আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 139

বাংলাদেশ সীমান্তে হঠাৎ বিএসএফের ‘অপস অ্যালার্ট জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সীমান্তে মহড়া চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি এবং সতর্কতার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। মূলত ভারতের আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে এই ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি করেছে বিএসএফ।

২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসং এএনআই। বার্তাসংস্থা বলছে, ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের আগে উচ্চতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সবগুলো বর্ডার আউট পোস্টগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এই নির্দেশনাকে বিএসএফের পরিভাষায় নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপস অ্যালার্ট’ (OPS ALERT)।

বৃহস্পতিবার জারি করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার মহড়া চালাতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করতে হবে। প্রয়োজনে রাতে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। বিএসএফের আশঙ্কা, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য ওপার থেকে উস্কানি আসতে পারে। আর বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের ভালো করে বোঝাতে হবে। সেই দায়িত্ব নিতে হবে বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।

ইতোমধ্যেই বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্পেশাল ডিজি রবি গান্ধী একাধিক বর্ডার আউট পোস্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এদিনের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সীমান্তের একাধিক অংশ রয়েছে যেখানে কাঁটাতার নেই। সবচেয়ে বেশি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে অরক্ষিত এলাকায়। আগামী সাতদিন এই এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপস অ্যালার্ট শুরু হয়েছে এবং সীমান্ত ফাঁড়িগুলোকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এই মহড়ার সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টহল এবং অন্যান্য দায়িত্ব আরও জোরালো করা হবে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়ার সময় সেনারা সীমান্তে বিভিন্ন নিরাপত্তা মহড়া পরিচালনা করবে। এছাড়াও সীমান্তে যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন অপারেশনাল পদ্ধতি অনুশীলনের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলের জনসংখ্যার সাথে পুনর্মিলন কর্মসূচিও পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা গেছে বিএসএফ এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবির মধ্যে। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে সীমান্তের একাধিক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা।

তবে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের কঠোর অবস্থানের কারণে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বিএসএফ। আর এমন অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি করল বিএসএফ।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি-২৫/মওম

রাজনীতিবিদরা কোন বিষয়ে কথা বলবেন তা কি সরকারের উপদেষ্টা শেখাবেন: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক, তথ্য এবং সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা কোন বিষয়ে কথা বলবেন, কোনটাকে সমর্থন করবেন আর কোনটাকে নয়, এটা কি উপদেষ্টারা শেখাবেন?

২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বনানী করবস্থানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে করব জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। এর জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা সব ঘটনা অতিক্রম করে বুক চিতিয়ে বছরের পর বছর রাজপথে থেকেছি। কোনটাকে সমর্থন করতে হবে আর কোনটাকে নয়, আর কোন বিষয়ে কথা বলতে হবে এটা কি উপদেষ্টারা এসে বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের শেখাবেন?

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টিহীনতা নিয়ে কি সমালোচনা করা যাবে না? সরকারের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে তার জন্য কি সমালোচনা করা যাবে না? তাহলে কীসের ভয় দেখান, যে ১/১১ এর পুনরাবৃত্তি হবে।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, জিয়া পরিবার থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতার এতো ত্যাগ, আত্মদান এতো রক্ত ঝরেছে শুধু একটু মুক্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য। তার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ কাঁপানো, পৃথিবী কাঁপানো একটি বিজয় দেখেছি। এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। সব গণতন্ত্রকামী দল এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।  নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এতো গড়িমসি কেন, মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের প্রত্যাশা এই সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু যখন শুনি আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, এ যেন মনে হয় শেখ হাসিনার সেই প্রতিধ্বনি- আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। কোনো উপদেষ্টার কাছে এটা শোভা পায় না।

ড. ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, আমাদের সব আস্থা আপনার উপর দেওয়া হয়েছে। তাহলে এতো গড়িমসি কেন। কেন শেখ হাসিনার কথার পুনরাবৃত্তি হবে, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। আমরা এই কথা শুনতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যুগের পর যুগ ধরে সংস্কার হতে পারে। এ জন্য গণতন্ত্রের যে প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রের প্রবাহমান নির্বাচনকে আটকে রাখবেন কেন?

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মায়ের কোলে মৃত সন্তানের মাথা দেখে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ কেঁদেছে। শেখ হাসিনার বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতায় একজন সন্তানের সৎকারের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

করব জিয়ারতের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকসহ নেতাকর্মীরা।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি-২৫/মওম

বাংলাদেশের সংস্কারে সমর্থন ও ইউনূসের‘থ্রি জিরো’র প্রশংসায় আল গোর

আলোকিত ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর কার্বন নিঃসরণ, সম্পদের কেন্দ্রীকরণ, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব দূরীকরণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে চালু হওয়া বিশ্বব্যাপী ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসা করেছেন।২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি শহর দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে আল গোর অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সময় তিনি ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসা করেন।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু কর্মী হিসেবে পরিচিত আল গোর। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা জুলাই বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্বাচন এবং ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে সমর্থন করার কথা জানান।অধ্যাপক ইউনূস তাকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আঁকা গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্রের ওপর ভিত্তি করে রচিত শিল্পকর্ম সংকলন ‘দ্য আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ বইটি উপহার দেন।আল গোর শিল্পকর্ম সংকলনের বই এবং বাংলাদেশের তরুণদের বিপ্লবী চেতনাকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠা মনোযোগ দিয়ে দেখেছি।’

সূত্র: বাসস।

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি-২৫/মওম

মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা গ্রেপ্তা*র

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত : জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নাশকতা ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সমানে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজার বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ১৮ জুলাই, ৪ আগস্ট এবং ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, নাশকতা এবং জেলা বিএনপির কর্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছিল পুলিশ। অবশেষে ধানমন্ডিতে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

শিবালয়ে ফিল্মি কায়দায় অটোরিক্সা ছিনতাই আট*ক-৩ 

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ শিবালয়ে ফিল্মি কায়দায় অটো-রিক্সা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের সাথে জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে ২২ জানুয়ারি রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গ্রেফতারকৃদের কোর্টে চালান দিয়েছে।
এরা হচ্ছে,  ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিলছোনাউটা গ্রামের শহিদের ছেলে প্রিন্স জমাদদার  সজিব (২০), পাবনা সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামের রহমান প্রামানিকের ছেলে মেহেদি হাসান মৃদুল (১৯) ও ব্যাটারী ব্যবসায়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জয়রা গ্রামের কাউছার মিয়া (২৩)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার গোয়ালখালী গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র অটোরিক্সা চালক আব্দুল করিম (৪০) গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট পুলিশ বক্সের সামনে থেকে অজ্ঞাত পরিচয় দু’যাত্রী নিয়ে ১৬০ টাকা ভাড়ায় উথলী বাসষ্ট্যান্ডে আসে। ওই যাত্রীরা পুনরায় পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার কথা বলে এবং পথিমধ্যে কাশাদহ ব্রিজের নিকট পোঁছালে মোবাইল ফোন সেট রাস্তায় পড়ে গেছে অটো-রিক্সা থামাতে বলে। অটোরিক্সার গতি কমালে ওই দু’যাত্রী চালকের ঘাড়ে-পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অটো নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে চালকের ডাক-চিৎকারে ও গুরুত্বর অবস্থায় দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ চালককে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
শিবালয় থানার ওসি এআরএম আল-মামুন জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হলে গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে ঝড়িয়ারবাগ গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ভাড়াটিয়া সজিব ও মেহেদিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকৃত অটো চালককে ছুরিকাঘাত ও ব্যাটারি বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়। অভিযান চালিয়ে ব্যাটারী ব্যবসায়ী কাউছারকে আটক ও ছিনতাইকৃত অটো উদ্ধার করা হয়। আসামিরা এমন ছিনতাই অপহরণ কাজে যুক্ত বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সরকারি অবকাঠামো সুবিধা ব্যবহারে যত্নের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি(উখিয়া) মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেছেন,  সরকারি অবকাঠামো সুবিধা ব্যবহারে যত্নের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, নিজের সম্পদের মতো করে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া উপজেলার দরগা বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে/হলরুমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর উদ্যোগে স্থানীয়দের সরকারি সেবা সুবিধা ব্যবহারে যত্নশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, সরকারিভাবে এলজিইডির অধীনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইএমসিআরপি প্রকল্পের আওতায় স্থানীয়দের জন্য যে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, সেতু ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তা আপনাদেরই সম্পদ। এ সম্পদ যত্নসহকারে ব্যবহারে আপনাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি এলজিইডি’র মাধ্যমে নির্মিত রাস্তা গুলো টেকসই রাখার জন্য স্থানীয়দের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি  আরো বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে আপনাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে, আপনাদের সম্পদেরও মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারের এ অবকাঠামো, সেবা সুবিধা গুলোকে নিজের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করতে হবে এবং যত্ন নিতে হবে। বিসিসিপিকে এ সচেতনতামুলক কা্র্যক্রমের পরিধি আরও বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) এই প্রকল্পের জন্য যোগাযোগ ও সচেতনতা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়মিত কমিউনিটি ভিত্তিক নানান কার্যক্রম পরিচালিত করছে। বিসিসিপির ইএমসিআরপির যোগাযোগ ও সচেতনতা কার্যক্রমের ডেপুটি টিম লিডার রিদুয়ানুর রহমান সভায়  ইএমসিআরপির যোগাযোগ ও সচেতনতা কার্যক্রমের  সা্র্বিক বিষয় তুলে ধরেন। সভাটি পরিচালনা করেন বিসিসিপি’র এওয়ারনেস স্পেশালিষ্ট আমেনা খাতুন আলপনা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দরগা বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুমজুম নাহার। তিনি বলেন, এলজিইডি’র মাধ্যমে বিভিন্ন স্থাপনা হচ্ছে, এগুলো আমাদের সম্পদ, এগুলোর মালিকানা স্থানীয়দের ভাবতে হবে। এ অবকাঠামো রক্ষার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উখিয়া উপজেলা এলজিইডি’র উপসহকারি প্রকৌশলী সুয়াইব আহমদ, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, মহিলা ইউপি সদস্য, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে,বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর আওতায় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি-২৫/মওম

নোয়াখালীতে টিসিবির ৭৫কেজি চাল একাই নিলেন ইউপি সচিব 

প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়ন সচিবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি)র ডিলারের কাছ থেকে ৭৫ কেজি ১৫ প্যাকেট চাল নেওয়ায় অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার অশ্বদিয়া ইউপি কার্যালয়ের সামনে ডিলার চাল বিতরণকালে সচিব সুবর্ণা আক্তার চৌকিদার এবং দফাদারের প্রয়োজন দেখিয়ে ঐ চাল সংগ্রহ করেন। এসময় উপস্থিত টিসিবির পণ্য নিতে আসা ফ্যামেলি কার্ডধারী একাধিক ব্যাক্তি চাল না পেয়ে ফেরত চলে যান। সে সময় উপস্থিত একজন স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মী বিষয়টির প্রতিবাদ জানালে তাতে কর্ণপাত করেনি সচিব সূবর্ণা আকতার। টিসিবির স্হানীয় ডিলার মো: সালাউদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,চাল বিতরণকালে আমি ছিলাম না। আমার ম্যানেজার চাল বিতরণ করেছিলো।এখানে একটা বিষয় হচ্ছে, আমাদের অনেক সময় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং সচিবদের অনুরোধ রক্ষা করতে হয়। এর আগে সুবর্ণা আক্তার ধান শলিক ইউপি সচিব থাকাকালীন সময়ে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে জন্মনিবন্ধন, বিভিন্ন সরকারি সহায়তায়সহ ব্যাপক অনিয়ম সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়।ফ্যাসিবাদের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর আশির্বাদে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাড়ির পাশের ইউনিয়ন অশ্বদিয়া ইউপি কার্যালয়ে সম্প্রতি বদলি হয়ে আসেন। এখানে আসার পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সুবর্ণা আক্তার বলেন,আমি ডিলারকে বলেছি চৌকিদার ও দফাদারদের জন্য ৭৫কেজি চাল দেওয়ার জন্য। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
নোয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখি নূর জাহান বলেন,বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। তারপরও আমি তাকে স্ব- শরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যার জন্য ডেকে আনাবো।
আলোকিত প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি-২৫/মওম

মানিকগঞ্জে যুবলীগ নেতার হুমকি: আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা

 মিজানুর রহমান খান কুদরত :মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে গতকাল (বুধবার) রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত চত্বরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শত শত সাধারণ মানুষ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা “রাজার ফাঁসি চাই” স্লোগানে আদালত প্রাঙ্গণ মুখরিত করেন।

আদালতের রায় শেষে যখন রাজাকে প্রিজনার ভ্যানে তোলা হচ্ছিল, তখন ভ্যানের ভেতর থেকে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আশরাফুল ইসলাম রাজু, রমজান মাহমুদ, মেহরাব খান ও হাসনা হেনাসহ বেশ কয়েকজনকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রিজনার ভ্যান আটকে প্রতিবাদ জানায়। পরে পুলিশ তাদের আসামির শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ও ১৮ জুলাই হামলার শিকার হাসনা হেনা বলেন, “আমরা আদালত চত্বরে রাজাকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলাম। এ সময় রাজার একজন সহযোগী আমার ছবি তুলে রাখে। পরে প্রিজনার ভ্যান থেকে রাজা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানিকগঞ্জ শাখার সমন্বয়ক মো. আশরাফুল ইসলাম রাজু বলেন, “১৮ জুলাই হাসনা হেনাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় রাজা সরাসরি জড়িত। আজ আদালত প্রাঙ্গণেই সে আমাদের হুমকি দিয়েছে। আমরা তার জামিন বাতিল এবং সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”

এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাজার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি যারা চায় তাদের গ্রেফতার করার দাবি

আলোকিত ডেস্ক:

আদিবাসী শব্দটিকে ‘সংবিধান বিরোধী’ এবং ‘দেশবিরোধী’ শব্দ উল্লেখ করে যে বা যারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাচ্ছে ও এই দাবির পক্ষে কাজ করছে, প্রচার করছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন।

২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির কর্মসূচিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি এবং লাল সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে’ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, যারা নিজেদেরকে আদিবাসী দাবি করছেন, তারা মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে এই দেশে এসেছে। আমরা তাদের থাকতে দিয়েছি। তারা উপজাতি, তারা আদিবাসী না। এই দেশে কখনও আদিবাসী ছিলও না ভবিষ্যতেও থাকবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, সম্প্রতি এনসিটিবির পরিমার্জন কমিটিতে নিয়োগ করা বহিরাগত লাল সন্ত্রাস রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদরা পাঠ্যবইতে রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন বিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিভাষা ‘আদিবাসী’ যুক্ত গ্রাফিতি অন্তর্ভুক্ত করে। এটাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি, তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং দোসরদের আদিবাসী দাবির অন্তরালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সুপ্ত পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে ফাঁস করে দেয় দেশ রক্ষায় নিবেদিত ছাত্রদের প্লাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। এই কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি, তাদের পৃষ্ঠপোষক ও দোসর বামপন্থি লাল সন্ত্রাসীরা একজোট হয়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা এবং অপপ্রচারে মাঠে নেমেছে, মিথ্যা মামলা করেছে, দুজন শুভাকাঙ্ক্ষীকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে, হয়রানি করা হচ্ছে সংগঠনটির সদস্যদের, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। তাদের দাবিগুলো হলো—

১. স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে এবং তার সকল বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

২. মতিঝিলে সহিংস ঘটনা তৈরির অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও হোতা লাল সন্ত্রাস রাখাল রাহা, অলিক মৃ ও আরমানুল হক গংদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একই সাথে তাদের পক্ষে যারা সাফাই গাইছে বিশেষ করে দেশবিরোধী সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. ‘আদিবাসী’ শব্দটি সংবিধানবিরোধী এবং দেশবিরোধী শব্দ। যে বা যারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাচ্ছে ও এই দাবির পক্ষে কাজ করছে, প্রচার করছে তারা প্রত্যেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও তাদের দোসর। রাষ্ট্রকে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিক্ষুব্ধ সার্বভৌম ছাত্র-জনতার সহ-মুখপাত্র মুহম্মদ রাসেল, মুহম্মদ সাইদুর রহমান প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি-২৫/মওম

ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে নির্বাচনে এলে রাজনৈতিক দলগুলো মানবে না: মির্জা ফখরুল

আলোকিত প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে ছাত্ররা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না বলে তিনি জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন পরিচালনা করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুললে ছাত্রনেতারা বলেন, শুধু নির্বাচন আয়োজনের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের খুব পরিষ্কার করে বলা আছে, ভাই! আমরা আন্দোলন করছি, রাজনৈতিক দল করছি, দেশে একটা ডেমোক্রেটিক সেটআপের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান জন্য।

আর গণতন্ত্রে ঢোকার প্রথম ধাপটিই হচ্ছে নির্বাচন। যেহেতু তিন তিনটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকার নষ্ট করে দিয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আমার ভোটের অধিকারটা তো প্রথম অধিকার নাগরিক হিসেবে। আমি এই দেশের মালিক।
আমার একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে আমার ভোটটা। সেটাই তো আমরা দিতে পারিনি। সুতরাং নির্বাচন চায় না বা নির্বাচন প্রধান নয়— এ কথা চিন্তা করাও তো ভুল। নির্বাচনটা আমরা মনে করি প্রধান। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আমি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারবো।
আমি গণতান্ত্রিক সংবিধানের পরিবর্তনগুলো আনতে পারবো। গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র আবার পুনর্নির্মাণ করতে পারবো। এ ছাড়া আমার বিকল্প কিছু নেই।নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি উল্লেখ না করে তিনি বলেন, আমরা তো চাই আর্লি ইলেকশন। আগেও বলেছি আমরা। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার, যেটা ন্যূনতম সংস্কার, সেগুলো করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। এটা আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের যে অভিজ্ঞতা দেখেছি, আমরা অতীতের কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টগুলোতে, তাতে করে এটা অসম্ভব কিছু না। এটা পসিবল যদি গভর্নমেন্ট চায় যে ইলেকশন তারা করবে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে বা আগস্টের মধ্যে, তারা করতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের কথা বলছে তা নির্বাচিত সরকার ছাড়া পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে যুক্তি দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো সংস্কারের অনুমোদন নেওয়ার জন্য নির্বাচিত সংসদের প্রয়োজন হবে। এ কারণেই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনি (অধ্যাপক ইউনূস) যতগুলো সংস্কারের মধ্যে হাত দিয়েছেন, অতগুলো সংস্কার করতে গেলে ১০ বছরের মধ্যেও শেষ হবে না। আর সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। দুই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। তার মধ্যে এই বিষয়গুলো তো রয়েছে।’

সংবিধান সংস্কারের বিষয় রয়েছে, জুডিশিয়াল কমিশনের কথা আমরা বলেছি, আমরা ইলেকশন কমিশনের কথা বলেছি, আমরা ব্যুরোক্রেসি সংস্কারের কথা বলেছি ৩১ দফায়, আমরা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছি— এগুলো আমাদের সব বলা আছে।

এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, সংসদ ছাড়া সাংবিধানিক সংস্কার কঠিন হবে। সংবিধানে কিছু কিছু পরিবর্তন আনার দরকার আছে। কিন্তু সেগুলো সংসদ ছাড়া সম্ভব না। সে জন্যই আমরা মনে করি, নির্বাচন যত দ্রুত হবে ততই ভালো বলে ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি