আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 12

পঞ্চাশ পেরিয়েও বলিউড অঙ্গনে এখনো ‘তরুণী’ তারা

বিনোদন ডেস্ক, ‘হয়তো আমার যাচ্ছে বয়স বেড়ে,/ তাই বলে কি শখ দেব সব ছেড়ে?/ না হয় কিছু চুল পেকেছে, দূরেও নয় কেউ রেখেছে,/ তাই বলে কি অমনি যাব হেরে!’—স্বপ্ন কুমার মজুমদার তার পঙক্তিতে বয়স যে জীবনের স্বাদ আস্বাদনে কোনো বাধা নয়, সেটাই বুঝিয়েছেন তিনি। আমাদের দেশে ‘কুড়িতে বুড়ি’ কথাটি বেশ প্রচলিত থাকলেও হলিউড, বলিউড কিংবা বিনোদন ভুবনে বয়স শুধু একটি সংখ্যা মাত্র। জীবনের হাফ সেঞ্চুরি পার করে এখনো সমানভাবে পর্দায় ঝড় তুলে চলেছেন অনেকেই। এখনো তারা দেহ-সৌষ্ঠব আকর্ষণীয় করে রেখেছেন। এক নয়নাভিরাম নস্টালজিয়ার ছোঁয়া সৃষ্টি হয় পর্দায় তাদের সরব উপস্থিতি দেখে। সামাজিক নিন্দাকে পিছু হটিয়ে বা বয়স ফোবিয়াকে দূরে সরিয়ে বলিউড অঙ্গনে দৃপ্ত পদচারণা করছেন এমন কিছু নায়িকাকে নিয়েই এবারের আয়োজন, যাদের রূপ-লাবণ্য এখনো ঊনত্রিশ থেকে ঊনআশি সবার হৃদয়কেই ব্যাকুল করে তুলে তারা।

মাধুরী দীক্ষিত-

বয়স যেন তার কাছে নস্যি। নাচ-অভিনয় কিংবা ব্যক্তিত্ব—এখনো তার শোভা আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছেন সিনেপ্রেমীরা। তিনি নব্বইয়ের দশকের হৃদয় কাঁপানো নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। তার রূপ-লাবণ্য ও অভিনয়শৈলী দর্শকদের বিমোহিত করে রাখত। ৭০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করা মাধুরী এখন ৫৭ বছরের ‘টগবগে তরুণী’। এজন্যই তরুণী বলা যে, বয়সকে হার মানানো মাধুরী এখনো পর্দায় নিজের শোভা বাড়িয়ে চলছেন। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে নতুন আঙ্গিকে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘দ্য ফেম গেম’ ওয়েব সিরিজ এবং ‘মাজা মা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাধুরী।

ঐশ্বরিয়া রায়-

বিশ্বসুন্দরীর মুকুট মাথায় তোলেন ১৯৯৪ সালে। এর মানে, তিনি যে রূপ-সৌন্দর্যে সেরা, এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বিনা বাক্যে হিন্দি সিনেমার জগতে অন্যতম সুন্দরী নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই। মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতার পর চলচ্চিত্রে এসেই নিজেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যান। সৌন্দর্যে সেরা হওয়ার তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো তার আবেদন কমেনি বিন্দুমাত্র। ৫১ বছর বয়সী চিরতরুণী ‘অ্যাশ’ সম্প্রতি দক্ষিণী সিনেমা ‘পনিয়িন সেলভানে’ অভিনয় করে চমক লাগিয়ে দেন। পঞ্চাশ পেরোলেও এখনো অনেকের কাছেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞা মানেই ঐশ্বরিয়া!

কাজল-

হিন্দি সিনেমায় রোমান্সের সংজ্ঞা নতুনভাবে লেখা হয়েছিল শাহরুখ-কাজল জুটিতেই। বলিউডে অনস্ক্রিন জুটিগুলোর মধ্যে এ জুটিই যে সেরা, তাতে দ্বিমত নেই কারও। একের পর এক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ৫০ বছরের চিরসুন্দরী বাঙালিকন্যা কাজল মুখার্জি। পর্দার সামনে হোক বা বাইরে—এই অভিনেত্রী এসে দাঁড়ালেই যেন লাস্যের বান ডাকে। টানটান দেহ পল্লবী, উপচে পড়া যৌবন, খোলামেলা সাজে এখনো পারদ-চড়ানো উষ্ণতা! ১৯৯২ সালে ‘বেখুদি’ দিয়ে শুরু হলেও প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা ‘বাজিগর’-এর আকাশচুম্বী সাফল্যের পর তাকে নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে। এখনো তার রূপের কাছে হার মানবে ২৪ বছরের তরুণীরা।

শিল্পা শেঠি-

পঞ্চাশ বছর—অসম্ভব! শিল্পা শেঠিকে দেখলে হয়তো অনেকেই তাকে ত্রিশের যুবতী ভেবে ভুল করতে পারেন। বলিউডের এই ফিটনেস-ফ্রিক এখনো নিজের সৌন্দর্যের ঝান্ডা নিজের কাছেই তুলে রেখেছেন। বয়স তার শরীর, মন বা আত্মবিশ্বাস কোনো কিছুর ওপরই ছাপ ফেলতে পারেনি। ১৯৯৩ সালে আব্বাস-মাস্তানের ‘বাজিগর’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক। অভিনয় ছাড়াও শিল্পা শেঠি ভারতনাট্যমের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী। শুধু পর্দাতেই নয়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন এক পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে। ৪৯ বছর বয়সেও তার গ্লোয়িং স্কিন, টোনড ফিগার ও আত্মবিশ্বাসী ক্যারিশমা নতুন প্রজন্মের সেলিব্রেটিদেরও পেছনে ফেলে দেয়।

টাবু-

দশকের পর দশক পেরিয়ে গেলেও নিজের সৌন্দর্য আর আকর্ষণ ধরে রেখেছেন বলিউড অভিনেত্রী তাবাসসুম ফাতিমা হাশমি। বলি ইন্ডান্ট্রিতে তিনি পরিচিত টাবু নামে। মোহময়ী অভিনেত্রী টাবু বরাবরই সৌন্দর্যের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার মিশেলে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। পঞ্চাশ পেরিয়ে ৫৩-তে পড়লেও এখনো টাল খায়নি তার আকর্ষণে। বয়সকে হার মানানো টাবুর সিনেমার পর্দায় সরব উপস্থিতি দর্শকহৃদয়ে দাগ কেটে যায়। তুখোড় ব্যক্তিত্ব দিয়ে শোভা বাড়িয়ে চলছেন সিনেজগতে।

প্রীতি জিনতা

বলিউডের ডিম্পল গার্ল প্রীতি জিনতা কীভাবে নিজের বয়সকে লুকিয়ে রেখেছেন—সেটা নিয়ে ধন্ধে থাকে সবাই। অভিনয় থেকে সামান্য বিরতি দিলেও আইপিএলের কল্যাণে নিয়মিত টিভি পর্দায় দেখা যায় তাকে। কে বলবে তার বয়স হাফ সেঞ্চুরি পার হয়েছে। ফিটনেস আর আকর্ষণে এখনো অপ্রতিদ্বন্দ্বী। যেভাবে নিজের গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন, তা নতুন নায়িকাদের প্রেরণা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বিএনপি চায় উৎসব মুখর নির্বাচনী পরিবেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক: আমিনুল হক 

ইমরান হোসেন : বিশেষ প্রতিনিধি। 
প্রকাশ,১৭ ই জুন রোজ মঙ্গলবার ২০২৫ ইং
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন মানে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসব মুখর নির্বাচনী পরিবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা রুপরেখার বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিপূর্ণ সংষ্কার হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পল্লবীর কালশী মোড়ে স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি কূর্মিটোলা শাখা (এসপিজিআরসি) ও উর্দূভাষী যুব ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর উর্দূভাষীদের কূর্মিটোলা ক্যাম্পের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের ১১ বছর উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৭ বছর যে স্বৈরাচার ছিল- ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশী হিসেবে সকলে একসাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে। যেভাবে আমরা সকলে স্বাধীন ভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারব।
২০১৪ সালে কালশীর উর্দূভাষীদের কূর্মিটোলা ক্যাম্পের ইতিহাসের জঘন্যতম
বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে, যারা এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে- দ্রুত সময়ের ভিতরে তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
উর্দূভাষী বিহারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীসহ এদেশের সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনকে নিশ্চিত করার জন্য আমরা আপনারা সকলে একসাথে কাজ করেছি। আপনারা সকলেই একজন বাংলাদেশী। আমি আপনাদেরকে আলাদা করে দেখতে চাই না। আপনারা আমার পরিবারের একেক জন সদস্য। আপনাদের সুখে দুঃখে সবসময় আমি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা যারা গত ১৭ বছর আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, গুম করছে, খুন করেছে। গত ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যারা আমাদের ছাত্র ভাইদেরকে হত্যা করেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে এবং এদেশের সাধারণ মানুষদেরকে হত্যা করেছে – সেই প্রত্যাকটি আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেত্নাতা ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
হত্যাকান্ডের ১১ বছর পর নিহত ১০ জনের মধ্যে তাদের পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য ফারজানার ভরনপোষণের সকল দায় দায়িত্বও গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক।
এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এসপিজিআরসি কূর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, কূর্মিটোলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু,  কূর্মিটোলা শাখার সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের!

খেলাধুলা, সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর উদযাপনে যতটা উচ্ছ্বাস দেখালেন নিজের বেলায় ততটা করলেন না মুশফিকুর রহিম। আসিতা ফার্নান্দোর বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পর এক হাতে হেলমেট ও অন্য হাতে ব্যাট উঁচিয়ে ঊর্ধ্ব পানে চেয়ে শুধু হাসিটা দিলেন তিনি।

সেই হাসিটা মুশফিকের স্বস্তির। কেননা কয়েক মাস ধরেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন তিনি।

 

টেস্ট ক্যারিয়ারে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষের হিসাব ধরলে সবচেয়ে বেশি রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই করেছেন মুশফিক। গলের মাঠটাও তার পয়া। কেননা এখানে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে কমপক্ষে এক ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন তিনি। এই মাঠেই আবার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।

আজ ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। তার থেকে বেশি সেঞ্চুরি শুধু মমিনুল হকের (১৩)। দিনশেষে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ চারে। গত আগস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, ১৯১ রান।

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ শুরুটা হয়েছিল ধাক্কা। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন তারা। প্রথম সেশনের শুরুতেই তিন উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কার বোলারদের শেষ দুই শেসনে শুধু হতাশাই উপহার দিয়েছেন তারা।

চতুর্থ উইকেটে ২৪৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েছেন শান্ত-মুশফিক। দুজনের এই জুটিতে ভর করেই ৩ উইকেটে ২৯২ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের সেরা বোলার অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু রত্নায়াকে। ২ ‍উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অফস্পিনার।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী তোজ রুটির পরিচিতি এখন সারা দেশে 

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার বলতে শুধু ছানামুখীই নয় এর সাথে ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে  তোজ রুটির পরিচিতি ছাড়িয়ে গেছে সারা দেশে। এর ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানতে গিয়ে জানা যায়, প্রায় শতবছর আগে মহাদেব পাঁড় নামক স্হানে এক ব্যক্তি এ মিষ্টির প্রচলন করেন।
এ খাবারটির সুনাম বৃটিশ রাজত্বকালে উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ছানামুখী।
তবে শুধু ছানামুখীই নয়, এ জেলায় আরও একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে, তার নাম হলো তোজ রুটি। এটাও  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার।
চালের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি বিশেষ এ রুটি খেতে খুব সুস্বাদু বলে সবার কাছে তা বেশ জনপ্রিয়।
ঈদ মৌসুমে ঘরে ঘরে মুখরোচক তোজ রুটি তৈরি করা হয়। গরু, মহিষ এবং খাসির মাংসের তরকারির সঙ্গে তোজ রুটি পরিবেশন যেন খাবারে এক ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবারের সব নারী সদস্য মিলে চালের গুঁড়ি দিয়ে এ তোজ রুটি বানিয়ে থাকেন। প্রথমে চালের গুঁড়ি হালকা পানিতে ভিজিয়ে নরম করা হয়। কিছুক্ষণ পর মাখানো চালের গুঁড়ি ছোট ছোট বলের মতো গোল করা হয়। এরপর বেলুন দিয়ে বেলে সেগুলোকে রুটি বানানো হয়। সেই রুটি কয়েকদিন রোদে শুকানো হয়। এতে রুটিগুলো শুকিয়ে অনেকটা পাঁপড়ের মতো হয়ে যায়। এ অবস্থায় রুটিগুলো সংরক্ষণ করা হয়। খাওয়ার আগে শুকনো রুটিগুলোকে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর তিন/চারটি ভেজা রুটি একসঙ্গে কলাপাতায় মুড়িয়ে তাওয়া/ফ্রাইপ্যানে ছেঁকে নেওয়া হয়। কলাপাতা না থাকলে এমনিতেও ছেঁকে নেওয়া যায়। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো তোজ/ভেজা রুটি। গৃহিণী আয়েশা আক্তার এ রুটি সম্বন্ধে  বলেন, প্রতিবছর কুরবানির ঈদ ঘিরে তোজ রুটি বানানোর পরিকল্পনা করে থাকি। ঈদের তিন থেকে চারদিন আগে চাল ভাঙিয়ে গুঁড়ি করা হয়। মূলত ঈদের পরদিন থেকে তোজ রুটি তৈরি করে পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া হয়। মাংসের সঙ্গে খেতে খুবই মজাদার।
নবীনগর উপজেলার এক গৃহিণী মরিয়ম বেগম বলেন, সিদ্ধ আতপ চালের গুঁড়ি দিয়ে শতাধিক রুটি তৈরি করি। একদিন পর রুটিগুলো শক্ত হলে পরে চার/পাঁচটা করে রুটি পানিতে ভিজিয়ে নরম করে মাটির তাওয়ায় ছেঁকে নেওয়া হয়। মূলত মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় তোজ রুটি। কুরবানি ঈদ উপলক্ষে পরিবার ছাড়াও আত্মীয়স্বজনের জন্য তোজ রুটি বানানো হয়। ঈদের সময় মূলত এ তোজ রুটি তৈরি করা হয়। নিমন্ত্রণে আত্মীয়স্বজনরা বাড়িতে এলে তোজ রুটি আর মাংস দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। ঈদ কিংবা যে কোনো উৎসবে এ জেলায় মেহমানদারির এক অনন্য উপকরণ কিংবা উদাহরন এই ঐতিহ্যবাহী তোজ রুটি। যা সবার মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি খাবার।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম

টাঙ্গাইলে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির মত বিনিময় সভা 

সাইফুল ইসলাম সবুজ:
টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের আগামী দিনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে টাঙ্গাইল সদর থানার ১২নং  মাহমুদ নগর ইউনিয়নের গোল চত্বর বিএনপি কার্যালয়ে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাহমুদ নগর ইউনিয়ন মহিলাদল আয়োজিত অনুষ্ঠানে অত্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা মহিলা দলের ‍ সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ করিম। বক্তব্য রাখেন সদর থানা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার কবিরুজ্জামান কবির, সদস্য সচিব ইকবাল তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম সোনামিয়া,৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মাকরম আলি, মহিলা দল নেত্রী রহিমা বেগম, সোনিয়া হামজা, নাসরিন আজাদ, শাহনাজ পারভিন, হাওয়া বেগম, রওশনারা বেগম, প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে মহিলা কর্মীদের হাতে টুকুর পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেন নেতৃবৃন্দরা।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে: আমির খসরু

আলোকিত ডেস্ক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে একটা জাতীয় ঐকমত্য আছে। সবার মতামত একটাই, সে জায়গায় কোথাও দ্বিমত আছে, তা আমরা মনে করি না। এখানে সবাই ঐকমত্য। বিভিন্ন কারণে এই জায়গাটায় আমরা এসেছি এবং জাতীয় ঐকমত্য পোষণ করছি।’ ১৭ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন আমির খসরু। এদিন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সঙ্গে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর সাংবোদিকদের সামনে কথা বলেন তিনি।আমির খসরু বলেন, ‘সবার মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরে আসছে । আর দিনক্ষণ যেটা, সেটা তো নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে। সেটা তো আর সরকার বলতে পারবে না— আমরাও বলতে পারবো না। হ্যাঁ, সেটা তো নির্বাচন কমিশন থেকে আসবে। আমরা অপেক্ষা করবো। নিশ্চয়ই আগামী দিনে কোনও একটা সময়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটা দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।’ ‘এটার জন্য আমাদেরও তো একটু ধৈর্য থাকতে হবে, তাই না? একদম অস্থিরতার মধ্যে সারাক্ষণ থাকলে তো হবে না। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। একটু সহনশীল হতে হবে।’

বৈঠকে চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।আমির খসরু বলেন, ‘আমরা ভিন্ন দল করলেও একটা জিনিস যেটা বিএনপি আগামী দিনে, বিশেষভাবে মনোযোগী হচ্ছে— আপনাদের মাথায় রাখতে হবে, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটা বড় পরিবর্তন। আমরা জাতীয় স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে চাচ্ছি— একটা ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে, যে কথা বারবার বলছি আমরা, জাতীয় স্বার্থে যেসব জায়গায় ঐকমত্যের প্রয়োজন, সেসব জায়গায় আমরা জোর দিচ্ছি।’

‘সুতরাং, বিশ্বের যে সংকটগুলো হচ্ছে, এখানেও আমাদের কিন্তু ঐকমত্যের প্রয়োজন আছে। জাতীয় স্বার্থ যেখানে বিঘ্নিত হবে, সেখানে আমাদের ঐকমত্যে আসতে হবে। বিশ্বের সংকট যখন মোকাবিলা করতে হবে, সেখানে আমাদের একটা জাতীয় ঐকমত্য থাকতে হবে। জাতির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নাই। বিএনপি সে কাজটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করছে।’

‘দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক কালচারে আমরা যে পরিবর্তন চাচ্ছি, একে অপরের প্রতি সহনশীলতা এবং অপরের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেও তার প্রতি সম্মান জানানো, তার মতামতের প্রতি সম্মান জানানো— এই কালচারটা আমরা আনার চেষ্টা করছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সহযোগিতার কালচার আমরা ফিরিয়ে আনতে না পারলে, শত সংস্কারও কিন্তু কাজ হবে না। আমাদের রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরস্পরের সঙ্গে মতবিরোধ, মতপার্থক্য থাকলেও একে-অপরের প্রতি যাতে সম্মানবোধ আমরা না হারাই, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিএনপি নেতা খসরু বলেন, ‘সুতরাং, আমার মনে হয়— আমাদের মধ্যে আস্থারও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যদি একেবারে আস্থাহীন হয়ে যায়, সেটা কিন্তু আমি যে কালচারের কথা বলছি, সংস্কৃতির পরিবর্তনের কথা বলছি, সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকা, সেটার জন্য একটু ধৈর্যও থাকতে হবে। ’

 ইশরাক প্রসঙ্গ: আমির খসরু বলেন, ‘এই জায়গাতেই তো প্রশ্ন, আইনিভাবে কোর্টের রায় হয়েছে।  নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আসছে। সুতরাং, সবাই অপেক্ষায় আছে আরকি।’

‘আমরা দেখি, সরকার কী সিদ্ধান্ত দেয়। একটু অপেক্ষা করি, একটু ধৈর্য ধরি’,যোগ করেন আমির খসরু।

আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম

দুবাইয়ে কী কাজ করছেন মিষ্টি জান্নাত?

বিনোদন ডেস্ক:

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মিষ্টি জান্নাত বর্তমানে দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। বিয়ের গুঞ্জন, প্রেম এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে প্রায়শই নেটিজেনদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন এই অভিনেত্রী। ২০১৪ সালে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় মিষ্টি জান্নাত। এবার দুবাই ভ্রমণের একাধিক ছবি ও ভিডিও ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন।

তাকে দেখা গেছে বিশ্বের উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফার সামনে থেকে শুরু করে দুবাই শহরের অলিতে-গলিতে ঘুরতে। শুধু তাই নয় দুবাইয়ের সমুদ্র সৈকতে আবেদনময়ী অবতারে ধরা দিয়েছেন তিনি যা নেটিজেনদের নজর কেড়েছে।

তার শেয়ার করা ছবি এবং ভিডিও দেখে নেটিজেনরা মন্তব্য করছেন যে মিষ্টি জান্নাত দুবাইয়ে বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্তরা মিষ্টি জান্নাতের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘জায়গাটা অনেক সুন্দর আর আপনার ছবিগুলোও মানিয়েছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর লাগতেছে দিদি ভাই।’

আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ২১মুসলিম দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিসরসহ ২১টি মুসলিম দেশ। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উত্তেজনা হ্রাস এবং পরমাণু প্রকল্প বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।

সোমবার এক খোলা চিঠিতে এই নিন্দা এবং উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো মিসর, আলজেলিয়া, বাহরাইন, ব্রুনেই, শাদ, কোমরোস, জিবুতি, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে— তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে এবং এখন জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। আরও বলা হয়েছে যে, তারা চান যে মধ্যপ্রাচ্য যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত থাকে এবং এই অঞ্চলের সব রাষ্ট্র যেন জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প বিষয়ক চুক্তি নন-প্রোলিফারেশন অব নিউক্লিয়ার উইপন বা এনপিটিতে স্বাক্ষর করে।

গত ১৩ জুন ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে ইরানে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। এখনও এই সংঘাত চলছে এবং ইতোমধ্যে এতে উভয় দেশের প্রায় ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার জন।

সংঘাত শুরুর চার দিন পর প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একসঙ্গে বিবৃতি দিলো এতগুলো মুসলিম দেশ।

সূত্র : আলজাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে : ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তড়িঘড়ি করে কানাডায় চলমান জি-৭ সম্মেলন ছেড়ে যাওয়ার কারণ ইরান ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু হবে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, ট্রাম্প ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য ওয়াশিংটন ফিরে গেছেন।

তবে, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘ভুল’ বলেছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমি কেন ওয়াশিংটন ফিরে যাচ্ছি, ম্যাক্রোঁর সে ব্যাপারে কোনো ধারণাই নেই। তবে, এটা নিশ্চিত যে এর সাথে যুদ্ধবিরতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটির তার থেকেও বড় কিছু।

যদিও পোস্টে সেই ‘বড়’ ব্যাপারটি ঠিক কী- তার বিস্তারিত কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে, তিনি পোস্ট শেষ করেছেন রহস্যময়ভাবে ‘স্টে টিউনড’ বা ‘সাথেই থাকুন’ লিখে।

এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র কিছু একটা করতে যাচ্ছে। কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছে।

ম্যাক্রোঁ ইসরায়েল-ইরান উভয়কেই বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ইরানের ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা উৎখাত করার লক্ষ্যে হামলা করাটা ‘কৌশলগত ভুল’ হবে।

তিনি বলেন, যারা ভেবেছেন যে বাইরে থেকে হামলা চালিয়ে কোনো দেশকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চালানো যায়, তারা সবসময় ভুল করেছে।

ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের আরও বলেন, একটি বৈঠক এবং আলোচনার প্রস্তাব সত্যিই রয়েছে। বিশেষ করে, যুদ্ধবিরতি অর্জন এবং তারপর বৃহত্তর আলোচনা শুরু করার জন্য একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন দেখতে হবে, পক্ষগুলো এটি মানে কিনা।

এদিকে, ম্যাক্রোঁ যখন কথা বলেন ঠিক সেই সময় হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংকটের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মেলন থেকে তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। এরপরই ঘোষণা আসে জরুরিভিত্তিতে ইরানের রাজধানী তেহরানের বাসিন্দাদের সরে গিয়ে শহরটি খালি করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত ছিল। আমি তাদের চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছিলাম। এটা লজ্জার, আর মানব জীবনের ক্ষতি। সাধারণভাবে বলছি, ইরান কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না। আমি এটি বারবার বলেছি। এখন জরুরিভিত্তিতে তেহরান খালি করুন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম

জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব : আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে জুলাই মাসের মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

১৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় এ কথা জানান তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেভাবে সহযোগিতা করছে, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করছি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে, আমাদের পক্ষে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি সমস্ত বিষয়গুলোতে আমরা সবাই একমত না হলেও সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে এক মত হতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্ত বিষয়ে আমরা হয়তো একমত হতে পারব না। তবে জাতি এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে অন্তত কিছু বিষয়ে এক জায়গায় আসতে পারলে সেটাই হবে আমাদের অর্জন।’

আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে অংশ নিতে দেখা যায়নি জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উপস্থিত রয়েছেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফররাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/১৭জুন ২০২৫/মওম