আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 1542

দুয়া কবুলের বিশেষ ৩ মুহূর্ত

ধর্ম ডেস্ক

দুয়া ছাড়া জীবনে সফল হওয়া যায় না।সফলতার মুখ দেখতে হলে মাবুদের কাছে চাইতে হবে।দুয়া করতে হবে।পবিত্র হাদিস শরিফে দুয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে।আমাদের সমাজে কিছু মানুষ   নিরবে হতাশায় ভোগেন । রবের কাছে দুয়া চাইতে তারা নারাজি প্রকাশ করেন।তারা মনে করেন,পাপের হিসাবে মাবুদ তাদের দুয়া কবুল করবেন না।অথচ দুয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো পাপী বান্দার দুয়াও রব্বেকাবা কবুল করেন। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই নবিজি সা. দুয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।রবের দরবারে সিজদায় লুটে পড়তেন।আল  কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ ( বাকারা- ১৮৬)।

নিচে দুয়া কবুলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সময় নিয়ে আলোচনা করা হলো—

শেষরাতে দুয়া 

শেষ রজনীতে রব্বুল আলামিন দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তাই এসময় দুয়া কবুল হয় বেশি করে।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে  দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, ‘আছ কি কোনো আহ্বানকারী, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছ, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব। কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (মুসলিম-৭৫৮)।

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দুয়া

আজান-ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দুয়া কবুল হয়।মহানবি (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (তিরমিজি-২১২)।

ফরজ নামাজের পর দুয়া 

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলকে (সা.)- জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি জবাব দিলেন, রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর। (তিরমিজি-৩৪৯৮) ।

এ ছাড়া রোগাক্রান্ত অবস্থায়, বালামসিবতের সময়, দূরবর্তী সফরের সময় এবং মা-বাবার দুয়া কবুল হয় বলে হাদিসে এসেছে।

 

আতারা // এপি

জয় বাংলা পাসওয়ার্ড হওয়ায় ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না রুমিন ফারহানা

আলোকিত ডেস্ক

বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ফোনের নেটওয়ার্ক না পাওয়ার অভিযোগ করলে সংসদ ভবনের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে বলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।পরবর্তীতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিএনপি সাংসদকে উদ্দেশ্য করে  বলেন, ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড জয় বাংলা হওয়ায় রুমিন ফারহানা মনে হয় সেটা ব্যবহার করবেন না।

গতকাল জাতীয় সংসদে ১৫তম অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ‘বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ পাসের আলোচনায় এ ঘটনা ঘটে।

সংসদে রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা থ্রিজি, ফোরজি, ফাইভজির কথা শুনি। কিন্তু সংসদে নেটওয়ার্ক থাকে না। তিনি আরও বলেন, আইনমন্ত্রীর উল্লেখ করা ৪০১ ধারা দেখার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ পেতে সংসদ কক্ষের বাইরে যেতে হয়েছে।এর প্রেক্ষিতেই স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিএনপি সাংসদকে সংসদের ওয়াইফাই ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, ওয়াইফাই কানেক্ট করার চেষ্টা করেন। এখানে তো সকলের ওয়াইফাই থাকার কথা, আমার জানামতে।

আতারা // এপি

কালিহাতীতে আ’লীগ প্রার্থীর পোস্টার ছেড়ার অভিযোগে বিক্ষোভ

সবুজ সরকার:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের নির্বাচনী (নৌকা প্রতীক) পোস্টার ছেড়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার(১৫ নভেম্বর)দুপুরে পোষ্টার ছেড়ার প্রতিবাদে নির্বাচনী এলাকায় বিক্ষোভ করেছে নৌকার প্রার্থী সহ তার কর্মী সমর্থকগন। ঘটনার খবর পেয়ে মগড়া ফাঁড়ির পুলিশের এসআই প্রবীর ভট্টাচার্য সহ পুলিশের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতের আধাঁরে ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নৌকা মার্কার নির্বাচনী পোস্টার ও ফেস্টুন ছেড়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী কালিহাতী উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তফা কবীর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আগামী (২৮ নভেম্বর ) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রচার-প্রচারণার এমন কর্মকান্ড অশোভনীয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।ইতিমধ্যে নৌকা মার্কার পোস্টার ছেড়ার মত নোংরামি ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন সোমবার(১৫ নভেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়া অপর প্রার্থীর পোস্টার ছেড়া হয়নি। কিন্তু দুঃখজনক হল রাতের আঁধারে দুস্কৃতিকারীরা চোরের মত নৌকার নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। এছাড়াও নৌকার অফিস সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে দুস্কৃতিকারীরা।
তিনি আরো বলেন, নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত দেখে প্রতিপক্ষের লোকজন এই ধরনের নোংরা কাজে লিপ্ত হয়েছে। আমার পোস্টার ছেড়া ও কর্মীদের প্রচারনায় বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মগড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এসআই প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোস্টার ও ফেস্টুন ছেঁড়ার এই ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ তৎপর রয়েছে ওই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর, ২০২১/ দ ম দ

ডিমলায় বাম্পার ফলনে খুুশি কৃৃষক,ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত 

প্রতিনিধি,নীলফামারী:

নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় মৃদু শীতল বাতাসে পাকা সোনালি ধান দোল খাচ্ছে মাঠে মাঠে। পাকা ধান কাঁটতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দুই দফা বন্যার পর একটু দেরিতে হলেও মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আমন  ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে অনাবিল সুখের হাসি ফুটে উঠেছে। এ যেন শত দুঃখ কষ্টের পরেও একটু সুখের ছোঁয়া। মাঠ থেকে নতুন ধান বাড়িতে তোলার জন্য আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন কৃষাণীরা। গত বছরের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে ফলন ভালো ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকও বেশ খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে ৪৯ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অধিক জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। এ উপজেলায় দুইবারের বন্যায়  কয়েকটি ইউনিয়নের ৮৭০ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে।তারপরও এবার  আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, রোপনের পর ধান গাছে নানা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। অনেকবার কীটনাশক স্প্রে করার ফলে ফসলকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। নতুন ধান পেয়ে আমি আনন্দিত। কৃষক মহসিন বলেন, এ বছর ফসলে ব্যপক পোকামাকড়ের আক্রমন হওয়াতে খরচের পরিমাণ বেশি হয়েছে। মাঝামাঝির দিকে খরায় ক্ষতি করলেও শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়াতে ধানের খুব উপকার হয়েছে  ফলে, অনেক ভালো ফলন হয়েছে। খালিশা চাপানি ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক জায়গায় নির্বাচন থাকায় বাহির থেকে কাজের লোকজন চাহিদামত না আসায় শ্রমিকের মজুরি এবার একটু বেশি। যার ফলে প্রতি শতক ৮০-৯০ টাকা দরে ধান কাটতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই আমন ধান  কাটা-মাড়াই চলছে। এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান কেটে ভুট্টা, আলু, গম, সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন রবিশস্যের চাষাবাদ করেন এ জন্য দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আকস্মিক বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষক।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

কাউখালী ৫ হাজার কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১ জন

প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম:
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টায়  পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙামাটি জেলার কাউখালীতে সাড়ে ৫ হাজার কেজি গাঁজাসহ জ্যোতিমান চাকমা (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার জ্যোতিমান চাকমা কাউখালী থানার জেবাছড়ি গ্রামের রেদু কুমার চাকমার ছেলে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টায় কাউখালী থানাধীন জেবাছড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউখালী থানাধীন জেবাছড়ি এলাকায় গাঁজাক্ষেত থেকে গাঁজা শুকিয়ে বাজারজাত করার জন্য সংরক্ষণ করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫ হাজার কেজি গাঁজাসহ জ্যোতিমান চাকমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার চাষকৃত ১টি গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ও ৩০ মার্চ খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি থানায় দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে ২২৮৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে ২টি গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করা হয় এবং ৯ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির কাউখালী থানাধীন ফটিকছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে ১টি গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

চট্টগ্রাম বন্দর দূষণ করলে ৩ বছরের জেল ও জরিমানা

আব্দুল সাত্তার
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা দূষণ করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১ইং সংসদে তোলা হয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ১৯৭৬ সালের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে বিলটি আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বন্দর এলাকা দূষণের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান আছে। প্রস্তাবিত আইনে সেই শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুযায়ী নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে (যার শাস্তি উল্লেখ নেই এমন ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দর এলাকায় কোনো জাহাজ বা যান্ত্রিক উপকরণের কারণে যদি বর্জ্য তৈরি হয়, তা হলে তার মালিক বা মাস্টার বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণে সময়সীমা অতিক্রম করলে মাসুল দিতে হবে। তখন বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য অপসারণ করবে। এর জন্য যে খরচ হবে, তার দ্বিগুণ দিতে হবে দায়ীকে। কোনো ভাড়া, জরিমানা, ফি, টোল, মাসুল বা ক্ষতিপূরণ অনাদায়ী থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার নিয়ন্ত্রণে থাকা পণ্য নিলাম করে অর্ধ আদায় করতে পারবে। কোনো জাহাজের মাস্টার বা জাহাজে কর্মরত কারও অবহেলার কারণে যদি ডক, পিয়ার বা কোনো স্থাপনা বা কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষতি হয়, তাতে ক্ষতিপূরণ আদায় করার সুযোগ রাখা হয়েছে বিলে। এ আইন হলে বন্দরের ভাড়া ও টোল আদায়ের বিষয়ে তফসিল তৈরি করে সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৫ হাজার টাকার কম হলে অনুমোদন নিতে হবে না। বন্দরের উন্নয়ন সম্প্রসারণে একটি তহবিল রাখার কথাও হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বিলে বন্দর পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসক বোর্ড রাখার কথা বলা হয়েছে, যেখানে বিদ্যমান আইনে এ বোর্ডে সদস্য আছেন চারজন। প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ডসভা করার বিধান খসড়া আইনে রাখা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

সিরাজদিখানে কালভার্টে উঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো

প্রতিনিধি,মুন্সীগঞ্জ:

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের জেলেপাড়া নামক এলাকায় প্রায় ৮ বছর আগে নির্মিত কালভার্টে উঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তা থেকে কালভার্টে উঠতে দুপাশে মাটি না থাকায় বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। এর জন্য জনগনকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ অপরিকল্পিত ভাবে ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে কালভার্টের উপর দিয়ে ২-৩ জন এক সাথে চলাচল করলে কালভার্টটি দুলতে থাকে। গ্রামবাসী বলছে যে কোনো সময় ভেঙে পরতে পারে এ কালভার্ট। সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণের পর থেকেই কালভার্টের এপ্রোজ সড়কের দুইপাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। এতে দুই পারের মানুষ কালভার্টের উপরে উঠতে হলে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে লাগে। এছাড়া কালভার্টের উপর দিয়ে ২-৩ জন এক সাথে চলাচল করার সময় কালভার্টটি দুলতে থাকে। গ্রামবাসী আশংকা করছে যে কোনো সময় ভেঙে পরতে পারে এ কালভার্ট। এ কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। স্থানীয় শ্রী বরুণ রাজ বংশী বলেন, এ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগে। কিন্তু তারা কালভার্ট কোন রকম বানিয়ে চলে গেছে । আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যানকে অনেক বার বলেছি দুই পাশে মাঠি ফালানোর জন্য তারা কোনো দিন এসেও দেখেনি। এতে করে আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে। ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস শেষ বলেন, আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মেম্বার, চেয়ারম্যান কালভার্ট বানানোর জন্য নিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের কোন টাকা খরচ করেনি আমার মনে হয়। এই কালভার্ট নির্মাণ করার পর থেকে দুই পাশে মাটি ফালাইনি। আমরা খুব দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করচ্ছি। আমরা দুই পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে তারপর চলাচল করছি। মেম্বার, চেয়ারম্যান সাহেবদের অনেক বার বলার পরও তারা কোনোভাবেই এই কাজটি করে দেয়নি। এছাড়া কালভার্টটি খুব খারাপ বানিয়েছে। কালভার্টের উপরে উঠলে দুলতে থাকে। আর যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই এটাকে ভেঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট বানিয়ে দেওয়ার। যাতে আমাদের এই এলাকার হাজারো মানুষ চলাচল করতে পারে। ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য বদুরুজ্জামান বদু বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের নিজস্ব টাকায় এবং নিজের তত্বাবধানে এই কালভার্টটি বানানো হয়েছে আমার পিরিয়ড শেষ সময়ে। কালভার্ট বানানোর জন্য এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা উঠানো হয়নি। আমার জানা নেই কেউ টাকা নিয়েছে কিনা। আর চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়েছে কিনা সেটাও আমি জানিনা। ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, এই কালভার্টটি আমার পিরিয়ডে হয়নি, আমার আগের পিরিয়ডে হয়েছে। আর আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে এই বিষয়ে অবগত করেছি । আর একটি বরাদ্দ চেয়েছি যাতে দুই ধারে মাটি ফেলানোর জন্য। ৫০ হাজার টাকার বিষয়ে আমি জানি না । এলাকাবাসী কাকে টাকা দিয়েছে সেটা তারা ভালো জানে। ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, এক মাসের মধ্যেই ওই কালভার্টের দুই ধারে মাটি ফালানো হবে। কালভার্টের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

বাংলাদেশ-ভারতের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন চিরাচরিত-ভারতীয় হাইকমিশনার

প্রতিনিধি,দিনাজপুর:

দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দির মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন চিরাচরিত। এই বন্ধন বিনষ্ট করতে কিছু উগ্র ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সর্বদা চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু প্রতিবারই তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সব ধর্মের মানুষের অবস্থান এদেশে। তাই ধর্মকে ইস্যু করে যারা সহিংসতা চালায় তারা আসলে কখনোই ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি নয়। কোন ধর্মেই সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয় না। ধর্ম মানে বিশ্বাস, ধর্ম মানে শান্তি। আর এই শান্তি বিনষ্টকারীরা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজের স্বার্থকে হাসিল করার চেষ্টায় সর্বদা নিয়োজিত থাকে। এদের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কখনোই মহৎ নয়। এ উপলব্ধিটুকু আমাদের করতে হবে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে যতজন সরকার গঠন করেছেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধন সর্বদা অটুট ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।” ১৫ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর শহরের রায়সাহেব বাড়ী প্রাঙ্গনে শ্রী শ্রী লোকনাথ কেন্দ্রীয় মন্দির মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এসময় বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) সঞ্জীব কুমার ভাট্টি। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল এম.পি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে রায়সাহেব বাড়ী কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দির, দিনাজপুর এর সভাপতি সমর কুমার দাস এর সভাপতিত্বে এবং দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রায় সাহেব দেবোত্তর স্টেট এর এজেন্ট চিত্ত ঘোষ সহ প্রমুখ। এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকার ও সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

আসন্ন বিরুলিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হতে চান ইদ্রিস আলী মুন্সী

 শহিদুল্লাহ সরকার 
আসন্ন ৭নং বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চান বিরুলিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস আলী মুন্সী। ১৯৮০ সন থেকে তিনি বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দলের সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দলীয় যে কোন ধরনের মিটিং মিছিল সভা সমাবেশে তার উপস্থিতি লক্ষনীয়।বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও অত্র ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পাশে সব সময় সুখে দুঃখে পাশে থাকতে তিনি আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নৌকার মাঝি হয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। সরেজমিনের তথ্য অনুযায়ী অধিকাংশ দলীয় নেতাকর্মী ইদ্রিস আলী মুন্সী কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। সাধারণ মানুষের নিকট একজন ,,দানবীর,, হিসেবে পরিচিত।তিনি নির্বাচনি  প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী  সাধারণ ভোটারদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ দান অনুদান সহ সকল বিষয়ে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে আছেন। বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন ইদ্রিস আলী মুন্সী দলের প্রানপ্রিয় নেতা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমাদের নেত্রী যদি ইদ্রিস আলী মুন্সী কে দলীয় প্রতিক নৌকা  দেন তাহলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের উন্নয়নের কাজ করবেন বলে তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ নভেম্বর,২০২১/আর এম

সৈয়দপুরে জমি দখল কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত-১০

প্রতিনিধি,নীলফামারী:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের বাংলো সংলগ্ন জমি দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার (১৪ নভেম্বর)  বেলা ১২ টায় শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গর্ভবতী দুই নারীসহ ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতরা হলেন, বাঁশবাড়ী বটগাছ মোড়ের ফরমান আলীর ৪ মাসের অন্তস্বত্বা স্ত্রী ফারজানা (৩৫), সাহেবপাড়ার মিঠুর ৩ মাসের অন্তঃস্বত্বা স্ত্রী সাবনাজ (২৪),একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাবরা (৫০), নাসিমের স্ত্রী মিতু, কাওসারের স্ত্রী জরিনা (৩৫) ও কয়া বাঁশবাড়ীর সোহাগের স্ত্রী শেফালী আক্তার (২৫)। জানা যায়, শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বেলতলা গেটের বিপরীতে এল-২৫ নং বাংলো সংলগ্ন ৪ শতক জমি দখল করে আধাপাকা বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস  করছে মিঠু ও সাবনাজ দম্পতি। এর পাশেই রেলওয়ের আরও প্রায় ৫ শতাংশ ফাকা জমি দখলে ছিল এই দম্পতির। রোববার সকাল ১১ টায় হঠাৎ করে শহরের বাঁশবাড়ী বটগাছ এলাকার ফরমান আলীর স্ত্রী ফারজানা দলবল নিয়ে  ঐ ৫ শতাংশ রেলের জমি  দখল নেয়ার উদ্দেশ্যে বাঁশ ও টিন দিয়ে জায়গাটি ঘিরে দখলের চেষ্টা করলে বাধা দেয় সাবনাজ দম্পতি।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিবদমান দুই গ্রুপই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে সাবনাজ ও ফারজানার  হাত ও মাথায় গভীরভাবে কাটা জখম ও উভয়েই অন্তঃস্বত্বা হওয়ায় শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত সকলকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ সহকারী প্রকৌশলী ওয়ার্কস্ (আইওডাব্লু) মোঃ শরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে  উক্ত জমিতে দখলের উদ্দেশ্যে নির্মিত অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় রেলকর্তৃপক্ষ। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল হাসনাত খান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে  বলেন, অভিযোগ পেলে আইনী  ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর,২০২১/আর এম