আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 152

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির অভিযানে ৫ জন ভারতীয় চোরাকারবারী গ্রেপ্তার 

শওকত আলী: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়  ভারতীয় চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) সদস্যরা।  সোমবার (৬/১/২৫) সকালে পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুইয়াপানিয়া ও কালিকাপুর, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ফকিরমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার বিকেলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার মধুপুর থানার নন্দকুমার পাড়ার মৃত নন্দলাল দেব বার্মার ছেলে দোজন দেব বার্মা (৩৫), একই এলাকার মৃত সচীন্দ্র দেব বার্মার ছেলে তমে দেব বার্মা (৩৩) ও মৃত রবি দেব বার্মার ছেলে বিমল দেব বার্মা (৩৬), ভারতের সিপাহীজলা জেলার মধুপুর থানার মিয়া পাড়ার মৃত আলী মিয়ার ছেলে মোঃ বাদশা মিয়া (৩০) ও ভারতের  সিপাহীজলা জেলার বক্সনগর থানার নজরপোড়া গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়া (৫৮)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুইয়াপানিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দোজন দেব বার্মা, তমে দেব বার্মা ও বিমল দেব বার্মাকে আটক করে বিজিবির সদস্যরা। পরে পৃথক অভিযানে বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ বাদশা মিয়া এবং দুপুর সাড়ে ১২টার সময় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী ফকিরমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ হোসেন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আটককৃত ব্যক্তিদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাচালানী পণ্য পাচারে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অপরাধ ও পাসপোর্টবিহীন অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে। গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় এবং ১ জনকে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় সোপর্দ করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

শ্যামনগরে মহিষের শিং এর গুতায় ৬ ব্যক্তি আহ*ত

এস কে সিরাজ: শ্যামনগর সাতক্ষীরা থেকে।। সাতক্ষীরা সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরের সীমান্তবর্তী বৈশখালী গ্রামে সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনাটি  ঘটে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আমিনুর রহমান বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীরা কয়েকজন মিলে মহিষটি কিনে নিয়ে আসে জবাই করে তার মাংস বিক্রি করার লক্ষ্যে। সকালে মহিষ টি জবাই করার সময় হঠাৎ দড়ি ছেড়ে যায়। একপর্যায়ে হিংস্র মহিষ টি আশেপাশে যারা ছিল তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। একপর্যায়ে ওই গ্রামের ৬ ব্যক্তি মহিষের  শিং এর গুতায় গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন, বৈশখালী গ্রামের করিম গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন, শমসের মোড়লের ছেলে মিজান মোড়ল, জুম্মান গাজীর ছেলে হামিদ গাজী, নূরুজ্জামান গাজীর ছেলে ইব্রাহিম গাজী, অনিমেষ মন্ডলের স্ত্রী সবিতা রানী মন্ডল ও গোলাম রব্বানী।
এদিকে স্থানীয় কাসেম গাজী জানান, পাগলা মহিষের আক্রমণে আহতদের কে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বলেন,  আহতরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে গুরুতর আশঙ্কা অবস্থা থাকায় বিল্লাল নামের এক ব্যক্তিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

বিশ্বের দীর্ঘতম চালকবিহীন ট্রেন চালু হলো সৌদিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের দীর্ঘতম চালকবিহীন ট্রেন ‘রিয়াদ মেট্রো’ পুরোপুরি চালু হলো সৌদিতে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে ট্রেনটি চালু হয়েছে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে দেশটির রয়্যাল কমিশন ফর রিয়াদ সিটি (আরসিআরসি)।

রিয়াদ মেট্রো মূলত একটি মেট্রোরেল এবং রাজধানী রিয়াদ ও তার আশপাশের অঞ্চলে চলাচলের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো অঞ্চলকে এক নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য ৬ টি লাইন রয়েছে— ব্লু লাইন, ইয়েলো লাইন, পার্পল লাইন, রেড লাইন, গ্রিন লাইন এবং অরেঞ্জ লাইন। রিয়াদ এবং তার আশপাশের অঞ্চলকে ৬ ভাগ করে প্রতিটি ভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি লাইন।

এসব লাইনের মধ্যে ব্লু, ইয়েলো এবং পার্পল লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করেছিল রিয়াদ মেট্রো, পরে ১৫ ডিসেম্বরে রেড এবং গ্রিন লাইনেও পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল শুরু হয়। রয়েল কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল ৫ জানুয়ারি থেকে অরেঞ্জ লাইনসহ অন্যান্য লাইনে পুরোদমে চলা শুরু করেছে মেট্রোটি।

প্রসঙ্গত, রিয়াদের জেদ্দা রোড এবং সেকেন্ড ইস্টার্ন রিং রোডকে সংযুক্তকারী অরেঞ্জ লাইনের দৈর্ঘ ৪১ মিটার। এ লাইনে ৫টি মেট্রোস্টেশন রয়েছে। এই স্টেশনগুলো হলো জেদ্দা রোড স্টেশন, তাওয়াইক স্টেশন, দৌহ স্টেশন, হারুল আল রশীদ স্টেশন এবং আল নাসির স্টেশন।

প্রসঙ্গত, রিয়াদ মেট্রো বিশ্বের দীর্ঘতম চালকবিহীন ট্রেন এবং এর নেটওয়ার্ক পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তম। ট্রেনটি নেটওয়ার্কের মোট দৈর্ঘ ১৭৬ কিলোমিটার এবং এই পথে পড়ে মোট ৮৫টি স্টেশন। সবগুলো স্টেশন কভার করে এই ট্রেনটি।

প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে রিয়াদ মেট্রো। যাত্রীরা স্টেশনে এসে কিংবা অনলাইনে টিকিট কেটে ট্রেনে চাপেন।

সূত্র : গালফ নিউজ

আলোকিত প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি-২৫/মওম

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার আখ চাষিরা গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন 

রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার আখ চাষিরা চলতি মওসুমের শুরু থেকেই গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলায় আখ চাষে মাটি এবং আবহাওয়া বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে জালিঙ্গী গ্রামের ও বড় গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি এলাকায় গুড় তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি আখ চাষি নিজেদের জমিতে কমবেশি আখের চাষ করে এবং তাদের আবাদি আখ থেকে গুড় তৈরি করে নিজেদের খাবার চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করেন।
শীত মৌসুমের শুরু থেকেই নিজেদের জমিতে চাষ করা আখগুলো মাড়াই ও গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন। আখ চাষে লোকসান নয়, মুনাফার পরিমানই বেশি থাকে। গুড় তৈরি ও উৎপাদন কাজে এখানকার আখ চাষিরা অনেক এগিয়ে রয়েছেন। সবসময় ভেজালমুক্ত গুড় তৈরি করলেও অনেকেই আলু আটাসহ অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য মিশিয়ে নিয়ে গুড় তৈরি করেন। বাহিরাগত অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে গুড় কিনে মজুদ করে থাকেন। মজুদকৃত গুড় মাটির তৈরি মটকা,মাটির পাতিল এবং হান্ডিতে মজুদ করে মুল্য বৃদ্ধির অপেক্ষায় থাকেন,বাজারমুল্য সুযোগ নিয়ে বছরব্যাপী ওই গুড় বিক্রি করেন।
কয়েকটি গুড় তৈরির কাজে ব্যস্ত বড় গোবিন্দপুর গ্রামের শাহিন সরকার জানান, লাখ টাকা ব্যয় করে আখ মাড়াই ও গুড় তৈরি সামগ্রী কিনে নিজের জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। নিজেদের জমির আখ থেকে গুড় তৈরির পাশাপাশি এলাকার চাষিদেরও গুড় তৈরি করছি। এক টিন আখের রস বাবদ তিনি কুড়ি টাকা দরে ক্রয় করেন চাষিদের কাছ থেকে। গুড় মাড়াই মওসুমে এক থেকে দেড় হাজার টাকা প্রতিদিন আয় করেন তিনি নিজের গুড় তৈরির কারখানা থেকে।
বড় গোবিন্দপুর এলাকার আখ চাষি ফজলার রহমান এবং মধু মিয়া জানান,তাদের এলাকায় অনেক দিন থেকেই আখ চাষের জনপ্রিয় এলাকা হিসেবে প্রসিদ্ধ।
আখ চাষি এলাকায় চিনির চেয়ে গুড়ের বেশি চাহিদা রয়েছে। চাষিদের বাড়ি বাড়ি এবং আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি তৈরি হয় গুড়ের তৈরি নানান ধরনের মুখরোচক খাবার। যে কারণে এ এলাকার জনপ্রিয় হয়ে উঠে গুড়। আর গুড় উৎপাদনের জন্য প্রায় চাষিরা কমবেশি জমিতে আখ চাষ করে থাকেন। আখ থেকে গুড় তৈরি করা হলে গুড়ের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ উত্তম জ্বালানিও পাওয়া যায়। সারা বছর প্রতিটি বাড়িতেই জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয় আখের উচ্ছিষ্টাংশ।
এছাড়াও এখানকার আখ চাষিরা জানান, এলাকার চাষিরা সকলেই ভালো কারিগর। যে কারণে এখানে ভালো মানের আখের গুড় তৈরি হয়ে থাকে। আখের জমির পাশেই চুল্লি বসিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। এ গুড়ে সাধারনত কোন ভেজাল থাকে না। চিনি ও গুড়ের বাজার সমান হলে গুড়ে চিনি মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হতো অধিকাংশ কারখানাগুলোতে। বর্তমানে চিনির দাম বেশী হওয়ায় সেই সুযোগ আর নেই। যার ফলে বর্তমানে প্রকৃত আখের রস থেকেই গুড় তৈরি করা হচ্ছে কারখানাগুলোতে। এতে গুড়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে আখচাষ বর্তমানে অনেক লাভজনক ফসল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান,লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পলাশবাড়ী আখ চাষ বেশী হলেও দিনে দিনে আখ চাষ হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে কৃষকের নিকট থেকে চিনিকলে আখ সংগ্রহ অভিযান আগের মতো নেই। এছাড়াও একই সময়ে অন্যান্য লাভজনক ফসল শাক-সবজি, রবিশস্য এবং ভুট্টাচাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী। তবুও উপজেলার কিছু এলাকায় গুড়ের চাহিদা থাকায় কিছু চাষি নিয়মিত আখ চাষ করছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি-২৫/মওম

শ্যামনগর সীমান্তে দুস্থ সেবা সমাজকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

এস কে সিরাজ: সাতক্ষীরা শ্যামনগরের একেবারেই সীমান্ত শিবচন্দ্রপুর (ভেড়ারহাট) এলাকার শতাধিক  শীতার্ত, দরিদ্র ও বয়স্ক মানুষের মধ্যে দুস্থ সেবা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় সোমবার সকাল ১১ টার দিকে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উক্ত সংস্থার উপদেষ্টা শিক্ষক আব্দুল কাদের গাজীর সভাপতিত্বে এ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এস কে সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, ওই সংগঠনের সভাপতি ডাঃ নাসির উদ্দিন, উপদেষ্টা শিক্ষক আব্দুল ওহাব, ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আজগর আলী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ মণ্ডল, কোষাধক্ষ্য আওছাফুর রহমান।
এ সময় দুস্থ সেবা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ডাঃ নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে অসহায়, অসুস্থ, বয়স্ক ও নিরাশ্রয় মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে, এছাড়া সামাজিক উন্নয়নমূলক, খেলাধুলা ,সাংস্কৃতিক, ওয়াজ মাহফিল সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে, তিনি এ সংগঠনের সর্বাক্ষণিক সহযোগিতা কারীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যাবেন, খালেদা জিয়া

আলোকিত প্রতিবেদক: কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার (৫ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, জনগণের সবচেয়ে আদরের নেত্রী, যিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন তিনি- তার চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি।

জানা গেছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ প্লেন পাঠিয়েছেন। এ প্লেনে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্বলিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে প্রথমে লন্ডনে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যাবেন।

লন্ডনে ছেলের বাসায় কয়েকদিন থাকার পর বিএনপি চেয়ারপারসন লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটালের মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি কেয়ার ইউনিটে খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপারেন্টের চিকিৎসা নেবেন। ইতোমধ্যে তার যাবতীয় চিকিৎসার কাগজপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টগুলো সেখানে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত ২৬ অক্টোবর ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার লিভার ও পেটের ফ্লুইড জমা ও রক্তক্ষরণ রোধে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি টিআইপিস-টিপস সম্পন্ন করেছিলেন। তাদের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার ট্রান্সপারেন্ট চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

সরাইলে বিজিবির অভিযানে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ মালামাল আটক

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি অভিযান চালিয়ে ৩কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমানে ভারতীয় অবৈধ চোরাচালানী মালামাল আটক করেছে। বিজিবির প্রেস ব্রিফিং থেকে জানা যায়, ৬ জানুয়ারি সোমবার রাত ২:৩০ মিনিটে বিজয়নগর উপজেলায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে  সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হইতে আনুমানিক ৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা কালিশিমা নামক এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ৩,২০,০০০ পিস ভারতীয় এসএইচ পাওয়ার ব্যাটারী আটক করে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩,৫২,০০,০০০/- (তিন কোটি বায়ান্ন লক্ষ) টাকা। আটককৃত ভারতীয় এসএইচ পাওয়ার ব্যাটারী আখাউড়া কাষ্টমস্ অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে লে কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিজিওএম পিএসসি সিগন্যালস ২৫ বিজিবি কে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে অবৈধ ব্যাটারী সহ যে কোন প্রকার চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি-২৫/মওম

ভারত তৎকালীন ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাংলাদেশ থেকে লুট করে: মেজর ডালিম বীর উত্তম

অনলাইন ডেস্ক:

আলোচিত প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে ৪৯ বছর পর প্রকাশ্যে কথা বললেন দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুনে জড়িত অভিযোগে অভিযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)। টকশোর এক পর্যায়ে শেখ মুজিব সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মুজিব ছিল ভারতীয় নকশা বাস্তবায়নের প্রধান খেলোয়াড়।

৫ জানুয়ারি রবিবার রাত নয়টার দিকে সাংবাদিক ইলিয়াসের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টকশোটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। বাংলাদেশে লাইভ টকশোর ইতিহাসে সকল রেকর্ড ভেঙে এক সাথে প্রায় ৮ লাখ দর্শক টকশোটি উপভোগ করেন।

টকশোতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের নেপথ্যের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করেন বিদেশে নির্বাসিত আলোচিত এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। তিনি তার জীবন ও সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।

টকশোর শুরুতে মেজর ডালিম বীর উত্তম বলেন, দেশবাসীকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতাকে, যারা আংশিক বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের লাল শুভেচ্ছা জানাই। বিপ্লব একটি সমাজ যেকোনো রাষ্ট্রে একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেই অর্থে তাদের বিজয় এখনও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক ছাত্র-জনতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারত যার কবজায় আমরা প্রায় চলে গিয়েছি। সেই অবস্থান থেকে সেই ৭১’এর মতো আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্রের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ইন্ডিয়া বিশ্বের কাছে প্রমাণ করলো বাংলাদেশের জনগণ নিজেরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেনি। বাংলাদেশকে জন্ম দেওয়া হয়েছে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যে যুদ্ধে ইন্ডিয়া বিজয়ী হয়েছে। এখান থেকেই ইতিহাসের শুরু।

জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্যান্য স্বনামধন্য দেশীয় কবিদের গান হতে পারত। রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে এ দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ইতিহাসে এমন নজির বিরল যে ভিনদেশী কেউ কোন দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা।

৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরেন। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা গল্প তুলে ধরেন তিনি।

৭৫’ এর ১৫ই আগস্টে ঠিক কি হয়েছিল জানতে চাইলে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। নিজের ঢোল নিজে বাজানো যায় না। প্রথম কথা, ১৫ই আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটার সূত্রপাত হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায়। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা কাদের ইন্টারেস্টে হচ্ছে? এটা কি আমাদের ইন্টারেস্টের জন্য হচ্ছে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করবো। নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করবো।

ইতিহাস বর্ণনা করে এই বীর উত্তম বলেন, যখন সাত দফাতে চুক্তি করে নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দীনকে পারমিশন দেওয়া হলো একটা প্রভিশনাল গভমেন্ট গঠন করার। সাতটা ক্লজ পড়ে সাইন করার পর নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা ক্রমান্বয়ে ভারতের একটা করদরাজ্য-অঙ্গরাজ্যে পরিণত হব।

মেজর শরিফুল হক ডালিম আরও বলেন, মুজিব মারা যায়নি, একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে। বাকশাল বিদায়ের পরে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে। মুজিবের মৃত্যুর পর লাখো লাখো মানুষ রাস্তাঘাটে অন্দরে বন্দরে আনন্দ মিছিল বের করেছিলো। তাদেরকে আমরা ডেকে আনি নাই সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিলো। এভাবেই জনস্বীকৃতি পেয়েছিলো ধানমন্ডি বত্রিশের সামরিক অভ্যুত্থান।

তিনি বলেন, শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মতো যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল তার জুলুমের অবসানের জন্য।

 

শেখ মুজিব সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, মুজিব কী ছিল? মুজিব ছিল ভারতীয় নকশা বাস্তবায়নের প্রধান মেজর খেলোয়াড়।

 

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, ‘তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্বের দেওয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।’

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছিল, অসংখ্য নারী সম্ভ্রম হারিয়েছিল সাংবাদিক ইলিয়াসের এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর ডালিম বলেন, কথাটা কিভাবে জন্ম নিল এটার ইতিহাস বললে, আমি তোমাকে আবার স্মরণ করে দিতে চাই। মুজিব যখন সিরাজ ভাই আর রেজাউল করিম সাহেবকে আলাদা ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করছে; সত্যিই কি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে? নাকি আমারে কোথাও নিয়ে মাইরা ফেলানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তখন সিরাজ ভাই উনাকে বললেন, মুজিব ভাই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আপনি যাইতেছেন প্রাইম মিনিস্টার অব বাংলাদেশ। কিন্তু আপনি ইন্ডিয়া হয়ে যাচ্ছেন কেন সেটা আমরা বলতে পারব না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।

তখন তিনি(শেখ মুজিব) বলেন, ইন্টারভিউ নিবেতো যে ক্ষয়ক্ষতি কত? তখন তিনি (সিরাজ ভাই) বলেন, এই সব কিছু মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় তিন লাখের মত। পরে তিন লক্ষকে যখন ইন্টারভিউ নিতে আসছিল, যখন মুজিবকে জিজ্ঞেস করছিল, হোয়াট ইজ দ্যাট থিংকিং অব লসেস লাইফ ডিউরিং দা ফ্রিডম ফাইটিং? তিনি (শেখ মুজিব) বললেন, থ্রি মিলিয়ন। তিন লক্ষকে বানাই ফেলাইলো ৩ মিলিয়ন। ওইখান থেকে যে রেকর্ড বানানো শুরু হল, তিন মিলিয়ন। ওটা চলতে আছে, চলতেই আছে, চলতেই আছে।

 

জাতির পিতা ইস্যুতে মেজর শরিফুল হক ডালিম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে জাতির পিতা, জাতির মাতা, জাতির বোন, জাতির জামাই এসবে বিশ্বাস করি না। জাতির পিতা যদি বলতেই হয় বিশ্ব মানবতার পিতা হচ্ছে হযরত আদম (আঃ)। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারে? তোমরা উন্নত দেশগুলো থেকে গণতন্ত্র-মানবাধিকার শিখে আসছ।আমাদের কুরআনে কি এগুলো নাই? তারপরে ওইসব দেশে কেন জাতির পিতা থাকে না? আমাদের এইখানে কেন থাকতে হবে?

 

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ইন্ডিয়াতে কে জাতির পিতা? সেখানে কোনো জাতির পিতা নেই। কোনো সভ্য দেশে জাতির পিতা বলে কোনো জিনিস নাই।

ফ্যাসিস্ট আ’লীগকে উদ্দেশ্য করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, তাদের মেন্টর যে ভারত যেখানে তারা পালায়ে গেছে। ওই দেশটাতে কোনো জাতি পিতা আছে? নাই। তাহলে আমরা কেন জাতির পিতা বলব? যুক্তিটা কী? বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত রাজনীতিতে শুধু কি মুজিবের অবদান ছিল? সেখানে ভাষানির নাম নিতে হবে না? ফজলুল হকের নাম নিতে হবে না? একমাত্র মুজিবই কি বাংলাদেশের ঠিকাদার? আমি তো সেটা মনে করি না।

তিনি আরও বলেন, মুজিব তো কোনোদিন স্বাধীনতা চায়ইনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রথম কথা বলেছিল পাকিস্তান নৌবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা ওয়াজ্জেল হোসাইন। যার যা প্রাপ্য তাকে সেই মর্যাদায় দিতে হবে।

মেজর ডালিম বীর উত্তম আরও জানান, ৭১ এর ২৫শে মার্চ শেখ মুজিব পাকিস্তান আর্মির হেফাজতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করার আগে নিজের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে দিয়ে যান। নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তিনি পাকিস্তানে পাড়ি জমান।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল জিয়াউর রহমান কিন্তু পরবর্তীতে ভারতের চাপে স্বাধীনতার ঘোষণায় শেখ মুজিবুরের নাম ব্যবহার করতে বাধ্য হয় জিয়াউর রহমান।

দীর্ঘ ২ ঘণ্টার টকশোতে ইতিহাস থেকে তিনি আরও যেসব বিষয় বর্ণনা দেন তা হলো- আল বদর বাহিনী নয় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো ভারতীয় বাহিনী। ভারত তৎকালীন ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে মুজিব মেজর জলিলকে গ্রেপ্তার করে। জহির রায়হান ও শহিদুল্লাহ কায়াসারকে হত্যা করেছিলো মুজিব।

তিনি আরও দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জৎ লুট হয়েছিলো এইটা একটা মিথ্যা প্রচারণা। বিপ্লবী সিরাজ সিকদারকে পরিকল্পনা করে হত্যা করে মুজিব। মুজিবের ভাষণে নয় মেজর জিয়াউর রহমানের ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ একতাবদ্ধ হয়েছিলো এবং আমি নিজেও পাকিস্তান থেকে চলে এসেছিলাম মেজর জিয়ার ডাকে। ভারত মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করছে যাতে তাদের একটি প্রদেশ বানাতে পারে।

আলোকিত প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি-২৫/মওম

রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে সামনে রেখে এবং দলের পরবর্তী নীতি এবং কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।৬ জানুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে আটটায় দলের স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক ডেকেছেন তিনি।

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠক হবে বলে জানান বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান। তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত থাকবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাজনিত সফরকে সামনে রেখে এ বৈঠকটি হচ্ছে আজ। এতে দলের নীতি কৌশল এবং নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, বেগম জিয়াকে সরাসরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হবে। এক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের ভিড় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি-২৫/মওম

নড়াইলে ১৬ বছরের কিশোর ভ্যানচালককে শ্বাসরোধে হ*ত্যা, আটক ১

জাহিদুল হক রনি: নড়াইলে তামিম খান (১৬) নামে কিশোর এক ভ্যানচালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মূল হত্যাকারী আমিনুলসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত কিশোর ভ্যানচালক তামিম খান সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের হাড়িগাড়া গ্রামের রুবেল খানের ছেলে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনী এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপ থেকে পুলিশ ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে ভ্যানচালক কিশোর তামিম খান নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই জানায়, তামিম অভিযুক্ত আমিনুলকে ভ্যানে করে নিয়ে যেতে দেখেছে। পরে নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।
নড়াইল সদর থানা পুলিশ ও  জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)-র যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল স্বীকার করে যে, তামিমকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে হত্যার পর নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘূণী এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপে ফেলে দেয় এবং ছিনতাইকৃত ভ্যানটি বিক্রি করেছে।
অভিযুক্ত আমিনুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘূণী এলাকা থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে আসামি আমিনুলকে লোহাগড়া থানায় হস্তান্তর করেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম  জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে তামিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে লোহাগড়ার মশাঘূণী এলাকায় ফেলে দিয়েছে।  পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহর সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক করা হয় এবং চোরাই ভ্যান কেনাবেচার অভিযোগে নাওরা গ্রামের নেহাল উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার (৪২), তার ছেলে ইসমাইল (১৭), ঈমান শেখের ছেলে সলেমান শেখকে (৩১) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
কিশোর ভ্যানচালককে হত্যার ঘটনায় আটক আমিনুল নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি