আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1541

মধুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

প্রতিনিধি,মধুপুর

টাঙ্গাইলের মধুপুরে রাস্তার উপর নির্মাণসামগ্রী রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে একজনকে দুইহাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুরে উপজেলার সেগুনবাগান এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাজির নাজমুল হোসেন জানান, আদালত পাড়ার সেগুনবাগান এলাকার জহিরুল ইসলাম রাস্তার উপর নির্মাণসামগ্রী রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। স্থানীয়রা বলার পরও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। বুধবার দুপুরে ইউএনও শামীমা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জহিরুল ইসলামকে দুইহাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা দূর করার নির্দেশ দেন।

আতারা // এপি

কাদরা ইউপি সচিবকে আটকে বিক্ষোভ

একেএম ফারুক হোসাইন 
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. গাউছুল আবরার উদ্দিন জন্ম নিবন্ধনের নাম করে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েও নিবন্ধন না করে কালক্ষেপণ করায় বুধবার তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে স্থানীয় জনগণ। স্থানীয় জনগণের ভাষ্যে জানা যায়,জন্ম নিবন্ধনের জন্য গত ৬ মাস আগে আবেদন করেন এ ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে।সরকারি ফি নিবন্ধন বাবত ৫০ টাকা হলেও সচিব গাউছুল আবরার প্রতি আবেদনে ৩০০টাকা হারে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেন।প্রবাসীদের বেলায় এ অর্থ একহাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্তও দাঁড়ায়। ভুক্তভোগী সেনবাগ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র শরীফ আহমেদ বলেন,আমার বাবা,মা ও আমার জন্ম নিবন্ধনের জন্য গত তিনমাস আগে ৩ টি আবেদন ও ১ হাজার টাকা দিয়ে যাই।আজ দেবে, কাল দেবে বলে সময় ক্ষেপণ করে যাচ্ছে। এদিকে আমার কলেজের ভর্তি সংক্রান্ত কাজে আমি আটকে আছি।কবে মুক্তি পাবো সেটা জানা নেই।আরেক ভুক্তভোগী রিক্তা ঘোষ জানান, গত মার্চে আমার মেয়ের জন্য আবেদন করি। গত ৮ মাসে অন্তত ষোলবার ইউনিয়ন পরিষদে আনিয়েছে সচিব আবরার।তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘুস নিয়েও হয়রানি থেকে রেহাই মেলেনি। এমন অসংখ্য ভুক্তভোগী এখন প্রতিদিন পরিষদে ঘুরেফিরে আসছে।বর্তমান ইউপি সদস্য ইমাম হোসেন  বলেন, পুরো ইউনিয়নের অন্তত দশ থেকে পনেরো হাজার মানুষ থেকে জন্ম নিবন্ধন থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক সচিব গাউছুল আবরার উদ্দিন।এ বিষয়ে কাদরা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পলাশ বলেন,সচিবের এ ধরনের অনৈতিক অর্থ হাতিয়ে নেয়া এবং জন হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও সেনবাগ ইউএনওকে জানিয়েছি।এবিষয়ে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ মোরশেদ আলমকে বিষয়টি জানালে তিনি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খানকে বিষয়টি উল্লেখ করে এসএমএস করেন।জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক আবু ইউসুফ বলেন,বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।তদন্ত করছেন সেনবাগ উপজেলা ইউএনও। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,তদন্ত শেষ।আমি এ প্রতিবেদন আজই পাঠিয়ে দেবো।আর একদিনও দেরি করার ইচ্ছে নাই।উল্লেখ্য, জনগণের বিক্ষোভের খবর পৌঁছানোর পর ক্ষুব্ধ ইউএনও এমন মন্তব্য করেন। এ প্রতিবেদক গাউসুল  আবরারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সৈয়দপুরে যৌতুকের বলি  গৃহবধূ মুক্তা, স্বামী ও শাশুড়ি আটক

প্রতিনিধি,নীলফামারী

সৈয়দপুরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে এবং স্বামী তহিদুল ইসলাম (২৮) ও শাশুড়ি তহুরা বেগমকে (৪৮) আটক করেছে। তারা উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাড়াইশালপাড়া আদর্শ গুচ্ছ গ্রামের আফজালের ছেলে ও স্ত্রী।নিহত গৃহবধূর নাম মুক্তা বেগম (২৫)। সে একই উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত উত্তরপাড়ার মোস্তফার মেয়ে।

নিহত মুক্তা বেগমের মা মোরশেদা জানায়, ৯ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পর থেকেই জামাই ও তার বাবা মা যৌতুক দাবি করে আসছে। ইতোমধ্যে অনেক টাকা দেয়া হয়েছে। একটি ছেলেও হয়েছে। তবুও তারা আরও যৌতুক দাবি করছে। অতিরিক্ত দাবীকৃত যৌতুক না দেয়ায় এ নিয়ে প্রায়ই তারা আমার মেয়েকে পারিবারিকভাবে নানা অত্যাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে মুক্তা বেগমকে বেদম মারপিট করে এক পর্যায়ে বসার পিড়া দিয়ে বুকে ও পিঠে আঘাত করলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।এতে অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের লোকজন প্রথমে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের চালের কাঠের বাতার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে চিৎকার করে প্রচার করে যে মুক্তা আত্মহত্যা করেছে। পরে প্রতিবেশীদের  সহযোগিতায়  তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে  দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে মুক্তার মা বাবা ছুটে যায়। এসময় তারা মৃত মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

থানায় উপস্থিত গৃহবধূর ছেলে মোমিন (৫) নানির কোলে বসে পুলিশকে জানায়, আমার মাকে বাবা পিড়া দিয়ে মারছে আর গলায় ওড়না দিয়ে বাঁধছে। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও মারছে। এসময় সে তার পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখায়। ১১ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সাথে হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করে। শ্বশুর দেবর ও খালা শ্বাশুড়ী পলাতক রয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাছাড়া নিহতের একমাত্র সন্তান বলেছে তার মাকে পিড়া দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

আতারা // এপি

৫ ফল শীতে আপনাকে সুস্থ রাখবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

শীতকালে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ সময়টিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস পায়।ফলে শীতে বেশি করে টকজাতীয় ফল খেতে হবে।কারণ ভিটামিন সি, ফাইবারসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের জোগান দিতে এসব ফল সহায়তা করে।এ ধরনের ফলে বেশি মাত্রায় ভিটামিন সি থাকে। আর ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শীতে কোন ফলগুলো বেশি করে খাবেন-

>> সারা বছরই এখন পেয়ারার দেখা পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত খেতে পারেন পেয়ারা। এতে ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্স থাকে। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি চোখের জন্যেও উপকারী পেয়ারা।

> বরইতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। যা হজমের জন্য খুবই ভালো। শীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান পেতে বরই খান।

> কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।কমলালেবু সর্দি-কাশি সারায় ও হজম শক্তি বাড়ায়।এতে বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়ামও থাকে। তাই শীতে বেশি করে কমলালেবু খান।

> কমলালেবুর চেয়েও বেশি মাত্রায় ভিটামিন সি থাকে ছোট্ট আমলকিতে। এই ফল দাঁত, চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো। রক্তাল্পতা দূর করতেও আমলকি উপকারী।

 

আতারা

ভাঙ্গুড়ায় জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুন

প্রতিনিধি, ভাঙ্গুড়া  

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে  গিয়ে বৃদ্ধা শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একমাত্র মেয়ে জামাই রবিউল করিমের বিরুদ্ধে । উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।নিহত  বৃদ্ধা আইরুন খাতুন (৬০) উপজেলার একই ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের মা। এদিকে বুধবার  এঘটনার সাথে জড়িত  সন্দেহে পুলিশ  রেবেকা খাতুন (৩২) নামের একজনকে আটক করেছে।

নিহতের ছেলে আবু শামা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকালে রবিউল তার মা আইরুনকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে খবর আসে তার মা খুব অসুস্থ। তাকে তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার মাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। পরে তারা আহতাবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে এসে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি  করেন। পরে রাত দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের ছেলে আবু শামা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা হাসপাতাল মর্গে পাঠোনো হয়েছে।

আতারা // এপি

হোয়াটসঅ্যাপে আপনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিনা  বুঝবেন যেভাবে

প্রযুক্তি ডেস্ক

হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করা এবং উপেক্ষা করার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন, কারণ গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি জানা কঠিন করে তুলেছে। কিন্তু আপনাকে WhatsApp-এ ব্লক করা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য কিছু স্মার্ট এবং লুকানো সূচক রয়েছে ।ব্যবহারকারীদের অবশ্যই প্রথমে একটি কথোপকথন খুলতে হবে এবং কথোপকথনের উইন্ডোর শীর্ষে, তার নামের নীচে একটি বার্তা থাকতে হবে: “আজ বিকাল ৩টায় শেষ দেখা গেছে”  যদি এই বার্তাটি দৃশ্যমান না হয় তবে আপনাকে  ব্লক করা হয়েছে বুঝতে হবে।এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে, হোয়াটসঅ্যাপে ইচ্ছাকৃতভাবে শেষ দেখা স্ট্যাটাস ব্লক করার একটি সেটিং রয়েছে, যার মানে এটি নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।

হোয়াটসঅ্যাপে নীল টিক চেক করুন

ব্লু টিক হল একটি বার্তা পাওয়া এবং পড়া হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করার  উপায়। এটি নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট প্রমাণও হতে পারে।একটি ধূসর টিক মানে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে, দুটি ধূসর টিক মানে বার্তাটি গৃহীত হয়েছে এবং একটি নীল টিক মানে বার্তাটি পড়া হয়েছে।হোয়াটসঅ্যাপে নিষিদ্ধ করা ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র একটি ধূসর টিক দেখতে পাবেন।কারণ মেসেজ পাঠানো হলেও, হোয়াটসঅ্যাপ এটি পরিচিতির কাছে পৌঁছে দেবে না।

হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে কোনও পরিবর্তন নেই

যদি কেউ আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করে, তাহলে আপনার ফোনে ব্যবহারকারীর প্রোফাইল আপডেট করা হবে না; এর মানে হল  কোনও প্রোফাইল পিকচার আপডেট দৃশ্যমান হবে না।তবে অনেকে আবার ইচ্ছে করেই  প্রোফাইলে ছবি রাখেন না। তাই সবক্ষেত্রে ভাববেন না যে, আপনাকে ব্লক করা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ করুন

আপনার পরিচিতি তালিকায় ব্যবহারকারীকে খুঁজে বের করে এবং ভয়েসের মাধ্যমে তাদের কল করার চেষ্টা করতে শুরু করুন।যদি কল করা হয়, তাহলে এর মানে হল যে আপনি অবরুদ্ধ নন, কিন্তু যদি সংযোগটি করা না হয়, তাহলে এর মানে হল যে ব্যবহারকারীর কাছে Wi-Fi বা পর্যাপ্ত মোবাইল ডেটা নেই যা কলটি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, অথবা আপনি ইতোমধ্যেই অবরুদ্ধ।যাইহোক, এইগুলি শুধুমাত্র পরিস্থিতিগত প্রমাণ, যার মানে হল আপনার সন্দেহ নিশ্চিত করার জন্য একটি শেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন।

 

গ্রুপ পরীক্ষা

একটি নতুন চ্যাট তৈরি করুন এবং এতে দুই বন্ধু যোগ করুন। আপনি যদি তাদের গ্রুপে যুক্ত করতে পারেন তাহলে আপনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি। আর যদি আপনি  একটি ত্রুটি বার্তা পান যে, আপনার কাছে সেগুলি যুক্ত করার অনুমতি নেই, তাহলে আপনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷

সূত্র: আল জাজিরা

আতারা

মেয়েদের পড়ালেখার ওপর জোর দিতে হবে : তা লে বা ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালেবান সরকারের দাওয়াহের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ খালিদ হানাফী সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ দিয়ে বলেছেন,  ইসলামে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার অনুমতি রয়েছে।মেয়েদের পড়ালেখার ওপর জোর দিতে হবে। আফগানিস্তানের ইসলামী আমিরাত মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে।বালখ প্রদেশের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত  এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। দাওয়াহের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ খালিদ হানাফি বলেন: “ইসলাম কখনো শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়।  ইসলামী আমিরাত একটি কাঠামো তৈরি করতে চায় যেখানে ছেলে এবং মেয়েরা আলাদা জায়গায় পড়াশোনা করতে পারে এবং শেখার পরিবেশ তৈরি করতে পারে। এসময় বৈঠকে বক্তারা ইসলামিক আমিরাতের সমস্যা মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সমালোচনাও করেন।

আতারা

মুন্সীগঞ্জে  আলু আবাদের জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা

আহসানুল ইসলাম আমিন

ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জ। আলু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এই জেলা। আলু উৎপাদনের রাজধানী হিসেবে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে মুন্সীগঞ্জের। দেশের মোট আলু উৎপাদনের সিংহভাগ আবাদ হয় মুন্সীগঞ্জে। কয়েকদিন পরেই আলু রোপণের পুরো মৌসুম চলে আসবে। এরই প্রস্ততি হিসেবে জেলার ছয় উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সকাল-সন্ধ্যা কাজ করছেন আলু চাষী কৃষকরা। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আলু । এবার আলুর দাম কম পাওয়ার পরও নতুন স্বপ্ন নিয়ে মৌসুমের শুরুতে আলু রোপণ করার জন্য হিমাগার থেকে বীজ উত্তোলন, জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ এবং এবং জমি প্রস্তুত করছে চাষীরা।

মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩৭ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে কৃষকরা আলু আবাদ করবে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৮শত ৫ হেক্টর, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ৯ হাজার ৯শত হেক্টর, সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ হাজার ৩শত ৬০ হেক্টর, লৌহজং উপজেলায় ৪ হাজার ১শত ১০ হেক্টর, শ্রীনগর উপজেলায় ২ হাজার ২শত ৬০ হেক্টর এবং গজারিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৪শত ৬৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হবে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন তাজপুর এলাকায়  দেখা যায়, জমিতে পুরোদমে চলছে আলু রোপণের প্রস্তুতি। এতে জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কারসহ সব কাজ শেষ করে আলু রোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে চাষিরা। আর মাত্র কয়েক দিন পর আলু রোপণ শুরু হবে এ উপজেলায়। এর ফলে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ফসলি জমি গুলো থেকে ধান কাটা শেষ করছে অনেক কৃষক। আবার অনেকের নিচু জমি হওয়ায় ধানা কাটা শেষ হয়নি এখনও। তাদের জমি পরিষ্কার করতে দেরি হবে।আর যাদের জমির পানি চলে গেছে তারা জমি পরিষ্কার করছে। রশুনিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো.হুমায়ুন বলেন, আমার জমি থেকে পানি সরে গেছে, তাই জমি পরিস্কার করছি। কয়েকদিন পরেই এই জমিতে আলু রোপণ শুরু হবে। আরেকজন কৃষক রাহায়ন মিল্কী বলেন, মাত্র জমি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার বেশির ভাগ জমিতে পানি রয়েছে। কয়েক বছর থেকে আলুতে ভালো লাভ হয়না। তার পরও আমরা আলু আবাদ করি।

মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম জানান , এ মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এখানকার কৃষকরা অরিকো, মালতা, ডায়মন্ড, পেরটোনাইস ও বিএডিসি’র আলু রোপণ করে থাকে। উল্লেখিত জমিতে আলু রোপণ হলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও বলেন, কৃষক কী ভাবে আলু চাষ করবে, চারাগাছে কীটনাশক ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা যায়। সে বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করা হচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু রোপণ চলবে।

 

আতারা // এপি

দেশের ক্রিকেট অনন্য উচ্চতায় ঠাঁই করে নিয়েছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আলোকিত ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তান দলকে পতাকাসহ তাদের দেশে ফেরত পাঠানো  উচিত ।তিনি বলেন,মুজিবকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণায় দেশের ক্রিকেট আজ অনন্য উচ্চতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। মঙ্গলবার  রাতে চট্টগ্রাম নগরের জামাল খান এলাকায় বই বিপণি কেন্দ্র বাতিঘর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মুরাদ বলেন, দেশে যখন মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে তখন পাকিস্তান ক্রিকেট দল তাদের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে প্র্যাকটিস করছে। এটা আমাদের চেতনায় আঘাত ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে তাদের জাতীয় পতাকাসহ তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হোক।

 

আতারা // এপি

 

 

 

দুয়া কবুলের বিশেষ ৩ মুহূর্ত

ধর্ম ডেস্ক

দুয়া ছাড়া জীবনে সফল হওয়া যায় না।সফলতার মুখ দেখতে হলে মাবুদের কাছে চাইতে হবে।দুয়া করতে হবে।পবিত্র হাদিস শরিফে দুয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে।আমাদের সমাজে কিছু মানুষ   নিরবে হতাশায় ভোগেন । রবের কাছে দুয়া চাইতে তারা নারাজি প্রকাশ করেন।তারা মনে করেন,পাপের হিসাবে মাবুদ তাদের দুয়া কবুল করবেন না।অথচ দুয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দুয়াও রব্বেকাবা কবুল করেন। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই নবিজি সা. দুয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।রবের দরবারে সিজদায় লুটে পড়তেন।আল  কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ ( বাকারা- ১৮৬)।

নিচে দুয়া কবুলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সময় নিয়ে আলোচনা করা হলো—

শেষরাতে দুয়া 

শেষ রজনীতে রব্বুল আলামিন দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তাই এসময় দুয়া কবুল হয় বেশি করে।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে  দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, ‘আছ কি কোনো আহ্বানকারী, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছ, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব। কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (মুসলিম-৭৫৮)।

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দুয়া

আজান-ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দুয়া কবুল হয়।মহানবি (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (তিরমিজি-২১২)।

ফরজ নামাজের পর দুয়া 

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলকে (সা.)- জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি জবাব দিলেন, রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর। (তিরমিজি-৩৪৯৮) ।

এ ছাড়া রোগাক্রান্ত অবস্থায়, বালামসিবতের সময়, দূরবর্তী সফরের সময় এবং মা-বাবার দুয়া কবুল হয় বলে হাদিসে এসেছে।

 

আতারা // এপি