকাই
দেয়ালে সাটানো সেই মহামানবের বজ্রশপথ মুষ্ঠিবদ্ধ হাত
দেয়াল ভেদ করে ক্রমশ আকাশের দিকে ওঠে যায়
সপ্ত আকাশ ভেদ করে আরশ কুরসীতে
এরপর হাত দুটি মেলে নেতা প্রর্থনা করেন
শত ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে, দেশ এগিয়ে যাক আগামীর পথে
গড়ে উঠুক ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ
তাকিয়ে থাকি গভীর অনুরাগে
স্বধীনতার ঘোষকের চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি
হাস্যোজ্জ্বল নেতার কণ্ঠে স্পষ্ট শুনতে পাই
স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা, ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’

বজ্রকণ্ঠে স্বধীনতা যুদ্ধের ঘোষণায়
লক্ষ কোটি আবাল বৃদ্ধ বণিতা, ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে
চলে রক্তক্ষয়ী মুক্তির সংগ্রাম
নয় মাস প্রত্যক্ষ সমরে, অবতীর্ণ হয়ে ছিনিয়ে আনেন
লাল সবুজের পতাকা, অখণ্ড মানচিত্র, অতঃপর বাংলাদেশ

যুদ্ধ শেষে ক্লান্তি মুছে নেমে আসেন পদ্মা মেঘনা যমুনার মোহনায়
শহীদ জিয়ার শরীর দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে পড়ে অফুরন্ত লবণাক্ত ঘাম
মিশে যায় পদ্মা নদীর বহমান স্রোতে
হাতে তুলে নেন উন্নয়নের কোদাল
গরীব দুখিদের যাপিত জীবনের কলরব শুনে
তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলান নেতা,দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারণ করেন
‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’

মোঃ শওকত আলী: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’ ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী।
ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদল নেতাকে অপহরণের পর মারধর করা হয়েছে—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মোরছালিন চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার দেওড়ার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার নতুন বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভিযুক্ত আমির হোসেন সরাইলস্থ অরুয়াইলের স্থানীয় ব্যবসায়ী।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমির হোসেনের সঙ্গে মোরছালিন চৌধুরীর ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত কাজে পরিচয়। মোরছালিন নিজে মধ্যস্থতা করে পরিচিতের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট কিনে দেন। এ সময় তিনি ক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি স্বাক্ষরযুক্ত চেক রাখেন। তবে সময় পার হলে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় মোরছালিন ক্রেতাকে বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দেন। তখন স্থানীয় একটি ঠিকানায় দেখা করে টাকা নিতে জানায় অভিযুক্ত আমির হোসেন।
মোরছালিন চৌধুরী অভিযুক্তের দেওয়া ঠিকানায় গেলে তিনি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। উপজেলাধীন অরুয়াইল বাজারস্থ আসামির মালিকানাধীন ‘আমির হোসেন মার্কেটের’ গোপন রুমে নিয়ে বাদীকে মারধর করেন। এরপর তার কাছে রক্ষিত চেক জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ‘টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন’ বলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই রাখেন। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে রুমে বন্দি করে রাখলে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সহায়তায় সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাকে বকেয়া টাকা দেবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক অপহরণ করে আমির হোসেন তার গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। আমি অন্য একজনের সহায়তায় গভীর রাতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ‘‘মামলার কাগজ গতকাল (সোমবার) পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য / সৈয়দ রনো

সৈয়দ রনো

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। সময়ের বাস্তবতার নিরিখে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের তাগিদে ১৯ দফার রূপান্তর ঘটেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে প্রস্তাব করেন ভিশন-২০৩০। আবারো সময়ের পরিক্রমায় বাস্তবতার নিরিখে রূপান্তরিত ১৯ দফা ও ভিশন-২০৩০ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমন্বয় ও নির্দেশনার ভেতর দিয়ে রূপপরিগ্রহ করেছে দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল-মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক ৩১ দফায়। তারেক রহমান ৩১ দফায় এক সূতোয় বেঁধে দিয়েছেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল সমূহকে এবং সেই সাথে তিনি রচনা করেন বৈচিত্র্যের ভেতর ঐক্যের দর্শন। অতি সম্প্রতি উদ্যাপিত হয়ে যাওয়া ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনসার্টের নামকরণের ভেতর দিয়ে তারেক রহমান যে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন- সেই বাংলাদেশ মনে করিয়ে দেয়, তাঁর প্রয়াত পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সেই বিশেষ বাক্যটি- ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে দেশ বড়’। বিগত দেড় দশকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামল যে ঘুণে ধরা, পঙ্কিল ও ভঙ্গুর রাষ্ট্র রেখে গেছে। সেই রাষ্ট্র মেরামত ও যথাযথ নির্মাণে ৩১ দফার বাস্তবায়ন শুধু মহৌষধই নয় বরং বাস্তবতার নিরিখে এ এক অনিবার‌্যতা। তারেক রহমানের উদ্যোগে ৩১ দফা সঞ্চালিত হচ্ছে বিভাগ থেকে জেলায়, জেলা থেকে উপজেলায়,উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড, এবং ওয়ার্ড থেকে প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষের হৃদয়, মনন ও চেতনায়।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন আমাদের জানিয়ে দেয়- রাষ্ট্র ভূমিকে বাসযোগ্য করে তুলতে মানুষের মনোভূমি নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। ঘরে ঘরে ৩১ দফা পৌঁছে দেবার ভেতর দিয়ে প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের রাজনৈতিক দর্শনকে সমৃদ্ধ করবার ভেতর দিয়ে নির্মিত হবে আগামীর সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ।রাষ্ট্র কোনো বায়বীয় ধারণা নয় বরং রাষ্ট্র হলো একটি প্রায়োগিক দর্শন। রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফসল নয় বরং রাষ্ট্র হলো আপামর জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেকে মনে করতেন ‘তিনিই বাংলাদেশ’! কিন্তু শেষ পর‌্যন্ত গণভবনের পেছনের দরজা দিয়ে তাকেও পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনে করেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা হবে- দেশের সকল জনগণের এবং যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হবে ন্যায্যতা ও সাম্যের ভিত্তিতে এবং সকল মানুষের অংশগ্রহণের ভেতর দিয়ে। তারেক রহমান মনে করেন তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীর ওপর যে অত্যাচার ও নির‌্যাতন হয়েছে সেটির জবাব দিতে ৩১ দফার সফল বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন- ৩১ দফার সফল বাস্তবায়নের ভেতর দিয়ে ভোটের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই একটি বসবাসযোগ্য ও আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণ করা সম্ভব। অতি সম্প্রতি তিনি নিজের একটি বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন- তাঁর পিতাকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁর মাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সীমাহীন কষ্ট ও ত্যাগ শিকার করেছেন। তাঁর কনিষ্ঠ ভাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাকে ঠেলে দেয়া হয়েছে এক নির্বাসিত জীবনে। এসব ভুলে গিয়ে তিনি ৩১ দফার নিরিখে নির্মাণ করতে চান ভারতীয় নাগপাশ থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনে বাংলাদেশের জনগণ পিষ্ঠ। গত ১৭ বছরে আওয়ামী শাসনামলে সেটি এমন রূপ পরিগ্রহ করেছিল যাতে দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল দেশের আপামর জনসাধারণের। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশের স্বাধীন ও সার্বভৌম পররাষ্ট্রনীতি মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করেছে তাই নয় বরং সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশকে বিপন্ন করে সার্বভৌমত্বকে হুমকি সম্মুখীন করেছে। ৫ আগস্ট গণবিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেশের জনগণ এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বপ্ন দেখছে, সেই বাংলাদেশ হবে- স্বাধীন, সার্বভৌম ও স্বনির্ভর। তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা হচ্ছে- ভারতীয় আগ্রাসন মুক্ত সেই সার্বভৌম ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার বীজ, যে বাংলাদেশ ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। ১৯৮১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিক। তারেক রহমানের তখন ক্লাস নাইনের ছাত্র। বাবা-মা রাষ্ট্রীয় সফরে নেপাল যাবেন। এর আগে নেপালের রাজা সপরিবারে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এক সন্ধ্যায় বাবাকে কাছে পেয়ে মায়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বাবাকে বললেন, ‘রাজার ছেলে যদি রাজার সাথে বেড়াতে যেতে পারে, আমরা কেনো তোমার সাথে যেতে পারবো না?’ সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বাবা বলে উঠলেন, ‘তোমরা কোনো রাজার ছেলে নও’। অতি সাধারণ জীবনে অভ্যস্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁর অসাধারণ গুণাবলী দিয়ে নিজের সন্তানদের দেশের সাধারণ মানুষের মতোই বড় করেছিলেন। বাবার রাষ্ট্রনায়োকচিত সেই সকল গুণাবলীর ধারক ও বাহক তারেক রহমান আজ আরো পরিপক্ক ও দেশ ও জনগণের দায়িত্ব নেবার মহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে। ৩১ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি সুসংহত ও সময়োপযোগী নীতিমালা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রের বর্তমান সংকট নিরসন এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো নিয়ে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৩১ দফা এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে উঠে এসেছে। গণতন্ত্র, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে প্রণীত এই দফাগুলো দেশকে নতুন এক যুগের পথে নিয়ে যেতে পারে। গণতন্ত্রের সংকট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিনের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির ৩১ দফায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শক্তিশালীকরণের জন্য স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য। এই নিবন্ধে আমরা ৩১ দফার গুরুত্ব ও তাৎপর‌্য বিশ্লেষণ করে দেখব কীভাবে এটি গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে এবং দেশের সার্বিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

আলোকিত প্রতিদিন / ১৩/ ০২/২০২৫

আওয়ামীলীগের বিচার এবং নিষিদ্ধের দাবীতে আগামীকাল ডিমলায় বৈবিছা আন্দোলনের মিছিল ও সমাবেশের ডাক

মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ, গাজীপুরে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ মীর কাশেমের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি,  শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ডিমলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডিমলা উপজেলার অফিসিয়াল পেইজ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নেতৃবৃন্দরা।
নেতৃবৃন্দরা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় মীর কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ মীর কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করার ঘোষণা করে প্রোগ্রাম সফল করছে। ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডিমলা উপজেলায় কর্মসূচির সফল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্রের বিপরীতে কাজ করেছিল। গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছিল। দমন-পীড়নমূলক নীতির কারণে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। ফলে তাদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং চক্রান্ত এখনও দৃশ্যমান আছে। তাই আওয়ামী লীগের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসবে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ২০ মামলার পলাতক  আসামী লুদু গ্রেফতা*র 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী মিছিলে যোগ দেয়া কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী আবুল মনছুর লুদুইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।  বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি  রাতে কক্সবাজার শহরের হাশেমিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের এই ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কক্সবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী মিছিলে সরাসরি অংশ নেন তিনি। ওই মিছিলে ছাত্রদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের যোগান দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আবুল মনছুর লুদু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কক্সবাজারের একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার। অনেকেই আওয়ামীলীগের ভাড়াটিয়া ত্রাস হিসেবে চিনেন তাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর খাতায় কক্সবাজারের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত লুদু। জমি দখল, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, ডাকাতি ও হত্যাসহ প্রায় ২০টির অধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৭ বছর কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা রুমালিয়ারছড়া ও জেল গেইট এলাকায় ত্রাস চালিয়েছে আওয়ামীলীগের এই সন্ত্রাসী।
জানা যায়- ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের ব্যানারে নাম লেখান কক্সবাজার উত্তর রুমালিয়ারছড়াস্থ হাশেমিয়া মাদ্রাসা গেইট এলাকার আব্দুস ছবুর সওদাগরের ছেলে সন্ত্রাসী আবুল মনছুর লুদু। এরপর সন্ত্রাসী ইকবাল হোসেন ছোটন, মুবিনুল হক মুবিন, ফারুক, জিয়াবুল ও জসিমসহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলে। শুরু হয় তাদের ত্রাসের রাজত্ব।
২০০১ সালের মে মাসে সিটি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কলেজ ছাত্র আলমগীর ও তার চাচা বিডিআর সদস্য আমীরুল আলমকে গুলি করে নতুন করে আলোচনায় আসেন ছাত্রলীগ নেতা লুদু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমীরুল আলম। এই হত্যাকান্ডে তৎকালিন বেশ উত্তাল সৃষ্টি হয় কক্সবাজারে।
এর আগে ২০০১ সালের মার্চ মাসে চাঁদাদাবী ও লুটপাটের ঘটনায় সন্ত্রাসী লুদুইয়া ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিল উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার রোবহান উদ্দিন আহমেদ। এরপর ২০০২ সালে পাবলিক হল ময়দানে এক অনুষ্ঠানরত জনসভায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে জনসভা পন্ড করে। তখন এক মহিলাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিল তৎকালিন ছাত্রলীগের ক্যাডার এই লুদুইয়া।
৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী মিছিলে যোগদেন কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী লুদুইয়া। প্রকাশ্যে মিছিলে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরাছোয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সংবাদ শুনে নির্যাতিত পরিবার এবং এলাকার  মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি, পটকা ফোটানোয় নিষেধাজ্ঞা

আলোকিত ডেস্ক: পবিত্র শবে বরাত আগামীকাল শুক্রবার রাতে উদযাপিত হবে। এ রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (এনডিসি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলো।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি