আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 140

শিশুদেরও গোপন কারাগারে রাখতেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের বুকের দুধ

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন!

আলোকিত প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই একের পর এক প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে ফ্যাসিস্ট এই প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের নানা অপকর্ম।তার আমলে ঘটা ভয়ংকর এক অপরাধের তথ্য প্রকাশ করেছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

এতে বলা হচ্ছে, পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গোপন কারাগারে আটকে রাখতেন শিশুদেরও। এমনকি তাদের পান করতে দেওয়া হতো না মায়ের দুধ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মা-বাবার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হতো এসব শিশুদেরও।

গুমের তদন্তকারী একটি কমিশনের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, অন্তত অর্ধডজন (ছয়জন) শিশু তাদের মায়েদের সঙ্গে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দী ছিল। আটক মা-বাবাদের মানসিক চাপ দেওয়ার জন্য শিশুদের ব্যবহার করা হতো; যার মধ্যে শিশুদের দুধ পান করতে না দেওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনাও রয়েছে।

কমিশন আরও বলেছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদের গোপন কারাগারের এমন একটি কক্ষ দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শিশুকালে তার মায়ের সঙ্গে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। আর এই আটক কেন্দ্রটি পরিচালনা করত আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তার মা আর কখনোই ফিরে আসেননি।

অন্য একটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাবাকে চাপ দেওয়ার জন্য ‘মানসিক নির্যাতনের অংশ হিসেবে’ শিশুটিকে মায়ের দুধ খাওয়ানো থেকে দূরে রাখা হয়েছিল।

ক্ষমতায় থাকাকালীন হাসিনা সরকার জোরপূর্বক এসব গুমের ঘটনা অস্বীকার করত। সাবেক এই সরকার দাবি করেছিল, নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজন ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।

কমিশন বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অপহরণ করা প্রায় ২০০ বাংলাদেশি এখনো নিখোঁজ।

কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, ‘কিছু ভুক্তভোগী তাদের নির্যাতনকারী অফিসারদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পারলেও, তাদের সাক্ষ্য ব্যবহার করে জড়িত বাহিনীকে শনাক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা কমান্ডারকে জবাবদিহি করার সুপারিশ করব।’

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইতোমধ্যেই হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শত শত নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত মানুষকে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুমসহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

প্রস্তুত হলো গাইবান্ধা পৌরসভার সার্বিক স্যানিটেশন

রানা ইস্কান্দার রহমান : গাইবান্ধা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গণশৌচাগার, কমিউনিটিভিত্তিক এবং পারিবারিক টয়লেটগুলোর অবস্থা সরেজমিন পর্যবেক্ষণের তথ্য সমাবেশীকরণের মাধ্যমে প্রস্তুত হলো পৌরসভার সার্বিক স্যানিটেশন চিত্র।গত  ২১ জানুয়ারি ২০২৫, গাইবান্ধার এসকেএস ইন-এ FANSA-Bangladesh এর Rising for Rights প্রকল্পের আওতায় FANSA-Bangladesh সচিবালয় এসকেএস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক কর্মশালায় সংগৃহীত মনিটরিং তথ্যের সমাবেশীকরণ এবং সার্বিক তথ্যের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। পৌরসভার স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে যথাপথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে পৌরসভাকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়।
মনিটরিং তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শহরের পাবলিক, কমিউনিটি ও পারিবারিক টয়লেটগুলোর নাজুক অবস্থা। এতে টয়লেটগুলোর অব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। সামগ্রিক প্রতিবেদন তৈরির এই কাজে অংশ নেন Rising for Rights প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত  নারী ফোরাম এবং কমিউনিটিভিত্তিক মনিটরিং দলের ৩০ জন সদস্য। সমাবেশীকরণ ও প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণে নেতৃত্ব দেন নারী ফোরামের সভাপতি সুলতানা ই নূর শাহী।
আলোচনা পর্বে টয়লেট ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে কার্যকর ও দ্রুত পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে পৌরসভার কাছে দাবী জানান। তারা মনে করেন, সঠিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে টয়লেট ব্যবস্থার উন্নতি করে পৌরবাসীর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব এবং সে লক্ষ্যে পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শহরের সার্বিক স্যানিটেশন চিত্রভিত্তিক প্রতিবেদনট প্রস্তুত করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ঘিওরে নারী উদ্যোক্তা মেলা উদযাপন 

 মিজানুর রহমান খান কুদরত : মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের নারী উদ্যোক্তা মেলা-২০২৫ উদযাপন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি)  দুপুর ১২ টার সময় উপজেলা পরিষদ মাঠ চত্বরে ৫ দিনব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে এ  মেলার আয়োজন করা হয়।

মেলার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,বড়টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।

উক্ত মেলায় জেলা প্রশাসক ডক্টর মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রভাষ চন্দ্র রায়, প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)। আরো উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন,সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরজাহান আক্তার সাথী,তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোবিন্দ পাল এবং  উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী ও কর্মকর্তাসহ নারী উদ্যোক্তাগণ।

প্রধান অতিথি প্রভাষ চন্দ্র রায় মেলাটি উদ্বোধন শেষে উদ্যোক্তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।

এ সময় তিনি নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়গের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী অর্জনে পরামর্শ প্রদান করেন। প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা এবং অধ্যাবসায় থাকলে যে কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তারাও জীবনে সফল হতে পারবেন। তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন, দেশে- বিদেশের সফল ব্যক্তিদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা এভাবেই ছোট ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।

তিনি তার বক্তব্য শেষে, ৫ জন নারী উদ্যোক্তাকে ভাতার চেক ও ১৫ জন সফল উদ্যোক্তাদের সম্মান সূচক স্মারক প্রদান করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

গাজীপুরে সাংবাদিকের পরিবারের ওপর হা*মলা: নারীসহ আহ*ত ৪ জন

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর: গাজীপুর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক সাংবাদিকের পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ তার পরিবারের নারী সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন।
গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীপুর (বেপারীপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই রাতেই এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক গাজীপুরের স্থানীয় দৈনিক আজকের জনতা পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। তিনি সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মৃত হেকিম বেপারীর ছেলে বিল্লাল বেপারী (৫০), এবং তার ছেলে জাহিদ (২৫), জহিরুল ইসলাম (৩০) সহ আরও কয়েকজন সহযোগী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ির প্রবেশপথে অবৈধভাবে পিলার স্থাপন করেন। এতে বাধা দিলে তারা হুমকি দেয় এবং পরে আমিনুলের পরিবারকে মারধর করে।
হামলায় আমিনুল, তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা পাপিয়া, ভাই নুরুল ইসলাম এবং হারুন আহত হন। নুরুল ইসলাম কুড়ালের আঘাতে গুরুতর আহত হন এবং তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম আরোও জানান, সাংবাদিকতা করার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, সাংবাদিকসহ তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ইসকনের অর্থ দাতা যমুনা লাইফ ইন্সুইরেন্সের এমডির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি ড.বিশ্বজিত কুমার মন্ডলকে ২৮-৮-২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৫৪ তম বোর্ডসভায় ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয়। নিয়োগের পর থেকেই তিনি যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানিতে বিভিন্ন আর্থিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড করতে থাকেন।

তিনি কোম্পানির প্রশাসনিক ও মার্কেটিং বিভাগের অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে নিজস্ব লোকবল নিয়োগ দেয়। কোম্পানিতে একছত্র দখলদারিত্ব তৈরি করতে স্বজনপ্রীতি সহ বিভিন্ন অনিয়ম করতে থাকে এবং অনেক লোকবলকে ছাটাই করে অনেক কর্মী কর্মকর্তাকে পথে বসিয়ে দেয়।
এমনকি তিনি প্রায় ৯৮% মুসলমানের দেশে ইসলাম ধর্মীয় রীতিনীতি কোম্পানির বিভিন্ন চিঠিপত্র ও ডকুমেন্টসে পুর্ব থেকে চলমান থাকা প্রেক্টিস প্রয়োগে বাঁধা দেয়। এতে কোম্পানিতে কর্মরত হাজার হাজার কর্মী কর্মকর্তা ও বিমা গ্রাহকদের মনে ইসলামি অনুভুতিতে আঘাত দেয় ও ইসলামকে চরমভাবে অবমানননা করে ও কোম্পানিতে নিজস্ব ক্যাডারবাহীনি নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে।
উল্লেখ্য ডঃ বিশ্বজিত কুমার মন্ডল হোমল্যান্ড লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানিতে চাকরিকালিন সময়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ কর্তৃক ২১-৯-২০২৩ তারিখে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ হতে চিরতরে অপসারিত হয়, এবং পরবর্তিতে এতদবিষয়ে তাকে আইডিআরএ বিগত ২১-৩-২০২৪ ও ৮-১২-২৪ তারিখেও কারন দর্শানো পত্র প্রদান করে।
অথচ একজন দুর্নীতিগ্রস্থ ও অপসারিত ব্যক্তিকে কেন যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে এটা সকলের নিকট একটা বিস্ময়কর প্রশ্ন।
এইধরনের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডঃ বিশ্বজিত কুমার মন্ডলকে গত ১৪-১-২০২৪ তারিখে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটা চিঠির মাধ্যমে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হতে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান বিশ্বজিত কুমারকে বরখাস্ত করেও অত্যন্ত কৌশলে অন্য কোন উর্ধতন কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে তাৎক্ষণিক নিয়োগ প্রাদান করেননি। এইসুযোগে বিশ্বজিত কুমার মন্ডল বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ১৯-১-২০২৪ তারিখে যমুনা লাইফ অবৈধভাবে দখল করে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ শুরু করে।
এতে ইসলাম বিদ্বেষী, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী কায়দায় অফিস দখল করে কার্যকলাপ শুরু করায় কর্মী কর্মকাতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
যমুনা লাইফের বিভিন্ন চিঠিপত্র হতে প্রচলিত প্রেক্টিস অনু্যায়ী লেখা বিসমিল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ও মা-আসালাম এর মত ইসলামিক শব্দ কেটে দিয়ে ধর্মপ্রাণ মোসলমান কর্মী কর্মকর্তাগনের মনে আঘাত দেয়া ও ইসলাম অবমাননা এবং অবৈধভাবে দখল করে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্সে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে বরখাস্ত হবার পরেও কাজ শুরু করার কারনে এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে বিচার চেয়ে দেশ, জনগন ও গণমাধ্যম তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে আজ ২০-১-২০২৪ তারিখে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির ক্ষতিগ্রস্ত ও বৈষম্যের শিকার হাজার হাজার কর্মী কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যগন জাতীয় প্রেসিক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে।
ইসলাম অবমাননা ও যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার কর্মী কর্মকর্তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিবাজ ইসলাম অবমানননাকারী ডঃ বিশ্বজিত কুমার মন্ডলের রাহুগ্রাস হতে কোম্পানিকে রক্ষাসহ তার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন করা হয়।
যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির বৈষম্যের শিকার কর্মী কর্মকর্তাবৃন্দ
আলোকিত প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি-২৫/মওম

সরাইলে অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় ভেকু ও ট্রাক জব্দ

শওকত আলী: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২১শে জানুয়ারি ২০২৫ইং রোজ মঙ্গলবার বেলা ২:৩০ মিনিট সময়ে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ভূইয়াঘাট সংলগ্ন মানুডোবা বিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ।

এ সময় ধরুন্তী বিলে ভেকু দিয়ে সরকারি আইন কানুন লঙ্ঘন করে অবৈধ ভাবে মাটি কর্তন করে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার অভিযানের টের পেয়ে ভূমিদস্য অপরাধীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই সময়ে একটি ভেকু ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।

.সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জনাব মোঃ মোশারফ হোসাইন উপস্থিত সাংবাদিকদের  বলেন,সরাইলের সাধারণ জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে, ও জাতির কল্যাণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(ছ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে উক্ত অপরাধের জন্য নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব রফিকুল হাসান আরো বলেন, এই ধরনের অপরাধী ও তাদের সাথে জড়িত সিন্ডিকেট মেম্বারদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

“লংগদুতে জামায়াতের ত্রান ও শীতবস্ত্র বিতরণ”

তাজ মাহমুদ, লংগদু : রাঙামাটির লংগদুতে দরিদ্র ও শীতার্থদের মাঝে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ), চট্রগ্রাম বিভাগের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লংগদু উপজেলার আয়োজনে ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
২১ জানুয়ারী, ২০২৫ মঙ্গলবার বেলা ৩ঃ০০ টায় স্থানীয় একটি মিলনায়তনে এসব ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লংগদু আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা এএলএম সিরাজুল ইসলাম ও উপজেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য খ ম মতিউর রহমান।
মাইনীমুখ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও উপজেলা এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ শিহাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও এসিসট্যান্ট সেক্রেটারী তাজ মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ পুর্ব সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মাল সম্পাদক ওছমান গণি শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন লংগদু উপজেলা সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল হক,লংগদু ইউনিয়ন নায়েবে আমীর মোঃ আবুবকর, সেক্রেটারি মোঃ আলমগীর হোসেন, মাওলানা আমানুল হক, জুলহাস উদ্দীন, মাহফুজুর রহমানসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জামায়াত মানবতার সেবায় নিয়োজিত আছে। জামায়াত আল্লাহর আইন চায়, সৎ লোকের শাসন চায়। জনগণ যদি জামায়াতকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দেয়, তাহলে ঘরে ঘরে সেবা পৌছে যাবে। সেবা নেওয়ার জন্য জনগণকে সরকারী দপ্তরে আসতে হবে না। জামায়াত যে কোন দূর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। জনগণের সেবা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তিনি জামায়াতের পতাকাতলে সমবেত হয়ে আগামীদিনে কুরআনের সমাজ কায়েমের আন্দোলনকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহবান জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা ৯০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছেন। সোমবার শপথ নেওয়ার পর নির্বাহী এক আদেশ জারির মাধ্যমে এই সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করেন তিনি।তবে বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের আদেশ মার্কিন তহবিলের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি পরিষ্কার নয়। দেশটির অনেক কর্মসূচি ইতোমধ্যে কংগ্রেসে তহবিল বরাদ্দ পেয়েছে। আর এসব অর্থ ইতোমধ্যে বিতরণ অথবা ব্যয় করা হয়েছে।

সোমবার মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের ঝড় বইয়ে দেন তিনি। মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি-সহ কয়েক ডজন নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা শিল্প এবং আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা প্রায়ই আমেরিকান স্বার্থ এবং মূল্যবোধের বিরোধিতা করে। এই ধরনের কর্মসূচি বিদেশে এমন সব ধারণার প্রচার করে; যা বিশ্ব শান্তিকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীল সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বিরোধপূর্ণ।প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে একেবারে মিল না থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও বৈদেশিক সহায়তা প্রদান করবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গত সপ্তাহে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে শুনানির সময় দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তিনটি মূল প্রশ্নকে সামনে রেখে কর্মসূচির ন্যায্যতা দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, এই সহায়তা কর্মসূচি কি আমেরিকাকে নিরাপদ করে তোলে? এটি কি আমেরিকাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে? এটি কি আমেরিকাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করে তোলে?

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বাজেটের প্রায় এক শতাংশই যায় বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি তহবিলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে এই বিদেশি সহায়তার সমালোচনা করছেন। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধে কিয়েভে বিশাল পরিমানের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সহায়তার পরিমাণ সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক বৈদেশিক সহায়তা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে দুর্যোগ ত্রাণ, স্বাস্থ্য এবং গণতন্ত্রপন্থী উদ্যোগসহ বিভিন্ন খাতে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচির জন্য ৬৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন এই সহায়তার প্রধান প্রাপক ইসরায়েল (বার্ষিক ৩.৩ বিলিয়ন ডলার), মিসর (বার্ষিক দেড় বিলিয়ন ডলার) এবং জর্ডান (বার্ষিক ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার)। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এসব দেশের দীর্ঘস্থায়ী চুক্তির কারণে এই সহায়তায় উল্লেখযোগ্য কাটছাঁটের সম্ভাবনা নেই।

সূত্র: এপি

আলোকিত প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি-২৫/মওম

নোয়াখালীতে প্রশাসনের ভেঙ্গে দেয়া ইটভাটা ফের চালুর অভিযোগ

প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়নের জাফর আহম্মদের মালিকীয় দয়ারামদি মৌজার ৩৮২ শতাংশ ফসলিজমি জোরপূর্বক দখল করে ইটভাটা (একতা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ) স্থাপনের প্রতিবাদে এবং দখলমুক্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকেরা।
২১জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের হাফেজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী জমির মালিক তাজউদ্দিন বলেন, গত ২৮ দিন আগে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে ইটভাটার চিমনি ভেঙ্গে দেয়। এরপর গত চারদিন ধরে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে আবার নতুন করে কম উচ্চতার চিমনি তৈরী করে ইট পোড়াচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর যাবত আমার  ৩৮২ শতাংশ চাষকৃত ফসলি জমির উপর একতা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মালিক আনোয়ার হোসেন মিরণ জোর করে জবরদখল করে ইটভাটা তৈরি করে রেখেছে। আমি তাকে বিভিন্ন সময় আমার জমি ছেড়ে দিতে বললে তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। একতা ইটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন মিরণের ইটভাটার সরকারি কোন অনুমোদন নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। অবৈধ এই ইটভাটা বন্ধের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে মানবব্ন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে একতা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মালিক আনোয়ার হোসেন মিরণ বলেন, আমি জমির মালিকদের কাছে কয়েক মাস সময় দাবি করেছি। এরপর আমি নিজেই ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি। তবে আমি পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিহিংসার শিকার।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, এই ইটভাটা অবৈধ এটা সবাই জানে। কিছু দিন আগে ঐ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চিমনি ও কেলন ভেঙে  গুড়িয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে চিমনি বসিয়ে ইট পোড়ানোর খবর পেয়েছি। পুণরায় সেখানে অভিযান চালানো হবে।
নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সর্দার এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানান,একতা ব্রিকস ভেঙে দেওয়ার পর মালিক পক্ষ হাইকোর্টে একটি রিট করে। মহামান্য হাইকোর্টে যে রিটটি করেছিলো উক্ত আবেদন জিগজাগ ভাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে আমরা গত ১০ই জানুয়ারি এর জবাব দিয়েছি। উক্ত জবাবের বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই ঐ ইটভাটা তিনি চালাতে পারেন না। এই বিষয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্হা নিলে আমাদের (পরিবেশ অধিদপ্তরের) পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি-২৫/মওম

ছাত্রসমাজ শিবিরকে সভ্য,ভদ্র এবং মেধাবীদের ঠিকানা হিসেবে দেখে: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রডিতবেদক:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। মাদ্রাসাগুলোতেও তাদের স্বনামে দাওয়াত দেওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়। ছাত্রসমাজ থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ছাত্রশিবিরকে নেগেটিভ চরিত্রের সংগঠন হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চলে।

২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘শাখা দায়িত্বশীল কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ২০ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে সকাল ৮টায় দারসুল কুরআনের মাধ্যমে কর্মশালা শুরু হয়।

জামায়াত আমির বলেন, ‘মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বাসা থেকে ছাত্রশিবিরের সদস্যদের ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করেছিল, শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, শিবিরের নাম-নিশানা মুছে ফেলেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে শিবির এখন ছাত্রসমাজের কাছে সবচেয়ে আপন সংগঠন। সাধারণ ছাত্রসমাজ শিবিরকে সভ্য, ভদ্র এবং মেধাবী ছাত্রদের ঠিকানা হিসেবে দেখে।’

শফিকুর রহমান যোগ করেন, ‘ছাত্ররা শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি চরিত্রে বিকাশ লাভ করুক। এ দায়িত্ব ছাত্রশিবিরকেই নিতে হবে। এটা অন্য কোনও সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। কিছু সংগঠন নিজেদের বড় মনে করলেও তাদের কর্মসূচিতে চরিত্র গঠনের কার্যক্রম নেই, বরং চারিত্রিকভাবে দেউলিয়া সংগঠনগুলো ছাত্রশিবিরকে প্রতিপক্ষ মনে করে। কিছু ইসলামী সংগঠন এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সঠিক অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। এ অবস্থায় শিবিরকেই ছাত্রসমাজের চরিত্র গঠন এবং মানসিক উৎকর্ষ সাধনের দায়িত্ব নিতে হবে।’

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সারা দেশে শাখা দায়িত্বশীল কর্মাশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্রশিবির নামে বাগানের মালি। আমাদের সামনে শহীদদের রক্তের উত্তরাধিকার এবং বিপুল দায়িত্ব। এ পথ ফুল বিছানো নয়; বরং এটি কণ্টকাকীর্ণ। সংগঠনের প্রতিটি দায়িত্বশীলের উচিত, এ দায়িত্বকে আমানত হিসেবে বিবেচনা করা।’

আলোকিত প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি-২৫/মওম