আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1532

শ্রীনগরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণ

প্রতিনিধি, শ্রীনগর 

শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের পাশে মৃত গনেন্দ্র মালোর পুত্র বাসু মালো গংদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। এর আগে মালিকানা সম্পত্তি দাবী করে বাসু মালো সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে ওই সম্পত্তিতে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অজিত মালোর সহযোগিতায় তার ছোট ভাই বাসু মালো ওই ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের ফ্লোরে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে কয়েকজন শ্রমিক দ্রুত ছিটকে পড়ে। নির্মাণাধীন ওই ভবনের পশ্চিম পাশে একটি লাল নিশান হেলানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় বাসু মালোর ভাই অজিত মালো এসে প্রথমে দাবী করেন কাজ বন্ধ। শ্রমিকদের মাটি ভরাটের কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসিলদারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ভবনের এই অংশ বাদ দিয়ে কাজ করতে বলেছেন। দখলকারী বাসু মালোর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অজিত মালো বলেন, আপনারা আমার সাথে কথা বলেন।এ বিষয়ে ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন। তিনি বলেন, পুরো ভবনের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যেখানে আমার এসিল্যান্ড স্যার নিজেই লাল নিশান টাঙ্গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন, সেখানে আমি তাদেরকে কিভাবে পারমিশন দেই? তারা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।এলাকাবাসী জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে ও রাতে ভবন নির্মাণের চলমান ঘটনা ছাড়াও সরকারি সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার একাধিক ঘটনা আছে অজিত মালোর বিরুদ্ধে। তারা জানান, বসতবাড়ির পাশে হঠাৎ একরাতে সরকারি জায়গায় মন্দির বানিয়ে প্রতিমা স্থাপন করেন। মন্দিরটি এখনও দৃশ্যমান রয়েছে। এছাড়া ভাগ্যকুল বাজার সংলগ্ন খালপাড়ে সরকারি সম্পত্তিতে কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন অজিত মালো। সরকারি সম্পত্তি দখলকারী অজিত মালো গংদের এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসিলদার সব জেনেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ জানান, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দিয়ে এসেছি। এরপরেও যদি ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজ করার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আতারা //এপি

ফুলবাড়ীতে চিংড়ি চাষে সফলতার হাতছানি 

প্রতিনিধি,ফুলবাড়ী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়ণে গলদা চিংড়ি চাষ করে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন শৈলেন্দ্রনাথ রায়। ফুলবাড়ীতে একমাত্র চাষি হিসেবে তিনিই গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করেছেন। শৈলেন্দ্র নাথ রায়ের বাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা গ্রামে। তিনি তার বাড়ি সংলগ্ন প্রায় এক বিঘা আয়তনের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে গলদা চাষ শুরু করেছেন। চিংড়ি চাষের প্রথম বছরেই লাভবান হতে পেরে খুশি শৈলেন্দ্রনাথ রায়। বর্তমানে চিংড়ি চাষ করে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। চিংড়ি চাষ করে সফল হওয়ার ফলে এলাকায় অনেকেই গলদা চিংড়ি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি চাষের সম্ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতে গলদা চিংড়ি চাষি শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের পুকুর পরিদর্শনে আসেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা(অ.দা.) রায়হান উদ্দিন সরদার।আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য চাষী সিদ্দিক খন্দকার, আব্সদুল বাতেন বসুনিয়াসহ অন্যান্য মৎস্য চাষিরািএসময় তারা গলদা চিংড়ি চাষে সফলতার জন্য শৈলেন্দ্রনাথ রায়কে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আগামী দিনে সফলভাবে গলদা চিংড়ি চাষে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। চাষী শৈলেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার এই পুকুরে অন্যান্য প্রজাতির মাছ চাষ করে খুব একটা লাভবান হতে পারি না। পুকুরে যে মাছ উৎপাদন হত তা বিক্রি করে কোনরকমে খরচের টাকা তুলতে পারতাম। তাই আমার ভাবনা ছিল পুকুরে অন্য কোন প্রজাতির মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায় কিনা। সেই ভাবনা থেকে মাত্র দশহাজার টাকা দিয়ে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করি। এ মাছ চাষে তেমন কোন খরচ নেই। এ পর্যন্ত আমি পনেরো হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। এখনও পুকুরে যে পরিমাণ মাছ আছে তা  ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা বিক্রি হবে। স্বল্প খরচে মাছ চাষ করে লাভবান হতে পেরে আমি খুব খুশি। আগামী দিনে ব্যাপক পরিসরে গলদা চিংড়ি চাষ করব।

আতারা //এপি

সীতাকুণ্ডে প্রথমবারের মত গঙ্গা পূজা অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি ,সীতাকুণ্ড 

সীতাকুণ্ডের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বহুল কাঙ্খিত শঙ্কর মঠ ও মিশনে শুক্রবার প্রতিষ্ঠা হয়েছে শ্রী শ্রী বিশ্বনাথ মন্দির।  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এ মন্দির উদ্বোধন করেন। শংকর মঠ ও মিশনের শতবর্ষ  উপলক্ষে ৮ দিনব্যাপী চলবে নানাবিধ ধর্মীয় ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান।গত রবিবার ৬ষ্ঠ দিনে সীতাকুণ্ডে প্রথমবারের মত ব্যাসকুণ্ডের পাড়ে সন্ধা ৬ টায় অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা পূজা। এসময় আগত সনাতন ধর্মাবলম্বী নর-নারীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা য়ায়।এই প্রথম ব্যাপক কলেবরে গঙ্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শতশত সনাতনী-হিন্দু নর-নারীর মিলন মেলা হয় এ পূজাকে ঘিরে। অনুষ্ঠানে ভক্তকুলের আরাধনায় মুখরিত হয় শংকর মঠ ও ব্যাসকুন্ডের পাড়।

আতারা //এপি

কালিয়াকৈরে সরকারি ঘর বিক্রি ও ভাড়া : টাকা কাউন্সিলর সাইফুলের পকেটে

প্রতিনিধি, কালিয়াকৈর

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রধানমন্ত্রীর  কার্যালয়ের বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের জন্য নির্মিত কয়েকটি ঘর বিক্রী ও ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নিয়মবহির্ভূত ভাবে তার নিজস্ব লোকদের নামে এসব ঘর বরাদ্দ নেওয়ায় প্রায় প্রতিটি ঘরই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে সরকারি  ঘরগুলো এখন মাদকসেবী, অপরাধীদের ও বন্য জীবজন্তুর আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।জানা গেছে, ২০১৬ সালে “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” শ্লোগানকে সামনে রেখে সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষে এ প্রকল্পের  আওতায় কালিয়াকৈর পৌরসভার ৪ নং ওর্য়াডে ১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যায় বাবদ ১লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম তার কর্মচারীসহ  নিজস্ব লোকের নামে জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে  সবগুলো ঘর অন্য লোকের জমি, রেলওয়ের জমি ও বনের জমিতে নির্মাণ করেন।   বরাদ্দকৃত ব্যক্তিদের মালিকানা জমিতে ঘর করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ঘর অন্যের জমিতে উঠানো হয়েছে। এসব ঘরগুলোর মধ্যে  নিজের জমি না থাকায় বক্তারপুর গ্রামের অসহায় ইয়াকুব আলীর ঘর  পার্শ্ববতী জানেরচালা গ্রামের সোলাইমানের বাড়ীতে নিয়ে  নির্মাণ করা হয়। কিছুদিন পরে কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম জমির মালিক সোলাইমানের নিকট  ইয়াকুবের ঘরটি বিক্রী করে দেয়। ওই টাকা দিয়ে ইয়াকুবকে বনের জমিতে একটি ঘর করে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেয়। দীর্ঘ ৫ বছরেও ওই ঘর বিক্রির টাকা কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম না দেওয়ায়  অসহায় ইয়াকুব আলী এখন গৃহহীন হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন পরিবার নিয়ে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাচলক্ষী এলাকায় দুটি ঘর রেলওয়ের জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে ।সেখানে এখন জীবজন্তু বাস করছে। কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম তার দোকানের কর্মচারী মিলন মিয়ার নামে ঘর বরাদ্দ নিয়ে সরকারি বনের জমিসহ নিজের জমিতে উঠিয়েছে। ওই ঘর ভাড়া দিয়ে কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম প্রতিমাসে ৭ শত টাকা ভাড়া আদায় করছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ১২টি ঘরের মধ্যে ২টি  ঘরের অস্তিত্ব  খুঁজে পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী জানান, ‘সাইফুল আমার  সরকারি ঘরডা বেইচা দিছে, ঘরের ট্যাহা ৫ বছরেও হাতে পাই নাই। দেহা অইলে সাইফুল অহন কতা কয় না। পোলা মাইয়া নিয়া অন্যের ঘরে কষ্ট কইরা থাকি।’ এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান জানান, ২১০টা ঘরের মধ্যে ৫/১০টা ঘর এদিক সেদিক হতে পারে এটা অস্বাভাবিক নয়। ঘরগুলো মানুষের বসবাসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে, বিক্রী ও ভাড়া দেওয়ার জন্য নয়।

 

আতারা //এপি

ফুলছড়িতে  মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণে সভা অনুষ্ঠিত  

আবু সায়েম 

কক্সবাজার  উত্তর  বন বিভাগের আওতাধীন  ফুলছড়ি  রেঞ্জের উদ্যোগে  এবং  উত্তর  বন বিভাগের  সহযোগিতায়  “হাতি করলে সংরক্ষণ রক্ষা হবে সবুজ বন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার  “মানুষ  – হাতি সংঘাত” নিরসন শীর্ষক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র এবং বনজসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত । জনসচেতনতামূলক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন কক্সবাজার উত্তর    বন বিভাগের  ( ডিএফও)  মো. আনোয়ার হোসেন সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা   মাজহারুল ইসলামের  শুভেচ্ছা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী বনসংরক্ষক  ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায় । সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামাবাদ  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর সিদ্দিকী  ।সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন রাজঘাট  বিটের বিট কর্মকর্তাসহ স্টাফগণ ।

সভায় ফুলছড়ি রেঞ্জের রাজঘাট বিটের দেড়শতাধিক নারী-পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বনবিভাগের ফরেস্টার হ্যাডম্যানসহ  ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। জনসচেতনতামূলক  সভায় বক্তারা “হাতি করলে সংরক্ষণ রক্ষা হবে সবুজ বন “এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে  মানুষ  হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্যপ্রাণী  সংরক্ষণে  এলাকাবাসীকে এগিয়ে  আসার  আহ্বান করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার উত্তর   বন বিভাগের  বিভাগীয় বন  কর্মকর্তা  মো. আনোয়ার হোসেন সরকার  বলেন,  বন্যপ্রাণী  ও বন্যহাতি সংরক্ষণ  আমাদের  নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্যপ্রাণী  হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্যহাতিদের  আঘাত করে   নিধন  করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব  ফেলবে। তিনি আরও বলেন,  সামাজিকভাবে  সচেতন হয়ে আমাদের  মানুষ  ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে  এসে বনসম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ  জানিয়ে বলেন,  তবু যেন হাতিকে আক্রমণ  করা না হয়। বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী ,  বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ  রয়েছেন। মানুষ  ও হাতির সংঘাত  নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা   এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে  অভিযান  পরিচালনা  করে  আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণ  করা  হবে।  সঠিক তথ্য দিয়ে  সহযোগিতা  করার অনুরোধও জানান  তিনি। সভাপতির বক্তব্যে  সহকারী বনসংরক্ষক ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায়  বলেন,  বন বিভাগ বন্যহাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  পালন  করছে। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাসহ স্থানীয় কোন ব্যক্তির ফসল নষ্ট করলেও ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সচেতন এবং ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি বনভূমি জবরদখলমুক্ত,  বন্যপ্রাণী, ও বন্যহাতিদের সংরক্ষণ   এবং বনজসম্পদ রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা  প্রদান করা হবে।জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

আতারা //এপি

ডিমলায় গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক 

প্রতিনিধি ,নীলফামারী

নীলফামারীর  ডিমলায়  র‌্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নওশাদ মেম্বারের গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।ধৃত আসামি মানিক ইসলাম (২৫) ।সে নাউতারা ইউনিয়নের নজমল হোসেনের ছেলে।এ সময় তার কাছ থেকে ১কেজি ৫০০গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত আলামতসহ উক্ত আসামির বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামিকে ডিমলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আতারা //এপি

কালকিনিতে জমি দখল করতে প্রতিপক্ষের স্কুল ও দোকানপাট ভাঙচুর

প্রতিনিধি,কালকিনি

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর বাজারে বিবাদমান জমি দখল করতে প্রতিপক্ষের দোকান ঘর ও একটি কেজিস্কুল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে অপরপক্ষ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে নিজেদের নিরাপত্তায় থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং ঘটনাস্থলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদলতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।গ্রামবাসী ও ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, সাহেবরামপুর বাজারের একটি জমি নিয়ে সাহেবরামপুর গ্রামের মরহুম ফজলুল হক সরদারের ছেলে আবু জাফর সালেক সরদারের সাথে একই গ্রামের মরহুম জিয়াউদ্দিন নোমান সরদারের ছেলে রাহাদ মাহমুদ সরদারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও আদালতে মামলা চলে আসছে। উক্ত জমিতে আবু জাফর সালেক সরদার স্থাপনা নির্মাণ করে একটি কেজিস্কুল ও দোকান পরিচালনা করছে। কিন্তু ১৪নভেম্বর সকালে রাহাত মাহমুদ ও তার ভাই রিয়াজ সরদার লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ আবু জাফর সালেক সরদারের নির্মাণ করা দোকানঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। উপায়ান্তর না দেখে ১৭নভেম্বর মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী আবু জাফর সালেক সরদার। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে উক্ত স্থানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, জমিতে প্রবেশ না করা এবং জমির আকার আকৃতির পরিবর্তন না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাতেও প্রভাবশালী রাহাত মাহমুদ না থামায় ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তার জন্য ২০নভেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ভাঙচুর ও হুমকী প্রদর্শনের অভিযোগের ব্যাপারে রাহাদ মাহমুদ সরদার বলেন ‘  জমির দ্বন্দ্বের জেরে ২০০৭সালে মামলা দায়ের করলে ২০১৭সালে আমরা রায় পাই। কিন্তু প্রতিপক্ষ আবু জাফর সালেক তাতে আপিল করে। জমিতে আমরাই ভোগ দখলে আছি।এব্যাপারে কালকিনি থানার এ.এস.আই মো. জাকির হোসেন বলেন,আদালতের নির্দেশ মতে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সর্বদা সোচ্চার আছি।

আতারা //এপি

সড়কে প্রাণ গেল আলীম পরীক্ষার্থীর

প্রতিনিধি,মেহেরেপুর

মে‌হেরপু‌র শহ‌রের শিল্পকলা একাডেমী মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আলমগীর হো‌সেন (২১) না‌মের এক ‌আলিম পরীক্ষার্থী নিহত হ‌য়ে‌ছেন।সোমবার সকাল সা‌ড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আলমগীর হো‌সেন গাংনী উপ‌জেলার গাড়াবা‌ড়ীয়া হাটপাড়ার তে‌ফিক এলা‌হির ছে‌লে।তিনি মে‌হেরপুর দারুল উলুম আহম‌দিয়া মাদ্রাসা থে‌কে আসন্ন ‌আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।নিহতের বন্ধু রাকিবুল ইসলাম জানান, তারা মেহেরপুর শহরের কোর্ট মোড় থেকে মোটরসাইকেল যোগে হোটেল বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শিল্পকলা মোড়ে সপ্রিড ব্রেকারের সামনে একটি ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে আলমগীর হোসেন মাথায় আঘাত পান। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলাল হোসেন তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ।তিনি জানান, মাথায় আঘাত লাগায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

আতারা //এপি

ঘিওরে তেরশ্রী গণহত্যা দিবস পালিত

প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ 

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় তেরশ্রী গণহত্যা দিবস পালিত। সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, নিরাবতা পালন, আলোচনা সভা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হয়। দিবসটি  উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন,  মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর পূর্ব আকাশে ভোরের সূর্য উঠার সাথে সাথে ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের তেরশ্রী গ্রামে শুরু হয় পাক বাহিনী কর্তৃক জঘন্যতম নারকীয় হত্যাকাণ্ড। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে , আগুনে পুড়িয়ে তেরশ্রীর জমিদার সিদ্ধেশ্বর প্রসাদ রায় চৌধুরী, তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানসহ ৪৩ জনকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী।পুড়িয়ে দেয় গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি, স্কুল কলেজ ও গ্রামীন স্থাপনা। এরপর ২০১২সালে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করলেও শহীদদের ইতিহাস জানার জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের দাবি গণপাঠাগার স্থাপনের।

আতারা //এপি

থেতরাই ইউনিয়নকে প্রাথমিক পর্যায়ে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা 

প্রতিনিধি , উলিপুর 

কুুুড়িগ্রামের উলিপুরে ১ নং থেতরাই ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস (বিবিএফজি) প্রকল্পের সহযোগিতায় এবং থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আইয়ুুব আলী সরকার। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে ধরে রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। আমার এবং সাধারণ জনগণের প্রচেষ্টায় থেতরাই ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সম্ভব হয়েছে।

অনুুুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উলিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুুুক্তিযোদ্ধা জনাব মো. গোলাম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব বিপুল কুমার, জনাব ইমতিয়াজ কবির; ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উলিপুর থানা, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান জনাব আবু সাঈদ সরকার, থেতরাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জনাব আব্দুল জলিল শেখ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থেতরাই বি এল উচ্চ বিদ্যালয়, খামার দাখিল মাদ্রাসা, থেতরাই দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপারেন্ডেন্ট, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ,প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর জুলিয়া খানম জ্যোতি, নুর ইসলাম, আমিনুর রহমান, মাইদুল ইসলাম, পারুল রায়, মনিরা পারভীন, জীবন চন্দ্র, নূরজাহান বেগম চম্পা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন। এসময় বক্তারা বাল্য বিবাহের বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে ১নং থেতরাই ইউনিয়নকে প্রাথমিক পর্যায়ে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করেন।

আতারা //এপি