আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1538

পাকিস্তানে রাসায়নিক প্রয়োগে পুরুষত্বহীন করা হবে ধর্ষকদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানে বেড়েই চলছে ধর্ষণের ঘটনা।দেশটিতে এমন ঘৃণ্য অপরাধ দমাতে এবারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পাক সরকার।দেশটির চিহ্নিত বা দাগি ধর্ষকদের রাসায়নিকের মাধ্যমে পুরুষত্বহীন করে দেয়া হবে বলে পাক পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ নভেম্বর) এ আইন পাশ করা হয়।

পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন’এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জারিকৃত বিধি অনুসারে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির ওপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। এতে তাকে স্থায়ীভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম করে দেয়া হবে। সোজা কথায় বলতে গেলে, চিহ্নিত ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধা এবং একই সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অপারগ করে দেয়া হবে রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে।

 

আতারা //এপি

এবার বুটেক্সেও প্রথম মাদরাসাছাত্র

আলোকিত ডেস্ক

প্রকাশ হয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ।আজ  শুক্রবার  বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংশোধিত এই ফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত এই ফলে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ছাত্র সাদ ইবনে আহমাদ। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১০৭০৩২। সংশোধিত ফলাফলে প্রথম হওয়ায় সাদ তার ফেসবুকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্। বুটেক্সের রেজাল্ট স্থগিতের পরে অনেকেই সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।কিন্তু আমি নিরাশ হইনি। জানি মালিক আমার জন্য আরও ভালো কিছু রেখেছেন। সেটা আমি এখন বুঝি। আল্লাহর রহমতে সংশোধিত রেজাল্টে বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি। যারা সাপোর্ট দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন ও দোয়া করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সামনের বুয়েট পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন।

আতারা // এপি

সেই মিরপুর মাঠে দুপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগারদল

আবু তালহা রায়হান

বিশ্বকাপের ব্যর্থতা কাটিয়ে আবারও জাগতে চায় টাইগারদল।ছন্দহীনরা ফিরতে চায় নতুন ছন্দে।হতাশার গ্লানি শেষে করতে চায় নতুন কিছু।সেই আশা নিয়ে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ (শুক্রবার)  মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে খেলাটি শুরু হবে দুপুর দুইটায়।বিশ্বকাপের  পারফর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে বাবর আজম বাহিনী এগিয়ে থাকলেও মিরপুরের সেই পরিচিতি মাঠ যেন টাইগারদের হয়েই কথা বলছে।বিশ্বকাপের আগে এ মাঠেই টানা দুইসিরিজ জিতেছিল রিয়াদ বাহিনী।সে হিসেবে এবারও ভাল কিছু আশা করা যায় তাদের নিয়ে।

একই ভেন্যুতেই ২০ ও ২২ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে । পরে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৬ নভেম্বর শুরু প্রথম টেস্ট। আর ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট হবে মিরপুরে।

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো নবীজির আদর্শ

মুহাম্মাদ শামীম কায়সার

ঋতুর পালাবদল প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম।সেই নিয়মের ডানায় ভর করে পৃথিবীতে আসে হাড়কাঁপানো শীত।শীতে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষের চিত্র বদলে যায়।রূপ নেয় নতুন এক ছবির। সকালে কুয়াশার চাদর মোড়ানো,দুপুরে রোদ্দুরের ঝলকানি,বিকেলে আবছা ছায়ায় ঢেকে যাওয়া দিগন্ত।সমাজের ধনাঢ্য ও বিত্তবান ব্যাক্তিদের জন্য শীত একটি উৎসবমুখর ঋতু।শীতে বিত্তবানদের ঘরে খুশি নামে ঝেঁপে।শীত তাই বরিষ্ণু হয় বিত্তশালীদের ঘরে পরম সাদরে।নানানভাবে তারা শীতকে উপভোগ করে।হরেকরকম পিঠের উৎসব আর নানান পোশাকে শীতকে তুমুল উপভোগ্য করে তোলে। আবার ছিন্নমূল ও বস্তুহারা মানুষের জন্য শীত একটি দুর্যোগের নাম।শীতে তাদের জীবনে নেমে আসে পরম দুর্ভোগ।দুঃখ, দুর্দশা ও হতাশাব্যঞ্জনার গ্লানি।অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের নানান অসুখ- বিসুখের মধ্য দিয়ে কাটাতে হয় এই ভয়ধরানো শীতের ঋতু।এখন চলছে শীতকাল।ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রকোপে নিদারুণ কষ্ট ও দুঃসহ অবস্থায় পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লাখ লাখ দুঃস্থ, নিঃস্ব, ছিন্নমূল, গরিব, দুঃখী, বস্ত্রহীন, শিশু, বৃদ্ধ । কনকনে শীতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় শিশু,বৃদ্ধ ও নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে।বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ।নিউমোনিয়া, কোল্ডডায়রিয়ার মতো ভয়ানক রোগের ছোবলে পড়ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।ফলে ছিন্নমূল মানুষের অর্থসংকট ও অসহায়ত্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে ইসলাম আমাদের শেখায় মানবিক হতে।মানবতার হাত বাড়াতে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তাদের শীতবস্ত্র ব্যবস্থা করে শুকনো ঠোঁটে হাসি ফোটাতে।

তাই সমাজের সংগতিসম্পন্ন ও সচ্ছল মানুষদের উচিৎ এই মুহূর্তে ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করা।কনকনে শীতে ঠকঠক করে কাঁপা মানুষের গায়ে শীতবস্ত্র জড়িয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানো শুধু সামাজিক দায়িত্বই নয় এটা মুসলিমের ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে—”পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোতে কোনো পুণ্য নেই, কিন্তু পুণ্য আছে কেউ আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, সব কিতাব ও নবীর প্রতি ইমান আনয়ন করলে এবং আল্লাহ-প্রেমে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থীদের ও দাস মুক্তির জন্য অর্থ দান করলে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করলে, জাকাত দিলে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে; অর্থসংকটে, দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। এরাই তারা, যারা সত্যপরায়ণ এবং তারাই মুত্তাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭৭)।

নবী করীম (সা.) অসহায় মানুষকে সাহায্যের কথা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব একটি মুসিবত দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার মুসিবতগুলো দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষকে সচ্ছল করে দেবে, আল্লাহ তাকে ইহকাল ও পরকালে সচ্ছল করে দেবেন এবং আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করবেন, যদি বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে।’ (সহীহ মুসলিম)।অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে যুবকদের নিয়ে রাসূল (সা.) নির্মাণ করেছিলেন হিলফুল ফুজুল (দাতব্য সংস্থা) সংগঠন। অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো প্রিয় নবীর শিক্ষা ও আদর্শ।আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক (রহ.) এর কয়েকটি ঘটনা স্পষ্ট করে দেয়,অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো কতবড় পুণ্যময় ইবাদাত।

ঘটনা
একদা আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক (রহ.) হজের উদ্দেশ্যে রওনা করলেন।তাঁর সাথে একটা পাখি ছিলো।পাখিটা মারা যায়।আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক (র.) তাঁর ওকিলকে বললেন, মৃত পাখিটা ডাস্টবিনে ফেলে দাও।পাখিটা ফেলা মাত্রই ডাস্টবিনের পাশে একটা ডোরা থেকে একটি মেয়ে এসে পাখিটি কুঁড়িয়ে নেয়।এবং খুবই খুশিমনে পাখিটি নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে যায়।আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক রহ. তাকে অনুকরণ করে মেয়টির ডোরাতে প্রবেশ করেন।
— মৃত পাখিটা তুমি আনলে কেন?
— আমি এবং আমার ভাই এইখানে থাকি।আমাদের একটি লুঙ্গি ব্যতীত কোন পোশাক নেই।আমাদের খাদ্য সামগ্রী নেই।তা জোগাড় করার মতো সামর্থও নেই।তাই বেশ কিছুদিন যাবৎ ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট খেয়েই জীবন চালাচ্ছি।আমাদের পিতা ছিলেন একজন বিত্তবান ব্যক্তি।তাঁকে জুলুম অত্যচার করে সব ছিনিয়ে নিয়েছে।ছিনিয়ে নিয়েছে আমাদের পিতার প্রাণও।
—মা, তুমি এই মৃত পাখিটি ফেলে দাও।এই কথা বলে তিনি তাঁর এসিস্ট্যান্টকে বললেন, আমাদের হজ খরচ কেমন আছে?
— এক হাজার দিনার।
মারো (একটি জায়গার নাম ) পর্যন্ত পৌঁছার খরচ রেখে মেয়েটাকে সব দিয়ে দাও।আর জেনে রাখো এই সাহায্যই আমাদের এই বছরের হজ।এবং এই সাহায্য এই বছরের হজের চাইতেও পুণ্যময়।

ঘটনা
আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক তিনি যখনই সীমান্ত হয়ে রাক্কায় (একটি স্থানের নাম) আসতেন তিনি একটি সরাইখানাতে প্রায়ই উঠতেন,সারাইখানাগুলো ছিলো তখনকার সময়ের হোটেল।একজন যুবক এসে আবদুল্লাহ ইবনে মোবারককে সেবা যত্ন করতেন।তাঁর প্রয়োজন মিটিয়ে দিতেন।এবং তাঁর কাছ থেকে হাদিস শুনতেন।

একবার তিনি হোটেলে এসে যুবকটিকে পাননি। খোঁজ করে জানতে পারেন সে ঋণের কারণে বন্দী।আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক( রহ.) খোঁজ লাগিয়ে ঐ যুবকের পাওনাদারকে রাতে তার কাছে ডেকে বললেন, “আমি তাঁর সব ঋণ শোধ করে দিলাম।তুমি তাকে মুক্তি দিয়ে দাও।আর তুমি শপথ করে বলো যে,এই ঘটনা যুবককে আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জানাবে না।”

ঘটনা
একজন ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মোবারকের কাছে এসে বলল,
“আমি অভাবী। আমার ঋণ আদায় করতে পারছি না।আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক তার ম্যানেজারের কাছে পত্র পাঠিয়ে পরিশোধ করে দিতে বললেন।ম্যানেজার ঋণগ্রস্ততল ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন—
— তোমার ঋণ কতো?
— সাতশত দিরহাম।

ম্যানেজার আবদুল্লাহ ইবনে মোবারকের কাছে পত্র পাঠালেন। অভাবী লোকটির প্রয়োজন সাতশত দিরহাম,আপনি সাতহাজার লিখেছেন।সঞ্চয় প্রায় শেষ, অল্পকিছু বাকি থাকবে।আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক চিঠির উত্তর করলেন।জীবনের সময়ও তো প্রায় শেষ।যা লিখে দিয়েছি তাকে তাই দিয়ে দাও।(সিলসিলাতু আ’লামিত তারিখ)।

হাড়কাঁপানো শীতে শৈত্যপ্রবাহ ও শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের প্রয়োজন সতর্ক থাকা।প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা ও জরুরী ওষুধাদি সরবরাহ করা। সরকারি- বেসরকারি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা। তাছাড়া আমাদের অতিরিক্ত সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল ইত্যাদি শীতবস্ত্র দান করার মাধ্যমেও আমরা শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারি।

এই প্রসঙ্গে রাসূল( সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তির অতিরিক্ত বাহনজন্তু বা বাহনের খালি জায়গা আছে সে যেন বাহনহীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। কোনো ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত পাথেয় থাকে তাহলে সে যেন পাথেয়হীন ব্যক্তিকে তা দিয়ে সাহায্য করে। বর্ণনাকারী বলেন, নবীজী এভাবে আরো অনেক ধরনের সম্পদের কথা বললেন। তাতে আমাদের মনে হতে লাগল যে প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদে আমাদের কোনো অধিকার নেই।” — (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭২৮)।

সমাজের ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অঢেল বিত্ত-বৈভবের প্রয়োজন নেই।আমরা মধ্যবিত্তরাও চাইলে সম্প্রসারিত করতে পারি সাহায্যের হাত।উপার্জিত অর্থের সামান্য অংশ যদি বরাদ্দ করে রাখি, হতদরিদ্রদের শীতবস্ত্রের জন্য তাহলেই দেখাতে পারি মমত্ব ও ভালোবাসা। ফলে মানুষে মানুষে তৈরী হবে মানবতার সেতুবন্ধন।লাঘব হবে শীতকষ্ট।হ্রাস পাবে শীতজনিত রোগের পরিমাণও।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।আমীন!

লেখক : শিক্ষার্থী,জামিয়াতুল উস্তায শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ.

 

আতারা // এপি

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়ার দাবিতে শিবালয়ে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, শিবালয়

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকৃত গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া আদায়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মানিকগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এ মানবন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।শাখা সভাপতি এমআর. লিটনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মদের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে ছাত্রইউনিয়ন নেতা রাহুল সরকার, রুমা আক্তার, সৈয়দা সারমিন আক্তার সম্পা প্রমুখ বক্তব্য পেশ করেন।ছাত্র ইউনিয়ন মানিকগঞ্জ জেলা নেতা-কর্মীরা ঢাকা-আরিচামহাসড়কে চলাচলকৃত পণপরিবহনে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ-ভাড়া আদায়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিবহন মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীদের এমন যৌক্তিক দাবি পূরণে কালক্ষেপণ করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

 

আতারা // এপি

জোয়ারিয়ানালায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সভা অনুষ্ঠিত

আবু সায়েম 

কক্সবাজার  উত্তর   বন বিভাগের আওতাধীন রামু  উপজেলার  জোয়ারিয়ানালা   রেঞ্জের উদ্যোগে  কক্সবাজার  উত্তর  বন বিভাগের  সহযোগিতায়  বৃহস্পতিবার “মানুষ  – হাতি সংঘাত” নিরসন  শীর্ষক ও  বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র এবং বনসম্পদ রক্ষাকল্পে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত । জনসচেতনতামূলক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন কক্সবাজার উত্তর     বন বিভাগের  ( ডিএফও)  মো. আনোয়ার হোসেন সরকার। জোয়ারিয়ানালার  রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটুর শুভেচ্ছা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী বনসংরক্ষক  ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায় এবং উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল সামসুদ্দীন প্রিন্স ।সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন ব্যাংডোবা বিটের বিট কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

সভায় জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের ব্যাংডোবা বিটের দেড় শতাধিক নারী পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বন বিভাগের ফরেস্টারসহ  ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। জনসচেতনতামূলক  সভায় বক্তারা মানুষ  হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্য প্রাণী  সংরক্ষণে  এলাকাবাসীকে এগিয়ে  আসার  আহ্বান করেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার উত্তর   বন বিভাগের  বিভাগীয় বন  কর্মকর্তা  মো. আনোয়ার হোসেন সরকার  বলেন,  বন্যপ্রাণী  ও বন্যহাতি সংরক্ষণ  আমাদের  নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্যপ্রাণী  হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্যহাতিদের  আঘাত করে   নিধন  করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব  ফেলবে। তিনি আরো বলেন,  সামাজিকভাবে  সচেতন হয়ে আমাদের  মানুষ  ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে  এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ  জানান,  তবুও যেন হাতিকে আক্রমণ  করা না হয়।তিনি বলেন,  বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী ,  বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ  রয়েছেন। মানুষ  ও হাতির সংঘাত  নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা   এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে  অভিযান  পরিচালনা  করে  আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণ  করা  হবে।  সঠিক তথ্য দিয়ে  সহযোগিতা  করার অনুরোধও জানান  তিনি। সভাপতির বক্তব্যে  সহকারী বনসংরক্ষক ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায়  বলেন,  বন বিভাগ বন্যহাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  পালন  করছে। বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাসহ স্থানীয় কোন ব্যক্তির ফসল নষ্ট করলেও ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীকে সচেতন এবং ধৈর্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি বনভূমি জবরদখলমুক্ত,  বন্যপ্রাণী, ও বন্যহাতিদের সংরক্ষণ   এবং বনজসম্পদ রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা  প্রদান করা হবে।জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

আতারা // এপি

এবার সমকামী বিয়ের অনুমতি দিল সুইজারল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগামী ১ জুলাই ২০২২ থেকে সুইজারল্যান্ডের সমকামী দম্পতিরা আইনগতভাবে বিয়ে করতে পারবেন। দেশটির সরকার সমকামী দম্পতিদের বিয়েকে ১ জানুয়ারি থেকে বেসামরিক অংশীদারত্ব হিসেবে বিবেচনা করার পরিবর্তে স্বীকৃতি দেবে। পশ্চিম ইউরোপের একমাত্র দেশ সুইজারল্যান্ড ; যেখানে সমকামী বিয়েকে সমর্থন করা হত না। সেপ্টেম্বরে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সুইস ভোটার সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেয়ার পর এ সিদ্ধান্ত এলো।আইনটি সমকামী দম্পতিদের আইনত সন্তান দত্তক নেয়ার অনুমতি দিয়েছে এবং একইসাথে লেসবিয়ান দম্পতিদের শুক্রাণু দানের মাধ্যমে সন্তান ধারণের অনুমতি দিয়েছে। সেই সাথে একজন বিদেশি পত্নীকে সুইস নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে যখন সে সমলিঙ্গের সুইস কোনো বাসিন্দাকে বিয়ে করে।

আতারা

৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ : গ্রেফতার ১

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে রিশাদ মিয়া (৩০ ) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রিশাদ জেলার সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বেলতা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছিল। পেশায় ট্রাক্টর চালক। জানা যায়, অভিযুক্ত রিশাদ মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বেলতা এলাকায় বাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছিল। হঠাৎ করে গত ১৪ নভেম্বর রিশাদ ওই এলাকার ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পরিবার টাঙ্গাইল সদর থানা ও র‌্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়। এরপর র‌্যাব বিষয়টি নিয়ে অভিযানে নামে। ওই কিশোরীকে নিয়ে বারবার স্থান ত্যাগ করায় বেকায়দায় পড়ে র‌্যাব। পরে বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসা থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় রাতেই রিশাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে রিশাদকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত রিশাদকে গ্রেফতার করা হয়। রিশাদ ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এঘটনায় আরও ৩-৪জন তাকে সহযোগিতা করে। তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফকারকৃত রিশাদকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আতারা // এপি

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রলীগের হুঁশিয়ারি

প্রতিনিধি,টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। সমাবেশটি জননেতা আব্দুল মান্নান হল থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে  প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, গতকাল গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর  আক্রমণ চালানো হয়। এতে ৭ জন শিক্ষার্থী ও ১ জন ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মীকে বাঁচাতে  বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে যোগাযোগ করার পরও প্রায় ৪০ মিনিট পরে অ্যাম্বুলেন্স আসে। ফলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তারা আরও অভিযোগ করেন -বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার নিজ কক্ষে বসে থাকলেও তিনি ছাত্রদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। কোন শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর রাখেননি।  তিনি প্রক্টর হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাকে পদত্যাগ করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল, ছাত্রলীগ নেতা মানিল শীল ও নাজিম রুপক বলেন – মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সাহেবের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ মাজারস্থলে ফুল দিতে আসেন। সে সময় ভিপি নূররা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে কুরুচিপূর্ণ ও দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করে। নুরু বাহিনী আমাদের কয়েকজনকে আহত করে।তাই প্রক্টরের  পদত্যাগ দাবি করেছি। তা না করলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ৭২ ঘণ্টা পরে কঠোর আন্দোলনে নামবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মীর মোজাম্মেল হক বলেন, “ছাত্রলীগের এ প্রতিবাদের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’’

 

আতারা // এপি

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ৬ দালাল আটক

প্রতিনিধি, মেহেরপুর

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল গেটে থেকে ৬ দালালকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। মেহেরপুর ডিবি ওসি জুলফিকার আলীর নেতৃতে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে। আটক কৃতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, মেহেরপুর শহরের চক্র পাড়ার মারুফ হোসেনের ছেলে সানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আব্দুস শহীদ, বন্দর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মোনায়েম, মেহেরপুরের দিঘীরপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে সেলিম এবং একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সজীব  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেনে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম।তিনি জানান, জানান মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সকল ধরনের চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকলেও এসমস্ত দালালরা রোগীদের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে তাদের নিজ নিজ ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ কারণে দণ্ডবিধির ২৯১ ধারায় আব্দুল্লাহ ৫শত, সানোয়ার হোসেন ২হাজার, আব্দুস শহীদ ২ হাজার, মোনায়েমের ২ হাজার, সেলিম ২ হাজারসহ  সজীবের নিকট থেকে ২হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আতারা // এপি