আজ মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 172

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাঙ্গাবালীতে আলোচনা সভা

মো. কাওছার আহম্মেদ,রাঙ্গাবালী : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমারৎ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নান্নু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান অরুন মীর, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ মাহমুদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মাহমুদ ও গণঅধিকার পরিষদের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান টিটু  প্রমুখ। সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বক্তারা।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

মানিকগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত  

মো. মিজানুর রহমান খান কুদরত : মানিকগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। এসময়  জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিয়ার খান শিপার, সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওয়ারিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাসেত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সিদ্দিকী হাশেম মাস্টার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক রবিয়াহ নূর আহমেদ, প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই এ দেশীয় নরঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দিয়েছিল।
পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় অনেক নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নাড়িভুঁড়িও বের করে ফেলা হয়েছে অনেকের। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে উন্মুখ মানুষ স্বজন হারানোর সেই কালরাত্রির কথা জানতে পেরে শিউরে উঠেছিল। স্থবির হয়ে গিয়েছিল সবকিছু।
হত্যার পূর্বে যে তাঁদেরকে নির্যাতন করা হয়েছিল, সে তথ্যও বের হয়ে আসে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সংকলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সাময়িকী নিউজ উইকের সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের রচিত নিবন্ধ থেকে জানা যায় যে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।
বাঙালি জাতির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামে এই বুদ্ধিজীবীরা মেধা, মনন ও লেখার মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। দেখিয়েছেন মুক্তির পথ। গোটা জাতিকে উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম যেন কিছুতেই সহ্য হচ্ছিল না স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের।
১৪ ডিসেম্বরকে বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞের দিন হিসেবে স্মরণ করা হলেও মূলত ১০ ডিসেম্বর ইতিহাসের এ ঘৃণ্যতম অপকর্মের সূচনা হয়। সপ্তাহজুড়ে এদের তালিকায় একে একে উঠে আসে বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী মানুষের নাম। মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকেই রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার ও মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। ১৯৯১ সালে ঢাকার রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নামে আরেকটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ শুরু হয়, যা ১৯৯৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়।
প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শোকের আবহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ওড়ে শোকের প্রতীক কালো পতাকা। দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গান, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বেচ্ছায় রক্তদান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ইউক্রেনে ৯৩ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনে ৯৩ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের জ্বালানি খাত ধ্বংসের লক্ষ্যে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর এএফপির।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরেকটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯৩টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তিনি আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বানও জানিয়েছেন জেলেনস্কি। কিছু দিন আগে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালের দিকে এ হামলা চালানো হয়েছে। কিয়েভ জানিয়েছে, ওডেশার কৃষ্ণ সাগর বন্দরে এবং ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্য শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। চলতি বছর ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গত মাসে এই হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে মস্কো। এতে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন থাকছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুধু বিদ্যুৎ নয়, সম্প্রতি গ্যাস অবকাঠামোতেও হামলা শুরু হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোয় ইউক্রেনের তীব্র নিন্দা করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার ভেতরে এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়াকে পাগলামি বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এটা পাগলামি। রাশিয়ার কয়েকশ মাইল ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের অনুমতি নিয়ে আমার তীব্র আপত্তি রয়েছে। আমরা এটা কেন করছি? আমরা শুধু এই যুদ্ধে উত্তেজনা বাড়াচ্ছি এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছি। এটা করতে দেওয়া উচিত হবে না।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর-২৪/মওম

ঝিনাইদহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বিপিএম-সেবা।

বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আবু হুরায়রা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এম এম শাহজালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝিনাইদহ ল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং পিপি মশিয়ার রহমান।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়,ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর প্রমুখ। এ সময় প্রধান অতিথি সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র শ্রদ্ধাভারে স্মরণ করেন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সভায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ,স্কাউটস ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ঢাকা টু চট্টগ্রাম আইনজীবীদের রোড মার্চ সম্পন্ন

আদালত প্রতিবেদক : উগ্র ও দেশদ্রোহী ইসকন নিষিদ্ধ ও শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচারের দাবীতে ভয়েস অব ল ইয়ার্স অব বাংলাদেশে এর উদ্যোগে ঢাকা টু চট্টগ্রাম আইনজীবীদের রোড মার্চ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  গত শুক্রবার  (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭.৩০ মিনিটে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে রোড মার্চের শুভ উদ্বোধন করেন ভয়েস অব ল ইয়ার্স অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।  প্রায় শতাধিক বিজ্ঞ আইনজীবীদের রোড মার্চের গাড়িবহর সকাল ৭.৩০ মিনিটে  ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে রাত ১১ টায় শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামে শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারতের মধ্যেমে শেষ হয়।

এর আগে দুপুরে কুমিল্লা বিশ্বরোড মোড়ে এবং মহিপাল ফ্লাইওভারের নীচে দুটি পথসভা ও সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রেস ব্রিফিং করেন ভয়েস অব ল ইয়ার্স অব বাংলাদেশ। প্রেস ব্রিফিং ও পথসভায় বক্তব্য প্রদান করেন এডভোকেট আশরাফুজ্জামান, এডভোকেট তৈমুর আলম খান, এডভোকেট আজিম পাটোয়ারি,এডভোকেট মইনুল ইসলাম,  এডভোকেট শাহজালাল, এডভোকেট শাহজাহান, এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুস, এডভোকেট গাজী মতিয়ার রহমান,  এডভোকেট সাইদুল ইসলাম, এডভোকেট শরীফ হোসেন, এডভোকেট নজরুল ইসলাম, এডভোকেট সুমন,এডভোকেট বাতেন প্রমুখ,চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বারের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ।

বিজ্ঞ আইনজীবীগণ উগ্র ও দেশদ্রোহী ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবী জানান সরকারের প্রতি। এছাড়াও আইনজীবী ও চট্টগাম প্রসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যে কোন মূল্যে ভারতের ষড়যন্ত্র ও মিডিয়ার অপপ্রচার প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সর্বশেষ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ পাটোয়ারীর পিতার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে সান্ত্বনা দেন। এবং শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে রোড কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সৌরভ দুর্জয়,ঢাকা জজ কোর্ট

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ বাণী দিয়েছেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম ১১ ডিসেম্বর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় কমিটি ঘোষণা করেন। এ সময়ে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই দিন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হবে।

মহান বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও কর্মসূচি দিয়েছে। বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে  ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। দলটি ১৪ ডিসেম্বর ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং সকাল ৯টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।

‘যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আলোচনা সভা, র‌্যালি এবং দোয়ার মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জাতীয় জীবনে বুদ্ধিজীবী দিবস এবং মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে মুক্ত করেছেন, আমি সেসব মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।  জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। নিহতদের পরিবার-পরিজন এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বিকল্প সড়কে যান চলার নির্দেশনা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যানবাহনের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিতে ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন মিরপুর মাজার রোড (মাজার রোড ক্রসিং থেকে মিরপুর-১ নম্বর ক্রসিং পর্যন্ত) পরিহার করে বিকল্প সড়কে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি)এ তথ্য জানান।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর-২৪/মওম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পালিত হল শ*হীদ গণ*হত্যা দিবস

শওকত আলী: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শহীদ বরণকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধায় অদ্য ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোশারফ হোসেন  সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব রফিকুল ইসলাম সরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর জব্বার, এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শহীদদের পরিবারের স্বজনেরা এবং সম্মানিত  মুক্তিযোদ্ধাদের কে নিয়ে বিটঘর গণহত্যায় শাহাদাত বরণকারী শহীদদের স্মৃতিসৌধের পুস্তবক অর্পণ ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা তার বক্তব্য বলেন শহীদদের এই ঋণ কখনোই শোধ করা যাবে না।  শহীদরা মহান মুক্তির যুদ্ধে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই দেশ অর্জিত হয়েছে এই দেশকে নিয়ে যারা যতবার ষড়যন্ত্র করেছেন। তারা কখনোই সফল হতে পারেননি তাই আসুন।  আগামী দিনগুলোতে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ রেখে  সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যায়।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

অষ্টগ্রামে গণপিটুনি*তে দুই গরু চোর নি*হত

মো.আলী রহমান, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে গণপিটুনিতে শাহজাহান (৩৫) ও নাসির (৩০) নামে দুই চোর নিহত হয়েছেন। নিহত শাহজাহান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা চারু মিয়ার ছেলে ও নাসির অষ্টগ্রামের কাগজীগ্রামের বাসিন্দা হিরা মিয়ার ছেলে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের দেওঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
অষ্টগ্রাম থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বাঙালপাড়া ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকা থেকে মহিষ চুরি করে নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডুড্ডা নদীতে জনতার হাতে একটি মহিষসহ তারা আটক হলে তাদেরকে দেওঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে ৪/৫ হাজার উত্তেজিত জনতা বিদ্যালয়ের গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে গণপিটুনি দিলে তারা ঘটনা স্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তারা ব্যর্থ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও সেনা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মেজর আরিফা খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ প্রতিনিধিকে জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এবিষয়ে একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই : মির্জা ফখরুল

আলোকিত প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি ককরা হয়েছে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক, আধুনিক রাষ্ট্র ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাক-হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। এটি হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে।

খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় আশাবাদী। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সহযোগিতা করছি। আশা করি, খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে বলে আমার বিশ্বাস। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।

এ সময় আরও ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুশ সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তাফা জামান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন নাছিরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী   ঢল ছিল সেখানে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

 

মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ‘দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ কামাল হোসেন

কামাল হোসেন গাজীপুর সদর: সার্ক কালচারাল কাউন্সিল কর্তৃক মফস্বল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন’ পত্রিকার গাজীপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি ও গাজীপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক কামাল হোসেন কে ” মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ ” প্রদান করে।

 

অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে সম্মানিত করায় সার্ক কালচারাল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে ‘জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন’ এর পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। স্থানঃ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, বাংলা মটর ঢাকা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি